What's new

Mujib Refused to Sign UDI: Tajuddins' daughter

@ You are in a fool's paradize. No Bengali muslim wants rather believe that India can be their friend ? It had been proved many a times. Your these lose arguments have no impact on us.

@ A historial events have always a tremendous impact on the coming generation. I have not seen the Calcutta riot of 1946 but it is still fresh in my mind as because I heard many things from my father.

@ I heard from father how the local administration mainly Hindus tried to manipulate the general election of 1946 in Bengal but failed drastically. Around 97 % Muslims voted for united Pakistan.

@ I have seen the feeling of Bengali people in 1965 war in East Pakistan. Although there was only a three Brigrades of Pakistan Army stationed in the then East Pakistan but there were ample of "Mujaheeds" and "Ansars" in each village and Thanas.

@ In the last 43 years India has conspired against us in many many aspects including sponsoring 2 decades of insurgency in Chittagong Hill Tracts.

@ After the killing of Mujib in 1975 once the Kader Siddique and his flowers fled to India, India gave them food, shelter, arms and trained to fight against Bangladesh. Even Russians advisers came to help them. Thanks to Janata Party once they came to power in 1977 they stopped all these activities.

@ India made and still making a conspiracy to make a separate country named "Bongo Bhumi" comprising greater Division of Khulna and Barisal in order to solve the refugee problem of 1947.

@ India is also making conspiracy to take away Sylhet from Bangladesh which was ceceded to East Pakistan through a referendum of 1946/47 by the UK.



Let these Ignorant Indians live in their Fool's Paradise, Brother......

Actually what @Contrarian and other Indians like him are saying is more to sooth their own nerves and for their own consumption. If it helps them sleep at night, so be it.
 
.
Let these Ignorant Indians live in their Fool's Paradise, Brother......

Actually what @Contrarian and other Indians like him are saying is more to sooth their own nerves and for their own consumption. If it helps them sleep at night, so be it.

It is that (telling their internal sheeple audience) as well as to tell the world that RAW has managed well their Bangladesh front, by killings and terrorism, they have successfully installed their puppet dictator. But run along now, everything is fine and dandy, there is nothing for you to see here, move along now please.

India and Bangladesh are now the greatest of friends among nations of the world.
 
.
Mujib is a difficult character to come in conclusion even impossible as we are unable or unwilling to impartially judge him . from his act during that period it can be said he was cunningly working for a independent Bangladesh without malign himself as a traitor so that he can have the chance of becoming Prime minister of Pakistan or father of a nation altogether.
 
.
Of relevance -----

তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন ‘মডারেট ইসলামপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট’

75043_1.JPG
29 Apr, 2014
তাজউদ্দীন আহমদের বড় মেয়ে ৫৪ বছর বয়সী শারমিন আহমদ রিপি আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে একজন মডারেট-ইসলামপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন।

তাজউদ্দীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পবিত্র কোরআনের হাফেজ হলেও তিনি ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের কট্টর সমর্থক ছিলেন।

কমিউনিস্ট পার্টির গোপন সদস্য হিসেবে তিনি আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শ কায়েমে সক্রিয় ছিলেন বলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে।

স্বাধীনতার পর সমাজতান্ত্রিক আদর্শ কায়েমের প্রশ্নে স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দ্বন্দ্বের জেরে দেশের প্রথম মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন তাজউদ্দীন।

বাবা তাজউদ্দীন ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের সমর্থক হলেও মেয়ে শারমিন আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামী থিঙ্ক ট্যাংক প্রতিষ্ঠা, আমেরিকান মুসলমানদের নেটওয়ার্কিং, ইসলামী নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজে জড়িত।

তার সাথে মিশর ভিত্তিক ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসানুল বান্নার নাতি ও বুদ্ধিজীবী তারিক রামাদানের যোগাযোগ রয়েছে।

শারমিন ব্রাদারহুডের ‘বুদ্ধিবৃত্তিক নেতা’ ইউসুফ আল কারযাভির ইমামতিতে ২০১১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মিশরের তাহরির স্কয়ারে জুমার নামাজ পড়তে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

