What's new

Elections 2019.

বিরোধীদলহীন নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় আসছেন হাসিনা: ভারতীয় পত্রিকা
Sheikh Hasina wants to return to Power Without Opposition: Indian Newspaper
329350_1.jpg

15 Aug, 2017
বিশেষ প্রতিনিধি

ভারতীয় পত্রিকা Indian newspaper "The Hindu Business Lin ‘দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন’ গত last Saturdayশনিবার নিবন্ধ প্রকাশ করেছে published an article “Watch out for turbulence in Bangladesh” শিরোনামে। তাতে বলা হয়েছে, Indian ally Sheikh Hasina likely to return to power for the third time ভারতমিত্র শেখ হাসিনা সম্ভবত তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসছেন।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্য উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি বলেছে, শ্রিংলার এসব বক্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন বাংলাদেশে একটা ধারণা দানা বাঁধছে যে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিরোধীদল বিহীন হবে এবং তাতে আওয়ামী লীগ তৃতীয়বারের মতো জয় পাবে।

নিবন্ধে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনার সম্প্রতি মন্তব্য করেছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা সরাজ দেশে আসছেন আগামী মাসে। এর অর্থ ভারত আগামী নির্বাচনেও হাসিনাকে রাখতে চায়।

পত্রিকাটিতে শেখ হাসিনার অজনপ্রিয়তার the article conceded the fact that due to Sheikh Hasina's unpopularity কথা স্বীকার করে বলা হয়েছে, বিরোধী দল নির্বাচনে যোগ দিলে তা শেখ হাসিনার দলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠতে পারে। ফলে দিল্লী এই ঝুঁকি নিতে চাইবে না। তবে বিএনপি নির্বাচনে যোগ দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবে।
http://www.newsofbd.net/newsdetail/detail/200/329350
 
.
11:25 AM, August 16, 2017 / LAST MODIFIED: 02:01 PM, August 16, 2017
Journos urge EC for fair, inclusive polls
journo_ec.jpg

Senior journalists and editors in the discussion with Election Commission on August 16, 2017. Photo: Mohammad Al Masum Mollah
Star Online Report

Journalists have urged for a free, fair and inclusive parliamentary election at the meeting with Election Commission today ahead of the next polls.

“All the journalists advocated in favour of a fair and inclusive election,” Manzurul Ahsan Bulbul, a senior journalist, told reporters after the meeting.

According to another senior journalist Shyamal Dutta, opinions were also given in favour and against the deployment of armed forces and the provision of “no vote”.

All the journalists stressed on dialogue with the political parties.


The discussion started around 10:15am with around 22 senior journalists and editors at the Election Commission office in Agargaon, our correspondent reports from the spot.

Among the senior journalists and editors present in the discussion were Amanullah Kabir, Nurul Kabir, Kazi Siraj, Nayeem Nizam, Imdadul Haq Milon, Shyamal Dutta, Motiur Rahman Chowdhury.

Gradually, the Election Commission is expected to hold more meetings with other political parties and stakeholders in the follow through to the next parliamentary polls.
http://www.thedailystar.net/country/journalist-election-talks-election-commission-bangladesh-1449403
 
.
Former bureaucrats, army officers queuing up for AL ticket in next polls
  • Fazlur Rahman Raju
  • Published at 08:07 PM August 16, 2017
  • Last updated at 01:05 AM August 17, 2017
ballot-box-690x450.jpg

Bigstock
Sources say at least 70 people will be nominated, many of whom have already started campaigning
The Awami League is set to hand tickets to compete in the next parliamentary election to a number of businessmen and former bureaucrats and military officers, party sources have revealed.

Many of the aspiring candidates are so confident of receiving the ruling party’s nod, they have already started unofficial campaigning around the country.

Several sources of the Awami League have confirmed to the Dhaka Tribune that the party will bring at least 60 to 70 new faces into politics ahead of the 11th national polls due between late 2018 and early 2019.

However, an Advisory Council member who wished to remain anonymous said they would only give nominations to those candidates who can prove their commitment to the party and who fully support the 1971 Liberation War.

“We could nominate around 100 or more (candidates),” the source said. “That’s not yet certain, but it’s quite sure that at least we will see 60-70 new faces in the next election.”

The Awami League has a tradition of nominating businessmen, former bureaucrats and defence personnel to stand in parliamentary polls. Currently, the party has 170 Members of Parliament (MP) from these backgrounds.

A member of the party’s Central Working Committee, asking not to be named, told the Dhaka Tribune that these new faces will replace lawmakers who have “generated controversies and failed to work properly for the Awami League and the people”.

“A recent survey has found that there were accusations of corruption and irregularities against at least 50 lawmakers,” said the Awami League leader. “Not nominating them again will be their punishment. We are looking for their replacements in the next election.”

Speaking with the Dhaka Tribune, Presidium Member Pijush Kanti Bhattacharya was unable to say how many businessmen, former bureaucrats and military officers will get the nominations.

“The number of good candidates is increasing day by day. Only good and prominent candidates will get the nods,” he said.

Khalid Mahmud Chowdhury, one of the organising secretaries of the party, said businessmen are playing a role in taking the country towards progress.

“If they want to join politics to serve the country more, we’ll welcome them,” he said. “(But) not just them. The Awami League will also welcome former bureaucrats and military personnel with the highest commitment.”

Many aspiring candidates from these backgrounds have already started unofficial electoral campaigns in their areas of the country in a bid to convince the party’s high command of their acceptance among the voters.

Those who have recently launched their campaigns include Square Hospital Director Dr Sanowar Hossain in Tangail; Brig (retd) Shahjahan Mandal in Panchagarh; former Agrani Bank Ltd director Balram Poddar in Barisal; and Abdul Mabud, the former director general of the passport division, in Jessore.

Khalid, also the Dinajpur-2 MP, said: “Awami League’s parliamentary committee will evaluate every one of them before handing out nominations. If they are popular among the voters, they will get the nod. The number might even increase from 70 if we find more good candidates.”

However, the party’s information and research secretary, Afzal Hossain, played down the importance of an individual candidate’s professional credentials.

“It doesn’t matter who is from what background. If they believe in the Liberation War, work for the party and are popular among the voters, then they will get nominations,” he said.

“In every election, we introduce some fresh and new faces as party candidates. It’s a normal process. If someone works for Awami League with commitment, then party chief Sheikh Hasina and the nomination board will consider them for nominations.”

Afzal did not give the exact number of people who will be nominated to contest the next polls.

Both Afzal and Khalid hinted that many of the present lawmakers who have not been working for the party and their constituencies properly might not receive nominations for the next election.
http://www.dhakatribune.com/bangladesh/politics/2017/08/16/awami-league-nomination-polls/

19904956_1577391798958987_6648422829705727185_n.jpg
19904956_1577391798958987_6648422829705727185_n.jpg


Qamrul Islam
হাসিনা-সুরেন্দ্র বিরোধ চরমে: গুমোট অবস্খা: অসাংবিধানিক কিছু ঘটার আশংকা!
=================
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে সরকারের, তথা অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরোধ এখন চরমে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো কথাবার্তা না বলা হলেও ভেতরে ভেতরে অবস্থা এতই খারাপ যে, শেখ হাসিনার ইচ্ছা সুরেন্দ্রকে অপসারন করার। দিন দিন তাঁর তাড়াবাড়ি সহ্যের বাইরে চলে গেছে, এমন মন্তব্যও করেছেন নিজস্ব লোকদের কাছে।

মূলত, গেলো বছর ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় বিচারপতি সিনহা বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হতে পারেন, এমন আগাম খবর পরিবেশনের পরেই এর সূত্রপাত।

আরও খবর প্রকাশ পায়, এনিয়ে বিএনপির সমর্থন লাভ করেছেন বিচারপতি সুরেন্দ্র! যদিও সুরেন্দ্রকে রাষ্ট্রপতি করতে আপত্তি নেই হাসিনা পুত্র জয়ের।

