What's new

Bangladesh Navy

There are more than 10 nations owning carriers ,most of which are not strong enough to colonize others today .

I have underlined the reason why they are allowed to own carriers today....
if one of them challenge the Western ways globally, the whole game changes.... a carrier in the hands of China or Japan is not the same as in the hands of Korea or Thailand.... which is why flat-tops in the hands of those two countries make headlines..... geopolitical ambitions design strategies of states.... strategies of states design strategies of forces.... strategies of forces design platforms....

my words are likely to sound weird to you..... I agree.... I tend to read a lot of George Friedman, Zbigniew Brzizinski, Henry Kissinger, Robert Kaplan, Ian Bremmer, Samuel Huntington, etc.... those are madmen who tend to have more control over "the globe" rather than aircraft carriers.... its a bit weird actually.... anyway, have some peace....
 
.
I have underlined the reason why they are allowed to own carriers today....
if one of them challenge the Western ways globally, the whole game changes.... a carrier in the hands of China or Japan is not the same as in the hands of Korea or Thailand.... which is why flat-tops in the hands of those two countries make headlines..... geopolitical ambitions design strategies of states.... strategies of states design strategies of forces.... strategies of forces design platforms....

my words are likely to sound weird to you..... I agree.... I tend to read a lot of George Friedman, Zbigniew Brzizinski, Henry Kissinger, Robert Kaplan, Ian Bremmer, Samuel Huntington, etc.... those are madmen who tend to have more control over "the globe" rather than aircraft carriers.... its a bit weird actually.... anyway, have some peace....
No need to list out those names .
Could you tell me what's the differency between a carrier in the hand of Bangladesh and that in the hands of South Korea and Thailand ?
 
. .
back to naval platform discussion.....

everyone is busy with carriers, destroyers, frigates.... but these are some cool naval platforms that nobody talk about....

M.V. C-Champion
d038f5d5ef23621f5fe07855c2cc3c94_XL.jpg


USNS Black Powder
HOS-Arrowhead.jpg
 
. . . .
Both Thailand and Argentina possessed light carriers with the ARA Veinticinco de Mayo having 19900 tonnes displacement and the HTMS Chakri naruebet being 11486 tonnes diplacement.
Unfortunately no one builds fleet carriers this small anymore with the smallest under construction being the almost complete 40000 tone INS Vikrant.

If Bangladesh goes for a carrier it will most like be an LHD which come in the range of 15000 - 25000 tonnes and are much more manageable and also suits their current doctrine.

They can go for the VSTOL 26000 tonne Juan Carlos Class but they will have to sell their soul to the US for F35s if they want to operate fixed wing aircraft from it.

300px-08.05.11_Las_Palmas_001.JPG

I think power projection instruments are of limited use to country like BD. A strong littoral and costal/ near sea asset force probably has more utlity. A force with possibly limited destroyer/ frigate/ missile and patrol boats with complementing submarines is most rational for BD.
 
.
I think power projection instruments are of limited use to country like BD. A strong littoral and costal/ near sea asset force probably has more utlity. A force with possibly limited destroyer/ frigate/ missile and patrol boats with complementing submarines is most rational for BD.

Bangladesh is entirely dependent on sea trade that comes from outside the Bay of Bengal and you're saying that we need to keep ourselves tucked-up inside the Bay of Bengal?..... so, you're saying that we would let our sea trade be protected by the Indian Navy outside the Bay of Bengal.... right?
 
.
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ওভারসীজ ট্রেনিং কমান্ড গড়ার সময় এসেছে

- Ahmed Sharif
Chief Analyst, Geopolitical Thought

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সক্ষমতার বৃদ্ধির সাথে সাথে বিশ্বের কাছে বাড়ছে বাংলাদেশের সন্মান, প্রতিপত্তি, প্রভাব। এর মাঝে যে ব্যাপারটি বড় একটি ভূমিকা রাখে তা হলো সামরিক সক্ষমতা। এই সক্ষমতা বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রের বর্তমান প্রচেষ্টা দৃশ্যমান। বাংলাদেশের সাবমেরিন ক্রয়ের সাথে সাথে সক্ষমতা তৈরির নীতির জানান দেয়া হয়েছে মাত্র। তবে সাবমেরিনের এই উপাখ্যান দরকার ছিল পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশের নামকে জাহির করার। যদিও এই জাহির করার মাঝে একটি কালো দাগ পড়েছে ভারতের সাথে সামরিক সমঝোতা করার মাঝ দিয়ে। তথাপি সক্ষমতা বৃদ্ধির এই প্রচেষ্টা রাষ্ট্রের চিন্তাশীল মহল অব্যাহতই রাখতে চান, এবং একইসাথে ভারতের প্রভাবকে নিষ্ক্রিয় দেখার ইচ্ছাই এক্ষেত্রে প্রবল। ভারতের প্রভাবকে নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে একটি প্রধান চিন্তা হবে বাংলাদেশের প্রভাবকে বৃদ্ধি করা। এই প্রভাব বৃদ্ধি ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে জাকার্তায় আইওআরএ শীর্ষ বৈঠকে, ঢাকায় আইপিইউ সন্মেলনে, কসোভোকে স্বীকৃতির মাঝ দিয়ে, এবং এশিয়া-আফ্রিকা-দক্ষিণ আমেরিকায় কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক কর্মকান্ডকে ভিন্ন উচ্চতায় নেবার মাধ্যমে। এখান এই প্রভাবের মাঝে সামরিক সক্ষমতাকে ‘ফিট’ করার পালা।

বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের সৈন্যদের শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণের মাঝে দিয়ে বেশকিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে বটে, তবে সেই অপারেশনগুলি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সীমিত অবদানই রাখবে। কারণ শান্তিরক্ষী মিশনের লক্ষ্য বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর প্রভাব বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে নয়। অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রভাব বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণ বড় ভূমিকা রাখবে না। সত্যিকার অর্থে, এধরনের প্রভাব বৃদ্ধি যাতে না হয়, জাতিসংঘ সেটা লক্ষ্য রাখে। কাজেই বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে শান্তিরক্ষী মিশনের বাইরেও অপশন খুঁজতে হবে।

বন্ধুর সাথে প্রশিক্ষণ – নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতার উত্তম ক্ষেত্র

বাংলাদেশ পৃথিবীতে বন্ধু খোঁজে। আর সেকারণেই আফ্রিকার বহু দেশে বাংলাদেশের বন্ধু তৈরি হয়েছে, যেখানে অনান্য অনেক দেশ নির্যাতকের তকমা নিয়ে আফ্রিকা ছাড়ছে। বন্ধু বন্ধুর বাড়িতে ঢোকে দরজা দিয়ে; কারণ বন্ধু বন্ধুর জন্যেই দরজা খুলে দেয়। চোর বা ডাকাত বাড়িতে ঢোকে সিঁদ কেটে। চোরের তাই দরকার হয় সিঁদ কাটা যন্ত্রপাতির। বাংলাদেশের সেধরণের যন্ত্রপাতির দরকার নেই। বরং বন্ধুত্ব প্রগাঢ় হয়, এমন জিনিসই বাংলাদেশ সাথে নেবে। বন্ধুর কাছ থেকে বন্ধু কিছু পায়; চোরের কাছ থেকে নয়। বরং চোর মানুষের কাছ থেকে জিনিস কেড়ে নেয়। বাংলাদেশের বন্ধুরাও বাংলাদেশের কাছ থেকে কিছু পাবে; তাই তারাও বাংলাদেশের বন্ধু হতে চাইবে। বাংলাদেশ সামরিক দিক থেকে প্রশিক্ষণকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছে, যা সারা বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর প্রফেশনালিজম বাকি দুনিয়ার মানুষ দেখেছে বিভিন্ন সময়ে। আর সেকারণেই পৃথিবীর বহু দেশের সামরিক অফিসাররা এখানে আসে প্রশিক্ষণের জন্যে। এই একই ইমেজটা বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ধরে রেখেছে বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী মিশনে। তবে এখন এই শান্তিরক্ষী মিশনের মাঝে আটকে না থেকে অভিজ্ঞতা এবং প্রফেশনালিজমকে পুঁজি করে বাকি বিশ্বের কাছে বন্ধুত্বের বাণী পৌঁছে দিতে হবে। আর এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ হবে উত্তম একটি সহযোগিতার ক্ষেত্র। বিশ্ব পরিসরে বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতার প্রভাবকে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে গেলে যে বিষয়গুলি বেশি গুরুত্ব পাবে, তার মাঝে থাকবে প্রশিক্ষণ।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী নিজ দেশে অন্য দেশের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় দেশের মাটিতে নিজেকে আটকে রাখাটা দূরদর্শিতার পরিচায়ক নয়। বাংলাদেশের নিরাপত্তা এখন শুধু ১৯৪৭-এ ব্রিটিশদের নির্ধারণ করে দেয়া ১ লক্ষ ৪৪ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মাঝে নয়। যখন প্রায় কোটিখানেক বাংলাদেশী দুনিয়ার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে, তখন এদেশের সশস্ত্র বাহিনীর দেশে বসে বসে ভাববার সময় নেই। বাংলাদেশের হাজারো সৈন্য এখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে; বিশেষ করে আফ্রিকায়। সুতরাং নিরাপত্তার সংজ্ঞা নিয়ে ভাববার সময় এখন এসেছে; নিরাপত্তা-সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা নিয়েও ভাববার সময় এসেছে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের নিরাপত্তা দেবার মতো সক্ষমতা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর থাকতে হবে। নাহলে রাজনৈতিক-কূটনৈতিক বুলি ফাঁপা ঠেকবে। ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরুর পর সেই দেশ থেকে বাংলাদেশীদের সরিয়ে আনার জন্যে ভারতের (যাকে কিনা শত্রু রাষ্ট্র জ্ঞান করে দেশের বেশিরভাগ জনগণ) দ্বারে ধর্ণা দিতে হয়েছে, যা কিনা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উন্নত করেনি, বরং আরেকটি রাষ্ট্রের কাছে ঋণগ্রস্ত করে কূটনৈতিকভাবে দেশকে দুর্বল করেছে। কাজেই বাংলাদেশের বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক এবং সামরিক সক্ষমতা গড়াটা রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা গড়ার সাথে সম্পর্কিত। আর এখানেই আবারও আসছে প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতার কথা। বাংলাদেশের বন্ধুত্বের নীতির সাথে এর সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। বন্ধুর সাথে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অভিজ্ঞতার বিনিময় – এটাই হতে পারে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মূলমন্ত্র।