শারমিনের মতে, কারযাভি ‘প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, পণ্ডিত ও লেখক’। ‘ইসলামকে আধুনিক যুগের আলোকে ব্যাখ্যা, মধ্যপ্রাচ্যে গণতন্ত্র ও অবাধ মুক্ত নির্বাচনের পক্ষে বলিষ্ঠ লেখনী ও কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি স্বদেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন’।

সম্প্রতি আমেরিকান নাগরিক শারমিনের ‘তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। এ বইয়ে তিনি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।

গত ১৮ এপ্রিল ঢাকায় শারমিনের বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম রূপকার তাজউদ্দীনের বড় মেয়ের নতুন ভূমিকা দেখে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডেও বিস্ময় তৈরি হয়েছে।
sharmin-with-taz.jpg


‘তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা’ বইকে কেন্দ্র করে শারমিনকে নিয়ে সারা দেশে যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সে পরিপ্রেক্ষিতে শারমিনের ব্যাপারে তথ্যানুসন্ধান করে অনলাইন বাংলা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ১৯৫৯ সালের ২৬ এপ্রিল তাজউদ্দীন ও সৈয়দা জোহরা খাতুন লিলির বিয়ে হয়। ১৯৬০ সালে এ দম্পতির প্রথম সন্তান শারমিনের জন্ম হয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় শারমিনের বয়স ছিল ১১ বছর। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর তাজউদ্দীনসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যার সময় তার বয়স হয়েছিল ১৫ বছর।

বাবার মৃত্যুর প্রায় ৯ বছর পর শারমিন আমেরিকায় পাড়ি জমান। এরপর তিনি জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ‘উইমেন স্টাডিজ’-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এখান থেকে তিনি উইমেন স্টাডিজ স্কলার অ্যাওয়ার্ড ও ফেলোশিপও অর্জন করেন।

আমেরিকায় শারমিনের ভূমিকা সম্পর্কে জানা যায়, তিনি ‘মিনারেট অব ফ্রিডম ইনস্টিটিউট’, ‘দ্য আমেরিকান মুসলিম’ ‘উন্নয়নে নারী’ ও ‘সংহতি’ নামক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত।

১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘দ্য মিনারেট অব ফ্রিডম ইনস্টিটিউট’ ইসলামী নীতি গবেষণা বিষয়ক থিংক ট্যাঙ্ক। এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ইমাদ আদ দীন আহমদ ও সহকারি প্রতিষ্ঠাতা শারমিন।

আমেরিকার মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বেথেসডার রোজডেল অ্যাভিনিউ’র ৪৩২৩ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত দ্য মিনারেট অব ফ্রিডম ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করেন শারমিন।

বর্তমানে তিনি প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জাতিসংঘ ও এর বেসরকারি সংস্থা কমিটিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিত্ব করেন।
Sharmin-Ahmad-tahrir-square.jpg


প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে তার পরিচয় দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, শারমিন একজন বাংলাদেশি লেখক, যিনি সামাজিক-রাজনৈতিক ও ইসলামী ইস্যুতে লেখালেখি করেন। এতে তাকে মানবাধিকার অ্যাক্টিভিস্ট তুলে ধরে বলা হয়েছে, তিনি বিশেষত নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেন।

প্রতিষ্ঠানটি শারমিনকে ‘হৃদয়ের রংধনু’ বইয়ের লেখক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এটি একটি গল্প যা ১৯৯৫ সালে সাপ্তাহিক রোববার পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে এটি ২০০৩ সালে বই হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। যা তিনি উৎসর্গ করেছিলেন মা সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনকে।

‘হৃদয়ের রংধনু’ বইটি যুক্তরাষ্ট্রের মন্টগোমেরি কাউন্টির সরকারি বিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যসূচিতে স্থান করে নিয়েছে। বইটিকে প্রাথমিক ও মধ্যম স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অনন্য বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাবিদরা।

প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, মিশর ভিত্তিক আরব ইসলামপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ হাসানুল বান্নার নাতি বুদ্ধিজীবী তারিক রামাদান নিজের একটি বই তার স্বাক্ষরসহ শারমিনকে উপহার দিচ্ছেন।

মিনারাটে তারিক ‘স্বাধীনতা ও ইসলামী মূল্যবোধ’ বিষয়ক লেকচার দিতে আসেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি শারমিনকে বইটি উপহার দেন।

