What's new

Burma’s Rohingya Muslims. Bangladesh should help them.

My view is mine only, his view is his only.We dont talk on behalf and entire nation/people. We all right to have own opinion (not sure you do in India though). Don't go twisting things around like Indian melodramatic Dramas. Typical twisted Barti!
Awww I thought you guys liked us. Anyways thank you for helping us defeat Muslim nation in '71- it was the greatest moment in history for Hindus. Now go back to helping your Rohingya brothers
 
screenshot-www.facebook.com-2016-11-20-07-17-27.png
 
08:28 PM, November 19, 2016 / LAST MODIFIED: 08:35 PM, November 19, 2016
Coast Guard foils 125 Rohingyas’ infiltration attempt in Teknaf


relocating_rohingyas.jpg

Guard foiled an attempt of 125 Rohingyas to infiltrate into Bangladesh from Myanmar through Naf river in Teknaf on November 19, 2016. AFP file photo

Star Online Report

Bangladesh Coast Guard today foiled an attempt of 125 Rohingyas including women and children to infiltrate into the country through Naf river in Teknaf and sent them back to Myanmar from the river.

“Rohingyas tried to infiltrate into Bangladesh through Naya Para No. 5 Sluice Gate area under Sabrang union of Teknaf upazila. But the Coast Guard resisted them,” said Lt Nafiur Rahman, commander of Coast Guard Teknaf.

The Rohingyas included 36 children, 61 women and 28 men, our Cox’s Bazar correspondent reports quoting the commander.

Coast Guard has increased patrolling along the Naf river to monitor the movement of Rohingyas, he added.

On November 15, Border Guard Bangladesh detained 86 Rohingyas in two boats while they were entering the country through Hnila and Sabrang areas in Teknaf. Later, they were sent back to Myanmar.

Will anyone help the Rohingya people?
  • 10 June 2015
  • From the sectionAsia
Share
_83509506_rohingyamigrants_getty_475830830.jpg
Image copyrightGETTY IMAGES
Image captionRohingya migrants rescued from a fishing boat collect rain water at a temporary shelter
For decades, hundreds of thousands of Rohingya Muslims have lived in Rakhine State, near Myanmar's border with Bangladesh.

Long denied citizenship and freedom of movement by the government of Myanmar (also known as Burma), shocking images have emerged in recent weeks showing hundreds of Rohingya migrants drifting at sea in fishing boats, as part of a failed attempt to leave for Malaysia.

Thailand, which was being used as a smuggling route by people traffickers, has cracked down on the trade and a senior Thai officer has been charged in connection with trafficking. And the Dalai Lama has joined other international voices calling on Nobel Peace Prize Laureate Aung San Suu Kyi to speak out about their plight.

Four experts discuss with the BBC World Service Inquiry programme who can and will help the Rohingya.

Tun Khin: Burma needs democracy
Tun Khin is president of the Burmese Rohingya Organisation UK.

"My grandfather was a parliamentary secretary but I'm not a citizen. Your grandfather's grandfathers were there in your native land, but your citizenship is not recognised, so this is very frustrating, shocking and a tragic moment for all Rohingya, including me.

_83291215_027332755-1.jpg
Image copyrightEPA
Image captionThousands of Rohingyas are believed to be stranded at sea
"They were a recognised ethnic group [during] Burma's democratic period of time, 1948 to 1962. At that time, the Rohingya language was broadcast from Burma radio broadcasting programme. Unfortunately today Burma's government denies that the Rohingya exist."

Aung San Suu Kyi: Where are you?

Mahfuz Anam: Not Bangladesh's responsibility
Mahfuz Anam is editor of the Daily Star, the most popular English language daily amongst Bangladesh's 150 million people.

"Bangladesh is the most populous country in the world, we are among the smallest land mass with the highest density of people in the world. It's not like a case of, 'OK, some people have come so let's settle them'.

_83508036_bangladesh_rohingya_getty_473824798.jpg
Image copyrightGETTY IMAGES
Image captionMigrants at a Rohingya camp in Teknaf, Bangladesh
"They [the Rohingya migrants] trickle out into the rest of the society looking for some ways to make their living. So there is a constant phenomenon of them overflowing into other areas and then basically creating competition for jobs, which creates local unrest.

Obama came and gave a speech to students at Yangon University, that was like the second coming. People were so proud. That is a very powerful tool or lever.

"It's very clear that there's a great sense of face in Myanmar; they're very sensitive to going back to the pariah status they had before.

online or download the podcast.

WORLD NEWS | Sat Nov 19, 2016 | 6:17am EST
Myanmar denies Bangladeshi accounts of Muslims trying to flee over border

r

Rohingya Muslim men stand at U Shey Kya village outside Maugndaw in Rakhine state, Myanmar October 27, 2016. REUTERS/Soe Zeya Tun
By Antoni Slodkowski | YANGON

Myanmar's state media on Saturday denied Bangladesh border guards' accounts of Rohingya Muslims fleeing conflict at home by trying to cross into the northern neighbor.

A commanding officer of Border Guard Bangladesh (BGB) said on Friday his staff provided food and medicines to 82 people, including women and children, attempting to leave Myanmar but turned them back from the frontier. Two boats with 86 people were pushed back on Tuesday.

State-run English language newspaper Global New Light of Myanmar said on Saturday a newly created information taskforce had found the reports to be untrue.

"An inquiry into news reports by Reuters that nearly 200 people fleeing Myanmar had been arrested and repulsed yesterday by Bangladesh border guards has been found to be false," said the newspaper, quoting BGB officials.

Soldiers have flooded the north of Rakhine state, along Myanmar's frontier with Bangladesh, responding to attacks by alleged Muslim militants on border posts on Oct. 9.

Sixty-nine suspected insurgents and 17 members of the security forces have been killed since the violence began, according to official reports.

Earlier this month, Myanmar denied accusations by Rohingya that its military had killed people fleeing the conflict which has displaced up to 30,000 people.

Rohingya residents have told Reuters hundreds have tried to flee to Bangladesh after fighting intensified a week ago. The U.N. refugee agency has said the border should be kept open for people fleeing violence.

The conflict is the biggest test for Nobel Peace Prize winner Aung San Suu Kyi since becoming Myanmar's de facto leader seven months ago, laying bare her lack of oversight over the military, which has been accused of human rights violations against ethnic minorities in the past.

The Global New Light of Myanmar said the government planned to create an investigation commission to look into the "violent attacks in Maungtaw", the region in Rakhine at the center of the unrest.

The report did not specify whether the probe would include an investigation of allegations of human rights abuses that the United Nations, the United States and Britain have called for.

(Editing by Robin Pomeroy)

Tuhin Malik
17 hrs ·
-pz5JhcNQ9P.png

আমরা নিজেরা যখন আমাদের জনগণের ভাষা বুঁঝতে ব্যর্থ হই,
তখন অন্যেরা বুঁঝে নেয় আমাদের 'ব্যথার ভাষাকে' ।

অশেষ ধন্যবাদ বিবিসিকে,
আমাদের ভাষা ও আমাদের ব্যথাকে
তুলে ধরার জন্য

বাংলাদেশকে ইউএনএইচসিআর
রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খোলা রাখুন
reporter.png
আমাদের সময় ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০১৬, ০০:০০ | আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০১৬, ০০:১২ | প্রিন্ট সংস্করণ
image-48650-1479579209.jpg

মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার সংখ্যালঘু মুসলমানরা যেন আশ্রয় নিতে পারে, সেজন্য সীমান্ত খোলা রাখতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি রাখাইন রাজ্যে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতিও আহ্বান জানায়।

রাখাইন রাজ্যে সম্প্রতি মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে। তবে এই অভিযানের নামে সেখানকার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম নাগরিকদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে তারা। অভিযান শুরুর পর পরই মিয়ানমারসংলগ্ন সীমান্ত দিয়ে কয়েক দফায় রোহিঙ্গাদের কয়েকটি দল বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। তবে প্রতিবারই সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়। কক্সবাজারের নাফ নদী দিয়ে এবং টেকনাফ ও উখিয়ার স্থলসীমান্ত দিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৩১৭ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে।

ইউএনএইচসিআরের বিবৃতিতে রাখাইন রাজ্যে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। আইনের শাসন ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজ ভূখ-ের সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

ইউএনএইচসিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান সেই অভিযানে অনেক সাধারণ নিরপরাধ মানুষ গৃহহারা হয়েছে। তাদের জরুরি খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয় দরকার। রাখাইন রাজ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষের জন্য চলা মানবিক সহায়তা কর্মসূচি নতুনভাবে শুরু করার আহ্বান জানানো হয়। গত ৯ অক্টোবর থেকে এই সহায়তা কর্মসূচিও বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার।

সেনা অভিযানে রাখাইনে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা, মহিলা ও কিশোরীদের ধর্ষণ, তাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। সেনাবাহিনী বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তবে সম্প্রতি শুধু ৬৯ জন ‘বাঙালি’ এবং ‘সহিংস হামলাকারী’কে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তারা।
 
Rieta Rahman shared a link.
4 hrs ·


আপনার একটি শেয়ার পৌছে যাবে সারা বিশ্বের মুসলমানের কাছে !! মিয়ানমারে মুসলিমদের উপর চলছে নির্মম
আপনার একটি শেয়ার পৌছে যাবে সারা বিশ্বের মুসলমানের কাছে !! মিয়ানমারে মুসলিমদের উপর চলছে নির্মম নির্জাতন শুধু তাই নয় জালিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের ঘর বাড়ি, হে মুসলিম
CHROMTV.COM

RELATED LINKS

মুসলিম হত্যাকাণ্ডে ৩ দেশকে দায়ী করছে মিয়ানমার: ভিত্তিহীন বলছে রোহিঙ্গারা

259554_1.jpg
19 Nov, 2016

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের ভয়াবহ সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। মিয়ানমার সরকার দাবি করেছে, রাখাইনে তৎপর সন্ত্রাসীরা মুসলমানদের ওপর হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয়কারী দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, শুধুমাত্র গত ১২ ও ১৩ তারিখে সেনাবাহিনীর ব্যাপক হামলা শুরু হওয়ার পর ১৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে এবং তারা কোথায় আছে কেউ জানে না। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ থেকে আসা সন্ত্রাসীরা রাখাইন মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালাচ্ছে। এ অভিযোগ সম্পর্কে আমরা প্রশ্ন করি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান জয়নুলকে। তিনি রেডিও তেহরানকে জানালেন, 'এ অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন এবং শুধু সৌদি আরব, বাংলাদেশ কিংবা মালয়েশিয়া নয় বরং বিশ্বের কোনো দেশ থেকে এসে কেউ এখানে সন্ত্রাস চালাচ্ছে না। তিনি বলেন, মিথ্যা কথা বলে ও মিথ্যা অজুহাতে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা করছে, ধর্ষণ করছে, তাদের সম্পদ লুট করছে। এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলকেও তারা সেখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা।'

