What's new

16th December 1971: From East Pakistan to Bangladesh

Alm Fazlur Rahman
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে কিছু বিতর্কিত বিষয়ের তামাদি হয়ে গেছে। যেমনঃ

১। বাংলাদেশে ঐসময় বেশীর ভাগ সামরিক বাহিনীর অফিসার বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।

২। কিছু আর্মি অফিসার পাকিস্তান আর্মিতে চাকরি রত অবস্থায় আমাদের মানে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পাকিস্তান আর্মি সাথে রেসকোর্সে আত্মসমর্পণ করেন। পরে পাকিস্তান থেকে রিপেটরিয়েশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

৩। কিছু অফিসার মুক্তিযুদ্ধে না গিয়ে বাড়িতে লুকিয়ে থাকেন।

৪। কিছু অফিসার মুক্তিযুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে এসে দেশের ভিতরে লুকিয়ে থাকেন।

৫। কিছু অফিসার ২৫ মার্চের পরে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের আহ্বান উপেক্ষা করে পাকিস্তানে চলে যান।

৬। আমি শুনেছি ১/২ জন বিহারি ব্যাকগ্রাউন্ডের অফিসার মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের অদম্য ইচ্ছা থাকার পরেও জীবনের নিরাপত্তার ঝুকি থাকাতে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে পারেনি।

এই গেলো ঐ সময় বাংলাদেশের ঘটনা।

এবারে পাকিস্তানের দিকে তাকালে দেখবোঃ

১। কিছু অফিসার জীবনের ঝুকি নিয়ে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছেন।

২। কিছু অফিসার পালানোর সময় ধরা পড়ে নিগৃহিত হয়েছেন।

৩। কিছু অফিসার যুদ্ধের শেষের দিকে পালিয়ে এসেছেন। ইতিমধ্যেই দেশ স্বাধীন হয়ে যাওয়াতে তারা যুদ্ধে যোগ দিতে পারেননি। কিন্তু যুদ্ধ দীর্ঘ হলে এদের সবাই যুদ্ধে যোগ দিতেন।

৪। কিছু অফিসার মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান মিলিটারী এ্যাকাডেমিতে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এদের কেউ কেউ পালিয়ে এসে যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন।

৫। বেশির ভাগ অফিসার বন্দিত্ব বরন করেন।

অনেকে বলার চেষ্টা করেন কোনো উপায় না থাকাতে বাধ্য হয়ে অনেক আর্মি অফিসার মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। আমি দৃঢ় ভাবে বলতে চাই, যে সকল আর্মি অফিসার বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন
তারা স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়েই যুদ্ধে গেছেন । এতে কোনো সন্দেহ নাই। মুক্তিযুদ্ধে এটাও প্রমাণিত হয়েছে সবাই যুদ্ধ করার মতো সাহসী হয়না সবার যুদ্ধ করার সাহস থাকেনা । অতএব আজকে কেউ যদি বলেন সুযোগ পেলে আমি হিমালয় পর্বত উল্টে ফেলতাম এমন দাবী বোধকরি সঠিক নয়।
 
.
Oh my God one nation so many fore fathers.Except N.Saleemuallah rest were traiors.You guys have a whole family of fore father headed by a fore mother.Her name is Indira Gandhi.

upload_2017-8-27_14-49-18-jpeg.421338


upload_2017-8-27_15-1-6.jpeg


upload_2017-8-27_15-2-15.jpeg


upload_2017-8-27_15-3-44.jpeg

You guys are highly ungrateful.Shame on you for forgetting them and giving them a due credit for your freedom.BD should be proud of them.Your fore mother was a hindu and forefather were parsi and sikh respectively.Cheers
 

Attachments

  • upload_2017-8-27_14-56-8.jpeg
    upload_2017-8-27_14-56-8.jpeg
    4.2 KB · Views: 32
  • upload_2017-8-27_15-2-15.jpeg
    upload_2017-8-27_15-2-15.jpeg
    3.4 KB · Views: 30
  • upload_2017-8-27_15-3-9.jpeg
    upload_2017-8-27_15-3-9.jpeg
    4.5 KB · Views: 32
  • upload_2017-8-27_15-3-34.jpeg
    upload_2017-8-27_15-3-34.jpeg
    2.4 KB · Views: 26
Last edited:
.
IAF domination of skies ensured success of Bangladesh blitzkrieg
Vikram Jit Singh | TNN
Chandigarh: The Indian Air Force (IAF) attained complete domination over the skies of East Pakistan within three days of the start of the 1971 war. This allowed India's vastly superior air power to lend critical ground support to troops and armoured formations spearheading the blitzkrieg to Dhaka that birthed Bangladesh and landed India its sole decisive victory in the war.

'Op Cactus Lily', as the offensive was code-named, witnessed a high level of synergy and jointness among the three armed forces, which is an essential prerequisite for war-fighting campaigns in the multi-dimensional modern era. An in-depth perspective on the IAF's operations — drawing on personal combat experience, revelations of fellow fighter/bomber pilots and captured Pakistan Air Force (PAF) officers — was delivered on Tuesday by retired Air Marshal Man Mohan Singh (Vir Chakra), who led the 15 Squadron of Gnats. His presentation at the Centre for Research in Rural and Industrial Development (CRRID) was the fourth in the series to honour the memory of late author and regiment of artillery officer, Maj Gen KS Bajwa, under the aegis of the Centre for Indian Military History.

"In East Pakistan, we outnumbered the Pakistanis in the air. But this kind of a operational scenario will never prevail again. If India is faced with a two-front war, it will not fare well due to shortage of aircraft. The government should ensure that the 36 Rafales are delivered quickly and not let bureaucratic quibbling lead to lengthy delays," warned Air Marshal Singh, his words echoing the recent statement of IAF chief B S Dhanoa.

"The Maj Gen Bajwa series affords veterans not only an opportunity to share their combat experience but to enlighten us with guidelines that can serve India well in tackling contemporary conflicts," said military historian Mandeep S Bajwa, while making the introductory remarks to the presentation. Air Marshall Singh was involved in combat, and before the 1971 war, he had been co-opted by IAF HQs into planning of operations. He rose to command Western Air Command but resigned on July 31, 1988, because despite being the senior-most officer, a war hero and endowed with rich combat and operational experience, he was superseded for the post of chief of air staff. As Bajwa put it subtly, "The reasons were entirely non-military for the supersession of Air Marshal Singh".

