Riyad
FULL MEMBER
- Joined
- Jul 30, 2015
- Messages
- 1,525
- Reaction score
- -5
- Country
- Location
ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলায় আহত ফারাবি সংকটাপন্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:৫১
আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:৫৯
৬৭
লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তুহিন ফারাবিকে। ছবি: প্রথম আলো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীদের হামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক ও তার সঙ্গে থাকা অন্তত ২৪ জন আহত হন। তাদের মধ্যে চারজনকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। পরে ভিপি নুরুল হক, নুরুল হকের ঘনিষ্ঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এপিএম সোহেলকে কেবিনে নেওয়া হয়। তার নুরুলের ছোট ভাই আমিনুরকে এখন রাখা হয়েছে ওএসই (ওয়ান স্টপ এমার্জেন্সি) তে।
আর ধানমন্ডির চার্টার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র তুহিন ফারাবিকে রাখা হয়েছে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে। তুহিনের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।
আজ সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলের ক্যাজুয়ালটি ব্লকের আবাসিক সার্জন মো. আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ফারাবির অবস্থা সংকটাপন্ন। তার শরীরে খিচুনি হচ্ছে। তিনজন জরুরি বিভাগের আইসিইউতে রয়েছেন। বাকি ২০ জনকে জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে।
হামলার প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ কাল সোমবার দুপুরে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ ডেকেছে।
আজ দুপুর ১২টায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। সংগঠনটি মিছিল করে ডাকসু ভবনের দিকে আসে। এ সময় ভিপি নুরুল ২০/২৫ জনকে নিয়ে ডাকসু ভবনে প্রবেশ করছিলেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তারপর নুরুল তার লোকদের নিয়ে ডাকসু ভবনে নিজের কক্ষে চলে যান। এর মধ্যেই ডাকসু ভবনের সামনে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজীত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এবং তাঁদের অনুসারীরা। দুটি সংগঠনের কর্মীরা তখন ডাকসু ভবনের দিকে ইটের টুকরা নিক্ষেপ করতে থাকেন। এ সময় নুরুলের নির্দেশে ডাকসু ভবনের কর্মীরা ভবনের মূল গেটে তালা লাগিয়ে দেন। সাদ্দাম হোসেন একপর্যায়ে বাইরে থাকা নিজ সংগঠনের ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কর্মীদের সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। কোনো ধরনের হামলা মারামারি করতে নিষেধ করেন। তখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসেন।
ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেন নিজেও ডাকসুর এজিএস। তিনি গেটের সামনে এলে ডাকসুর কর্মীরা গেট খুলে দেন। তখন সাদ্দাম, সনজীতের এবং মঞ্চের কর্মীরা ভেতরে প্রবেশ করেন। তাঁরা সরাসরি নুরুলের কক্ষে ঢোকেন।
নুরুল কেন বহিরাগত নিয়ে ডাকসুতে এসেছেন তা জানতে চান সাদ্দাম হো্সাইন। তখন নুরুল বলেন, তিনি সব সময় হামলার আশঙ্কার মধ্যে থাকেন। এ কারণে নিজের নিরাপত্তার জন্য অনেককে সঙ্গে রাখেন। একপর্যায়ে নুরুল সনজীতকে বলেন, ‘আপনি তো ডাকসুর কেউ না। আপনি কেন এখানে এসেছেন।’ সনজীত তখন বলেন, ‘আমি কে, তা কিছুক্ষণ পরেই বুঝবি।’
লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তুহিন ফারাবিকে। ছবি: প্রথম আলোকথোপকথনের মধ্যেই নুরুলের সঙ্গে থাকা কয়েকজনকে মারধর করেন ছাত্রলীগের দুই নেতার সঙ্গে আসা ব্যক্তিরা। এরপর এই দুই নেতা সেখান থেকে চলে যাওয়ার কয়েক মিনিট পর নুরুল ও অন্যদের ওপর হামলা শুরু হয়। একপর্যায়ে নরুল ও তাঁর সঙ্গীরা ভেতর থেকে দরজার ছিটকিনি বন্ধ করে আত্মরক্ষার জন্য সেখানেই অবস্থান করেন। পরে প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর এসে তাঁদের উদ্ধার করে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যান। নুরুল হক ছাড়া আহত অন্যরা হলেন কবি নজরুল কলেজের ছাত্র রুকমিয়া হোসেন রাজ, গোলাম কিবরিয়া, জাহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মশিউর রহমান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, আহত ১৫ থেকে ২০ জন ভর্তি আছেন। ভোঁতা কিছু দিয়ে তাঁদের আঘাত করা হয়েছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাঁদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। আপাতত তাঁদের অস্ত্রোপচার বা আইসিইউতে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
