What's new

Zia's death anniversary today

kobiraaz

ELITE MEMBER
Joined
Oct 29, 2010
Messages
9,831
Reaction score
0
Country
Bangladesh
Location
Bangladesh
Today is the 31st death anniversary of late president Ziaur Rahman, the founder of BNP.
Zia, who founded Bangladesh Nationalist Party (BNP) in 1978, was assassinated in 1981 by a group of disgruntled army officers at the Chittagong Circuit House.

2012-05-29-18-11-12-4fc511408bb51-untitled-10.jpg


আজ জিয়াউর রহমানের ৩১তম শাহাদাতবার্ষিকী। ৩১ বছর আগে এই দিনটিতে এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয় জিয়াকে। ঘৃণ্য ঘাতকেরা স্টেনগানের একঝাঁক বুলেটে চিরদিনের জন্য স্তব্ধ করে দেয় এক মহান রাষ্ট্রনায়ককে, এক নিয়তি-নির্মাতা যুগস্রষ্টাকে। জাতির ভাগ্যে লেপে দেয় এক অমোচনীয় কালিমা, যা কখনো অপসৃত হওয়ার নয়। দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের।
একাত্তরের মার্চের সেই অগ্নিঝরা দিনগুলোতে সবচেয়ে কঠিন সময় যারা পার করেছে, চরম মানসিক বিপর্যয়ে ভুগেছে, যন্ত্রণাকাতর থেকেছে, তারা নিশ্চিতভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি ইউনিটগুলোর বাঙালি সেনা কর্মকর্তা ও সেনাসদস্য। এ এক দুঃসহ দুঃসময়, এক কঠিন অগ্নিপরীক্ষা। তারা প্রত্যক্ষ করছে, স্বাধীনতার চেতনায় উত্তাল গোটা দেশ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফেটে পড়ছে অত্যাচারিত মানুষ। টানটান উত্তেজনা। বাঙালি সেনা কর্মকর্তারা, আন্ডার কমান্ড বাঙালি সৈনিকেরা কী করবে? তারা কি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে তাদের ভাইয়ের মৃত্যু, মায়ের অপমান, বোনের অসম্মান এবং যখন রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে তাদের প্রিয় মাতৃভূমি? ভীষণ ঝুঁকিতে তাদের জীবন। তাদের মানসিক প্রতিক্রিয়া আঁচ করে নিরস্ত্র করার জন্য ছাউনির পাঞ্জাব ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তা এক্ষুনি, এই মুহূর্তে। কঠিন সিদ্ধান্ত, জীবন-মরণের সিদ্ধান্ত। হয় বীরের মতো বিদ্রোহ, না হয় কাপুরুষের মতো সারেন্ডার। চট্টগ্রাম সেনা ছাউনির ৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড ইন কমান্ড মেজর জিয়া বিদ্রোহই বেছে নিলেন। আই রিভল্ট বলে গোটা ইউনিট নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। কালুরঘাটের বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। ইথারে ভেসে এল, ‘আমি মেজর জিয়া বলছি। আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি...।’ মার খাওয়া মানুষ, বিভ্রান্ত জনতা, দিশেহারা জাতি সংবিৎ ফিরে পেল। গোটা জাতি, অস্ত্রধারী বাহিনী, ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, পেশাজীবী মানুষ, নারী-পুরুষ, আবালবৃদ্ধবনিতা অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নেমে পড়ল।
এর পরের ইতিহাস রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের। শত-সহস্র গেরিলা অভিযান, রেড, অ্যাম্বুশ, শত্রুঘাঁটিতে অতর্কিত আক্রমণ, সম্মুখযুদ্ধ, অ্যাটাক, কাউন্টার অ্যাটাক, ইস্পাতকঠিন মনোবল আর মৃত্যুপণ লড়াইয়ের ইতিহাস। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্তের আখরে লেখা এক অনবদ্য গৌরবগাথা, এক বীর জাতির বীরত্বের কাহিনি। জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জনের এক অমর আখ্যান। আমার গর্ব আমার জাতীয় সেনাবাহিনীর জন্ম মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগৃহে। এর উত্থান ও বিকাশ মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত প্রান্তরে। এই সেনাবাহিনীই গোটা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে, ফোর্স সংগঠিত করেছে, অস্ত্র সংগ্রহ করেছে, রসদ জুগিয়েছে, অভিযান পরিচালনা করেছে, শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। মেজর জিয়া ও তাঁর পরিচালিত জেড ফোর্স গোটা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ইতিহাসের এক বড় অধ্যায়। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে সেনাবাহিনীর পুনর্গঠনের প্রাক্কালে আমরা জিয়াকে অবমূল্যায়িত হতে দেখেছি। দুর্ভাগ্যের বিষয়, পরবর্তী সময়ে আমরা দেখেছি জাতির ভাগ্যাকাশে দুর্যোগ, রাষ্ট্রব্যবস্থায় অনেক সংকট। আমরা হারাই মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আজ শোকাহত চিত্তে তাঁকে স্মরণ করছি। ঘটনার ক্রমবিবর্তনে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি জাতির অনেক অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তায় সংঘটিত পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বরের সিপাহি জনতার বিপ্লব। এই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জেনারেল জিয়া উঠে আসেন রাষ্ট্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বের পাদপ্রদীপে।
সৈনিক জিয়া মহান। রাষ্ট্রনায়ক জিয়া মহত্তর। তিনি গণতন্ত্রের প্রাণপুরুষ। আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি। তাঁর ছিল সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি। তিনি ছিলেন ভিশনারি এক স্বপ্নদ্রষ্টা। জিয়া জাতিকে একটি সত্যিকার গণতন্ত্রের শক্ত ভিত্তির ওপরে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। আনতে চেয়েছিলেন অর্থনৈতিক মুক্তি। দিতে চেয়েছিলেন জাতিকে সম্মান আর গৌরব; মুক্তিযুদ্ধের সেই ব্র্যাকেটবন্দী দেশগুলো—যুক্তরাষ্ট্র, গণচীন আর ভিয়েতনামের মতো।
জিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতার সময় সংক্ষিপ্ত—পাঁচ বছরের একটু বেশি। এই স্বল্প সময়ে তিনি যুগান্তকারী সব কাজ করে গেছেন। তাঁর সঙ্গে আমি ভারতবর্ষের ইতিহাসের সেই পাঠান সম্রাট শেরশাহের অনেক মিল খুঁজে পাই। শেরশাহের শাসনভার ছিল এমনই সংক্ষিপ্ত। কিন্তু জনকল্যাণে, সাধারণ মানুষের মঙ্গলে তাঁর কীর্তিগুলো ছিল যেমন অভিনব, তেমনই অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী প্রভাবের, যা আজও তাঁর দূরদর্শিতার স্বাক্ষর বহন করে চলেছে। জিয়া জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ে একটি বড় রকমের ঝাঁকুনি দিয়ে গেছেন। রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, নারী, শিশু—সবকিছুতেই একটা বিপ্লব ঘটিয়ে গেছেন। গোটা জাতিকে তিনি একাত্তরের মতো একতাবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। একটি দৃঢ় জাতীয় সংহতি সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। পরিচয়-সংকটে আক্রান্ত হীনম্মন্যতায় ভোগা জাতিকে তার সত্যিকারের পরিচয় এবং তার আপন স্বাধীন স্বকীয়তার পরিচিতি তিনি উন্মোচন করতে পেরেছিলেন। সে পরিচিতি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সংমিশ্রণে হাজার বছরের যে রসায়ন, তারই আবিষ্কার তিনি ঘটিয়ে ছিলেন। নাম দিয়েছিলেন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। এই জাতীয়তাবাদের ওপরই প্রতিষ্ঠিত তাঁর মন, মনন ও চেতনা—তাঁর রাজনৈতিক দর্শন। তাই তাঁর প্রিয় গান, যা তিনি আপন মনে গুন গুন করে গাইতেন, ‘আমার জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ।’