"The PAF's Air Marshal Inamul Haq told me that the IAF bombing of the PAF runways in East Pakistan was exemplary. He commended our bombing accuracy as we were using 'dumb' bombs. It was our bombing of the runways that knocked the PAF out of the picture. I later assessed that the PAF had lost seven of their 16 aircraft, F-86 Sabres, to the IAF," said Air Marshall Singh. In turn, the IAF lost 13 aircraft but these were due to the vast number of sorties it flew and the dense fire from Pakistani ground air defence.

In the citation for Air Marshall Singh's Vir Chakra, it was stated: ''His squadron flew 110 sorties in Bangladesh in close support and anti-shipping roles and met all its operational commitments without damage to any of its aircraft. He personally led 19 sorties and successfully engaged enemy defence positions, gun boats and ships despite heavy ground fire. When the heli-borne operations across the Maghana river commenced, his squadron provided very effective air cover for the successful completion of the task. In addition, the squadron provided valuable support to the Army in Agartala sector despite the fact that the aircraft had to operate from a short runway at Agartala.''

Lending a glimpse into operations, Air Marshall stated that they would fly over steamers and vehicles and let the civilians flee before knocking them out. His squadron was in the forefront of knocking out a big Pakistani ship in the vicinity of Khulna. Recalling the close coordination between then IV Corps Commander Lt Gen Sagat Singh and the IAF's Group Captain Chandan Singh, Air Marshall Singh recalled fascinating anecdotes of men at war, their idiosyncrasies, humour in uniform and winning ways. Twice, during the war, Air Marshal Singh's 15 Squadron was moved to other operational airfields and both times, the Gnats did not miss a moment by striking hard at the enemy's positions while en route to the new base!

http://m.timesofindia.com/city/chan...angladesh-blitzkrieg/articleshow/60181993.cms
 
.
গেরিলা ১৯৭১
Details of Operation D.F.P
আজকের ভিডিও'টি অবরুদ্ধ ঢাকায় পরিচালিত, পূর্ব পাকিস্তান ডিপার্টমেন্ট অব ফিল্ম অ্যান্ড প্রোডাকশন (ডি,এফ,পি) ভবন উড়িয়ে দেবার মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক গেরিলা অপারেশনের ধ্বংসযজ্ঞ ধারণ করেছে।

Sector-2 ক্টর ২ এর ঢাকা কেন্দ্রিক আরবান গেরিলাদের অন্যতম বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রদ্ধেয় Valient Freedom Fighter Rafiqul Haque Nantu রফিকুল হক নান্টু। তিনি সেই মুক্তিযোদ্ধা যার ছবি শহীদ নাদেরের (মালিটোলার নাদের গুন্ডা) বলে ভুল করা হয়ে আসছে বিগত বছরখানেক ধরে।
ডি,এফ,পি, অপারেশনের বিস্তারিতঃ
★★★★★★★★★★★★★★★★★★
ঢাকায় তাদের গেরিলা অপারেশনে পাঠানো হয়েছিল সাদেক হোসেন খোকার নেতৃত্বে। খোকার ওই গেরিলা দলে আগরতলা থেকে ট্র্রেনিং নিয়ে আসা যোদ্ধা ছিলেন ৪০ জন। ঢাকায় এসে আরও ২০-২৫ জনকে রিক্রুট করা হয়েছিল। প্রথমে কমান্ডার খোকা তার নেতৃত্বাধীন ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ২০ জন করে দুটি সাব-কমান্ডে ভাগ করেন। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব বর্তায় নান্টুর বন্ধুস্থানীয় বড় ভাই পরবর্তীকালে জনপ্রিয় পপগায়ক আজম খানের ওপর, অপরটির নেতৃত্বে ছিলেন মোহাম্মদ শামসুল হুদা।

রফিকুল হক নান্টু জানান, তারা যখন ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধ করছেন, তখন মুক্তিযোদ্ধারা দেশজুড়ে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তবু পাকিস্তানিরা সিনেমা হলগুলোতে সিনেমা শুরুর আগে 'চিত্রে পাকিস্তানি খবর' শিরোনামে তথ্যচিত্র দেখাত। 'চিত্রে পাকিস্তানি খবর' তথ্যচিত্রগুলোয় দেখানো হতো দেশের অবস্থা খুবই ভালো। দলে দলে নারী-পুরুষ বাজার-সদাই করে বেড়াচ্ছে। মিথ্যা দিয়ে এই সব তথ্যচিত্র নির্মাণের দায়িত্ব ছিল ডিএফপির। তাই গেরিলারা সিদ্ধান্ত নিলেন ডিএফপি উড়িয়ে দেবেন।

ডিএফপির তখনকার চিফ ক্যামেরাম্যান সাইদুল হক বাবু ছিলেন রফিকুল হক নান্টুর বড় ভাই। ভাইয়ের সঙ্গে গিয়ে নান্টু পুরো অফিসের হালহকিকত দেখে আসেন। ভবনটি সম্পর্কে জানাবার পর কী পরিমাণ বিস্টেম্ফারক দিয়ে তা উড়িয়ে দেওয়া যাবে, সে ব্যাপারে পরামর্শ দিলেন তাদের সঙ্গী মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল সুফির বাবা প্রকৌশলী এস পি আহম্মেদ। নান্টু বলেন, যখনই প্রয়োজন হয়েছে, এস পি আহম্মেদ তার গাড়ি ও টাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছেন। তার মালিবাগের বাসা ছিল ঢাকায় যুদ্ধরত গেরিলাদের নিরাপদ আশ্রয়।

ডিএফপির ওই অভিযান পরিচালনার কথা জানাতে গিয়ে রফিকুল হক নান্টু বলেন, 'ডিএফপির অপারেশনটি আমরা চালিয়েছিলাম পবিত্র রমজানের শেষ শুক্রবারে। আমরা চাইনি, আমাদের অপারেশনে নিরীহ কেউ মারা যাক। তাই যে দারোয়ান পরিবার-পরিজন নিয়ে ডিএফপির ওই ভবনেই থাকতেন, তাকে তার স্ত্রী, শিশুসন্তান, এমনকি তাদের ব্যবহার্য হাঁড়ি-পাতিল পর্যন্ত সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিই।

রফিকুল হক নান্টু বলেন, প্রশিক্ষণের সময় জেনেছিলাম, বিস্ফোরক যত চাপের মধ্যে থাকবে, তার ধ্বংসক্ষমতা তত বাড়বে। সে জন্য টার্গেট করা জায়গায় ওটা রেখে দুটি স্টিলের আলমারি দিয়ে চাপা দিই আমরা। এতে বিস্ফোরণটি এত ভয়াবহ হয়েছিল যে, ডিএফপি ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