কিন্তু হাসিনার মারাত্মক আপত্তি। আপত্তির মাত্রটা এতই বেশী যে, সংবিধান ষোড়শ সংশোধনীর পরে সুরেন্দ্রকে অপসারনের চিন্তাও ছিল হাসিনার। আর এটা টের পেয়েই সুরেন্দ্র সে সংশোধনীকে বাতিল করে দেয় আপীল বিভাগে। এরপর থেকে অবৈধ সংসদে উত্তাল অবস্থা বিরাজ করে। হাসিনার প্রিয় সাংসদ শেখ সেলিম, মতিয়ারা বিচারপতি সুরেন্দ্রকে ধুয়ে ফেলেছে। সুরেন্দ্রকে পাকিস্তানপন্থী, সামরিক সরকারের সমর্থক হিসাবেও আখ্যা দিয়েছে এরা। এর জবাবে সুরেন্দ্র মাঠে নামিয়েছে বিএনপিপন্থী সুপ্রীমকোর্ট বার সমিতিকে! এতে করে হাসিনা আরও চটেছে। এখন সুযোগ খোঁজা হচ্ছে সুরেন্দ্রকে কি করে পদ থেকে সরানো যায়।

আগামী ৩১ জানুয়ারী ২০১৮ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অবসরে যাবেন।
ঐ বছর ২০ মার্চ রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ। তাই বিচারপতি সুরেন্দ্র চান পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হতে। আর এ জন্য তার দিল্লির পূর্ন সমর্থন রয়েছে বলে জানা যায়।

দেশীয় বিশেষ বিশেষ মহলেও সুরেন্দ্রর প্রতি সমর্থন তৈরী হয়েছে, এমন খবর জানার পরে, শেখ হাসিনাও সিরিয়াস- কোনো অবস্থাতেই সুরেন্দ্রকে রাষ্ট্রপতি করা হবে না। এটা দিল্লিতে জানানো হয়েছে। কারন সুরেন্দ্র যেভাবে শক্তিশালি হয়ে উঠেছে, তাতে করে তাকে আর বিশ্বাস করতে পারছেন না হাসিনা। অতীতে তিনি অনেক ঘটনা ঘটিয়েছেন। সরকারকে দারুণভাবে অপদস্ত করেছেন বহু বার, হাসিনার ২ মন্ত্রীকে দন্ড দিয়েছেন, বিএনপির মেয়রদেরকে বহাল করেছেন বার বার, অবসরের পরে বিচারকের রায় লেখা নিয়ে সরকারকে দারুণভাবে বিব্রত করেছেন। সর্বশষে, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দিয়ে সরকারের কতৃত্বকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছেন।

এহেন অবস্খায়, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্রকে আগামী ছয় মাস হাসিনার পক্ষে সহ্য করা বড় কঠিন। সম্ভাবনা আছে, সংবিধান লংঘন বা অন্য কোনো অযুহাতে তাকে অপসারন করার। এটাও বিচারপতি সুরেন্দ্র অবাহিত। এর বিপরীতে, তিনিও তার সকাল চেষ্টা তদবীর ব্যবহার করে রাষ্ট্রপতি হতে সাংঘাতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন। সূত্রের খবর, এরি মাঝখান দিয়ে ঘটে যেতে পারে সাংঘাতিক কোনো ঘটনা, যেটা কেউ কল্পনাও করতে পারছে না।
 
.
12:00 AM, August 19, 2017 / LAST MODIFIED: 12:41 AM, August 19, 2017
News Analysis: Saying 'No' is a right too
election-ballot-box-logo-wb.jpg

Shakhawat Liton

The issue of having the option of “No” vote in the election has come up again for discussion in the ongoing electoral talks being organised by the Election Commission.

The fundamental question is why a voter's choice should be confined only to candidates nominated by political parties. It is quite possible, the argument goes, that a voter may not like any candidates on the ballot, and that he should have the option of expression his rejection of all the candidates by casting a "No" vote.

Political analysts say, "No" vote provision puts pressure on political parties to some extent to field clean candidates to contest the parliamentary election.

Two main reasons drive the political parties to be suspicious of the “No” vote provision. One, they consider it a threat to their freedom to nominate anybody in the election and second, that it wastes vote by not being counted for any of the candidate on the ballot.

It may be recalled nine years ago Bangladesh had given its citizens the right to cast the “no” vote.

Bangladeshis voters could vote “No” in the December 2008 parliamentary election. But the right was scrapped right next year, in February of 2009.

We were first among the citizens of the Saarc countries to exercise the right of “No” voting and 13th in the world.

Currently, India, France, Belgium, Brazil, Greece, Ukraine, Chile, Finland, Colombia, Spain and Sweden are among countries having the “No” vote in their electoral system.

Demand for restoration of the provision for “No” vote has been raised during the on going electoral talks by the Election Commission. The EC will decide on it after wrapping up talks with all political parties.

If we look back, we can see that it was not an easy task for the EC to make a difference through introduction of the “No” vote in 2008.


Major political parties had strongly opposed the EC's proposal for introduction of the “No” vote provision. Participating in the talks with the EC in 2007, and also in 2008, political parties had urged the EC to ignore the proposal.

But the EC-led by ATM Shamsul Huda stuck to its gun. In defence, it had argued that casting “No” vote is one of the democratic rights. It gives voters an additional "choice" of rejecting the choice of the political parties.

The then caretaker government led by Fakhruddin Ahmed did not oppose the EC's proposal. Finally, the provision was introduced in August 2008, empowering the EC to hold re-election in a constituency where more than 50% of the voters rejected all candidates. They chose to vote “No”.

However, the “No” vote provision did not have much effect in the December 29, 2008 parliamentary polls. Only around four lakh people voted “No” then.

But the Awami League, which assumed office through the December 29 election, did not like the provision. It abolished the “No” vote provision in February 2009.

It is a matter of interest to see what Bangladesh did in 2008, India, the world's largest democracy, has done in its 2014 election.


But it was not easy sailing for the Indian EC.

The Indian EC had also moved to introduce “No” vote in 2009. But it could not proceed with the idea due to the political parties' opposition.

It was the Indian Supreme Court that came up with a landmark verdict in September 2013 asking the EC to introduce the “No” vote provision.

The Indian SC was of the opinion negative voting would foster honesty and vibrancy in elections.


It added that democracy was all about choice and the right of citizens to cast negative vote was of utmost significance. The apex court said the right to vote and the right to say “No” are both part of basic right of voters.

“For democracy to survive, it is essential that the best available men should be chosen … for proper governance of the country. This can be best achieved through men of high moral and ethical values who win the elections on a positive vote,” said the Indian SC.


Thus the “No” vote option would indeed compel political parties to nominate sound candidates, it said.

The apex court further said giving right to a voter not to vote for any candidate while protecting his right of secrecy is extremely important in a democracy. "Such an option gives the voter the right to express his disapproval of the kind of candidates being put up by the parties."

"Gradually, there will be a systemic change and the parties will be forced to accept the will of the people and field candidates who are known for their integrity.”

Not allowing a person to cast a negative vote would defeat the very freedom of expression and the right to liberty, said the court.

Following the court's order, the Indian EC introduced the “No” vote provision in the 2014 parliamentary election. More than 60 lakh voters chose to vote “No” that year.

India also introduced the “no vote” provision in state assembly elections in 2016. The 2016 Assembly elections saw some active canvassing for “no vote”, which allows voters to express their disapproval of all contestants.

In Kerala, a group of women activists hit the road urging people not to elect any candidate if no woman was present in the fray. In Tamil Nadu, a youth group campaigned for “no vote” as a protest vote against corruption, according to a report in the Hindu on February 28 this year.

Pakistan has been facing an uphill battle to introduce the provision since 2012. Its Supreme Court in 2012 in a verdict asked the EC to allow people to cast “No” vote.

The Pak EC had decided to introduce “No” vote in the 2013 election. But it had to back off from the decision in face of criticism by political parties.

In Bangladesh, there is still a debate over reintroduction of the provision for “No” vote.

The “No” vote can play a significant role to bring qualitative change in elections. If voters do not find any candidate in a constituency fit to vote for, they will not abstain from polling. They can exercise their right to franchise by casting “No” vote against all the candidates.

This will encourage people to get more involved in the electoral process. This practice, if introduced, will force political parties to nominate clean candidates in the elections.

