What are Two Big Brothers position on the Rohingyas
রোহিঙ্গা নিয়ে দুই ‘বড় ভাইয়ের’ ভাবনা কী?
কাজী আলিম-উজ-জামান
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:২৩
[
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। চীনে ব্রিকস সম্মেলনের আগে দুই নেতার করমর্দন। ছবি: রয়টার্সভারত ও চীন এই অঞ্চলের দুই ‘বড় ভাই’। আয়তনে, জনসংখ্যায় তো বটেই, এমনকি শক্তি-সামর্থ্যে, প্রভাব বিস্তারেও তারা দাপুটে।
নিজস্ব বলয় তৈরিতে তারা তৎপর। এই তৎপরতায় দেশ দুটি এত ব্যস্ত এবং এত সতর্ক যে, অনেক ঘটনা তাদের চোখ এড়িয়ে যায়। অনেক কিছু দেখেও চোখ বন্ধ রাখে। আর শুনতে যেন না হয়, এ জন্য কানে দিয়ে রাখে তুলো।
প্রতিদিন শয়ে শয়ে রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ, শিশু ভিটেমাটি ছেড়ে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে, ডুবে মারা যাচ্ছে। শিশুদের নিথর দেহ বয়ে নিয়ে আসছেন স্বজনেরা। জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের বাড়ি, পলায়নপর নারী-শিশুদের ওপর চালানো হচ্ছে নির্বিচারে গুলি। তবু নির্বিকার মাও সে তুংয়ের চীন ও মহাত্মা গান্ধীর ভারত।
বাংলাদেশ যেখানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, দানাপানি দিচ্ছে, ভারত সেখানে সে দেশে আশ্রয় নেওয়া ৪০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর ফন্দি করে যাচ্ছে।
রোহিঙ্গা প্রশ্নে ভারত ও চীনের কী অবস্থান, সেটা বোঝার জন্য মিয়ানমারের প্রতি এ দুটি দেশের স্বার্থের ধরনটা আগে জানা দরকার।
প্রথমে বলা যাক ভারতের কথা। ভারতের দিল্লি, কাশ্মীরসহ বিভিন্ন স্থানে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। ভারত সরকার মনে করে, এই রোহিঙ্গারা তার দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই রোহিঙ্গাদের দলে ভেড়াতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার এরই মধ্যে অবৈধ রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের কোনো অনুরোধ-আবেদনও তারা গায়ে মাখছে না। জাতিসংঘ বলেছিল, আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র দেওয়া যায় কি না, তা ভাবতে। জবাবে ভারতের প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজেজু বলে দিয়েছেন, এ ধরনের প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য।
আমরা লক্ষ করছি, ভারত মিয়ানমার বিষয়ে যেকোনো বিবৃতি বা মন্তব্য করার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক, বিশেষ করে কোনো পক্ষ যেন সে অবস্থানকে ‘রোহিঙ্গাপন্থী’ বলে ব্যাখ্যা না করে।
অতি সম্প্রতি রাখাইন প্রদেশের উত্তরাঞ্চলে ‘আক্রান্ত হওয়ার পর’ মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে অভিযান চালায়। এ ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির সরকার অং সান সু চি সরকারের সমালোচনা তো করেই নি, বরং ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ নামে যে গোষ্ঠী নিরাপত্তা বাহিনীর সীমান্তচৌকিতে হামলা করেছে বলে খবর এসেছে, তাদের বলেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। প্রথম দিনের হামলায় ৮০ জনের ওপরে সাধারণ রোহিঙ্গা নিহত হলেও বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়েছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ১০ সদস্যের মৃত্যুতে।
এর ভেতর দিয়ে স্পষ্ট, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমারের ব্যর্থতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা হলেও ভারত সরকার সমর্থনের পৈতা ধরেই রেখেছে। এর কারণ ভারত চায় মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে। এটা নয়াদিল্লির ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ বাস্তবায়নেরই অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ছে ব্যাপক হারে। যদিও তা চীন ও থাইল্যান্ডের তুলনায় কম। ভারত মিয়ানমারকে দুই বিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যদিও এ নিয়ে মিয়ানমারের বিশেষ সন্তুষ্টি নেই। কারণ প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বেশ ধীর।
এ অবস্থায় সবার চোখ এখন নরেন্দ্র মোদির দিকে। কাল মঙ্গলবার তিনি চীনে ব্রিকসের মঞ্চ থেকে মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন। তিনি কি রোহিঙ্গার মানবাধিকারের পক্ষে কিছু বলবেন?
