What's new

Bangladesh Revolution News and Updates

I am smelling an Emergency declared by Hasina if things get deteriorated any further. Army rule led by Awami League.


We believe Hasina has been working on this Chief to accept some sort of military intervention where she keeps all the power. But the Chief and his Generals have refused any such half-hearted deal to "use" the military for political purpose. We don't know if somebody tried to convince the Chief in India to accept.
 
524266_446954112059225_1840195006_n.jpg

66802_446943595393610_1784580030_n.jpg


Current police ideology: "Never shoot the terrorists but the unarmed protesters"

Really hardcore :hitwall: these guys are seriously pissing me off
 
I am smelling an Emergency declared by Hasina if things get deteriorated any further. Army rule led by Awami League.

Army rule supposedly will never be led by BAL. I think BAL or Sheikh family will again face brutality by army in future, not saying in near future.
 
why are our lady politicians so freaking fat and ugly...why...why....:taz:
 
why are our lady politicians so freaking fat and ugly...why...why....:taz:

because they are mostly ex prostitutes joined politics after gaining fat as the previous profession does not yield enough return with that much of fat.
 
Tah tah not nice.what's wrong with hefazatis to beat a beporda woman in the street? Some of us can't keep our nasty comments to our selves about women .any way I know for a fact why they are fat - usually they comes from day to day earning families and after joining political party they starts earning handsomely (chandabaji including) good food-regular heavy food= fat.man these women can eat!
 
Deaths in renewed Bangladesh clashes - Central & South Asia - Al Jazeera English

Deaths in renewed Bangladesh clashes

Three killed as overall death toll from violence prompted by ongoing war crimes tribunal rises to 101 since January.
Last Modified: 11 Apr 2013 17:24

(Video in above link)

Al Jazeera's correspondent, who is not being named for security reasons, reports on the unrest from Dhaka

At least two people have died in clashes between opposition protesters and supporters of the ruling party in Chittagong in southeastern Bangladesh.

Another person was killed and 15 others injured on Thursday in Khulna when police fired at demonstrators from the conservative Jamaat-e-Islami party.

The party is demanding the release of its president, Delwar Hussen.

Police said they fired live rounds at 500 supporters of Jamaat-e-Islami during protests to demand the release of the head of its student wing.

The violence is the latest to hit Bangladesh prompted by a continuing war crimes tribunal, at which almost the entire Jamaat leadership is on trial for crimes committed during the 1971 war of independence against Pakistan.

Clash with Jamaat

The latest deaths brought the overall toll from clashes triggered by the trials to 101 since January 21 when the court handed down its first verdicts.

"Police opened fire after they came under attack from 500 Jamaat supporters," Ghulam Rouf Khan, Khulna district police chief, told AFP news agency, adding that the protesters fired guns and hurled home-made bombs at police.

Spotlight

Follow in-depth coverage of war crimes trials in Dhaka
"A Jamaat man, hit with a bullet in the chest, died on the way to a hospital," Kazi Abu Salek, another Khulna police officer, told AFP.

About 20 Jamaat supporters were struck by bullets and five police officers were injured in the clashes, online newspaper bdnews24.com said.

Earlier on Thursday, police arrested the acting editor of a pro-opposition newspaper on various charges.

Mahmudur Rahman was arrested in a raid on the office of the Bengali-language Amar Desh newspaper in Dhaka.

Leaders of the government's ruling party have accused the daily of inciting violence during recent political unrest.

Source: Al Jazeera And Agencies
 
? ???? ?? ????? ????? ??????? | The Daily Sangram

kasami.jpg


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশাল সমাবেশে হেফাজতের হুঁশিয়ারি
৫ মে’র পর সরকার পতনের আন্দোলন