আচ্ছা, তো আমরা সবাই জানি যে রোহিঙ্গা মুসলমানরা মিয়ানমারের স্থানীয় বাসিন্দা এবং তারা শত শত বছর ধরে বংশ পরম্পরায় সেখানে বসবাস করে আসছে। কিন্তু তারপরও কেন মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চলছে ও তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে? এর উত্তরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান জয়নুল জানালেন, 'হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলিম অধ্যুষিত ওই এলাকাকে মুসলিম শূন্য করা।'

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, সন্ত্রাসীরা যে কোনো এলাকায় রাজনৈতিক বা সামাজিক অস্থিরতাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগায়। তাই মিয়ানমারের ক্ষেত্রেও সেদেশের সরকার ও সেনাবাহিনীকে তারা অভিযুক্ত করতে পারে। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছ, মিয়ানমার সরকার নানা কৌশলে রাখাইনের মুসলমানদের ওপর হত্যাকাণ্ডের দায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সৃষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। মিয়ানমার সরকারের এ কূটকৌশল বা ছল-চাতুরীর উদ্দেশ্য হচ্ছে, চিহ্নিত বেশ ক'জন উগ্র বৌদ্ধকে আড়াল করা যারা কিনা মুসলমানদের ওপর গণহত্যায় প্রধান ভূমিকা রেখেছে।

কেউ কেউ বলছেন, মিয়ানমার সরকার নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য সেদেশে মুসলিম নিধনের পাশাপাশি উগ্র বৌদ্ধদের হাতকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। এ কারণে এই উগ্র বৌদ্ধরা সরকারের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে এবং মুসলিম নিধনযজ্ঞে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করছে। #

পার্সটুডে
 
World community must open its eyes to ATROCITIES in Rakhine State
✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧
By The Nation

The targeting of rohingya by Myanmar security forces in the name of cracking down on extremists is unacceptable

...See more

World community must open its eyes to ATROCITIES in Rakhine State
By The Nation The targeting of rohingya by Myanmar security forces in the name of cracking down on extremists is unacceptable The October 9 killing of nine…
THESTATELESS.COM

RELATED

Bangladesh stops 125 Rohingya from crossing border
✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧
By World Bulletin / News Desk

"There were 125 Myanmar nationals in seven wooden boats. They included 61 women and 36 children. We resisted them from entering our water territory," Rahman said.

...See more

Bangladesh stops 125 Rohingya from crossing border
By World Bulletin / News Desk “There were 125 Myanmar nationals in seven wooden boats. They included 61 women and 36 children. We resisted them from entering our water territory,” Rahma…
THESTATELESS.COM



2 Shares

দেড় মাসে ৩৫০ রোহিঙ্গাকে হত্যা : মেশিনগান দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলা হচ্ছে
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় সংখ্যালঘু মুসলিম রাখাইন রাজ্যের অবস্থাকে নরকের সঙ্গে তুলনা করেছেন আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম।

লন্ডন থেকে টেলিফোনে বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেছেন, সেখানে গত প্রায় দেড় মাস ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে কমপক্ষে ৩৫০ জন নিহত হয়েছে।

নূরুল ইসলামের ভাষ্যে, বহু নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে সাড়ে তিন হাজার ঘরবাড়ি। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। সব মিলিয়ে সেখানে সৃষ্টি হয়েছে নারকীয় এক পরিস্থিতির।

এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ওই রাখাইন নেতা আরও বলেন, সেখানে এমন অত্যাচার চলছে, যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। সেখানকার লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে, সে চিত্রটা আরও অনেক বেশি ভয়াবহ।

তিনি জানান, গত ৯ অক্টোবর থেকে রাখাইনদের হিসাবে কমপক্ষে সাড়ে তিনশ' মানুষ নিহত হয়েছেন।

নুরুল ইসলাম আরও জানান, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উত্তর আরাকান এবং মংডু টাউনশিপে।

তবে নুরুল ইসলামের এই দাবি নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কারণ হিসিবে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, দেশটির সরকার কোনো সাংবাদিককেই মিয়ানমারের সহিংসতা কবলিত রাখাইন রাজ্যে যেতে দিচ্ছে না।

তবে সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযানে রাখাইন রাজ্যে ৬৯ জন 'বাঙালী' ও 'সন্ত্রাসী' নিহত হয়েছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নূরুল ইসলাম সেনাবাহিনীকে মিথ্যাবাদী উল্লেখ করে বলেন, 'এসব তথ্য কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। কারণ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক কিংবা সাংবাদিকদের সেখানে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।'

তিনি বলেন, 'সেনাবাহিনী বিভিন্ন পাড়ার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। লোকজনকে গুলি করে মেরে ফেলছে। ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে লোকজন যখন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে, তখন হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে গুলিবর্ষণ করে তাদের হত্যা করা হচ্ছে।'

নূরুল ইসলাম বলেন, 'রোহিঙ্গারা যেখানে গিয়ে লুকাচ্ছে, সেখানে রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথেঘাটে, খালে নদীতে তাদের মেশিনগান দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলা হচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'লোকজন নৌকায় করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে চাইলে তাদের নৌকার ওপর গুলি করা হচ্ছে।'

এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করায় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

নূরুল ইসলাম বলেন, 'যাদের নিরাপত্তা নেই, তাদেরকে বাংলাদেশের আশ্রয় দেয়া উচিত।'

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, 'আমাদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে। বাংলাদেশের উচিত তাদের জন্যে সীমান্ত খুলে দেয়া। না হলে এই লোকগুলো যাবে কোথায়?'

ওই রোহিঙ্গা নেতা বলেন, 'মনে করুন, আপনার ঘরে যদি আগুন জ্বলে তখন প্রতিবেশীর বাড়িতে আপনার আশ্রয় নিতে হবে। এজন্যে আপনাকে তো কোনো অনুমতি নিতে হবে না।'

মিয়ানমার সরকারের কাছে তিনি আবেদন জানান, বেসামরিক লোকজনের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর এই অভিযান এখনই বন্ধ করতে, সাংবাদিকদের আক্রান্ত এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দিতে এবং মানবাধিকার লংঘনের সব ঘটনা বন্ধ করতে।

বাংলাদেশে অনেকের আশংকা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হলে বাংলাদেশে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী গ্রুপের সৃষ্টি হতে পারে।

এ বিষয়ে নূরুল ইসলাম বলেন, এ রকম কোনো ভয়ের কারণ নেই। বাংলাদেশ সরকারের এই লোকগুলোকে আশ্রয় দেয়া উচিত শুধুমাত্র মানবিক কারণেই।

রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসী বলে মিয়ানমার সরকার অপ্রচার চালাচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন। বলেন, 'তাদের অস্তিত্ব নিয়েই এখন টানাটানির সৃষ্টি হয়েছে। কোনো সহিংসতাকেই আমরা সমর্থন করি না।'



মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনে ক্ষুব্ধ জাতিসংঘ
আন্তজার্তিকHits: 2325

resize11000.jpg


রাখাইন রাজ্যে অভিযানের পর থেকে সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে যাওয়ায় মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। খবর মিয়ানমারের বার্তা সংস্থা মিজজিমার।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইংঘি লি মিয়ানমারের সরকার প্রধানের সঙ্গে দেখা করে এ উদ্বেগের কথা জানিয়ে দ্রুত দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশটিতে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের এ বিশেষ দূত রাখাইন রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় গত দেড় মাস ধরে চলা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানেরও কড়া সমালোচনা করেন।

নভেম্বরের প্রথম দিকে জাতিসংঘ ও নয়টি দেশের রাষ্ট্রদূতকে রাখাইন রাজ্য কয়েকটি এলাকা পরিদর্শনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। তা দেখেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আঁতকে উঠেছে বলে জানান এ বিশেষ দূত।

অবশেষে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার সরকার স্বীকার করেছে রাজ্যটিতে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতে হেলিকপ্টার গানশিপও ব্যবহার করা হয়েছে।

মিয়ানমার অবশ্য দাবি করছে, সন্ত্রসীদের আশ্রয় দেয়ায় রাখাইনের কয়েকটি গ্রামে শুদ্ধি অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

গত মাসে দেশটির সীমান্তরক্ষীদের উপর হামলার পর থেকে রাখাইনে সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর নৃশংস বর্বরতা শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তারা গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে।

বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়ে মুসলমান পুরুষদের নির্বিচারে হত্যা করে নারীদের ধরে নিয়ে গণধর্ষণ করছে সেনা সদস্যরা।

প্রাণভয়ে হাজার মুসলিম পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পালাতে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি অনেকের। ধরা পড়লেই নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হচ্ছে তাদের।

তাদের এ নিষ্ঠুরতা থেকে বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। সেখানে কোনো মানবাধিকার সংগঠনকে ত্রাণ কাজ চালাতে দেয়া হচ্ছে না।

হাজার হাজার নিরীহ মুসলমান অনাহারে আছেন। খাবার না পেয়ে অনেক শিশু মারা যাচ্ছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কোনও সাংবাদিককেও যেতে দেয়া দিচ্ছে না অভিযান চালানো এলাকাগুলোতে।

জাতিসংঘের এ বিশেষ দ্রুত রাখাইনে অভিযান বন্ধ করে মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর অনুমতি এবং বিদেশী সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা নিষেধ তুলে নেয়ারও আহ্বান জানান।

এর আগে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও রাখাইন এডভাইজারি কমিশনের প্রধান কফি আনানও রাখাইন রাজ্যে পরিদর্শন শেষে সেনাবাহিনীর চালানো শুদ্ধি অভিযানের নিন্দা জানিয়ে সরকারকে দ্রুত পরিস্তির উন্নয়ন ঘটাতে তাগিদ দিয়েছেন।

#Stop Killing Rohingaas


15171050_1321368477894655_7486906594573472532_n.jpg

স্যালুট রদ্রিগো দুয়ার্তে............

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তেকে নিয়ে অনেক বিতর্ক ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে। তিনি তার দেশে মাদক ব্যবসায়ী এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদের বিনা বিচারে গুলি করে মারার হুকুম দিয়ে তার বাস্তবায়নও করছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তার নানা বিতর্কিত ভূমিকার কথা শোনা যায়, এর মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে গালি দিয়ে পরে দুঃখ প্রকাশ করার ঘটনাও আছে।

নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মাঝেই তিনি এক সাহসী ঘোষণা দিয়ে শরণার্থীদেরকে তার দেশে আশ্রয় দেওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। আর যখন অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগতভাবে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত রাষ্ট্রগুলো শরণার্থীদের জন্য নিজেদের দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে, তখন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তে বললেন, ‘তাদের (শরণার্থী) সবাইকে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। আমরা তাদের গ্রহণ করবো। তারাও মানুষ।’

কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরা–র ‘১০১ ইস্ট’ অনুষ্ঠানে দুয়ার্তে এসব কথা বলেন।

ওই সাক্ষাৎকারে দুয়ার্তে আরও জানান, ১০ কোটি মানুষের দেশ ফিলিপাইনে দারিদ্র ছড়িয়ে থাকলেও তার দেশ শরণার্থীদের গ্রহণে প্রস্তুত। কেননা, তারাও মানুষ। তারা (শরণার্থী) সবসময়ই আমাদের এখানে আসতে পারেন। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আমরা তাদের স্বাগত জানাবো।
 
Just curious. What is the Islam nation of Pakistan doing? I thought their people claim they are a symbol nation of Islam and they boast of Nuke.Why aren't they getting this pushed with the Saudisi, turkey. Iran!!