সন্ধ্যায় ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে আহতদের দেখতে যায়। পরে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা ও ডাকসুর সমাজ সেবা সম্পাদক আখতার হোসেন সংবাদ সম্মেলেন বলেন, কাল সোমবার দুপুরে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। হামলার প্রতিবাদে আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ছাত্র সমাজকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবেন তারা। আহতদের অনেকে বেসরকারি হাসপাতালে আবার অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি তার।
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1630697/ছাত্রলীগ-ও-মুক্তিযুদ্ধ-মঞ্চের-হামলায়-আহত-ফারাবির
Tuhin Farabi has been placed on life support.
Photo: Prothom-alo
Nurul Haque, Vice-President of the Central Students' Union (Dakshu) and at least 20 others were injured in the attack by Dhaka University Chhatra League and a section of the Liberation War. Four of them were first placed in the Intensive Care Center (ICU) of Dhaka Medical College Hospital. Later, VP Nurul Haque, APM Sohail, student of Jagannath University, close to Nurul Haque, was taken to the cabin. Nurul's younger brother Aminur is now placed on the OSE (One Stop Emergency).
Tuhin Farabi, a student at Dhanmondi's Chartered University College, has been placed on life support at ICU. Tuhin's home is in Noakhali district.
This evening, a resident of Dhaka Medical Casualty Block said. Alauddin told the first light, Farabi's situation was in crisis. His body is scratching. Three are in the emergency department ICU. The remaining 20 were kept under surveillance in the emergency department. There are signs of injury in various places of their body.
Protesting the attack, the General Student Rights Protection Council held a protest at the educational institution across the country on Monday afternoon.
Today was the pre-determined program of the War of Liberation at 12 noon. The organization marched towards the Daksu building. At that time VP Nurul was entering the Daksu building with 20/21 people. Heated sentences are exchanged between two parties at a time. Then Nurul went with his men to his room in the Daksu building. Meanwhile, Dhaka University Branch Chhatra League president Sanjit Chandra Das, general secretary Saddam Hossain and their followers came in front of the Daksu building.
Workers of the two organizations then began throwing bricks toward the Daksu building. At the time of Nurul's orders, the workers of the Daksu building locked the main gate of the building. Saddam Hussein urged the workers of his organization and the Liberation War stage to leave. He forbids fights of any kind of attack. Then the situation came under some control.
Saddam Hussein himself is the Daksur AGS. When he came in front of the gate, the daksaur staff opened the gate. Then Saddam, Sanjit's and stage workers entered. They enter directly into Nurul's room.
Saddam Hossain wants to know why Nurul came to Dakshu with an outsider. Nurul said he was always in danger of being attacked. That is why you keep many with you for your own safety. At one point Nurul told Sanjit, 'You are not a dacoit. Why do you come here? ”Sanjit then says," I will figure out who I am shortly. "
Tuhin Farabi has been placed on life support. Photo: Prothom-alo
Tuhin Farabi has been placed on life support. Nurul was beaten by some people who came with two Chhatra League leaders. Minutes after the two leaders left, the attack on Nurul and others began. At one point, Narul and his companions closed the door and stayed there for self-defense. Later, Proctor, Assistant Proctor came and rescued them and took them to the hospital. Besides Nurul Haque, the injured are Rukmiya Hossain Raj, Golam Kibria, Zahidul Islam, Ariful Islam of Jahangirnagar University, Mashiur Rahman of Dhaka University.
