টাকা না ঢাললে প্লেয়ারদের ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সের উপর নির্ভর করে বসে থাকতে হবে, বড় দলের বিপক্ষে দু-একটা ম্যাচ জিতবা বা ড্র করবা। কিন্তু ঐ পর্যন্তই র্যাংকিং এ তেমন কোন উন্নতি বা ছোট আসরে কাপ জেতার আশা জীবনেও করা লাগবে না, বড় আসরে খেলা তো দূরের কথা। বাইরের দেশে পারফরম করা জামাল ভূইয়া, হামজা চৌধুরীর মত প্লেয়ারদের আশায় বসে থাকবা। কাদাওয়ালা মাঠে খেলে প্লেয়াররা ইঞ্জুরিতে পড়বে, টার্ফ থাকলেও ঠিকমত পরিচর্যা হবে, ইনডোর জিম আর ফ্লাড লাইটের বেহাল দশাই থাকবে। আর বাইরের দেশের ফুটবল টিম নিয়ে এমন চলতেই থাকবে।
আমরা সবচেয়ে পেছনের সারির টিম বলে যে সেই অবস্থাতেই হাল ছেড়ে বসে থাকতে হবে এমন কোন কথা আছে? পরিশ্রম না করলে তো কেউ কোলে তুলে উপরের সারির দলের কাতারে নিয়ে যাবে না। Australia, Croatia, Denmark এখন বড় বড় দলের সাথে এত দাপটের সাথে খেলে অথচ কয়বছর আগেও এদের কেউ পাত্তা দিত না। ভারত হয়ত এখনও হয়ত অত আহামরি দল না, কিন্তু ওরাও র্যাংকিং এ উন্নতি করছে। কারন ওরা সবাই ঘরোয়া লিগে ফোকাস করে। পাইপলাইনে খেলোয়ার রাখা আর ভাল খেলোয়ার তৈরির ঐটাই রাস্তা।
ইউরোপিয়ান লিগের কথা আলাদা করে বলার তো কিছু নাই, IPL এর আদলে ভারত ISL চালু করছে। যখন ক্রিকেটে কেনিয়া, হল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০০ রান পার করতে হাত তুলে দোয়া করা লাগত তখন আমাদেরও "নিটল টাটা" ফুটবল লিগ ছিল, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, মোহামেডান, আবাহনীর মত দলের খেলা তখন মানুষ উপভোগ করত। ভাল প্লেয়ারও ছিল, সাফ ফুটবলেও ভাল করতাম। ঐদিন ফেরত আনতে গেলে, আরও উন্নতি করতে গেলে টাকা-পৃষ্ঠপোষকতা অবশ্যই লাগবে। আফ্রিকান/বিদেশি ফুটবলার দিয়ে দল গঠন করা বন্ধ করতে হবে আর স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, জেলা, বিভাগ ভিত্তিক টুর্নামেন্ট লাগবে। (এর মধে্য কিছু অলরেডি আছে)।
অলিম্পিক হল প্রেষ্টিজ আর দাপট দেখানোর আসর। আমেরিকা, চায়না, রাশিয়া, ভারত আর অন্যান্য দল এইখানে স্বর্ণের জন্যে লড়াই করে কিন্তু এইটার খেলা কেউ ফুটবলের মত দেখে না বা উপভোগ করে না। কয়টা মেডেল জিতল ঐটা শুধু দেখ। ফুটবল মাত্র একঘন্টার খেলা, যত গড়ায় তত বেশি মজা আর কবে কার সাথে খেলা ঐগুলা ঠিকমত বলা থাকে। সময়, দল, সাপোর্টার আর নামডাকের হিসেবে এইটার মত জনপ্রিয় খেলা আর নাই, অন্যগুলা হবেও কিনা সন্দেহ।
করুক না, মেরে-কেটে-মাথা ফাটিয়ে-খুন করে একে অন্যকে শেষ করে দিক। তাই বলে খেলাই বন্ধ করে দিতে হবে এমন কথা হাস্যকর। চার বিলিয়ন সাপোর্টারের সবাই তো আর গরু-ছাগল না। আর এই ক্ক্যাতগুলা তো শুধু এইসব নিয়ে মারামারি করে না। জমি নিয়ে গ্রামে প্রায়ই মারামারি করে, গরুর মাংস কম দেয়া নিয়েও মারামারি করে। কালকেও দেখলাম এক জায়গায় মাইকে ঘোষনা মারামারি লাগসে, আরেক জায়গায় খেলায় লাল-কার্ড দেখানো নিয়ে মারামারি করছে। তো ১৭ কোটির মধ্যে যদি ১০ কোটি গবেট যদি এইভাবে নিজেদের মেরে ফেলে, তাতে কার কি আসে যায়? মরুক না, খারাপ গুলা মরে ভাল গুলা বেচে থাকুক।
আর ঐ লোক এই কারনে বিষ খায়নি।