বন্ধু রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের বাইরে প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পদ্ধতি নিয়ে সক্ষমতা-বিষয়ক কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরি। যেমন বাংলাদেশের বাইরে এই প্রশিক্ষণ কর্মকান্ড পরিচালনা করার মতো সক্ষমতা কি বাংলাদেশের আছে? উত্তরে বলতে হবে যে অবশ্যই আছে। তবে একইসাথে এটাও বলতে হবে যে এই সক্ষমতা যথেষ্ট নয়। এই সক্ষমতাকে পরবর্তী উচ্চতায় নিতে কিছু সাংগঠনিক পরিবর্তন দরকার। যেমন, বাংলাদেশের বাইরে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে কিছু ইউনিট গঠন করে সেগুলিতে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পোস্টিং দেয়া যেতে পারে। এধরণের একটি ইউনিট সব বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হতে পারে। একটি ‘ওভারসীজ ট্রেনিং কমান্ড’এর অধীনে নিম্নোক্ত কিছু ইউনিট গঠন করা যেতে পারে –

সেনা ইউনিটঃ

সেনাবাহিনীর একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইউনিট থাকা উচিত, যা কিনা একত্রে বাংলাদেশের বাইরে মোতায়েন করা যাবে। আর বেশ কিছুদিনের জন্যে মোতায়েনও থাকতে পারবে। এর মূল ইউনিটটি একটি ব্যাটালিয়ন হলেও এর সাথে বেশকিছু অনান্য ইউনিট থাকা উচিত, যা কিনা একে কমপক্ষে ব্রিগেড পর্যায়ের মর্যাদা দেবে। আর ইউনিটটির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হবে এর মোবিলিটি। এর সকল কিছুই হবে হাইলি মোবাইল। তবে মোতায়েনের এলাকার উপর ভিত্তি করে এর কম্পোজিশন পরিবর্তিত করা যেতে পারে। এখানে ইউনিটের সংখ্যা সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

এই ইউনিটে থাকতে পারে -

১। একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন

২। মেকানাইজড ইউনিট (বিটিআর-৮০ এপিসি – ২০টি এবং অতোকার কোবরা এপিসি – ১২টি)

৩। আর্টিলারি ইউনিট (ডব্লিউএস-২২ রকেট লঞ্চার – ৪টি, নোরা বি-৫২ হাউইটজার – ৬টি এবং এসএলসি-২ রাডার – ১টি)

৪। এয়ার ডিফেন্স ইউনিট (একটি এফএম-৯০ ইউনিট)

৫। ট্রান্সপোর্ট ইউনিট (২০টি ট্রাক, ২০টি টেকনিক্যাল। সাথে এটিজিম থাকা উচিত।)

৬। ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট (সাথে মাইন ক্লিয়ারেন্স এবং রিভার ক্রসিং ইকুইপমেন্ট থাকতে পারে)

৭। সিগনালস ইউনিট (স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সহ)

৮। মেডিক্যাল ইউনিট

৯। মেইনটেন্যান্স ইউনিট

১০। প্যারাকমান্ডোদের একটি ডিটাচমেন্ট

নৌ ইউনিটঃ

এর প্রধান কাজ হবে সেনা এবং বিমান ইউনিটসমূহকে পরিবহণ করা এবং পরিবহণ করার ও বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানের সময় সমুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। একইসাথে বন্ধুদেশের নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সাথে প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া। এখানে সাতটি জাহাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই ইউনিট এর চাইতে ছোট বা বড় হতে পারে। যে জাহাজগুলি এখনও বাংলাদেশের নেই, সেগুলি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেয়া হয়েছে কিছু উদাহরণের মাধ্যমে। এখানে এই নৌ ইউনিটটি বন্ধু দেশের বন্দরের উপরে নির্ভর করবে; অর্থাৎ বন্ধুর বাড়িতে ঢোকার পথ হলো বন্ধুই দরজা খুলবে। এখানে এমন কোন ইউনিট থাকবে না, যা কিনা বন্ধুর বাড়ির জানালার সিঁদ কেটে ঢোকার মতো মনে হয়।