Can Your Haseena Government Provide Military bases, Soldiers, and other support to Pakistan ?

No..

So let's forget about Pakistan Attacking Myanmar. You should attack first the rakhine state and we will be there to support you and Rohingyan Muslims.
 
Last edited:
ASIA PACIFIC
Dhaka bans NGOs from helping Rohingya
Three foreign aid groups barred from helping refugees fleeing violence in Myanmar, saying their work encourages influx.

Bangladesh has ordered three international charities to stop providing aid to Rohingya refugees crossing the border from Myanmar where they have fled persecution and violence.

Local administrator Joynul Bari said on Thursday that France's Doctors without Borders (MSF), Action Against Hunger (ACF) and Britain's Muslim Aid UK have been told to suspend their services in the Cox's Bazaar district bordering Myanmar.

"The charities have been providing aid to tens of thousands of undocumented Rohingya refugees illegally. We asked them to stop all their projects in Cox's Bazaar following directive from the NGO Affairs Bureau," Bari told the AFP news agency.

Bari said the charities "were encouraging an influx of Rohingya refugees" from across the border in Myanmar's Rakhine state in the wake of recent sectarian violence that left at least 80 people killed.

The charities have provided healthcare, training, emergency food and drinking water to the refugees living in Cox's Bazaar since the early 1990s.

MSF runs a clinic near one of the Rohingya camp which provides services to 100,000 people.

Fleeing violence

Speaking a Bengali dialect similar to one in southeast Bangladesh, the Rohingyas are Muslims seen as illegal immigrants by the Buddhist-majority Myanmar government and many Burmese.

They are viewed by the United Nations as one of the world's most persecuted minorities.

Obaidur Rahman, country head of Muslim Aid UK in Bangladesh, confirmed to AFP that his group had stopped its Rohingya project following the order.

The government says some 300,000 Rohingya Muslims are living in the country, the vast majority in Cox's Bazaar, after fleeing persecution in Myanmar. About 30,000 are registered refugees who live in two camps run by the United Nations.

In recent weeks, Bangladesh has turned away boats carrying hundreds of Rohingya fleeing the violence in Myanmar despite pressure from the United States and rights groups to grant them refuge.

Myanmar security forces opened fire on Rohingya Muslims, committed rape and stood by as rival mobs attacked each other during the recent wave of sectarian violence, New York-based Human Rights Watch said Wednesday.

The authorities failed to protect both Muslims and Buddhists and then "unleashed a campaign of violence and mass roundups against the Rohingya", the group said in a report.

Source: Agencies

Report blasts Myanmar treatment of Rohingya
Rights group says military conducted vicious crackdown on stateless Muslim group in aftermath of sectarian violence.

|http://www.aljazeera.com/news/asia-pacific/2012/08/20128154245751775.html


Myanmar security forces have killed, raped or carried out mass arrests of Rohingya Muslims after deadly sectarian riots in the northeast in June, a rights group has said, adding the authorities had done little to prevent the initial unrest.

Aid workers were blocked and in some cases arrested in a government crackdown on the largest group of stateless people in Southeast Asia, New York-based Human Rights Watch said in a report on Wednesday.

The report comes after a week of arson and machete attack by both ethnic Rakhine Buddhists and Rohingyas in Rakhine state.

Based on 57 interviews with Rakhines and Rohingyas, the report seeks to shed light on a conflict that exposed deep-rooted communal animosity and put the spotlight on promises by the civilian government in office since 2011 to protect human rights after decades of brutal army rule.

"Burmese security forces failed to protect the Arakan [Rakhine] and Rohingya from each other and then unleashed a campaign of violence and mass round-ups against the Rohingya," said Brad Adams, Asia director at Human Rights Watch.

"The government claims it is committed to ending ethnic strife and abuse, but recent events in Arakan State demonstrate that state-sponsored persecution and discrimination persist."

In veiled criticism of the United States and European Union, which praised the government for its handling of the unrest, Adams said the international community had been "blinded by a romantic narrative of sweeping change" in Myanmar.

Foreign minister Wunna Maung Lwin said on Monday the authorities had exercised "maximum restraint" in restoring law and order and that the rioting was not fuelled by religious persecution.

He rejected what he said were attempts to "politicise and internationalise the situation as a religious issue", adding that the government was eager to promote "racial harmony among different nationalities".

The official spokesperson for Rakhine state also rejected the group's criticism of the government's response to the violence. Win Myaing told the AP news agency that allegations that government forces stood and watched as violence wracked the area were "absolutely untrue".

"Security conditions obviously improved day by day when government forces were deployed to control the situation," Win Myaing said.

Forced resettlement

The country formerly called Burma has a diverse ethnic and religious make-up, but the Rohingya Muslims are not included by the government.

There are at least 800,000 Rohingyas in the country but they are not recognised as one of its ethnic groups.

Neighbouring Bangladesh does not accept them and pushed boatloads back out to sea when they tried to flee the unrest.

Myanmar President Thein Sein said in June the government was only responsible for third-generation Rohingyas whose families had arrived before independence in 1948 and that it was impossible to accept those who had "illegally entered" Myanmar.

He recommended that the United Nations refugee agency UNHCR take care of them in camps or "resettle them" in third countries.

UNHCR chief Antonio Guterres replied it could only resettle refugees that fled from one country to another.

'Virulent hatred'

The riots followed two brutal incidents in Rakhine state: the May 28 rape and murder of a Rakhine woman by three Rohingya males, who were sentenced to death, and the June 3 lynching in response of 10 non-Rohingya Muslims travelling on a bus.

Human Rights Watch said police and troops did not intervene to stop the mobs from beating the Muslims to death. During the riots that followed, it said some Rohingyas who tried to flee or put out fires at their homes were shot at by paramilitaries.

It called for the government to end abuses, grant full humanitarian access and invite in international monitors. Access to the area remains restricted.

Michael Vatikiotis, the Asian director for the Center for Humanitarian Dialogue, said that while the primary factor in the recent violence is "the virulent hatred of the Rohingya people by the Rakhinese", this is by no means an isolated issue.

"Violence between the two communities is something that has happened in the past. This is compounding an already serious issue that affects not only Myanmar and Bangladesh, but the region as a whole."

Vatikiotis adds that claims of the state of emergency in the country being used as a cover for various abuses are "very easy to make," but says judgment should be reserved until access into the area is once again granted.

"It is very difficult to make an objective assessment because of the lack of access to the region."

Thein Sein is in a tight spot. Concessions toward the Rohingyas could prove unpopular among the general public, but perceived ill-treatment risks angering Western countries that have eased sanctions in response to human rights reforms.

Minister of border affairs Thein Htay says 858 people have been detained for involvement in the violence, including five UNHCR staff and a UN World Food Programme employee. It was unclear how many of the total were Rohingya or ethnic Rakhine.

The foreign ministry has said 77 people died and 109 were injured during the violence, and nearly 5,000 homes burnt down.

Source: Al Jazeera And Agencies

Impending humanitarian crisis in western Myanmar
Hundreds of thousands of Rohingya Muslims are threatened by an increase in sectarian violence.

http://www.aljazeera.com/indepth/opinion/2012/07/2012716145945989365.html


201263011210375734_20.jpg

More than 300 Rohingya Muslims who fled sectarian violence were turned back by officials in Bangladesh [AFP]

by
William Lloyd George

William Lloyd George is a freelance journalist.

STORY HIGHLIGHTS
Will the people of Myanmar soon have their own derivative for the Nazi term Judenrein? For those who do not know what Judenrein means, it literally translates to "free of Jews", and was the term used by the Nazi administration when they had removed entire Jewish communities from Germany in the lead up to the Holocaust.

As so many Myanma shamelessly support the government and local authorities' ongoing ethnic cleansing of the Rohingya people from Western Myanmar, it might not be too long until we see "human rights defenders", and "political activists" running around the streets of Myanmar shouting: Rohingya-Kin-Zone ["Rohingya-clean area"]) or Bangali-ma-shi ["No Bangladeshis"].

It took one horrific reaction to one abhorrent incident to ignite a riot and expose the true depth of racism and xenophobia


Will the people of Myanmar soon have their own derivative for the Nazi term Judenrein? For those who do not know what Judenrein means, it literally translates to "free of Jews", and was the term used by the Nazi administration when they had removed entire Jewish communities from Germany in the lead up to the Holocaust.

As so many Myanma shamelessly support the government and local authorities' ongoing ethnic cleansing of the Rohingya people from Western Myanmar, it might not be too long until we see "human rights defenders", and "political activists" running around the streets of Myanmar shouting: Rohingya-Kin-Zone ["Rohingya-clean area"]) or Bangali-ma-shi ["No Bangladeshis"].

It took one horrific reaction to one abhorrent incident to ignite a riot and expose the true depth of racism and xenophobia in Myanmar society. After three Rohingya men raped a young Rhakine Buddhist woman, ten Muslim pilgrims (not Rohingya) were dragged off a bus and violently beaten to death - seemingly in retaliation.

Five days later, hundreds of Rohingya men gathered outside a mosque after prayers. What happened next is unclear. Some say the Rohingya planned an attack on Rhakine communities in retaliation for the killing of the Muslim pilgrims; others say an argument started with Rhakine people after a minor traffic accident outside the mosque. Whatever the cause, hundreds of Rohingya ended up running through dozens of Rhakine villages, burning houses down, looting and badly beating Rhakine people, some to death.

"As could be expected, the Rohingya communities blame the Rhakine, and the Rhakine blame the Rohingya. Both sides are trying to paint a picture that they were just innocent bystanders, slaughtered by the other side."



The blame game

As could be expected, the Rohingya communities blame the Rhakine, and the Rhakine blame the Rohingya. Both sides are trying to paint a picture that they were just innocent bystanders, slaughtered by the other side. Sitting through an interview with activists from either community is approaching excruciating, with neither unable to rationally blame their own community, and subsequently unable to provide logical solutions to prevent the violence taking place again.

It is clear both sides are guilty of atrocities. What is also clear, however, is that within a riot - based on myths, and decades of inter-communal friction - hides a renewed push to continue the military's ethnic cleansing campaign of the late 1970s.