Brigadier General AKM Nasir Uddin, director of the Dhaka Medical College Hospital, said that there were 8 to 20 injured people admitted. They have been hit with some dagger. They are being treated with utmost importance. Now they do not need surgery or ICU.
In the evening, the student rights protection council went to Dhaka Medical College Hospital yesterday to see the injured. Later, the general student rights protection council leader and Daksur Social Services Secretary Akhtar Hossain told a press conference that the demonstration program would be held at noon on Monday. If the attack is not taken within the next 24 hours to protest the attack, they will create a movement with the student community. He claimed many of the injured were missing in private hospitals and many others were missing.
12:00 AM, December 23, 2019 / LAST MODIFIED: 04:09 AM, December 23, 2019
Moncho, BCL men attack Nur
Storm Ducsu VP’s office; 26 others injured, one in ICU
Followers of Ducsu VP Nurul Haque Nur, injured in an attack by Muktijoddha Moncho and Chhatra League men, being taken to hospital in an ambulance. The photo was taken near the Ducsu Bhaban on the Dhaka University campus around 12:30pm yesterday. Photo: Prabir Das
">
Followers of Ducsu VP Nurul Haque Nur, injured in an attack by Muktijoddha Moncho and Chhatra League men, being taken to hospital in an ambulance. The photo was taken near the Ducsu Bhaban on the Dhaka University campus around 12:30pm yesterday. Photo: Prabir Das
Star report
Activists of a faction of Muktijuddho Moncho, mostly comprised of Chhatra League men, again beat up and injured Ducsu Vice President Nurul Haque Nur, storming into his office at the Ducsu building yesterday.
At least 27 of his supporters were injured in the attack carried out around 12:45pm after Ducsu Assistant General Secretary and BCL leader Saddam Hussain threatened Nur with dire consequences if he didn’t leave his office.
Dhaka University Proctor Prof AKM Golam Rabbani went to the spot around 1:00pm and sent 20 of the injured to Dhaka Medical College Hospital (DMCH).
Of them, 14 were released after primary treatment, and six others, including Nur, were admitted to the hospital.
One of the six, Tuhin Farabi, a student of a private university in the capital, was shifted to the Intensive Care Unit from the emergency unit after he had breathing problems and convulsions.
“We have kept him under observation. We cannot say anything until 72 hours pass,” Mohammad Alauddin, resident surgeon at the casualty department, told this newspaper last night.
He said two of the injured left for a private hospital while the other three, including Nur, were shifted to cabins from the emergency unit at the DMCH last night.
This is the second time Nur came under attack from Moncho activists.
Witnesses said around 50 activists of a faction of the Moncho, led by its President Aminul Islam Bulbul and General Secretary Al Mamun, marched towards Ducsu building at 12:30pm following a Moncho programme on the DU campus.
Nur, who was entering the Ducsu building along with his supporters at that time, got locked into an altercation with the Moncho leaders.
After a while, Nur entered the Ducsu office.
Minutes later, DU BCL President Sanjit Chandra Das and Saddam went to the spot.
As Moncho activists and some BCL men started hurling brick chips at the VP’s office room, Nur asked the staffers at the Ducsu building to padlock its main gate.
The staffers unlocked the gate as Ducsu AGS Saddam moved towards it, witnesses told this newspaper.
Later, Sanjit and Saddam, along with their followers, went to Nur’s office room and asked him why he had brought “outsiders” to the Ducsu building.
Nur replied that he had been in fear of attacks on him, and that was why he had some people around him for his security.