জিয়ার বড় অবদান স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, তাঁর দূরদৃষ্টি, তাঁর বৈপ্লবিক চেতনা, বিশ্বাস ও স্বাধীনচেতা দৃঢ়চরিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। গণচীনসহ কয়েকটি বড় দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করে—সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। ১৯৮০ সালের জুলাই মাসে জেনারেল জিয়া গণচীন সফর করেন। আমি বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে সামরিক অ্যাটাশে হিসেবে মাত্র যোগদান করেছি। জেনারেল জিয়াকে চীনা সরকার, চীনা জনগণ অভূতপূর্ব সংবর্ধনা দেয়। বিপুলভাবে সম্মানিত করে। তিনি যখন যেখানে গেছেন, প্রচুর মানুষের ভিড়। রাস্তার দুই ধারে ফুল হাতে কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা মংচিয়ালা মংচিয়ালা (বাংলাদেশ বাংলাদেশ) বলে চিৎকার করছে, আর হাত নাড়ছে। তখন এক গর্বভরা অনুভূতি আমার। মাও সে-তুংয়ের তিরোধানের পর তখন চীনের নেতৃত্বে হুয়া কুয়া ফেং। আমার সুযোগ হয়েছিল শীর্ষ বৈঠকে উপস্থিত থাকার। আমি হুয়া কুয়া ফেংকে জেনারেল জিয়ার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে শুনেছি। বাংলাদেশের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের পূর্ণ সহযোগিতার দৃঢ় আশ্বাস তিনি ব্যক্ত করেন।
আমার মনে পড়ে, একটি হূদয়গ্রাহী সফল সফর শেষে বেইজিংয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের এয়ারক্রাফটে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি যখন আরোহণ করতে যাচ্ছেন, সামরিক আনুষ্ঠানিক পোশাকে সজ্জিত আমি একটি চৌকস স্যালুট করি। তিনি হাত বাড়ালেন হ্যান্ডশেকের জন্য। আমার হাতে শক্ত করে চাপ দিলেন। পিকিং বিমানবন্দরের টারমেকে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতির সেই করমর্দনের স্পর্শ আমি আজও অনুভব করি। তিনি আমাকে বলছিলেন, ‘মাহবুব, আই অ্যাম লিভিং, ইউ উইল বি হেয়ার। চীনা ইজ আওয়ার ফ্রেন্ড। অ্যান্ড চায়না ইজ এ গ্রেট কান্ট্রি। ডেভেলপ আওয়ার রিলেশনস। প্রোমোট আওয়ার ফ্রেন্ডশিপ। রিমেম্বার, দিজ ইজ দ্য কান্ট্রি টু হুইচ উই লুক ফরওয়ার্ড। রিমেম্বার, দিজ ইজ দ্যা কান্ট্রি ইন হুইচ উই ক্যান ফুললি ট্রাস্ট।’ { Mahbub, i am leaving, you will be here. China is our friend. And China is a great country. Develop our relations. Promote our friendship. Remember this is the country to which we look forward. Remember this is the country in which we can fully trust.} কে জানত, জেনারেল জিয়ার সঙ্গে সেটাই হবে আমার শেষ সাক্ষাৎ। তাঁর বিদায়বেলার কথাগুলো এখনো আমি শুনতে পাই। আমার কানে অনুরণিত হয়।
তখনো আমি বেইজিংয়ে। ১৯৮১ সালের ৩০ মের ভোরবেলা আমার বাসার টেলিফোনটি অনবরত বেজে চলেছে। এত ভোরে কখনো কেউ ফোন করে না। বুকটা ধড়াস করে উঠল। ঢাকা থেকে হবে হয়তো, কোনো দুঃসংবাদ। রিসিভার তুলতেই চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফরেন লিয়াজোঁ অফিসার কর্নেল সু চুইন ফিংয়ের পরিচিত গলা। ‘আপনি কি জানেন, আপনাদের রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াকে আজ গভীর রাতে চট্টগ্রামে হত্যা করা হয়েছে? কারা করেছে? কেন করেছে? তিনি আমাদের একজন খাঁটি বন্ধু ছিলেন...।’
আমি স্তম্ভিত। আমি বাকরুদ্ধ। আমি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট। কর্নেল সু ওদিক থেকে বলে চলেছেন, ‘ব্রিগেডিয়ার, আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন? ব্রিগেডিয়ার, আপনি কি আমাকে শুনছেন?...।’ আমি নিশ্চুপ। আমি হতবাক। আমি নিথর।
রবীন্দ্রনাথের কবিতার দুটি লাইন আজ জিয়া স্মরণে তাঁকে নিবেদন করছি।
‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’
জিয়া মৃত্যুঞ্জয়ী। জিয়া বাংলার উত্তর আকাশের জ্বল জ্বল করা চিরভাস্বর সেই ধ্রুব নক্ষত্রটি।
লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান (অব.): সাবেক সেনাপ্রধান।