এই ইউনিটে থাকতে পারে -

১। একটি ফ্রিগেট (সাথে একটি হেলিকপ্টার থাকলে সবচাইতে ভালো; না থাকলে অন্য কোন ইউনিটে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করতে হবে)

২। একটি এলপিসি (দুর্জয়-ক্লাস)

৩। একটি ওপিভি (কোস্ট গার্ডের সাদা রঙের একটি জাহাজ এখানে বেশি মূল্যবান হবে)

৪। একটি ট্রুপ শিপ (১,০০০ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি জাহাজ, যা বাণিজ্যিকভাবে কিনে নিজেদের প্রয়োজনে পরিবর্তন করে নেয়া যেতে পারে। এতে অবশ্যই ১,০০০ মানুষের কমপক্ষে তিন সপ্তাহ থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। হেলিপ্যাড এবং স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন অতি দরকারী ব্যাপার হবে। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রাক্তন জাহাজ বিএনএস শহীদ সালাহউদ্দিন-এর নাম বলা যেতে পারে, যদিও এখন এর চাইতে আরও আপডেটেড জাহাজ দরকার হবে।)

৫। একটি কনটেইনার শিপ (১৬০ থেকে ১৮০ মিটারের মাঝে, যা কিনা চট্টগ্রাম বন্দরে ঢুকতে পারে এবং আফ্রিকার বেশিরভাগ বন্দরে ঢুকতে পারবে। এটিকে বিমান এবং অনান্য সরঞ্জামাদি পরিবহণে ব্যবহার করা হবে। বাণিজ্যিকভাবে কিনে এটাকে এমনভাবে পরিবর্তন করতে হবে যাতে ডেকের উপরে বিমান বহণ করা যায়। মোটামুটি ১৪-১৫টা বিমান বহণ করার মতো সক্ষমতা থাকলে এটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। কিছু অংশ হেলিপ্যাডের জন্যে খোলা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে উদাহরণ হবে ফকল্যান্ড যুদ্ধের সময়ে ব্রিটিশ রয়াল নেভির ব্যবহৃত ২০১২ মিটার লম্বা এবং ১৫,০০০ টনের ‘আটলান্টিক কনভেয়র’ এবং ‘আটলান্টিক কজওয়ে’, যেগুলির ডেকের উপরে করে ২৪ থেকে ২৮টি বিমান নেয়া হয়েছিল ফকল্যান্ডে।)

৬। একটি রো-রো ফেরি (বাণিজ্যিকভাবে কিনে এটাকে নিজেদের প্রয়োজনে পরিবর্তন করে নেয়া যাবে। সামরিক গাড়ি এবং সরঞ্জাম এই ফেরি বহণ করবে। এটার আকারও ১৬০ থেকে ১৮০ মিটারের মতো হওয়া উচিত বন্দর সুবিধা নেবার জন্যে। উদাহরণস্বরূপ রয়াল নেভির ‘পয়েন্ট-ক্লাস’এর কথা বলা যেতে পারে। ১৯৩ মিটার এবং ২৩,০০০ টনের এই জাহাজগুলি ১৩০টি সাঁজোয়া যান এবং ৬০টি ট্রাক বহণ করতে পারে।)

৭। একটি সাপ্লাই জাহাজ (পথে জ্বালানি বা অন্য কোনকিছুর সরবরাহের ঘাটতি পূরণ করতে পারার মতো। তবে পুরো পথের সরবরাহ নিশ্চিতের দরকার নেই। বাংলাদেশের জাহাজ পৃথিবীর বেশিরভাগ বন্দরেই “ওয়েলকাম”)

৮। স্পেশাল ফোর্স সোয়াডস-এর একটি ডিটাচমেন্ট (সাথে হাই-স্পিড বোট থাকা উচিত।)

বিমান ইউনিটঃ

বিমান ইউনিটের মাঝে সব ধরনের বিমানই রাখা হয়েছে। প্রশিক্ষণ সকল ক্ষেত্রেই দরকার; তাই বিমানের ধরনের ক্ষেত্রেও তা-ই হওয়া উচিৎ। সংখ্যার দিক থেকে একটা ধারণা এখানে দেয়া হয়েছে। মনে রাখতে হবে যে এখানে যে সংখ্যা বলা হবে, তা কিন্তু পরিবহণও করতে হবে।

এই ইউনিটে থাকতে পারে -

১। একটি ফাইটার ইউনিট (এফ-৭বিজি – ৪টি এবং এফ-৭বিজিআই ৪টি)

২। একটি ট্রান্সপোর্ট ইউনিট (এলইটি-৪১০ – একটি। এটি নিজ শক্তিতে উড়ে গন্তব্যে যাবে, যদিও বাকিরা যাবে জাহাজে।)

৩। হেলিকপ্টার ইউনিট (এমআই-১৭১ – ৪টি এবং আগুস্টা এ-১০৯ – ২টি)