রফিকুল হক নান্টু বলেন, পরে দারোয়ান তার কাছে থাকা ডিএফপির একটি মাইক্রোবাসের চাবি আমাদের দিয়ে দেন এবং সেটি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাই আমরা। এ বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে পড়েছিল সারা পৃথিবীতে। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র, আকাশবাণী, বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকাসহ পৃথিবীর বহু প্রচারমাধ্যম বারবার গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেছিল খবরটি। পাকিস্তানিদের মিথ্যা প্রচারণার স্বরূপ উপলব্ধি করতে সক্ষম হয় বিশ্ববাসী।

(আমাদের কথাঃ এই দুঃসাহসী গেরিলা সম্পূর্ণভাবে নিভৃতচারী এক মানুষ। তাঁর অমায়িক ব্যবহার এবং মুখের শিশুসুলভ হাসি দেখলে কেউ চিন্তাও করতে পারবেন না তিনি কতোটা বীরত্বের সাথে একাত্তরে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। আমাদের অভিভাবকতুল্য এই বীর মুক্তিযোদ্ধার দীর্ঘ, সুস্থ্য, কর্মময় জীবন প্রার্থনা করছি।)


বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা, এপ্রিল ১৯৭১.
 
.
ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না
History will never Forgive us

Nadir Ali নাদির আলী

পাকিস্তান ভাঙনের আগের কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ মাস আমি তরুণ ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলাম। এর মধ্যে আমি পদোন্নতি পেয়ে মেজর হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করি। প্রথমে সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ও পরবর্তীকালে কমান্ডার হিসেবে তিনটি কমান্ডো ব্যাটালিয়নের সঙ্গে কাজ করি আমি।

১৯৭১ সালের এপ্রিলের মধ্যভাগে আমি প্রথম অভিযানে যাই। আমার প্রতি নির্দেশ জারি হয়, ‘এটা মুজিবুর রহমানের নিজ জেলা। এলাকাটা দুর্গম। ওখানে যত বেশি পারবেন তত বেশি বেজন্মাকে হত্যা করবেন। আর এটা নিশ্চত করার চেষ্টা করুন, যাতে কোনো হিন্দু জীবিত না থাকে।’

আমি উত্তর দিলাম, ‘যদি আমাকে কেউ গুলি না করে তাহলে নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষকে আমি হত্যা করি না।’ এর প্রত্যুত্তরে আমাকে বলা হলো, ‘হিন্দুদের শেষ করে দাও, এই আদেশ সবাইকে দেওয়া হয়েছে। কমান্ডো হিসেবে আমাকে তোমার সূক্ষ্মতা দেখিয়ো না।’

এরপর প্রথম অভিযানের জন্য উড়াল দিলাম। আমাকে ফরিদপুরের পেছনে নামিয়ে দেওয়া হলো। আমরা সেখানে নেমে চারদিকে গুলি ছুড়তে শুরু করি। সৌভাগ্যবশত, ওখানে গুলি করার মতো লক্ষ্যবস্তু ছিল না। এরপর হঠাৎ দেখলাম, কিছু বেসামরিক মানুষ আমাদের দিকে দৌড়ে আসছে। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল না। আমি নির্দেশ দিলাম, ‘গুলি বন্ধ করো!’ চেঁচিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, তারা কী চায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা জবাব দিল, ‘স্যার, আমরা আপনাদের জন্য খাবার পানি এনেছি!’

অধস্তনদের হাতিয়ার রেখে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে চা-বিরতির আদেশ দিলাম। আমরা সেখানে কয়েক ঘণ্টা ছিলাম। এর মধ্যে কেউ একজন পাকিস্তানি পতাকা তুলল। গ্রামবাসীদের বললাম, ‘গতকাল আপনাদের গ্রামে তো শুধু আওয়ামী লীগের পতাকা দেখেছি।’ এটাই সত্যি। আমি বুঝতে পারছিলাম না যে হাসব না কাঁদব।

এরপর সেনাদের বড় দলটা যোগাযোগ স্থাপনের জন্য আমাদের সঙ্গে যোগ দিল। তারা চারদিকে মেশিনগানের গুলি ছুড়তে ছুড়তে হাজির হলো। দেখলাম, পেছনের গ্রামগুলো থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। কর্নেল জিজ্ঞাসা করলেন, ‘স্কোর কত?’ তাঁকে জানালাম, ‘আমরা কোনো প্রতিরোধের মুখে পড়িনি, তাই কাউকে মারিনি।’

তিনি মেশিনগান বের করে গুলি ছুড়তে শুরু করেন। ফলে যে গ্রামবাসী আমাদের জন্য পানি নিয়ে এসেছিল, তাদের অনেকেই মারা পড়ল। এরপর তিনি আমার মতো বেচারা মেজরকে বললেন, ‘ছোকরা, এভাবেই সব করতে হয়।’

এপ্রিলের শুরু থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আমি ওখানে কাজ করেছি। সেখানে সব ঘটনার কেন্দ্রে আমরাই ছিলাম। ওদিকে আমার ইউনিটের একটি দল ২৫ মার্চ রাতে শেখ মুজিবকে বাসা থেকে ধরে আনে। আমরা সরাসরি পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনে ছিলাম। এসএসজি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার হিসেবে আমি জেনারেল নিয়াজি, জেনারেল রহিম ও পরবর্তীকালে ১৪ ঢাকা ডিভিশনের জেনারেল কাজি মজিদের অধীনে ছিলাম।

১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে আমি পদোন্নতি পেয়ে লে. কর্নেল পদে উন্নীত হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে যাই। আমার মূল বিভাগ অর্ডন্যান্সেই পদায়ন হয়। তবে সে বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই আমার স্মৃতিভ্রম শুরু হয়। ১৯৭৩ সালে স্বাস্থ্যগত কারণে অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত এটা চলতে থাকে। পরবর্তীকালে চিকিৎসার পর আমি স্মৃতি ফিরে পাই এবং পাঞ্জাবি লেখক হিসেবে নতুন জীবন শুরু করি। ১৯৭১ সালের পর থেকে প্রতিটি ঘটনাই আমার স্মরণে আছে।

অভিযান ও অধীন ইউনিট পরিদর্শনের জন্য আমি সারা পূর্ব পাকিস্তান ঘুরে বেরিয়েছি। আমি কখনো কাউকে হত্যা করিনি অথবা হত্যার নির্দেশ দিইনি। সৌভাগ্যবশত, কোনো হত্যাযজ্ঞও আমাকে দেখতে হয়নি। কিন্তু অন্যান্য সেক্টরে কী হচ্ছিল সে বিষয়ে আমি ওয়াকিবহাল ছিলাম। হাজার হাজার মানুষকে মারা হচ্ছিল আর লাখে লাখে মানুষ ঘরছাড়া হচ্ছিল। ৯০ লাখের বেশি মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতে চলে যায়। হিন্দুদের মারার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

