Md Akmal
SENIOR MEMBER
- Joined
- Sep 22, 2010
- Messages
- 2,114
- Reaction score
- 1
- Country
- Location
1. I read one story long time ago in a book named. “The Ethiopian Folk Tale”. The story goes like this. Once upon a time there was an old widow who had nine children but all of them were too foolish. They did not have even a common sense. So, there mother was very worried about her children’s future and how they would survive in this world. Moreso, their father was also not alive. One day she came to know that there was a wise and learned man who stays in some area far from their village. It takes two to three days to reach in that area. Moreso, there was a big forest in between. So, she decided to send all her children to that wise man so that they could learn something. One day their mother cooked lot of food and packed with them. She also briefed her children that whenever they stay or sleep they must first count their brother so to confirm that all are available. Soon one day in the early morning they started their journey. After walking the whole day they reached into the forest. Now, most of them were tired and hungry. All of them sit under a big tree and just ready open their packed food but it reminded them about the counting of brothers. The elder brother started counting one by one but he found that one brother is missing. He again started counting but this time the result was same i,e, 8 brothers. Once the other brothers came to know this they started crying. Now, the second eldest brother told everybody that the counting might be wrong so, he started counting again but this also the same number so all of them again started crying more loudly. Now, the third elder brother gave proposal why not to count all together so all of them started counting everybody but they could not found the number nine brother. Now all of them again started crying and it continued for long time.
2. Here although they all were counting their brothers but by mistake they were not counting themselves so every time the number was eight. No one could trace it out. Meanwhile there was a stranger who was bypassing. After hearing the sound of crying he enquired about the matter. All of them one by one told the sad story to the stranger. The stranger was a very cunning man and was very hungry. Now, the stranger after hearing their sad story told them that he would bring the missing brother but in exchange they had to give the whole packed food. All of them at once agreed. Now, he told all the brothers to stand in one line and started counting one by one. Once he finished the counting all of them were very happy. Now, the elder brother again counted it and confirmed it. So, all of them gave the packed food to the stranger and thanked him. After getting the number nine brother all brothers were very happy without being realized what would happened to them in the next two days in the deep forest without food. Meanwhile, the stranger went away with all the foods. All the brothers still could not realized how the stranger could find/brought the missing brother but they were highly pleased and happy.
3. Now, in the last month once Indian PM Manmohan Singh visited Bangladesh, I was still gauzing when he came, how he came, what he has given to us and what he has taken back. But soon I realized that in fact he has already taken all the packed food of foolish brothers. Before this trip to Bangladesh, our AL oriented politicians had been shouting that in this 21 th century we cannot remain isolated. If we give transit or corridor to India than our country would be soon like Malaysia or Singapore! In the next 5 to 10 years our economy will be boomed !!! Then we saw there was some misunderstanding between the two countries once Tista River Pact was not signed due to the objection of Momota Banerjee. The govt officials started telling to the people that since no Tista no transit. But soon our newspapers started publishing the news that infact there is no need of any transit treaty, the treaty is already signed in 1974 between Indra Gandhi and Mujib that too without any transit fee !!!!!!.