Therefore, the provision of “No” vote can bring honest and competent people in elections who can improve quality of the parliament. And this will ultimately contribute to strengthen our democracy.

http://www.thedailystar.net/frontpage/news-analysis-saying-no-right-too-1450831
Related Topics
 
.
টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শেখ হাসিনা ঃ ভারতীয় পত্রিকা
Hasina to be elected as PM For the 3rd time: Indian Newspaper
330373_1.jpg

20 Aug, 2017

আগামী ২০১৯ সালের জানুয়ারির আগে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হবেন ভারতের বন্ধু-ভাবাপন্ন শেখ হাসিনা। সম্প্রতি ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকার এক নিবন্ধে এ কথা বলা হয়েছে। ‘ওয়াচ আউট ফর টারবুলেন্স ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রয়েছে। সহযোগিতামূলক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁর দিক-নির্দেশনা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি ও প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে ভারতকে সহায়তা করেছে।

অনেকেই মনে করেন, ২০১৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদের তাঁর ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে ভারত সহযোগিতা করেছে। তবে এই অভিযোগ অতিরঞ্জিত। ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জনের সময় পরীক্ষিত কৌশলকে শেষ অবলম্বন করে রেখেছিলেন। ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ বিলুপ্ত না করেই নির্বাচন করার দায়িত্ব পায় সরকার। এর বিরোধিতা করা বিএনপির জন্য সঠিক ছিল। কিন্তু সমস্যা ছিল যে তারা কট্টর জামায়াতে ইসলামির পক্ষ নিয়েছিল। বিশেষ আদালত যুদ্ধাপরাধীদের সাজা দিতে শুরু করলে বিএনপি এবং জামায়াত ২০১৩ সালে বাংলাদেশে ব্যাপক সহিংসতা চালায়। বিএনপি মনে করেছিল, এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন করতে শেখ হাসিনার চেষ্টা ব্যর্থ করা সম্ভব হবে। কিন্তু এ কৌশলের ফল উল্টো হয়েছে। শেখ হাসিনা কিছু বিরোধী দল নিয়ে নির্বাচনে অগ্রসর হতে থাকেন। আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যৌক্তিক বিকল্প এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে আওয়ামী লীগের জয়কে স্বীকৃতি দেয় ভারত।

এই সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বেড়েছে। তবে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন উত্সাহব্যঞ্জক নয়। জামায়াতের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। তাদের অনেক নেতা নিহত হয়েছে; না হয় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সম্পত্তি জব্দ করার জন্য জামায়াত অর্থনৈতিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের মাধ্যমে নতুন ইসলামি শক্তির উত্থান ঘটেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অসাম্প্রদিক-উদার দল হিসেবে আওয়ামী লীগের পরিচয় থাকলেও তারা হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতা করেছে।

দ্য হিন্দুর নিবন্ধে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রিয়তা কমছে। সরকারবিরোধী মনোভাব ও গত কয়েক বছরে কার্যত এক দলের শাসনের কারণেই এটা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এইচএম এরশাদের দল জাতীয় পার্টি ‘প্রক্সি’ বিরোধী দলের ভূমিকায় আছে। যারা আগামী নির্বাচনে হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে জোট করতে আগ্রহী। এ ক্ষেত্রে জয় নিশ্চিত করতে কট্টর মৌলবাদীদের ভোট ভাগ করাটা আওয়ামী লীগের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ।

নিবন্ধে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয় কী করবেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। যদি নির্বাচনের আগে তিনি জেলে যান, কিংবা গ্রেফতার এড়াতে ছেলের মতো দেশ ছাড়েন সেক্ষেত্রে বিএনপি কীভাবে অগ্রসর হবে? বাংলাদেশে এখন এমন প্রশ্ন উড়ে বেড়াচ্ছে। তবে মৌলবাদী শক্তির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে খালেদার ভাবমূর্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে। এই অশান্ত সময়ে তারা কি খালেদা জিয়াকে সমর্থনের ঝুঁকি নেবে? তাত্পর্যপূর্ণ বিষয় হলো ২০১৪ সালের পর থেকে বিএনপি ভারত-বিরোধী কথা বলা থেকে বিরত রয়েছে। এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে কি নতুন সূচনা? এই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র খালেদা জিয়া জানেন, যিনি এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন।

http://www.newsofbd.net/newsdetail/detail/200/330373
 
.
20915574_1937165093214539_3470404167390321699_n.jpg


154 un-elected MP's Legality to be Challenged? Government tense over Rumors regarding their Review petition.
১৫৪ এমপি’র বৈধতা প্রশ্নে রিভিউর গুঞ্জন, সরকারে টেনশন

330574_1.jpg

21 Aug, 2017

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে সৃষ্ট টানাপড়েন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে বহুমুখি সংকটে ফেলে দিয়েছে। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় রিভিউ কিংবা রায়ের পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত কয়েকটি শব্দ এক্সপাঞ্জ করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা যখন দৌড়াচ্ছেন প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও বঙ্গভবনে, ঠিক এসময়ে সরকারের সামনে এসে দেখা দিয়েছে আরেক নতুন সংকট। আর সেটা হলো ১৫৪ জন বিনা ভোটের এমপির বৈধতার প্রশ্ন।

আদালত যদি কোনো কারণে বিনাভোটে নির্বাচিত ১৫৪ জন সংসদ সদস্যকে if declared illegal অবৈধ ঘোষণা করে তাহলে সরকারকে বাধ্য হয়ে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। According to our Constitution, the Parliament stand dissolved সংবিধান অনুযায়ী সংসদ এমনিতেই ভেঙ্গে যাবে।


২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৫৪ জন সংসদ সদস্য। ওই সময় তাদের পদে থাকার বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি খুরশিদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রিট খারিজ করে দিয়েছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খারিজ হওয়া ওই রিটের রিভিউয়ের বিষয়েও প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি- BNP along with Jaamat aligned lawyers are preparing for the review জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকেই আইনজীবীদেরকে রিভিউয়ের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

বিএনপি-জামায়াত মনে করছে, সংসদে বিনাভোটের ১৫৪ জন এমপি থাকার কারণেই প্রধান বিচারপতি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর্যবেক্ষণে বর্তমান সংসদকে অপরিপক্ক বা অকার্যকর বলে মন্তব্য করেছেন। তাই, এ মুহূর্তে এই ১৫৪ জন বৈধতা প্রশ্নে করা খারিজ হওয়া রিটের রিভিউ করলে তা আদালত গ্রহণ করতে পারে। এমনকি শুনানিতে আদালত যুক্তিসংগত মনে করলে এই ১৫৪ জন এমপিকে অবৈধ ঘোষণাও করে দিতে পারে। এ ধরণের সম্ভাবনা থেকেই বিএনপি-জামায়াত রিভিউয়ের বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা করছে বলে জানা গেছে।

সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেছেন, এখন ওই রিটের রিভিউ আবেদন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিলম্বের যুক্তিসঙ্গত কারণ ও ব্যাখ্যা দিতে হবে। হাইকোর্ট তা গ্রহণযোগ্য মনে করলে সে বিষয়েও শুনানি হতে কোনো আইনগত বাধা থাকবে না।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, ১৫৪ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যের রিটের ব্যাপারে রিভিউয়ের সুযোগ আছে।

এ বিষয়ে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, কোনো মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন না করলে পরে যে কেউ বিলম্বের যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখিয়ে জনস্বার্থে রিভিউ আবেদন করতে পারেন।

আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্রে আমরাও এমনটি শুনেছি বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা কিছু প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে এ বিষয়ে কোনো সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। তিনি বলেন, তবে সময় এবং মামলার গুণাগুণ বিবেচনা করে আমরা যেটা বুঝি, ইতিবাচক কোনো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা বিএনপির একেবারেই নেই।

জানা গেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি-জামায়াতের রিভিউয়ের প্রস্তুতির কথা শুনে সরকারের ভেতরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়ে গেছে। সরকার মনে করছে, প্রধান বিচারপতি এমনিতেই সংসদকে অকার্যকর বলে আখ্যা দিয়েছেন। এখন শুধু অবৈধ ঘোষণা করার বাকী। ১৫৪ জনের ইস্যুটাকে বিচার বিভাগ কাজে লাগাতে পারে বলেও মনে করছে সরকার। এ নিয়ে এখন চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে সরকার।

http://www.newsofbd.net/newsdetail/detail/200/330574
 
.
Qamrul Islam
নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ২৪৯ আসন পেতে যাচ্ছে বিএনপি- এমন ফলাফল উঠে এসেছে “ইনসাইড সার্ভে অফ বাংলাদেশ” নামক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জরিপে।

নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ২৪৯ আসন পেতে যাচ্ছে
BDPOLITICO.COM
 
.
Cant even leave your home, if Sheikh Hasina falls.
শেখ হাসিনার পতন হলে ঘর থেকে বের হতেও পারবেন না

313483_1.jpg

04 Jun, 2017

অসাম্প্রদায়িকতা মানে সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাসহীনতা নয়-এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন লিখেছেন, ‘কে কী পালন করবে এটা নির্ধারণ করে দেয়ার ক্ষমতা আপনাকে আমাকে কেউ দেয়নি, এই ক্ষমতা শুধুই রাষ্ট্রের।’

8.jpg

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে খোকন এসব কথা লেখেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আছে বলেই এখন গলা ফাটানো যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার পতন হলে কী হবে-সেটা বিবেচনা করতেও বলেছেন তিনি।

‘অসাম্প্রদায়িক এই দেশে সবাই সবার ধর্ম পালন করবে। যার যার ধর্মের নিজস্ব সংস্কৃতি পালন করবে’ উল্লেখ করেন খোকন।

প্রগতিশীলদের মধ্যে যারা সরকারের সমালোচনা করছেন, তাদের কঠোর সমালোচনা করেন খোকন। তিনি লেখেন, ‘তাদের উদ্দেশ্যে বলছি- আল্লাহ না করুক যদি শেখ হাসিনার কিছু হয়ে যায় গলার আওয়াজ তো অনেক দূরের কথা, বাসা থেকে বের হতে পারবেন কি না সেই চিন্তা করেন।’ শেখ হাসিনার পতন কামনা করার আগে সৃষ্টিকর্তার নাম নিয়ে জিকির করে নেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব।

খোকন মনে করেন, যারা নিজেরা খুব বেশি প্রগতিশীল বলে গলার জোর বাড়িয়ে দিয়েছেন, বলছেন শেখ হাসিনা পরাজিত হলে বিজয় উৎসবে যোগ দেবেন। তিনি লেখেন, ‘গলায় জোর আছে, শেখ হাসিনাকে গালি দিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা বঙ্গবন্ধুর মতই উদার, তাই হজম করে যাচ্ছেন। অন্য কেউ কিন্তু হজম করবে না।’

প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব লেখেন, ‘যার বদৌলতে এই বাংলাদেশটা পেয়েছেন, যে দেশটাকে নিয়ে আপনাদের এখন অনেক টেনশন, সে দেশটার স্থপতিকে যখন সপরিবারে হত্যা করেছিল তখন তো ওই খুনিদের সঙ্গেও অনেক হাত মিলিয়েছেন, কবিতা-ছড়া লিখেছেন, খাল কেটেছেন।’

বিএনপি-জামায়াতের সময় যে বিড়াল হয়ে থাকতেন সেইটা ভুলে গেছেন মন্তব্য করে খোকন আরও লেখেন, ‘কেউ কেউ তো রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা নিয়েও পালিয়ে বেড়িয়েছেন। তখন তো শেখ হাসিনাই আশ্রয় দিয়েছিলেন। আর আপনাদের গলায় জোর তা কোত্থেকে এসেছে জানেন তো? গলার এই জোর কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার বদৌলতেই পেয়েছেন।’

উৎসঃ purboposhchimbd
http://www.newsofbd.net/newsdetail/detail/49/313483
 
.
Qamrul Islam
সবাইকে নিয়ে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন গোটা দেশবাসীর দাবী এব! চাওয়া। আর এর জন্য দরকার একটি নিরপেক্ষ সরকারের এধীনে নির্বাচন। নইলে বিদেশী বন্ধুদের এসব কথাবার্তা কেবল শুভেচ্ছা বারতা হয়েই থাকবে। তাই সবার আগে সরান.....তারপরে নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক করা যাবে।

 
.
Election Survey: 249 seats will be bagged by BNP,if Elections are held in a Neutral manner.
নির্বাচনী জরিপ ঃ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ২৪৯ আসন পাবে বিএনপি !

image-3894-1499641732-660x330.jpg

বিএনপির দলীয় পতাকা
নির্বাচনী জরিপ ঃ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ২৪৯ আসন পাবে বিএনপি !

‘সাজানো’ নির্বাচনে যাবে না বিএনপি
http://monitorbd.news/2017/08/25/নির্বাচনী-জরিপ-ঃ-নিরপেক্/

বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে ২৪৯ টি আসন লাভে সমর্থ হবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সম্প্রতি দেশব্যাপী পরিচালিত ইনসাইড সার্ভে অব বাংলাদেশ নামক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জনমত জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে দ্বিদলীয় শাসন ব্যবস্থা যেভাবে গড়ে উঠেছে, ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশেও এরকম একটি শাসন ব্যবস্থার দুটি রাজনৈতিক শক্তি গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলের বাইরে ছোট-বড় কিছু রাজনৈতিক শক্তি থাকলেও জাতীয় নির্বাচনে প্রধান দুটি শক্তির সংস্পর্শে তারা আবির্ভূত হন। বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একদলীয় বিতর্কিত নির্বাচনের পর নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাপক প্রশ্নবিদ্ধ হলেও ক্ষমতার পালাবদলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের চাপ আভ্যন্তরীণ শক্তিগুলোর তরফ থেকে যেমন আছে, আবার বিদেশি শক্তিগুলোও সরকারকে ক্রমাগত চাপের মধ্যেই রেখেছেন। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সাথে বিশ্বব্যাংক, জাইকাসহ নানা দাতা সংস্থাগুলো সরকারকে নিরপেক্ষ নির্বাচনের চাপ দিচ্ছে। চাপে রেখেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মত প্রভাবশালী মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তাই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে শপথ গ্রহণের পর শেখ হাসিনাকে তার আগের দুটি সরকারের মত বিদেশ সফরে যেতে খুব একটা দেখা যায়নি। এক ধরনের অসস্থি ও অস্থিরতা তার চোখে মুখে তিনি বছর জুড়ে লুকাতে পারেননি।

সর্বশেষ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণে-“নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারে না”, বলার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের এই চাপকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। সরকারের প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপি নির্বাচনে যাবার আগ্রহ প্রকাশ করলেও নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের দাবিতে তারা অটল রয়েছেন। তবে মাঠ পর্যায়ের আন্দোলন প্রস্তুতির সাথে সাথে নির্বাচনী গণসংযোগ ও চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। সরকারের মামলা-হামলা, গুম-খুন ও জুলুম নির্যাতনকে উপেক্ষা করে মাঠে থাকার চেষ্টা করছে বিএনপি নেতারা। ইতোমধ্যে নেত্রকোনাসহ বেশ কিছু জায়গায় পুলিশসহ সরকারি বাহিনীকে রুখেও দিয়েছে বিএনপি নেতা কর্মীরা। তবে সাধারণ মানুষ না খেয়ে থাকলেও রাজনৈতিক আলাপ আলোচনা ও দলগুলোর ভবিষ্যৎ ভাগ্য নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তুলে থাকেন। বিশেষ করে গ্রামীণ জীবনে এটি সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আগামী ২০১৯ সাল বা তৎপূর্ববর্তী নির্বাচনটি কেমন হতে পারে, কারা আসবেন ক্ষমতায়, ক্ষমতাসীন দলের আসন সংখ্যা কেমন হতে পারে, নির্বাচন কালীন সরকারের রূপরেখা কেমন হতে পারে, এই নিয়ে আলোচনার যেমন ঝড় আছে, আছে প্রত্যাশার দোলাচল, আশা-নিরাশা, স্বপ্ন আর সম্ভাবনায় অধীর আগ্রহে প্রহর গুনছে প্রতিটি মানুষ।

সম্প্রতি “ইনসাইড সার্ভে অব বাংলাদেশ” নামক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশব্যাপী একটি জনমত জরিপ চালিয়েছেন। বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৮০০ শিক্ষার্থীকে দিয়ে এ জরিপ কাজ সম্পন্ন করে। ২২টি প্রশ্ন সম্বলিত একটি ফর্ম সাধারণ জনগণকে পূরণ করতে দেয়া হয়।