এই নির্দেশ আমি অনেকবার পেয়েছি, আবার বেশ কবার আমাকে এটা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পশ্চিম পাকিস্তানি সেনারা এটাকে গ্রহণযোগ্য মনে করত। হামুদুর রহমান কমিশনের প্রতিবেদনে এটি উল্লেখ আছে। ভারতে যে ৯৩ লাখ শরণার্থী গিয়েছিল তাদের মধ্যে ৯০ লাখই ছিল হিন্দু। ফলে সারা পৃথিবীর গণমাধ্যম আমাদের সমালোচনা করে, যা আমাদের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংস করে দেয়। অদক্ষ সামরিক নেতৃত্বের কারণে যুদ্ধে আমাদের পরাজয় নিশ্চিত হয়। শুধু উত্তরাঞ্চলের কিছু ব্যাটালিয়ন প্রতিরোধ গড়ে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, মেজর আকরামের ইউনিটের কথা বলা যায়, যাকে সর্বোচ্চ সামরিক পদক নিশান-ই-হায়দার দেওয়া হয়েছিল। তিনি লড়াই করতে করতে প্রাণ হারান।

পূর্ব পাকিস্তান ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের হাজার মাইল দূরে। জন গান্টার ইনসাইড এশিয়া টুডেতে বলেছেন, এটি ছিল ‘ভৌগোলিক ও রাজনৈতিকভাবে অর্থহীন’ প্রপঞ্চ। পাকিস্তানের ফেডারেল রাজধানী ছিল ইসলামাবাদে। পশ্চিম পাকিস্তানি সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের ভাষায় পাঞ্জাবি সেনাবাহিনীর কর্তৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানিরা মনে করত, তারা ঔপনিবেশিক শাসকের প্রজা।

১৯৪৭ সালের পর থেকেই ব্যাপারটা তাদের মনঃপূত হয়নি। সেই ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে আমার বাঙালি সহকর্মীরা পরস্পরকে জেনারেল বলে ডাকত। পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হলে পরেই তারা কেবল ওই পদে উন্নীত হয়। তবে আমরা সবাই ব্যাপারটা রসিকতা হিসেবেই নিতাম। কিন্তু ১৯৭১ সাল তামাশা ছিল না। তখন প্রত্যেক বাঙালিই নিজেকে নিপীড়িত মনে করতেন। যাদের তাঁরা ‘শালা পাঞ্জাবি’ বলে গাল দিতেন, তাদের হাতেই তখন বাঙালিদের জীবন-মৃত্যু।

২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে আমি ১৯৭১ সালের স্মৃতিচারণ করে বিবিসি উর্দু বিভাগকে এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সেই সাক্ষাৎকারের একটি অনুলিপি চেয়েছিল। কিন্তু ওটা এত বড় ছিল যে আমার পক্ষে তা ট্রান্সক্রাইব, অনুবাদ ও টাইপ করা কঠিন ছিল। এই লেখায় আমি তার কিছু স্মরণ করার চেষ্টা করব।
আমি কেন পাগল হয়ে গেলাম? মনে হতো, সেনাবাহিনীর সম্মিলিত অপরাধের ভাগ আমারও আছে। খুব বেশি হলে সেনাবাহিনীর তৎপরতা এপ্রিলেই শেষ হওয়া উচিত ছিল।

এরপর পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে গিয়ে দেখলাম, পূর্ব পাকিস্তানে যা ঘটেছে বা ঘটছিল তা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে খুন করা হচ্ছে, নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, লাখ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হচ্ছে, কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান একেবারে ভাবলেশহীন। ব্যাপারটা এভাবেই চলছিল।

জেনারেল টিক্কা খানকে ‘বাংলার কসাই’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি বড়জোর দুই সপ্তাহ নেতৃত্ব দিয়েছেন। এমনকি সেই দুই সপ্তাহে প্রকৃত নেতৃত্ব ছিল তাঁর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড জেনারেল মিঠ্ঠার হাতে। জেনারেল মিঠ্ঠা আক্ষরিকভাবেই বাংলার প্রতিটি ইঞ্চি চিনতেন। জেনারেল নিয়াজি পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত তিনিই সব অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই পর্যায়ে জেনারেল মিঠ্ঠা জিএইচকিউয়ে ফিরে যান।

গভর্নর হিসেবে জেনারেল টিক্কা ভালো প্রশাসক ছিলেন। সব সেবা যাতে চালু থাকে তিনি সেটা নিশ্চিত করেন। ট্রেন, ফেরি, ডাক সেবা, টেলিফোন লাইন—সবই চালু ছিল। অফিস খোলা ছিল। অন্যদিকে মে মাস নাগাদ পূর্ব পাকিস্তানে খাদ্যেরও অভাব ছিল না।

সার্বিকভাবে বলা যায়, তখনকার প্রশাসনিক পরিস্থিতি আজকের পাকিস্তানের চেয়ে ভালো ছিল! কিন্তু আজকের পাকিস্তানের মতো তখনো কেউ সংখ্যালঘু ও গরিবদের নিয়ে মাথা ঘামাত না। আমার নাতনি এখন উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে নাকি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে তা নিয়ে আমার উদ্বেগ হয়। কিন্তু আমার নিজের গ্রামে বা লাহোরের উর্দু মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা হয় না, সেটা আর এখন আমার বা অন্য কারও উদ্বেগের কারণ নয়। অথচ আমি ৪০ বছর লাহোরে সচেতন নাগরিক হিসেবে দিনাতিপাত করেছি।

ঢাকায়ই আমি বেশি সময় ছিলাম। সেখানে ১৯৭১ সালের মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত ভুতুড়ে পরিবেশ ছিল। যে ছোট মহলে আমি চলাফেরা করতাম, সেখানে ধীরে ধীরে স্বাভাবিকতা ফিরে আসে: সেনানিবাস, ঢাকা ক্লাব, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও নিউ মার্কেটের কাছাকাছি এক চায়নিজ রেস্তোরাঁ। অধিকাংশ মানুষের মতো আমার দৃষ্টিও নিজের চৌহদ্দির বাইরে যায়নি। তবে শহরের নানা জায়গায় আমার যাতায়াত ছিল।