Soon after the riots began, a state of emergency was ordered, and an all-day curfew put in place. However, sources within human rights groups soon to publish an official report on the matter say the curfew only applied to the Rohingya, who were forced to stay in their homes, while Rhakine groups, hell-bent on retaliation, made the most of the chaos to drive Rohingya communities out of the region, teaming up with local authorities with similar aspirations. It is alleged that the combined Rhakine-extremists-local-authority-forces burned down Rohingya villages, beat men to death, looted homes, and raped women.

While the military has been praised for stepping in and quelling the violence in some districts, the local authorities, police and Rhakine vigilantes - apparently eager to rid the area of Rohingya communities - have allowed the situation to develop, with national security forces reportedly carrying out what appears to be, in my opinion, a form of state-sponsored ethnic cleansing.

It is believed that hundreds, if not thousands, of Rohingya men have been arrested, many feared dead. Countless more have been reported missing and have not been seen since the conflict erupted.

Behind the violence

With the backing of the state political party, the Rhakine Democratic National Party (RNDP), Nasaka - the border guard force - and police appear to be conducting an unprecedented campaign of harassment, torture, and oppression on the Rohingya people.

For days, reports have been circulating of family lists - Rohingya families' only proof of state registration - being confiscated, with influential and educated Rohingya families reportedly beaten and forced out of the country, while holes are being made in the border fence to give the Rohingya a quick exit from the oppression.

While arrests have been made of Rhakine people, it appears the Rohingya are being overwhelmingly punished for the riots, through massacres, torture and indiscriminate arrests. And while it is difficult to confirm information during such a blackout, and hard to believe the new "reformist" government could be behind such a serious atrocities, President Thein Sein's press release last week certainly made the reports more believable.

For some, it has also roused suspicions that senior figures in the military allowed, and at the worst, supported the violence, in order to regain national support and take focus away from the conflict with the Kachin, as well as distracting from serious poverty issues across the country.

"It is impossible for Burma to accept people who are not ethnic to the country and who have entered illegally."

- Myanmar's Presidential Office



After a long silence, Myanmar's Presidential Office recent anouncement surprised and shocked people around the world.

"It is impossible for Burma to accept people who are not ethnic to the country and who have entered illegally," the statement read, going on to offer the Rohingya people to the UN. They suggested the Rohingya should be put in camps for a year, at which time they could be taken to a third country.

The UN, quite rightly, were quick to reject Thein Sein's kind offer, explaining that communities cannot be repatriated from their own country. While the UN may have, for now, endorsed the Rohingya presence in Myanmar, the government's intentions were made very clear to the world. It was the most transparent, clear cut message that the Myanmar government is now hell-bent on ridding Myanmar of the Rohingya people by any means possible.

An end to isolation is needed

International attention is desperately needed to find out what is really happening in Rhakine state. If the government cannot get "legitimate" assistance from the UN to push out the Rohingya communities, then impartial observers need to be deployed to the region immediately, to prevent the government and Rhakine extremist groups forcing Rohingya people out of their homes, off their land, and into life-threatening camps.

Since the riots began, the authorities ordered all international NGOs to pull their staff out of the region. Dozens of local NGO staff have been arrested, and hundreds remain out of contact. While no one knows why NGO staff are being detained, it is widely believed it is for distributing information during the riots. Probably charged using the same draconian laws that have been used to prevent activists from informing the international community of the regime's human rights abuses and oppression in previous decades.

The north of Rhakine state, where it is estimated more than 700,000 Rohingya live, has effectively been turned into a complete blind spot. Speaking with NGO coordinators over the past week, there are some eerie reminders of conversations with the same people during Cyclone Nargis. After the cyclone hit, affected communities could not be contacted. NGOs were initially heavily restricted, as were local aid workers. Within weeks the official death toll leaped from a few dozen to more than 134,000 people. Those who spread information to the international community were arrested. And now, once again, NGOs are unable to access the most critical regions, stoking fears throughout Myanmar's NGO community. The world may wake up one day to find that yet another preventable humanitarian crisis has taken place.

"The heavy rains are likely to increase the spread of water-borne disease and it is believed that diarrhoea and malaria are already increasing rapidly. With high food prices, no work, and restrictions on leaving villages and IDP camps, there is a great risk that many could starve to death."

Rhakine state is one of the largest operations in the world for NGOs. Extremely poor, it already suffers from high disease rate and malnutrition. Now that NGOs are unable to work, many are concerned that starvation and disease could ravage the Rohingya communities in coming weeks. The heavy rains are likely to increase the spread of water-borne disease and it is believed that diarrhoea and malaria are already increasing rapidly. With high food prices, no work, and restrictions on leaving villages and IDP camps, there is a great risk that many could starve to death. If the government continues to prevent NGOs from getting in, and information getting out, it would be reasonable to assume that this is part of a state policy to drive the Rohingya people into a humanitarian crisis.

Public acceptance

There is one very disturbing difference between the humanitarian crisis which unfolded after Cyclone Nargis and now. While all the people of Myanmar - including political activists, ethnic leaders, migrant workers and civil servants - made efforts to curtail the suffering of those affected by Nargis, this time, people, some ignorantly, are condoning the dispossession of the Rohingya.

While the nation lambasted the government for its slow response to Nargis, and the subsequent unnecessary loss of life, people from all spectra of Myanmar society are fully behind the government's desire to drive the Rohingya out, completely regardless of whether thousands of innocent people could lose their right to a family, to a home, and to a life, in the coming weeks.

How ironic. For years these "human rights defenders" and "political activists" have fought against the state military, tirelessly risking their lives to expose injustice and human rights abuses. The moment the country starts to reform, they completely forget about the atrocities the military has committed, and come out with statements condoning decades of oppression and harassment of the Rohingya people.

Prominent student leader, Ko Ko Gyi, said: "The Rohingya people are not an ethnic group of Burma and they are invading our country and sovereignty." These are not the words of a human rights champion; they are words which could have been muttered from the former regime leader, Than Shwe, who put Gyi in prison for nearly two decades for his political beliefs.


Inside Story: What is behing Myanmar's ethnic unrest?

Suu Kyi's role

It was General Aung San, the father of democracy icon Aung San Suu Kyi, who said that all those in the country at the time of independence could consider themselves citizens. During Myanmar's first democratic period, under U Nu, there were four Rohingya MPs, and Rohingya was a recognised ethnicity. It was not until the first military dictatorship, under Ne Win, that the Rohingya were denied Myanmar citizenship. Those in the democracy movement, who now say the Rohingya should leave Myanmar, are going against Aung San, U Nu, and siding with the military dictatorship they have been struggling against for years.

Ironically, days after receiving a Nobel peace prize, Suu Kyi told reporters she "did not know" if Rohingya were "Burmese". What a disgrace. Suu Kyi is, by not speaking out, also condoning the very military oppression she has spent years fighting against, and in three words completely turning a blind eye to the human rights abuses she would be a fool to not know will subsequently be committed.

Perhaps instead, some leader, some democracy champion, supposedly such as herself, would stand up and say: "Rohingya people have been in Myanmar for, at the very least, 60 years. Whether they are an ethnic group or not, it doesn't matter, we must protect their human rights; racism and xenophobia are wrong and are constructs and rationale of the military dictatorship propaganda designed to divide and rule Myanmar's people. We must make sure riots never take place in Myanmar again, through understanding and reconciliation between all communities."

The main source of concern for the countless people of Myanmar who believe the Rohingya should be taken to a third country stems from a very few, tiny radical Rohingya armed groups which have emerged, and disappeared, over the years.

Despite the concerns, there was never a threatening armed revolt, and their influence was minimal. To make 99.9 per cent of the Rohingya population suffer, for a few individuals, or groups, is wrong. Most Rohingya hope for nothing more than to live in peace in a land they have known all their lives. The other notion is that the Rohingya are invaders - there is an idea that hundreds of Bangladeshi are flocking into Arakan state every day. In reality, this is completely nonsensical. Arakan state is horrendously poor, which is why countless Rohingya have fled Myanmar since Ne Win took power, and following several state offensives to drive the Rohingya out of Myanmar.


Myanmar's Rohingya forced back to sea

There is a thin line between ethnic cleansing and genocide. Hitler carried out ethnic cleansing on Jewish communities for years before he attempted genocide. With the whole country, including the democracy movement, seemingly behind the government's plans to expel the Rohingya, urgent intervention is needed to save the Rohginya from a humanitarian crisis, and the potential for a violent campaign by the state, alongside Rhakine extremists backed by local authorities.

The two communities should not be separated as the government plans; instead there is an urgent need to bring the communities back together, and return the region to normality. Conflict resolution programmes and development is needed as soon as possible. The longer the two communities are apart, the more radicalisation - of both groups - will fester, and whether the government allows it to take place, supports it, or just turns a blind eye, a return to some form of violence will be almost inevitable.

Now is not the time to argue about century-old history, or the origin of the word "Rohingya", nor is it the time to discuss when the Rohingya arrived in Arakan state. The nation's people should accept the Rohingya are not going to just be shipped off to another country. Instead of inciting counter productive anti-Rohingya campaigns, Myanmar's democracy activists, human rights defenders, and vibrant civil society, should immediately address the impending humanitarian crisis and potential devastation of the Rohingya people.

There is no doubt that some Rohingya are guilty of terrorising Rhakine people during the recent riots, but this does not mean that hundreds of thousands of Rohingya, including countless women and children, deserve to starve to death, or be driven off a land they call home.

William Lloyd George is a freelance correspondent focusing on under-reported stories around the globe.

Follow him on Twitter: @W_LloydGeorge

Source: Al Jazeera

Report denounces Myanmar attacks on Rohingya
Amnesty denounces security forces and local Buddhists for state-sponsored attacks on Rohingya Muslims in Rakhine state.

|


Human Rights group Amnesty International has accused security forces and ethnic Rakhine Buddhists of carrying out fresh, targeted attacks against Rohingya, the Muslim minority group in Myanmar.

Violence in the last six weeks has been "primarily one-sided, with Muslims generally and Rohingya specifically the targets and victims,'' Benjamin Zawacki, a Bangkok-based researcher for Amnesty, said on Friday.

"Some of this is by the security forces' own hands, some by Rakhine Buddhists with the security forces turning a blind eye in some cases,'' he said.

The violence, which reached its bloodiest point in June, constituted some of the country's deadliest sectarian bloodshed in years and raised international concerns about the Rohingya's fate inside Myanmar.

http://www.aljazeera.com/video/asia/2012/07/201272020355091312.html

Following a series of isolated killings starting in late May that left victims on both sides, bloody skirmishes quickly spread across much of Myanmar's coastal Rakhine state.

The government declared a state of emergency on June 10, deploying troops to quell the unrest and protect both mosques and monasteries.

The worst of the violence subsided two weeks later, and authorities said at least 78 people were killed and thousands of homes were burned down or destroyed, with damages roughly split evenly between Buddhists and Muslims.

Refugee problem

Thein Sein, Myanmar's president, said earlier this month that the solution to ethnic enmity in Rakhine state was to either send the Rohingya to a third country or have the United Nations refugee agency look after them.