খাবারের পোঁটলা নিয়ে চলে গেছে
কাজী জহিরুল ইসলাম
নতুন কোনো শহরে গেলে খুঁজে খুঁজে সেই শহরের বড় একটি বইয়ের দোকান ভিজিট করার চেষ্টা করি। শহরের তথ্য-মানচিত্র ইন্টারনেটেই পাওয়া যায়। আমি খুঁজি সেই দেশের লোকজ সাহিত্যের ইংরেজি অনুবাদের কোনো বই পাওয়া যায় কিনা। বেশিরভাগ সময়ই নিরাশ হতে হয়। মাঝে মাঝে পাওয়া গেলেও তা আমার তৃষ্ণা মেটাতে পারে না। হয় অনুবাদ দুর্বল, না হয় গোঁজামিলে ভরা। আদ্দিস আবাবায় গিয়ে যে বইটি পেলাম তার নাম ইথিওপিয়ান ফোক টেল। পেপারব্যাকে ছাপা ছোট্ট একটি বই। হোটেলে ফিরেই আমি হুমড়ি খেয়ে পড়ি ইথিওপিয়ান ফোক টেল-এর ওপর। যে দেশে পৃথিবীর প্রথম মানবীর ফসিল আবিষ্কৃত হয়েছে, যে দেশে মানব সভ্যতার সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় কফি আবিষ্কৃত হয়েছে, সেই আবিসিনিয়ার লোকজ সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু ইথিওপিয়ান ফোক টেল-এ যে ক’টি গল্প পেলাম তার অর্ধেকের বেশি গল্প আমি আগে থেকেই জানি। অর্থাত্ এগুলো মৌলিক গল্প নয়। তারপরও এই বইয়ের একটি গল্প আমি এখন পাঠকদের শোনাব।
ইথিওপিয়ার এক গ্রামে বাস করত এক বিধবা নারী। তার ছিল নয় ছেলে। ছেলেরা সবাই ছিল অতি বোকা। দূরে, পাহাড়-নদী-বন পেরিয়ে এক গ্রাম। সেই গ্রামে বাস করেন এক জ্ঞানী লোক। ছেলেদের বুদ্ধি বৃদ্ধির জন্য মা সিদ্ধান্ত নেন তিনি তার বোকা নয় ছেলেকে সেই জ্ঞানী লোকের কাছে পাঠাবেন। একদিন ভোরে তারা রওয়ানা হয়ে যায়। কয়েকদিনের পথ হেঁটে যেতে হবে। তাই বিধবা তার ছেলেদের খাবার-দাবারের এক িশাল োঁটলা সঙ্গে দিয়ে দেন। আর বলে দেন, যখনই তোমরা বিশ্রাম নেবে তখনই গুনে দেখবে নয় ভাই সবাই আছ কিনা। হাঁটতে হাঁটতে ওরা ক্লান্ত হয়ে বনের মধ্যে একটি বড় বাওবাব গাছের নিচে বসে পড়ে। ক্ষুধায় পেট চো চো করছে। খাবারের পোটলা খোলার আগে মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। বড় ভাই গুনতে শুরু করে। গোনা শেষ হলে দেখে আট ভাই আছে এক ভাই নেই। ভয়ে সে কান্না শুরু করে। এক ভাইকে নিশ্চয়ই বাঘ-সিংহ খেয়ে ফেলেছে। দ্বিতীয় ভাই বলে, তোমার গোনা ভুল হতে পারে। আমি গুনে দেখি। সেও গুনে দেখে আট ভাই হাজির, নবম ভাই নেই। এভাবে সবাই নিজেদের গুনতে থাকে এবং ফলাফল একই। কারণ, ওরা প্রত্যেকেই নিজেকে বাদ দিয়ে গুনছিল। ওরা নয় ভাই বাওবাব গাছের গুঁড়িতে বসে হাউ-মাউ করে কাঁদতে থাকে। তখন বনের পথ দিয়ে এক ভিন দেশি লোক যাচ্ছিল। সে এসে বলে, তোমরা কাঁদছ কেন? ওরা নয় ভাই সবাই একে একে ওদের ভাই হারানোর ঘটনা সবিস্তারে খুলে বলে। লোকটি গুনে দেখে ওরা নয় ভাই সবাই আছে। ভিনদেশি বুঝে ফেলে এরা সবাই অতিশয় বোকা। লোকটি তখন বলে, আমি তোমাদের নয় ভাইকে একসঙ্গে হাজির করে দেব, বিনিময়ে তোমাদের খাবারের পোঁটলাটি আমাকে দিয়ে দিতে হবে। ওরা সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেল। লোকটি তখন নয় ভাইকে এক সারিতে দাঁড় করিয়ে গুনে দেখাল এবং খাবারের পোঁটলা নিয়ে চলে গেল। নয় ভাই তখনও বুঝল না ঘটনা কী ঘটেছিল। নিজেদের বোকামির জন্য যে খাবার হারিয়েছে এবং আগামী দু’দিন ওদের না খেয়ে বনে-বাদাড়ে হাঁটতে হবে, সেই কষ্টের চেয়ে ভাই ফিরে পাওয়ার আনন্দে ওরা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরল।
মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফর এবং আমাদের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিগুলোর হিসাব যখন করি তখন এই ইথিওপিয়ান লোকজ গল্পটিই বার বার মনে পড়ে। পত্রপত্রিকা পড়ে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে স্থলপথে ট্রানজিট বা করিডোর যা-ই বলি না কেন, সেটা চালু হয়ে গেছে এবং সব জল্পনা-কল্পনার কবর দিয়ে ট্রানজিট বা করিডোর ভারতকে বিনা পয়সায়ই দেয়া হয়েছে। আমাদের মন্ত্রী-উপদেষ্টারা যখন এই পেয়েছি সেই পেয়েছি বলে আনন্দের আতিশয্যে বক্তৃতা-বিবৃতি দেন তখন মনে হয় গুনতে না জানার কারণে হারানো ভাইকে ফেরত পেয়েই তারা আনন্দের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। আমরা যা পেয়েছি তা কি মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির চেয়ে বাড়তি কোনোকিছু? আর ওইদিকে ভিনদেশি লোকটি যে খাবারের পোঁটলা নিয়ে চলে গেছে সেটা আমরা এখনও টেরই পাচ্ছি না।
লেখক : কবি, কলাম লেখক
2. Here although they all were counting their brothers but by mistake they were not counting themselves so every time the number was eight. No one could trace it out. Meanwhile there was a stranger who was bypassing. After hearing the sound of crying he enquired about the matter. All of them one by one told the sad story to the stranger. The stranger was a very cunning man and was very hungry. Now, the stranger after hearing their sad story told them that he would bring the missing brother but in exchange they had to give the whole packed food. All of them at once agreed. Now, he told all the brothers to stand in one line and started counting one by one. Once he finished the counting all of them were very happy. Now, the elder brother again counted it and confirmed it. So, all of them gave the packed food to the stranger and thanked him. After getting the number nine brother all brothers were very happy without being realized what would happened to them in the next two days in the deep forest without food. Meanwhile, the stranger went away with all the foods. All the brothers still could not realized how the stranger could find/brought the missing brother but they were highly pleased and happy.
3. Now, in the last month once Indian PM Manmohan Singh visited Bangladesh, I was still gauzing when he came, how he came, what he has given to us and what he has taken back. But soon I realized that in fact he has already taken all the packed food of foolish brothers. Before this trip to Bangladesh, our AL oriented politicians had been shouting that in this 21 th century we cannot remain isolated. If we give transit or corridor to India than our country would be soon like Malaysia or Singapore! In the next 5 to 10 years our economy will be boomed !!! Then we saw there was some misunderstanding between the two countries once Tista River Pact was not signed due to the objection of Momota Banerjee. The govt officials started telling to the people that since no Tista no transit. But soon our newspapers started publishing the news that infact there is no need of any transit treaty, the treaty is already signed in 1974 between Indra Gandhi and Mujib that too without any transit fee !!!!!!.
খাবারের পোঁটলা নিয়ে চলে গেছে
কাজী জহিরুল ইসলাম