শারমিন ‘দ্য আমেরিকান মুসলিম ডট ওআরজি’ বা ‘ট্যাম’ নামক একটি নেটওয়ার্কের সেক্রেটারি ও পরিচালক। এটি মূলত একটি জার্নাল হিসেবে ১৯৮৯-৯৫ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। পরে এটি ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত ইমেইল নিউজলেটার হিসেবে প্রকাশিত হয়ে পরে ওয়েবসাইটে রূপান্তরিত হয়।

ট্যাম থেকে প্রথম আমেরিকার ইসলামী রিসোর্স ডিরেক্টরি প্রকাশিত হয়। এতে আমেরিকার মসজিদ, মুসলিম স্কুল, সংগঠন ও আমেরিকা প্রথম মুসলমানদের তালিকা তুলে ধরা হয়।

ট্যাম এর ওয়েবসাইটটি হাজারেরও বেশি ওয়েবসাইটের সাথে লিঙ্ক করা। ওয়েবসাইটটি বর্তমানে প্রতিদিন ৪০ হাজারেরও বেশি ভিজিটর দেখে থাকেন।

শারমিন ‘উন্নয়নে নারী’ ও ‘সংহতি’ নামক দুটো প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্য। অসহায় নারীদের সহযোগিতায় কাজ করে ওই দুটি সংগঠন। এছাড়া শারমীন নারী ও শিশুর ক্ষমতায়ন বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহয়তা বিষয়ে কাজ করেন।

তিনি বেইজিংয়ের চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন ও তেহরানের প্রথম আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সম্মেলনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

পেশাজীবী নারীর অধিকার উন্নয়নে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান সোরোপটিমিস্ট ইন্টারন্যাশনাল ‘বিশিষ্ট নারী অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন তিনি। ‘বিশ্বব্যাপী সদিচ্ছা ও প্রতীতি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান’ রাখায় তাকে ওই পুরস্কার দেয়া হয়।

তিনি আমেরিকার স্বাস্থ্য বিভাগের একজন পরামর্শক হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে নারীর প্রজনন অঙ্গহানির বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করেন।

তিনি টেলিভিশন ও রেডিওতে টক শো করেন। আমেরিকার প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টে তিনি নিয়মিত লেখালেখি করেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে তার সম্পাদকীয় কলাম প্রকাশিত হয়েছে।

মিশরীয় স্বামী
শারমিন মিশরীয়-আমেরিকান আমর খাইরি আবদুল্লাহকে বিয়ে করেন। বার্তা সংস্থা এনা’ পরিবেশিত এক লেখায় তিনি তার স্বামী আমরের সাথে বিয়ে ও তার পরিচয় দেন।

শারমিন লেখেন, ‘আমার স্বামী জীবনসাথী আমর খাইরি আবদাল্লার সাথে প্রথম পরিচয় ১৯৯৮ সালে বসন্তের এক মনোরম সন্ধ্যায়। ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের এক মানবাধিকার অ্যাওয়ার্ড প্রদান সম্মেলনে আম্মা (জোহরা তাজউদ্দীন) ও আমার পাশেই আমর বসেছিল।’

‘আমরের সাথে আলাপচারিতায় আম্মা মুগ্ধ। এ ব্যক্তি আমার যথার্থ জীবন সাথী হবে এ চিন্তা আম্মার মনে উদয় হয়। মায়ের মন যাকে বলে! পরবর্তীতে আমর প্রস্তাব দেয়ার পর আম্মার আশীর্বাদ নিয়ে আমরের সাথে আমার নতুন জীবন শুরু হয়।’
sharmin-with-amr-khairy.jpg


আমরের পরিচয় দিয়ে তিনি লেখেন, ‘আমরের জন্মভূমি মিশর। সেখানেই সে বড় হয়েছে। ল’ পাস করার পর কর্মজীবন শুরু করে কায়রোতে, পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে। পরে পেশা পরিবর্তন করে কনফ্লিক্ট রেজ্যুলেশন ও পিস স্টাডিতে পিএইচডি. করে ভার্জিনিয়ার জর্জ মেইসন ইউনিভার্সিটি থেকে।’