গতকাল শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা নূর হোসেন কাসেমী -সংগ্রাম
মোঃ আকরাম হোসেন ব্রাক্ষণবাড়িয়া থেকে : গতকাল শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক মাওলানা নূর হোসাইন কাশেমী বলেছেন, হেফাজতের ১৩ দফা ইসলাম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন। হেফাজত ইসলামের ১৩ দফা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৩ দফার ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা। বিভ্রান্ত করা হচ্ছে জনগণকে। নাস্তিকদের বিরুদ্ধে শাস্তির সর্বোচ্চ আইন ফাঁসির বিধান পাস করার দাবি জানান তিনি। বিশেষ অতিথি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ৫ মে’র মধ্যে ১৩ দফা দাবি না মানলে সরকার পতনের আন্দোলন। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও মাহবুবুল আলম হানিফের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে ৮৫ কোটি টাকার লেনদেনের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। যারা টাকা ছাড়া কিছুই বোঝে না তারাই টাকার কথা বলেন। যারা টাকা চিনেন। তারা টাকার কথা বলেন। যারা আলেম-ওলামাদের চিনেন। তারা আলেম-ওলামাদের কথা বলেন। সমাবেশে বক্তারা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শাহবাগ বন্ধ করা না হলে দেশে শান্তি আসবে না। শাহবাগ তিলে তিলে সরকারকে ডুবিয়ে দিচ্ছে। বক্তারা বলেন, আমরা নারীদের ঘরে বসিয়ে রাখতে চাই না। তাদের সম্মানজনক কাজে লাগাতে চাই। ইসলাম নারীদের যে অধিকার দিয়েছে আমরা সে অধিকার বাস্তবায়ন চাই। ইসলামও নারীর কাজের বিরোধিতা করে না। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে বলেন, আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তাকে মুক্তি না দেয়া হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। ব্রাক্ষণবাড়িয়া শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চে শানে রেসালত মহাসমাবেশ জেলা হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্ল¬ামা মনিরুজ্জামান সিরাজী সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী, মাওলানা মাঈনুদ্দিন রুহী, মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী, সিলেটের প্রতিনিধি শাইখুল হাদিস নিজাম উদ্দিন, হবিগঞ্জের প্রতিনিধি মাওলানা মাঈনুল, নরসিংদীর মাওলানা আমীর আলী, মুফতী মোবারক উল¬াহ, মুফতী রহমত উল্ল¬াহ, মাওলানা সাজিদুর রহমান, আশেকে এলাহী, মুফতী শামসুল হক, মাওলানা বেলায়েত উল্লাহ, মাওলানা আব্দুর রহিম কাশেমী, মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারী, মাওলানা মেরাজুল হক কাশেমী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন, মাওলানা আজহারুল হক কাশেমী, মুফতী জাকারিয়া প্রমুখ।

অহিদ মিয়ার ফিতা বিক্রি জমজমাট

অহিদ মিয়া ফেরিওয়ালা। তার ব্যবসা চাঙ্গা হয়েছে। হেফাজতের ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসমাবেশে অহিদ মিয়া এসেছিলেন মাথার কাপড়ের ফিতা বিক্রি করতে। মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কমপক্ষে ৫ শতাধিক ফিতা বিক্রি করে ফেলেন। তার সাথে এমন আরও ৪/৫ জন বিক্রেতা এসব ফিতা বিক্রি করেন। ফিতাতে লেখা নারায়ে তাকবীর, আল্ল¬াহু আকবার। নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসি চাই। সাদা কাপড়ের নীল ও লাল রঙ্গের অঙ্কিত এসব ফিতা মিছিলকারীদের কিনতে বেশ তৎপর দেখা যায়। অহিদ মিয়া জানান, প্রায় ফিতা বিক্রি করেই ৫ হাজার টাকা আয় হয়েছে।