At one stage, Nur asked Sanjit why he had entered the Ducsu building though he didn’t hold any Ducsu post.
Sanjit replied, “After a while, you will come to know who I am.”
Sanjit and Saddam had an altercation with Nur, and left the office.
Around 12:45pm, Moncho activists and some BCL men, wielding wooden and bamboo sticks, stormed into Nur’s office, switched off the lights and beat up Nur and his followers, alleged one of the injured, Hasan Al Mamun, convener of the quota reformists’ platform Bangladesh Sadharan Chhatra Adhikar Sangrakkhan Parishad.
The attackers also damaged furniture and a computer in the room, he said.
Some BCL and Moncho activists stood guard in front of the Ducsu building and beat up Nur’s followers, who tried to escape, claimed Mamun.
At one stage, the attackers left the Ducsu VP’s office. Nur and some of his supporters locked the room from inside and stayed there until the DU proctor went there to rescue them.
The injured include Bangladesh Sadharan Chhatra Adhikar Sangrakkhan Parishad joint conveners Faruk Hasan, Rashed Khan and Moshiur Rahman.
Besides, Rukmiya Hossen Raj, Golam Kibria, and Zahidul Islam of Kabi Nazrul College, Ariful Islam of Jahangirnagar University and Aminur Islam, who introduced himself as Nur’s cousin, were wounded.
Contacted, Saddam said Nur and Moncho activists had a scuffle as the Ducsu VP brought outsiders to the Ducsu building.
He further said the BCL had asked both the groups to maintain a congenial atmosphere on the campus.
Talking to reporters, DU Proctor Rabbani said, “Ducsu VP entered his office with outsiders but he did not inform us. We repeatedly asked him to maintain an environment conducive to education on the campus.”
Witnesses said Nur had entered the Ducsu building with a group of 30-40 followers, almost half of them students of educational institutions other than the DU.
Some of the them are students of Jahangirnagar University, Jagannath University, Kabi Nazrul College and Govt Bangla College.
Contacted, Muktijuddho Moncho General Secretary Al Mamun, also ex-BCL deputy secretary for Liberation War and research affairs, claimed when general students learnt that Nur was holding a meeting with Shibir activists at the Ducsu building, they enquired him about it. But he “misbehaved” with them and they resisted him.
The Moncho, claimed to be comprised of freedom fighters’ children, was founded in October last year to counter the anti-quota demonstrations. It demanded reinstatement of 30 percent freedom fighter quota in all types of government jobs.
The central committee was formed with Professor AKM Jamal Uddin of DU sociology department as convener, and Asibur Rahman, son of the then shipping minister Shajahan Khan, as member-secretary.
Later, Mehdi Hasan, son of a freedom fighter, claimed himself to be convener of the platform, and told journalists that he knew nothing about the committee.
Bulbul and Mamun were made president and general secretary of both the central and DU units of the platform.
On October 10 this year, Prof Jamal expelled the two for their “anti-organisational activities”.
The duo issued a press release the same day, declaring that they still held the posts of president and general secretary of the organisation.
Prof Jamal and the duo issued separate press releases on October 14. Prof Jamal said he had expelled Bulbul and Mamun, while the duo stated that they had expelled Jamal.
Since then, the platform made headlines due to its controversial activities. Its leaders and members have allegedly been involved in attacks on activists of rival organisations.
On October 20, its Bulbul-Mamun-led faction swooped on Jatiyatabadi Chhatra Dal activists at Madhur Canteen on DU campus over the Facebook bio of JCD General Secretary Iqbal Hossain Shyamol. Five JCD activists were injured.
Members of the other faction, led by Convener Jamal, padlocked Nur’s office on December 4, and demanded his resignation after an unverified audio clip went viral.
