I have to say Kobiraaz's pictures clearly point to the fact that the Jamati hartal seems to be far more successful than some people claim. This leads to wider questions.
1. The Jamat has clearly shown the Awami League that they are still strong when the elections are only 10 or so months away.
Things will only get worse.
2. Can the Awami League actually execute Kader Molla and others?
3. Can they ban the Jamat?
We will have to wait and see.
At least this time no cars got burnt or people attacked.
The other question is what the army and US are making of all this.
3 people dead by jamat attack. Yes though people avoided this strike. They burnt so many vehicle. Its a serious crime.
:: বাংলাদেশ প্রতিদিন :: প্রথম পাতা :: সহিংস হরতù
সহিংস হরতালের বলি ৩
দেশজুড়ে তাণ্ডব, রাজশাহীতে গোলাগুলি আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন
জামায়াত-শিবিরের সহিংস হরতালে তিনজন বলি হয়েছেন। কক্সবাজারের রামুতে একটি মাইক্রোবাসে তাদের হামলায় আবদুর রহমান (৬০
নামে এক রোগী মারা গেছেন। রাজধানীর বাড্ডায় পিকেটিংয়ের কবলে পড়ে মিনিবাস উল্টে ঠিকাদার মোহাম্মদ ইকবালের (৩৫
মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইব্রাহীম (২৪
নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
জামায়াত ইব্রাহীমকে তাদের কর্মী বলে দাবি করেছে। রাজধানীসহ সারা দেশে গতকালের হরতাল অনেকটাই ঢিলেঢালাভাবে পালিত হলেও বেশ কয়েকটি স্থানে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ সদস্যসহ আহতের সংখ্যা কয়েক শ। সারা দেশে গ্রেফতারের সংখ্যা দেড় শতাধিক।
রাজশাহীর বিনোদপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে জামায়াত-শিবির। সেখানে গোলাগুলিতে ৩০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শহীদসহ দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। রংপুরে সংঘর্ষে সাত পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। সিলেট নগরজুড়ে বোমাবাজিসহ অর্ধ শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের হরতাল প্রত্যাখ্যানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল অন্য দিনের তুলনায় কম। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন ছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন। গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট খোলা এবং বিপুল যানবাহন চলায় মানুষের জীবনযাত্রায় তেমন প্রভাব পড়েনি।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজধানীতে হরতাল সমর্থকরা অন্তত ৩৫টি গাড়ি ভাঙচুর ও তিনটি গাড়িতে অগি্নসংযোগ করেন। আতঙ্ক ছড়াতে শিবির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে যাত্রাবাড়ী, বিজয়নগর ও পল্টন এলাকায় ককটেল নিক্ষেপ করেন। গাড়ি ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ ৩০ জনকে আটক করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকালে সাড়ে ৮টার দিকে জামায়াত-শিবির কর্মীদের ধাওয়ায় মধ্য বাড্ডায় একটি হিউম্যান হলার উল্টে মোহাম্মদ ইকবাল (৩৫
নামে এক ঠিকাদার নিহত ও পাঁচ যাত্রী আহত হয়েছেন। গাড়িটি গুলিস্তান থেকে যাত্রী নিয়ে গুলশান-২ যাচ্ছিল। মধ্যবাড্ডায় পেঁৗছামাত্র পোস্ট অফিস গলির মুখ থেকে কয়েকজন পিকেটার গাড়িটিকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এ সময় চালক গাড়িটি দ্রুত ঘোরানোর চেষ্টা করলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই স্থানেই উল্টে যায়। ইকবালের বাসা রামপুরার ১৮, পশ্চিম উলনে। মাত্র কয়েক মাস আগেই তিনি বিয়ে করেন। গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সায়েদাবাদ ব্রিজের পাশে চাংপাই রেস্টুরেন্টের গলিতে জামায়াত-শিবির হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে। পুলিশ ধাওয়া করলে তারা চার-পাঁচটি ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যান। একই সময়ে সদরঘাট এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিলের চেষ্টা করে জামায়াত-শিবির। দুই শিবির কর্মী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোহাম্মদ বিন আমির ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. মহসীনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন শ্রমিক লীগ নেতা-কর্মীরা।