কক্সবাজারের কাছে কুতুপালংয়ে ত্রাণের আশায় জড়ো হয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। ছবিটি গতকালের। ছবি: রয়টার্স
২.এবার দেখা যাক চীনের স্বার্থগত জায়গাটা। মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। কী সেনা আমল, কী গণতান্ত্রিক আমল, সব সময়ই এ সম্পর্ক অটুট ছিল। বলা যায়, মিয়ানমারের পরীক্ষিত বন্ধু চীন। উত্তর কোরিয়া হাজার অন্যায় করেও যেমন সমর্থন পায় চীনের, মিয়ানমারও তেমনি সব কাজে চীনের ভালোবাসা পেয়ে থাকে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ একাধিকবার রাখাইন প্রদেশের অবস্থা নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েও শুরু করতে পারেনি শুধু চীন ও রাশিয়ার বিরোধিতায়।
গত অক্টোবরে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিধনের ঘটনায় জাতিসংঘ তদন্তে এলেও সরকার ও সেনাবাহিনী সমর্থন জানায়নি, কোনো সহযোগিতা করেনি। কিন্তু চীন মনে করে, মিয়ানমার যা করেছে ঠিক করেছে।
মিয়ানমারকে সাম্প্রতিক সময়ে চীনের কূটনৈতিক সুরক্ষা দেওয়ার একাধিক কারণও রয়েছে। রাখাইন রাজ্যের কিয়াকফু এলাকায় বঙ্গোপসাগরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে চায় চীন। অবস্থান জোরদার করতে চায় ভারত মহাসাগরে।
শুধু তা-ই নয়, গত এপ্রিলে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের বেইজিং সফরে দুই দেশের মধ্যে অশোধিত তেলের পাইপলাইন নির্মাণ নিয়ে সমঝোতা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার বিষয়েও দুই দেশের আলাপ-সালাপ হচ্ছে।
বেইজিং সম্প্রতি আরাকানি রাজনীতিবিদদের সে দেশে আমন্ত্রণ জানায়। এদের একজন হলেন আরাকান ন্যাশনাল পার্টির চেয়ারম্যান ড. আয় মং। কট্টর জাতীয়তাবাদী আয় মং অতিসম্প্রতি রাখাইন প্রদেশে সেনা মোতায়েন এবং ওই এলাকায় জরুরি অবস্থার দাবি জানান। তিনি রোহিঙ্গাবিরোধী মানুষ।
রোহিঙ্গাদের ওপর এত অত্যাচার, নির্যাতন চলল, তবু চুপ চীন। তাদের এই নীরবতা দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।
আমাদের মনে হয়, চীন ও ভারত শক্ত অবস্থান নিলে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মানসিকতা বদল করতে বাধ্য হতো। কিন্তু বড় হয়েও ছোটই রইল দেশ দুটি।
কাজী আলিম-উজ-জামান: সাংবাদিক[/B]
alimkzaman@gmail.com
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1311996/রোহিঙ্গা-নিয়ে-দুই-‘বড়-ভাইয়ের’-ভাবনা-কী
As Violence Intensifies, Israel Continues to Arm Myanmar’s Military Junta
Responding to a petition filed by human rights activists, Defense Ministry says matter is 'clearly diplomatic'
John Brown Sep 04, 2017 2:52 PM
Desperate Rohingya Flee Myanmar on Trail of Suffering. 'It Is All Gone.'
World’s human rights abusers to shop for Israeli arms at fair
Israeli lawmakers unite to fight arms exports to countries that violate human rights
The violence directed at Myanmar’s Rohingya minority by the country’s regime has intensified. United Nations data show that about 60,000 members of the minority group have recently fled Myanmar’s Rahine state, driven out by the increasing violence and the burning of their villages, information that has been confirmed by satellite images. But none of this has led to a change in the policy of the Israeli Defense Ministry, which is refusing to halt weapons sales to the regime in Myanmar, the southeast Asian country formerly known as Burma.
On Thursday, the bodies of 26 refugees, including 12 children, were removed from the Naf River, which runs along the border between Myanmar and Bangladesh. Of the refugees who managed to reach Bangladesh, many had been shot. There were also reports of rapes, shootings and fatal beatings directed at the Rohingya minority, which is denied human rights in Myanmar. The country’s army has been in the middle of a military campaign since October that intensified following the recent killing of 12 Myanmar soldiers by Muslim rebels.
Since Burma received its independence from Britain in 1948, civil war has been waged continuously in various parts of the country. In November 2015, democratic elections were held in the country that were won by Nobel Prize-winning human rights activist Aung San Suu Kyi. But her government doesn’t exert real control over the country’s security forces, since private militias are beholden to the junta that controlled Myanmar prior to the election.