Bio

Ziaur Rahman, Bir Uttam, Hilal-e-Jurat (Bengali: জিয়াউর রহমান Ji-yaur Rôhman) (19 January 1936 – 30 May 1981) was a Bangladeshi politician and an army officer, who announced the Declaration of Independence of Bangladesh twice, the first being on 26 March 1971 at Kalurghat, Chittagong. The following day Zia repeated an edited version of the declaration on behalf of Sheikh Mujibur Rahman. He later became the seventh President of Bangladesh from 1977 until 1981. A highly decorated and accomplished military officer, he retired from the Bangladesh Army as a Lieutenant General. He was commander of sector 1, transferred to Teldhala from Sabroom in May 1971. He organised and created Sector 11 and remained its commander until October. During August 1971, He was appointed Brigade Commander of the Bangladesh Forces during the Bangladesh war of independence with Pakistan. During his administration, he first founded JAGODAL but he himself did not become a member of it. Then he founded the Bangladesh Nationalist Party (BNP), one of the two largest political parties in the country. He is popularly known as Shaheed President Zia, meaning "martyred Zia", in reference to his 1981 assassination.

Ziaur Rahman, commissioned military officer by career, attained the rank of Lieutenant General before retiring and then assuming the office of the presidency of Bangladesh. During the Indo-Pakistani War of 1965, Zia served in the Khemkaran sector in Punjab as the commander of a Pakistani company unit of 500–800 soldiers. The sector was the scene of the most intense battles between the rival armies. The Pakistani government awarded Zia's unit with the highest numbers of gallantry awards for heroic performances during the war. Ziaur Rahman himself won the distinguished and prestigious Hilal-e-Jurat medal, and his unit won 4 Sitara-e-Jurat medals and 9 Tamgha-e-Jurat medals from the Army for their brave roles in the 1965 War with India.

Islam and nationalism

Zia moved to lead the nation in a new direction, significantly different from the ideology and agenda of Sheikh Mujib.[5] He issued a proclamation order amending the constitution, increasing the direct influence and role of Islam on the government. In the preamble, he inserted the salutation "Bismillahir-Rahmaanir-Rahim" ("In the name of Allah, the Beneficent, the Merciful"). In Article 8(1) and 8(1A) the statement "absolute trust and faith in Almighty Allah"' was added, replacing the commitment to secularism. Socialism was redefined as "economic and social justice". Zia further introduced provisions to allow Muslims to practice the social and legal injunctions of the Shariat and Sunnah.[10] In Article 25(2), Zia introduced the principle that '"the state shall endeavour to consolidate, preserve and strengthen fraternal relations among Muslim countries based on Islamic solidarity."[3] Zia's edits to the constitution redefined the nature of the republic from the secularism laid out by Sheikh Mujib and his supporters.[10] Islamic religious education was introduced as a compulsory subject in Bangladeshi schools, with provisions for non-Muslim students to learn of their own religions.[citation needed]

In public speeches and policies that he formulated, Zia began expounding "Bangladeshi nationalism", as opposed to Mujib's assertion of a Bengali national identity. Zia emphasised the national role of Islam (as practised by the majority of Bangladeshis). Claiming to promote an inclusive national identity, Zia reached out to non-Bengali minorities such as the Santals, Garos, Manipuris and Chakmas, as well as the Urdu-speaking peoples of Bihari origin. However, many of these groups were predominantly Hindu and Buddhist and were alienated by Zia's promotion of political Islam. In an effort to promote cultural assimilation and economic development, Zia appointed a Chittagong Hill Tracts Development Commission in 1976, but resisted holding a political dialogue with the representatives of the hill tribes on the issue of autonomy and cultural self-preservation.[citation needed] On 2 July 1977 Ziaur Rahman organised a tribal convention to promote a dialogue between the government and tribal groups[citation needed].