৪। ড্রোন ইউনিট (অবজারভেশন মিশনের জন্যে একটি ড্রোন ইউনিট অবশ্যই থাকা উচিত)

৫। রাডার ইউনিট (একটি এয়ার সার্চ রাডার গ্রাউন্ডে বসানোর জন্যে এই কমান্ডে থাকা উচিত)

৬। মেইনটেন্যান্স ইউনিট

৭। এয়ারবেইস ইউনিট (এরকম ইউনিট বাংলাদেশ আফ্রিকার একাধিক দেশে মোতায়েন করেছে। এরকমই আরেকটি ইউনিট এই কমান্ডে থাকতে পারে।)

উদাহরণ হিসেবে কয়েকটি রাষ্ট্রের কথা বলা যেতে পারে, যাদের সাথে বন্ধুপ্রতীম প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা আদান-প্রদান হতে পারে; যেমন – শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, তাঞ্জানিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, ইত্যাদি। দূরত্ব হিসেবে এধরনের প্রশিক্ষণ মিশনের দৈর্ঘ্য নির্ধারিত হতে পারে। ‘ওভারসীজ ট্রেনিং কমান্ড’এর মাধ্যমে এরকম মিশনে বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা এবং প্রফেশনালিজম যেমন আরও উন্নত হবে, তেমনি বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের বন্ধুর সংখ্যা বাড়বে। একইসাথে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির উন্নয়ন হবে এবং বিশ্বব্যাপী প্রভাবও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। শক্তিশালী বাংলাদেশ শুধু কাগজে-কলমে থাকলেই হবে না, বাস্তব জীবনে দেখাতে হবে। আর সেক্ষেত্রে সামরিক সক্ষমতা একটি অপরিহার্য প্রয়োজন।

২৭শে এপ্রিল ২০১৭
 
.
I think power projection instruments are of limited use to country like BD. A strong littoral and costal/ near sea asset force probably has more utlity. A force with possibly limited destroyer/ frigate/ missile and patrol boats with complementing submarines is most rational for BD.

I don't think so. As our economy grows, there will be increasing need to ensure the protection of our trade routes.
 
.
I don't think so. As our economy grows, there will be increasing need to ensure the protection of our trade routes.

exactly!
trade route protection can only be achieved by the formation of longer-range naval units.... there's no option to rely on others to do our job.... that would make us dependent on others (especially India).... and that would be bye bye to a powerful Bangladesh....
 
.
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ওভারসীজ ট্রেনিং কমান্ড গড়ার সময় এসেছে

- Ahmed Sharif
Chief Analyst, Geopolitical Thought

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সক্ষমতার বৃদ্ধির সাথে সাথে বিশ্বের কাছে বাড়ছে বাংলাদেশের সন্মান, প্রতিপত্তি, প্রভাব। এর মাঝে যে ব্যাপারটি বড় একটি ভূমিকা রাখে তা হলো সামরিক সক্ষমতা। এই সক্ষমতা বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রের বর্তমান প্রচেষ্টা দৃশ্যমান। বাংলাদেশের সাবমেরিন ক্রয়ের সাথে সাথে সক্ষমতা তৈরির নীতির জানান দেয়া হয়েছে মাত্র। তবে সাবমেরিনের এই উপাখ্যান দরকার ছিল পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশের নামকে জাহির করার। যদিও এই জাহির করার মাঝে একটি কালো দাগ পড়েছে ভারতের সাথে সামরিক সমঝোতা করার মাঝ দিয়ে। তথাপি সক্ষমতা বৃদ্ধির এই প্রচেষ্টা রাষ্ট্রের চিন্তাশীল মহল অব্যাহতই রাখতে চান, এবং একইসাথে ভারতের প্রভাবকে নিষ্ক্রিয় দেখার ইচ্ছাই এক্ষেত্রে প্রবল। ভারতের প্রভাবকে নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে একটি প্রধান চিন্তা হবে বাংলাদেশের প্রভাবকে বৃদ্ধি করা। এই প্রভাব বৃদ্ধি ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে জাকার্তায় আইওআরএ শীর্ষ বৈঠকে, ঢাকায় আইপিইউ সন্মেলনে, কসোভোকে স্বীকৃতির মাঝ দিয়ে, এবং এশিয়া-আফ্রিকা-দক্ষিণ আমেরিকায় কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক কর্মকান্ডকে ভিন্ন উচ্চতায় নেবার মাধ্যমে। এখান এই প্রভাবের মাঝে সামরিক সক্ষমতাকে ‘ফিট’ করার পালা।

বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের সৈন্যদের শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণের মাঝে দিয়ে বেশকিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে বটে, তবে সেই অপারেশনগুলি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সীমিত অবদানই রাখবে। কারণ শান্তিরক্ষী মিশনের লক্ষ্য বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর প্রভাব বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে নয়। অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রভাব বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণ বড় ভূমিকা রাখবে না। সত্যিকার অর্থে, এধরনের প্রভাব বৃদ্ধি যাতে না হয়, জাতিসংঘ সেটা লক্ষ্য রাখে। কাজেই বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে শান্তিরক্ষী মিশনের বাইরেও অপশন খুঁজতে হবে।