আমার ভায়রা রিয়াজ আহমেদ সিপ্রা ঢাকার এসএসপি ছিলেন। আমাদের প্রায় প্রতিদিনই দেখা হতো। আমি নানা জায়গায় গেলেও বাঙালিদের হৃদয়ের ভেতরে আমার দৃষ্টি যেত না। তারা নির্বাক থাকলেও নিপীড়িত বোধ করত। বাঙালিরা এটাও জানত, উর্দিধারীদের হাতেই তাদের জানমালের ভাগ্য। বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে মুসলিম লিগের নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরী ও মওলানা ফরিদ আহমেদের সঙ্গে দেখা হতো। অন্যদিকে অধ্যাপক গোলাম আযম ও চৌধুরী রহমত এলাহি ভারতীয় সীমান্তে অন্তর্ঘাত চালানোর জন্য স্বেচ্ছাসেবী সরবরাহ করতে আমার সঙ্গে দেখা করতেন।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষাদানরত ভারতীয় পণ্ডিত ড. ইয়াসমিন সাইকিয়া আমাকে একবার এক সত্য কাহিনি বলেছিলেন। তাঁকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ১৯৯০-এর দশকে তিনি বাংলাদেশ সফরে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নারীদের খুঁজতে গিয়ে সহযোগিতা পাননি কেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, এক ধর্ষিতা নারী তাঁকে বলেছিলেন, ‘যারা তাঁদের সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিত, তাঁরাই এখন শাসক।’

কেউ গল্প বলতে পারেন, গল্পের কাহিনির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। ইতিহাসে না বলা কথারও গুরুত্ব আছে। আমি একবার দুই বাঙালি সেনাকে মুক্ত করে দিয়েছিলাম, তঁাদের হাতে অস্ত্র দিয়ে ইউনিফর্ম ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ৯০ হাজার পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে তারাও যুদ্ধবন্দী হয়। তারা তিন বছর ভারতীয় কারাগারে ছিল। ১৯৭৬ সালে লাহোরে এদের একজনকে আবিষ্কার করলাম, সে তখন বাবুর্চির কাজ করত। তাকে দেখে আমি বিস্মিত হয়ে বললাম, ‘কামাল-উদ-দিন, তুমি।’ সে জবাব দিল, ‘স্যার, আপনিই আমাকে এসবের মধ্যে এনেছেন।’ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের ছুড়ে ফেলেছে। তাদের মধ্যে আরেকজন এখন ঢাকায় শিক্ষকতা করে।

না বলা কথাটি হচ্ছে, একদিন আমি কমান্ডো ইউনিটের এক প্রিয় সৈনিক সম্পর্কে সুবেদারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অপ্রস্তুতভাবে বললেন, ‘স্যার, আজিজ-উল-হককে হত্যা করা হয়েছে।’ সেই সময় কাউকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা জিজ্ঞাসা করা সমীচীন না হলেও আমি তা জিজ্ঞাসা করে বসলাম। সুবেদার বললেন, ‘প্রথমে তাদের একটি সেলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারপর গুলি করা হয়।’ আজ ৪০ বছর পরও আমি সবচেয়ে বাজে যে দুঃস্বপ্নটি দেখি তা হলো, আমার সহকর্মী সেনাদের কারাকক্ষে গুলি করে মারা হচ্ছে। আমার এরপরের প্রশ্ন ছিল: ‘কতজনকে মারা হয়েছে?’ সুবেদার জানালেন, ‘সেখানে ছয়জন ছিল, তবে দুজন বেঁচে গেছে। তারা মরার ভান করে পড়ে ছিল।’
বললাম, ‘তারা এখন কোথায়।’
‘কুমিল্লায়, হেফজাতে আছে।’

আমি ঢাকা থেকে কুমিল্লায় উড়ে গেলাম। গিয়ে দেখলাম, দুটি ভূত, তাদের প্রায় চেনা যায় না বললেই চলে। একজন সৈনিকের কাছে এর মানে কী তা যদি কেউ জানত! এটা হাজার হাজার মৃত্যুর ঝাপটা সহ্য করা বা হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটানোর চেয়েও বেশি কিছু। আমি তাদের বের করে আনলাম। তাদের ইউনিফর্ম ও হাতিয়ার দেওয়ার নির্দেশ দিলাম। বললাম, বেতন নিয়ে তারা যেন ১০ দিন পর ফিরে আসে। তারা ফিরে এসে আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করল। এরপর তারা যুদ্ধবন্দী হয়। অনেক ঝামেলার পর ১৯৭৬ সালে তারা দেশে ফিরে গেল। এই গল্পগুলো কথকের ওপর নির্ভর করে।

স্বেচ্ছায় পূর্ব পাকিস্তানে যাওয়াটাই আমার অপরাধ। কারণ, সব সেনাসদস্যই তো একই পোশাক পরে। ঢাকার এয়ারফোর্স মেসে দেখেছি, সহকর্মীরা কত মানুষ মেরেছে তা নিয়ে গর্ব করত। টনি নামের এপিপির এক সাংবাদিক লন্ডনে পালিয়ে গিয়ে টাইমস অব লন্ডন-এ সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসতার বিবরণ প্রকাশ করেছেন। এসব পড়ে আমার অপরাধবোধ বেড়ে গেছে। আমরা সবাই একই অপরাধের ভাগী। আমরা অনেকেই হয়তো সরাসরি কাউকে হত্যা করিনি। কিন্তু আমরা চোখ বুজে ছিলাম। ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।

ইংরেজি থেকে অনুবাদ প্রতীক বর্ধন

সূত্র: পাঞ্জাবি লেখকদের ব্লগ https://uddari.wordpress.com/…/liberation-war-historicizin…/
নাদির আলি: অবসরপ্রাপ্ত পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা, ১৯৭১-এ বাংলাদেশে কর্মরত; পাঞ্জাবি কবি ও ছোটগল্পকার।

21200660_1268090033320362_1706687883985447645_o.jpg
 
.
12:00 AM, September 01, 2017 / LAST MODIFIED: 12:18 AM, September 01, 2017
99TH BIRTH ANNIVERSARY OF GENERAL MOHAMMAD ATAUL GHANI OSMANI
The man who inspired us during war
general_mohammad_ataul_ghani_osmani.jpg

General M A G Osmani with other freedom fighters.
Syed Muhammad Ibrahim Bir Protik

It was April 4, 1971, a little over a week after we had revolted against the Pakistan Army and the Pakistan government. I was then a member of the Second Battalion of the East Bengal Regiment, commonly known as Second Bengal. Being a second lieutenant and the junior most officer of the battalion, as tradition required, I was always with the Commanding Officer, and therefore had the opportunity to witness this historic moment. Colonel Mohammad Ataul Ghani Osmani was presiding over a meeting of senior Bengali officers who had by then revolted.