Militia members continue to commit crimes against humanity, war crimes and other serious violations of human rights around the country, particularly against minority groups that are not even accorded citizenship. Since Myanmar’s military launched operations in Rakhine last October, a number of sources have described scenes of slaughter of civilians, unexplained disappearances, and the rape of women and girls, as well as entire villages going up in flames. The military has continued to commit war crimes and violations of international law up to the present.
Advanced Israeli weapons
Despite what is known at this point from the report of the United Nations envoy to the country and a report by Harvard University researchers that said the commission of crimes of this kind is continuing, the Israeli government persists in supplying weapons to the regime there.
One of the heads of the junta, Gen. Min Aung Hlaing, visited Israel in September 2015 on a “shopping trip” of Israeli military manufacturers. His delegation met with President Reuven Rivlin as well as military officials including the army’s chief of staff. It visited military bases and defense contractors Elbit Systems and Elta Systems.
The head of the Defense Ministry’s International Defense Cooperation Directorate — better known by its Hebrew acronym, SIBAT — is Michel Ben-Baruch, who went to Myanmar in the summer of 2015. In the course of the visit, which attracted little media coverage, the heads of the junta disclosed that they purchased Super Dvora patrol boats from Israel, and there was talk of additional purchases.
In August 2016, images were posted on the website of TAR Ideal Concepts, an Israeli company that specializes in providing military training and equipment, showing training with Israeli-made Corner Shot rifles, along with the statement that Myanmar had begun operational use of the weapons. The website said the company was headed by former Israel Police Commissioner Shlomo Aharonishki. Currently the site makes no specific reference to Myanmar, referring only more generally to Asia.
Who will supervise the supervisors?
Israel’s High Court of Justice is scheduled to hear, in late September, a petition from human rights activists against the continued arms sales to Myanmar.
In a preliminary response issued in March, the Defense Ministry argued that the court has no standing in the matter, which it called “clearly diplomatic.”
On June 5, in answer to a parliamentary question by Knesset member Tamar Zandberg on weapons sales to Myanmar, Defense Minister Avigdor Lieberman said that Israel “subordinates [itself] to the entire enlightened world, that is the Western states, and first of all the United States, the largest arms exporter. We subordinate ourselves to them and maintain the same policy.”
He said the Knesset plenum may not be the appropriate forum for a detailed discussion of the matter and reiterated that Israel complies with “all the accepted guidelines in the enlightened world.”
Lieberman statement was incorrect. The United States and the European Union have imposed an arms embargo on Myanmar. It’s unclear whether the cause was ignorance, and Lieberman is not fully informed about Israel’s arms exports (even though he must approve them), or an attempt at whitewashing.
In terms of history, as well, Lieberman’s claim is incorrect. Israel supported war crimes in Argentina, for example, even when the country was under a U.S. embargo, and it armed the Serbian forces committing massacres in Bosnia despite a United Nations embargo.
read more:
http://www.haaretz.com/opinion/1.810390
'Despite what is known at this point from the report of the United Nations envoy to the country and a report by Harvard University researchers that said the commission of crimes of this kind is continuing, the Israeli government persists in supplying weapons to the regime there.
One of the heads of the junta, Gen. Min Aung Hlaing, visited Israel in September 2015 on a “shopping trip” of Israeli military manufacturers. His delegation met with President Reuven Rivlin as well as military officials including the army’s chief of staff. It visited military bases and defense contractors Elbit Systems and Elta Systems.'
India begins diesel exports to Myanmar ahead of Modi’s visit
SAM Staff, September 5, 2017
India appears to be literally oiling ties with its eastern neighbors, beginning diesel exports to Myanmar on Monday, a day before Prime Minister Narendra Modi visits that country.
Two tankers carrying 40,000 litres of diesel, loaded from the marketing terminal of Numaligarh Refinery Ltd, the Assam-based subsidiary of Bharat Petroleum, left the border town of Moreh in Manipur for Tamu in Myanmar.
Myanmar becomes India’s second neighbor in the east to be supplied fuel. India is supplying fuel to Bangladesh and discussing proposals to expand the oil trade further to cooking gas distribution and LNG.
The groundwork for fuel exports to Myanmar was laid during oil minister Dharmendra Pradhan’s February visit to that country at the head of a delegation of oil company executives.
NRL has an agreement with Myanmar’s PES for supply of 90 MT of diesel through the Moreh-Tamu land customs station to Myanmar on the Aisan Highway. NRL plans to export 5,000 tonne of diesel per month to Myanmar through tankers. NRL had entered Myanmar with paraffin wax, selling 1,700 tonne till August from its wax plant.
SOURCE
TNN
http://southasianmonitor.com/2017/09/05/india-begins-diesel-exports-myanmar-ahead-modis-visit/