At least 15 people, including Nur, were injured in an attack carried out by the Bulbul-Mamun-led faction on December 17 after they staged protests against the NRC and Citizenship Amendment Bill (CAB) of India.
https://www.thedailystar.net/frontpage/news/moncho-bcl-men-attack-nur-again-1843837
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:৫১
আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:৫৯
৬৭
লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তুহিন ফারাবিকে। ছবি: প্রথম আলো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীদের হামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক ও তার সঙ্গে থাকা অন্তত ২৪ জন আহত হন। তাদের মধ্যে চারজনকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। পরে ভিপি নুরুল হক, নুরুল হকের ঘনিষ্ঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এপিএম সোহেলকে কেবিনে নেওয়া হয়। তার নুরুলের ছোট ভাই আমিনুরকে এখন রাখা হয়েছে ওএসই (ওয়ান স্টপ এমার্জেন্সি) তে।
আর ধানমন্ডির চার্টার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র তুহিন ফারাবিকে রাখা হয়েছে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে। তুহিনের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।
আজ সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলের ক্যাজুয়ালটি ব্লকের আবাসিক সার্জন মো. আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ফারাবির অবস্থা সংকটাপন্ন। তার শরীরে খিচুনি হচ্ছে। তিনজন জরুরি বিভাগের আইসিইউতে রয়েছেন। বাকি ২০ জনকে জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে।
হামলার প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ কাল সোমবার দুপুরে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ ডেকেছে।
আজ দুপুর ১২টায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। সংগঠনটি মিছিল করে ডাকসু ভবনের দিকে আসে। এ সময় ভিপি নুরুল ২০/২৫ জনকে নিয়ে ডাকসু ভবনে প্রবেশ করছিলেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তারপর নুরুল তার লোকদের নিয়ে ডাকসু ভবনে নিজের কক্ষে চলে যান। এর মধ্যেই ডাকসু ভবনের সামনে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজীত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এবং তাঁদের অনুসারীরা। দুটি সংগঠনের কর্মীরা তখন ডাকসু ভবনের দিকে ইটের টুকরা নিক্ষেপ করতে থাকেন। এ সময় নুরুলের নির্দেশে ডাকসু ভবনের কর্মীরা ভবনের মূল গেটে তালা লাগিয়ে দেন। সাদ্দাম হোসেন একপর্যায়ে বাইরে থাকা নিজ সংগঠনের ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কর্মীদের সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। কোনো ধরনের হামলা মারামারি করতে নিষেধ করেন। তখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসেন।
ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেন নিজেও ডাকসুর এজিএস। তিনি গেটের সামনে এলে ডাকসুর কর্মীরা গেট খুলে দেন। তখন সাদ্দাম, সনজীতের এবং মঞ্চের কর্মীরা ভেতরে প্রবেশ করেন। তাঁরা সরাসরি নুরুলের কক্ষে ঢোকেন।
নুরুল কেন বহিরাগত নিয়ে ডাকসুতে এসেছেন তা জানতে চান সাদ্দাম হো্সাইন। তখন নুরুল বলেন, তিনি সব সময় হামলার আশঙ্কার মধ্যে থাকেন। এ কারণে নিজের নিরাপত্তার জন্য অনেককে সঙ্গে রাখেন। একপর্যায়ে নুরুল সনজীতকে বলেন, ‘আপনি তো ডাকসুর কেউ না। আপনি কেন এখানে এসেছেন।’ সনজীত তখন বলেন, ‘আমি কে, তা কিছুক্ষণ পরেই বুঝবি।’
লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তুহিন ফারাবিকে। ছবি: প্রথম আলোকথোপকথনের মধ্যেই নুরুলের সঙ্গে থাকা কয়েকজনকে মারধর করেন ছাত্রলীগের দুই নেতার সঙ্গে আসা ব্যক্তিরা। এরপর এই দুই নেতা সেখান থেকে চলে যাওয়ার কয়েক মিনিট পর নুরুল ও অন্যদের ওপর হামলা শুরু হয়। একপর্যায়ে নরুল ও তাঁর সঙ্গীরা ভেতর থেকে দরজার ছিটকিনি বন্ধ করে আত্মরক্ষার জন্য সেখানেই অবস্থান করেন। পরে প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর এসে তাঁদের উদ্ধার করে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যান। নুরুল হক ছাড়া আহত অন্যরা হলেন কবি নজরুল কলেজের ছাত্র রুকমিয়া হোসেন রাজ, গোলাম কিবরিয়া, জাহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মশিউর রহমান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, আহত ১৫ থেকে ২০ জন ভর্তি আছেন। ভোঁতা কিছু দিয়ে তাঁদের আঘাত করা হয়েছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাঁদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। আপাতত তাঁদের অস্ত্রোপচার বা আইসিইউতে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