Criticism and legacy

Ziaur Rahman is considered one of the most important political leaders of Bangladesh.[5] President Zia introduced a multi-party democracy in Bangladesh after Sheikh Mujibur Rahman, resorted to de facto one-party rule through BAKSAL in 1975. As president, General Zia legislated the Indemnity Bill, pardoning the subsequently-convicted killers of President Sheikh Mujibur Rahman in August 1975.[18] Also deeply controversial is Zia's rehabilitation of persons and political groups that had collaborated with the Pakistani army. Zia is also criticised for creating a "magna democracy", which remained largely beholden to his political party. Because other political parties like Awami League has internal tension barring its greater participation in politics.[19] In a verdict passed on 30 August 2005 the Dhaka High Court declared the seizures of power by military coups between 1975 and 1979, including Zia's military regime as "unlawful and unconstitutional."[20] Zia's martial law decrees, his ascendancy to the presidency in 1977 and the referendum held in 1978 were declared "unknown to the constitution." The court ruling overruled the Indemnity Act by which these very events were accorded a legal status and enshrined in the constitution.[20]

Former US President Ronald Reagan praised him for his leadership and said that "The United States – indeed the world – had come to respect President Zia's profound and compassionate commitment to a better life for his people and his dedication to the rule of law. His wisdom in international affairs will be sorely missed".[21]

While credited for ending the disorder of the final years of Sheikh Mujib's rule, Zia is assailed by his critics for suppressing opposition.[5][19] However, [5][19]Zia's economic reforms are credited with rebuilding the economy and his move towards Islamisation brought him the support of ordinary Bangladesh people. His nationalist vision also appealed to many who resented the nation's strategic alliance with India and the Soviet Union. Moving away from Mujib's secularism, Zia asserted an Islamic political identity for Bangladesh and of membership in the wider community of Muslim nations.[citation needed] However, these measures also isolated and embittered many ethnic and religious minorities in Bangladesh[citation needed], laying in the opinion of many historians[who?] the foundations of future communal and ethnic conflicts.[citation needed] It is generally acknowledged that he lived a simple life, which included opting to have his food supplied from the army canteen.[citation needed]

Ziaur Rahman is survived by his wife Begum Khaleda Zia and his sons Tareq Rahman and Arafat Rahman. Begum Khaleda Zia became the head of the BNP and organised a coalition of political parties opposed to Ershad's regime. In elections held in 1991, Begum Khaleda Zia led the BNP to victory and became prime minister. She lost the 1996 elections to the Awami League's Sheikh Hasina Wajed, the daughter of Sheikh Mujibur Rahman, but returned to power in 2001.[22] Tareq Rahman serves as BNP senior joint secretary, regarded by many as the architect of the BNP's 2001 election victory.[23] Zia is the namesake of many public institutions, formerly the Zia International Airport in Dhaka, which is the busiest airport in the nation. Zia has also been honoured by the South Asian Association for Regional Cooperation for his statesmanship and vision.[24]
Zia began reorienting Bangladesh's foreign policy, addressing the concerns of nationalists who believed that Bangladesh was reliant on Indian economic and military aid. Zia withdrew from his predecessors' affinity with the Soviet bloc, developing closer relations with the United States and Western Europe. Zia also moved to harmonise ties with Saudi Arabia and the People's Republic of China, who had opposed Bangladesh's creation and had not recognised it till 1975. Zia also dropped the demands of reparations and an official apology demanded by Sheikh Mujib and moved to normalise relations with Pakistan. While distancing Bangladesh from India, Zia sought to improve ties with other Islamic nations. Zia's move towards Islamic state policies improved the nation's standing in the Middle East.[5] Zia also proposed an organisation of the nations of South Asia to bolster economic and political co-operation at a regional level.[3] This proposal materialised in 1985 under the Presidency of Hussain Muhammad Ershad with the creation of the South Asia Association for Regional Cooperation in Dhaka.
After the formation of Bangladesh Nationalist Party, Zia took initiative for formation of political institutes and sponsored workshops for the youth to get active political lessons on Bangladeshi nationalism. In such a workshop in September 1980, Zia spoke to the learners,[11]
 