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার পেছন থেকে শিবির কর্মীরা একটি মিছিল বের করলে পুলিশ তিনজনকে আটক করে। সকাল ৭টার দিকে যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকায় কয়েকজন যুবকের গতিবিধি সন্দেহভাজন হওয়ায় পুলিশ ধাওয়া করে। তারা এ সময় একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যান। পুলিশ পরে ব্যাগ থেকে ছয় বোতল পেট্রল ও সাঈদীর মুক্তি চাই লেখা সংবলিত একটি ব্যানার উদ্ধার করেন। এর আগে সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জামায়াত-শিবির কয়েক দফা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশের তৎপরতার কারণে ব্যর্থ হয়। সকাল ৭টার দিকে মহাখালীর বিএফ শাহীন কলেজের সামনে গুলিস্তান থেকে এয়ারপোর্টগামী তিন নম্বর বাসে আগুন ধরিয়ে দেন পিকেটাররা। একই সময়ে মহাখালীর তিতুমীর কলেজের সামনেও পিকেটাররা দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। সকাল ৮টার দিকে মহাখালীর নাবিস্কো এলাকায় জামায়াত-শিবির মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। হরতাল সমর্থকরা এ সময় ১০-১২টি গাড়ি ভাঙচুর করেন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে এক পর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র রিয়াজ হোসেনসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য হামিদুর রহমান আযাদের নেতৃত্বে সকালে মোহাম্মদপুরে একটি মিছিল বের হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পেঁৗছার আগেই তারা পালিয়ে যান। সকাল ১০টার দিকে কমলাপুর বড় মসজিদের গলিতে জামায়াত-শিবিরের ঝটিকা মিছিল থেকে তিন-চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। প্রায় একই সময়ে পিকেটারদের লক্ষ্য করে জুরাইন এলাকায় ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। সকাল ৯টার দিকে কারওয়ান বাজার এলাকায় একটি সিএনজি-চালিত অটোরিকশায় আগুন ও পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ১১টার দিকে নয়াপল্টন স্কাউট মার্কেটের সামনে শিবির কর্মীরা পর পর তিনটি শক্তিশালী ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যান। দুপুরে উত্তরার আজমপুরের কাছে রাস্তার পাশে থাকা একটি পরিত্যক্ত মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেন হরতাল সমর্থকরা। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বেলা ৩টার দিকে কাকরাইলের আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় জনতা এ সময় ইলিয়াস হোসেন (৩৭
নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। বিকাল ৪টার দিকে কাটাবন এলাকায় সংসদ উপনেতা, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে আইমন আকবরের গাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালান পিকেটাররা। তবে পুলিশ ও চালকের তৎপরতার কারণে তারা আগুন দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ধানমন্ডি জোন পুলিশের সহকারী কমিশনার রেজাউল করীম।
জামায়াতের দাবি হরতাল সফল : আইন সংশোধন ও কঙ্বাজারে জামায়াত-শিবিরের চার নেতা-কর্মী হত্যার প্রতিবাদ এবং ট্রাইব্যুনাল বাতিল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে গতকালের হরতালকে সফল বলে দাবি করেছেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। তিনি অভিযোগ করেন, 'তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় পুলিশ চার শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে দুজনের গায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কুমিল্লায় পুলিশের গুলিতে জামায়াতের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বেপরোয়াভাবে গুলিবর্ষণ করেছে। এতে শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে। পুলিশের গুলিতে এ পর্যন্ত তাদের ১৪ নেতা-কর্র্মীসহ ৩০ জন নিহত হয়েছেন। ৩৪ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।'
রাজধানীর বাইরের হরতাল-সংঘর্ষের খবর পাঠিয়েছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা_
কুমিল্লা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। ইব্রাহীম (২৪
নামে ওই যুবককে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে জামায়াত। প্রতিবাদে কুমিল্লায় আজ আধাবেলা হরতালও ডেকেছে দলটি। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আমজাদের বাজারে জামায়াত-শিবির কর্মীরা পিকেটিং করেন। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছুড়লে উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের ইব্রাহিম নিহত হন। এ ছাড়া চারজন গুলিবিদ্ধসহ ১২ জন আহত হন। গুলিবিদ্ধ দুজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। তারা হলেন_ লুদিয়ারা গ্রামের নাঈমুল ইসলাম মুরাদ (২৩
ও দুর্গাপুর গ্রামের এনায়েত হোসেন (২৪
