Black_cats
ELITE MEMBER
- Joined
- Dec 31, 2010
- Messages
- 10,031
- Reaction score
- -5
Bangladesh will give water to India from Feni river
India wants water from the Feni river in Bangladesh to provide safe drinking water to the people of Tripura. And from a humanitarian point of view, Bangladesh has in principle agreed to provide water to the neighboring country. The information was obtained from sources in the Ministry of Water Resources and Foreign Affairs.
ভারতকে ফেনী নদী থেকে পানি দেবে বাংলাদেশ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক| ২১:১৮:০০ মিনিট, আগস্ট ১১, ২০১৯
http://bonikbarta.net/bangla/news/2019-08-11/205973/ভারতকে-ফেনী নদী-থেকে-পানি-দেবে-বাংলাদেশ--/
ত্রিপুরার জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ খাওয়ার পানি সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে পানি চায় ভারত। আর মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিবেশী দেশটিকে ফেনী নদীর পানি দিতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। পানিসম্পদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ভারতের ত্রিপুরার সাবরুম শহরে খাওয়ার পানির সংকট চলছে। শহরটির বাসিন্দাদের খাওয়ার পানি সরবরাহের জন্য ভারতীয় পক্ষের মানবিক অনুরোধে সাড়া দিয়ে পানি দেয়ার ব্যাপারে নীতিগত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের পানিসম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ফেনী নদী থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি চেয়েছিল ভারত। ভারত পাম্পের মাধ্যমে ফেনী নদী থেকে পানি নিতে পারে বলে সে সময় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে কতটুকু পানি নেবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রায় আট বছর পর সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের পানিসম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বণিক বার্তাকে বলেন, ভারত তার জনগণকে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের কাছে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি চেয়েছে, যা ফেনী নদীর মোট প্রবাহের ২ থেকে ৩ শতাংশ। বাংলাদেশ মানবিক দৃষ্টিকোণে এ পানি দেয়ার বিষয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের পানিসম্পদ সচিব পর্যায়ের ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার ও ভারতের পক্ষে দেশটির পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব উপেন্দ্র প্রসাদ সিং নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির আওতায় প্রাপ্ত পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষ্যে যৌথভাবে সমীক্ষা ও বাংলাদেশে গঙ্গা-পদ্মা ব্যারাজ নির্মাণে ভারতীয় কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা; অন্যান্য অভিন্ন নদী যেমন—মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানিবণ্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন; আপারা সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পের ইনটেক চ্যানেলের (রহিমপুর খাল) অবশিষ্ট অংশের খননকাজ বাস্তবায়ন; বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা সম্প্রসারণ; বাংলাদেশের আখাউড়ায় সিঅ্যান্ডবি খাল ও জাজি নদীতে দূষণ রোধ; আন্তঃসীমান্ত নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানিসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা; পশ্চিম বাংলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই, পুনর্ভবা ও টাঙ্গন নদ-নদীতে শুষ্ক মৌসুমে প্রবাহ কমে যাওয়া; বাংলাদেশের চিনিকল থেকে নির্গত তরল বর্জ্য দ্বারা পশ্চিম বাংলার মাথাভাঙ্গা-চূর্ণী নদী দূষণ এবং ফেনী নদী থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনের মাধ্যমে ত্রিপুরার সাবরুম শহরে ‘ড্রিংকিং ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম’ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়।
India wants water from the Feni river in Bangladesh to provide safe drinking water to the people of Tripura. And from a humanitarian point of view, Bangladesh has in principle agreed to provide water to the neighboring country. The information was obtained from sources in the Ministry of Water Resources and Foreign Affairs.
ভারতকে ফেনী নদী থেকে পানি দেবে বাংলাদেশ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক| ২১:১৮:০০ মিনিট, আগস্ট ১১, ২০১৯
http://bonikbarta.net/bangla/news/2019-08-11/205973/ভারতকে-ফেনী নদী-থেকে-পানি-দেবে-বাংলাদেশ--/
ত্রিপুরার জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ খাওয়ার পানি সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে পানি চায় ভারত। আর মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিবেশী দেশটিকে ফেনী নদীর পানি দিতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। পানিসম্পদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ভারতের ত্রিপুরার সাবরুম শহরে খাওয়ার পানির সংকট চলছে। শহরটির বাসিন্দাদের খাওয়ার পানি সরবরাহের জন্য ভারতীয় পক্ষের মানবিক অনুরোধে সাড়া দিয়ে পানি দেয়ার ব্যাপারে নীতিগত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের পানিসম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ফেনী নদী থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি চেয়েছিল ভারত। ভারত পাম্পের মাধ্যমে ফেনী নদী থেকে পানি নিতে পারে বলে সে সময় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে কতটুকু পানি নেবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রায় আট বছর পর সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের পানিসম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বণিক বার্তাকে বলেন, ভারত তার জনগণকে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের কাছে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি চেয়েছে, যা ফেনী নদীর মোট প্রবাহের ২ থেকে ৩ শতাংশ। বাংলাদেশ মানবিক দৃষ্টিকোণে এ পানি দেয়ার বিষয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের পানিসম্পদ সচিব পর্যায়ের ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার ও ভারতের পক্ষে দেশটির পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব উপেন্দ্র প্রসাদ সিং নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির আওতায় প্রাপ্ত পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষ্যে যৌথভাবে সমীক্ষা ও বাংলাদেশে গঙ্গা-পদ্মা ব্যারাজ নির্মাণে ভারতীয় কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা; অন্যান্য অভিন্ন নদী যেমন—মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানিবণ্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন; আপারা সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পের ইনটেক চ্যানেলের (রহিমপুর খাল) অবশিষ্ট অংশের খননকাজ বাস্তবায়ন; বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা সম্প্রসারণ; বাংলাদেশের আখাউড়ায় সিঅ্যান্ডবি খাল ও জাজি নদীতে দূষণ রোধ; আন্তঃসীমান্ত নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানিসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা; পশ্চিম বাংলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই, পুনর্ভবা ও টাঙ্গন নদ-নদীতে শুষ্ক মৌসুমে প্রবাহ কমে যাওয়া; বাংলাদেশের চিনিকল থেকে নির্গত তরল বর্জ্য দ্বারা পশ্চিম বাংলার মাথাভাঙ্গা-চূর্ণী নদী দূষণ এবং ফেনী নদী থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনের মাধ্যমে ত্রিপুরার সাবরুম শহরে ‘ড্রিংকিং ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম’ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়।