Part # 1
(Copied)
Indian Blue Print and the Mujib Nagar Government
ভারতীয় নীল নকশা এবং মুজিব নগর সরকার
আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীন taking full advantage of the internal divisions and struggle for power within the Awami League ক্ষমতার লড়াই এর পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করে ভারতীয় সরকার এবং গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’- Indian Intelligence Agency-RAW implemented the “Divide and Rule policy” ‘ডিভাইড এন্ড রুল’ নীতি প্রয়োগ করে প্রধানমন্ত্রী between the Prime Minister and the Commander in Chief of Bangladesh Armed Forces, lowering the dignity of both এবং সর্বাধিনায়ক দু’জনকেই হেয় করে তোলা হয়।
Suddenly, Mr. Tajuddin was made theতাজুদ্দিনের হঠাৎ করে Prime Minister of the Exiled Government প্রবাসী সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা আওয়ামী লীগের অনেকেই পছন্দ করেনি। তাদের মধ্যে ছিলেন যুব ও ছাত্রনেতাদের অনেকেই। অনেক সাংসদ এবং আওয়ামী লীগের নেতারাও এর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ বিরোধিতা করেছিলেন।
Many Awami Leagues did not like the creation of the expatriate government and Tajuddin being made as the Prime Minister. Many of them were young and student leaders including MP's and Awami League leaders also opposed these both, directly and indirectly.
Sheikh Fazlul Haque Moni, Sirajul Alam Khan, Shahjahan Siraj, Nure Alam Siddiqui and Abdul Kuddus Makhan, among others, opposed the move by Tajuddin. Mr. Abdur Rab Serniabat, Sheikh Abdul Aziz, Mansur Ali, Mr. Nazrul Islam and others were instrumental in helping them indirectly.
Regarding, accepting Mr Tajuddin's as the Prime Minister General Arora remarked, "The youths of the Awami League didn't like him." (General Arora's interview given to Nikhil Chakrabarty under the titled “Bangladesh's War Memorial”.)
In general, many young citizens thought that that Sheikh Mujib was not alive. In the absence of Mujibur Rahman, Mr.Tajuddin would not follow Mujib’s influence. If Sheikh Mujib was present, then all the youth and student leaders would have been able to establish their authority in the freedom struggle very easily. However, Tajuddin was viewing their contributions in an indifferent way and was replying to them with on a different tone.
শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, শাহ্জাহান সিরাজ, নুরে আলম সিদ্দিকী এবং আব্দুল কুদ্দুস মাখন প্রমুখ যুব ও ছাত্রনেতারা সবাই প্রকাশ্যে তাজুদ্দিনের এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন। তাদের পরোক্ষভাবে মদদ যোগাচ্ছিলেন জনাব আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, শেখ আবদুল আজিজ, মনসুর আলী, জনাব নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
জনাব তাজুদ্দিনের প্রধানমন্ত্রীত্বের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে জেনারেল অরোরার মন্তব্য, “আওয়ামী লীগের যুবনেতারা তাকে পছন্দ করত না।” (বাংলাদেশের যুদ্ধের স্মৃতিচারন শিরোনামে নিখিল চক্রবর্ত্তীকে দেয়া জেনারেল অরোরার সাক্ষাৎকার।)
সাধারণভাবে যুবনেতাদের অনেকেই সেদিন ভেবেছিলেন শেখ মুজিব আর জীবিত নেই। মুজিবর রহমানের অবর্তমানে তাজুদ্দিন তাদের প্রভাবকে তেমন একটা মেনে চলবেন না। শেখ মুজিব কাছে থাকলে এ সমস্ত যুব এবং ছাত্রনেতারা স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের কর্তৃত্ব অতি সহজেই স্থাপন করতে সক্ষম হতেন। কিন্তু তাজুদ্দিন তাদের সাথে অন্য সুরে কথা বলছেন।
তাদের হাতে ক্রিয়াণক হয়ে সংগ্রামের সব নেতৃত্ব তাদের হাতে ছেড়ে দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। তাদের সংগ্রামী ভূমিকাকেও ছোট করে দেখছেন জনাব তাজুদ্দিন।
The P.M. was completely ignoring the opinion of the youths and student leaders in leading the Government. Tajuddin's cremation would not be the end, also due to Tajuddin being the Head of Government; their facilities were also being discontinued.