। ওদিকে, সকালে লাকসাম রোডের মনোহরপুর মোড়ে শিবির কর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ ধাওয়া করে তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তবে কেউ হতাহত হননি। সকালে সালাহউদ্দিন মোড়ে পুলিশ ও শিবির কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। শহরে ছোট যান চলে সকাল থেকেই, অধিকাংশ বিপণিবিতান ও দোকান বন্ধ ছিল। তিনটি বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। রবিবার রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।
কঙ্বাজার : কঙ্বাজার-টেকনাফ সড়কের রামু উপজেলার চেইন্দায় বেলা ১১টার দিকে রোগীবাহী মাইক্রোবাসে ভাঙচুর চালান শিবির কর্মীরা। গাড়িতে থাকা রোগী আবদুর রহমান (৬০
এ সময় মারা যান বলে জানান স্বজনরা। দুপুরে শহরে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হলেও দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ ছিল। শহর ও উপজেলা সদরে হরতালবিরোধী মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়। পিকেটারদের তেমন উপস্থিতি লক্ষ্য করা না গেলেও প্রধান প্রধান সড়কে টায়ার পোড়ানোর দৃশ্য দেখা গেছে। বাংলাবাজারে একটি সিএনজি অটোরিকশায় আগুন দেওয়া হয়। শহরের লিংক রোডে কয়েকটি টমটম ও রিকশা ভাঙচুর করেন শিবির কর্মীরা। অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি টহল দেয় র্যাব ও বিজিবি।
রাজশাহী : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি
সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে আওয়ামী লীগের কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছেন শিবির নেতা-কর্মীরা। সেখানে গোলাগুলিতে ৩০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদসহ দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মতিহার থানার ওসি আবদুস সোবহান জানান, শিবির নেতা-কর্মীরা একটি ঝটিকা মিছিল বের করেন। এক পর্যায়ে তারা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। কার্যালয়ের সামনে থাকা দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরও করেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ পেঁৗছালে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে মারেন। পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও শটগানের ফাঁ?কা গুলি ছোড়ে। মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ আগুন নেভায়। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে বলে জানান ওসি। এর আগে সকালে এখানে শিবির মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়লে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এক পর্যায়ে র্যাব এলে শিবির পিছু হটে। নগরীর কাজলা, কাটাখালি ও বিমানবন্দরের সামনেও পিকেটিং করা হয়। দিনের বিভিন্ন সময় হরতালের সমর্থনে কয়েক দফা মিছিল ও পিকেটিংয়ের চেষ্টাকালে পুলিশি বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। তবে মহানগরীর খড়খড়ি বাইপাসে দুটি ট্রাকে ভাঙচুর করে আগুন দেন পিকেটাররা। পুলিশ ৪৮ জনকে আটক করেছে।
রংপুর : সকাল থেকেই অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ খোলা ছিল। ট্রেন ও কম দূরত্বে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও দূরপাল্লার গাড়ি ছাড়ে কম। জাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকারী ছাড়াও ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা দফায় দফায় হরতালবিরোধী মিছিল করেন। তবে কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষে সাত পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। সকালে নগরীর হাজীরহাটে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই শিবির কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তারা ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি হলে কয়েক শ মানুষ সেখানে হামলা চালান। ভাঙচুরের মুখে ৩০ জন রোগীকে তাদের অভিভাবকরা অন্যত্র সরিয়ে নেন। এ সময় রেটিনা কোচিং সেন্টারেও ভাঙচুর চালানো হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাজীরহাট ও পীরগাছা উপজেলার দেউতি বাজারে সংঘর্ষে আহত পুলিশ কনস্টেবল নিত্যরঞ্জন, অহিদুল ইসলাম, মাসুম মিয়াসহ ১৩ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান পুড়িয়ে দেন শিবির কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৬ রাউন্ড গুলি এবং প্রায় ১০০ রাউন্ড টিয়ার শেল ছোড়ে। জামায়াত-শিবিরের ছয় কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিলেট : নগরজুড়ে বোমাবাজি করেছে