সন্ধ্যায় ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে আহতদের দেখতে যায়। পরে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা ও ডাকসুর সমাজ সেবা সম্পাদক আখতার হোসেন সংবাদ সম্মেলেন বলেন, কাল সোমবার দুপুরে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। হামলার প্রতিবাদে আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ছাত্র সমাজকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবেন তারা। আহতদের অনেকে বেসরকারি হাসপাতালে আবার অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি তার।
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1630697/ছাত্রলীগ-ও-মুক্তিযুদ্ধ-মঞ্চের-হামলায়-আহত-ফারাবির
Tuhin Farabi has been placed on life support.
Photo: Prothom-alo
Nurul Haque, Vice-President of the Central Students' Union (Dakshu) and at least 20 others were injured in the attack by Dhaka University Chhatra League and a section of the Liberation War. Four of them were first placed in the Intensive Care Center (ICU) of Dhaka Medical College Hospital. Later, VP Nurul Haque, APM Sohail, student of Jagannath University, close to Nurul Haque, was taken to the cabin. Nurul's younger brother Aminur is now placed on the OSE (One Stop Emergency).
Tuhin Farabi, a student at Dhanmondi's Chartered University College, has been placed on life support at ICU. Tuhin's home is in Noakhali district.
This evening, a resident of Dhaka Medical Casualty Block said. Alauddin told the first light, Farabi's situation was in crisis. His body is scratching. Three are in the emergency department ICU. The remaining 20 were kept under surveillance in the emergency department. There are signs of injury in various places of their body.
Protesting the attack, the General Student Rights Protection Council held a protest at the educational institution across the country on Monday afternoon.
Today was the pre-determined program of the War of Liberation at 12 noon. The organization marched towards the Daksu building. At that time VP Nurul was entering the Daksu building with 20/21 people. Heated sentences are exchanged between two parties at a time. Then Nurul went with his men to his room in the Daksu building. Meanwhile, Dhaka University Branch Chhatra League president Sanjit Chandra Das, general secretary Saddam Hossain and their followers came in front of the Daksu building.
Workers of the two organizations then began throwing bricks toward the Daksu building. At the time of Nurul's orders, the workers of the Daksu building locked the main gate of the building. Saddam Hussein urged the workers of his organization and the Liberation War stage to leave. He forbids fights of any kind of attack. Then the situation came under some control.
Saddam Hussein himself is the Daksur AGS. When he came in front of the gate, the daksaur staff opened the gate. Then Saddam, Sanjit's and stage workers entered. They enter directly into Nurul's room.
Saddam Hossain wants to know why Nurul came to Dakshu with an outsider. Nurul said he was always in danger of being attacked. That is why you keep many with you for your own safety. At one point Nurul told Sanjit, 'You are not a dacoit. Why do you come here? ”Sanjit then says," I will figure out who I am shortly. "
Tuhin Farabi has been placed on life support. Photo: Prothom-alo
Tuhin Farabi has been placed on life support. Nurul was beaten by some people who came with two Chhatra League leaders. Minutes after the two leaders left, the attack on Nurul and others began. At one point, Narul and his companions closed the door and stayed there for self-defense. Later, Proctor, Assistant Proctor came and rescued them and took them to the hospital. Besides Nurul Haque, the injured are Rukmiya Hossain Raj, Golam Kibria, Zahidul Islam, Ariful Islam of Jahangirnagar University, Mashiur Rahman of Dhaka University.
