What's new

Beautiful Bangladesh

Status
Not open for further replies.
373960_232636313474501_2121377819_n.jpg


402092_236769659727833_222943614443771_568664_1239826277_n.jpg


392643_236769593061173_222943614443771_568662_1791713917_n.jpg


377846_232636866807779_830544201_n.jpg


403261_236769563061176_1670033090_n.jpg


388653_232637150141084_222943614443771_557125_253929820_n.jpg


375508_236769463061186_414344165_n.jpg


389788_232637256807740_435918258_n.jpg
 
more interesting question is Can anybody explain why it is called 60 dome mosque? It has 77 small domes and 4 large domes total 81!

@ Hi kobiraaz !! how are you ? Are kobiraaz and Farhaan is the same person ?

@ I cannot answer your question but may be somebody by mistake could not count the "Domes" correctly and put it 60 in Turkish language, soon it was translated to Persian and than English and lastly in Bengali. May be in the Arcive once it was written 60 so remained 60. Now if you want to change to 77, you have to do lot of procedure. Like some of the example I give you, there is a place none as "Tohazari" and Hathazari" in Chittagong. So, during the time of Akbar he used to maintain "2 Hazar Sainik" at Dohazari and "8 Hazar Sainik" at Hathazari for the protection Chittagong port from the hand of "Purtogaze". Slowly and gradually those places were named accordingly.

@ Now about the Domes of Mosques. In those days (15/16 centuary) it was difficult to make the roof top. Before 15 century once we were under Turkish Rulers, the architec technogy was very poor so once the size of the mosque was big so the numbers of domes. This was the technology of Turkish architec. Soon once the Mughal came and captured India their architec technology (Persian)also changed soon instead of so many domes it came down to only 5. That is why you would find that those mosque which were built before 15/16 century or Mughals had more numbers of domes but once Mughals came it came down to 5. You can check it.
 
চট্টগ্রাম শহর
-------------

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রাম। পাহাড় আর সমুদ্রের মিতালী করা এই শহরে দর্শনীয় স্থানের কমতি নেই। দেশের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরও এ শহরেই। দু’একদিন সময় নিয়ে বেরুলেই এই শহরের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখা সম্ভব। চট্টগ্রাম শহরের দর্শনীয় স্থানগুলোঃ



ফয়’স লেক
407059_326183197405822_282078708482938_1156456_690653617_n.jpg



শহরের পাহাড়তলীতে রয়েছে ঐতিহাসিক ফয়’স লেক। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিনশ ফুট উঁচু এ লেকে বছরের সবসময়ই কানায় কানায় জলে পূর্ণ থাকে। চারিদিকে ছোট ছোট অসংখ্য পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে ছড়িয়ে আছে এই লেকের জলরাশি। আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃক ১৯২৪ সালে প্রায় ৩৩৬ একর জায়গায় কৃত্রিম এ হ্রদটি খনন করা হয়। বর্তমানে ফয়’স লেকের সাথে সঙ্গতি রেখে সেখানে কনকর্ড গড়ে তুলেছে এমিউজমেন্ট পার্ক। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সেখানে এখন রয়েছে আধূনিক মানের বিভিন্ন রাইডস। ফয়’স লেকের প্রবেশমুখেই রয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়া খানা। নানা ধরণের প্রাণী রয়েছে ছোট এই চিড়িয়াখানাটিতে।



ফিরোজ শাহ লেক

পাহাড়তলীর ফিরোজশাহ কলোনীর পাশেই রয়েছে এ লেকটি। ফয়’স লেক খননের প্রায় চার বছর পূর্বে অর্থাৎ ১৯২০ সালে এ লেকটিও খনন করে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।





কোর্ট বিল্ডিং
402925_326184814072327_650759566_n.jpg



লালদীঘি এলাকায় পরীর পাহাড়ে আছে ঐতিহাসিক কোর্ট বিল্ডিং। আঁকা বাঁকা পাহাড়ি পথ ভেঙ্গে উপরে উঠলেই দেখতে পাবেন প্রাচীন এই ভবনটি। তবে ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি দিন দিন হারাতে বসেছে তার জৌলুস। একে সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করে এর কোন কোন অংশ ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। কোথাও কোথাও নির্মাণ করা হয়েছে নতুন স্থাপনা।



লালদীঘি

কোর্ট বিল্ডিং এর কাছেই রয়েছে ঐতিহাসিক লালদীঘি। লালদীঘি নামের পেছনে ছোট্ট একটি ইতিহাস রয়েছে লোক মুখে। এই জায়গায় অনেক আগে ছিল ছোট্ট একটি জলাশয়। ব্রিটিশ শাসনামলের শুরুতে এই জলাশয় খনন করে রূপ দেয়া হয় দীঘিতে। দীঘির পাড়ে ছিল বড় বড় কৃষ্ণচূড়া গাছ। ফুল ফোটার মৌসুমে ফুলে ফুলে লাল হয়ে যেত দীঘির পাড়। সম্ভবত সেজন্যই এর নাম হয়েছে লালদীঘি। আবার অনেকের মতে দীঘির পূর্ব দিকে তৎকালীন সময়ে যে ম্যাজিস্ট্রেট কোট এবং ট্রেজারি বিল্ডিং ছিল দুটোরই রঙ ছিল লাল। এর পাশেই ছিল জেলখানা। তার রঙও ছিল লাল। সে সময়ে জেলখানাকে বলা হতো লালঘর। একারণেই হয়তো এ দীঘির নাম হয়েছে লালদীঘি। দীঘির উত্তর পাশে আছে জমিদার রায় বাহাদুরের স্মৃতিস্তম্ভ। লালদীঘির পাশেই রয়েছে ঐতিহাসিক লালদীঘির ময়দান।



ওয়ার সিমেট্রি
394515_326187550738720_282078708482938_1156459_1798774407_n.jpg



শহরের গোল পাহাড়েরর মোড় থেকে একটু সামনেই আছে রয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ওয়ার সিমেট্রি বা কমনওয়েলথ যুদ্ধ সমাধি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দেয়া ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, ভারত, মিয়ানমার, পূর্ব এবং পশ্চিম আফ্রিকা, নেদারল্যান্ড ও জাপানের সাতশ সৈনিকের সমাধি আছে এই জায়গাটিতে। দুই ঈদ ছাড়া সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারা বছরই খোলা থাকে এ জায়গাটি।



জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর

শহরের আগ্রাবাদ এলাকায় রয়েছে চট্টগ্রাম জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর। জাপানের টোকিওর পরে এশিয়ায় এ ধরণের জাদুঘরের দ্বিতীয়টি হলো এটি। এখানে আছে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীর জীবনচিত্র, সংস্কৃতি ও জীবনের নানান দিকের চমৎকার উপস্থাপন।



শাহ আমানত (র) মাজার

শহরের লাল দীঘির পূর্ব পাশে রয়েছে এ অঞ্চলের বিখ্যাত দরবেশ শাহ আমানত (র) মাজার। ধারণা করা হয় অস্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে বিহার থেকে তিনি চট্টগ্রামে আসেন। এখানে তিনি ছোট একটি কুঁড়ে ঘরে থাকতেন এবং জজ কোর্টে পাখা টানার চাকরি করতেন।



বায়েজীদ বোস্তামী (র) মাজার

শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কের পাশে নাসিরাবাদ এলাকায় রয়েছে হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (র:) মাজার। প্রতিদিন শত শত ধর্মপ্রাণ মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকে এ জায়গাটি।



পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
383030_326189924071816_1816968845_n.jpg

পতেঙ্গা চট্টগ্রাম শহরের ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত একটি সমূদ্র সৈকত। এটি কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। পতেঙ্গা চট্টগ্রাম শহরের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণীঝড়ে এই সৈকতটি ভয়াবহ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর পর সমূদ্র সৈকতে সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা বেড়ি বাঁধ দেয়া হয়েছে।এখানে দাঁড়িয়ে বহির্নোঙ্গরে অপেক্ষমান জাহাগুলোকে সন্ধ্যার পরে দেখা যায় সমুদ্রের মাঝে একটি আলো ঝলমলে শহরের মতো। বন্দর রোড ধরে গেলে নতুন এয়ারপোর্ট এলাকাটিও ঘুরে দেখে আসতে পারেন। এয়ারপোর্টের সামনে কর্ণফুলী নদীর দৃশ্যটাও মনোহর।



- MHJ ...
 
সিলেটে ঘুরবার জায়গা সমূহ [Sylhet Tour]
----------------------------------

সিলেটে দর্শনীয় স্থানের তালিকা (Some Spectacular Locations of Sylhet):

১। জাফলং (জিরো পয়েন্ট, মারি নদী, চা বাগান, খাসীয়া পল্লী)

[Hilli river, Indian border, Tea estate of Jaflong]

২। হযরত শাহজালাল(রাঃ) ও হযরত শাহ পরাণ(রাঃ) এর মাজার শরীফ

[Majar/ Tomb of Hazrat Shahjalal (R) & Hazrat Shahporan (R)]

৩। জৈন্তাপূর (পুরানো রাজবাড়ী) [Palace of Jointapur]

৪। মাধব কুন্ড ও পরীকুন্ড জলপ্রপাত [Madhobkundo and Potikundo waterfalls]

৫। শ্রীমঙ্গল (চা বাগান, লাওয়াছরা বন, মাধব পুর লেক)

[Srimongol Tea estate & Lauachora national park]

৬। লালাখাল [Lala khal]

৭। তামাবিল [Tamabil]

৮। হাকালুকি হাওড় [Hakaluki Marshlands]

৯। ক্বীন ব্রীজ [Keen Bridge]

১০। ভোলাগঞ্জ [Bholagonj]

১১। মহাপ্রভু শ্রী চৈত্যনো দেবের বাড়ী [Sri Chaitonno Dev's House]

১২। হাছন রাজা যাদুঘর [Museum of Hason Raja]