জামায়াত-শিবির। বিভিন্ন স্থানে তারা অর্ধ শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। সকাল ৭টা থেকে ঝটিকা পিকেটিংয়ে নামেন দলের কর্মীরা। মোটরসাইকেল থেকে নেমে গাড়ি ভাঙচুর করেই পালিয়ে যান। আতঙ্ক ছড়াতে অন্তত ৪০টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটান। বেলা ১টার দিকে বিমানবন্দর সড়কের গলফ ক্লাবের সামনে একটি টেম্পো আটকে যাত্রীদের নামিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। হরতাল চলাকালে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি টহল দেয় বিজিবি। হরতালের প্রতিবাদে মিছিল-সমাবেশ করেছে ১৪ দল। দুপুরে নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহীদ মিনারে সমাবেশে মিলিত হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে লাঠিমিছিল বের করে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। পরে শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। অন্যদিকে, বিশ্বনাথে সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। ব্যাংকের শাখাগুলোতে লেনদেন ছিল স্বাভাবিক। তবে নাশকতার চেষ্টা করলে পুলিশ পাঁচ শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করে। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সাতজনকে। কয়েকটি স্থানে জামায়াত-শিবির ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাধারণ মানুষের প্রতিরোধের মুখে তা পণ্ড হয়ে যায়। নগরীতে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা দিনের প্রথম ভাগে কম দেখা গেলেও পরে তা বৃদ্ধি পায়।
খুলনা : নগরীতে হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। চুকনগরে ট্রাক ও পিকআপ ভাঙচুর করা হয়। পিকেটারদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পুলিশ ১৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। শিবিরের হামলায় দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন। দুপুর ১২টার দিকে দলীয় কার্যালয় চত্বরে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে হরতালবিরোধী সমাবেশ হয়। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি, সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক এতে সভাপতিত্ব করেন।
বরিশাল : ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ছাড়াও সড়কে যান চলাচল প্রায় স্বাভাবিক ছিল। তবে একটি যাত্রীবাহী বাস, দুটি টেম্পো ও ট্রাক ভাঙচুর করেছেন শিবির কর্মীরা। ভোরে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে নগরীর কাশীপুর, বরিশাল-বাবুগঞ্জ সড়কের লাকুটিয়া, বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের নগরীর রূপাতলী সোনারগাঁও টেঙ্টাইল, বাঁধ রোড, নবগ্রাম রোডসহ বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এবং গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে শিবির। নগরীর নাজিরমহল্লা থেকে এক শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভোর থেকেই আওয়ামী লীগ কর্মীদের মোড়ে মোড়ে অবস্থান এবং পুলিশের টহল বৃদ্ধি করায় মিছিল বের করার চেষ্টা ব্যর্থ হয় জামায়াত-শিবিরের। হরতালের প্রতিবাদে এবং যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি, সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরণের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
জয়পুরহাট : শহরের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় সকাল ৯টার দিকে জামায়াত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ টিয়ার শেল ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সেখান থেকে আক্কেলপুর উপজেলা জামায়াত আমির রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও জয়পুরহাট শহর জামায়তের সেক্রেটারি আবদুল কাইয়ুমকে গ্রেফতার করা হয়। পাঁচবিবিতে জামায়াতের অফিস গুঁড়িয়ে দিয়েছেন হরতালবিরোধীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : বিকাল ৪টার দিকে শিবগঞ্জে বিজিবির গাড়িতে হামলা চালায় শিবির। সেখানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াও হয়। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। সকালে উপরাজারামপুর মোড়ে শিবির কর্মীরা মোটরসাইকেলসহ তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে তারা শিবগঞ্জ থানার সামনে টিঅ্যান্ডটি মাঠে গণজাগরণ মঞ্চের টেবিল, চেয়ার ও ব্যানার ভাঙচুর ছাড়াও আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালান। এ সময় দলীয় সাইনবোর্ড ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর শুভেচ্ছা সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মীরা জামায়াত অফিস ও তাদের সমর্থিত আল-মদিনা ইসলামিক হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গাজীপুর : সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার ভোগড়ার বাসন এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি বিআরটিসি বাস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন শিবির কর্মীরা। বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-গাজীপুর সড়কে নলজানী এলাকায় বলাকা পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন অফিস খোলা ছিল।