৩০০ নির্বাচনী আসনের প্রতিটিতে কমপক্ষে ৩৫০ জন করে ভোটারের প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎ ও ফরম পূরণ করেছে ইনসাইড সার্ভের নিয়োগকৃত সদস্যরা। কর্তব্য কর্মে অবহেলা রোধকল্পে ২ জনের টিমের ১ জন সার্বক্ষণিক মোবাইল ভিডিও কর্মে নিয়োজিত ছিলো। এই ভিডিওসহ ইনসাইড সার্ভের নিকট জরিপের কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তাদের নিয়োজিত শিক্ষার্থী কর্মীরা। প্রতি ইউনিয়ন থেকে কমপক্ষে ২০ জনের সাক্ষাৎ গ্রহণের বাধ্যবাধকতায় অশিক্ষিত ভোটার জরিপে চলে আসলে তাদেরকে প্রশ্ন শুনিয়ে ফরম পূরণে সহায়তা করেছে সার্ভে শিক্ষার্থীরা। কেমন সরকারের অধীনে নির্বাচন চান, কোন দলকে ভোট দিবেন, কেন ভোট দিবেন, সরকারের সফলতার প্রধান দিক কি, প্রধান ব্যর্থতা কি, আপনি সরকার দ্বারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত কি না, হলে কিভাবে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন কি না, না দিয়ে থাকলে মনে কষ্ট আছে কি না। শেখ হাসিনা না বেগম খালেদা জিয়া কাকে বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়, না ভোটের বিধান রাখা যেতে পারে কি না, ইত্যাদি প্রশ্ন সম্বলিত প্রায় তিন মাসব্যাপী জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণ করতে প্রায় সাড়ে তিন মাস সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন ইনসাইড সার্ভে অব বাংলাদেশের কর্তাব্যক্তিরা। জরিপের চুম্বক অংশটুকু পাঠকের উদ্দেশ্যে তোলে ধরা হলো- ঢাকা বিভাগে ১৩ টি জেলায় ৭০ টি আসন রয়েছে।

জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, এখানে বিএনপি-৫৭ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে আর মাত্র ১১টি আসনে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল থেকে নির্বাচিত হতে পারেন। আর ডঃ কামাল হোসেনের আসনে বিএনপি প্রার্থী না দিলে তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জেলায় ২৪ টি আসন। বিএনপি ১৮ টি আসনে আর আওয়ামী লীগ ৬ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। তবে রওশন এরশাদ এর মহাজোটে থেকে গেলে সে আসনটি ধরে রাখতে পারে জাতীয় পার্টি।

সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় ১৯ টি আসন। বিএনপি-১৬ ও আওয়ামী লীগ-২ টি আসনে আর জাপা (এরশাদ) ১ টি আসনে এগিয়ে আছে।

চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জেলায় ৫৮ টি আসন। বিএনপি অধ্যুষিত এই বিভাগে বরাবরের মতোই একচেটিয়া ভাবে প্রায় সবগুলো আসন নিশ্চিত করার সম্ভাবনা রয়েছে বিএনপির। এখানে বিএনপি ৫৮ টি আসনে বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। জাসদ নেতা আ.স.ম রবের সাথে বিএনপির বোঝাপড়া বা প্রাথমিক সখ্যতা হলে তাকে ১ টি আসন ছেড়ে দেয়া হতে পারে। আর এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ কে ১ টি আসন ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি।

বরিশাল বিভাগে ৬ জেলায় ২১ টি আসন রয়েছে। বিএনপি-১৫ আওয়ামী লীগ-৩, জামায়াত-১, জেপি (মন্জু)-১, আর বিজেপি (পার্থ)-১টি আসন পেতে পারে।

খুলনা বিভাগে ১০ জেলায় সর্বমোট ৩৬ টি আসন। বিএনপি-৩০, আওয়ামী লীগ-৩, জামায়াত-৩ আসনে এগিয়ে আছে।

রাজশাহী বিভাগে ৮ জেলায় ৩৯টি আসন। এখানে বিএনপি-৩৬, আওয়ামী লীগ-১ জামায়াত -২ টি আসন পেতে পারে। তবে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নার জন্য বিএনপি একটি আসন ছেড়ে দিতে পারে।

রংপুর বিভাগে ৮ জেলায় মোট ৩৩ টি আসন। বিএনপি-২২, আওয়ামী লীগ-৩ জামায়াত-১ ও জাতীয় পার্টি (এরশাদ)-৭ টি আসনে এগিয়ে আছে। তবে এগিয়ে থাকা আসনগুলোর ১ টি তে বিএনপি ও ১ টি তে আওয়ামী লীগ ভাগ বসালে অবাক করার মত কিছু ঘটবে না। কারণ এই দুটি আসনে খুব সামান্য ব্যবধানে জাতীয় পার্টি এগিয়ে আছে।

সার্বিক পর্যালোচনায় জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ৩০০ আসনের মধ্যে এককভাবে বিএনপি-২৪৯, আওয়ামী লীগ-২, জামায়াত-৭, জাতীয় পার্টি (এরশাদ)-৮, বিজেপি (পার্থ)-১, জেপি (মন্জু) -১, এলডিপি-১, ড. কামাল হোসেন-১, আ.স.ম রব-১, মান্না -১, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী-১টি আসন পেতে পারে। জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৮-২৮ বছর বয়সী তরুণ ভোটারদের প্রায় ৮৫ ভাগই সরকার পরিবর্তনে পক্ষে মত দিয়েছেন। ৫ বছর পর পর জাতীয় নির্বাচন হলেও আগামী নির্বাচনটিকে ১০ বছর পর হচ্ছে বলে ধরে নেয়া যায়।

তাই আগামী নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেয়া ভোটারের সংখ্যা স্বাধীনতা উত্তর সবচেয়ে বেশি। এই তরুণ ভোটারদের বড় অংশটাই ক্ষমতাসীনদের জন্য সবচেয়ে বড় কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে জরিপের ফলাফলে উঠে এসেছে। কেন তরুণদের মনে পরিবর্তনের ইচ্ছা বা সরকার বিরোধী মনোভাব?

জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়- পিলখানা হত্যাযজ্ঞ, অব্যাহত গুম-খুন, শেয়ার বাজার লুট, পদ্মাসেতু কেলেঙ্কারি, হলমার্ক, ডেসটিনি, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, এটিএম বুথে অভিনব চুরি, সরকারের ছত্রছায়ায় নারায়ণগঞ্জে সেভেন মার্ডার ভোটারদের মনে সরকার বিরোধী মনোভাব গড়ে তুলেছে। ডেসটিনির গ্রাহকরা মনে করেন ডেসটিনি তার কমিটমেন্ট অনুযায়ী তাদের লভ্যাংশ দিয়ে আসছিলো। কিন্তু সরকার দূরভিসন্ধিমূলক ডেসটিনির কার্যক্রম বন্ধ করে তাদের সর্বশান্ত করেছে ও নিজেরা সেই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোট দিতে না পারার মনোবেদনা, বিশ্বজিৎ হত্যা, তণু হত্যা, খাদিজা নির্যাতনসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্তৃক সারাদেশে চাঁদাবাজি, ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডে ভোটাররা তীব্র ক্ষুব্ধ। তবে হালের তুফান কর্তৃক ধর্ষণ ও মা-মেয়েকে নির্যাতন এবং সিদ্দিকুরের চোখ উপড়ানোর পূর্বেই এই জরিপ কার্য সম্পন্ন হয়েছিলো।

এ ধরনের ঘটনার বিরুপ প্রভাব ও নির্বাচন পড়বে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। এছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের আলেমদের হত্যা, ফেনীর চেয়ারম্যান আকরামকে পুড়িয়ে কয়লা বানানো বা নাটোরের চেয়ারম্যান বাবুকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা, নির্যাতনে শিশু রাকিব ও শিশু রাজনকে হত্যা, এমপি লিটন কর্তৃক শিশু সৌরভকে গুলি করে হত্যা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীহ ছাত্র আবু বক্করকে ছাত্রলীগ কর্তৃক হত্যা, কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানীর লাশ ও মায়ের পেটে শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়াসহ আলোচিত ঘটনাগুলো আঞ্চলিকভাবে ভোটের রাজনীতিতে বেশ প্রভাব ফেলবে।