UNHCR chief Antonio Guterres said, however, that it was not his agency's job to resettle the Rohingya.

One month after sectarian violence swept across northwestern Myanmar, Rohingya refugees are now fleeing to Bangladesh by the boatload, in a bid to escape the violence.

Despite their plight, Bangladesh is stepping up its efforts to stop refugees from crossing over.

Amnesty called on Myanmar to accept the Rohingya as citizens, something the government has staunchly opposed because it does not consider them an ethnic group native to Myanmar.

"Under international human rights law and standards, no one may be left or rendered stateless,'' Amnesty's Zawacki said.

"For too long Myanmar's human rights record has been marred by the continued denial of citizenship for Rohingya and a host of discriminatory practices against them.''

Source: Al Jazeera And Agencies

Rohingya and the forces of Genocide

http://www.thestateless.com/2016/11/21/rohingya-and-the-forces-of-genocide/
✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧✧
By Haroon Yousuf, France, The Stateless Rohingya

A victim of military persecution house-arrest for almost 15 years after winning a landslide election in 1990, Aung San Suu Kyi succeeded the election in second round in 2015 controlling both houses of parliaments and states' parliaments. She has called for "Rule of Law" to promote liberty and bring justice and development of the country before the election, however when ...

See more

Rohingya and the forces of Genocide
By Haroon Yousuf, France Rohingya are an indigenous people of Kingdom of Arakan. After the Burmese occupation from 1784 to 1826, British had ruled Burma with the merge of independent Arakan from 18…
THESTATELESS.COM

Tuhin Malik
11 hrs ·
-pz5JhcNQ9P.png
 
Last edited:
Why is BD not coming forward to accept them? rohingyas are small in numbers, they will not be a big burden on BD
 
মোঃ মহিউদ্দিন মজুমদার জুলিয়াসto RAFM15135930_10208016353782206_3835835256611519545_n.jpg

Respected Members, Please Pay Your Attention Please:

The Burmese government is systematically restricting humanitarian aid and imposing discriminatory policies on Rohingya Muslims in Arakan State. The government should permit unfettered access to humanitarian agencies to provide assistance to Muslim populations, end segregated areas, and put forward a plan for those displaced to return to their homes.

“Burmese government restrictions on aid to Rohingya Muslims are creating a humanitarian crisis that will become a disaster when the rainy season arrives,” said Phil Robertson, deputy Asia director at Human Rights Watch. “Instead of addressing the problem, Burma’s leaders seem intent on keeping the Rohingya segregated in camps rather than planning for them to return to their homes.”

An ethnic Arakanese campaign of violence and abuses since June 2012 facilitated by and at times involving state security forces and government officials has displaced more than 125,000 Rohingya and Kaman Muslims in western Burma’s Arakan State. Tens of thousands of Rohingya still lack adequate humanitarian aid – leading to an unknown number of preventable deaths – in isolated, squalid displacement camps. Government security forces guarding the camps do not permit the residents to leave the camps, which has a devastating effect on their livelihoods, Human Rights Watch said.

Human Rights Watch has visited every major internally displaced person (IDP) camp in Sittwe Township in Arakan State, as well as pockets of unregistered displaced people in coastal and intra-coastal waterway areas, and in Mrauk-U Township, where many displaced Rohingya currently remain. Displaced Rohingya and non-Rohingya Muslims in Arakan State are located in 13 townships throughout the state; the 15 largest IDP camps are in the area of the state capital, Sittwe.

Several camps housing Rohingya are located in paddy fields and lowland areas that face heavy flooding during the rainy season, which will begin in May, yet the authorities have not taken serious steps to move them to higher ground. Humanitarian organizations in Arakan State are concerned that heavy rains will overflow already inadequate and overused latrines, spreading otherwise preventable waterborne diseases throughout the displaced population, whose health has already been weakened by inadequate food and medical care. In some sites visited by Human Rights Watch, a handful of latrines were being shared by several thousand displaced Rohingya.

“The government seems untroubled by the dire humanitarian conditions in the camps in Arakan State but it will be responsible for the lives unnecessarily lost,” Robertson said. “Concerned donor governments should be demanding that the Burmese government produce an action plan to resolve the crisis because continued inaction will only make the crisis worse.”

The Burmese government has obstructed the allocation of adequate land for relocation sites for displaced Rohingya and Kaman Muslims despite repeated appeals by humanitarian agencies. On March 18, the European Commission warned the situation would turn into a “humanitarian disaster” if the internally displaced people living on paddy fields and sand banks were not relocated to safer sites within weeks. The United Nations Office for the Coordination of Humanitarian Affairs (OCHA) likewise warned of a “potentially devastating” effect on displaced Rohingya when the rains start.

On March 20, President Thein Sein’s spokesman, Ye Htut, rejected warnings about the severe humanitarian conditions for displaced Rohingya, telling Australia Network’s Newswire, “they have enough shelter and food supply for the rainy season.”

None of the displaced Rohingya interviewed by Human Rights Watch were consulted about where their shelters would be constructed. The government has refused to make a commitment to ensure their right to return home, or set out plans to ensure security for both the Muslim and Buddhist populations in the state. Human Rights Watch urged the Burmese government to treat displaced people in accordance with the UN Guiding Principles on Internal Displacement.

Among the displaced population are tens of thousands of “unregistered” Rohingya – those who were displaced between June and November 2012 but who have not been formally recorded by the Burmese authorities, even though they live in areas where the security forces deny them freedom of movement and their presence is known to the aid community.

Unregistered Rohingya told Human Rights Watch they lack food, shelter, medicine, potable water, clothing, and other necessities. The government has not authorized providing them with humanitarian aid.

Rather than providing assistance, state government officials have made excuses for denying the Rohingya aid, Human Rights Watch said. In February, Win Myaing, spokesman for the Arakan State government, told the Democratic Voice of Burma that Rohingya are deliberately inflating the numbers of those displaced to receive more aid. “Now, when we are making a list in the camp over here, then people from [another camp] will come,” he said. “Frankly, [the Rohingya] are just attempting to make the list bigger so that they can get more aid.”

The government’s failure to put forward plans or make efforts to return displaced Rohingya and other Muslims to their original towns and villages heightens concerns of a long-term intent to segregate this population, Human Rights Watch said. In the city of Sittwe, the Muslim population is now completely segregated. The neighborhood of Aung Mingalar, which is the last remaining Muslim neighborhood in Sittwe, is surrounded by barbed wire and Burmese army soldiers.

The Muslims remaining in the neighborhood are not permitted to leave the area, and humanitarian agencies are not permitted to deliver aid to the neighborhood because the residents are technically not displaced. Rohingya in the neighborhood told Human Rights Watch the state government has not replied to their requests to purchase rice.

A Muslim man in Aung Mingalar told Human Rights Watch that UN agencies have not been able to deliver any aid since June, saying, “We only want permission to bring food from outside to Aung Mingalar.”

In some areas, such as Myebon Township, the government and humanitarian agencies are constructing shelter on stilts over ground that will flood, rather than permitting the Rohingya to rebuild on land in their home village nearby. The authorities have told the UN and diplomatic community that the camps throughout the state are not envisioned as long-term “solutions,” but the government has failed to put forward plans for displaced people to return home, and also has not rejected demands by Arakanese communities to keep Rohingya segregated in remote areas.

“Donor governments should be pressing Burma’s government to allow humanitarian agencies to provide assistance to all those in need,” Robertson said. “But donors also need to make clear that government policies intended to segregate the Muslim population will be publicly opposed.”

The Burmese government has long prevented Rohingya from accessing health care in Arakan State, and restrictions have tightened since violence began in June. Human Rights Watch visited Arakan State’s largest government-operated hospital in Sittwe in late October, at a time of widespread violence against Muslims throughout the state, and there were no Muslim patients in the hospital.

A displaced Rohingya man in Sittwe told Human Rights Watch at the time: “After our houses were burned down here we couldn’t go to the government hospital. We cannot go to government hospitals.” A hospital employee confirmed that: “There have been no Bengali [Rohingya] patients in the hospital. If some Bengali [Rohingya] patients were sent to the hospital there would be many problems. I think there is a separate hospital by the military, in the refugee [IDP] camp. This is a government hospital.”

A discriminatory Citizenship Law passed in 1982 effectively denied Burmese citizenship to Rohingya, who are estimated to number between 800,000 and 1 million people in Burma. The government does not allow Rohingya to travel between townships without special permission or paying substantial bribes to state security forces. Internally displaced Rohingya are not permitted to travel outside of displacement sites, severely restricting their ability to earn a livelihood. There are also severe restrictions on marriage and the number of children Rohingya can have – and the multiagency border guard force Nasaka typically demands sizable payments from Rohingya seeking to marry or preparing to give birth.

Arakan State’s Rohingya population also faces widespread hostility from the majority Burmese Buddhist society. The violence in Arakan State in June between Arakanese Buddhists and Rohingya Muslims was followed by planned attacks on Rohingya and Kaman Muslim communities in various townships in the state in October.

More recently, disputes between Buddhists and Muslims resulted in violence in the central Burma town of Meikhtila on March 20 to 22, which has spread to other parts of the country. During the violence, at least five mosques were burned down and an unknown number of people died as mobs and Buddhist monks attacked Muslim residents and set fire to Muslim homes, businesses, and places of worship. The violence in Meikhtila has displaced 12,000 Muslims, according to OCHA.

“The unfortunate lesson from the violence in Arakan State is that so far the government does little to hold accountable those who violate the rights of Muslims in Burma,” Robertson said. “By failing to stop violence and prosecute those who incite it, the country’s leaders are failing the test of reform.”
 
Why is BD not coming forward to accept them? rohingyas are small in numbers, they will not be a big burden on BD

Rohingyas are 2.3 million strong. BD already accepted 500,000. Its not only BD accepting them, Rohingyas inhibit 2 big township and district in Arakan which are as big as our Chittagong District. Will you pay for their property in Arakan?
 