১৩। মালনী ছড়া চা বাগান [Malinichora Tea Estate]

১৪। ড্রিমল্যান্ড পার্ক [Dreamland Park]

১৫। আলী আমজাদের ঘড়ি [Ali Amjad's Clock]

১৬। জিতু মিয়ার বাড়ী [Jitu Mia's House]

১৭। মুনিপুরী রাজবাড়ি। [Monipuri Palace]

১৮। মুনিপুরী মিউজিয়াম [Monipuri Museum ]

১৯। শাহী ঈদগাহ [Shahi Eidghah]

২০। ওসমানী শিশু পার্ক [Osmani Children's Park]

২১। হামহাম জলপ্রপাত [Hamham waterfalls]

২২। সাতছড়ি অভয়ারাণ্য [Shatchori National Park]

২৩। রেমা উদ্দ্যান [Rema Garden]

২৪। এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং [Baniachong, largest village of Asia]

২৬। বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম এর বাড়ি [Shah Abdul Karim's house]

২৭। মির্জাপুর ইস্পাহানী চা বাগান [Mirjapur ispahani Tea Estate]

২৮। BTRI- বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট [Bangladesh Tea Research Institute]



যাতায়াতঃ

ঢাকার কমলাপুর ও ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন ৩টা ট্রেন আছে সিলেটের উদ্দেশ্যে। ট্রেনের ভাড়া প্রকারভেদ এ ১২০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত আর সময় লাগবে ৭-৮ ঘন্টা। ট্রেনে গেলে রাত ৯.৫০ এর উপবন এক্সপ্রেসে জাওয়াটাই সব থেকে ভালো কারন আপনার যেতে যেতে সকাল হয়ে যাবে আর আপনি যদি রাতে ট্রেনে ঘুমিয়ে নিন তাহলে সকালে ট্রেন থেকে নেমেই আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারেন এতে করে আপনার সময় কম লাগবে। আপনি বাসে যেতে চাইলে অনেক বাস পাবেন এর মাঝে শ্যামলি,হানিফ,সোহাগ,ইউনিক,গ্রীন লাইন উল্লেখ যোগ্য। ভোর থেকে শুরু করে রাত ১২.৩০ টা পর্যন্ত এসব বাস পাবেন।বাসে যেতে সময় লাগবে ৪-৪.৩০ ঘন্টা। নন এসি ৩০০/৩৫০ টাকা। এসি ৯০০ টাকা পর্যন্ত আছে।



Transportation:

3 trains available from Dhaka towards Sylhet. Travel fair is 120-700 tk in different class and travel time is 7-8 hour. But travel in night through Upobon Express at 9.50pm is best to save your travel time. Bus services are also available, fair nonAC 300-350tk, AC 900tk. On Air cost nearly 3000-4000 tk.



কোথায় থাকবেন:

সিলেটে রয়েছে বিভিন্ন মানের হোটেল, মোটেল, কটেজ। পর্যটকরা তাদের পছন্দের যেকোন জায়গায় অবস্থান করতে পারে। সব মিলিয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিলেট ভ্রমনে আসলে ভ্রমনের আনন্দ আরও অনেকগূন বেড়ে যাবে । ফাইভস্টার হোটেল রোজভিউ ছাড়াও রয়েছে হোটেল ডালাস, ফরচুন গার্ডেন, পরর্যটন মোটেল সিলেট, হোটেল অনুরাগ, হোটেল সুপ্রিম, হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল। এছাড়া সিলেটে আপনি আপনার প্রোয়োজন ও সামর্থ অনুযায়ী যে কোন ধরনের হোটেল পাবেন কয়েকটি পরিচিত হোটেল হল হোটেল হিল টাউন,গুলশান,দরগা গেইট,সুরমা,কায়কোবাদ



Hotels:

There are different hotels for tourists. There is five star hotel Roseview, and more Hotel Dalas, Fortune Garden, Hotel Anurag, Hotel hill Town etc. Cost nearly 1000-5500 per day.


313172_284074158283393_252065339_n.jpg

চা বাগান/ Tea Estate




310765_284075448283264_338135153_n.jpg

জাফলং/ Jaflong




302071_284076344949841_1798782004_n.jpg

মাধবকুন্ড/ Madhobkundo waterfalls




- MHJ ...
 
**অনিন্দ্যসুন্দর কক্সবাজার**
-------------------------

সূর্যাস্ত
387980_310291418995000_282078708482938_1109076_14068146_n.jpg



কক্সবাজার, পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত। এর দৈর্ঘ্য ১২৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশের প্রদান পর্যটন স্পট এই সমুদ্র সৈকত। এটি একটি আধুনিক শহর ও সুপরিচিত মত্স বন্দর। কক্সবাজার জেলার উত্তরে চট্টগ্রাম জেলা, পূর্বে বান্দরবান জেলা ও বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমানা বিভক্তকারী নাফ নদী এবং মায়ানমার, দক্ষিন-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর। এ জেলার আয়তন ২৪৯১.৮৬ বর্গ কি.মি.। দীর্ঘ সমূদ্র সৈকত, ভৌগলিক অবস্থান ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের কল্যানে কক্সবাজার বাংলাদেশের গূরূত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এ জেলার বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, নয়নাভিরাম প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া দ্বীপ, দেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালী, কুতুবদিয়া দ্বীপ, রম্যভূমি রামূ, রামু লামার পাড়া বৌদ্ধ ক্যাঙ, কলাতলী, ইনানী সমুদ্র সৈকত, হিমছড়ির ঝরনা, বৌদ্ধ মন্দির, ইতিহাস খ্যাত কানারাজার গুহা, রাখাইন পল্লী দেশ-বিদেশের ভ্রমন পিপাসু পর্যটককে আকৃষ্ট করে। নানারকম জিনিসের পসরা সাজিয়ে সৈকত সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ছোট বড় অনেক দোকান যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে। কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর স্থান হিসেবে বিখ্যাত।


392725_310292118994930_32870826_n.jpg

সূর্যাস্ত



ইতিহাসঃ

কক্সবাজার নামটি এসেছে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামে বিট্রিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির এক অফিসারের নাম থেকে । কক্সবাজারের আগের নাম ছিল পালংকি। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এক্ট ১৭৭৩ জারি হওয়ার পর ওয়ারেন্ট হোস্টিঙ বাঙলার গভর্ণর হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তখন হিরাম কক্স পালংকির মহাপরিচালক নিযুক্ত হন। তার *অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি *বাজার প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং এর নাম দেয়া হয় কক্স সাহেবের বাজার।



দর্শনীয় এলাকাসমূহঃ

দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজারে সৈকত সংলগ্ন আরও অনেক দর্শনীয় এলাকা রয়েছে যা পর্যটকদের জন্য প্রধান আকর্ষণের বিষয়। কক্সবাজারে বিভিন্ন উপজাতি বা নৃ-তাত্তিক জনগোষ্ঠী বাস করে যা শহরটিকে করেছে আরো বৈচিত্র্যময়। এইসব উপজাতিদের মধ্যে চাকমা সম্প্রদায় প্রধান। কক্সবাজার শহরে ও এর অদূরে অবস্থিত রামুতে রয়েছে বুদ্ধ ধর্মালম্বীদের পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে বৌদ্ধ মন্দির। কক্সবাজার শহরে যে মন্দিরটি রয়েছে তাতে বেশ কিছু দুর্লভ বৌদ্ধ মূর্তি আছে। এই মন্দির ও মূর্তিগুলো পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ ও কেন্দ্রবিন্দু। কক্সবাজারে শুধু সমুদ্র নয়, আছে বাঁকখালী নামে একটি নদীও। এই নদীটি শহরের মৎস্য শিল্পের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর স্থান হিসেবে বিখ্যাত।



লাবনী পয়েন্ট

কক্সবাজার শহর থেকে নৈকট্যের কারণে লাবণী বীচ কক্সবাজারের প্রধান সমুদ্র সৈকত বলে বিবেচনা করা হয়। নানারকম জিনিসের পসরা সাজিয়ে সৈকত সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ছোট বড় অনেক দোকান যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এছাড়া এখানে পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে ঝিনুক মার্কেট। সীমান্তপথে মিয়ানমার (পূর্ব নাম - বার্মা), থাইল্যান্ড, চীন প্রভৃতি দেশ থেকে আসা বাহারি জিনিসপত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে এই মার্কেট।



কলাতলি পয়েন্ট

লাবনী পয়েন্টের কাছাকাছি সূর্যাস্ত উপভোগের আর একটি সৈকত হচ্ছে কলাতলি বীচ। এই এলাকা অপেক্ষাকৃত নতুন, তবে এখানেও অনেক সুন্দর জিনিসের পসরা সাজিয়ে রয়েছে বিভিন্ন দোকান ও রেস্টুরেন্ট।



হিমছড়ি

হিমছড়ি কক্সবাজারের ১৮ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত। ভঙ্গুর পাহাড় আর ঝর্ণা এখানকার প্রধান আকর্ষণ। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার পথে বামদিকে সবুজঘেরা পাহাড় আর ডানদিকে সমুদ্রের নীল জলরাশি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সৃষ্টি করে। বর্ষার সময়ে হিমছড়ির ঝর্ণাকে অনেক বেশি জীবন্ত ও প্রাণবন্ত বলে মনে হয়। হিমছড়িতে পাহাড়ের চূড়ায় একটি রিসোর্ট আছে যেখান থেকে সাগরের দৃশ্য অপার্থিব মনে হয়। হিমছড়ির প্রধান আকর্ষণ এখানকার ক্রিসমাস ট্রি। সম্প্রতি হিমছড়িতে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র ও পিকনিক স্পট।


380500_310292592328216_282078708482938_1109083_1558631755_n.jpg

হিমছড়ির পাহাড় থেকে তোলা
390489_310292852328190_282078708482938_1109085_709222504_n.jpg

