Look at the rapist and killer Mullah Sirajuddaula's face. This old freak is threatening victim's brother in court. How dare he is. These people are maligning Muslim clerics and threatening our society.
This type of Hujurs (Mullahs) are threats for Bangladeshi society. We are Muslim country but such Hujurs are hidden criminals of our society.
আদালতেও হুমকি দিচ্ছে নুসরাতের ‘খুনিরা’, অভিযোগ ভাইয়ের
ফেনী প্রতিনিধি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 30 May 2019 06:37 PM BdST Updated: 30 May 2019 07:18 PM BdST
Previous Next
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ‘খুনিরা’ আদালতে গিয়েও বাদীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে নুসরাতের ভাই অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার মামলা শুনানির জন্য অভিযোগপত্রভুক্ত ১৬ আসামিসহ এ মামলায় মোট গ্রেপ্তার ২১ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বাদীও।
বাদী নুসরাতের ভাই আবদুল্লাহ আল নোমান অভিযোগ করেন, “আসামিরা আদালতে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার পরিবারকে আক্রমণ করে আসামিরা হুমকি দিচ্ছে।”
বাদীর আইনজীবী রফিকুল ইসলাম খোকনও একই অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, “আসামিদের হাজতখানা থেকে এজলাসে আনা হলে তাদের মধ্যে কয়েকজন হট্টগোল করে। তারা বাদী ও তার আইনজীবীদের অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে।
“একপর্যায়ে কয়েকজন আসামি তেড়ে এসে মামলার বাদী ও আইনজীবীদের হত্যার হুমকি দেয়। আইনজীবীরা বিষয়টি আদালতকে জানালে বিচারক আদালতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দেন পুলিশকে। পরে পিবিআই আদালতে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।”
ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের সোনাগাজী আমলি আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসাইন মামলাটি ফেনীর নারী ও নিযাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনালে হস্তান্তরের আদেশ দেন। এছাড়া আগামী ১০ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিনও তিনি ঠিক করে দেন। ওই দিন অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হবে।
আদালত পরিদর্শক মো. গোলাম জিলানী বলেন, এই দিন সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক) মাকসুদ আলমের পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করে আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নান্নু।
“কিন্তু এ আদালতে এ ধরনের মামলায় জামিন দেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে আদেশ দেন বিচারক। তিনি ১০ জুন বিশেষ ট্রাইবুনালে জামিনের আবেদন করার পরামর্শ দেন।”
বাদীর নিরাপত্তা সম্পর্কে জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “আদালতে আসামিরা হট্টগল করেছে শুনেছি। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা নেই। নুসরাতের পরিবারকে ঘটনার দিন থেকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
“নুসরাতের পরিবার ‘এখন পাবলিক প্রোপাটি’। পুলিশের পাশাপাশি জনগণই তাদের নিরাপত্তা দেবে। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এটি তদারকি করছেন। তাছাড়া আমি যত দিন ফেনীতে আছি, কোনো ধরেনর নিরাপত্তা শঙ্কা থাকবে না। নুসরাতের পরিবারকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা দেওয়া হবে।”
বুধবার এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনীর পিবিআই পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহ আলম সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দেন। সেখানে গ্রেপ্তার ২১ জনের মধ্যে পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ১৬ জনের মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত আটজন এবং এজাহারবহির্ভূত আটজন রয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে ১২ জন দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া ১৬৪ ধারায় সাত সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দেন এবং ১৬১ ধারায় ৬৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। অভিযোগপত্রে মোট ৯২ জনকে সাক্ষী করেছে পিবিআই।
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত গত ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে কৌশলে ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতহানির মামলা তুলে না নেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনীর পিবিআই পরিদর্শক মো. শাহ আলম বুধবার ওই আদালতে মোট ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে এ মামলায় ‘হুকুমদাতা’ হিসেবে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে নির্বাচিত পৌর কাউন্সিলর ও মাদ্রাসার প্রভাষকও রয়েছে আসামির তালিকায়।
এছাড়া এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। আর ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানোর অভিযোগে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে। কিন্তু তাকে মামলায় আসামি করা হয়নি।
https://bangla.bdnews24.com/samagrabangladesh/article1627760.bdnews