Summary
Hifazat-e-Islam committee presented a memorandum to (BAL) PM demanding strict punishment for atheist-apostates, failing which a massive koti (10 million) strong rally to be organized in Dhaka on the 6th of April
BAL-Police, as expected, obstructed Hifazat-e-Islam members from presenting the memorandum to (BAL) PM.
??????? ???? ??????? ??????? ??????????????? ?????????? : ?????????? ?????? ?? ???? ? ?????? ????? ???? ??????? ???????? ????????
সারাদেশ থেকে হেফাজতে ইসলামের প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি : নাস্তিকদের শাস্তি না দিলে ৬ এপ্রিল ঢাকায় কোটি মানুষের সমাবেশের হুশিয়ারি
নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তিসহ ১৩ দফা দাবিতে সারাদেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি পালন করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। রাজধানীতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এবং সারাদেশে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে এই স্মারকলিপি দেয়া হয়। এর আগে বিক্ষোভ মিছিল করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। রাজধানীতে স্মারকলিপি দেয়ার আগে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। কারওয়ানবাজার আম্বরশাহ মসজিদ থেকে বাদ জোহর এই মিছিল বের হওয়ার কথা থাকায় আগে থেকেই ওই এলাকা ঘেরাও করে রাখে বিপুলসংখ্যক র্যাব ও পুলিশ। নামাজের পর মিছিল বের করলে পুলিশ নেতাকর্মীদের ঘেরাও করে এতে মিছিল পণ্ড হয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কর্মকর্তাদের কাছে স্মারকলিপির কপি হস্তান্তর করেন। এ সময় কারওয়ানবাজার এলাকা থেকে হেফাজতে ইসলামের ৩ নেতাকে আটক করে পরে ছেড়ে দেয় পুলিশ। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে স্মারকলিপি দেয়ার জন্য হাজার হাজার জনতার বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সেখানে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, অবিলম্বে আল্লাহ ও রাসুলের (সা.) অবমাননা বন্ধ, নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তিসহ সব দাবি পূরণ না হলে ৬ এপ্রিল সারাদেশ থেকে ঢাকামুখী লংমার্চ কর্মসূচির মাধ্যমে কোটি তৌহিদি জনতার মহাসমাবেশ করা হবে।
রাজধানীতে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে বাধা : কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলাম প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিতে গেলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। রাজধানীর কারওয়ানবাজার আম্বরশাহ জামে মসজিদ থেকে বাদ জোহর মিছিল বের করলে এই বাধা দেয়া হয়। এর আগে থেকেই মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়। নামাজের সময় মসজিদের দুই পাশের গেট বন্ধ রেখে শুধু সামনের গেটটি খোলা রাখলেও সেখানে সাঁজোয়া যান নিয়ে কঠোর অবস্থান নেয় পুলিশ। এতে ওই এলাকায় মুসল্লি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতি দেখে মিছিলে যোগ দেয়ার জন্য অনেকে মসজিদে ঢুকতেই সাহস পাননি। আর যারা ঢুকেছিলেন তাদেরও অনেকে মসজিদ থেকে বের হননি। ফলে জোহরের নামাজের পর ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলামের আহ্বায়ক মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, সদস্য সচিব জুনায়েদ আল হাবিব ও অন্যতম নেতা মাওলানা আবদুর রব ইউসুফীর নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হলে মসজিদের গেটেই ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় উত্সুক লোকজন ও সাধারণ মুসল্লিদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয় তারা। শান্তিপূর্ণ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়ায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতারা বলেন, আমরা নাস্তিক ব্লগারসহ ইসলামবিরোধীদের শাস্তির দাবি জানাতে এসেছি। এটা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। তারপরও এই কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সরকার ইসলামবিরোধীদের পক্ষ নিয়েছে। অবিলম্বে নাস্তিকদের শাস্তিসহ সব দাবি না মানলে ৬ এপ্রিল ঢাকামুখী লংমার্চ সফল করে তৌহিদি জনতা দাবি আদায় করে ছাড়বে। পুলিশের বাধার কারণে সেখানেই কর্মসূচি শেষ করা হয়। বক্তব্য শেষে মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে ১৩ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এদিকে মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিকে ঘিরে কারওয়ানবাজার আন্ডার পাস ও প্রথম আলো এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব কড়া অবস্থান নেয়। এ সময় তারা দাড়ি-টুপিধারী এমনকি সাধারণ লোকদেরও রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা হেফাজতে ইসলাম নেতা ও পাক্ষিক মুক্ত আওয়াজ পত্রিকার সম্পাদক আবু সাঈদ নোমান ও মাওলানা ফজলুল হকসহ তিনজনকে পুলিশ আটক করে তেজগাঁও নিয়ে যায়। এক নেতাসহ নোমানকে প্রেস লেখা তার নিজ মাইক্রোবাসে করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও তাদের আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
হাটহাজারীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ : চট্টগ্রাম ব্যুরো ও হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের আলেম-ওলামাদের সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি দেয়াসহ ১৩ দফা দাবিতে গতকাল চট্টগ্রাম নগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসক এবং হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, পটিয়া ও আনোয়ারাসহ বিভিন্ন উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নানের কাছে দেয়া স্মারকলিপিতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলা হয়, কিছু ভ্রষ্ট ও বিপথগামী তরুণ আল্লাহ, ইসলাম, মহানবী (সা.), ইসলাম ধর্মের নানা বিধি-বিধান নিয়ে মিথ্যা ও কুিসত অবমাননাকর বক্তব্য দিয়ে চলেছে। তারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য সুকৌশলে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে বিদ্বেষ ছড়িয়ে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এরপরও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশ থাকার পরও ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিক ব্লগারদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এ অবস্থায় দেশের ধর্মপ্রাণ তৌহিদি জনতা ঘরে বসে থাকতে পারে না। তারা দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের (বেফাক
চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নামক অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। অবিলম্বে সংসদে বিল পাস করে ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি নিশ্চিত না করলে আগামী ৬ এপ্রিল লংমার্চ করে ঢাকায় ৫০ লাখ তৌহিদি জনতার মহাসমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবদুুল মান্নানের কাছে ১৩ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেন হেফাজতে ইসলাম নেতারা। এ সময় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, অর্থ সম্পাদক কাতেব ইলিয়াছ ওসমানী, সাহিত্য সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহার, মাওলানা আবু তাহের আরবী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলা হয়, আমরা আশা করি ধর্মপরায়ণ সরকারপ্রধান ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের নির্বাচিত প্রধান প্রতিনিধি সর্বোপরি একজন নবীপ্রেমিক বিশ্বাসী মুসলমান হিসেবে আপনি আমাদের দাবি-দাওয়াগুলো বাস্তবায়ন করবেন। এতে আরও বলা হয়, বিকৃত মানসিকতার কয়েকজন নাস্তিক ব্লগার মুক্তমনা, ধর্মকারী, সামহোয়্যারইন, আমার ব্লগ, নুরানি চাপা শরিফ ইত্যাদি ব্লগে কয়েক বছর ধরে লিখে যাচ্ছে। এতদিন ধর্মপ্রাণ লেখক-ব্লগাররা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে তাদের জবাব দিয়ে এসেছেন। শাহবাগ চত্বরে প্রথমবারের মতো তারা যখন জনসমক্ষে আবির্ভূত হয় তখন নবীপ্রেমিক জনতার কাছে একের পর এক তাদের কুকীর্তি ব্যাপকভাবে ফাঁস হয়ে যায় এবং দেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমান তাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে। এসব চিহ্নিত নাস্তিক-মুরতাদ ব্লগার দেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বহুধর্মীয় সামাজিক সৌহার্দ নষ্ট করে একদিকে দেশকে অনিবার্য গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়, অন্যদিকে সরকারকে নানামুখী চাপে ফেলে অস্থির ও দিশেহারা করে বিদেশি শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নের অসত্ উদ্দেশে তারা মাঠে নেমেছে। সময় থাকতে তাদের দমন করা না হলে গোটা জাতিকে এর খেসারত দিতে হবে। ধর্ম অবমাননাকারী ব্লগার হিসেবে আসিফ মহিউদ্দিন ও নিহত রাজিবের নাম উল্লেখ করে তাদের আপত্তিকর লেখার দুটি অংশ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করে দাবি করা হয়, ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী সব নাস্তিক ব্লগারের নাম ও তাদের অপকর্মের সব তথ্য-প্রমাণ হেফাজতে ইসলামের হাতে রয়েছে।
এদিকে দেশব্যাপী পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকাল ১১টায় হাটহাজারীতে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ ঘেরাও এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ১৩ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন হেফাজত ইসলামের নেতারা। এ সময় সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম নেতারা আল্লাহ, রাসুল (সা.) এবং ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধান নিয়ে কটূক্তিকারী নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি দাবি, ধর্ম অবমাননা ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ, মসজিদ, মাদরাসা, আলেম-ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন স্থানে হামলা-মামলা ও দমন-নিপীড়ন বন্ধ, প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে ধর্ম অবমাননা এবং নৈতিকতাবিরোধী মন্তব্য ও উদ্ধৃতির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে অবিলম্বে সংশোধনী প্রকাশ এবং সব ধরনের অনাচার-ব্যভিচার বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান। অন্যথায় নেতাকর্মীরা আগামী ৬ এপ্রিল সারাদেশ থেকে ঢাকা অভিমুখী লংমার্চ কর্মসূচির মাধ্যমে কোটি তৌহিদি জনতার মহাসমাবেশ করার হুমকি দেন।