জামে মসজিদে কান্নার রোল

হেফাজত ইসলামের মহাসমাবেশকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। জুমার নামাযের সাথে সাথে শহরের সবক’টি মসজিদে মুসল্লি¬দের ভিড় উপচে পড়ে। ঠিক ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রধান জামে মসজিদের খতীব মাওলানা বেলায়েত উল্ল¬াহ খুৎবার প্রাক্কালে বয়ান করে। এসময় তিনি ইসলামের দৃষ্টিতে হযরত মোহাম্মদ (সা.) শান বর্ণনা করেন। সেই সাথে মোনাফেক ও নাস্তিকদের সাথে ইসলামের কি সম্পর্ক তার বিবরণ দেন। নামায শেষে তিনি বিশ্ব মুসলিমদের শান্তি কামনায় মোনাজাত করেন। বয়ান ও দোয়ায় তিনি বলেন, দেশ আজ দু’ভাগে বিভক্ত। একদিকে আল্ল¬াহ ও আল্ল¬াহ রাসূলের পক্ষ অন্যদিকে বেঈমান ও নাস্তিকরা রয়েছে। বেঈমানদের কপালে হেদায়েত না থাকলে নমরূদ, ফেরাউন, সাদ্দাদ, হামানের মতো বেঈমানদের পরিণতির দোয়া করেন। এসময় সারা মসজিদে কান্নার রোল পড়ে যায়।

শহরে তীব্র যানজট

দুপুর প্রায় ২টার মধ্যেই জন সমুদ্রে পরিণত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্ত মঞ্চ। জায়গা না পেয়ে শত শত মানুষ পৌরসভা সড়ক, ফায়ার সার্ভিস সড়ক, তোফায়েল আজম মনুমেন্ট সড়ক, পুরাতন কোর্ট রোড সড় সহ বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়। মানুষের ঠাসা ভিড়ে এসব সড়কে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এতে করে আইন-শৃঙ্খলায় রক্ষায় নিয়োজিত সদস্যরা প্রধান সড়ক বন্ধ করে দেয়। এতে খালপাড় দিয়ে শহরের সকল যান চলাচল করে। ফলে কুমারশীল মোড়, খালপাড়, মহাদেব পট্টি, কেদাস মোড়, জগত বাজার, ডা. ফরিদুল হুদা সড়ক, কালাইশ্রীপাড়াসহ বিভিন্ন সড়কে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়।

সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে পানীয় ও খাবার

হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে যে যার মতো পেরেছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। সমাবেশের আগেই নাম প্রকাশে ইচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ শসা সরবরাহ করে। দুপুরে পানি, শরবত, শুকনো খাবার সরবরাহ করে সাধারণ মানুষ। জেলা জাতীয় পার্টির নেতারা সমাবেশ সংলগ্ন এলাকায় ছাউনী তৈরি করে তৃষ্ণার্তদের পানি প্রদান করেন। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন খাবার ধরনের ও পানি সরবরাহ করে।
 
???????? ????? ???? ?? ??? ????? ???? ???????? ?????????? ?????? ??? ????? | The Daily Sangram

গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা
ক্ষমতায় থাকার জন্য ১৩ দফা ঈমানী দাবি সর্ম্পকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : দেশ অধ্যয়ন কেন্দ্র আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি ঈমানী দাবি। এসব দাবি পূরণ করা ঈমানী দায়িত্ব। ক্ষমতায় থাকার জন্য ১৩ দফা ঈমানী দাবি সর্ম্পকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসব দাবি পূরণ ছাড়া কোন সমঝোতা নেই বলে তারা ঘোষণা দেন। নারী অধিকার নিয়ে ইমাম খতিবগণ মসজিদে বয়ান করে বলেও তারা উল্লেখ করেন।

গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দেশ অধ্যয়ন কেন্দ্র আয়োজিত ‘হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি : মূল্যায়ন ও বিভ্রান্তি নিরসন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেন। কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম, বিজয়নগর মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল কাইয়্যূম সুবহানী, লে. কর্নেল (অবঃ) মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার ফরিদুল আকবর, খেলাফত মজলিসের নেতা মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ খান, মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ খান বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অবঃ) সোলায়মান, মধুপুর পীর মাওলানা আব্দুল হালীম প্রমুখ।

মাওলানা আব্দুল কাইয়্যূম সুবহানী বলেন, ১৩ দফা দাবি শুধু আলেমদের নয়, জনমানুষের দাবি। আমরা চাই না, আমাদের মা বোনেরা বা ভাইয়েরা কুকুর-বিড়ালের মতো জীবন যাপন করুক। সবাই যেন শালীনভাবে চলতে পারে এটাই আমাদের দাবি। ১৩ দফা দাবি নিয়ে তাদের বসার জন্য শাহরিয়ার কবিরদের প্রতি তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।

মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ১৩ দফা দাবি নিয়ে যারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে তাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শাহবাগী নাস্তিকদের জন্ম না হলে হেফাজতে ইসলামের জন্ম হতো না। লং মার্চের মহাবিজয়ের কারণে গাত্রদাহ থেকেই ১৩ দফার অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। ঈমানের বিষয়ে কোন সমঝোতা নেই। নাস্তিকদের ফাঁসি না দিলে সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থাকবে না বলে তিনি মনে করেন।

মুক্তিযোদ্ধা বাবলু বলেন, যারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে চায় তারা আওয়ামী লীগের শত্রু। মতিউর রহমান নিজামী ও মাওলানা সাঈদী ভালো লোক বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সেক্যুলারিজম ছিল না। এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকৃত করে দলীয়করণ করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেণ বলে তিনি উল্লেখ করেন। হেফাজতের লংমার্চে একটি পয়সাও লেনদেন হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।


?? ??? ???? ?????-??????????? ???, ????? ???? ???? ????????? | The Daily Sangram

Allama-Sah-Ahmed-Shafi-copy.jpg


বিশাল দোয়া-অনুষ্ঠানপূর্ব বক্তব্যে আল্লামা শফী
১৩ দফা দাবি ওলামা-মাশায়েখদের নয়, দেশের কোটি কোটি মুসলমানের

আল্লামা শফী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে ‘হেফাজতে ইসলাম বিড়ালের মতো লেজ গুটিয়ে চলে গেছে’ বলে যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এর সাথে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগ ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় হেফাজতে ইসলাম নেতা-কর্মীও জড়িত ছিল বলে কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদেরও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

গতকাল শুক্রবার বিকালে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ওলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা কখনো লেজ গুটাতে জানে না। বরং ক্ষমতার অন্ধমোহে আসক্ত জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিবিদদেরই অনেক সময় লেজ গুটাতে বা অন্যের ছাতায় আশ্রয় নিতে দেখা যায়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মোকাবিলায় রাজনীতিবিদদের যে ধরনের বাক্য ব্যবহার করতে দেখা যায়, মাননীয় মন্ত্রী দেশের শ্রদ্ধাভাজন ওলামা-মাশায়েখদের বিরুদ্ধেও তেমনটি করছেন। যা নিতান্তই হতাশাজনক এবং একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর কাছ থেকে এটা কোন মুসলমানই আশা করে না।

আল্লামা জুনায়েদ আরো বলেন, ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের শাস্তির দাবিতে হেফাজতে ইসলামের চলমান আন্দোলনে গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিটি কর্মসূচি নির্ধারিত দিন-তারিখে পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ীই শুরু এবং শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত এর কোনরূপ ব্যত্যয় ঘটেনি। গত ৬ এপ্রিলের সাড়া জাগানো লংমার্চ ও ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচিও পূর্ব নির্ধারিত সময়ে শুরু এবং শেষ হয়েছে। হরতাল, যান চলাচলে বাধাদান, তৌহিদী জনতার ওপর দেশব্যাপী হামলা, অনুমতিদানে বিলম্বসহ শত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমাদের অবস্থান থেকে সামান্যতমও আমরা সরিনি। যা জাতির কাছে স্পষ্ট হয়েছে। আল্লামা জুনায়েদ বলেন, হেফাজতে ইসলামের এমন দৃঢ় অবস্থানে দলের এবং সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা হয়ে সৈয়দ আশরাফের এমন দায়িত্বহীন বক্তব্য জাতির হাস্যরসের খোড়াক জোগাচ্ছে। তিনি সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও রাজনীবিদদের অর্থহীন বক্তব্য ও অহেতুক সমালোচনা না করে ঈমান-আক্বীদা ও জাতির শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য অত্যন্ত জরুরি হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন।