The meeting was organised quite hastily and secretly, in the bungalow of the manager of the Teliapara Tea Garden in Habiganj district, near the border with India. Among the prominent attendees were Major Ziaur Rahman, Major K M Shafiullah, Major Khaled Mosharraf, Major Shafayat Jamil, and Major Kazi Nuruzzaman. The objective of the meeting was to coordinate the operations of the Second, Fourth and Eighth Battalions of the East Bengal Regiment which had joined the war of liberation.

Colonel Osmani, who was short in stature, was known for his grey, luxuriant moustache. To my surprise, I found his hair and moustache to be shaved off completely. It was apparently to hide his identity while crossing the eastern border from Bangladesh into India.

In the tumultuous early weeks of our liberation war, he was the symbol of unity for the rebel officers and soldiers of the East Bengal Regiment—nay, the ever-growing group of freedom fighters. Colonel Osmani was too senior to me to have any personal acquaintance with. As an aide to my commanding officer, Major K M Shafiullah, I was around the meeting table with maps, a lantern and a broken twig to be used as a pointer. Colonel Osmani, as he was then, left the tea garden soon after the meeting.

Later we realised that the first chapter of a glorious history had just been written. Osmani appeared bold and decisive in the meeting. His English accent was similar to that of the British. During the nine-month war, we often received mails from the Headquarters of Bangladesh Forces (HQ BDF) located in Kolkata. My seniors testified that much of the plans, orders and their expressions were Osmani's own.

After the victorious end of the war, Osmani continued to be the Commander-in-Chief of the Bangladesh Forces. Bangladesh Army, Bangladesh Navy, and Bangladesh Air Force were being organised as separate entities. Osmani relinquished his military post and responsibility in the first week of April 1972, and the respective Chief of Staff assumed responsibility for the newly organised Bangladesh Navy and Bangladesh Air Force and the reorganised Bangladesh Army. Osmani was given the rank of a four-star General effective from the day of the victory.

His dedication to youth development and leadership was exceptional. Before joining the army, I was a student of the famous The East Pakistan Cadet College, which in 1964 became Faujdarhat Cadet College. By 1971, there were four cadet colleges in East Pakistan. These were modelled after and run more or less like British public schools, focusing on preparing the youth for leadership in various sectors of the country, by imparting an all-round education. The colleges had large grounds and well-constructed academic and residential buildings.

In independent Bangladesh, early in 1972, the then government announced its decision to close down the four cadet colleges, including Faujdarhat Cadet College, and convert these into normal schools and colleges. The old cadets of Faujdarhat played a pioneering role in the “Save Cadet College Campaign.” It was also joined by the well-wishers of the cadet college system. Their movement to keep the cadet colleges open and functional would not have succeeded if Osmani had not taken sides with the boys. It is he who pleaded with Bangabandhu to allow the colleges to function. Ultimately, Bangabandhu decided in favour of retaining the system.

In early April 1972, Osmani was made a minister in the cabinet with Bangabandhu as President. But he continued to assist Bangabandhu in matters related to the war of liberation. The committee that finally decided on matters to the gallantry awards was headed by him.

Today, as we observe his 99th birth anniversary, I feel Osmani remains a largely unsung hero. I have come across a number of his biographies, mostly written in Bengali language and only one in English. I just hope today's generation will study and find inspiration from Osmani's rich and illustrious life and career.
Major General (Retd) Syed Muhammad Ibrahim Bir Protik is a Freedom Fighter and Chairman, Bangladesh Kallyan Party.
http://www.thedailystar.net/opinion/tribute/the-man-who-inspired-us-during-war-1456906
 
.
তিনি আওয়ামীলীগ করতেন না এটাই কি তার অপরাধ ?
screenshot-www.google.com-2017-09-02-00-23-21.png

তিনি আওয়ামীলীগ করতেন না এটাই কি তার অপরাধ ?
সঞ্জীব চৌধুরী একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি আওয়ামীলীগ করতেন না, এমনকি আওয়ামী ঘরানার বামও ছিলেন না। ছিলেন একজন নন আওয়ামী ন্যশনালিস্ট। তার পাসপোর্ট আটক করা হয়েছিল, তিনি বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু পাসপোর্ট ফেরত পাননি। তার ছেলেকে ধরে পকেটে ইয়াবা ভরে দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছিল। তার অপরাধ তিনি আমার দেশে কাজ করতেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হয়েও সংখ্যালঘু আইডেন্টিটি পলিটিক্স করেননি। তিনি গতকাল মারা গেছেন। আর হ্যা একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রাপ্য গার্ড অব অনার তিনি পাননি।

আমরা চোখের জলে একজন বীর দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাকে অন্তিম অভিবাদন জানাই। দেশপ্রেমিক বীরদের স্মৃতি জনগনের মধ্যে এভাবেই অনন্তকাল জাগরূক থাকে।
ডা. পিনাকি ভট্টাচার্য অধ্যাপক রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ

http://rtnews24.net/social-opinion/76953
 
.
You guys are highly ungrateful.Shame on you for forgetting them and giving them a due credit for your freedom.BD should be proud of them.Your fore mother was a hindu and forefather were parsi and sikh respectively.Cheers

No, You are wrong. No Parsi, no Hindu and no Bangali. It was Yahiya Khan and ZA Bhutto who should be regarded as the joint father of BD nation. We should discard our fallacy and call them BD fathers. Only because of the felony they perpetrated on the people of east Pakistan we started fighting. You can also add the names of Gen. Niazi, Gen. Tikka Khan and Gen. Rao Farman Ali khan as our three more national fathers.
 
.
No, You are wrong. No Parsi, no Hindu and no Bangali. It was Yahiya Khan and ZA Bhutto who should be regarded as the joint father of BD nation. We should discard our fallacy and call them BD fathers. Only because of the felony they perpetrated on the people of east Pakistan we started fighting. You can also add the names of Gen. Niazi, Gen. Tikka Khan and Gen. Rao Farman Ali khan as our three more national fathers.
Rao Farman Ali Khan (Late) when he was alive I had oportunity to listen him on several occasion.People were always curiouse asking him question about what happened in East Pak.He was then incharge of civil affairs during the East Pak insurgency.
On the bases of what I heard from him a very important person at that time.I came to the conclusion that,s Why i remind my BD brothers and sisters to correct their historical mistake and give due credit to the people who were the actual architect of Bangladesh.It was planned immediately after the 1962 Indian defeat by China that East Pak due to its stretegic location would not be the part of Pak in coming future.Otherwise It would be a permanent threat for the soverenity of India.Russia and India fully backed by UK & US were the actual mastermind of conspiracy.
 