হিমছড়ির পাহাড় থেকে তোলা
388639_310293032328172_282078708482938_1109087_569607815_a.jpg

হিমছড়ির ঝর্ণা



ইনানী বীচ

কক্সবাজার থেকে ৩৫ কি.মি দক্ষিণে অবস্থিত। অভাবনীয় সৌন্দর্যে ভরপুর এই সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজার থেকে রাস্তায় মাত্র আধঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। পরিষ্কার পানির জন্য জায়গাটি পর্যটকদের কাছে সমুদ্রস্নানের জন্য উৎকৃষ্ট বলে বিবেচিত।


393547_310293725661436_1769424656_n.jpg

ইনানী বীচ
374962_310294865661322_829840426_n.jpg

ইনানী বীচ

375429_310291178995024_32483261_n.jpg

ইনানী বীচ থেকে সমুদ্র



এছাড়াও রয়েছে বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, সোনাদিয়া দ্বীপ, দেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালী, কুতুবদিয়া দ্বীপ, রম্যভূমি রামূ, রামু লামার পাড়া বৌদ্ধ ক্যাঙ, বৌদ্ধ মন্দির, ইতিহাস খ্যাত কানারাজার গুহা, রাখাইন পল্লী ইত্যাদি।



যাতায়াতঃ

বাসযোগে: ঢাকা গাবতলী বাস টার্মিনাল হতে কক্সবাজার ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত। ঢাকা থেকে সৌদিয়া-এস আলম, গ্রীন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, এস.আলমপরিবহন, মডার্ণ লাইন, শাহ্ বাহাদুর, সেন্টমার্টিন পরিবহন সহ বিভিন্ন বাসে সবসময় আসা যায়। এসি বাস ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা, ননএসি ৫০০-৬০০ টাকা।

এছাড়া বাংলাদেশ বিমান সহ অন্যান্য বেসরকারি এয়ারলাইন্স গুলা কক্সবাজারে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে। ভাড়া ৪০০০ থেকে ৭৫০০ টাকা।



১. বাগদাদ এক্সপ্রেস (কক্সবাজার): ০৩৪১-৫১১৬১, ৬৪৭৪৮, ০১৭৩০০৪৬০৬০, ০১৭৩০০৪৬০৭০

২. সাউদিয়া এস. আলম (কক্সবাজার): ০১১৯৭০১৫৬২৪, ০১১৯৭০১৫৬২৭, ০১১৯৭০১৫৬১০ (চট্রগ্রাম), ০১১৯৭০১৫৬৩২ (ঢাকা)

৩. গ্রীন লাইন পরিবহন (রাজারবাগ, ঢাকা): ৯৩৪২৫৮০, ৯৩৩৯৬২৩, ০১৯৭০০৬০০০৪, ০১৯৭০০৬০০৭০ (কক্সবাজার), ০৩৪১-৬৩৭৪৭ (কক্সবাজার)

৪. সোহাগ পরিবহন (কক্সবাজার): ৬৪৩৬১, ০১৭১১৪০০২২২, ৯৩৪৪৪৭৭ (মালিবাগ), ০১৭১১৬১২৪৩৩ (মালিবাগ)





হোটেলঃ

নিচে কিছু হোটেলের ঠিকানা দেওয়া হলঃ



হোটেল শৈবাল, মোটেল রোড, কক্সবাজার

ফোন : +৮৮০-৩৪১-৬৩২৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮০-৩৪১-৬৩২০২

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দ্বি শয্যা বিশিষ্ট ডিলাক্স কক্ষ ২,৫০০ টাকা

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দ্বিশয্যা বিশিষ্ট রয়েল স্যুইট ৩,৮০০ টাকা

স্ট্যান্ডার্ড দ্বি শয্যা বিশিষ্ট কক্ষ ১,৩০০ টাকা

কটেজ: প্রতি কটেজে আছে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দ্বিশয্যা বিশিষ্ট কক্ষ, ১ টি টুইন বেডের কক্ষ, একটি বসার কক্ষ, রান্না ও খাবার ঘর ও ড্রাইভারের থাকার সুব্যবস্থা ৪,০০০ টাকা



হোটেল লাবণী, মোটেল রোড, কক্সবাজার

ফোন : +৮৮০-৩৪১-৬৪৭০৩, ফ্যাক্স : +৮৮০-৩৪১-৬২২২৩

দ্বি শয্যা কক্ষ ১,৫০০ টাকা

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দ্বি শয্যা বিশিষ্ট কক্ষ ১,৮০০ টাকা



পান্থনিবাস, মোটেল রোড, কক্সবাজার

ফোন : +৮৮০-৩৪১-৬৪৭০৩, ফ্যাক্স : +৮৮০-৩৪১-৬২২২৩

দ্বি শয্যা বিশিষ্ট কক্ষ ১,০০০ টাকা

চার শয্যা বিশিষ্ট কক্ষ ১,৪০০ টাকা

সাত শয্যা বিশিষ্ট কক্ষ ১,৬০০ টাকা



মোটেল উপল, মোটেল রোড, কক্সবাজার [**এটি বাংলাদেশ পর্যটন করপোশেনের সাশ্রয়ী আবাসন সুবিধা**]

ফোন : +৮৮০-৩৪১-৬৪২৫৮

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দ্বি শয্যা বিশিষ্ট কক্ষ ১,৮০০ টাকা

দ্বি শয্যা বিশিষ্ট কক্ষ ১,২০০ টাকা

ডরমিটরী (প্রতি শয্যা) ৩০০ টাকা



মোটেল প্রবাল, মোটেল রোড, কক্সবাজার

ফোন : +৮৮০-৩৪১-৬৩২১১

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দ্বি শয্যা বিশিষ্ট কক্ষ ১,৭০০ টাকা

দ্বি শয্যা বিশিষ্ট কক্ষ ১,২০০ টাকা

সাশ্রয়ী কক্ষ (দ্বি শয্যা বিশিষ্ট) ৪০০ টাকা



এছাড়াও রয়েছেঃ

Renaissance The Grand Hotel

Address: Main Road, Cox's Bazar

Telephone: 341-64709, 011-703411



Hotel Diamond Palace & Guest House

Address: Kalalali Road, Cox's Bazar

Telephone: 341-63642



Hotel Niribili

Address: Shahid Sharani, Cox's Bazar

Telephone: 341-63873, 341- 66334



Hotel Panowa

Address: Laldeghir Par, Cox's Bazar,Bangladesh

Telephone: 341-64430, 341-64382



Jhawtala

Address: Main Road, Cox's Bazar

Telephone: 341-63445



Hotel Sea Queen (Pvt.) Ltd.

Address: Jhawtala, Main Road Cox's Bazar

Telephone: 341-63789, 341-63878



Hotel Holiday cox's Bazar

Address: 1 Motel Road, Cox's Bazar

Telephone: 341-3875



Hotel M.S Guest Care

Address: Main Road, East Side of Thana, Cox'sBazar

Telephone: 341-63930



Motel Laboni

Address: Main Road, Cox's Bazar

Telephone: 341-64703



Hotel Palongkee Ltd

Address: Laldeghi East, Cox's Bazar

Telephone: 341-63873, 341-63667



কেয়ারী সিন্দবাদ: ০১৮১৭২১০৪২১, ০৩৪১-৬২৮১২, ৮১২৫৮৮১ [সেন্ট মার্টিন যাওয়ার জন্য]

(কেয়ারী সিন্দবাদের জাহাজ ছাড়ার সময়সূচী: টেকনাফ থেকে সকাল ৯.৩০ এবং সেন্টমার্টিন থেকে বিকাল ৩ টা)



[সতর্কতাঃ সমুদ্র সৈকতে এক পতাকা ভাটার সঙ্কেত ও দুই পতাকা গুপ্ত খালের সঙ্কেত। তাই পতাকা উড্ডয়ন অবস্থায় সমুদ্রে নামবেন না]




- MHJ ...
 
** অতুলনীয়া সেন্ট মার্টিন **
--------------------------

ঘুরে আশুন সেন্ট মার্টিন



বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিনে বঙ্গপসাগরের মাঝে অসংখ্য প্রবাল রাশি মিলে মিশে একাকার হয়ে তৈরি করেছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। সাগরের সুনীল জলরাশি আর নারিকেল গাছের সারি এই দ্বীপকে দিয়েছে অপার সৌন্দর্য। বালুকাময় সৈকত, প্রবালের প্রাচীর আর কেয়া গাছের সারি এই দ্বীপকে দিয়েছে আলাদা এক বৈশিষ্ট যা আর কোথাও নেই। উত্তাল সাগরের নোনা জল যখন আছড়ে পরে কেয়া গাছের ফাকে, ঝিরি ঝিরি বাতাসে তৈরি হয় সফেদ ফেনা, সে এক মাতাল করা দৃশ্য। রাতের জোৎসনা এসে যখন লুটোপুটি খায় চিকচিকে বালুর বুকে, নীল আকাশ তখন আরও নীলাভ হয়। শুনশান নিরব রাতে চারিদিকে শুধু সাগরের হুংকার আর ঢেউ এর আছড়ে পড়ার গর্জন।



অসংখ্য নারিকেল গাছ, কেয়া গুল্ম আর সবুজ বনানী এই দ্বীপকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। পুরো দ্বীপ ঘুরলে মনে হবে নারিকেল বাগান এটি। আপনি চাইলে অর্থের বিনিময়ে তৃষ্ণা মেটাতে পারেন নারিকেল জলে। এখানে হাজার তিনেক স্থানীয় লোকজন বসবাস করে। সিংহভাগই মুসলমান। খুবই ধার্মিক ও সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ এরা। তাই কোন প্রকার চুরি ছিনতাই এর সম্ভাবনা নেই এখানে। গভীর রাত পর্যন্ত আপনি জোৎসনা স্নান করতে পারেন নির্বিঘ্নে।