‘জর্জ মেইসন ইউনিভার্সিটিতে বহু বছর কাজ করার পর বর্তমানে আমর কোস্তারিকায় অবস্থিত জাতিসংঘ ম্যান্ডেটেড ইউনিভার্সিটি ফর পিস-এর ভাইস রেক্টর এবং পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট রেজ্যুলেশন বিষয়ের প্রফেসর।’

শারমিন ও তার স্বামী আমর ইহুদি ও খৃস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের লোকদের সাথে মুসলমানদের হয়ে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ করে থাকেন। শারমিন এ সংক্রান্ত অসংখ্য কর্মশালার সংগঠক ও পরিচালক।

বিয়ের এক বছর পর ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তারা ইসলামিক শিক্ষা বিষয়ে ইহুদীদের রোশ হোশোনা উৎসব চলাকালীন পুনর্গঠিত ইহুদি ধর্মসভায় তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

হুয়েটন হাই স্কুলে আয়োজিত এ ধর্মসভায় চারশ’ এর অধিক লোকের সমাগম হয়েছিল। এ সভায় তারা মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, দয়া ও সহানুভূতি সম্পর্কে ইসলামের অবস্থান তুলে ধরেছিলেন।

এখানে তারা কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করে শোনান। সভায় উপস্থিত ব্যক্তিরা উভয়কে দাঁড়িয়ে তুমুল করতালি ও সাদর সম্ভাষণ জানান। হাত মিলিয়ে এবং চুমু দেয়ার মাধ্যমে তাদের উপস্থাপনাকে গ্রহণ করেন।

২০১১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারির গণঅভ্যুত্থানে মোবারকের পতন ঘটলে স্ত্রী শারমিনকে সাথে নিয়ে আমর ১৮ তাহরির স্কয়ারে উড়ে গিয়েছিলেন। এ অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় মিশরের চার হাজার বছরের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হন ব্রাদারহুড নেতা মোহাম্মদ মুরসি।

তাহরির স্কয়ারে উপস্থিত থাকার ঘটনায় শারমিন নিজেকে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবানদের একজন’ হিসেবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এ সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে শারমিন ‘ডটার অব বাংলাদেশ লিবারেশন উইটনেস তাহরির ইমান্সিপেশন ইন ইজিপ্ট: আ কান্ট্রি দ্যাট ওয়াজ রক্ড বাই আ রেভ্যুলুশন’ শীর্ষক ৪০ পৃষ্ঠার একটি বই লেখেন।

এনা পরিবেশিত এ সংক্রান্ত লেখায় শারমিন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আল বান্নার প্রশংসা করেন।

তিনি লেখেন, ‘স্কুল শিক্ষক হাসান আল বান্না ইসলামের আদর্শকে জনহিতকর ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রতিষ্ঠা করেন ১৯২৮ সালে।’

‘খুব শিগগিরই তৃণমূলে এ সংগঠন জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরবর্তীতে সহিংসতার পথ বেছে নেয়ায় ব্রাদারহুড বিতর্কিত হয়।...’

‘১৯৭১-এর গণহত্যার দোসর বাংলাদেশের জামায়াত-ই-ইসলামীসহ বহু ইসলামী সংগঠন প্রভাবিত হয় ব্রাদারহুডের নেতা সাঈয়েদ কুতুবের চরমপন্থী রাজনৈতিক মতাদর্শে।’

‘১৯৭০ সালে ব্রাদারহুড সহিংসতার পথ বিসর্জনের ঘোষণা দেয়। বহু চড়াই-উতরাই পার হয়ে মুসলিম ব্রাদারহুড বর্তমানে ফিরে এসেছে হাসান আল বান্না প্রবর্তিত সংগঠনের মূল লক্ষ্যে।’

অনলাইন বাংলা
Share on facebook Share on email Share on print 28
 
.
Of relevance -----
তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন ‘মডারেট ইসলামপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট’
75043_1.JPG
29 Apr, 2014
তাজউদ্দীন আহমদের বড় মেয়ে ৫৪ বছর বয়সী শারমিন আহমদ রিপি আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে একজন মডারেট-ইসলামপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন।