বন্ধুর সাথে প্রশিক্ষণ – নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতার উত্তম ক্ষেত্র

বাংলাদেশ পৃথিবীতে বন্ধু খোঁজে। আর সেকারণেই আফ্রিকার বহু দেশে বাংলাদেশের বন্ধু তৈরি হয়েছে, যেখানে অনান্য অনেক দেশ নির্যাতকের তকমা নিয়ে আফ্রিকা ছাড়ছে। বন্ধু বন্ধুর বাড়িতে ঢোকে দরজা দিয়ে; কারণ বন্ধু বন্ধুর জন্যেই দরজা খুলে দেয়। চোর বা ডাকাত বাড়িতে ঢোকে সিঁদ কেটে। চোরের তাই দরকার হয় সিঁদ কাটা যন্ত্রপাতির। বাংলাদেশের সেধরণের যন্ত্রপাতির দরকার নেই। বরং বন্ধুত্ব প্রগাঢ় হয়, এমন জিনিসই বাংলাদেশ সাথে নেবে। বন্ধুর কাছ থেকে বন্ধু কিছু পায়; চোরের কাছ থেকে নয়। বরং চোর মানুষের কাছ থেকে জিনিস কেড়ে নেয়। বাংলাদেশের বন্ধুরাও বাংলাদেশের কাছ থেকে কিছু পাবে; তাই তারাও বাংলাদেশের বন্ধু হতে চাইবে। বাংলাদেশ সামরিক দিক থেকে প্রশিক্ষণকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছে, যা সারা বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর প্রফেশনালিজম বাকি দুনিয়ার মানুষ দেখেছে বিভিন্ন সময়ে। আর সেকারণেই পৃথিবীর বহু দেশের সামরিক অফিসাররা এখানে আসে প্রশিক্ষণের জন্যে। এই একই ইমেজটা বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ধরে রেখেছে বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী মিশনে। তবে এখন এই শান্তিরক্ষী মিশনের মাঝে আটকে না থেকে অভিজ্ঞতা এবং প্রফেশনালিজমকে পুঁজি করে বাকি বিশ্বের কাছে বন্ধুত্বের বাণী পৌঁছে দিতে হবে। আর এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ হবে উত্তম একটি সহযোগিতার ক্ষেত্র। বিশ্ব পরিসরে বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতার প্রভাবকে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে গেলে যে বিষয়গুলি বেশি গুরুত্ব পাবে, তার মাঝে থাকবে প্রশিক্ষণ।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী নিজ দেশে অন্য দেশের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় দেশের মাটিতে নিজেকে আটকে রাখাটা দূরদর্শিতার পরিচায়ক নয়। বাংলাদেশের নিরাপত্তা এখন শুধু ১৯৪৭-এ ব্রিটিশদের নির্ধারণ করে দেয়া ১ লক্ষ ৪৪ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মাঝে নয়। যখন প্রায় কোটিখানেক বাংলাদেশী দুনিয়ার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে, তখন এদেশের সশস্ত্র বাহিনীর দেশে বসে বসে ভাববার সময় নেই। বাংলাদেশের হাজারো সৈন্য এখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে; বিশেষ করে আফ্রিকায়। সুতরাং নিরাপত্তার সংজ্ঞা নিয়ে ভাববার সময় এখন এসেছে; নিরাপত্তা-সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা নিয়েও ভাববার সময় এসেছে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের নিরাপত্তা দেবার মতো সক্ষমতা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর থাকতে হবে। নাহলে রাজনৈতিক-কূটনৈতিক বুলি ফাঁপা ঠেকবে। ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরুর পর সেই দেশ থেকে বাংলাদেশীদের সরিয়ে আনার জন্যে ভারতের (যাকে কিনা শত্রু রাষ্ট্র জ্ঞান করে দেশের বেশিরভাগ জনগণ) দ্বারে ধর্ণা দিতে হয়েছে, যা কিনা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উন্নত করেনি, বরং আরেকটি রাষ্ট্রের কাছে ঋণগ্রস্ত করে কূটনৈতিকভাবে দেশকে দুর্বল করেছে। কাজেই বাংলাদেশের বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক এবং সামরিক সক্ষমতা গড়াটা রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা গড়ার সাথে সম্পর্কিত। আর এখানেই আবারও আসছে প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতার কথা। বাংলাদেশের বন্ধুত্বের নীতির সাথে এর সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। বন্ধুর সাথে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অভিজ্ঞতার বিনিময় – এটাই হতে পারে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মূলমন্ত্র।