375146_292631274094348_60917227_n.jpg


(Collected Photo)



এটি সত্যিই একটি ভিন্ন প্রকৃতির দ্বীপ। এর একদিকে যেমন প্রবাল প্রাচীর ঘিরে রেখেছে, অন্যে দিকে বালুকাময় সৈকত প্রহর গুনছে আপনার অপেক্ষায়। সমুদ্রজলে অনায়েসেই আপনি করে নিতে পারেন স্নান কাজটি। এই সৈকতের লাল কাকড়া আর নুরি পাথর আপনাকে নিঃসন্দেহে আকৃষ্টে করবে। অবচেতন মনেই আপনি কুড়িয়ে নিবেন বিভিন্ন রং এর আর ঢং এর নুরি পাথর সাথে ঝিনুক খন্ড।



টেকনাফ হতে সেন্ট মার্টিন যাত্রাপথটি মন্দ নয়। গাংচিল আর ডলফিন দেখতে দেখতে এই ২ ঘন্টার ভ্রমনটি আপনি মুহুর্তেই কেটে যাবে। আর দুর সাগরের নীলাভ অথৈ পানির মাঝে যখন সবুজে ঢাকা দ্বীপটি আপনার দৃষ্টিগোচর হবে সারা রাতের দীর্ঘ ভ্রমনের ক্লান্তি দুর হয়ে যাবে নিমিষেই। দ্বীপটি যতই কাছে আসতে থাকে আপনার ব্যকুলতা ততই বাড়তে থাকবে। ইচ্ছে করবে যেন সাগরে ঝাপ দিয়েই চলে চাই সৈকতে। দ্বীপে পা দিয়েই বুঝতে পারবেন এটিকে নিয়ে মানুষ কেন এত মাতামাতি করে, কেনইবা একে বলা হয় সুন্দরের লীলাভূমি। বাংলাদেশে যতগুলো দৃষ্টনন্দন পর্যটন এলাকা রয়েছে সেন্ট মার্টন তার ভীতর অন্যতম ও নান্দনিক। দ্বীপটি দৈর্ঘে প্রায় ৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থে কোথাও ৭০০ মিটার আবার কোথাও ২০০ মিটার। সেন্ট মার্টিন্সের পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিক জুড়ে রয়েছে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার প্রবাল প্রাচীর। দ্বীপের শেষ মাথায় সরু লেজের মত আর একটি অবিচ্ছিন্ন দ্বীপ রয়েছে যার নাম ছেঁড়াদ্বীপ। জোয়ারের সময় পানি এসে এটিকে মূলদ্বীপ হতে বিচ্ছিন্ন করে বলেই এর নামকরন করা হয়েছে ছেঁড়াদ্বীপ। ভাটার সময় পানি নেমে গেলে এটি আবার মূলদ্বীপের সাতে সংযুক্ত হয়ে যায়। তখন পায়ে হেটেই চলে যাওয়া যায় সেখানে। এখানে কোন লোক বসতি নেই। এই অংশটি একেবারেই প্রবালময়। এখানে স্বচ্ছ জলের নীচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে হাজারো ধরনের প্রবাল। নানান রংয়ের মাছেরা খেলা করে প্রবালের ফাকে। সত্যিই সে এক দেখার মত দৃশ্য। পর্যটন মৌসুমে সেন্ট মার্টিনে স্কুবা ডাইভও দেওয়া যায়, ঘণ্টা প্রতি খরচ পড়বে ২০০০-২৫০০ টাকা।

376046_292631664094309_962277379_n.jpg


(Collected Photo)

301382_292631984094277_738103843_n.jpg


(Collected Photo)



এখানে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোটেল মোটেল ও কটেজ রয়েছে। সিমানা পেরিয়ে, ব্লু মেরিন, অবকাস, শৈবাল, পর্যটন মোটেল সহ আরও কয়েকটি ভালো হোটেল রয়েছে থাকার জন্য। রুম প্রতি ভাড়া পড়বে প্রতি রাতের জন্য ৫৫০-১৫০০ টাকা। কটেজগুলোও চমৎকার। কটেজের বারান্দায় বসে চা খেতে খেতেই উপভোগ করতে পারবেন সাগরের মায়াবীরূপ। এখানে বিদ্যুতের কোন ব্যবস্থা নেই। জেনারেটর ও সৌর বিদ্যুতই একমাত্র ভরসা। এখানে একটি মাত্র বাজার রয়েছে জাহাজ ঘাটে। রয়েছে অনেকগুলো খাবার হোটেল। এখানকার তাজা রুপচাঁদা মাছের ফ্রাই আপনার জ্বীভে জল আনবেই। আপনি চাইলে জেলেদের কাছ থেকে তাজা মাছ কিনে এনে হোটেলে ভেজে নিতে পারেন। আর একটি বিখ্যাত জিনিস এখানে পাবেন, সেটা হলো শুটকী। নানান প্রজাতী মাছের হরেক রকম শুটকী এখানে পাওয়া যায়। খুব সহজে ও সুলভ মূল্যে এখান হতে শুটকী সংগ্রহ করতে পারেন।



এখানে দুই ধরনের পর্যটক বেড়াতে আসে। কেউ কেউ সেন্ট মার্টিন এসে ঐদিনই ফিরে যায়। আবার কেউ কেউ রাত্রি যাপন করে। যারা দিনাদিনই চলে যায় তাদের দেখার সুযোগ খুব কম। কিন্তু যারা রাত্রিযাপন করেন তাদের জন্য রয়েছে অপার সুযোগ।

387973_292632620760880_610820794_n.jpg


(Collected Photo)

303876_292632787427530_282078708482938_1057312_1823541260_n.jpg


(Collected Photo)



ইতিহাসঃ

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ স্থানীয় ভাবে জাজিরা বলে পরিচিত। এক সময় এই দ্বীপটি ছিল একটি বিশ্রামাগারের মত। বিভিন্ন দেশের বনিক রা বিশেষ করে আরব বনিকরা পন্য নিয়ে যখন সওদা করতে যেতো তখন তারা এই দ্বীপে বিশ্রাম নিত। তখন থেকেই এই দ্বীপের নাম হয় জাজিরা। তবে পরবর্তীতে এটি নারিকেল জিনজিরাও বলে পরিচিতি লাভ করে। অসংখ্য নারিকেল গাছের সমারোহ থাকায় এই দ্বীপকে এই নামে ডাকা হয়ে থাকে। সর্বশেষে ইংরেজরা এই দ্বীপটির নাম করন করে সেন্ট মার্টিন এবং দেশ বিদেশের মানুষের কাছে এখন পর্যন্ত এই নামেই পরিচিত। তবে সাহিত্যের ভাষায় দারুচিনির দ্বীপ নামটিও বেশ পরিচিত ও জনপ্রিয়।

377330_292633244094151_282078708482938_1057313_603002974_n.jpg


(Collected Photo)



যাতায়াতঃ

ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার থেকে বাসে করে টেকনাফ যাওয়া যাবে। ঢাকার ফকিরাপুল ও সায়দাবাদে টেকনাফের বাস পাওয়া যাবে। ঈগল, মডার্ন লাইন, এসআলম, শ্যামলী ইত্যাদি বাস টেকনাফ যায়। এসি বাস ১১০০ টাকা, নন-এসি ৫৬০ টাকা। ১০-১৩ ঘণ্টা লাগে পৌঁছাতে। চট্টগ্রাম ও কক্স-বাজার থেকে নিয়মিত বাস পাওয়া যায় টেকনাফ এর উদ্দেশে। কক্স-বাজার থেকে মাইক্রো বাস ভাড়া করেও টেকনাফ যাওয়া যায়, ভাড়া পড়বে ১৫০০-২০০০ টাকা।



টেকনাফের জাহাজ ঘাটে গিয়ে আপনাকে সীট্রাকের টিকেট কাটতে হবে। ভাড়া ৪৫০-৫৫০ টাকা (ফেরতসহ)। টেকনাফ হতে সেন্টমার্টিনের দুরত্ব ৯ কিমি। উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে যেতে হয় এখানে। শীত মৌসুমে সাগর শান্ত থাকে তাই এই সময় এখানে যাওয়া অনেক বেশী নিরাপদ। এই পর্যটন মৌসুমে এখানে টেকনাফ হতে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত কেয়ারী সিন্দবাদ সহ বেশ কয়েকটি সী-ট্রাক চলাচল করে। সকাল ১০ টায় এই নৌযানটি সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং বিকাল ৩ টায় ফিরে আসে। তবে এছাড়াও ট্রলার ও স্পীড বোটে করে যাওয়া যায় সেন্ট মার্টন। সী ট্রাক গুলো এপ্রিল মাস পর্যন্ত চলাচল করে। এর পর বৈরি আবহাওয়ার কারনে প্রশাসন একে চলতে দেয়না। তবে যারা বৈরি মৌসুমে এডভেঞ্চার হিসেবে যেতে চান সেন্টমার্টিন তারা ট্রলার ভাড়া করে যেতে পারেন। তবে এই যাত্রাটি খুব একটা নিরাপদ নয়। সাধারণত দুর্ঘটনা ঘটে না, তবে ঘটে যেতে পারে। তাই সাবধান। কিন্তু উত্তাল সাগরের প্রকৃত রূপ দেখা কিংবা নির্জন দ্বীপে বসে বৃষ্টিস্নান করার লোভ যারা সামলাতে না পারেন তাদের জন্য ট্রলার ছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থা আর নেই, ৮০০ টাকায় ট্রলার ভাড়া করা যাবে অথবা প্রতি জন ১০০ টাকা করে ভাড়া দিয়েও যাওয়া যাবে।

311327_292633614094114_1879426729_n.jpg


(Collected Photo)



