তাহলে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা কোথায়: বেনজির
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-05-08/news/350661
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০৮-০৫-২০১৩
বেনজীর আহমেদ
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেছেন, হাজার হাজার ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এত লোক মারা গেলে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা কোথায়? সাভারে ভবনধসের পর থেকে হাজার হাজার স্বজন প্রিয়জনের সন্ধানে সেখানে গেছেন। তাহলে এ ক্ষেত্রে এমন দাবি কেউ এখনো করেনি কেন?
আজ বুধবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিএমপির কমিশনার এ এ প্রশ্ন রাখেন। শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতের কর্মী-সমর্থকদের সরাতে ৫ মে রাতে চালানো পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির অভিযান সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানাতে এর আয়োজন করা হয়।
বেনজীর আহমেদ দাবি করেছেন, ৫ মে হেফাজতে ইসলামের পরিকল্পনা ছিল ব্যাংক লুট ও সচিবালয়ে আক্রমণ করা। রাতে যদি তাদের শাপলা চত্বর থেকে সরানো না হতো, পরদিন সকাল পর্যন্ত থাকতে দেওয়া হতো, তাহলে তারা তাই করত।
ওই রাতের অভিযানে নিহতের সংখ্যা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা প্রসঙ্গে বেনজীর আহমেদ বলেন, এসব গুজব। যাঁরা এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করছেন, তাঁদের কাছে তিনি মৃত ব্যক্তিদের তালিকা চেয়ে বলেন, ‘তালিকা দেওয়া হোক, আমরা খুঁজে দেখব।’
ডিএমপির কমিশনার বলেন, গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে অভিযান চালানো হয়েছে। দুটি টেলিভিশন চ্যানেল তা সম্প্রচার করেছে। এতে লুকোচুরির কিছু নেই।
ওই অভিযানে মৃতের সংখ্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বেনজীর আহমেদ বলেন, পুলিশের এক সদস্যসহ আটজন নিহত হওয়ার বিষয়ে তথ্য রয়েছে। চারটি লাশ শাপলা চত্বর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর বাকি চারজন আহত হয়ে পরে মারা গেছে।
নাকশতার তথ্য থাকার পরও হেফাজতেকে কেন সমাবেশ করতে দেওয়া হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা দোয়া করে চলে যাবে। এ ছাড়া গোয়েন্দা তথ্য থাকলেও তা সুনির্দিষ্ট ছিল না। বাংলাদেশের ধর্মীয় সংস্কৃতি হলো, ধর্মীয় নেতার কথাকে আমরা গুরুত্ব দিই ও বিশ্বাস করি। আমরা ধরে নিয়েছিলাম, তাঁরা ধ্বংসাত্মক কাজ করবেন না।’
ডিএমপির কমিশনার এ অভিযানটির নাম ‘অপারেশন শাপলা’ ছিল জানিয়ে বলেন, ‘অভিযানে কোনো ধরনের প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। সারা বিশ্বে পুলিশ যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে, এমন অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়েছে। তাই প্রাণহানি ঘটেনি। অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল, কোনো প্রাণহানি ছাড়া হেফাজতেকে শাপলা চত্বর থেকে সরিয়ে দেওয়া। আমরা সেটা সফলভাবে করেছি।’
সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল জলিল, বিজিবির ঢাকা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এহিয়া আজম ও র*্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান।
========================================================================
লাশ গুম বিষয়ে চ্যালেঞ্জ বিজিবি মহাপরিচালকের
নিজস্ব প্রতিবেদক
http://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1236&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=9
রবিবার রাতে রাজধানীর মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ সরানোকে কেন্দ্র করে অনেক ধরনের খবর ছড়ানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
সেখানে প্রচার করা হচ্ছে, হাজার হাজার লাশ বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় গুম করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদের সঙ্গে কথা হলে তিনি গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এগুলো ডাহা মিথ্যা কথা।' তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, 'পিলখানায় লাশ তো দূরের কথা এক ফোঁটা রক্ত কেউ দেখাতে পারবে না। যাঁরা অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাঁদেরকে বলতে চাই, আসুন পিলখানায় এসে দেখিয়ে দেন কোথায় গুম করা হয়েছে।'
তিনি আরো বলেন, ফেইস বুকের মাধ্যমে বিজিবিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। আমি বলতে চাই, পিলখানা সবার জন্য উন্মুক্ত। পিলখানার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা থাকেন, কেউ দেখলেন না লাশ গুম করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি সৈনিকদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য স্বার্থান্বেষী মহল এমন গুজব ছড়াচ্ছে।'