বগুড়া : শহরের কলোনি এলাকায় হরতাল সমর্থকরা মিছিলের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পিকেটারদের বাধার মুখে একটি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তালাবদ্ধ দোকানে ঢুকিয়ে দেন। কানুছগাড়ী, মফিজপাগলার মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে ও ককটেল ফাটান শিবির কর্মীরা। পুলিশ পেঁৗছালে তারা পালিয়ে যান। সকাল থেকেই ছোট যানবাহন চলাচল শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়ে। জামায়াত নেতাসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর : চন্দ্রগঞ্জ আন্ডার ঘর এলাকায় সকালে যুবলীগের মিছিলে জামায়াত-শিবিরের হামলায় ছয়জন আহত হয়েছেন। যুবলীগ নেতাদের দুটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দিয়েছেন শিবির কর্মীরা। দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে আজ সকাল ১০টা থেকে জেলার সব রাস্তা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে যুবলীগ। দুপুরে মিছিল ও সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বোয়ালমারী : সকাল ৮টার দিকে সৈয়দপুর বাজার এলাকায় বোয়ালমারী থেকে ফরিদপুরগামী সোমা এন্টারপ্রাইজ ও রজনীগন্ধা পরিবহন নামে দুটি লোকাল বাসে ভাঙচুর করেন শিবির কর্মীরা। সাড়ে ৯টার দিকে চতুল এলাকায় প্রিয়া পরিবহনের একটি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পাবনা : ঈশ্বরদীসহ বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন পিকেটাররা। পাবনা-নগরবাড়ী মহাসড়ক অবরোধও করা হয়। হরতালবিরোধী বিক্ষোভ করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ছাত্রলীগ।
ঝিনাইদহ : শহরের দোকানপাট খোলা রাখা হয়। দূরপাল্লার পরিবহন ছাড়াও সব ধরনের যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দফায় দফায় হরতালবিরোধী মিছিল বের করে। তবে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের কলার হাট রাস্তায় ভোরে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক আবরোধ করে শিবির। তারা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। কিন্তু পুলিশ আসার খবরে পালিয়ে যান।
সিরাজগঞ্জ : সকালে সদর উপজেলার বহুলী বাজারে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পাঁচ রাউন্ড রাবার বুলেট ও তিন রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আটজনকে আটক করা হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে ছাত্রলীগ শহরে হরতালবিরোধী মিছিল করেছে।
বরগুনা : হরতাল প্রত্যাখ্যান করে সকালে ঝাড়ুমিছিল বের করা হয়। মিছিল থেকে শহরের নজরুল ইসলাম সড়কে ইসলামী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে সাইনবোর্ড ও এটিএম বুথ ভাঙচুর করা হয়। বিক্ষোভকারীরা পরে বন্দর ক্লাব চত্বরে কাদের মোল্লার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
নোয়াখালী : নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ ১৭ জনকে আটক করেছে। দুপুরে সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ হরতালবিরোধী মিছিল বের করে।
নীলফামারী : শহরের সব ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। যানবাহন চলাচল করেছে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দারোয়ানী বাজারে জামায়াত-শিবির রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করে। কিন্তু এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়।
and your source is Bngladeshi tv channels?? they are all politically biased and controlled by Govt......
A sick bnp leader killed by jamat picketers. He was going to hospital his ambulace was attacked.
বিএনপি নেতা পরিচয়েও রেহাই মেলেনি
কঙ্বাজারে গতকাল সোমবার সকালে হরতাল চলাকালে জামায়াত-শিবিরের পিকেটারদের হাত থেকে রেহাই পেলেন না অসুস্থ বিএনপি নেতা হাফেজ আবদুর রহমান (৬০
। বিএনপি নেতার পরিচয় দেওয়ার পরও রোগী বহনকারী মাইক্রোবাসে শিবির হামলা চালালে হাসপাতালে পেঁৗছানোর আগেই ঘটনাস্থলে ওই নেতা মারা যান।