বন্ধু রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের বাইরে প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পদ্ধতি নিয়ে সক্ষমতা-বিষয়ক কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরি। যেমন বাংলাদেশের বাইরে এই প্রশিক্ষণ কর্মকান্ড পরিচালনা করার মতো সক্ষমতা কি বাংলাদেশের আছে? উত্তরে বলতে হবে যে অবশ্যই আছে। তবে একইসাথে এটাও বলতে হবে যে এই সক্ষমতা যথেষ্ট নয়। এই সক্ষমতাকে পরবর্তী উচ্চতায় নিতে কিছু সাংগঠনিক পরিবর্তন দরকার। যেমন, বাংলাদেশের বাইরে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে কিছু ইউনিট গঠন করে সেগুলিতে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পোস্টিং দেয়া যেতে পারে। এধরণের একটি ইউনিট সব বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হতে পারে। একটি ‘ওভারসীজ ট্রেনিং কমান্ড’এর অধীনে নিম্নোক্ত কিছু ইউনিট গঠন করা যেতে পারে –

সেনা ইউনিটঃ

সেনাবাহিনীর একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইউনিট থাকা উচিত, যা কিনা একত্রে বাংলাদেশের বাইরে মোতায়েন করা যাবে। আর বেশ কিছুদিনের জন্যে মোতায়েনও থাকতে পারবে। এর মূল ইউনিটটি একটি ব্যাটালিয়ন হলেও এর সাথে বেশকিছু অনান্য ইউনিট থাকা উচিত, যা কিনা একে কমপক্ষে ব্রিগেড পর্যায়ের মর্যাদা দেবে। আর ইউনিটটির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হবে এর মোবিলিটি। এর সকল কিছুই হবে হাইলি মোবাইল। তবে মোতায়েনের এলাকার উপর ভিত্তি করে এর কম্পোজিশন পরিবর্তিত করা যেতে পারে। এখানে ইউনিটের সংখ্যা সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

এই ইউনিটে থাকতে পারে -

১। একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন

২। মেকানাইজড ইউনিট (বিটিআর-৮০ এপিসি – ২০টি এবং অতোকার কোবরা এপিসি – ১২টি)

৩। আর্টিলারি ইউনিট (ডব্লিউএস-২২ রকেট লঞ্চার – ৪টি, নোরা বি-৫২ হাউইটজার – ৬টি এবং এসএলসি-২ রাডার – ১টি)

৪। এয়ার ডিফেন্স ইউনিট (একটি এফএম-৯০ ইউনিট)

৫। ট্রান্সপোর্ট ইউনিট (২০টি ট্রাক, ২০টি টেকনিক্যাল। সাথে এটিজিম থাকা উচিত।)

৬। ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট (সাথে মাইন ক্লিয়ারেন্স এবং রিভার ক্রসিং ইকুইপমেন্ট থাকতে পারে)

৭। সিগনালস ইউনিট (স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সহ)

৮। মেডিক্যাল ইউনিট

৯। মেইনটেন্যান্স ইউনিট

১০। প্যারাকমান্ডোদের একটি ডিটাচমেন্ট

নৌ ইউনিটঃ

এর প্রধান কাজ হবে সেনা এবং বিমান ইউনিটসমূহকে পরিবহণ করা এবং পরিবহণ করার ও বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানের সময় সমুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। একইসাথে বন্ধুদেশের নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সাথে প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া। এখানে সাতটি জাহাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই ইউনিট এর চাইতে ছোট বা বড় হতে পারে। যে জাহাজগুলি এখনও বাংলাদেশের নেই, সেগুলি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেয়া হয়েছে কিছু উদাহরণের মাধ্যমে। এখানে এই নৌ ইউনিটটি বন্ধু দেশের বন্দরের উপরে নির্ভর করবে; অর্থাৎ বন্ধুর বাড়িতে ঢোকার পথ হলো বন্ধুই দরজা খুলবে। এখানে এমন কোন ইউনিট থাকবে না, যা কিনা বন্ধুর বাড়ির জানালার সিঁদ কেটে ঢোকার মতো মনে হয়।

এই ইউনিটে থাকতে পারে -

১। একটি ফ্রিগেট (সাথে একটি হেলিকপ্টার থাকলে সবচাইতে ভালো; না থাকলে অন্য কোন ইউনিটে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করতে হবে)

২। একটি এলপিসি (দুর্জয়-ক্লাস)

৩। একটি ওপিভি (কোস্ট গার্ডের সাদা রঙের একটি জাহাজ এখানে বেশি মূল্যবান হবে)

৪। একটি ট্রুপ শিপ (১,০০০ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি জাহাজ, যা বাণিজ্যিকভাবে কিনে নিজেদের প্রয়োজনে পরিবর্তন করে নেয়া যেতে পারে। এতে অবশ্যই ১,০০০ মানুষের কমপক্ষে তিন সপ্তাহ থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। হেলিপ্যাড এবং স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন অতি দরকারী ব্যাপার হবে। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রাক্তন জাহাজ বিএনএস শহীদ সালাহউদ্দিন-এর নাম বলা যেতে পারে, যদিও এখন এর চাইতে আরও আপডেটেড জাহাজ দরকার হবে।)