সকাল ১০টায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান পান্নার মাধ্যমে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক
চেয়ারম্যান এবং হেফজাতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির পীরে কামেল শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা হাফেজ শামসুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মুনির আহমদ, মাওলানা শফিউল আলম, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, মাওলানা জাহাঙ্গীর মেহেদী, মাওলানা হাবীবুল হক বাবু, মাওলানা মুহাম্মদ আলমগীর, মাওলানা ইবরাহীম খলিল সিকদার, মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা আবু বকর প্রমুখ। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ লিয়াকত আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি
মোহাম্মদ শামসুজ্জামানসহ উপজেলা পরিষদের অন্য কর্মকর্তারা।
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম
প্রতিনিধি জানান, হেফাতে ইসলাম ফটিকছড়ি উপজেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জনা খান মজলিসের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে নাস্তিক-মুরতাদ ও ধর্মদ্রোহীদের শাস্তি এবং যেকোনো ধর্ম অবমাননাকারীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাসসহ ১০ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। আগামী ৬ এপ্রিলের আগে এ সব দাবি-দাওয়া পূরণ করা না হলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ তৌহিদি জনতাকে নিয়ে ফটিকছড়ি থেকে ঢাকা অভিমুখে লং মার্চে গণজাগরণ সৃষ্টি করবে। স্মারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আইয়ুব, মাওলানা আশরাফ বিন এয়াকুব, মাওলানা ফয়জুল্লাহ, মাওলানা ইলিয়াছ, মাওলানা ওসমান, হাফেজ এরশাদ উল্লাহ, মাওলানা জুনাইদ, মাওলানা সলীম উদ্দীন, মাওলানা দিদারুল আলম, মাওলানা জসিম উদ্দীন, মাওলানা নোমান, মাওলানা নাছির, মাওলানা ইলিয়াস, মাওলানা আমীরুদ্দীন,মাওলানা আজিজুর রহমান, মাওলানা সেলিম প্রমুখ।
কক্সবাজার থেকে আনছার হোসেন জানান মহান আল্লাহ, মহানবী হজরত (স.) ও ইসলামের অবমাননাকারী ধর্মদ্রোহী নাস্তিক ব্লগারদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম কক্সবাজারের রামু উপজেলা শাখা। রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে এই স্মারকলিপি দেয়া হয়। স্মারকলিপিতে নাস্তিক ব্লগারদের সর্বোচ্চ শাস্তির পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি দাবি তোলা হয়েছে। রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও
দেবি চন্দ স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রামু উপজেলা আহ্বায়ক ও রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আমান উল্লাহ সিকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক, রামু কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও জামেয়াতুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ শামসুল হক, নির্বাহী সদস্য রামু জোয়ারিয়ানালা এমদাদুল উলুম মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ আলী, ইসলামী ছাত্রসমাজ কক্সবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর প্রমুখ।
বরিশাল অফিস জানায়, ১০ দফা দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে হেফাজতে ইসলাম বরিশাল শাখা। গতকাল বিভাগের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন হেফাজতে ইসলামের বরিশাল বিভাগীয় আহ্বায়ক মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব ও সদস্য সচিব মাওলানা আবদুল হালিম।
যশোর অফিস জানায়, হেফাজতে ইসলাম যশোর শাখা গতকাল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। স্মারকলিপিতে সংগঠনটি শাহবাগি ধর্মবিদ্বেষী ব্লগারদের গ্রেফতারসহ ১১ দফা দাবি জানায়। জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান হেফাজতে ইসলাম নেতাদের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেবেন বলে জানান। স্মারকলিপি প্রদানকালে মাওলানা আনোয়ারুল করিম যশোরী, মাওলানা আবদুল মান্নান, মাওলানা বেলায়েত হোসেন, মাওলানা নাসিরুল্লাহ, মাওলানা হামিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পেকুয়া (কক্সবাজর
প্রতিনিধি জানান, নাস্তিক, মুরতাদ ও ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারদের শাস্তির দাবি জানিয়ে চকরিয়ার ইউএনওর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে চকরিয়া উপজেলা হেফাজতে ইসলামের নেতারা। গতকাল বিকালে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ চকরিয়া শাখার আমির মুফতি এনামুল হকের নেতৃত্বে একটি দল চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদিনের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলাম চকরিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ারুল আলম, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা শহিদুল্লাহ আশরাফী, নায়েবে আমির মাও. আবদুল মান্নান, যুগ্ম সম্পাদক মাও. ফরিদুল হক প্রমুখ।