কঙ্বাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামু উপজেলার চেইন্দা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। হাফেজ আবদুর রহমান টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
জামায়াত-শিবিরের হামলায় প্রবীণ বিএনপি নেতার মৃত্যুতে কঙ্বাজারে সর্বত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের জোটভুক্ত দল জামায়াত। অথচ তাদের পিকেটারদের হাত থেকে মুমূর্ষু রোগী হয়েও বাঁচতে পারলেন না প্রবীণ নেতা হাফেজ আবদুর রহমান। 'এটি সেমসাইড'।
গতকাল বিকেল ৫টায় টেকনাফের উনচিপ্রাং সরকারি প্রাইমারি স্কুলমাঠে নিহত প্রবীণ বিএনপি নেতার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় সমবেত মুসলি্লরা জামায়াত-শিবিরের এমন হামলার ঘটনাকে ধিক্কার জানান। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে। প্রয়াত বিএনপি নেতা হাফেজ আবদুর রহমানের ভাগ্নে কামরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁর মামা বিএনপি নেতা হাফেজ আবদুর রহমান সোমবার ভোর রাতের দিকে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এরপর তাঁকে দ্রুত মাইক্রোবাসে করে কঙ্বাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার জন্য রওনা দেওয়া হয়। হরতালের কারণে মাইক্রোবাসে লাগানো হয় দুটি লাল পতাকা। এ সময় মাইক্রোবাসে পরিবারের ছয়/সাতজন সদস্য ছিলেন। এরপর সকাল সাড়ে আটার দিকে চেইন্দা নামক স্থানে এসে পেঁৗছলে জামায়াত-শিবিরের ১০/১২ জনের পিকেটার দল হাতে লোহার রড, লাঠি নিয়ে গাড়ি থামাতে বাধ্য করে। তারা গাড়ি থেকে লাল পতাকা খুলে নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় গাড়ির ভেতর থাকা সবাই চিৎকার করে তাদের বলে, 'গাড়ির ভেতর রোগী আছে, দয়া করুণ আমাদের।' কিন্তু শিবির ক্যাডাররা অনুরোধে কর্ণপাত না করে ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে কামরুল নিজে গাড়ি থেকে নেমে পিকেটারদের অনুরোধ করে বলেন, 'আমার মামা একজন বিএনপি নেতা, তিনিই রোগী এবং আমরা সবাই আপনাদের জোটের লোক, আমাদের ছেড়ে দিন।' এসব বলার পরও জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা টানা আধা ঘণ্টা হামলা-ভাঙচুর চালালে সেখানেই মুমূর্ষু রোগী বিএনপি নেতা হাফেজ আবদুর রহমান মারা যান। তিনি আরো জানান, 'তবু মনকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ প্রসঙ্গে অপর ভাগ্নে রমজান আলী পটল কালের কণ্ঠকে জানান, 'একজন মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর গাড়িতে হামলা চালানোর মতো জঘন্য কাজ দুনিয়ায় আর কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। আমার মামার মৃত্যুর জন্য জামায়াত-শিবিরই দায়ী। তাদের ওপর আল্লাহর গজব পড়ুক।'
তিনি আরো জানান, হাফেজ রহমানের তিন পুত্র রয়েছেন মালয়েশিয়ায়। অপর এক পুত্র কেফায়েত উল্লাহ সাজ্জাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অনার্সের ছাত্র। বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বিমানে ঢাকা থেকে এসে যোগ দেন জানাজার নামাজে।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরোয়ার কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিএনপি নেতা হাফেজ আবদুর রহমান একজন পরহেজগার এবং সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। জামায়াত-শিবিরের হামলায় তাঁর মৃত্যু সত্যিই দুঃখজনক।'
এদিকে হামলাকারী প্রসঙ্গে ঘটনাস্থলের পাশের গ্রাম চেইন্দার বাসিন্দা এবং জামায়াত নেতা মাহমুদুল হক কালের কণ্ঠকে জানান, 'আমি এ ঘটনার সময় কঙ্বাজার শহরে ছিলাম। তবে ঘটনার কথা শুনেছি। আমার মনে হয় হামলাকারীরা স্থানীয় পলিটেকনিক্যাল কলেজের শিবিরের ছাত্র হতে পারে।' ঘটনা প্রসঙ্গে কঙ্বাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বাবুল আকতার জানান, 'হরতলের সময় শহরে ব্যাপক ফোর্স মোতায়েনের কারণে পিকেটিং করতে না পেরে পিকেটাররা শহর থেকে বেরিয়ে হয়তোবা টেকনাফ সড়কে গিয়ে পিকেটিং করেছিল।'
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলিতে একজন জামায়াত সমর্থকসহ তিনজনের নিহত হওয়ার প্রতিবাদে জামায়াত কঙ্বাজারে দুদিনসহ দেশব্যাপী তিন দিনের হরতালের ডাক দিয়েছিল।
http://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1158&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=1
কক্সবাজারে মাইক্রোবাসে হামলা, রোগীর মৃত্যু
http://www.bd-pratidin.com/?view=details&type=single&pub_no=1006&cat_id=1&menu_id=0&news_type_id=3&index=1&archiev=yes&arch_date=18-02-2013