Brigadier General AKM Nasir Uddin, director of the Dhaka Medical College Hospital, said that there were 8 to 20 injured people admitted. They have been hit with some dagger. They are being treated with utmost importance. Now they do not need surgery or ICU.
In the evening, the student rights protection council went to Dhaka Medical College Hospital yesterday to see the injured. Later, the general student rights protection council leader and Daksur Social Services Secretary Akhtar Hossain told a press conference that the demonstration program would be held at noon on Monday. If the attack is not taken within the next 24 hours to protest the attack, they will create a movement with the student community. He claimed many of the injured were missing in private hospitals and many others were missing.
12:00 AM, December 23, 2019 / LAST MODIFIED: 04:09 AM, December 23, 2019
Moncho, BCL men attack Nur
Storm Ducsu VP’s office; 26 others injured, one in ICU
Followers of Ducsu VP Nurul Haque Nur, injured in an attack by Muktijoddha Moncho and Chhatra League men, being taken to hospital in an ambulance. The photo was taken near the Ducsu Bhaban on the Dhaka University campus around 12:30pm yesterday. Photo: Prabir Das
">
Followers of Ducsu VP Nurul Haque Nur, injured in an attack by Muktijoddha Moncho and Chhatra League men, being taken to hospital in an ambulance. The photo was taken near the Ducsu Bhaban on the Dhaka University campus around 12:30pm yesterday. Photo: Prabir Das
Star report
Activists of a faction of Muktijuddho Moncho, mostly comprised of Chhatra League men, again beat up and injured Ducsu Vice President Nurul Haque Nur, storming into his office at the Ducsu building yesterday.
At least 27 of his supporters were injured in the attack carried out around 12:45pm after Ducsu Assistant General Secretary and BCL leader Saddam Hussain threatened Nur with dire consequences if he didn’t leave his office.
Dhaka University Proctor Prof AKM Golam Rabbani went to the spot around 1:00pm and sent 20 of the injured to Dhaka Medical College Hospital (DMCH).
Of them, 14 were released after primary treatment, and six others, including Nur, were admitted to the hospital.
One of the six, Tuhin Farabi, a student of a private university in the capital, was shifted to the Intensive Care Unit from the emergency unit after he had breathing problems and convulsions.
“We have kept him under observation. We cannot say anything until 72 hours pass,” Mohammad Alauddin, resident surgeon at the casualty department, told this newspaper last night.
He said two of the injured left for a private hospital while the other three, including Nur, were shifted to cabins from the emergency unit at the DMCH last night.
This is the second time Nur came under attack from Moncho activists.
Witnesses said around 50 activists of a faction of the Moncho, led by its President Aminul Islam Bulbul and General Secretary Al Mamun, marched towards Ducsu building at 12:30pm following a Moncho programme on the DU campus.
Nur, who was entering the Ducsu building along with his supporters at that time, got locked into an altercation with the Moncho leaders.
After a while, Nur entered the Ducsu office.
Minutes later, DU BCL President Sanjit Chandra Das and Saddam went to the spot.
As Moncho activists and some BCL men started hurling brick chips at the VP’s office room, Nur asked the staffers at the Ducsu building to padlock its main gate.
The staffers unlocked the gate as Ducsu AGS Saddam moved towards it, witnesses told this newspaper.
Later, Sanjit and Saddam, along with their followers, went to Nur’s office room and asked him why he had brought “outsiders” to the Ducsu building.
Nur replied that he had been in fear of attacks on him, and that was why he had some people around him for his security.
At one stage, Nur asked Sanjit why he had entered the Ducsu building though he didn’t hold any Ducsu post.