এদিকে স্মারকলিপি প্রদান শেষে একইদিন চিরিঙ্গা পৌর শহরের স্থানীয় অভিজাত হোটেলে ১ এপ্রিল চট্টগ্রাম লালদীঘির ময়দানে শানে রেসালত সম্মেলন এবং ৬ এপ্রিল ঢাকামুখী লংমার্চ ও মহাসমাবেশ সফল করতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, পটুয়াখালীতে হেফাজতে ইসলামীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে ধর্মদ্রোহী ও ইসলাম অবমাননাকারী নাস্তিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে হেফাজতে ইসলামের নেতারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম পটুয়াখালী জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ মাও. মো. আবুল কাশেম, উপদেষ্টা আলহাজ মাও. মো. সেকান্দার আলী, সভাপতি মাও. মো. আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক মাও. মো. মোতাহার উদ্দিন, আলহাজ মাও. মো. নাজিমুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
ফুলপুর (ময়মনসিংহ
প্রতিনিধি জানান, গতকাল ময়মনসিংহের ফুলপুর ইত্তেফাকুল ওলামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী স্মারকলিপি পেশ করে। ইত্তেফাকুল ওলামা, ফুলপুর উপজেলা শাখার সভাপতি বালিয়া মাদরাসার মুহ্তামিম মাও. আইনউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএসএম ফেরদৌসের কাছে স্মারকলিপি দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইত্তেফাকুল ওলামা, ফুলপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাও. আবদুল খালেক, মাও. মোখলেছুর রহমানসহ শত শত তৌহিদি জনতা। উপস্থিত জনতা ৬ এপ্রিল ঢাকামুখী লংমার্চে যোগদান করার দৃঢ় ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
কুতুবদিয়া (কক্সবাজার
প্রতিনিধি জানান, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। সকাল ১১টায় হেফাজতে ইসলামের নেতারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আহমদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় তিনি স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রী বরাবরে পাঠিয়ে দেবেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেন। সংগঠনের সভাপতি মাও. এনামুল হক এনামের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা মাও. আবু তাহের, মাও. নুরুল আলম, মাও. আবদুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাও. মিছবাহ উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মাও. ওসমান গণি, মাও. আজিজ রায়হান প্রমুখ। এদিকে ৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লংমার্চ সফল করার লক্ষ্যে ২ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সংগঠনটির কুতুবদিয়া শাখা।
দাউদকান্দি (কুমিল্লা
প্রতিনিধি জানান, দাউদকান্দি উপজেলা হেফাজতে ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার জাকির হোসেন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে নেতৃত্ব দেন সভাপতি হেফাজতে ইসলামে সভাপতি মাও. আনোয়ার উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মাও. নজির আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ মুন্সী, নজরুল ইসলাম ফয়েজী, নায়েবে আমির মাও. আহছান উল্লাহ, মাও. আবুবকর বিন জিহাদী প্রমুখ।
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ দিনাজপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ধর্মদ্রোহী ও ইসলাম অবমাননাকারী নাস্তিক-ব্লগারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণসহ ১৩ দফা দাবিতে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। গতকাল দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে হেফাজতে ইসলাম দিনাজপুর জেলা শাখার নেতারা মিছিল সহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সেখানে জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজীর কাছে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম দিনাজপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক ও ছানাপীর মসজিদের খতিব মাও. মতিউর রহমান কাসেমী, স্টেশন জামে মসজিদের খতিব মাও. আবদুল মান্নান, হেমায়েত আলী মসজিদের খতিব ও দিনাজপুর হেফাজতে ইসলামের সদস্য সচিব মাও. সোহরাব হোসেন প্রমুখ।
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী
প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা হেফাজতে ইসলাম শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি উপজেলা প্রশাসনের মৌখিক নির্দেশে বাতিল করা হয়। জানা যায়, উপজেলার বসুরহাট পুরান বাসস্ট্যান্ডে হেফাজতে ইসলাম কোম্পানীগঞ্জ শাখা ২৫ মার্চ মানববন্ধন কর্মসূচি আহ্বান করে লিফলেট বিতরণ করেন। এ খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল আউয়ালের কার্যালয়ে হেফাজতে ইসলাম কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাও. মো. মোস্তফা (সুফি সাহেব
ও সেক্রেটারি মাও. আলী আহাম্মদসহ আরও কয়েকজন আলেম-ওলামাকে ডেকে নিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করার জন্য মৌখিক নির্দেশ প্রদান করেন। এ নির্দেশের ভয়ে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচি বাতিল করা হয় এবং এলাকার আলেমদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এছাড়া বিয়ানীবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় মিছিল ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে হেফাজতে ইসলাম।