নতুন কোনো শহরে গেলে খুঁজে খুঁজে সেই শহরের বড় একটি বইয়ের দোকান ভিজিট করার চেষ্টা করি। শহরের তথ্য-মানচিত্র ইন্টারনেটেই পাওয়া যায়। আমি খুঁজি সেই দেশের লোকজ সাহিত্যের ইংরেজি অনুবাদের কোনো বই পাওয়া যায় কিনা। বেশিরভাগ সময়ই নিরাশ হতে হয়। মাঝে মাঝে পাওয়া গেলেও তা আমার তৃষ্ণা মেটাতে পারে না। হয় অনুবাদ দুর্বল, না হয় গোঁজামিলে ভরা। আদ্দিস আবাবায় গিয়ে যে বইটি পেলাম তার নাম ইথিওপিয়ান ফোক টেল। পেপারব্যাকে ছাপা ছোট্ট একটি বই। হোটেলে ফিরেই আমি হুমড়ি খেয়ে পড়ি ইথিওপিয়ান ফোক টেল-এর ওপর। যে দেশে পৃথিবীর প্রথম মানবীর ফসিল আবিষ্কৃত হয়েছে, যে দেশে মানব সভ্যতার সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় কফি আবিষ্কৃত হয়েছে, সেই আবিসিনিয়ার লোকজ সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু ইথিওপিয়ান ফোক টেল-এ যে ক’টি গল্প পেলাম তার অর্ধেকের বেশি গল্প আমি আগে থেকেই জানি। অর্থাত্ এগুলো মৌলিক গল্প নয়। তারপরও এই বইয়ের একটি গল্প আমি এখন পাঠকদের শোনাব।
ইথিওপিয়ার এক গ্রামে বাস করত এক বিধবা নারী। তার ছিল নয় ছেলে। ছেলেরা সবাই ছিল অতি বোকা। দূরে, পাহাড়-নদী-বন পেরিয়ে এক গ্রাম। সেই গ্রামে বাস করেন এক জ্ঞানী লোক। ছেলেদের বুদ্ধি বৃদ্ধির জন্য মা সিদ্ধান্ত নেন তিনি তার বোকা নয় ছেলেকে সেই জ্ঞানী লোকের কাছে পাঠাবেন। একদিন ভোরে তারা রওয়ানা হয়ে যায়। কয়েকদিনের পথ হেঁটে যেতে হবে। তাই বিধবা তার ছেলেদের খাবার-দাবারের এক িশাল োঁটলা সঙ্গে দিয়ে দেন। আর বলে দেন, যখনই তোমরা বিশ্রাম নেবে তখনই গুনে দেখবে নয় ভাই সবাই আছ কিনা। হাঁটতে হাঁটতে ওরা ক্লান্ত হয়ে বনের মধ্যে একটি বড় বাওবাব গাছের নিচে বসে পড়ে। ক্ষুধায় পেট চো চো করছে। খাবারের পোটলা খোলার আগে মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। বড় ভাই গুনতে শুরু করে। গোনা শেষ হলে দেখে আট ভাই আছে এক ভাই নেই। ভয়ে সে কান্না শুরু করে। এক ভাইকে নিশ্চয়ই বাঘ-সিংহ খেয়ে ফেলেছে। দ্বিতীয় ভাই বলে, তোমার গোনা ভুল হতে পারে। আমি গুনে দেখি। সেও গুনে দেখে আট ভাই হাজির, নবম ভাই নেই। এভাবে সবাই নিজেদের গুনতে থাকে এবং ফলাফল একই। কারণ, ওরা প্রত্যেকেই নিজেকে বাদ দিয়ে গুনছিল। ওরা নয় ভাই বাওবাব গাছের গুঁড়িতে বসে হাউ-মাউ করে কাঁদতে থাকে। তখন বনের পথ দিয়ে এক ভিন দেশি লোক যাচ্ছিল। সে এসে বলে, তোমরা কাঁদছ কেন? ওরা নয় ভাই সবাই একে একে ওদের ভাই হারানোর ঘটনা সবিস্তারে খুলে বলে। লোকটি গুনে দেখে ওরা নয় ভাই সবাই আছে। ভিনদেশি বুঝে ফেলে এরা সবাই অতিশয় বোকা। লোকটি তখন বলে, আমি তোমাদের নয় ভাইকে একসঙ্গে হাজির করে দেব, বিনিময়ে তোমাদের খাবারের পোঁটলাটি আমাকে দিয়ে দিতে হবে। ওরা সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেল। লোকটি তখন নয় ভাইকে এক সারিতে দাঁড় করিয়ে গুনে দেখাল এবং খাবারের পোঁটলা নিয়ে চলে গেল। নয় ভাই তখনও বুঝল না ঘটনা কী ঘটেছিল। নিজেদের বোকামির জন্য যে খাবার হারিয়েছে এবং আগামী দু’দিন ওদের না খেয়ে বনে-বাদাড়ে হাঁটতে হবে, সেই কষ্টের চেয়ে ভাই ফিরে পাওয়ার আনন্দে ওরা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরল।
মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফর এবং আমাদের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিগুলোর হিসাব যখন করি তখন এই ইথিওপিয়ান লোকজ গল্পটিই বার বার মনে পড়ে। পত্রপত্রিকা পড়ে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে স্থলপথে ট্রানজিট বা করিডোর যা-ই বলি না কেন, সেটা চালু হয়ে গেছে এবং সব জল্পনা-কল্পনার কবর দিয়ে ট্রানজিট বা করিডোর ভারতকে বিনা পয়সায়ই দেয়া হয়েছে। আমাদের মন্ত্রী-উপদেষ্টারা যখন এই পেয়েছি সেই পেয়েছি বলে আনন্দের আতিশয্যে বক্তৃতা-বিবৃতি দেন তখন মনে হয় গুনতে না জানার কারণে হারানো ভাইকে ফেরত পেয়েই তারা আনন্দের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। আমরা যা পেয়েছি তা কি মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির চেয়ে বাড়তি কোনোকিছু? আর ওইদিকে ভিনদেশি লোকটি যে খাবারের পোঁটলা নিয়ে চলে গেছে সেটা আমরা এখনও টেরই পাচ্ছি না।
লেখক : কবি, কলাম লেখক