মসজিদে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার লাগিয়ে শোক দিবস পালনের বাড়াবাড়ি, শিক্ষার মান বিবেচনায় না নিয়ে গণহারে পাশ করিয়ে দেয়া, উন্নয়নের নামে লুটতরাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অযোগ্য দলীয় শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একচেটিয়া দখল করে ছাত্রলীগের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম, গার্মেন্টস শিল্পে ধস ও জিএসপি সুবিধা বাতিল সচেতন ভোটারদের মনে বিরুপ ফলাফল পড়েছে বলে জরিপে উঠে এসেছে। এছাড়া স্থানীয় নির্বাচনে জবরদখল, ব্যক্তি পর্যায় পর্যন্ত বাড়তি করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া, বিদেশী নাগরিক হত্যা হওয়ার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা, জঙ্গি দমনের নামে ক্রমাগত নাটক তৈরী, নাস্তিক্যবাদকে প্রশ্রয় দান, রামুর বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও গণতন্ত্রের সর্বনিম্ন স্পেস না থাকাকেও সচেতন ভোটাররা আমলে আনছেন।

চাল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন উর্ধগতি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধিকে সাধারণ ভোটাররা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারেনি বলে জরিপে দেখা যায়।

এছাড়া ৯৮ পরবর্তী এবারের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের সদিচ্ছার অভাবও বন্যাদূর্গত এলাকাগুলোতে সরকারকে নির্বাচনী মাঠে বেশ বেকায়দায় ফেলতে পারে। রানা প্লাজায় ১১০০ শ্রমিক নিহত হওয়া, তাজরীন গার্মেন্টস ট্র্যাজেডি, নিমতলীর হৃদয়বিদারক ঘটনাও ভোটের বাক্সে প্রভাব ফেলবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লষকরা মনে করছেন। মুন্সীগঞ্জ আঁড়িয়ালবিলে বিমান বন্দর, দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়া কয়লা বিদুৎকেন্দ্র, সুন্দরবনঘাতী রামপাল কয়লা বিদুৎকেন্দ্র স্থাপন স্থানীয়ভাবে সরকারকে ভোটের রাজনীতিতে বেশ বেকায়দায় ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই ঢাকায় জলাবদ্ধতা উন্নয়নের নমুনাকে যমুনায় পরিনত করেছে। সোয়াইন ফ্লু ও বার্ড ফ্লু আতঙ্ক বিবেচনায় কম নিলেও ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার ভুক্তভোগীরা মশক নিধনে সরকারের অবহেলাকেই দায়ী করে থাকেন। ঢাকার সচেতন ভোটারগণ বিষয়গুলোকে ভোট বাক্সে ক্ষমা করবেন বলে মনে করেন না বোদ্ধারা।

সরকার কর্তৃক বিচার বিভাগ দখলের প্রকাশ্য নির্লজ্জতা, অবৈধ পথে মানব পাচার, ইয়াবা বদি, গম কামরুল, লতিফ সিদ্দিকীর হজ্জ নিয়ে কটূক্তি, প্রশ্নপত্র ফাঁস, সাগর-রুনী হত্যাকান্ড, প্রেসক্লাব দখল, মিডিয়ার টুটি চেপে ধরা তথা চ্যানেল ওয়ান, ইসলামী টিভি, দিগন্ত টিভি ও আমার দেশ বন্ধ করে দেয়া, আইসিটি এক্টের ৫৭ ধারার মতো কালো আইন ভোটারদের মনে দারুণভাবে প্রভাব ফেলেছে বলে জরিপে দেখা যায়।

আদালতকে ব্যবহার করে বিএনপির সিনিয়ির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে সরকারি নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ ভোটাররা।

গ্রামীণ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক সরকার কর্তৃক দখল করে নেয়াকে ভোটাররা ভাল চোখে দেখেনি। তার উপর প্রফেসর ইউনূস, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, একে খন্দকারসহ স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের সম্মানিত ব্যক্তিদের নানাভাবে অসম্মানিত করায় দেশের মানুষের মনে গভীর দাগ কেটে আছে বলে জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়। তবে জরিপের ফলাফল যাইহোক সব দলের অংশগ্রহণে একটা নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশায় জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান।

জাস্ট নিউজ
 
.
BNP Will NOT participate in Farce Election's
সাজানো’ নির্বাচনে যাবে না বিএনপি

image-4854-1500154679-660x330.jpg

বিএনপি
‘সাজানো’ নির্বাচনে যাবে না বিএনপি
একাদশ সংসদ নির্বাচন যদি পুরোপুরি সরকারের ‘ছক’ অনুযায়ী হয়; তাহলে তাতে বিএনপি শেষ পর্যন্ত অংশ নাও নিতে পারে। দলটির নীতিনির্ধারক একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

যদিও নির্বাচনে যাওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি বিএনপির আছে এবং দলটির নেতারাও ভোটে অংশ নেওয়ার পক্ষে। কিন্তু অনেক দিন ধরে ঢাকায় বিএনপিকে বড় ধরনের সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়ার ঘটনায় দলটির মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে যে সরকার তাদের চাপে রাখতে চায়। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার প্রশাসনকে নিজের মতো করে ঢেলে সাজাচ্ছে বলেও বিএনপির কাছে বিভিন্ন মহল থেকে খবর আসছে। এ পরিস্থিতিতে ‘সহায়ক সরকার’র প্রস্তাব দিলে সরকার তাতে সাড়া দেবে এমন আশা কম বিএনপিতে।

সাম্প্রতিককালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কিছু বক্তব্যের কারণে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া প্রশ্নে বিএনপির মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। দলটির নেতারা মনে করছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুরোপুরি সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করবে। আর নির্বাচনকালীন সরকারের নিয়ন্ত্রণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকলে ভোটে যাওয়া না-যাওয়া সমান কথা বলে দলটি মনে করছে। বিএনপি নেতাদের মতে, ওই অবস্থায় পুলিশ ও বেসামরিক প্রশাসন পুরোপুরি সরকারের পক্ষে কাজ করবে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে যাবে এ কথা আমরা সব সময় বলি।

কিন্তু পূর্ব শর্ত হলো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হতে হবে।
এখন তারা যদি প্রশাসনে প্রভাবসহ সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, আর আমাদের চাপের মুখে রেখে প্রহসনের নির্বাচন করতে চায় তাহলে সে নির্বাচনে বিএনপি বা ২০ দল কেন যাবে? শুধু সরকারকে বৈধতা দিতে তো বিএনপি নির্বাচনে যেতে পারে না; যোগ করেন তিনি। বলেন, সহায়ক সরকারের প্রস্তাব দিয়ে আমরা দেখতে চাই সরকার তাতে সাড়া দেয় কি না। ’

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি সব সময় নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। আমরা এর আগে নির্বাচনে যাওয়ার কথা বলেছিও। কিন্তু ইসি ও প্রশাসনকে নিজের মতো সাজিয়ে সরকার যদি প্রহসনের নির্বাচনের ফাঁদ পাতে; তাহলে সেই নির্বাচনে বিএনপি যেতে পারে না। ’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনসহ সব কিছু এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে। তার পরও সহায়ক সরকার বিষয়ে তারা কী করে সেটি দেখে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাই। ’

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ জানান, নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় সেটি পর্যালোচনা করেই বিএনপি নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতে, সরকারপ্রধান, প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনসহ সব কিছু যদি আওয়ামী লীগের থাকে তাহলে সেই নির্বাচনে শুধু বিএনপি নয়; অন্য কোনো দল যাবে বলে মনে হয় না। তিনি বলেন, নির্বাচন অর্থবহ হতে হবে। কিন্তু দূঃখজনক হলো; নিজের কথাবার্তার মধ্য দিয়ে সিইসি নিজেই নিজেকে অনাস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। মানুষ তো অন্ধ নয়। জনগণ কমিশনের ভূমিকা দেখে নির্বাচনের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে।

পরপর দুটি নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়ার বিধান সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছে। ফলে ওই বিধান এখানে প্রযোজ্য হবে না। তা ছাড়া নিবন্ধন বাতিল ঠেকানোই রাজনৈতিক দলের একমাত্র কাজ নয়। আর রাজনীতিও নিবন্ধন দিয়ে নির্ধারিত হয় না। রাজনৈতিক দলের কর্মপরিধি নির্ধারণ হয় রাজনীতি দিয়ে। নিবন্ধন সেখানে একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি আন্তরিকভাবে নির্বাচনে যেতে চায়। কিন্তু পরিবেশ তো সৃষ্টি করতে হবে। এখন সরকার যদি ২০১৪ সালের মতো একটি খেলা খেলতে চায়, তাতে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে বিএনপির আগ্রহ নেই। সরকারের একতরফা সাজানো নাটকে অভিনয় করার আগ্রহ বিএনপির নেই বলে জানান তিনি।

নিবন্ধন বাতিল হওয়া সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপির এই নেতা বলেন, এটি এক ধরনের হালকা কথা। তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার যুক্তিসংগত কারণ থাকলে নিবন্ধন বাতিল হবে কেন? প্রশ্ন উত্থাপন করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রহসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য বিএনপি নিবন্ধন নিয়েছে নাকি? নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে রাজনীতি করার জন্য। রাজনৈতিক দল তার আদর্শ ও নীতি বাস্তবায়নের জন্য কর্মসূচি পালন করে। সেই রাজনীতিই যদি না করা যায়, তাহলে নিবন্ধন দিয়ে কী হবে!