Last edited:
. . . .
Part #1 of 19
Liberation War 1971 & Awami League: Part 01/19

Desh Amar Mati Amar
hqdefault.jpg

Liberation War 1971 & Awami League: Part 03/19
Liberation War 1971 & Awami League: Part 04/19
 
.
India’s Jewish general and the liberation of Bangladesh
Bernard-Henri Levy
Published at 06:54 PM September 10, 2017
f-ri-Copy-690x450.jpg

It is at this moment that a high-ranking Indian officer, without notifying his superiors, pulls off one of the most spectacular bluffs in modern military history
(Translated from the French by Olivier Litvine)
It’s quite a story.

This story may seem unlikely in this era of generalised war between cultures, civilisations, and religions. And I am grateful to British journalist Ben Judah for having brought it to light in an article that appeared in the Jewish Chronicle the day after Indian Prime Minister Narendra Modi’s visit to Israel.

The time is December 1971.The place is the territory then known as East Pakistan.
Separated by 1,600 kilometres from West Pakistan, this Bengali part of Pakistan has been in rebellion since March.

The central government in Islamabad, rejecting the secession of what will eventually become Bangladesh, is engaged in a merciless repression, the cost of which, in lives, remains unknown even today, almost a half-century later. Half a million people may have died, or perhaps a million or two, or more.

On December 3, India decides to enter the conflict, to “interfere,” as one would put it today, in the domestic affairs of its neighbour so as to stop the bloodbath.

The fighting rages.
The Bengali freedom fighters, known as the Mukti Bahini, now supported by India, become increasingly daring.

New Delhi’s strategy is to build up slowly and gradually, a decision. This strategy seems to many ill-suited to the Bangladesh of the day, a terrain of few roads, major rivers, and innumerable marshes. Thirteen days into the new phase of the war, with the Pakistanis having massed 90,000 troops around Dhaka, the capital, against the Indians’ 3,000, New Delhi appears to be stuck and has hardly boxed itself into the beginnings of a siege.

And it is at this moment that a high-ranking Indian officer, without notifying his superiors, takes a plane, lands in Dhaka, presents himself to General Niazi, head of the Pakistani forces and pulls off one of the most spectacular bluffs in modern military history: “You have 90,000 men,” the Indian officer tells Niazi. “We have many more, plus the Mukti Bahini, who are ready to seek vengeance for their people and will give no quarter. Under the circumstances, you have only one choice: To persist in a fight that you cannot win or to sign this letter of surrender that I have drafted in my own hand, which promises you an honourable retreat. You have half an hour to decide; I’ll go have a smoke.”

Niazi, falling into the trap, chooses the second option.

To the world’s amazement, three thousand Indian soldiers accept the surrender of 90,000 Pakistanis.

Tens of thousands—no—hundreds of thousands of lives on both sides are spared.
And Bangladesh is free!

The story might have ended there.

Except that the general behind the masterly coup that makes him godfather to a new Muslim country is Jewish.
His name is Jack Jacobs.
He was born in 1924 in Calcutta into a Sephardic family that had arrived there from Baghdad two centuries before, leaving behind two thousand years of history.

In 1942, learning of the ongoing extermination of Europe’s Jews, he enlists in the British army in Iraq, fights in North Africa and then moves on to Burma and Sumatra in the campaign against the Japanese.

And remaining in the military after the independence of India in 1947, he is the only Jew to rise high in the country’s military services, eventually coming to command the eastern army that, in December 1971, will be mounting the offensive against Islamabad’s legions.

It so happened that I met this man 46 years ago.
I was in rebellious Bangladesh, having responded to French novelist André Malraux’s call for the formation of an International Brigade to fight for a Bengali land still in limbo but suffering mightily under the hand of West Pakistan.

I had just entered Dhaka with a unit of the Mukti Bahini.
In the company of Rafiq Hussain—eldest son of the first Bangladeshi family to welcome me into their home in the Segun Bagicha neighbourhood, and who later became my friend—I saw Jacob at Race House on December 16, standing behind (and letting himself eclipsed by) his colleague, General Jagjit Singh Aurora, signing, in Niazi’s presence, the act of surrender that he had penned.

The next day, I happened to see him again with a handful of journalists and heard him speak of Malraux, whom he was reading; of Yeats, whose poems he knew by heart; of his twin Jewish and Indian identity; of Israeli General Moshe Dayan, whom he worshipped; and of the liberation of Jerusalem, which he held as an example of military skill. But to my recollection he said nothing about the intensely dramatic, stirringly romantic, face-to-face encounter with Niazi in which the war of personality carried a thousand times more weight than the war between armies – an encounter that determined the fate of the young Bangladesh.

I can picture his mischievous look.
His rather heavy silhouette, unimposing in itself though emanating an incontestable authority.

And his strange and reticent way of remaining a step or two behind his comrades in arms, generals Aurora and Manekshaw, as if reluctant to claim any credit for a feat of audacity that I now know was his alone.

He appeared to me, that day, like a representative of one of the lost tribes, spreading the genius of Judaism.

He might have been a Kurtz from Kaifeng, Konkan, Malabar,or Gondar, newly returned from the heart of darkness but ready to head back up the river. Or a biblical Lord Jim or Captain Mac Whirr, done for good with typhoons and ready to forge an alliance with the coolies.

People who save Jews are known in Judaism as righteous. How should one refer to a Jew who saved, raised to nationhood, and baptized a people who were not his own?
Bernard-Henri Lévy is a French public intellectual, media personality and renowned author. He is regarded as “perhaps the most prominent intellectual in France today.” Lévy became a pre-eminent journalist, having started his career as a war correspondent for Combat, the newspaper founded underground by Albert Camus during the German occupation of France. In 1971, Lévy travelled to the Indian subcontinent, and was based in Bangladesh covering the Bangladesh Liberation War against Pakistan. This experience was the source of his first book, Bangladesh, Nationalisme dans la révolution (“Bangladesh, Nationalism in the Revolution”, 1973).

Olivier Litvine is former director of Alliance Fraicaise, Dhaka.
http://www.dhakatribune.com/magazin.../indias-jewish-general-liberation-bangladesh/
 
.
India’s Jewish general and the liberation of Bangladesh
Bernard-Henri Levy
Published at 06:54 PM September 10, 2017
f-ri-Copy-690x450.jpg

It is at this moment that a high-ranking Indian officer, without notifying his superiors, pulls off one of the most spectacular bluffs in modern military history
(Translated from the French by Olivier Litvine)
It’s quite a story.