তাজউদ্দীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পবিত্র কোরআনের হাফেজ হলেও তিনি ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের কট্টর সমর্থক ছিলেন।

কমিউনিস্ট পার্টির গোপন সদস্য হিসেবে তিনি আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শ কায়েমে সক্রিয় ছিলেন বলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে।

স্বাধীনতার পর সমাজতান্ত্রিক আদর্শ কায়েমের প্রশ্নে স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দ্বন্দ্বের জেরে দেশের প্রথম মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন তাজউদ্দীন।

বাবা তাজউদ্দীন ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের সমর্থক হলেও মেয়ে শারমিন আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামী থিঙ্ক ট্যাংক প্রতিষ্ঠা, আমেরিকান মুসলমানদের নেটওয়ার্কিং, ইসলামী নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজে জড়িত।

তার সাথে মিশর ভিত্তিক ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসানুল বান্নার নাতি ও বুদ্ধিজীবী তারিক রামাদানের যোগাযোগ রয়েছে।

শারমিন ব্রাদারহুডের ‘বুদ্ধিবৃত্তিক নেতা’ ইউসুফ আল কারযাভির ইমামতিতে ২০১১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মিশরের তাহরির স্কয়ারে জুমার নামাজ পড়তে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

শারমিনের মতে, কারযাভি ‘প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, পণ্ডিত ও লেখক’। ‘ইসলামকে আধুনিক যুগের আলোকে ব্যাখ্যা, মধ্যপ্রাচ্যে গণতন্ত্র ও অবাধ মুক্ত নির্বাচনের পক্ষে বলিষ্ঠ লেখনী ও কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি স্বদেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন’।

সম্প্রতি আমেরিকান নাগরিক শারমিনের ‘তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। এ বইয়ে তিনি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।

গত ১৮ এপ্রিল ঢাকায় শারমিনের বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম রূপকার তাজউদ্দীনের বড় মেয়ের নতুন ভূমিকা দেখে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডেও বিস্ময় তৈরি হয়েছে।
sharmin-with-taz.jpg


‘তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা’ বইকে কেন্দ্র করে শারমিনকে নিয়ে সারা দেশে যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সে পরিপ্রেক্ষিতে শারমিনের ব্যাপারে তথ্যানুসন্ধান করে অনলাইন বাংলা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ১৯৫৯ সালের ২৬ এপ্রিল তাজউদ্দীন ও সৈয়দা জোহরা খাতুন লিলির বিয়ে হয়। ১৯৬০ সালে এ দম্পতির প্রথম সন্তান শারমিনের জন্ম হয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় শারমিনের বয়স ছিল ১১ বছর। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর তাজউদ্দীনসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যার সময় তার বয়স হয়েছিল ১৫ বছর।

বাবার মৃত্যুর প্রায় ৯ বছর পর শারমিন আমেরিকায় পাড়ি জমান। এরপর তিনি জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ‘উইমেন স্টাডিজ’-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এখান থেকে তিনি উইমেন স্টাডিজ স্কলার অ্যাওয়ার্ড ও ফেলোশিপও অর্জন করেন।

আমেরিকায় শারমিনের ভূমিকা সম্পর্কে জানা যায়, তিনি ‘মিনারেট অব ফ্রিডম ইনস্টিটিউট’, ‘দ্য আমেরিকান মুসলিম’ ‘উন্নয়নে নারী’ ও ‘সংহতি’ নামক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত।

১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘দ্য মিনারেট অব ফ্রিডম ইনস্টিটিউট’ ইসলামী নীতি গবেষণা বিষয়ক থিংক ট্যাঙ্ক। এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ইমাদ আদ দীন আহমদ ও সহকারি প্রতিষ্ঠাতা শারমিন।

আমেরিকার মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বেথেসডার রোজডেল অ্যাভিনিউ’র ৪৩২৩ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত দ্য মিনারেট অব ফ্রিডম ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করেন শারমিন।

বর্তমানে তিনি প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জাতিসংঘ ও এর বেসরকারি সংস্থা কমিটিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিত্ব করেন।
Sharmin-Ahmad-tahrir-square.jpg