Tajuddin ignored the relatives of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, without giving them proper status as his relatives. Ignoring them was indirectly ignoring Sheikh Mujibur Rahman.
Therefore, at any cost Tajuddin must be removed as the Prime Minister, and pave the path to the youthsto retain power. According to this plan, some youths and student leaders led by Sheikh Moni and Sirajul Alam Khan met with Indian Prime Minister Mrs. Indira Gandhi and told her that she was the only trusted friend of Sheikh Mujibur Rahman.
তাজুদ্দিন সরকার পরিচালনায় যুব ও ছাত্রনেতাদের মতামত তিনি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে চলেছেন। তাজুদ্দিনের ধৃষ্টতার শেষ নেই। তিনি সরকার প্রধান থাকার কারণে তাদের সুযোগ-সুবিধাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আত্মীয়-স্বজনকেও যথাযথ মর্যাদা দান না করে তাদের উপেক্ষা করেছেন। তাদের উপেক্ষা করা, পরোক্ষভাবে শেখ মুজিবকেই উপেক্ষা করার সমতুল্য।
Mr. Tajuddin hands were been behind the arrest of Sheikh Mujib in the hands of the Pakistan army. Before his arrest, Sheikh Mujib ordered his followers to wage out the struggle for independence with the help of the Indian government.
Most of the Awami League and the provincial MPs who came from Bangladesh also had not supported Mr. Tajuddin. In this situation, Tajuddin had no right to remain as the Prime Minister. In support of their statement, they handed over a letter to Md. Abdur Rab, the brother-in-law of Mujibur Rahman, addressed to Ms. Indira Gandhi and the letter was presented by Sheikh Kamal, the eldest son of Sheikh Mujib.
They also informed Mrs. Gandhi that if Tajuddin continued as the Prime Minister of an independent Bangladesh, India's interests will be affected as Mr. Tajuddin would not implement Sheikh Mujib's ideology.
In this context, for the interest of the both the parties, they requested Mrs. Gandhi to arrange training for Mujib devotees from Bangladesh and their loyal youth under their leadership. They said that only by developing this kind of power could it be possible to maintain a meaningful relationship between Bangladesh and India, even after Independence. Otherwise, the Awami League government would soon become a victim of the intrigues of anti Indian’s elements from within itself.
Most of the Awami League and the provincial MPs who came from Bangladesh also had not supported Mr. Tajuddin. In this situation, Tajuddin had no right to remain as the Prime Minister. In support of their statement, they handed over a letter to Md. Abdur Rab, the brother-in-law of Mujibur Rahman, addressed to Ms. Indira Gandhi and the letter was presented by Sheikh Kamal, the eldest son of Sheikh Mujib.
They also informed Mrs. Gandhi that if Tajuddin continued as the Prime Minister of an independent Bangladesh, India's interests will be affected as Mr. Tajuddin would not implement Sheikh Mujib's ideology.