Alamin Khan Tds
36 mins
মিয়ানমারের সামরিক শক্তি

দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক শাসিত দেশ মিয়ানমার। মোট আয়তন ছয় লাখ ৭৬ হাজার ৫৫২ বর্গকিলোমিটার। উত্তর-দক্ষিনে এর দৈর্ঘ্য প্রায় দুই হাজার ৮৫ কিলোমিটার। সর্বপশ্চিমে এর সর্বোচ্চ বিস্তার প্রায় ৯৩০ কিলোমিটার। উপকূলীয় এলাকাটি নিম্ন মিয়ানমার ও অভ্যন্তরীণ অংশটি ঊর্ধ্ব মিয়ানমার নামে পরিচিত। অশ্বখুরাকৃতি পর্বতব্যবস্থা ও ইরাবতী নদীর উপত্যকা দেশটির ভূ-সংস্থানের প্রধান বৈশিষ্ট্য। উত্তরের পর্বতগুলোর সর্বোচ্চশৃঙ্গ হকাকাবো রাজির উচ্চতা ৫ হাজার ৮৮১ মিটার। এটি দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার সর্বোচ্চশৃঙ্গ। আরো দু’টি পর্বতব্যবস্থা উত্তর থেকে দক্ষিনে বিস্তৃত।

আরাকান ইয়োমা পর্বতমালাটি মিয়ানমার ও ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে একটি প্রাচীরের সৃষ্টি করেছে। এর পর্বতগুলোর উচ্চতা প্রধানত ৯১৫ মিটার থেকে ১ হাজার ৫২৫ মিটার পর্যন্ত। অন্য দিকে শান মালভূমি থেকে বিলাউকতাউং পর্বতশ্রেণীটি প্রসারিত হয়ে দণি-পূর্ব নিম্ন মিয়ানমার ও দণি-পশ্চিম থাইল্যান্ডের সীমান্ত বরাবর চলে গেছে। শান মালভূমিটি চীন থেকে প্রসারিত হয়েছে। এর গড় উচ্চতা প্রায় ১ হাজার ২১৫ মিটার। মিয়ানমারের অভ্যন্তরভাগে কেন্দ্রীয় নিম্নভূমিগুলো মূলত সরু ও দীর্ঘ। এগুলো ইরাবতী-সিত্তাং নদীর ব-দ্বীপ এলাকায় প্রায় ৩২০ কিলোমিটার প্রশস্ত। এ ব-দ্বীপীয় সমভূমিগুলো অত্যন্ত উর্বর ও দেশের সবচেয়ে অর্থনৈতিক গুরুত্ববিশিষ্ট অঞ্চল। এর মোট আয়তন প্রায় ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটার। মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমের আরাকান উপকূল ও দণি-পশ্চিমের তেনাসসেরিম উপকূল উভয়েই শিলাময় এবং এগুলোর কাছে অনেক দ্বীপ অবস্থিত। মিয়ানমারে বেশ কিছু উৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক পোতাশ্রয় আছে।

সশস্ত্র বাহিনীর নাম টাটমাডো
দ্য মিলিটারি অব মিয়ানমারের অফিসিয়াল নাম টাটমাডো। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এ বাহিনীর শাখা হচ্ছে আর্মি, নেভি ও এয়ারফোর্স। সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগী বাহিনী দু’টি। একটি মিয়ানমার পুলিশ ফোর্স। অন্যটি পিপলস মিলিশিয়া ইউনিটস অ্যান্ড ফ্রন্টিয়ার ফোর্স। স্থানীয়ভাবে এটি নাসাকা নামে পরিচিত। নাসাকা মিয়ানমারের সীমান্ত প্রহরার কাজে নিয়োজিত। তবে মিয়ানমারের প্রতিরক্ষার প্রয়োজনে এ পাঁচ বাহিনীর যেকোনো বাহিনীকে যেকোনো কাজ দেয় দেশটির সামরিক সরকার। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভের পর টাটমাডো দেশ পরিচালনায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে। বর্তমানে দেশটির শাসনক্ষমতা এ বাহিনীর হাতে।

মোট সৈন্য সাড়ে পাঁচ লাখ, বাজেট ৭.০৭ বিলিয়ন ডলার
মিয়ানমারের মোট সৈন্য পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার। এ সংখ্যা বিশ্বে ২৬তম। এর মধ্যে চার লাখ ৯২ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য। বাকি ৭২ হাজার আধাসামরিক বাহিনী বা নাসাকার সদস্য। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে মিয়ানমারের র‌্যাঙ্ক নবম। আর আধাসামরিক বাহিনী ২৬তম। টাটমাডোর বার্ষিক খরচ জানা না গেলেও ২০০৫ সালে সংস্থাটির জন্য সরকারের বাজেট ছিল ৭.০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা জিডিপি’র দুই দশমিক এক শতাংশ।

মিয়ানমারের সীমান্তে পরিত্যক্ত বিমানবন্দর যুদ্ধ বিমানের ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে। তৈরি করা হচ্ছে কাঁটাতারের বেড়া। কেউ বলছেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গার প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে চাচ্ছে। অনেকের ধারণা, বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই মিয়ানমারের এই সমরসজ্জা। বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে ব্যাপক সমর প্রস্তুতি চলছে। দীর্ঘমেয়াদি কোনো লক্ষ্য নিয়ে বেশ কয়েকটি স্থায়ী সামরিক স্থাপনা তৈরি করছে তারা। মিয়ানমারের এ সমরসজ্জার উদ্দেশ্য এখনো অস্পষ্ট। কারো কারো মতে, পরমাণু শক্তি অর্জন ও এ সম্পর্কিত গোপন স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিরাবলয় তৈরি করছে মিয়ানমার। আবার কেউ মনে করছেন, বাংলাদেশের সাথে বিতর্কিত সমুদ্রসীমার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে তারা। এত বড় বড় বিষয়ের খোঁজ রাখেন না যারা, সেসব সাধারণ মানুষের বিশ্বাস বাংলাদেশে চলে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের মিয়ানমারে ফেরার পথ চিরতরে বন্ধ করাটাই আসল উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের জন্য এর কোনোটিই উপোর নয়।

সেনাবাহিনীতে গড়ে তোলা হয়েছে নিউক্লিয়ার ব্যাটালিয়ন
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মর্নিং হেরাল্ড সপ ত্যাগ করে অস্ট্রেলিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের দুই সামরিক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী এক সংবাদ প্রকাশ করে। সাবেক সেনাকর্মকর্তা মোয়ে জোঁ জানিয়েছেন, বিদেশে গোপনে প্রশিক্ষন পাওয়া সৈনিক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে সেনাবাহিনীতে গড়ে তোলা হয়েছে নিউকিয়ার ব্যাটালিয়ন। এর কার্যক্রম চলছে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের সেত পাহাড়ে। নোং লেইং পাহাড়ি এলাকায় গড়ে তোলা হচ্ছে পরমাণু কমপ্লেক্স। মিয়ানমারের গোপন পারমাণবিক চুক্তি ও প্লুটোনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পে সহায়তা করছে উত্তর কোরিয়া। দণি মিয়ানমার হয়ে নৌপথে অতি গোপনে পারমাণবিক সরঞ্জাম আনা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার একটি রহস্যজনক জাহাজ জুলাই মাসের প্রথম দিকে অজ্ঞাত বন্দরের উদ্দেশে ভারত মহাসাগরের দিকে যাত্রা করে। এক পর্যায়ে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ সেটি অনুসরণ করতে থাকায় জাহাজটি পাঁচ দিন পর আচমকা দিক পরিবর্তন করে উত্তর কোরিয়ার পথে ফিরতি যাত্রা করে। এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্রে প্রকাশ পাওয়া আগের তথ্যটির সমর্থন মিলেছে। রহস্যজনক জাহাজটি মিয়ানমারের জন্য পারমাণবিক সরঞ্জাম বহন করছিল বলেই ধারণা করা হয়।

একনজরে টাটমাডো

শাখা : মিয়ানমার আর্মি, মিয়ানমার নেভি, মিয়ানমার এয়ার ফোর্স
সহযোগী শাখা : মিয়ানমার পুলিশ ফোর্স, মিয়ানমার ফ্রন্টিয়ার ফোর্স (নাসাকা)
আর্মড ফোর্সেস : ৪,৯২,০০০ জন
অ্যাকটিভ সৈন্য : ৪,৯২,০০০ জন
আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য : ৭২,০০০ জন
মোট সৈন্য : ৫,৬৪,২৫০ জন
বার্ষিক বাজেট : ৭.০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০০৫)
ব্যাটের ট্যাঙ্ক : ১৫০
এলটি ট্যাঙ্ক : ১০৫
এপিসি : ৩২৫
টুয়ার্ড আর্টিলারি : ২৭৮
মর্টার : ৮০
এ এ গান : ৪৬
কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট : ১২৫
ফাইটার গ্র্যাউন্ড অ্যাটাক : ২২
ফাইটার : ৫৮
পরিবহন বিমান : ১৫
হেলিকপ্টার : ৬৬
করভেটস : ৪
মিসাইল : ১১
টর্পেডো : ১৩
ইনসোর রিভারইন : ৪৭
ল্যান্ডিং ক্র্যাফট : ১১

উত্তর কোরিয়ার সহায়তায় পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টার অভিযোগ
খুব কম লোকই বিশ্বাস করে যে, সামরিক শাসনকবলিত হতদরিদ্র দেশ মিয়ানমার অদূরভবিষ্যতে পরমাণু অস্ত্র নির্মাণ করবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এশিয়ার এ দেশটির প্রতি তাদের সন্দেহের তীর ছুড়ে দিয়েছেন। কমিউনিস্ট উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিতে বিশ্বের দরিদ্রতম এ দেশটিকে সহায়তা করছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সম্প্রতি মিয়ানমারের উদ্দেশে উত্তর কোরিয়ার একটি জাহাজের যাত্রা, মিয়ানমারে বিশাল বিশাল সুড়ঙ্গ খননের ছবি ও দু’দেশের শীর্ষ পর্যায়ের একটি গোপন বৈঠক থেকে এ সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। সিরিয়ার সাথে মিয়ানমারের সহযোগিতামূলক সম্পর্ককেও সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। মিয়ানমারের মতো সিরিয়াও রুশদের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু রুশরা দু’টি দেশকেই বিমুখ করেছে।

স্যাটেলাইটে প্রাপ্ত ছবি বিশ্লেষণ করে দণি কোরীয় গোয়েন্দা সংস্থা সন্দেহ করছে যে, গত জুলাই মাসের গোড়ার দিকে ‘কাং নাম-১’ নামে একটি উত্তর কোরীয় জাহাজ সন্দেহভাজন উপকরণ নিয়ে মিয়ানমারের পথে অগ্রসর হচ্ছিল। কিন্তু মার্কিন যুদ্ধজাহাজ বাধা দেয়ায় কোরীয় জাহাজটি তার গতিপথ পরিবর্তনে বাধ্য হয়। বাধা পেয়ে জাহাজটি স্বদেশে ফিরে আসে। ওয়াশিংটনের একটি গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর সায়েন অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটির সভাপতি ডেভিড অলব্রাইট বলেছেন, ‘সন্দেহজনক কোনো একটি ঘটনা ঘটছে। পরমাণু কর্মসূচিতে মিয়ানমারকে উত্তর কোরিয়া ক্রমবর্ধমান সহায়তা দান করছে বলে মনে করা হচ্ছে। আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখছি।’