আশেপাশের অন্যান্য এলাকাঃ

ছেঁড়াদ্বীপ

সেন্ট মার্টিনের মূল অংশ হতে ট্রলার বা স্পীড বোটে করে এখানে আসা যায়। তবে কারো যদি অদম্য শক্তি থাকে তবে সে পায়ে হেটেও আসতে পারেন। সময় লাগবে প্রায় ২ ঘন্টা। তবে ট্রলারে করে দ্বীপের পাশ ঘেষে আসাটাই শ্রেয়। আসতে আসতে চোখে পরবে দ্বীপের দৃশ্যাবলী। প্রায় ৩০ মিনিট লাগে ট্রলারে কর আসতে। ছেড়া দ্বীপ আসতে চাইলে খুব সকাল করে ঘুম ঠেকে উঠে ট্রলার নিয়ে রওয়ানা দিতে হবে। না হলে পূর্ন জোয়ার হলে দ্বীপটিকে আর ভাল ভাবে দেখা যায় না।



সকালের ছেঁড়াদ্বীপ আর বিকেলের ছেঁড়াদ্বীপ একেবারেরই ভন্ন। সকাল বেলাটা এখানে বেশ লোকারণ্য ও মেলার মত ঝাকজমক থাকে। অসংখ্য পর্যটকের সমাগম থাকে এখানে। বিভিন্ন পন্যের পসরা নিয়ে দোকানীরা বসে থাকে এখানে সকাল হতেই। ডাব আর কোমল পানীয় যেমন আছে তেমন আছে কাকড়া আর ফ্লায়িং ফিস ফ্রাই। অসাধারণ স্বাদ। এই স্বাদ না নিয়ে আসাটা এক রকম বোকামীই হবে।



মাথিনের কুপ

টেকনাফ শহরের প্রান কেন্দ্রে নাফ নদীর পাশে টেকনাফ পুলিশ ফাঁড়ির চত্তরে এই মাথিনের কূপ। ঐতিহাসিক কারনে এটি আজ দর্শনীয় স্থানে পরিনত হয়েছে। এই কুপের পেছনে রয়েছে একটি মর্মান্তিক প্রেম কাহিনী। রাখাইন জমিদার কন্যা মাথিন ও ধীরাজ ভট্টাচার্যের প্রেমের সৃতি এই কুয়া। তাদের প্রেমের আত্বত্যাগের নিদর্শন হিসেবে পুলিশ প্রশাসন এই জায়গাটি সংরক্ষন করে এটিকে “মাথিনের কূপ” হিসেবে নাম করন করেন। ২০০৬ সালে ধীরাজ-মাথিনের ইতিহাসের প্রায় ৮০ বছর পর কূপটির সংস্কার করা হয়।



কালো রাজার সুরঙ্গ

এটি টেকনাফে অবস্থিত রহস্যময় একটি গুহা। বর্তমানে মানুষের আগ্রহের কারনে এই গুহা একটি ভাল মানের পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। এখানে যেতে হলে আপনাকে বাসে করে হেইখং বাজারে নামতে হবে। তার পর পায়ে হেঁটে যেতে হবে প্রায় ৬ কিলোমিটার পথ। এখানে বনবিভাগের তৈরি ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবার পর কাঁচা রাস্তায় হাটতে হবে আরো ২ কিরোমিটার। এটি মূলত ঝিরি বা পাহাড়ী নালা পার হয়ে পৌছতে হবে কালো রাজার গুহায়।




- MHJ ...
 
কুয়াকাটা ভ্রমণ
------------

381064_291713817519427_1837835638_n.jpg


অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগর কন্যা কুয়াকটা। কুয়াকাটা দক্ষিণ এশিয়ায় একটি মাত্র সমুদ্র সৈকত যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করা যায়। সমুদ্রের পেট চিরে সূর্য উদয় হওয়া এবং সমুদ্রের বক্ষে সূর্যকে হারিয়া যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করা নিঃসন্দেহে দারুন ব্যপার।



কুয়াকাটার নামকরণঃ

311469_291721800851962_282078708482938_1052974_1528603001_n.jpg


তৎকালীন রাজা মং রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকদের সাগরের লবনাক্ত পানি যাতে ব্যবহার করতে না হয় সে লক্ষ্যে তিনি সমুদ্র সৈকতের কাছেই মিষ্টি পানি ব্যবহারের জন্য ২ টি "কুয়া" খনন করে। এ কুয়ার জন্যেই ওই এলাকার নাম হয় 'কুয়াকাটা'। পরে রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকেরা কুয়াকাটাসহ খেপুপাড়া, কলাপাড়া, গলাচিপা, রাঙ্গাবালী ও তালতলি এলাকার ঝোপ-ঝাড় পরিস্কার করে নিজেদের পদ্ধতিতে চাষাবাদ ও বসতি শুরু করে।



314937_291714594186016_1093320984_n.jpg




কুয়াকাটা বেরী বাঁধ পেরিয়ে সমুদ্র সৈকতের দিকে যেতেই বাম দিকে ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে মিউজিয়াম স্থাপন করা হয়েছে। এরপরই কয়েক গজ দক্ষিণে "ফার্মস এন্ড ফার্মস" এর রয়েছে বিশাল নারিকেল বাগানসহ ফল ও ফুলের বাগান। এ বাগানের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট, এ পিকনিক স্পট পরিদর্শনের পরেই রয়েছে কাংখিত ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বিশাল সমুদ্র সৈকত। এ সৈকতের পূর্ব দিকে এগুলোই প্রথমে দেখা যাবে নারিকেল বাগান, সুন্দর আকৃতির ঝাউ বাগান। বন বিভাগের উদ্দ্যোগে বিভিন্ন প্রজাতির ঝাউগাছ লাগিয়ে সমুদ্র সৈকতের শোভা বর্ধন করা হয়েছে। এ নারিকেল ও ঝাউবাগানের মধ্যেও রয়েছে পিকনিক স্পট যেখানে পর্যটকরা দল বেঁধে বনভোজনের অনাবিল আনন্দে নিজেদের একাকার করে তোলে। তার থেকে একটুই পূর্ব দিকে আগালেই চর-গঙ্গামতির লেক, সেখান থেকে একটু ভিতরে দিকে এগুলেই সৎসঙ্গের শ্রী শ্রী অনুকূল ঠাকুরের আশ্রম ও মিশ্রীপাড়া বিশাল বৌদ্ধ বিহার। সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম দিকে লেম্বুপাড়ায় প্রতি বছর আশ্বিন থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত জেলেরা প্রাকৃতির উপায়ে গড়ে তুলে শুটকী পল্লী। এ শুটকী পল্লীতে সাগরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রাকৃতিক উপায়ে শুটকীতে রূপান্তরিত করে সারা দেশে সরবরাহ করে।


374873_291716234185852_282078708482938_1052915_1511367206_n.jpg



কুয়াকাটায় সূর্যোদয় দেখার জন্য ঝাউবনে যাওয়াই ভালো। সেখান থেকেই সূর্যাস্ত ভালো দেখা যায়, সমুদ্রের পেট চিড়ে কিভাবে সূর্য উঠে তা দেখার জন্য আপনার মতো আরও অনেক লোকই আপনার আগে চলে যাবে সেখানে সন্দেহ নেই। সকাল বেলা হেটে হেটে ঝাউবনে যেতে সময় লাগবে ২০ মিনিট। আর ভ্যানে গেলে লাগবে ১০ মিনিট। সেখানে সারি সারি গাছ ভালো লাগবে। এই বনটি সরকার বনায়ন পরিকল্পনার অধীনে তৈরী করেছে। কারো কারো কাছে সূর্যোদয়ের চেয়ে সূর্যাস্তের দৃশ্যটা বোধহয় বেশি চমৎকার লাগে। সুর্যটা সমুদ্রে ডুবে যাওয়ার সময় রংয়ের পরিবর্তনটা আপনি স্পষ্টই দেখতে পাবেন।



সমুদ্রের গর্জন দিনের বেলা সাধারণত আশে পাশের শব্দের কারনে শোনা যায় না। সমুদ্রের যে একটা ভয়ংকর রূপ আছে তা বোঝা যায় রাতে। যদি রাতে সমুদ্রের গর্জন শুনতে চান তবে অবশ্যই যেতে পারেন সেখানে। নিরাপত্তা জনিত কোন ভয় নেই সেখানে। তবে সাবধানে থাকাই ভালো। সত্যি কথা বললে রাতের সমুদ্রের গর্জন সত্যিই ভয়ংকর। সৈকতের কাছাকাছি কোন হোটেলে থাকলে গর্জন হোটেল থেকেও শোনা যেতে পারে।


294048_291716917519117_1923814173_n.jpg



দর্শণার্থী ও ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এই সৈকতে আছে ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল ও ঘোড়া। ভাড়া সাধারণত দূরত্ব ও সময় অনুযায়ী হয়। কুয়াকাটার আশে পাশের বেশ কয়েকটি চর আছে। সেগুলি দেখতে আপনি যেতে পারেন স্পিডবোট ও ট্রলার কিংবা ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকায় করে। কুয়াকাটায় সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট রয়েছে। সেগুলিতে রান্না করার সকল ব্যবস্থা আছে। চুলা, খড়ি, হাড়ি, পাতিল থেকে বাবুর্চি পর্যন্ত।



সমুদ্র উপকূলে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য রয়েছে- সমুদ্র ভ্রমণকারী জাহাজ ও ট্রলার এবং স্পিড বোট। এসব জাহাজ ও ট্রলারে উঠে পর্যটকরা সুন্দরবনের অংশ বিশেষ ফাতরার চর, সোনার চর, কটকা, হাঁসার চর, গঙ্গামতির লেক ও সুন্দরবন সহ গভীর সমুদ্রে বিচরণ করে অফুরস্ত আত্মতৃপ্তিতে নিজেদের ভরে তোলে। সমুদ্র ভ্রমণকারী জাহাযে থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে।