প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে তার পরিচয় দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, শারমিন একজন বাংলাদেশি লেখক, যিনি সামাজিক-রাজনৈতিক ও ইসলামী ইস্যুতে লেখালেখি করেন। এতে তাকে মানবাধিকার অ্যাক্টিভিস্ট তুলে ধরে বলা হয়েছে, তিনি বিশেষত নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেন।

প্রতিষ্ঠানটি শারমিনকে ‘হৃদয়ের রংধনু’ বইয়ের লেখক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এটি একটি গল্প যা ১৯৯৫ সালে সাপ্তাহিক রোববার পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে এটি ২০০৩ সালে বই হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। যা তিনি উৎসর্গ করেছিলেন মা সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনকে।

‘হৃদয়ের রংধনু’ বইটি যুক্তরাষ্ট্রের মন্টগোমেরি কাউন্টির সরকারি বিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যসূচিতে স্থান করে নিয়েছে। বইটিকে প্রাথমিক ও মধ্যম স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অনন্য বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাবিদরা।

প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, মিশর ভিত্তিক আরব ইসলামপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ হাসানুল বান্নার নাতি বুদ্ধিজীবী তারিক রামাদান নিজের একটি বই তার স্বাক্ষরসহ শারমিনকে উপহার দিচ্ছেন।

মিনারাটে তারিক ‘স্বাধীনতা ও ইসলামী মূল্যবোধ’ বিষয়ক লেকচার দিতে আসেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি শারমিনকে বইটি উপহার দেন।

শারমিন ‘দ্য আমেরিকান মুসলিম ডট ওআরজি’ বা ‘ট্যাম’ নামক একটি নেটওয়ার্কের সেক্রেটারি ও পরিচালক। এটি মূলত একটি জার্নাল হিসেবে ১৯৮৯-৯৫ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। পরে এটি ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত ইমেইল নিউজলেটার হিসেবে প্রকাশিত হয়ে পরে ওয়েবসাইটে রূপান্তরিত হয়।

ট্যাম থেকে প্রথম আমেরিকার ইসলামী রিসোর্স ডিরেক্টরি প্রকাশিত হয়। এতে আমেরিকার মসজিদ, মুসলিম স্কুল, সংগঠন ও আমেরিকা প্রথম মুসলমানদের তালিকা তুলে ধরা হয়।

ট্যাম এর ওয়েবসাইটটি হাজারেরও বেশি ওয়েবসাইটের সাথে লিঙ্ক করা। ওয়েবসাইটটি বর্তমানে প্রতিদিন ৪০ হাজারেরও বেশি ভিজিটর দেখে থাকেন।

শারমিন ‘উন্নয়নে নারী’ ও ‘সংহতি’ নামক দুটো প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্য। অসহায় নারীদের সহযোগিতায় কাজ করে ওই দুটি সংগঠন। এছাড়া শারমীন নারী ও শিশুর ক্ষমতায়ন বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহয়তা বিষয়ে কাজ করেন।

তিনি বেইজিংয়ের চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন ও তেহরানের প্রথম আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সম্মেলনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

পেশাজীবী নারীর অধিকার উন্নয়নে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান সোরোপটিমিস্ট ইন্টারন্যাশনাল ‘বিশিষ্ট নারী অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন তিনি। ‘বিশ্বব্যাপী সদিচ্ছা ও প্রতীতি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান’ রাখায় তাকে ওই পুরস্কার দেয়া হয়।

তিনি আমেরিকার স্বাস্থ্য বিভাগের একজন পরামর্শক হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে নারীর প্রজনন অঙ্গহানির বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করেন।

তিনি টেলিভিশন ও রেডিওতে টক শো করেন। আমেরিকার প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টে তিনি নিয়মিত লেখালেখি করেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে তার সম্পাদকীয় কলাম প্রকাশিত হয়েছে।

মিশরীয় স্বামী
শারমিন মিশরীয়-আমেরিকান আমর খাইরি আবদুল্লাহকে বিয়ে করেন। বার্তা সংস্থা এনা’ পরিবেশিত এক লেখায় তিনি তার স্বামী আমরের সাথে বিয়ে ও তার পরিচয় দেন।