This story may seem unlikely in this era of generalised war between cultures, civilisations, and religions. And I am grateful to British journalist Ben Judah for having brought it to light in an article that appeared in the Jewish Chronicle the day after Indian Prime Minister Narendra Modi’s visit to Israel.

The time is December 1971.The place is the territory then known as East Pakistan.
Separated by 1,600 kilometres from West Pakistan, this Bengali part of Pakistan has been in rebellion since March.

The central government in Islamabad, rejecting the secession of what will eventually become Bangladesh, is engaged in a merciless repression, the cost of which, in lives, remains unknown even today, almost a half-century later. Half a million people may have died, or perhaps a million or two, or more.

On December 3, India decides to enter the conflict, to “interfere,” as one would put it today, in the domestic affairs of its neighbour so as to stop the bloodbath.

The fighting rages.
The Bengali freedom fighters, known as the Mukti Bahini, now supported by India, become increasingly daring.

New Delhi’s strategy is to build up slowly and gradually, a decision. This strategy seems to many ill-suited to the Bangladesh of the day, a terrain of few roads, major rivers, and innumerable marshes. Thirteen days into the new phase of the war, with the Pakistanis having massed 90,000 troops around Dhaka, the capital, against the Indians’ 3,000, New Delhi appears to be stuck and has hardly boxed itself into the beginnings of a siege.

And it is at this moment that a high-ranking Indian officer, without notifying his superiors, takes a plane, lands in Dhaka, presents himself to General Niazi, head of the Pakistani forces and pulls off one of the most spectacular bluffs in modern military history: “You have 90,000 men,” the Indian officer tells Niazi. “We have many more, plus the Mukti Bahini, who are ready to seek vengeance for their people and will give no quarter. Under the circumstances, you have only one choice: To persist in a fight that you cannot win or to sign this letter of surrender that I have drafted in my own hand, which promises you an honourable retreat. You have half an hour to decide; I’ll go have a smoke.”

Niazi, falling into the trap, chooses the second option.

To the world’s amazement, three thousand Indian soldiers accept the surrender of 90,000 Pakistanis.

Tens of thousands—no—hundreds of thousands of lives on both sides are spared.
And Bangladesh is free!

The story might have ended there.

Except that the general behind the masterly coup that makes him godfather to a new Muslim country is Jewish.
His name is Jack Jacobs.
He was born in 1924 in Calcutta into a Sephardic family that had arrived there from Baghdad two centuries before, leaving behind two thousand years of history.

In 1942, learning of the ongoing extermination of Europe’s Jews, he enlists in the British army in Iraq, fights in North Africa and then moves on to Burma and Sumatra in the campaign against the Japanese.

And remaining in the military after the independence of India in 1947, he is the only Jew to rise high in the country’s military services, eventually coming to command the eastern army that, in December 1971, will be mounting the offensive against Islamabad’s legions.

It so happened that I met this man 46 years ago.
I was in rebellious Bangladesh, having responded to French novelist André Malraux’s call for the formation of an International Brigade to fight for a Bengali land still in limbo but suffering mightily under the hand of West Pakistan.

I had just entered Dhaka with a unit of the Mukti Bahini.
In the company of Rafiq Hussain—eldest son of the first Bangladeshi family to welcome me into their home in the Segun Bagicha neighbourhood, and who later became my friend—I saw Jacob at Race House on December 16, standing behind (and letting himself eclipsed by) his colleague, General Jagjit Singh Aurora, signing, in Niazi’s presence, the act of surrender that he had penned.

The next day, I happened to see him again with a handful of journalists and heard him speak of Malraux, whom he was reading; of Yeats, whose poems he knew by heart; of his twin Jewish and Indian identity; of Israeli General Moshe Dayan, whom he worshipped; and of the liberation of Jerusalem, which he held as an example of military skill. But to my recollection he said nothing about the intensely dramatic, stirringly romantic, face-to-face encounter with Niazi in which the war of personality carried a thousand times more weight than the war between armies – an encounter that determined the fate of the young Bangladesh.

I can picture his mischievous look.
His rather heavy silhouette, unimposing in itself though emanating an incontestable authority.

And his strange and reticent way of remaining a step or two behind his comrades in arms, generals Aurora and Manekshaw, as if reluctant to claim any credit for a feat of audacity that I now know was his alone.

He appeared to me, that day, like a representative of one of the lost tribes, spreading the genius of Judaism.

He might have been a Kurtz from Kaifeng, Konkan, Malabar,or Gondar, newly returned from the heart of darkness but ready to head back up the river. Or a biblical Lord Jim or Captain Mac Whirr, done for good with typhoons and ready to forge an alliance with the coolies.

People who save Jews are known in Judaism as righteous. How should one refer to a Jew who saved, raised to nationhood, and baptized a people who were not his own?
Bernard-Henri Lévy is a French public intellectual, media personality and renowned author. He is regarded as “perhaps the most prominent intellectual in France today.” Lévy became a pre-eminent journalist, having started his career as a war correspondent for Combat, the newspaper founded underground by Albert Camus during the German occupation of France. In 1971, Lévy travelled to the Indian subcontinent, and was based in Bangladesh covering the Bangladesh Liberation War against Pakistan. This experience was the source of his first book, Bangladesh, Nationalisme dans la révolution (“Bangladesh, Nationalism in the Revolution”, 1973).

Olivier Litvine is former director of Alliance Fraicaise, Dhaka.
http://www.dhakatribune.com/magazin.../indias-jewish-general-liberation-bangladesh/
Here you go_O.One more addition to the list of the forefathers of Bangladesh.This time this gem is a JEW.
Oh my God one nation so many fore fathers.Except N.Saleemuallah rest were traiors.You guys have a whole family of fore father headed by a fore mother.Her name is Indira Gandhi.

upload_2017-8-27_14-49-18-jpeg.421338


upload_2017-8-27_15-1-6-jpeg.421347


upload_2017-8-27_15-2-15-jpeg.421349


upload_2017-8-27_15-3-44-jpeg.421353

upload_2017-9-11_19-3-53.jpeg


You guys are highly ungrateful.Shame on you for forgetting them and giving them a due credit for your freedom.BD should be proud of them.Your fore mother was a hindu and forefather were parsi and sikh respectively.Cheers
 
.

Pakistan Affairs Latest Posts

Back
Top Bottom