389490_291717507519058_636407078_n.jpg



কুয়াকাটায় সীমিত সংখ্যক দোকান আছে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ও সৌখিন জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারবেন সেসব দোকান থেকে। দাম অপেক্ষাকৃত একটু বেশি হলেও অনেক নতুন নতুন আইটেম পাবেন। কুয়াকাটায় দেখার আরেক আকর্ষণ শুঁটকিপল্লি। কুয়াটায় শুটকি পল্লী থাকায় এখানে অনেক কম দামে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের শুটকি পাবেন। ইলিশ, রূপচাঁদা, হাঙর, লইট্যা, শাপলাপাতাসহ অসংখ্য প্রজাতির মাছ রোদে শুকিয়ে শুঁটকি বানিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। বিশাল এলাকায় চ্যাঙ বানিয়ে শুঁটকি তৈরির পদ্ধতি দেখা আরেক মজার অভিজ্ঞতা।



রাখাইন পল্লীঃ

কলাপাড়া উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতের মনোরম দৃশ্য উপভোগের সাথে পর্যাটকদের জন্য রয়েছে বারতি আকর্ষন আদিবাসী রাখাইনদের স্থাপথ্য নিদর্শন। রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রায় দুইশত বছরের পুরানো ঐতিহ্য রয়েছে। "গৌতম বুদ্ধের" বিশাল আকৃতির মূর্তি দেখতে পারেন। দেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মন্দিরটির অবস্থান কুয়াকাটা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে রাখাইন পল্লীতে। গৌতম বুদ্ধের এই ধ্যানমগ্ন মূর্তিটি ৩৬ ফুট উঁচু এবং এর ওজনসাড়ে ৩৭ মন। কুয়াকাটা থেকে সেখানে যাওয়ার জন্য মটর সাইকেল প্রধান বাহন। জানা গেছে, মন্দিরের নির্মান সৌন্দর্য চীনের স্থাপত্য অনুসরন করা হয়েছে।দেখে মনে হবে থাইল্যন্ড বা মিয়ানমারের কোন মন্দির।মন্দিরের ভিতরের ভাব গম্ভীর পরিবেশ।


318582_291717890852353_282078708482938_1052923_1777817653_n.jpg



আরাকান রাজ্য থেকে বিতারিত হয়ে আসা রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের রাজা মং এর নেতৃত্বে সাগর পাড়ি দিয়ে প্রথমে চট্রগ্রাম এবং পরে পটুয়াখালীর এ জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় তাদের বসতি স্থাপন করে। নিজস্ব ঐতিহ্য ও কৃষ্টে গড়ে তোলে নিজেদের আবাসস্থল। তৎকালীন সরকার রাখাইন সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওই সময় ৩ একর এবং তাদের নিজস্ব পল্লীব জন্যে ১২ একর করে সম্পত্তি প্রদান করেন। এখনও তাদের ঐতিহ্যবাহী কলাপাড়ায় বিদ্যমান আছে।



ফাতারার বনঃ

https://fbcdn-sphotos-a.akamaihd.net/hphotos-ak-snc7/393562_291718430852299_673200281_n.jpg


কুয়াকাটা সমুদ্রের বিস্তীর্ন বালিয়াড়ি ছেড়ে পশ্চিমদিকে গেলে চোখে পড়বে ঘোলাজলের ছোট্ট স্রোতস্বিনী একটি নদী ও বীচিমালাবিক্ষুব্দ সাগর মোহনার বুকে জেগে উঠা 'ফাতারার বন' নামক সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল । এর আয়তন কমবেশি ৯৯৭৫০৭ একর । ইতিমধ্যে এটি 'দ্বিতীয় সুন্দরবন ' হিসেবে পরিচিতি ও খ্যাতি পেয়েছে । কুয়াকাটা থেকে প্রতিদিন অসংখ্য ট্রলার বনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় । ইচ্ছে করলে রিজার্ব করেও যাওয়া যায় । সময় লাগবে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। এখানে রয়েছে কেওড়া, গেওয়া, সুন্দরী, ফাতরা, গরান, বাইন, গোলপাতা ইত্যাদি ম্যানগ্রোভ প্রজাতির উদ্ভিদ এবং বানর, শূকরসহ অসংখ্য জীবজন্তু ও পাখি। সমুদ্রসৈকত থেকে ইঞ্জিনচালিত বোটে এক ঘণ্টার যাত্রাপথে ফাতরার বনে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

297758_291718787518930_282078708482938_1052926_1948193894_n.jpg




ইকোপার্ক ও জাতীয় উদ্যানঃ

সমুদ্র সৈকতের একেবারে কোল ঘেঁষে প্রায় ২০০ একর জায়গায় ষাটের দশকে পরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠা নারিকেল কুঞ্জ, ঝাউবন, গঙ্গামতি সংরক্ষিত বন , পশ্চিমদিকের ফাতরার বন ও মহিপুরের রেঞ্জের বনাঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছে ইকোপার্ক ও জাতীয় উদ্যান । সমুদ্রের অব্যাহত ও অপ্রতিরোধ্য ভাঙ্গনে ইতিমধ্যেই নারিকেল কুঞ্জ অনেক খানিই বিলিন হয়েছে । এর পূর্ব দিকে বনবিভাগ কর্তৃক ১৫ হেক্টর বালুভূমিতে তৈরি করা হয়েছে মনোলোভা ঝাউবন । মানব সৃষ্ট হলেও গোধূলী বেলায় সমুদ্র সৈকতে দাড়িঁয়ে ও বিশেষ করে পূর্ণ চন্দ্রালোকিত জ্যোৎস্না রাতে যখন বেলাভূমি থেকে নারিকেল বীথি ও ঝাউবাগানের দিকে দৃষ্টি নিপতিত হয় তখন নিতানত্দ বেরসিক দর্শকের কাছে ও তা এক অমলিন স্বর্গীয় আবেদন সৃষ্টি করে । আর দিনে ঝাউবনের ভিতর দিয়ে যখন সমুদ্রের নির্মল লোনা বাতাস বয়ে যায় তখন বতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ এক নিরবিচ্ছিন্ন ঐক্যতান করে শ্রোতার কানে আনে অনির্বাচনীয় মাদকতা।





চরগঙ্গামতিঃ

কুয়াকাটার মূল ভূখন্ডের পূর্বদিকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পর্যাটক আকর্ষনের আর একটি লোভনীয় স্থান চর গঙ্গামতি। এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করা যায় । এখানে একবার ভ্রমনে আসলে গঙ্গামতির লেকের স্বচ্ছ জলাধার, যার একতীরে ক্রমশ ঢালু হয়ে সাগরের বুকে নেমে যাওয়া ভাঁজপড়া বালিয়াড়ি আর অন্যতীরের সমতলভুমি পেরিয়ে বিসত্দির্ন বনের মনোলোভা দৃশ্য ভোলা যায় না। এখানে কেওড়া , গেওয়া , ছৈলা , খৈয়া , ইত্যাদি হরেক রকমের গাছগাছালি ছাড়াও আছে বুনোশুয়োর , বন মোরগ , আর বানরের কিচির মিচির শব্দ । এছাড়াও এর কাছেই রয়েছে রাখাইনদের বৌলতলীপাড়া।





কিভাবে যাবেন কুয়াকাটাঃ

ঢাকা থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার, বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে বেশ কয়েকটি বাস এখন সরাসরি কুয়াকাটা যায়। ঢাকা থেকে সরাসরি দ্রুতি পরিবহন, সাকুরা পরিবহনসহ একাধিক পরিবহনের গাড়ীতে গাবতলী কিংবা সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে কুয়াকাটায় আসতে পারবেন। আপনি এসব বাসে গেলে আপনাকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ২০০ মিটার দূরে নামিয়ে দিবে। ভাড়া ৫০০-৫৫০। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা বাসে যেতে মোট সময় লাগে প্রায় ১২/১৩ ঘন্টা। খুলনা থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে সকাল ৭ টায় একটি বিআরটিসি বাস ছাড়ে। খুলনা থেকে যেতে সময় লাগে প্রায় ৭/৮ ঘন্টা। আর উত্তরবঙ্গ থেকে আসতে চাইলে সৈয়দপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত রূপসা অথবা সীমান্ত আন্তঃনগর ট্রেনে করে আসতে পারবেন। রাত্রের টেনে আসলে সকাল ৭ টার বিআরটিসি বাসে করে কুয়াকাটা যেতে পারবেন।





তবে বরিশালের পর সড়ক যোগে কুয়াকাটায় পৌঁছাতে আপনাকে লেবুখালী, কলাপাড়া, হাজীপুর ও মহিপুর ফেরী পারাপার হতে হবে। তবে যে সকল পর্যটকরা ঢাকা থেকে নৌ পথে কুয়াকাটায় আসতে চান, তারা ২ টি ফেরীর দূর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে পারেন। ঢাকা সদরঘাট থেকে বিলাস বহুল ডাবল ডেকার এম.ভি পারাবত, এম.ভি সৈকত, এম.ভি সুন্দরবন, এম.ভি সম্পদ, এম.ভি প্রিন্স অব বরিশাল, এম.ভি পাতারহাট, এম.ভি উপকূল লঞ্চের কেবীনে উঠে সকালের মধ্যে পটুয়াখালী কিংবা কলাপাড়া নেমে রেন্ট-এ-কার যোগে এবং পটুয়াখালী-কুয়াকাটা রুটের বাসে চড়ে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা পৌঁছাতে পারেন। ঢাকা থেকে উল্লেখিত রুট সমূহের লঞ্চ গুলো বিকাল ৫ থেকে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে লঞ্চ ঘাট ত্যাগ করে থাকে। লঞ্চে সিঙ্গেল কেবিন ভাড়া ৬০০ টাকা। কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটার ২২ কি.মি. রাস্তার চরম বেহাল দশা আর ফেরীর ঝামেলায় এক ঘন্টার রাস্তা যেতে ৪ ঘন্টা সময় লাগে যায়।







কুয়াকাটায় থাকার ব্যবস্থাঃ

কুয়াকাটায় আছে দুইটি ডাক বাংলো এবং সাগর কন্যা পর্যটন হলিডে হোমস। এলজিইডির রয়েছে দুটি, সড়ক ও জনপথের একটি, জেলা পরিষদের দুটি রাখাইন কালচার একাডেমীর একটি রেস্ট হাউস। এসকল স্থানে থাকতে হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পূর্ব অনুমতি নিতে হয়। এছাড়া ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে এ পর্যটন নগরীতে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় প্রায় অর্ধশতাধিক আবাসিক হোটেল, মোটেল। আধুনিক মান সম্মত হোটেল গুলোর মধ্যে রয়েছে- হোটেল নীলঞ্জনা, হোটেল বি-ভিউ, হোটেল গোল্ডেন প্যারেজ, হোটেল বীচ-ভেলী, হোটেল ফ্যামিলী হোমস, কুয়াকাটা গেষ্ট হাউজ, হোটেল সাগর কন্যা, হোটেল আল হেরা, হোটেল আকন, হোটেল সি-গার্ডেন, হোটেল স্মৃতি সহ আরো বেশ কিছু হোটেল ও মোটেল।





কিছু হোটেলের ফোন নাম্বারঃ

Hotel Sky Palace LTD.