অতএব, যে কোন মূল্যে তাজুদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে অপসারন করতে হবে। মেতে উঠলেন তারা এক ক্ষমতা লাভের চকক্রান্তে। পরিকল্পনা অনুযায়ী শেখ মনি ও সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে কয়েকজন যুব ও ছাত্রনেতা দিল্লী গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে তাকে জানান যে তারা শেখ মুজিবর রহমানের অত্যন্ত বিশ্বাসভাজন।
পাক বাহিনীর হাতে শেখ মুজিবের গ্রেফতারের পেছনে জনাব তাজুদ্দিনের হাত রয়েছে। গ্রেফতারের আগে শেখ মুজিব তাদের সে কথা জানিয়ে তাদেরকে ভারত সরকারের সহায়তায় স্বাধীনতার সংগ্রাম পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়ে যান।
জনাব তাজুদ্দিনের উপর বাংলাদেশ থেকে আগত বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ জাতীয় এবং প্রাদেশিক সাংসদদের সমর্থনও নেই। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীত্ব করার কোন অধিকার নেই তাজুদ্দিন সাহেবের। তাদের বক্তব্যের সমর্থনে তারা মুজিবর রহমানের ভগ্নিপতি জনাব আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের একটি চিঠি শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে প্রদান করেন এবং শেখ মুজিবের জেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালকে তার সম্মুখে উপস্থিত করেন।
তারা শ্রীমতি গান্ধীকে এ কথা বলেও হু্ঁশিয়ার করে দেন যে তাজুদ্দিন যদি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকেন তবে ভারতের স্বার্থও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কারণ জনাব তাজুদ্দিন শেখ মুজিবের নীতি আদর্শ কিছুতেই বাস্তবায়িত করবেন না।
এই পরিপ্রেক্ষিতে দু’পক্ষের স্বার্থে তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে আগত মুজিব ভক্ত এবং তাদের অনুগত তরুণদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করার জন্য তারা শ্রীমতি গান্ধীর কাছে আবেদন জানান। তারা বলেন, শুধুমাত্র এ ধরণের শক্তি গড়ে তোলার মাধ্যমেই স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ এবং বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের মধ্যে অর্থবহ সম্পর্ক বজিয়ে রাখা সম্ভব। তা না হলে অচিরেই ভারত বিদ্বেষীদের চক্রান্তের শিকারে পরিণত হবে আওয়ামী লীগ সরকার।
তাদের এ অনুরোধ সাগ্রহে গ্রহণ করেন শ্রীমতি গান্ধী। সুদূর প্রসারী নীল নকশার কথা চিন্তা করেই Divide and Rule নীতির প্রয়োগের জন্য BLF বিএলএফ পরবর্তিতে নাম বদলিয়ে মুজিব বাহিনীর সৃষ্টি করে সেকেন্ড ফ্রন্ট খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এভাবেই সৃষ্টি করা হয়েছিল বিএলএফ ওরফে মুজিব বাহিনী
Mrs. Gandhi took this request into high consideration, anticipating the far-reaching implications of the Indian blue print, thus, the BLF or Mujib Bahani was created, exclusively for the use of the “Divide and Rule” policy and the decision to open a second front was incorporated by creating the Mujib force. These were the factors behind raising the BLF, commonly known as “Mujib Bahini”.
When this decision was informed to theC in C, Mr. Osmani, in turn informed Mr. Tajuddin, the Prime Minister, Mr. Tajuddin, raised these issues with the Indian government in New Delhi and demanded to redress these issues. However, Mr. Haksar, Mr. D.P Dhar along with Ramnath Rao and General Oban of RAW and General Wan Singh kept silent and avoided Mr. Tajuddin.
Col. Osmani was informed about these new developments, and stated what Mr. Tajuddin said. later everyone concerned came to know the narration from Col. Osmani. In the next phase, Colonel Osmani tried his level best to bring Mujib Bahini under the control of Forces Headquarters of the expatriate Bangladesh government. However, all his efforts were futile. Colonel Osmani was forced to accept the Indian decision to create the BLF or Mujib Bahini.