রাখাইন রাজ্যে গড়ে তোলা হচ্ছে প্রতিরক্ষা বলয়
মিয়ানমারের অনেকেই এখন মনে করেন ভূগর্ভে পারমাণবিক বিস্ফোরণ কিংবা বিকল্প পারমাণবিক স্থাপনা তৈরি হচ্ছে রাখাইন রাজ্যে। আর এ জন্যই এর আশপাশের ২৬টি গ্রামের মানুষকে আশ্রয়হীন করা হয়েছে। এদের অনেকেই এখন বাংলাদেশে। মিয়ানমারের পারমাণবিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই বাংলাদেশের পাশে মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটে প্রতিরাবলয় গড়ে তোলা হচ্ছে বলে সে দেশের সচেতন অংশ ধারণা করছে। আগে থেকেই আন্দামনের সমুদ্র সীমা ও বঙ্গোপসাগর পাহারায় এ অঞ্চলে তাদের শক্তিশালী নৌবাহিনীর অবস্থান রয়েছে। তার ওপর সাবমেরিন তৈরি কিংবা ঘাঁটি স্থাপনের দিকেও তারা অগ্রসর হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। রাখাইন রাজ্যে বিভিন্ন সামরিক স্থাপনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে দুর্গম পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে যুদ্ধবিমান ওঠানামার স্থায়ী ব্যবস্থা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি যেসব এয়ারস্ট্রিপ তৈরি করা হয়েছিল এত দিন তার অধিকাংশই ছিল অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত। এর সংখ্যা প্রায় এক ডজন। সাবেক আরাকান বর্তমান রাখাইনের এসব এয়ারস্ট্র্রিপের মধ্যে টেনডুয়ে, নাপলিত, টংগু এয়ার বেজকে মিয়ানমার বিমান বাহিনী আগেই ব্যবহার উপযোগী করে নিয়েছে। দেিণ বঙ্গোপসাগর তীরের আকিয়াব অঞ্চলে আন, সামরি, তান্ডুয়ে এবং মইউ বা মউ নদীর পাশে মরাউকের পরিত্যক্ত চারটি সামরিক এয়ারস্ট্রিপ হস্তান্তর করা হয়েছে নৌবাহিনীর কাছে। নৌবাহিনী এগুলোকে তাদের নিজস্ব যুদ্ধ ও পরিবহন বিমানের জন্য ব্যবহার উপযোগী করে নেবে। গত বছর আকিয়াবের একটি স্থানীয় দৈনিকে খবরটি প্রকাশিত হলেও এখন পর্যন্ত এসব এয়ারস্ট্রিপের সংস্কার শুরু হয়নি। তবে নতুন করে কমপে আরো চারটিকে সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করছে মিয়ানমার।

বাংলাদেশের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে আধুনিক বিমান ঘাঁটি
বুচিডং শহরের ১৮ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের লউ-এ ডং বিমান ঘাঁটিটি বিমান বাহিনীর নিজস্ব সুবিশাল আধুনিক বিমান ঘাঁটি হিসেবে তৈরি করছে তারা। আকাশপথে বাংলাদেশ সীমান্তের মাত্র ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটারের মধ্যেই এর অবস্থান। ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৮ থেকে ৯ কিলোমিটার চওড়া এ বিমান ঘাঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে কঠোর নিরাপত্তা ও নজরদারি নিশ্চিত করে। এর চার পাশে কমপে ২০টি দূরপাল্লার কামান বসিয়ে সার্বণিক পাহারা দেয়া হচ্ছে। কোনো বেসামরিক ব্যক্তিকে কাছাকাছি ঘেঁষতে দেয়া হয় না বলে পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। বর্তমানের আকিয়াব তথা সিটওয়ের বিমান ঘাঁটিটি লউ-এ ডং বিমান বন্দরসংলগ্ন এলাকায় স্থানান্তরিত হবে, নাকি দ্বিতীয় একটি বিমান ঘাঁটি হিসেবেই এটাকে রাখা হবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ ছাড়া বাংলাদেশের আরো কাছে নাইনচং এয়ারস্ট্রিপকেও সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পুরনো সেসনা ধরনের ুদ্র বিমান ওঠানামার উপযোগী সাহেববাজার ও দরগার বিল এয়ারস্ট্রিপকে বাড়িয়ে মিগ-২৯ এর মতো যুদ্ধজাহাজের ব্যবহার উপযোগী রানওয়ে তৈরির কাজ শুরু করা হয় গত শীতে। যদিও বর্ষার শুরুতেই প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার এ দু’টি সংস্কারকাজ থেমে গেছে। উখিয়া (কক্সবাজার) থানার ৪০ নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে সোজা পূর্ব দিকে আকাশপথে মাত্র কয়েক মিনিটের দূরত্বে দরগার বিল এয়ারস্ট্রিপ।

আরো একটি বড় বিমানঘাঁটি
বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছে আকিয়াব (সাবেক আরাকান) বর্তমানের রাখাইন রাজ্যের সর্বপশ্চিমের বেসামরিক বিমান বন্দরটিকেও মিয়ানমার সম্প্রতি অন্যতম বড় বিমানবন্দর আকারে সম্প্রসারিত করেছে। বঙ্গোপসাগর তীরের এ সিটওয়ে বিমানবন্দরকে মিয়ানমারের অন্যতম বড় এয়ারফোর্স ঘাঁটি বলেও বিবেচনা করা হয়। যদিও সিটওয়ের কিয়াকপ্রু এবং থান্ডওয়েতে এয়ারফোর্স ঘাঁটির নিজস্ব দু’টি স্বতন্ত্র রানওয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফে মাছ বিক্রি করতে আসা আকিয়াবের একাধিক ব্যবসায়ী। এসব সংবাদ সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিতও হয়েছে। জানা গেছে, এগুলোকে মিগ-২৯সহ অন্যান্য আধুনিক জঙ্গি ও বৃহদাকার বোমারু বিমান রাখা ও ওঠানামার উপযোগী করা হয়েছে গত বছর। সাথে বসানো হয়েছে সামরিক হেলিপ্যাড। শোনা যায়, সিটওয়ের এ বিমান ঘাঁটির অধীনে ২৪টি মিগ-২৯ জঙ্গি বিমান রয়েছে।

তা ছাড়া সিটওয়ে বিমানবন্দরে এর মধ্যেই স্থাপন করা হয়েছে শক্তিশালী রাডার। একটি সূত্র দাবি করেছে, বাংলাদেশের কুমিল্লা কিংবা বরিশালের যেকোনো স্থান থেকে আকাশে কোনো বিমান উঠলেই মিয়ানমারের এ রাডারে ধরা পড়বে।

সমুদ্রে কর্তৃত্ব বিস্তারে রয়েছে বড় ধরনের প্রস্তুতি
বিমান বাহিনীর পাশাপাশি সমুদ্রে কর্তৃত্ব বিস্তারেও মিয়ানমারের বড় ধরনের প্রস্তুতির খবর প্রকাশিত হয়েছে। রাখাইন রাজ্যের মংডু ও বুচিডং থানাকে বিভক্ত করা মইউ নদীর মোহনায় আছে মিয়ানমার নৌবাহিনীর অন্যতম বড় ঘাঁটি। এখান থেকেই বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরের পশ্চিমাংশের টহল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সাথেই আছে নৌবাহিনীর নিজস্ব ডকইয়ার্ড। মইউ নদীর মোহনার গভীরতম স্থানকে এর মধ্যেই বিশেষভাবে সংরতি করা হয়েছে। এলাকাটিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বয়া দিয়ে চিহ্নিত করা হয় গত জানুয়ারি মাসে। ডকইয়ার্ডকেও নাকি সেদিকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। আর এসব আয়োজনকে আকিয়াব ও রেঙ্গুনের মানুষ সাবমেরিনের প্রস্তুতি বলে বিবেচনা করছে। কিন্তু স্থানীয় এ নেভাল ডকইয়ার্ডে সাবমেরিন তৈরির আয়োজন চলছে, নাকি পশ্চিমাঞ্চলীয় নৌবাহিনীর জন্য কেনা সাবমেরিনের ঘাঁটি গড়ে তোলা হচ্ছে সে সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।

মইউ মোহনার আয়োজনের নেপথ্যে পারমাণবিক প্রস্তুতির গন্ধ
সাবমেরিন ধারণার বাইরে কেউ কেউ আবার মইউ মোহনার আয়োজনের নেপথ্যে পারমাণবিক প্রস্তুতির গন্ধও পাচ্ছেন। বিশেষ করে সম্প্রতি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ পিছু নেয়ায় ভারত মহাসাগরমুখী উত্তর কোরিয়ার একটি রহস্যজনক জাহাজ ফিরে যাওয়ার পর এ ধারণার জন্ম নেয়। রহস্যজনক জাহাজটি মিয়ানমারের জন্য পারমাণবিক সরঞ্জাম বহন করছে বলে খবর প্রকাশ পাওয়ায় এবং নৌবাহিনীর মিইউ নৌঘাঁটিতে বাড়তি যেসব ব্যবস্থা করা হয়েছে সে প্রোপটেই এ ধারণা জোরালো হয়। নিরাপদে জাহাজ থেকে পারমাণবিক সরঞ্জাম খালাস করা ও এ কাজে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সাবমেরিনের ব্যবহার হতেই পারে বলে তারা মনে করেন।

জনবসতি তুলে দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে টানেল
মিইউ নৌঘাঁটির পার্শ্ববর্তী ইয়াওয়ার্দি রেঞ্জে পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গ (টানেল) তৈরি করা হচ্ছে। টানেলটি সামরিক কারণে নির্মাণ করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২৬টি গ্রামের জনবসতি তুলে দিয়ে এ টানেল তৈরি করা হচ্ছে আরাকান সড়কের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনার ল্য সামনে রেখে। ২০০৪ সালে নাপাউলি থেকে টংগু পর্যন্ত পাহাড়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করে এবং কুলাডাইঙ্গা নদীতে সেতু বসিয়ে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তা কমিয়ে আনতে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু হয়। কিন্তু টানেল তথা সুড়ঙ্গ তৈরির কাজে বিস্তর সময় নেয়া, তদারকিতে বিশেষ সামরিক টিমের তৎপরতার পাশাপাশি অতিমাত্রায় সতর্কতা অবলম্বনে সন্দেহ ক্রমেই ঘনীভূত হয়েছে। বিশেষ করে এর আগে মিয়ানমারের সামরিক সরকারবিরোধী প্রবাসীদের পরিচালিত নরওয়েভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল ‘ডেমোক্র্যাটিক ভয়েস অব বার্মা’ সংগৃহীত ও প্রচারিত নির্মীয়মাণ টানেলের ছবির অনুরূপ টানেল এ অঞ্চলে তৈরি হতে দেখে এ সন্দেহ দৃঢ় হচ্ছে। মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা বড় ধরনের বোমা হামলা থেকে সুরতি করে উত্তর কোরিয়ার প্রকৌশলীদের প্রত্য তত্ত্বাবধানে বিশেষভাবে নির্মাণকাজের ছবিটি তারাও সন্দেহজনক হিসেবে প্রকাশ করেছিল।