Cell.01727-030248, 01716-749027



Ananda Bari

01911-672135 or 01712-849373



The Golden Palace

01911-672135 or 01712-849373



Hotel Kuakata Inn

01911-672135 or 01712-849373



Banani Palace

01911-672135 or 01712-849373



Sagor Konna Resort Ltd

01911-672135 or 01712-849373



কোথায় খাবেনঃ

ঘরোয়া পরিবেশে মান সম্মত খাবারের জন্য হোটেল সেফার্ড, খাবার ঘর-১, খাবার ঘর-২, এসব খাবারের হোটেল গুলো আপনার আবাসিক হোটেলে খাবার সরবরাহ করে থাকে। এছাড়া পর্যটন এলাকায় ছোট ছোট অনেক খাবারের হোটেল রয়েছে- কলাপাড়া হোটেল, হোটেল মান্নান, হোটেল বরিশাল ইত্যাদি। এসব হোটেলে কম খরচে মান সম্মত খাবার পাওয়া যায় ও সরবরাহ করা হয়।





** ছবি গুলো নেট থেকে সংগ্রহ করা।




- MHJ ...
 
**নয়নাভিরাম সুন্দরবন**
----------------------

সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বে সর্ববৃহৎ। অববাহিকার সমুদ্রমূখী সীমানা এই বনভূমি গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মোহনায় অবস্থিত এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিস্তৃত । ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে। সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ একই নিরবচ্ছিন্ন ভূমিরূপের অংশ হলেও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের সূচিতে ভিন্ন ভিন্ন নামে সূচিবদ্ধ হয়েছে যথাক্রমে সুন্দরবন ও সুন্দরবন জাতীয় পার্ক নামে। সুন্দরবনকে জালের মত জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ছোট ছোট দ্বীপ। মোট বনভূমির ৩১.১ শতাংশ, অর্থাৎ ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা, খাঁড়ি, বিল মিলিয়ে জলের এলাকা। বনভূমিটি, স্বনামে বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরণের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। জরিপ মোতাবেক ৫০০ বাঘ ও ৩০,০০০ চিত্রা হরিণ রয়েছে এখন সুন্দরবন এলাকায়।

305826_300339553323520_282078708482938_1081223_2083215027_n.jpg


নদীর পাশে গোলপাতা ও সুন্দরী গাছ



ইতিহাসঃ

মুঘল আমলে (১২০৩-১৫৩৮) স্থানীয় এক রাজা পুরো সুন্দরবনের ইজারা নেন। ঐতিহাসিক আইনী পরিবর্তনগুলোয় কাঙ্ক্ষিত যেসব মৌলিক পরিবর্তন হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বিশ্বের প্রথম ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক তত্ত্বাবধানের অধীনে আসা। অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে সুন্দরবনের আয়তন বর্তমানের প্রায় দ্বিগুণ ছিল। বনের উপর মানুষের অধিক চাপ ক্রমান্বয়ে এর আয়তন সংকুচিত করেছে। ১৮২৮ সালে বৃটিশ সরকার সুন্দরবনের স্বত্ত্বাধীকার অর্জন করে। এল. টি হজেয ১৮২৯ সালে সুন্দরবনের প্রথম জরীপ কার্য পরিচালনা করেন। ১৮৭৮ সালে সমগ্র সুন্দরবন এলাকাকে সংরক্ষিত বন হিসাবে ঘোষণা দেয়া হয় এবং ১৮৭৯ সালে সমগ্র সুন্দরবনের দায় দায়িত্ব বন বিভাগের উপর ন্যস্ত করা হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে পড়ে। যা বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় ৪.২% এবং সমগ্র বনভূমির প্রায় ৪৪%। সুন্দরবনের উপর প্রথম বন ব্যবস্থাপনা বিভাগের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬৯ সালে। ১৯৬৫ সালের বন আইন (ধারা ৮) মোতাবেক, সুন্দরবনের একটি বড় অংশকে সংরক্ষিত বনভূমি হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয় ১৮৭৫-৭৬ সালে। পরবর্তী বছরের মধ্যেই বাকি অংশও সংরক্ষিত বনভূমির স্বীকৃতি পায়। এর ফলে দূরবর্তী বেসামরিক জেলা প্রশাসনের কর্তৃত্ব থেকে তা চলে যায় বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে।



উদ্ভিদবৈচিত্র্যঃ

সুন্দরবনের প্রধান বনজ বৈচিত্রের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সুন্দরী (Heritiera fomes), গেওয়া (Excoecaria agallocha), গরান (Ceriops decandra) এবং কেওড়া (Sonneratia apetala)। ১৯০৩ সালে প্রকাশিত প্রেইন এর হিসেব মতে সর্বমোট ২৪৫টি শ্রেণী এবং ৩৩৪টি প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে সেখানে। অঞ্চল জুড়ে সুন্দরী ও গেওয়া এর প্রাধাণ্যের পাশাপাশি বিক্ষিপ্তভাবে রয়েছে ধুন্দল (Xylocarpus granatum) এবং কেওড়া (Sonneratia apetala)। ঘাস ও গুল্মের মধ্যে Poresia coaractata, Myriostachya wightiana, শন (Imperata cylindrical)], নল খাগড়া (Phragmites karka), গোলপাতা (Nypa fruticans) রয়েছে সুবিন্যস্তভাবে। কেওড়া নতুন তৈরি হওয়া পলিভূমিকে নির্দেশ করে এবং এই প্রজাতিটি বন্যপ্রাণীর জন্য জরুরী, বিশেষ করে চিত্রা হরিণের (Axis axis) জন্য । বনভূমির পাশাপাশি সুন্দরবনের বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে নোনতা ও মিঠা পানির জলাধার, আন্তঃস্রোতীয় পলিভূমি, বালুচর, বালিয়াড়ি, বেলেমাটিতে উন্মুক্ত তৃণভূমি এবং গাছ ও গুল্মের এলাকা।



প্রাণীবৈচিত্র্যঃ

সুন্দরবনে ব্যাপক প্রাণীবৈচিত্র্য বিদ্যমান। প্রাণীবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা সুন্দরবনের কিছু কিছু এলাকায় শিকার নিষিদ্ধ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ অভয়ারণ্যের মত, যেখানে শর্তহীনভাবে বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা যায়না এবং বন্য প্রাণীর জীবনে সামান্যই ব্যাঘাত ঘটে। যদিও এটা স্পষ্ট যে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের প্রাণী সম্পদ হ্রাস পেয়েছে এবং সুন্দরবনও এর বাইরে নয় । তারপরও সুন্দরবন বেশ অনেকগুলি প্রাণী প্রাজাতি ও তাদের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য প্রজাতিদের টিকিয়ে রেখেছে। এদের মধ্যে বাঘ ও শুশুককে প্রাধাণ্য দিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে প্রানীবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা ও পর্যটন উন্নয়নের। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সম্পূর্ণ বিপরীত পরিবেশে থাকা এ দুইটির অবস্থা এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা সামগ্রিক প্রাণীবৈচিত্র্য এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার শক্তিশালী সূচক। এদের মধ্যে কিছু প্রজাতি সংরক্ষিত, বিশেষ করে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, ১৯৭৩ (P.O. 23 of 1973) দ্বারা। বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ (Hog deer - Axis procinus ও Swamp deer - Cervus duvauceli), মহিষ (Bubalis bubalis), গন্ডার(Javan rhinoceros - Rhiniceros sondaicus ও Single horned rhinoceros - Rhinoceros unicornis) এবং কুমিরের (Mugger crocodile - Crocodylus palustris) এর মত কিছু কিছু প্রজাতি সুন্দরবনে বিরল হয়ে উঠেছে ২১ শতকের শুরু থেকে। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের হিসেব মতে সুন্দরবন ৫০০ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল যা পৃথিবীতে বাঘের একক বৃহত্তম অংশ। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বিচিত্র জীববৈচিত্র্যের আধার বাংলাদেশের সুন্দরবন বাণিজ্যিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ১২০ প্রজাতির মাছ, ২৭০ প্রাজাতির পাখি, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ সরীসৃপ এবং ৮ টি উভচর প্রাজাতির আবাসস্থল। এ থেকে বোঝা যায় যে বাংলাদেশের সুন্দরবনে বিভিন্ন প্রজাতির একটি বড় অংশ বিদ্যমান (যেমনঃ ৩০ শতাংশ সরীসৃপ, ৩৭ শতাংশ পাখি ও ৩৭ শতাংশ স্তন্যপায়ী) এবং এদের একটি বড় অংশ দেশের অন্যান্য অংশে বিরল।