শারমিন লেখেন, ‘আমার স্বামী জীবনসাথী আমর খাইরি আবদাল্লার সাথে প্রথম পরিচয় ১৯৯৮ সালে বসন্তের এক মনোরম সন্ধ্যায়। ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের এক মানবাধিকার অ্যাওয়ার্ড প্রদান সম্মেলনে আম্মা (জোহরা তাজউদ্দীন) ও আমার পাশেই আমর বসেছিল।’

‘আমরের সাথে আলাপচারিতায় আম্মা মুগ্ধ। এ ব্যক্তি আমার যথার্থ জীবন সাথী হবে এ চিন্তা আম্মার মনে উদয় হয়। মায়ের মন যাকে বলে! পরবর্তীতে আমর প্রস্তাব দেয়ার পর আম্মার আশীর্বাদ নিয়ে আমরের সাথে আমার নতুন জীবন শুরু হয়।’
sharmin-with-amr-khairy.jpg


আমরের পরিচয় দিয়ে তিনি লেখেন, ‘আমরের জন্মভূমি মিশর। সেখানেই সে বড় হয়েছে। ল’ পাস করার পর কর্মজীবন শুরু করে কায়রোতে, পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে। পরে পেশা পরিবর্তন করে কনফ্লিক্ট রেজ্যুলেশন ও পিস স্টাডিতে পিএইচডি. করে ভার্জিনিয়ার জর্জ মেইসন ইউনিভার্সিটি থেকে।’

‘জর্জ মেইসন ইউনিভার্সিটিতে বহু বছর কাজ করার পর বর্তমানে আমর কোস্তারিকায় অবস্থিত জাতিসংঘ ম্যান্ডেটেড ইউনিভার্সিটি ফর পিস-এর ভাইস রেক্টর এবং পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট রেজ্যুলেশন বিষয়ের প্রফেসর।’

শারমিন ও তার স্বামী আমর ইহুদি ও খৃস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের লোকদের সাথে মুসলমানদের হয়ে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ করে থাকেন। শারমিন এ সংক্রান্ত অসংখ্য কর্মশালার সংগঠক ও পরিচালক।

বিয়ের এক বছর পর ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তারা ইসলামিক শিক্ষা বিষয়ে ইহুদীদের রোশ হোশোনা উৎসব চলাকালীন পুনর্গঠিত ইহুদি ধর্মসভায় তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

হুয়েটন হাই স্কুলে আয়োজিত এ ধর্মসভায় চারশ’ এর অধিক লোকের সমাগম হয়েছিল। এ সভায় তারা মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, দয়া ও সহানুভূতি সম্পর্কে ইসলামের অবস্থান তুলে ধরেছিলেন।

এখানে তারা কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করে শোনান। সভায় উপস্থিত ব্যক্তিরা উভয়কে দাঁড়িয়ে তুমুল করতালি ও সাদর সম্ভাষণ জানান। হাত মিলিয়ে এবং চুমু দেয়ার মাধ্যমে তাদের উপস্থাপনাকে গ্রহণ করেন।

২০১১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারির গণঅভ্যুত্থানে মোবারকের পতন ঘটলে স্ত্রী শারমিনকে সাথে নিয়ে আমর ১৮ তাহরির স্কয়ারে উড়ে গিয়েছিলেন। এ অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় মিশরের চার হাজার বছরের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হন ব্রাদারহুড নেতা মোহাম্মদ মুরসি।

তাহরির স্কয়ারে উপস্থিত থাকার ঘটনায় শারমিন নিজেকে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবানদের একজন’ হিসেবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এ সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে শারমিন ‘ডটার অব বাংলাদেশ লিবারেশন উইটনেস তাহরির ইমান্সিপেশন ইন ইজিপ্ট: আ কান্ট্রি দ্যাট ওয়াজ রক্ড বাই আ রেভ্যুলুশন’ শীর্ষক ৪০ পৃষ্ঠার একটি বই লেখেন।

এনা পরিবেশিত এ সংক্রান্ত লেখায় শারমিন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আল বান্নার প্রশংসা করেন।

তিনি লেখেন, ‘স্কুল শিক্ষক হাসান আল বান্না ইসলামের আদর্শকে জনহিতকর ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রতিষ্ঠা করেন ১৯২৮ সালে।’

‘খুব শিগগিরই তৃণমূলে এ সংগঠন জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরবর্তীতে সহিংসতার পথ বেছে নেয়ায় ব্রাদারহুড বিতর্কিত হয়।...’