একই বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগ ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় হেফাজতে ইসলাম নেতা-কর্মী জড়িত ছিল বলে কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গত বৃহস্পতিবার হেফাজতে ইসলামের ফটিকছড়িসহ বাংলাদেশের কোথাও কোন কর্মসূচি ছিল না। ফটিকছড়ি ভুজপুরসহ বাংলাদেশের কোথাও কোন মিটিং-মিছিল ছিল না। ঘটনার সময় ভুজপুরের কাজিরহাট মাদরাসার গেট বন্ধ করে দেয়া হয় এবং ছাত্র-শিক্ষকগণ মাদরাসার অভ্যন্তরেই অবস্থান করছিলেন ও যথারীতি ক্লাস চলছিল। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফটিকছড়ির ভূজপুরের সংঘর্ষের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় মাদরাসাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রচার নির্জলা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। তিনি এ ধরনের মিথ্যা ও উস্কানিমূলক সংবাদ প্রচারের নিন্দা এবং সংশ্লিষ্ট পত্রিকাগুলোকে দুঃখ প্রকাশ করে সংশোধনী ছাপানোর দাবি জানান। তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন অরাজনৈতিক এবং সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। আমরা এ নীতি থেকে কখনো বিচ্যুত হব না।

এদিকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা এবং মাসিক মুঈনুল ইসলাম পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মাওলানা মুনির আহমদ জানান, গতকাল শুক্রবার আছরের নামাযের পর উপমহাদেশের অন্যতম বিখ্যাত ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার প্রধান জামে মসজিদে হেফাজতে ইসলামের আমীর ও মাদরাসা মহাপরিচালক দেশের শীর্ষ আলেম পীরে কামেল আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা.বা.) বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ও দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় এক আবেগময় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন। জুমার নামাযের পর আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা.বা.)-এর এই দোয়া ও মোনাজাতের ঘোষণা দেয়া হলে আছরের নামাযের নির্ধারিত সময়ের অনেক পূর্বেই সুবিশাল ৩ তলা মসজিদ ভবনে মুসল্লী সংখ্যা কানায় কানায় ভরপুর হয়ে যায়। মোনাজাতের সময় মসজিদের সামানের ছেহেনসহ পার্শ্ববর্তী ছাত্রাবাস ও শিক্ষাভবনেও অনেককে বসে মোনাজাতে শরীক হতে দেখা যায়। মোনাজাতপূর্ব বয়ানে আল্লামা শাহ আহমদ শফী সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা আপনাদের কাছে কোন রাজনৈতিক ও ক্ষমতার দাবি পেশ করিনি। আমরা শুধু আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল, কুরআন-হাদীস ও ইসলামের ইজ্জত রক্ষার জন্য কিছু দাবি আপনাদের কাছে পেশ করেছি। মুসলমানদের ঈমান-আক্বীদা রক্ষা, মা-বোনদের ইজ্জত-আব্রু ও নিরাপত্তার জন্য দাবি পেশ করেছি। এই দাবিগুলো শুধু ওলামা-মাশায়েখদের নয়, দেশের কোটি কোটি মুসলমানের প্রাণের দাবি। অথচ সরকারের মন্ত্রীরা মুসলমানদের অরাজনৈতিক এই ন্যায্য দাবি পূরণ না করে বরং এর বিরুদ্ধে নানা অপবাদ ও সমালোচনা করছেন।

আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা.বা.) সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে দোয়া ও মোনাজাত শুরু করেন। মোনাজাতে তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা, জনসাধারণ ও মুসলমানদের জানমালের নিরাপত্তা, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা, আল্লাহ, রাসূল ও ইসলাম অবমাননাকারীদের হেদায়াত, ইসলাম অবমাননা ও কুৎসা বন্ধে আল্লাহর গায়েবী মদদ, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ প্রার্থনা করেন। এ সময় দারুল উলূমের প্রধান মসজিদসহ আশপাশের এলাকায় কান্নার রোল পড়ে যায়। আধ ঘণ্টাব্যাপী মোনাজাতে দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম, হাজার হাজার মাদরাসার ছাত্রসহ প্রায় ১৫ হাজার তৌহিদী জনতা অংশগ্রহণ করেন।
 
Back
Top Bottom