এ তথ্যগুলোও জনাব ওসমানীকে জান, তিনি সেগুলো জনাব তাজুদ্দিনকে জানান। প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজুদ্দিন নাকি এ সমস্ত প্রশ্ন নিয়ে দিল্লীতে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং এর প্রতিবিধানের দাবি জানান। কিন্তু জনাব হাকসার, ডিপিধর, ‘র’ Ramnath Rao and General Oban of RAWএর রমানাথ রাও এবং জেনারেল ওবান সিং এ ব্যাপারে তাজুদ্দিনকে এড়িয়ে গিয়ে নিরব থাকেন।
ফিরে এসে কর্নেল ওসমানীকে সে কথাই বলেছিলেন জনাব তাজুদ্দিন। পরে কর্নেল ওসমানীর কাছ থেকে তার ব্যাখ্যা জানতে পারি। পরবর্তী পর্যায়ে মুজিব বাহিনীকে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের ফোর্সেস হেডকোয়টার্স এর নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন কর্নেল ওসমানী। কিন্তু তার কোন চেষ্টাই ফলপ্রসু হয়নি। নিতান্ত অপারগ হয়েই কর্নেল ওসমানীকে বিএলএফ তথা মুজিব বাহিনী সৃষ্টি করার ভারতীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হয়।
With the assistance of the Indian intelligence, F.F, Captain Jalil became aware of the secret contacts, which the Indians were maintaining with the other officers of the Eastern Command, located at Fort William.
The Indian government not only controlled the exile government along with the Liberation Army's headquarters but also regulated the freedom struggle and the political progress of Bangladesh; moreover, they were also trying to develop relations with powerful commanders.
Brilliantly, they crafted an incompatible tussle between Tajuddin's and the expatriate government and kept him under severe pressure, thus, forcing him to remain under the Indian control.
On the other hand, in the same manner the C in C of the Mujibnagar government and freedom fighter, Mr. Osmani, was also restricted to exercise his authority. Colonel Osmani was extremely humiliated for these reasons thus, Colonel Osmani was also side tracked. However, his position was firm and clear.
ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর সহায়তায় ক্যাপ্টেন জলিলের ফোর্ট উইলিয়ামের পূর্বাঞ্চলীয় হেডকোয়াটার্সের কর্মকর্তাদের সাথে গোপন যোগাযোগ থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে উঠল।
ভারতীয় সরকার শুধুমাত্র প্রবাসী সরকার এবং মুক্তি বাহিনীর সদর দপ্তরের মাধ্যমেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং রাজনৈতিক গতিধারাকে নিয়ন্ত্রণ করছিল তা নয়, তারা ক্ষমতাধর কমান্ডারদের সাথেও সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল।
অত্যন্ত চতুরতার সাথে তারা তাজুদ্দিনের প্রবাসী সরকারের মধ্যে অর্ন্তদ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে তাকেও দুর্বল করে চাপের মুখে রাখছিল যাতে তিনি তাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে বাধ্য হন।
অপরদিকে মুজিবনগর সরকার ও মুক্তিযোদ্ধের সর্বাধিনায়ক জনাব ওসমানীর মধ্যেও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে কর্নেল ওসমানীর ক্ষমতা সীমিত করে রাখা হচিছল একইভাবে। কর্নেল ওসমানীকে সাইড ট্র্যাক করে প্রবাসী সরকার ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের এ ধরণের কার্যকলাপে কর্নেল ওসমানী অতি যুক্তিসঙ্গত কারণেই ভীষণভাবে অপমানিত বোধ করছিলেন। তার বক্তব্য ছিল পরিষ্কার।
The Bengali nation was grateful for the fact that India had agreed to assist us in humanitarian causes according to their statement regarding Bangladesh's independence struggle, just as a good friend.
The glorious liberation struggle was the struggle of the eight crore Bengalis of East Bengal in their own freedom struggle.The FF’S had to organize their struggle in exchange for any kind of sacrifices; the FF’S also had to achieve their national independence, directly under the leadership and responsibilities under the command of the Liberation Army and the exiled Bangladesh government.
Mr. Osmani never compromised on these basic policy issues. There were a lot of debate with the leadership of the then exiled government on these matters. Anyways, most of the leaders of the Awami League and the Constituent Assembly did not support this policy.
While they were busy preparing their own inner power circles.The most bizarre thoughts that were working in almost all of the exiled AL Leaders. Not only were the political leaders but many bureaucrats and opportunist leadership of the freedom struggle was also reflective of the same thoughts. They believed that the as the liberation war has started, these high ups were struggling to protect, the millions of crores of rupees and wealth they had looted from almost all parts of East Pakistan, before fleeing, and stored those wealth in India, as a safe harbor.