‘১৯৭১-এর গণহত্যার দোসর বাংলাদেশের জামায়াত-ই-ইসলামীসহ বহু ইসলামী সংগঠন প্রভাবিত হয় ব্রাদারহুডের নেতা সাঈয়েদ কুতুবের চরমপন্থী রাজনৈতিক মতাদর্শে।’

‘১৯৭০ সালে ব্রাদারহুড সহিংসতার পথ বিসর্জনের ঘোষণা দেয়। বহু চড়াই-উতরাই পার হয়ে মুসলিম ব্রাদারহুড বর্তমানে ফিরে এসেছে হাসান আল বান্না প্রবর্তিত সংগঠনের মূল লক্ষ্যে।’

অনলাইন বাংলা
Share on facebook Share on email Share on print 28

@asad71 Bhai, thanks for posting this. Valuable information, as always. Several interesting facts:

- Tajuddin was Quran-e-hafiz but he was the main architect to break Pakistan because he was brainwashed by Indian and Soviet communists I guess, this should teach us a lesson, we should use ideology for our national strategic gain, like Indians and Russians, but not become a slave of this or that ideology, the only exception being Islam of course
- Sharmin Tajuddin her daughter with more world exposure has learnt more about the world and married an Egyptian Muslim, who probably belongs or is sympathetic to Brotherhood, the ideological sister org. of Jamat, I wonder what she thinks of Jamat now?

Finally she has done a great service to Bangladesh and the Muslim world, by exposing Awami League founder Mujib's hypocrisy and opportunist nature and the fact that Mujib never wanted the independence of Bangladesh (a stance I agree with), but when it got independent anyways under Tajuddin's direction, he then became India's ally and removed Tajuddin from the scene. So Kudos to this lady for a job well done.
 
Last edited:
.
Exactly what Mujib had apprehended -- - -

India influences BD policies

11954_1.jpg
01 May, 2014
A US State Department report said that Bangladesh's policy is heavily influenced by regional powers, especially India.

The US State Department submitted the report to the Congress on Thursday.

It is an annual US assessment of trends and events in global terrorism during 2013.

It includes a strategic assessment, country-by-country breakdown of counter-terrorism efforts, and sections on state sponsors of terrorism, terrorist safe havens, and foreign terrorist organisations.

In its Bangladesh section, the State Department report described the country has continued to take strides in the fight against global terrorism.

“The government’s ongoing counter-terrorism efforts have made it more difficult for transnational terrorists to operate in Bangladesh or use its territory,” the report reads.

There were “no major terrorism-related incidents” in Bangladesh in 2013, it says.

Bangladesh government has demonstrated “political will and firm commitment” to combat domestic and transnational terrorist groups, the reporet added.

“Significant improvements have been made in the law, including more extensive criminalization of terrorist financing, prohibition on supporting individuals rather than simply organisations who engage in terrorist activity and an ability to promptly freeze funds and assets of those engaged in or supporting terrorism”.

The report says Bangladesh uses “strategic communication” to counter violent extremism, especially among youth.

The government is also “actively” expanding economic opportunities for women “as a stabilising force against violent religious extremism”.

The US and Bangladesh ‘Counterterrorism Cooperation Initiative’ signed Oct 22 last year to enhance bilateral cooperation, the report mentioned.

Globally, the report found that the terrorist threat continued to evolve rapidly, with an increasing number of groups around the world.

Al-Qa’ida maintained ties with other terrorist organisations in the region, such as Tehrik-e Taliban Pakistan and the Haqqani Network, it says.

In 2013, terrorists in South Asia carried out operations in heavily populated areas and continued to target regional governmental representatives and US citizens, according to the report.


India remained severely affected by and vulnerable to terrorism, including from Pakistan-based groups and their affiliates as well as left-wing violent extremists, the report says.

In response, the Indian government continued to undertake efforts to coordinate its counter-terrorism efforts “more effectively” and expanded its cooperation and coordination with the international community and regional partners, the report added.
Source: banglamail24
Share on facebook Share on email Share on print
 
.
Back
Top Bottom