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০-‘জ’ এর ‘ঙ’ ধারা অনুযায়ী পরপর দুটি নির্বাচনে অংশ না নিলে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার বিধান রয়েছে। সে হিসেবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিএনপিসহ ২৮টি দলকে অংশ নিতে হবে।

সম্প্রতি নির্বাচনী রোড ম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠান ও গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপে সিইসির দেওয়া কিছু বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গত ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপে সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা তৈরিতে মধ্যস্থতা করার দায়িত্ব ইসি নেবে না। নির্বাচনের সময় কোন ধরনের সরকার থাকবে তাও ইসির দেখার বিষয় নয়। তিনি বলেন, সরকার যে পদ্ধতি ঠিক করে দেয়, সেভাবেই নির্বাচন করতে হয়। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হলে ইসি সেভাবেই করবে বলে জানান নুরুল হুদা। এর আগে গত ১৭ জুলাই রোড ম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশ করার ক্ষেত্রে বাধা দূর করার দায়িত্ব ইসি নেবে না।

সিইসির এসব বক্তব্য ‘দায়িত্বশীল’ নয় বলে নির্বাচন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি বিএনপিও ওই বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁকে সরকারের ‘আজ্ঞাবহ’ বলে অভিযোগ করেছে। এদিকে সর্বশেষ তাঁর ওই বক্তব্যের কারণেই নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নে বিএনপিতে নতুন করে আলোচনা-পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।

ঘরোয়া বৈঠকে সিনিয়র একাধিক নেতা মত প্রকাশ করেন যে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সিইসি পদে নুরুল হুদাকে বসানো হয়েছে এবং তিনি সরকারের নীল-নকশাই বাস্তবায়ন করবেন। কেউ কেউ এমনও বলেছেন, আগের রকিবউদ্দিন কমিশনের তুলনায় হুদা কমিশন আরো দুর্বল ও আজ্ঞাবহ।

গত ফেব্রুয়ারিতে ইসি পুনর্গঠনের সময় অবশ্য সরাসরি নুরুল হুদার বিপক্ষে না গিয়ে কিছুটা কৌশলী অবস্থান নিয়েছিল বিএনপি। উদ্দেশ্য ছিল; তাঁকে চাপে রাখার পাশাপাশি বিএনপির সহায়ক সরকারের প্রস্তাব উত্থাপন পর্যন্ত অপেক্ষা করা। কিন্তু সাম্প্রতিক ভূমিকায় সরকারের পক্ষে সিইসির অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে বলে বিএনপি মনে করে।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি নুরুল হুদা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

কালের কণ্ঠ

http://monitorbd.news/2017/08/25/সাজানো-নির্বাচনে-যাবে/
 
.
12:00 AM, August 27, 2017 / LAST MODIFIED: 01:41 AM, August 27, 2017
Electoral security: Important for a fair election
election_5.jpg

M. Sakhawat Hussain

The much-awaited dialogue with the Election Commission (EC) had started with the participation of some prominent civil society activists and members of civil society organisations (CSOs), followed by senior media personalities both from print and electronic media. These dialogues would continue, as per the work programme that EC has released, with other stakeholders, chiefly the political parties who matter most. The aim of these dialogues, according to the EC, is to gather opinions on a few important issues as identified by them so that a free, fair and all-inclusive 11th Parliament election could be held with the current parliament un-dissolved and the AL still in office.

The EC's effort definitely deserves praise as it has continued the good practice that was initiated in 2008 but discontinued during the Rakib Commission. Like the CSOs, voters and the public in general do not want a repetition of the election held in 2014, which did not quite help sustain the democratic process in Bangladesh.

However, the dialogue that the EC has held so far would have been more meaningful if they were held to thrash out specific issues and suggest the modus operandi. The current exercise has not brought out the operational aspect of the issues discussed. Nevertheless, most of the participants emphasised the need to hold an acceptable election where voters can vote freely and for the EC to take steps to create such an environment. There were suggestions of all kinds, but the dialogue seems to have revolved around two issues: (i) deployment of the armed forces for effective electoral security, and (ii) reintroduction of “no vote”. There were participants who had different opinions particularly on the issue of deployment of the armed forces during the next election, forgetting the fact that deployment of the armed forces has been a practice in all parliamentary elections since 1973, when the first post-liberation election was held. Those opposing the idea could not forward a solid logic in their defence.

The requirement for deploying the armed forces is connected with the electoral security which features most prominently in our country's electoral governance, particularly when elections are held under a political government. While securing the electoral process is a very important factor, particularly in our country, it is not the only factor for ensuring a free, fair and acceptable election.

However, there are other factors that would create difficulties for the EC in holding elections under the present condition of Article 123(2)(a) of the Constitution, without dissolving the Parliament. These factors are: (i) continuous patron-client political culture; (ii) weaknesses within the electoral institutions; (iii) a polarised civil administration including law enforcement agencies; and (iv) electoral security arrangement. These are very important factors that would come into play in spite of the fact that Bangladesh has, theoretically, one of the most powerful electoral institutions and largest infrastructures of EC in the subcontinent. Yet, in practice, it is the weakest institution as far as its effectiveness is concerned.

One of the weak areas of electoral governance in our country is lack of continuation of the institutional good practices and planning an action-oriented electoral process. One glaring example of shortcomings in addressing the security issues, for example, is that the EC is not yet sure whether they would need additional forces in the form of armed forces, and if so, who would be their controlling authority—EC or magistrate, etc. The fact is, the EC would need the help of the armed forces to execute its security scheme, however ill-planned. The fact remains that our electoral management is becoming increasingly dependent on the security agencies, mostly of the Ministry of Home Affairs, which by and large would remain under political influence, as seen in the past.

Therefore, the armed forces are viewed by a large section of voters and the public as a neutral institution and they feel confident and safe in their presence. Since electoral security is one of the important determinants of an acceptable electoral process, the EC must be the one to decide on the issue. It is preferable that the armed forces be within the definition of “law enforcing agency” under Article 2 (xiaa) the Representation of the People Order (RPO). Being deployed under the said article does not mean that they would be automatically deployed. It would not be tasked unless the EC felt the need for it, otherwise having such a potent force at EC's disposal would not pay any dividend.

I have very briefly highlighted the important aspect of security planning and deployment of security forces to ensure maximisation of security so that the weaker section of the voters, women and minority voters, feel safe to vote while the officials at field level feel confident to discharge their duties.

Unless the voters feel safe—and if the EC fails to deploy forces under its control within a security template that should have been prepared by now (and if the use of security forces is reactive rather than proactive)—it will be a total wastage of the 70 percent of the election budget apportioned to security. What is to be noted is that it is the EC that is in charge of creating a secure environment. Therefore, let it decide on the nature and quantum of force that would be appropriate, and who should be their controlling authority during the election.