ভারত বন্ধুরাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের বক্তব্য অনুযায়ী মানবিক কারণে সাহায্য দিতে সম্মত হয়েছে সেটার জন্য বাঙ্গালী জাতি কৃতজ্ঞ।
কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামটা পূর্ব বাংলার ৮ কোটি বাঙ্গালীর নিজস্ব সংগ্রাম। এ সংগ্রাম তাদেরই সংগঠিত করতে হবে। যে কোন ত্যাগের বিনিময়ে তাদেরকেই অর্জন করতে হবে জাতীয় স্বাধীনতা, সংগ্রামের নেতৃত্ব ও সব দায়িত্বও থাকতে হবে মুক্তিফৌজ কমান্ড ও প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অধিনে।
জনাব ওসমানী নীতির এ প্রশ্নে কখনোই আপোষ করেননি। এ বিষয় নিয়ে তৎকালীন প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বের সাথে অনেক বির্তক হয়েছে তার। কিন্তু তার এ নীতির প্রতি সমর্থন দেননি আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতৃত্ব ও গণপরিষদ সদস্যরা।
তারা তখন নিজ নিজ ক্ষমতার বলয় তৈরি করতে ব্যস্ত। তাদের প্রায় সবার মাঝেই এক ধরণের উদ্ভট চিন্তা কাজ করছিল। শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই নয় অনেক আমলা এমনকি মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধাবাদী নেতৃত্বের মাঝেও সেই একই চিন্তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছিল। তাদের ধারণা ছিল মুক্তিযুদ্ধ যে কারণেই হোক শুরু হয়ে গেছে। প্রতিরোধ সংগ্রামকালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব অঞ্চল থেকে কোটি কোটি টাকা ও সম্পদ লুন্ঠন করে নিয়ে হিজরত করে চলে আসা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয় ভারতে।
Even though, as a Freedom Fighter this was a shameful act to state that, many intellectuals and High ups, those who all had escaped from East Pakistan, also viewed the heroic liberation struggle of the freedom fighters in a negative light. They believed that the Bengali freedom fighters would never be able to liberate their country by defeating the Pakistani force.
They believed that, in order to defeat the Pakistan army, it was necessary that the Indian armed forces must get involved directly. Many of these leaders did not have the will or the ability to participate in a bloody lasting struggle. They were also unwilling to risk a lengthy fight and to not ready to suffer immense sacrifices. বলতে লজ্জা লাগলেও বলতে হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা অনেক বুদ্ধিজীবি ও হোমরা-চোমরা পদস্থ ব্যক্তিরাও মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ মুক্তি সংগ্রামকে দেখতেন অত্যন্ত নেতিবাচক দৃষ্টিতে। তারা মনে করতেন বাঙ্গালী মুক্তিযোদ্ধারা কখনই পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে দেশ স্বাধীন করতে সক্ষম হবে না।
Soon after ending their Indian ‘Hajj’, they would be exempted from their exiled life and would be redeemed and enjoy a real luxurious life with the looted black wealth/money, which would start very soon, through the direct intervention of the Indian forces, alone.
Once they had been able to endorse the stamps as “Indian Hajis”, they would be soon be able to return to their country, where was the barrier for them to from establishing their own rule? Therefore, the country must be liberated, as soon as possible. Accordingly, a section of these high ups had started immense lobbying with the various organs of the Indian government.
In the entire exiled governments, only two leaders firmly opposed these initiatives from the beginning. One of them was Colonel Osmani and the second person was Mr. Khandokar Mushtaq Ahmad. Apart from these two, most of the senior Political Leaders along with many of the bureaucrats' high profile citizens favoring Bangladesh's Independence, through the direct intervention of the Indian Army. Thereby, through a “Cesarean operation” subsequently, the premature birth of Bangladesh occurred.