. . . .
He sounds like a good leader; I, unfortunately, haven't had the chance to read up on him but I'd be sure to do now. A question, if you will : How is a looked upon by Awami League supporters and consequently the majority of Bangladeshis. I'm assuming that majority of Bangladesh supports the Awami League.
 
.
Zia was a fearless military officer who fought against the invading Indian troops in the Khemkaran sector to protect Lahore from falling in the hands of India. Of all the PA regiments East Bengal Regiment received the most number of medals in that war of 1965. This same Zia at a later time proclaimed the independence of Bangladesh on behalf of Bangabandhu Sk. Mujibur Rahman when all the top political leaders were unable to give any direction.

Today, the AL people try to demean Zia's declaration of independence by comparing him to an unimportant AL leader Hannan of Chittagong. Thing is, Major Zia was an officer of the Pakistan Army, and his proclamation was a direct rebellion against Pakistan. It was a time when unprepared Bangali troops of East Bengal regiment (EBR), East Pakistan Rifles (EPR), Police and Ansar were being disarmed at gunpoints and killed.

Many hundreds have already been killed by the time Zia proclaimed independence. This so happened because no political leader had yet given any direction to the people of the then east Pakistan. They just did not know what they were supposed to do?

A hitherto unknown Pakistan Army officer Zia's proclamation gave the troops and the people a direction that the Bangalis of Pakistan would have to fight to liberate their country. With his proclamation all the bangali troops, police and ansars made a dash away from the non-Bangali troops to avoid sudden arrest and killing at their hands.

These troops became the core of the Liberation Army of Bangladesh. They provided training to the civilian volunteers who opted to fight the enemy. So, it was virtually Zia's proclamation that instigated the armed liberation war. Until then it was a political struggle under an united Pakistan to safeguard the intetrest of the Bangalis.

Zia's 2nd contribution was when he was finally selected to lead the country by the military and population combinedly on Nov 7, 1975. On 16 December 1971 Bangladeshi people liberated their country, and on Nov. 7, 1975 they felt that they have again liberated the country from the control of India. To our people both the dates weigh same.

So, essentially, Zia had saved the country two times in his lifetime only to be killed indirectly by Gen. Ershad at the instigation of India. May Allah grant him eternal Paradise.
 
.
He sounds like a good leader; I, unfortunately, haven't had the chance to read up on him but I'd be sure to do now. A question, if you will : How is a looked upon by Awami League supporters and consequently the majority of Bangladeshis. I'm assuming that majority of Bangladesh supports the Awami League.

Yeah..you could assume as they had a landslide win in fair (;)) election !!! and the result was known before by many officials who were involved in election duty :victory: .
 
. . .
read 1st post again...

1. '"the state shall endeavour to consolidate, preserve and strengthen fraternal relations among Muslim countries based on Islamic solidarity.

2. Zia reached out to non- Bengali minorities such as the Santals, Garos, Manipuris and Chakmas, as well as the Urdu-speaking peoples of Bihari origin.
 
. .
What was his policy with respect to Pakistan ?

Bangladesh-Pakistan brotherly relation regenerated during his time. He was very much Islamic minded. He lived and die like Mumin. In very short time he became important leader in greater Islamic world. He was among the few leaders were appointed to end the war between Iran-Iraq.

He was awarded with Sitara e Jurat by Pakistan government for his role in 65 war against India.
 
. . .
The number of national leaders murdered in the sub continent is staggering.

Shows the (understandable) weakness of our young nations.
 
.
Back
Top Bottom