M. Sakhawat Hussain is a former Election Commissioner, a columnist and PhD fellow.
http://www.thedailystar.net/opinion/politics/electoral-security-important-fair-election-1454503
 
. .
Professor Yunus, not Khaleda will be Hasina's opponent in the next Elections
খালেদা নন, ইউনূস আগামী নির্বাচনে হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী !

hasina-1.jpg

খালেদা নন, ইউনূস আগামী নির্বাচনে হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী !
আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পান না কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশেষ বিবেচনা করছেন।
এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের গৌহাটির বিশিষ্ট সাংবাদিক নভ ঠাকুরিয়া।

তেহেলাকা ডট কমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কে বেশি জনপ্রিয়- একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নাকি তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী ? তার ভাষায়, এমন প্রশ্ন বাংলাদেশের মানুষের কাছেও একটি প্রধান প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি তার প্রতিবেদনে বলেন, গত এক দশক ধরে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিকে শাসন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ইউনূস ব্যাংকার থেকে সামাজিক বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিতি পান এবং তার নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর থেকে তিনি দেশের মানুষের নজর কাড়তে শুরু করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দারিদ্রপীড়িত দেশটিতে তার রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব অক্ষুণœ রেখেছেন। বাংলাদেশের মানুষ আগামী দিনের নির্বাচনের জন্যে অপেক্ষা করছে যখন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে দৃশ্যত তার অবস্থান হারিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ প্রধানের জন্যে প্রফেসর ইউনূস তাই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী যিনি শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। এবং ইউনূস বাংলদেশের ১৭ কোটি মানুষের ওপর প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা রাখেন। বিভিন্ন সময়ে শেখ হাসিনা ইউনূসের সমালোচনা করেছেন। মুসলিম অধ্যুষিত দেশটির একজন নোবেল বিজয়ী সরকার প্রধানের সমালোচনার বাইরে নন। সংসদে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। বিদেশ ভ্রমণেও হাসিনা ইউনূসকে গরিব মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত সুদে ঋণদাতা বা রক্তচোষা ব্যক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন।

অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে গরিব নারীদের জন্যে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার জন্যে প্রফেসর ইউসূসের দীর্ঘদিনের ইতিহাস রয়েছে। কয়েক দশক আগে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০০৬ সালে তার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনিও নোবেল পুরস্কার পান। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ গ্রহণের পর অন্তত ৫০ মিলিয়ন নারী দারিদ্র থেকে মুক্তি পেয়েছে। স্বপ্নদর্শী এই ব্যাংকার যিনি তার জন্মদিনে জাতীয় নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি শেখ হাসিনার সরকারের সময় গ্রামীণ ব্যাংক থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা তার সমালোচনা শুরু করেন। উন্নয়নশীল দেশটির ভেতরে এবং বাইরে অনেক পর্যবেক্ষও অনাকাঙ্খিত এই বিতর্কের স্বাক্ষী হয়ে ওঠেন।

এক বছর আগে প্রফেসর ইউনূসের সাক্ষাতকার নেওয়ার সময় তিনি ইঙ্গিত করেন স্থানীয় গণমাধ্যমে কিছু উপাদান যা তাদের প্রতি শত্রুতা সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু ঢাকায় এমন যুক্তি দেখেছি, যেখানে মনে করা হয় পার্বত্য শান্তি চুক্তির জন্যে শেখ হাসিনাই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেতেন যা প্রফেসর ইউনূস পাওয়ায় বাধাগ্রস্ত হয়।

এখন গরিবের ব্যাংকার হিসেবে পরিচিত ইউনূস সামাজিক ব্যবসার ধারণা ছড়িয়ে দিচ্ছেন যেখানে লাভের বিষয়টি টাকার বিচারে নয় বরং তা বিবেচনা করা হয় সামাজিক উন্নয়ন হিসেবে। ইউনূস গরিবের জন্যে দান পছন্দ করেন না বরং তিনি মনে করেন প্রতিটি মানুষ সম্ভাবনা নিয়েই জন্মায়। এবং সামাজিক ব্যবসা তাদেরকে সেই সম্ভাবনাকে উন্নতির এক অমোঘ সুযোগ করে দিতে পারে।

ইউনূস সেন্টার মিডিয়ায় তাকে নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কে সাড়া দেয়, সচিবালয় হিসেবে কাজ করে, প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনার জবাব দেয়। ঢাকা ভিত্তিক এ সেন্টার দেশে ও দেশের বাইরে সামাজিক ব্যবসা নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সর্বশেষ ঢাকায় আয়োজিত তাদের এমন একটি অনুষ্ঠান পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে বাতিল হয়ে যায়। ইউনূস সেন্টার এ ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে একটি বিবৃতি দেয়। জাতিসংঘের এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল থমাস গ্যাস’এর এ সম্মেলনে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপনের কথা ছিল।

বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান একেএম শহিদুল হক দাবি করেন শেষ মুহূর্তে ইউনূস সেন্টার এ আয়োজনের কথা জানায়। হঠাৎ করেই তারা ওই আয়োজনে পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, সরকার এধরনের একটি আন্তর্জাতিক আয়োজনকে স্বাগত জানায় এবং পুলিশও নিরাপত্তা দিতে সক্ষম কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আয়োজনের মাত্র ৩ দিন আগে বিষয়টি সম্পর্কে জানানো এবং বিষয়টি সম্পর্কে অন্ধকারে থাকায় কোনো সাহায্য করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তিনি এও বলেন, সরকার এধরনের সম্মেলন ভ-ুল করার সঙ্গে জড়িত ছিল না। তবে ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে ওই সম্মেলনে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদনটি ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারিন্ডেন্ট’এর কাছে জমা দেওয়া হয় গত ২০ জুলাই। সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল ২৮ ও ২৯ জুলাই।

ওই সম্মেলনে সামাজিক ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের মধ্যে আলোচনা, বিতর্ক ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের উদ্দেশ্য ছিল। বিশেষ করে সম্পদের অসম বন্টন মোকাবেলা কিভাবে উদ্ভাবনী উপায়ে করা যায় তার কৌশল নির্ধারণই ছিল ওই সম্মেলনের একটি উদ্দেশ্য।

সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথির কয়েকজন ছিলেন, ওয়ার্ল্ড অলিম্পিয়ান এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জোয়েল বিউজো, সুইজ্যারল্যান্ডের কেইথ টাফলে, ফ্রান্সের জ্যাকুয়েস বার্জার, যুক্তরাষ্ট্রের রাঙ্গু সালগেম,কানাডার রিচার্ড সেন্ট-পিয়েরে, ফ্রান্সের নিকোলাস হ্যাজার্ড, অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ল্যান্ডার্স, মালয়েশিয়ার দাতো চ্যারন মোখজানি, আজারবাইজানের মাতিন কারিমলি, চীনের বেই ডুওগুয়াং এবং ওয়াং ঝেইনইয়াও, ভারতের শঙ্কর ভেঙ্কটেশ্বরান, অনিল কুমার গুপ্ত, আচ্যুত সামন্ত ও রাহুল বোস প্রমুখ।

সম্মেলনে হাজার দুই আমন্ত্রিতদের মধ্যে ৫০টি দেশের ৪০০ অতিথির অংশ নেওয়ার কথা ছিল। ফেসবুক ব্যবহার করে সম্মেলন চলাকালে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনাও ছিল। (ঈষৎ সংক্ষেপিত)

বি:দ্র: সাংবাদিক নভ ঠাকুরিয়া জার্নালিস্ট কমলা সাইকিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য ও গৌহাটি ভিত্তিক মিডিয়া কমেনটেটর।

http://rtnews24.net/politics/76833
 
.
01:30 PM, September 04, 2017 / LAST MODIFIED: 03:06 PM, September 04, 2017
Election likely next year: Muhith
muhith-new-web.jpg

Finance Minister AMA Muhith says on Monday, September 4, 2017 that the next parliamentary election will likely be held in the last quarter of next year. Star file photo
Star Online Report

Finance Minister AMA Muhith today said that the next parliamentary election will likely be held in December next year.

Election Commission will start preparations accordingly from August 2018, Muhith told reporters at his office. “The election might be held in December.”

Muhith hoped that BNP will contest in the next parliamentary elections.

Asked about Rohingya issue, he said: “We are aggrieved and concerned over the issue. Aung San Suu Ki is a Nobel winner. How this type of torture incidents occurred in her country?”

“I can’t understand how she accepts the torture incidents on Rohingyas, a minority community in Myanmar. We will seek international cooperation and try to communicate the Myanmar government in this regard,” he added.
http://www.thedailystar.net/politic...ely-next-year-finance-minister-muhith-1457401

21232045_1632603253437841_5921081390699013051_n.jpg
 
.

Latest posts

Back
Top Bottom