However, most of the freedom fighters, and young officers from the bureaucracy and were against this idea of liberation, in this context, the youth's ideological conflict with those elders was increasing many folds, which was not to serve the interest of other Nation , nor at their mercy.
In order to defeat the Pakistan army, these top leaders felt that, it was necessary that the Indian Army Forces must directly be involved, as many of them did not have the will or ability to participate in a bloody lasting struggle. They were also unwilling to risk the war and to suffer and sacrifices.
Soon after their ' Indian Hajj' ended, these elderly leaders would be exempted for their exiled lives and would be redeemed and could lead a luxurious life style with the stolen black money.These goals could be achieved within a shortest period, through the direct intervention of the Indian forces, alone.
Once they had received the Hajj stamps from India, once they return to their country, there would be no the barrier’s from establishing their rules? Immediately these elements, for the country to be liberated, a section of them started lobbying heavily from various parts of the Indian government.
পাকিস্তান বাহিনীকে পরাজিত করতে সরাসরি ভারতীয় সেনা বাহিনীর হস-ক্ষেপ অবশ্যই অতি প্রয়োজনীয়। রক্তক্ষয়ী দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা অথবা যোগ্যতা তাদের অনেকেরই ছিল না। যুদ্ধের ঝুঁকি এবং কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করতেও তারা ছিলেন নারাজ।
এতে করেই তাড়াতাড়ি 'হজ্জ্ব' শেষ করে প্রবাসী জীবনের কষ্ট থেকে রেহাই পেয়ে দেশে ফিরে লুটপাটের কালো টাকার আয়েশী জীবন খুব তাড়াতাড়ি আবার শুরু করতে পারা যাবে একমাত্র ভারতীয় বাহিনীর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের মাধ্যমেই।
ভারতে হজ্জ্ব করার স্ট্যাম্প যখন একবার নিতে সক্ষম হয়েছেন তারা তখন দেশে ফেরার পর তাদের রাজ কায়েম করার পথে বাধা কোথায়? তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশটাকে স্বাধীন করে দেবার জন্য তাদের একাংশ গোড়া থেকেই ভারত সরকারের বিভিন্ন মহলে জোর লবিং শুরু করে দিয়েছিলেন।
সমস্ত প্রবাসী সরকারের মধ্যে শুধুমাত্র দু’জন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ ধরণের উদ্যোগের বিরোধিতা দৃঢ়তার সাথে করে গিয়েছিলেন। তাদের একজন হলেন কর্নেল ওসমানী এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন জনাব খন্দোকার মোশতাক আহমদ। এই দুইজন ছাড়া সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রায় সবাই এবং আমলাদের উচ্চপদস্থ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অনেকেই ভারতের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পক্ষপাতিত্ত্ব করছিলেন। পরবর্তিকালে সিজরিয়ন অপারেশন এর মাধ্যমে বাংলাদেশের Premature birth এর জন্য মূলতঃ এরাও দায়ী ছিলেন অনেকাংশে। কিন্তু বেশিরভাগ মুক্তিযোদ্ধা, আমলাতন্ত্রের তরুণ সদস্যরা এভাবে অপরের কৃপায় বাংলাদেশকে স্বাধীন করার উদ্যোগের ঘোর বিরোধী ছিলেন। এ নিয়ে প্রবীণদের সাথে তরুণদের দ্বন্দ্ব ক্রমশঃই বেড়ে উঠছিল প্রতিদিন।
Among all exiled governments officials, only two opposed these plans firmly with the beginning. One of them was Colonel Osmani and the second person was Mr. Khandokar Mushtaq Ahmad.
Apart from these two, most of the Senior Political Leaders including many bureaucrats' and high-profile influential figures were favoring Bangladesh's independence through the direct intervention of India. Subsequently, through a Cesarean Operation, significantly contributed for the premature birth of Bangladesh. However, most of the freedom fighters, young officers of the bureaucracy were t against the plan of liberating Bangladesh for serving the interest of others Nations. Thus, the youth FF's conflict with their seniors was increasing manifolds with every passing day.
Kindly read the above facts.