মিয়ানমার একটি নাটকের সরঞ্জাম, যার স্ক্রিপ্ট রচিত হয়েছে ওয়াশিংটনে
মিয়ানমার আয়তনে প্রায় জর্জ ডব্লিউ বুশের টেক্সাসের সমান। মিয়ানমারের ট্র্যাজেডি হচ্ছে, এখানকার জনগণ একটি নাটকের পাত্রপাত্রী বা সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। যে নাটকের স্ক্রিপ্ট রচিত হয়েছে ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল এনডাউমেন্ট ফর ডেমোক্র্যাসি (এনইডি), জর্জ সরস ওপেন সোসাইটি ইনস্টিটিউট, ফ্রিডম হাউস ও জিন শার্পের আলবার্ট আইনস্টাইন ইনস্টিটিউট দ্বারা। এই আলবার্ট আইনস্টাইন ইনস্টিটিউট ইউএস ইন্টেলিজিন্সের একটি অ্যাসেট হিসেবে বিবেচিত। যেটি বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত বৈদেশিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে রক্তপাতহীন শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে।

ইউক্রেনের ‘অরেঞ্জ বিপ্লব’ কিংবা জর্জিয়ার ‘রোজ বিপ্লব’ এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ার চার পাশের কৌশলগত বিরোধী দেশগুলোর অন্যান্য রঙ-বেরঙের বিপ্লবের মতোই মিয়ানমারের ‘সাফ্রোন বিপ্লব’টি হচ্ছে ওয়াশিংটন-পরিচালিত শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের একটি অনুশীলন। বার্তা সংস্থা সিএনএন গত বছরের সেপ্টেম্বরের একটি ব্রডকাস্টে মিয়ানমারের বিােভগুলোতে এনইইডি’র সক্রিয় উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেছে। এনইডি হচ্ছে ইউএস সরকারের অর্থায়নে চালিত একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান যার কার্যকলাপ যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি ও উদ্দেশ্য সফল করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত। কোল্ড ওয়ারের সময় সিআইএ যা করত, এনইডি’র কাজ আজ অনুরূপ। মিয়ানমারের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে এনইডি, সরস ওপেন সোসাইটি ইনস্টিটিউটকে অর্থায়ন করে। ২০০৩ সালের ৩০ অক্টোবর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়,

বাস্তবে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় সরকারবিরোধী সংগঠনের প্রধান নেতাদের নিযুক্ত করেছে ও প্রশতি করেছে। মিয়ানমারে কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট কম করে হলেও এনইডিকে বছরে ২.৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করেছে। যতটা জানা গেছে, শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের এই সাফ্রোন বিপ্লব অনেকাংশেই মিয়ানমারে সীমান্তবর্তী এলাকা থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই থেকে পরিচালিত হয়েছে। কিছু কিছু েেত্র মিয়ানমারে বিপ্লবকে সংগঠিত করার কাজে যাওয়ার আগে কর্মীরা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে প্রশতি হয়েছে। এনইডি স্বীকার করেছে যে, তারা প্রধান বিরোধী মিডিয়া নিউ এরা জার্নাল, Irrawaddy ও ‘ডেমোক্র্যাটিক ভয়েস অব বার্মা রেডিও’-কে অর্থায়ন করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন এত আগ্রহ
এসব আলোচনার পর একটি প্রশ্ন সবার মনেই উদ্রেক হতে পারে। মিয়ানমারের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের এত আগ্রহ কেন? গণতন্ত্র, ন্যায় ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র আন্তরিক বলেই মিয়ানমারের সামরিক শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চায় এ ধারণা আমরা প্রথমেই বর্জন করতে পারি। ইরাক ও আফগানিস্তানের ঘটনাপ্রবাহের দিকে তাকালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রচারণার আড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য সব উদ্দেশ্য হাসিলের বিষয়টি পরিষ্কার হয়। তাহলে প্রশ্নটি হচ্ছে, কোন বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে এমন দূরবর্তী এলাকা মিয়ানমারের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনে এত উৎসাহিত করেছে? বিশ্বব্যাপী ‘ভূ-রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা এর উত্তর হতে পারে। এ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণটি হচ্ছে পারস্য উপসাগর থেকে দক্ষিন চীন সাগর পর্যন্ত কৌশলগত সমুদ্র পথটির নিয়ন্ত্রণ। আর মিয়ানমারের উপকূলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে, পৃথিবীর অন্যতম প্রধান কৌশলগত সমুদ্রপথ ‘মালাক্কা প্রণালী’ তে নৌ-প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হয়। মালাক্কা প্রণালীটি হচ্ছে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার অন্তর্বর্তী জাহাজ চলাচলের একটি সমুদ্র রুট বা পথ।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকেই সাম্ভাব্য সন্ত্রাসী আক্রমণ প্রতিহত করার ধুয়া তুলে পেন্টাগন ওই অঞ্চলে সামরিকীকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার সর্বোত্তর পয়েন্ট বান্দা আচেহ এ সুলতান ইস্কান্দার মুদা বিমান বাহিনী ঘাঁটি স্থাপন করেছে। মিয়ানমারসহ এ অঞ্চলের সরকারগুলো অবশ্য এখানে মার্কিন সামিরিকীকরণকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। মানচিত্রের দিকে এক পলক তাকালেই মিয়ানমারের কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়।

ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনকারী মালাক্কা প্রণালী পারস্য উপসাগর ও চীন সাগরের মধ্যে ুদ্রতম সমুদ্র রুট। চীনের আমদানিকৃত তেলের ৮০ শতাংশের বেশি এই মালাক্কা প্রণালী দিয়ে তেলবাহী জাহাজ মারফত চীনে পৌঁছে। এর সরুতম অংশটি হচ্ছে সিঙ্গাপুর প্রণালীর ফিলিপস চ্যানেল যা মাত্র ১.৫ মাইল প্রশস্ত। এই সরুতম চ্যানেলটি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম গড়ে ওঠা এনার্জি মার্কেট চীন ও জাপানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ। এখান দিয়ে দৈনিক ১২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল তেলবাহী জাহাজে করে পার হয়ে যায়। যদি প্রণালীটি বন্ধ হয়ে যায়, তবে বিশ্বের অর্ধেক তেলবাহী জাহাজকে অনেক বেশি সমুদ্রপথ পাড়ি দিতে হবে। ফলে বিশ্বব্যাপী জলপথে পণ্য পরিবহনের খরচ অনেক গুণ বেড়ে যাবে। প্রতি বছর ৫০ হাজারেরও বেশি পণ্য ও তেলবাহী জাহাজ এই মালাক্কা প্রণালী দিয়ে যাতায়াত করে। মিয়ানমার থেকে ইন্দোনেশিয়ার বান্দা আচেহ পর্যন্ত এলাকাটি দ্রুতই পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চোকপয়েন্ট হয়ে উঠছে। এই চোকপয়েন্টটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে চীনের এনার্জি সাপ্লাইকেও নিয়ন্ত্রণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। তাই এ অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্ব বেইজিং হারিয়ে ফেলেনি। যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ সাল নাগাদ মধ্যপ্রাচ্যে জ্বালানি তেলের ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করলে চীন অনেক বেশি মিয়ানমারের দিকে ঝুঁকে পড়ে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ানমারের সাথে এ ঘনিষ্ঠতা মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট নয়। বরং এর সাথে এনার্জি ও সামরিক নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত।

বেইজিং মিয়ানমারকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিং মিয়ানমারকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে। যার মধ্যে আছে ফাইটার, গ্রাউন্ড অ্যাটাক ও ট্রান্সপোর্ট, ট্যাঙ্ক, আরমার্ড মোটরযান, নৌবহর ও এয়ার মিসাইল। চীন মিয়ানমারে পাকা রাস্তা, রেললাইন স্থাপন করে দিয়েছে ও বিনিময়ে মিয়ানমারে তাদের মিলিটারি ট্রুপসের প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। ইন্ডিয়ান প্রতিরা সূত্র মতে, চীন মিয়ানমারের কোকো দ্বীপে একটি ইলেকট্রনিক নজরদারি কেন্দ্র স্থাপন করেছে ও ভারত মহাসাগরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে একটি নৌঘাঁটি নির্মাণ করছে। প্রকৃতপ,ে মিয়ানমার হচ্ছে চীনের ভাষায় ‘মুক্তার মালা’। মালাক্কা প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে মোকাবেলা করার জন্য কৌশলগতভাবে মিয়ানমারকে চীনের প্রয়োজন। উপরন্তু মিয়ানমার, কী উপকূলবর্তী অংশ কী উপকূল দূরবর্তী অংশ, জ্বালানি-খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ।

শেষ কথা
মিয়ানমার আয়তনে বাংলাদেশের চেয়ে পাঁচ গুণ বড়। দেশটির উপকূলের দৈর্ঘ্যও বাংলাদেশের উপকূলের পাঁচ গুণ। প্রায় ২ হাজার ৮৩২ কিলোমিটার। কিন্তু জনসংখ্যা বাংলাদেশের অর্ধেকেরও কম। বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে প্রায় ৬৩ কিলোমিটার জলসীমা। বাকি ২০৮ কিলোমিটারজুড়ে রয়েছে দুর্গম পাহাড়ি অরণ্য ও বিচ্ছিন্ন জনপদ। এর সবটাই প্রতিবেশী দেশটির সাবেক আরাকান তথা বর্তমানের রাখাইন রাজ্য। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে তামব্রুর যোগবইন্যা থেকে থানচির বড় মোদক পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা দুর্গম ও অনেকটাই অরতি। বর্তমানে মিয়ানমার যেভাবে সামরিক স্থাপনা সম্প্রসারণ শুরু করেছে তাতে বিষয়টিকে আর সীমান্ত রার আয়োজন বলে বিবেচনা করার অবকাশ নেই।

 
Rohingyas are 2.3 million strong. BD already accepted 500,000. Its not only BD accepting them, Rohingyas inhibit 2 big township and district in Arakan which are as big as our Chittagong District. Will you pay for their property in Arakan?
#

What is the use of property if they are killed? Moreover, Myanmar don't accept them as their citizens, so in legal sense they cannot own the property.
 
Syed Farhat Ahmad Roomyto RAFM
18 hrs ·
1f534.png
1f534.png
1f534.png
1f534.png
LOUD THINKING
1f534.png
1f534.png
1f534.png
1f534.png


ETHNIC CLEANSING?

In the recent past we have seen some attempt of ethnic cleansing in neighboring Arakan province of Myanmar and Assam state of India. Coincidentally, ethnic communities in question at both places are of Bengali Muslim origin. These people had gone there during Mughal and British period and some may have migrated even earlier.

We could look at the situation in two ways:

a. It is internal affairs of neighboring countries and as such we shouldn’t have any concern in these incidents. Therefore, ignore the whole thing.

b. As the people suffering are of Bengali Muslim origin and we consider ourselves as a Bengali Nation State, we must have some moral responsibility to look after their interest and well being. Therefore we should perhaps show our concern by way of diplomatic protest to the respective embassies, at the very least, if not more.

What's your take on this friends?
 
Back
Top Bottom