376547_300340759990066_1480154507_n.jpg

চিত্রল হরিণ



মৎস্য সম্পদঃ

সুন্দরবনের সামগ্রিক মাছের ওপর পূর্বাপর কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়নি। ফলে মাছের বর্তমান অবস্থা, বিলুপ্ত মাছ, বিলুপ্তপ্রায় মাছের ওপর উপাত্তনির্ভর তথ্য পাওয়া যায় না। শুধু, মানুষ যেসব মাছ খায় এবং যেসব মাছ রপ্তানি উপযোগী, সেসব মাছ চিহ্নিত করা হয়েছে। ধারণা করা হয়, সুন্দরবনে শিরদাঁড়াওয়ালা মাছ রয়েছে প্রায় ৩০০ প্রজাতির। সাইডেনস্টিকার ও হাই-এর (পরিপ্রেক্ষিত ১৯৭৮) মতে, এর মধ্যে বাণিজ্যিক মাছ ১২০ প্রজাতির; অবশ্য বার্নাকসেকের মতে, (২০০০) বাণিজ্যিক মাছ ৮৪ প্রজাতির, কাঁকড়া-চিংড়ি ১২ প্রজাতির ও ৯ প্রজাতির শামুক রয়েছে। সুন্দরবনে মৎস্যসম্পদকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। সব মাছ মিলিয়ে হয় সাদা মাছ, বাকিরা বাগদা, গলদা, কাঁকড়া।


389511_300341366656672_282078708482938_1081260_878711205_n.jpg

কাঁকড়া



ভ্রমনঃ

সুন্দরবন সংরক্ষিত বনাঞ্চল হওয়ায়, এখানে ভ্রমনের জন্য আপনাকে আগে থেকে খুলনা বন অফিস থেকে নির্ধারিত ফী পরিশোধ করে অনুমতি নিতে হবে। এই অনুমতি নেওয়ার দৌড়াদৌড়ি এবং সুন্দরবনে থাকা-খাওয়ার জায়গার সল্পতার কারনে সব থেকে ভালো হয়, আপনি যদি কোন ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ভ্রমন করেন। তাছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও নিয়মিত সুন্দরবন ভ্রমন হয়ে থাকে, যোগাযোগ থাকলে তাদের সঙ্গীও হয়ে যেতে পারেন। ৪-১০ দিন ভ্রমনে আপনার খরচ হবে ৩০০০-১০০০০ পর্যন্ত। সুন্দরবনের মাঝ দিয়ে লঞ্চ ভ্রমন আপনাকে সত্যিই আনন্দ দিবে।


https://fbcdn-sphotos-a.akamaihd.ne...6587_282078708482938_1081277_1895484675_n.jpg
লঞ্চ ভ্রমন



নিচে কিছু ট্রাভেল এজেন্সির ঠিকানা দেওয়া হলঃ

Bangladesh Parjatan Corporation

Manager (Tours), Bangladesh Parjatan Corporation, 233 Airport Road, Tejgaon, Dhaka-1 215

Phone 325155-59



The Bengal Tours Ltd.

House # 45, Road # 27, Block-A, Banani, Dhaka-1213

Tel: (880-2)- 8834716, 8857424

Fax: 880-2-9886381

E-mail: bengal@agni.com



The Guide Tours Ltd

Rob Super Market, 6th floor, Gulshan Circle –II, Dhaka-1213

Tel: 880-2-9886983, 9862205

E-mail: inq@guidetours.info



Dhaka Holidays

House: 57/E Road: 13, 1st floor, Banani, Dhaka-1213.

Tele-Fax: +88 02 9889784

Phone: +88 02 9881492, +88 01712 125 379, +88 01199 432 280

Email: info@dhakaholidays.com



Bangladesh Expeditions and Home stay

House-6, road-2, block-l, Banani, Dhaka-1213

Hot line: 00 88 01715093412; 01916174432 (24 hours )

Email: expeditions.bangladesh@gmail.com ; info@expeditions-bd.com



GREEN BANGLA TOURS

32, (3rd floor) rajuk Complex Azampur

Sector # 7, Uttara, Dhaka-1230

Phone:+88-01715312149, 0088-01819420221,

0088-01819150801



Travelers Add Tours

House# GA-25/2B (1st Floor) Bus stand,

Shahjadpur, Gulshan 2, Dhaka-1212.

Phone: +88-02-8899891, Fax: +88-02-8899559

CELL: +88-01742474381, 01749068424 (24 hrs Hot Line)

E-mail: info@travelersaddtours.com, travelersaddtours@gmail.com



সুন্দরবনে ভ্রমনের জায়গা সমুহঃ

করমজল

করমজলে একটি ফরেস্ট অফিস আছে। হরিণ ব্রিডিং সেন্টার আছে এখানে। আশেপাশের বনের ভিতর নির্ভয়ে ঘুরতে পারবেন, এখানে বাঘ দেখা যায় না।



হিরন পয়েন্ট (নীল কমল)

এটা একটা সংরক্ষিত বনাঞ্চল। হাঁটতে হাঁটতে আপনি বন্য প্রকৃতি, পাখি ও চিত্রল হরিনের সৌন্দর্য উপভোগ করবেন এখানে। মাঝে মাঝে বাঘ দেখা যায় এখানে, তাই দল বেঁধে ও গাইডের সাথে ভ্রমন করতে হবে। এখানে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের একটা রেস্ট হাউজ ও ওয়াচ টাওয়ার আছে।


https://fbcdn-sphotos-a.akamaihd.ne...0x720/316366_300343206656488_1530827258_n.jpg
হিরন পয়েন্টের গেট


317218_300343606656448_282078708482938_1081281_1853909252_n.jpg

হিরন পয়েন্টের বিশ্ব ঐতিহ্য স্মারক


384582_300344203323055_282078708482938_1081282_1981122075_n.jpg

হিরন পয়েন্টের মাটির রাস্তা


https://fbcdn-sphotos-a.akamaihd.net/hphotos-ak-snc7/s720x720/308704_300344549989687_464151246_n.jpg
হিরন পয়েন্টের ওয়াচ টাওয়ার


https://fbcdn-sphotos-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash4/s720x720/317212_300344876656321_504496687_n.jpg
হিরন পয়েন্টের ওয়াচ টাওয়ার তোলা



দুবলার চর

এটা জেলেদের দ্বীপ। দ্বীপ ও সমুদ্রের সৌন্দর্যর সাথে সাথে এখান থেকে কিনতে পারেন শুঁটকি মাছ।


https://fbcdn-sphotos-a.akamaihd.ne...0x720/377031_300345959989546_1507070377_n.jpg
দুবলার চরের শুঁটকি


375232_300346183322857_282078708482938_1081291_621846439_n.jpg

দুবলার চরের শুঁটকি



কচিখালি (টাইগার পয়েন্ট)

প্রায়ই বাঘ দেখা যায় এখানে, হটাৎ হটাৎ বাঘের ডাক আপনাকে কাঁপিয়ে দিবে নিঃসন্দেহে! বন বিভাগের একটা রেস্ট হাউজ আছে এখানে।




313116_300346829989459_1967697391_n.jpg

রয়েল বেঙ্গল টাইগার


https://fbcdn-sphotos-a.akamaihd.net/hphotos-ak-snc7/s720x720/381209_300347346656074_894157508_n.jpg
কচিখালিতে গোধূলি



কটকা

৪০ ফুট উঁচু ওয়াচ টাওয়ার আছে এখানে। বিশাল সমুদ্রের সাথে সাথে এখান থেকে উপভোগ করা যাবে সুন্দরবনের বিসালতা। সুন্দর একটি সমুদ্র সৈকতও রয়েছে এখানে। পায়ে হেঁটে সৈকতে যেতে নিঃসন্দেহে উপভোগ করবেন।


386469_300348019989340_2141289053_n.jpg

কটকা সমুদ্র সৈকত


https://fbcdn-sphotos-a.akamaihd.ne...5974_282078708482938_1081299_1000316548_n.jpg
কটকা সমুদ্র সৈকত


https://fbcdn-sphotos-a.akamaihd.net/hphotos-ak-snc7/s720x720/380524_300348853322590_756765377_n.jpg
কটকা সমুদ্র সৈকত



[সতর্কতাঃ কটকা সমুদ্র সৈকতে ও বনের ভিতরে একা একা ঘোরাঘুরি করা ঠিক হবে না। সব সময় গাইডের সাথে থাকবেন]




- MHJ ...
 
**নয়নাভিরাম সুন্দরবন**
----------------------
https://fbcdn-sphotos-a.akamaihd.ne...5974_282078708482938_1081299_1000316548_n.jpg
কটকা সমুদ্র সৈকত


https://fbcdn-sphotos-a.akamaihd.net/hphotos-ak-snc7/s720x720/380524_300348853322590_756765377_n.jpg
কটকা সমুদ্র সৈকত



[সতর্কতাঃ কটকা সমুদ্র সৈকতে ও বনের ভিতরে একা একা ঘোরাঘুরি করা ঠিক হবে না। সব সময় গাইডের সাথে থাকবেন]




- MHJ ...

MHJ you got an unbelievable informative collection. Is it possible to post the information in English as there are many foreigners on this forum and the details in English together with the images will make your post more attractive to them ?
 
**অনিন্দ্যসুন্দর কক্সবাজার**
-------------------------

[সতর্কতাঃ সমুদ্র সৈকতে এক পতাকা ভাটার সঙ্কেত ও দুই পতাকা গুপ্ত খালের সঙ্কেত। তাই পতাকা উড্ডয়ন অবস্থায় সমুদ্রে নামবেন না]
- MHJ ...

এক পতাকা জোয়ারের সঙ্কেত নয় কি? জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা বাড়ে।
 
Status
Not open for further replies.
Back
Top Bottom