রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কার
আলী কবীর / 8 July 2013
বিগত অর্ধদশকের রাজনীতির কারণে সংস্কার শব্দটি আমাদের দেশে খানিকটা কৌলিন্য হারিয়েছে বলে মনে হয়। কোন কোন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে এটি প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রধানত: বড় দুটি দল এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হলেও ক্ষমতাসীন দলে এর ব্যাপকতা মারাত্মক। সেই দলে কাউকে একবার সংস্কারবাদী বা সংস্কারপন্থী হিসাবে আখ্যায়িত করতে পারলেই তার ভাগ্য রাহুগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। কিছুতেই অধ: পতিত অবস্থা থেকে তার উত্তরণ হচ্ছে না।
কথায় বলে দশচক্রে ভগবান ভূত। এখানেও হয়েছে সেই অবস্থা। সংস্কারপন্থী এখানে একটা গালিতে পরিণত হলেও সংস্কার কিন্তু আদৌ কোন খারাপ জিনিস নয়। বরঞ্চ সকল মানব সমাজেই সংস্কার শব্দটি উন্নতি ও পরিবর্তনের ইঙ্গিতবাহী একটি প্রক্রিয়াকে বোঝায়। সংস্কার শব্দের আভিধানিক অর্থও সুন্দর। বাংলা একাডেমীর Bengali-English Dictionary তে সংস্কার শব্দের অর্থ বলা হয়েছে, purification, Cleansing, Embellishment, adornment, reform, correct, revise, elaborate, amend, repair, refine ইত্যাদি। এই শব্দগুলির একটিও অশুভ বা অমঙ্গলের প্রতীক বা সূচক নয়। বরঞ্চ সংস্কার মানেই হচ্ছে পরিবর্তন। পরিবর্তনহীন জীবন মৃত্যূর শামিল। পৃথিবীর সব কিছুই পরিবর্তনশীল। পরিবর্তন ছাড়া জীবনচক্র কল্পনা করা যায় না।
জাতি হিসাবে আমরা কিন্তু পরিবর্তনের সম্পূর্ণ বিরোধী নই। আমরা পরিবর্তন নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি এবং অনেক কথা বলি। অনেক সুন্দর সুন্দর ভালো ভালো কথা বলি। কিন্তু পরিবর্তন যখন সত্যি সত্যি এসে পড়ার উপক্রম হয় তখন হয় পৃষ্ঠপ্রদর্শণ করি, নয়তো প্রাণপণে পরিবর্তনের বিরোধীতা করি। আসলে জাতি হিসাবে আমরা সংস্কার বিরোধী। কারণ আমরা পরিবর্তন বিরোধী। আমরা দূর থেকে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। কিন্তু সত্যিকার পরিবর্তন তার সকল রূঢ় বাস্তবতা নিয়ে কাছে এসে দাঁড়ালে আমরা সভয়ে পিছিয়ে যাই। আতঙ্কিত বোধ করি, পালিয়ে বাঁচি। কিন্তু আমাদের জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ও সংস্কার প্রয়োজন। গত ৪২ বছর আমরা অনেকগুলি বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনাকে এড়িয়ে গিয়েছি। এগুলি এখন অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব পরিবর্তন ছাড়া আমরা হয়তো টিঁকে থাকতে পারবো, কিন্তু সামনে এগুতে পারবো না।
আমরা বারবার উচ্চকণ্ঠে গণতন্ত্রের কথা বলছি। আমরা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার কথা বলছি। আমরা ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের কথা বলছি। আমরা স্থানীয় সরকার কাঠামোকে শক্তিশালী করার কথা বলছি। কিন্তু হা হাতোস্মি! এর কোনটাই হচ্ছে না। হচ্ছে অন্য কিছু, যা আমরা কেউ চাই না।
আসলে বাংলাদেশে এখন ব্যাপক পরিবর্তন ও সংস্কার দরকার সর্বক্ষেত্রে। আমরা ৪২ বছরে কিছুটা এগিয়েছি, কিন্তু খুব বেশী নয়। আরো অনেক কিছু হতে পারতো দেশের চেহারা পাল্টে যাওয়ার মত। কিন্তু তা হয় নি। যেটুকু হয়েছে তাই নিয়ে আমরা বগল বাজাচ্ছি।
সময় এসেছে বড় ধরনের পরিবর্তনের। সময় এসেছে আমূল সংস্কারের। সময় এসেছে প্রচলিত ধ্যান-ধারণা ও চিন্তা-ভাবনার গন্ডী থেকে বেরিয়ে আসার। সময় হয়েছে যারা পরিবর্তনের কথা ভাবে তাদের স্বাগত: জানানোর, সমর্থন দেয়ার। সময় এসেছে সঙ্কীর্ণ দৃষ্টি ভাঙ্গীর উর্ধেব উঠে দেশকে নতুন করে দেখার, নতুন করে সাজানোর। সময় এসেছে উদার অভ্যূদয়ের।
সঙ্কীর্ণতার গন্ডীতে আবদ্ধ ভেদাভেদ আর ক্ষুদ্র দলীয়, গোষ্ঠিগত ও আঞ্চলিকতার তমসা ভেদ করে বেরিয়ে আসার এখু নি সময়। আমি ওকে দেখতে পারি না, তাই ওর সব কথাই খারাপ--- এই কূপমন্তুক মানসিকতা পরিহার করতে হবে।
এক সময়কার পূর্ব বঙ্গ, আমাদের বর্তমানের বাংলাদেশ আয়তনে ছোট কিন্তু লোক সংখ্যায় পৃথিবীর অন্যতম বড় দেশ। রাষ্ট্র সংঘের ১৭১টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৬৪ টি রাষ্ট্রের লোক সংখ্যা বাংলাদেশের চাইতে কম। আয়তনে ছোট হলেও দেশটি ভূ প্রকৃতি এবং নৃতাত্বিক ও সামাজিক বৈচিত্র চোখে পড়ার মত। বিভিন্ন ধর্মসম্প্রদায় এবং বহুসংখ্যক ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠির বসবাস এই দেশে বহুযুগ ধরে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠির মধ্যে মঙ্গোলয়েড এবং দ্রাবিড় উভয় শ্রেণীই রয়েছে এখানে।
বিশাল, বিচিত্র জনগোষ্ঠী সম্বলিত এই জাতির জন্য উদার গণতান্ত্রিক বিধি ব্যাবস্থা ও প্রশাসনিক-রাজনৈতিক বিকেন্দ্রীকৃত কাঠামোই উপযুক্ত ও কার্যকর পথ। সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি এবং যে কোন ধরনের চরমপন্থা ও কট্টর ব্যবস্থা এই রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে বাধ্য। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত করে তা কুক্ষিগত করে রাখার যে প্রবণতা আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে আমাদের ঔপনিবেশিক শাসকদের কাছ থেকে লাভ করে ছি তা পরিহার করা না গেলে দেশের বিপদ অনিবার্য।
ছোট বড় যে কোন পরিবর্তন ও সংস্কারের পথে বড় অন্তরায় সংকীর্ণ মন মানসিকতা যা পরিবর্তনকে সহজে মেনে নিতে পারে না। তাই পরিবর্তন ও সংস্কারের জন্য চাই মানসিকতার পরিবর্তন অর্থাৎ মনকে পরিবর্তন ও সংস্কারমুখী করে তোলা। আমাদেরকে প্রথমেই মেনে নিতে হবে জগতের কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়। সব কিছুই পরিবর্তনশীল এবং সকল ব্যবস্থাই পরিবর্তনযোগ্য।
আরেকটি বিষয় পরিবর্তনের পথে অন্তরায়। সেটি হচ্ছে যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা। বহু পুরনো একটা বাংলা প্রবাদ যার অর্থ আমি যাকে পছন্দ করি না, তার সবকিছুই খারাপ। সে ভালো কথা বললে বা ভালো কিছু করলেও তা খারাপ এবং পরিত্যাজ্য। বলাই বাহুল্য এটা একধরনের ক্ষুদ্র মনস্কতা ও হীনমন্যতা। এটাকে পরিত্যাগ করতে হবে। এরশাদ সাহেব দেশে কয়েকটি প্রদেশ গঠন করার কথা বলেন, তাই সেটা খারাপ, একথা আমি মানতে রাজী নই। আ স ম আব্দুর রব সাহেব ৫০০ আসনের সংসদের কথা বলেছেন, তাই তা গ্রহণযোগ্য নয় এবং এ নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা বা বিবেচনা করা যাবে না, এই মানসিকতাও আমাদের পরিহার করতে হবে।
আমাদের দেখতে হবে যে, দেশের জন্য, জাতির জন্য প্রদেশ গঠন কিংবা সংসদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করার সত্যি সত্যি প্রয়োজন আছে কি না। যদি প্রয়োজন থাকে তাহলে অবশ্যই এসব পদক্ষেপ, দেশের মঙ্গলের জন্য, গ্রহণ করতে হবে। বিষয়গুলি বিবেচনা করে দেখার জন্য একটা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিশন গঠন করা যেতে পারে। সেই কমিশনই এসব বিষয় বিবেচনা করে দেখে বিস্তারিত সুপারিশ পেশ করবে। ঐ কমিশনই বলে দেবে দেশে প্রদেশ গঠনের প্রয়োজন আছে কি না। যদি থাকে তাহলে কয়টি প্রদেশ গঠন করা যৌক্তিক হবে। তারাই সুপারিশ করবেন জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির প্রয়োজন আছে কি না। যদি তেমনটা প্রয়োজন হয় তবে কত আসনের সংসদ দেশের জন্য উপযুক্ত হবে। একই সঙ্গে তারা বলে দেবেন দেশে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা বা সংসদের প্রয়োজন আছে কি না।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, লোক সংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ এই রাষ্ট্রের জন্য এক কেন্দ্রীক শাসন ব্যবস্থা ভালো নয়। এখানে ৩/৪ টা প্রদেশ গঠন করা উচিত শুধু নয়, জরুরী। আমি এ সম্পর্কে আমার অন্য একটি নিবন্ধে বিস্তারিত বলেছি। আমি তাই এর যৌক্তিকতা সম্পর্কে এই নিবন্ধে বেশী কিছু বলতে চাই না। আমি শুধু এইটুকু বলবো যে, বিপুল জন সংখ্যার এই দেশের উন্নয়ন চাহিদা এককেন্দ্রীক রাষ্ট্র ব্যবস্থার দ্বারা মেটানো কোন ভাবেই সম্ভব না। একই ভাবে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করাও সম্ভব নয়। সর্বোপরি রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসন ও অন্যান্য সমস্যা সমাধান করে একে বসবাস যোগ্য উন্নত ও আধুনিক মহানগর হিসাবে গড়ে তোলাও সম্ভব না।
দেশে কয়েকটি প্রদেশ গঠনের পাশাপাশি ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ ও গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বিবেচনা করা যায় বলে মনে করি। জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ৫০০ তে উন্নীত করা না হলেও এই সংখ্যা জাতির প্রয়োজনের নিরীখে পূণর্বিন্যাস করতে হবে। এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে যে সব দাবীর কথা সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে উচ্চারিত এবং উপেক্ষিত হচ্ছে সেগুলি বিবেচনা করার কথা ভাবা যেতে পারে। যেমন প্রতি জেলায় শুধু মহিলাদের ভোটে একজন এবং সংখ্যালঘুদের ভোটে একজন করে মোট ১২৮ (৬৪+৬৪
জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩টি জেলায় বর্তমানে ৩টি মাত্র সংসদীয় আসন রয়েছে। এখানে আসন সংখ্যা আরো ৩টি বৃদ্ধি করলে সংসদে মোট আসন সংখ্যা দাঁড়াবে ৩০০+ ১২৮+৩ = ৪৩১। স্বাভাবিক ভাবেই জাতীয় সংসদে বর্তমানে প্রচলিত ৪৫টি নারী আসন সংরক্ষিত রাখার ব্যবস্থার আর প্রয়োজন হবে না।
জনাব আ স ম আবদুর রব এবং তার দল জাসদ (জেএসডি
দীর্ঘদিন দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের কথা বলে আসছেন। সংসদের উচ্চকক্ষের গঠন প্রণালী সম্পর্কে তার ধারণার সঙ্গে একমত না হলেও আমি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের ধারণা সমর্থন করি। সংসদের উচ্চকক্ষে প্রত্যেক জেলা থেকে একজন করে সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হতে পারেন। সেই সঙ্গে সরকারের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত কয়েকজন সদস্য এবং সাতটি বিভাগীয় সদরের সিটি করপোরেশনগুলোর মেয়ররা পদাধিকার বলে মনোনীত হলে সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য সংখ্যা হবে নিম্নরূপ_ প্রত্যক্ষ ভোটে প্রত্যেক জেলা হতে নির্বাচিত সদস্য হবে ৬৪ জন, সাতটি বিভাগের সিটি মেয়র ৮ জন, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত ৮ জন, মোট ৮০ জন। রাষ্ট্রপতি সরকারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সংখ্যালঘু, নারী, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে থেকে আটজন বিশিষ্ট নাগরিককে সংসদের উচ্চকক্ষে মনোনীত করবেন।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং প্রাদেশিক সরকার ও আইনসভা গঠন করা হলে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের অধিকতর তাৎপর্যপূর্ণ দায়িত্ব প্রদানের পথ প্রশস্ত হবে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা রাজনৈতিক ও সংসদীয় ভূমিকা পালনের সুযোগ পেলে দেশে জনগণের অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। যেমন সংসদের উচ্চকক্ষে নির্বাচিত সদস্য সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা পরিষদের সভাপতি মনোনীত হতে পারেন। ওই জেলার মহিলা সংসদ সদস্য এবং সংখ্যালঘু সংসদ সদস্য (নিম্ন কক্ষের
, সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি এবং জেলার সব সংসদ সদস্য জেলা পরিষদের সদস্য হতে পারেন। জেলার সব উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য হবেন।
দেশে কয়েকটি প্রদেশ গঠিত হলে প্রত্যেক প্রদেশের নিজস্ব প্রাদেশিক আইন সভা থাকতে হবে। যেহেতু সব উপজেলা চেয়ারম্যান জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন, তারাই প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য হতে পারেন। অনুরূপভাবে জেলা সদরের পৌর মেয়ররাও পদাধিকার বলে প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য মনোনীত হতে পারেন। সিটি করপোরেশনসমূহের ডেপুটি মেয়ররা কিংবা আইন দ্বারা নির্ধারিত সংখ্যক কাউন্সিলর প্রতিনিধিরা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হতে পারেন।
বাংলাদেশের সংবিধানে বর্তমানে উপ-রাষ্ট্রপতির কোনো পদ নেই। অনুরূপভাবে উপ-প্রধানমন্ত্রীর কোনো পদও নেই। পাশর্্ববর্তী দেশ ভারতে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার স্পিকার দেশের উপ-রাষ্ট্রপতিও বটে। এখানেও অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে অর্থাৎ সংসদের উচ্চকক্ষের স্পিকার উপ-রাষ্ট্রপতি মনোনীত হতে পারেন।
আমার মনে হয়, সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সংসদে একজনের স্থলে দুজন ডেপুটি স্পিকার থাকতে পারেন এবং এদের একজন বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত হতে পারেন। অনুরূপভাবে জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সমন্বয় করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় উন্নয়ন পরিষদ গঠন করা যেতে পারে, যার কো-চেয়ারম্যান বা ডেপুটি চেয়ারম্যান হতে পারেন সংসদে বিরোধী দলের নেতা। প্রত্যেক দেশই তাদের গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ঐতিহ্য ও বাস্তবতা এ দুয়ের সমন্বয় সাধন করে থাকে। আমাদেরও তাই করতে হবে। এসব নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার সময় হয়ে গেছে বলেই আমার ধারণা।
লেখক : সাবেক সংস্থাপন সচিব।
Related link(s).