Its not a new chapter yet but the way the BNP leadership is falling over itself to kiss Indian feet it soon might be. Ziaur Rahman would not have bowed his head so low to come to power. He would have stood on principle and his political ideology. The BNP is selling out everything so it can get permission from India to come to power and to bring Tareque back. That is disgraceful ......
Following dissemination causes provocation of thoughts in the line of my earlier post. Please ponder on it, thanks.
তারেকের বিরুদ্ধে মন্তব্য নিয়ে জে. মাহবুবের দুর্বল সাফাই
স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান এবার দলের দ্বিতীয় প্রধান নেতা তারেক রহমানকে জড়িয়ে বক্তব্য দিয়ে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময়ে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে তারেক রহমানের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়। এ বক্তব্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জেনারেল মাহবুব বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকার সময় ২০০৪ সালে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পড়লে নিশ্চিতভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। এ প্রসঙ্গে তারেক রহমানকে জড়িয়ে তিনি বলেন, ২০০১-০৬ সালে ক্ষমতায় থাকার সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ছিল। তবে জেনারেল মাহবুব আমার দেশকে জানান, ডেইলি স্টারে তারেক রহমানকে
নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। পত্রিকাটি তাকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করেছে। ডেইলি স্টারের সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার রাশিদুল হাসান আমার দেশকে বলেন, তিনি জেনারেল মাহবুবের সঙ্গে কথা বলেই রিপোর্টটি তৈরি করেছেন। জেনারেল মাহবুব যা বলেছেন রিপোর্টে সেটাই উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল ডেইলি স্টার প্রথম পাতায় প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে জেনারেল মাহবুবকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় বিএনপি অনেক ভুল করেছে। এ ব্যাপারে আমার দেশকে জেনারেল মাহবুব বলেন, আমি পত্রিকাটির সঙ্গে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট আমলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করেছি মাত্র। তারেক রহমান সম্পর্কে কিছুই বলিনি। তিনি বলেন, আমি যে বিষয়ে মন্তব্য করেছি, তারেক রহমানের বিষয়টি এখানে আসতে পারে না। তাই আমি পত্রিকা বরাবর প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছি। আশা করছি, তারা এটা ছাপলে আর কোনো বিতর্ক থাকবে না।
প্রতিবাদলিপিতে কী লিখেছেনজানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে আমার বক্তব্য ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বর্তমান ভারত সফরের প্রেক্ষিতে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ওপর আমার আলোচনা ছিল। এতে তারেক রহমানের নাম আসেনি। যখন দল ক্ষমতায়, তখন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ছিলর মতো কোনো বক্তব্যও আমি দেইনি।
বক্তব্য ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়ে থাকলে তারেক রহমান সম্পর্কে আসলে কী বলেছিলেনজানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি এ সম্পর্কে কিছুই বলিনি। আমি ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আলোচনা করেছি মাত্র।
ওই পত্রিকায় জেনারেল মাহবুব বিএনপি আমলে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আলোচনা করার প্রসঙ্গে বলেন, ভারতের সঙ্গে সঠিক সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে বিএনপির বেশকিছু ভুল ছিল। জোট সরকারের আমল থেকেই ভুল হয়ে আসছিল। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ঐক্যজোটসহ দলের একটি অংশের কারণে ভারতবিরোধী মনোভাব ছিল স্পষ্ট। ২০০৪ সালে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার সময় থেকে বিএনপির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। দেরিতে হলেও বিএনপি তাদের অবস্থার পরিবর্তন করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কথাগুলো আমি এভাবে বলিনি। বিএনপি আমলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে বিএনপির ভুল ছিল না। তবে ওই আমলে দুই দেশের মধ্যে অবিশ্বাস ছিল। আমাদের ব্যর্থতা হচ্ছে, ভারতের এই অবিশ্বাসকে দূর করতে পারিনি। তখন কূটনৈতিকভাবে এই অবিশ্বাস দূর করার পদক্ষেপ নেয়া উচিত ছিল।
জেনারেল মাহবুব বলেন, বিএনপি ভুল নীতির দ্বারা চালিত হচ্ছিল, বিশেষ করে ২০০১ সালের পর জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে জোট করে। তারাই বেগম জিয়াকে ভারতবিরোধী অবস্থান নিতে প্রভাবিত করেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি আমার দেশকে বলেন, ওই সময় এই ধরনের কথাই প্রচলিত ছিল। আমরা জড়িত না থাকলেও আমাদের শাসনামলেই জঙ্গির উত্থান হয়েছে। এতে আমাদের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়েছে। তবে আমরা ওই জঙ্গিদের ধরে বিচার করেছি। আমরাই জঙ্গি দমন করেছি।
উল্লেখ্য, বিএনপিতে জেনারেল মাহবুব চীনপন্থী এবং সেদেশের ওপর একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। তবে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক চীন সফরে তিনি সফরসঙ্গী হলেও বিএনপি এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি
সঙ্গে কার্যকর সম্পর্ক সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দলের নীতিনির্ধারকরা ক্ষুব্ধ।
ক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হয়েও তিনি এর বাইরে গিয়ে বক্তব্য রাখেন, দলীয় অবস্থানের বিরুদ্ধে কথা বলেন। ওয়ান-ইলেভেনে বিএনপি ভাঙতে বিতর্কিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন জেনারেল মাহবুব। এ কারণে ২০০৭ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে রোকেয়া সরণির রাস্তার পাশে তাকে ব্যাপক লাঞ্ছিত করেন ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এরপরও তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চলতেই থাকে। একই বছরে ২৯ অক্টোবর গুলশানে এম সাইফুর রহমানের বাসায় কথিত বিএনপি স্থায়ী কমিটির বৈঠক আয়োজনেও গোয়েন্দা সংস্থাকে সহযোগিতা দিয়েছেন তিনি। বিএনপির বিরুদ্ধে এতসব কাজ করার পরও দলের স্বার্থে ওয়ান-ইলেভেন-পরবর্তী দলের রাজনীতিতে তাকে আবারও সম্পৃক্ত করা হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে যে তিনি স্বরূপে আবির্ভূত হনতারেক রহমান সম্পর্কে তার মন্তব্য এরই বহিঃপ্রকাশ। তারা তারেক রহমানকে নিয়ে সাম্প্রতিক মন্তব্যের সঙ্গে ওয়ান-ইলেভেনে তার বিতর্কিত এসব ভূমিকার কথা উল্লেখ করে দল থেকে তার বহিষ্কারের দাবি জানান।
??????? ???????? ??????? ???? ??. ???????? ?????? ?????