Sanjit replied, “After a while, you will come to know who I am.”
Sanjit and Saddam had an altercation with Nur, and left the office.
Around 12:45pm, Moncho activists and some BCL men, wielding wooden and bamboo sticks, stormed into Nur’s office, switched off the lights and beat up Nur and his followers, alleged one of the injured, Hasan Al Mamun, convener of the quota reformists’ platform Bangladesh Sadharan Chhatra Adhikar Sangrakkhan Parishad.
The attackers also damaged furniture and a computer in the room, he said.
Some BCL and Moncho activists stood guard in front of the Ducsu building and beat up Nur’s followers, who tried to escape, claimed Mamun.
At one stage, the attackers left the Ducsu VP’s office. Nur and some of his supporters locked the room from inside and stayed there until the DU proctor went there to rescue them.
The injured include Bangladesh Sadharan Chhatra Adhikar Sangrakkhan Parishad joint conveners Faruk Hasan, Rashed Khan and Moshiur Rahman.
Besides, Rukmiya Hossen Raj, Golam Kibria, and Zahidul Islam of Kabi Nazrul College, Ariful Islam of Jahangirnagar University and Aminur Islam, who introduced himself as Nur’s cousin, were wounded.
Contacted, Saddam said Nur and Moncho activists had a scuffle as the Ducsu VP brought outsiders to the Ducsu building.
He further said the BCL had asked both the groups to maintain a congenial atmosphere on the campus.
Talking to reporters, DU Proctor Rabbani said, “Ducsu VP entered his office with outsiders but he did not inform us. We repeatedly asked him to maintain an environment conducive to education on the campus.”
Witnesses said Nur had entered the Ducsu building with a group of 30-40 followers, almost half of them students of educational institutions other than the DU.
Some of the them are students of Jahangirnagar University, Jagannath University, Kabi Nazrul College and Govt Bangla College.
Contacted, Muktijuddho Moncho General Secretary Al Mamun, also ex-BCL deputy secretary for Liberation War and research affairs, claimed when general students learnt that Nur was holding a meeting with Shibir activists at the Ducsu building, they enquired him about it. But he “misbehaved” with them and they resisted him.
The Moncho, claimed to be comprised of freedom fighters’ children, was founded in October last year to counter the anti-quota demonstrations. It demanded reinstatement of 30 percent freedom fighter quota in all types of government jobs.
The central committee was formed with Professor AKM Jamal Uddin of DU sociology department as convener, and Asibur Rahman, son of the then shipping minister Shajahan Khan, as member-secretary.
Later, Mehdi Hasan, son of a freedom fighter, claimed himself to be convener of the platform, and told journalists that he knew nothing about the committee.
Bulbul and Mamun were made president and general secretary of both the central and DU units of the platform.
On October 10 this year, Prof Jamal expelled the two for their “anti-organisational activities”.
The duo issued a press release the same day, declaring that they still held the posts of president and general secretary of the organisation.
Prof Jamal and the duo issued separate press releases on October 14. Prof Jamal said he had expelled Bulbul and Mamun, while the duo stated that they had expelled Jamal.
Since then, the platform made headlines due to its controversial activities. Its leaders and members have allegedly been involved in attacks on activists of rival organisations.
On October 20, its Bulbul-Mamun-led faction swooped on Jatiyatabadi Chhatra Dal activists at Madhur Canteen on DU campus over the Facebook bio of JCD General Secretary Iqbal Hossain Shyamol. Five JCD activists were injured.
Members of the other faction, led by Convener Jamal, padlocked Nur’s office on December 4, and demanded his resignation after an unverified audio clip went viral.
At least 15 people, including Nur, were injured in an attack carried out by the Bulbul-Mamun-led faction on December 17 after they staged protests against the NRC and Citizenship Amendment Bill (CAB) of India.
https://www.thedailystar.net/frontpage/news/moncho-bcl-men-attack-nur-again-1843837
Last edited:
