asad71
PROFESSIONAL
- Joined
- May 24, 2011
- Messages
- 6,863
- Reaction score
- 4
- Country
- Location
মজিনার দিল্লি সফর
76214_f4.jpg
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনার অকস্মাৎ দিল্লি সফর রাজনৈতিক মহলে নানা কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। আজ দিনের কোনও এক সময় দিল্লি রওয়ানা হচ্ছেন প্রভাবশালী এই কূটনীতিক। একাধিক কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র মতে দুদিন তিনি সেখানে অবস্থান করবেন। তবে কি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন, কোথায় কার সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত না জানা গেলেও নানা কূটনৈতিক সূত্র দেশের এই সঙ্কটকালীন সময়ে মজিনার এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। তারা বলছেন, আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক কারণে এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে গতকাল দিনের শুরুতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। ভারতীয় হাই কমিশনারের গুলশানের বাসভবনে দুই দূতের রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠক নিয়ে গতকাল দিনভর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে নানা জল্পনা ছিল। সন্ধ্যায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। কোন রাখ-ঢাক না করেই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের প্রায় সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে তাদের। হাই কমিশনারের সঙ্গে প্রায়ই তার দেখা হয় জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, আজকের বৈঠকে বিশেষত বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়েছে। দুদেশের বাণিজ্য কিভাবে বাড়ানো যায়, এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে যুক্ত থাকতে পারে তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। সাংবাদিকরা যা প্রত্যাশা করছেন তার সব বিষয়ই আলোচনায় স্থান পেয়েছে বলে জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বৈঠক নিয়ে গতকাল রাতে মানবজমিন-এর সঙ্গে আলাপকালে এক পেশাদার কূটনীতিক বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দিল্লি সফরটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তার প্রায় সব বক্তৃতায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বাড়ানোর কথা বলেছেন। সমপ্রতি বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপেও বাংলাদেশের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রত্যাশা করেছেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত গতকাল দিন শুরু করেছেন ভারতীয় হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক দিয়ে। এরপর থেকে সন্ধ্যা অবধি তিনি একের পর এক বৈঠক ও কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। ভারতীয় হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক সেরে পশ্চিমা চার কূটনীতিকের সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দেন। হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত ওই ভোজ-বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ ও কানাডার হাই কমিশনার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ডাচ্* রাষ্ট্রদূত অংশ নেন। সেখানে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনায় স্থান পেয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে আভাস মিলেছে। এরপর মার্কিন রাষ্ট্রদূত হোটেল রূপসী বাংলায় তৈরী পোশাক শিল্পের শ্রমমান উন্নয়নে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার উদ্যোগে সরকারের নেয়া কর্মসূচির উদ্বোধনীতে অংশ নেন। সেখানে অর্থ, পররাষ্ট্র ও শ্রমমন্ত্রী ছাড়াও বৃটিশ হাইকমিশনার ও ডাচ্* অ্যাম্বাসেডর উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা উদ্যোগের সমঝোতা স্মারক সই করেন ড্যান মজিনা।
http://www.mzamin.com/details.php?nid=NzYyMTQ=&ty=MA==&s=MTg=&c=MQ==
76214_f4.jpg
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনার অকস্মাৎ দিল্লি সফর রাজনৈতিক মহলে নানা কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। আজ দিনের কোনও এক সময় দিল্লি রওয়ানা হচ্ছেন প্রভাবশালী এই কূটনীতিক। একাধিক কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র মতে দুদিন তিনি সেখানে অবস্থান করবেন। তবে কি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন, কোথায় কার সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত না জানা গেলেও নানা কূটনৈতিক সূত্র দেশের এই সঙ্কটকালীন সময়ে মজিনার এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। তারা বলছেন, আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক কারণে এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে গতকাল দিনের শুরুতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। ভারতীয় হাই কমিশনারের গুলশানের বাসভবনে দুই দূতের রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠক নিয়ে গতকাল দিনভর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে নানা জল্পনা ছিল। সন্ধ্যায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। কোন রাখ-ঢাক না করেই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের প্রায় সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে তাদের। হাই কমিশনারের সঙ্গে প্রায়ই তার দেখা হয় জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, আজকের বৈঠকে বিশেষত বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়েছে। দুদেশের বাণিজ্য কিভাবে বাড়ানো যায়, এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে যুক্ত থাকতে পারে তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। সাংবাদিকরা যা প্রত্যাশা করছেন তার সব বিষয়ই আলোচনায় স্থান পেয়েছে বলে জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বৈঠক নিয়ে গতকাল রাতে মানবজমিন-এর সঙ্গে আলাপকালে এক পেশাদার কূটনীতিক বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দিল্লি সফরটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তার প্রায় সব বক্তৃতায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বাড়ানোর কথা বলেছেন। সমপ্রতি বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপেও বাংলাদেশের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রত্যাশা করেছেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত গতকাল দিন শুরু করেছেন ভারতীয় হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক দিয়ে। এরপর থেকে সন্ধ্যা অবধি তিনি একের পর এক বৈঠক ও কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। ভারতীয় হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক সেরে পশ্চিমা চার কূটনীতিকের সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দেন। হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত ওই ভোজ-বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ ও কানাডার হাই কমিশনার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ডাচ্* রাষ্ট্রদূত অংশ নেন। সেখানে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনায় স্থান পেয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে আভাস মিলেছে। এরপর মার্কিন রাষ্ট্রদূত হোটেল রূপসী বাংলায় তৈরী পোশাক শিল্পের শ্রমমান উন্নয়নে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার উদ্যোগে সরকারের নেয়া কর্মসূচির উদ্বোধনীতে অংশ নেন। সেখানে অর্থ, পররাষ্ট্র ও শ্রমমন্ত্রী ছাড়াও বৃটিশ হাইকমিশনার ও ডাচ্* অ্যাম্বাসেডর উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা উদ্যোগের সমঝোতা স্মারক সই করেন ড্যান মজিনা।
http://www.mzamin.com/details.php?nid=NzYyMTQ=&ty=MA==&s=MTg=&c=MQ==