৫। একটি কনটেইনার শিপ (১৬০ থেকে ১৮০ মিটারের মাঝে, যা কিনা চট্টগ্রাম বন্দরে ঢুকতে পারে এবং আফ্রিকার বেশিরভাগ বন্দরে ঢুকতে পারবে। এটিকে বিমান এবং অনান্য সরঞ্জামাদি পরিবহণে ব্যবহার করা হবে। বাণিজ্যিকভাবে কিনে এটাকে এমনভাবে পরিবর্তন করতে হবে যাতে ডেকের উপরে বিমান বহণ করা যায়। মোটামুটি ১৪-১৫টা বিমান বহণ করার মতো সক্ষমতা থাকলে এটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। কিছু অংশ হেলিপ্যাডের জন্যে খোলা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে উদাহরণ হবে ফকল্যান্ড যুদ্ধের সময়ে ব্রিটিশ রয়াল নেভির ব্যবহৃত ২০১২ মিটার লম্বা এবং ১৫,০০০ টনের ‘আটলান্টিক কনভেয়র’ এবং ‘আটলান্টিক কজওয়ে’, যেগুলির ডেকের উপরে করে ২৪ থেকে ২৮টি বিমান নেয়া হয়েছিল ফকল্যান্ডে।)

৬। একটি রো-রো ফেরি (বাণিজ্যিকভাবে কিনে এটাকে নিজেদের প্রয়োজনে পরিবর্তন করে নেয়া যাবে। সামরিক গাড়ি এবং সরঞ্জাম এই ফেরি বহণ করবে। এটার আকারও ১৬০ থেকে ১৮০ মিটারের মতো হওয়া উচিত বন্দর সুবিধা নেবার জন্যে। উদাহরণস্বরূপ রয়াল নেভির ‘পয়েন্ট-ক্লাস’এর কথা বলা যেতে পারে। ১৯৩ মিটার এবং ২৩,০০০ টনের এই জাহাজগুলি ১৩০টি সাঁজোয়া যান এবং ৬০টি ট্রাক বহণ করতে পারে।)

৭। একটি সাপ্লাই জাহাজ (পথে জ্বালানি বা অন্য কোনকিছুর সরবরাহের ঘাটতি পূরণ করতে পারার মতো। তবে পুরো পথের সরবরাহ নিশ্চিতের দরকার নেই। বাংলাদেশের জাহাজ পৃথিবীর বেশিরভাগ বন্দরেই “ওয়েলকাম”)

৮। স্পেশাল ফোর্স সোয়াডস-এর একটি ডিটাচমেন্ট (সাথে হাই-স্পিড বোট থাকা উচিত।)

বিমান ইউনিটঃ

বিমান ইউনিটের মাঝে সব ধরনের বিমানই রাখা হয়েছে। প্রশিক্ষণ সকল ক্ষেত্রেই দরকার; তাই বিমানের ধরনের ক্ষেত্রেও তা-ই হওয়া উচিৎ। সংখ্যার দিক থেকে একটা ধারণা এখানে দেয়া হয়েছে। মনে রাখতে হবে যে এখানে যে সংখ্যা বলা হবে, তা কিন্তু পরিবহণও করতে হবে।

এই ইউনিটে থাকতে পারে -

১। একটি ফাইটার ইউনিট (এফ-৭বিজি – ৪টি এবং এফ-৭বিজিআই ৪টি)

২। একটি ট্রান্সপোর্ট ইউনিট (এলইটি-৪১০ – একটি। এটি নিজ শক্তিতে উড়ে গন্তব্যে যাবে, যদিও বাকিরা যাবে জাহাজে।)

৩। হেলিকপ্টার ইউনিট (এমআই-১৭১ – ৪টি এবং আগুস্টা এ-১০৯ – ২টি)

৪। ড্রোন ইউনিট (অবজারভেশন মিশনের জন্যে একটি ড্রোন ইউনিট অবশ্যই থাকা উচিত)

৫। রাডার ইউনিট (একটি এয়ার সার্চ রাডার গ্রাউন্ডে বসানোর জন্যে এই কমান্ডে থাকা উচিত)

৬। মেইনটেন্যান্স ইউনিট

৭। এয়ারবেইস ইউনিট (এরকম ইউনিট বাংলাদেশ আফ্রিকার একাধিক দেশে মোতায়েন করেছে। এরকমই আরেকটি ইউনিট এই কমান্ডে থাকতে পারে।)

উদাহরণ হিসেবে কয়েকটি রাষ্ট্রের কথা বলা যেতে পারে, যাদের সাথে বন্ধুপ্রতীম প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা আদান-প্রদান হতে পারে; যেমন – শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, তাঞ্জানিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, ইত্যাদি। দূরত্ব হিসেবে এধরনের প্রশিক্ষণ মিশনের দৈর্ঘ্য নির্ধারিত হতে পারে। ‘ওভারসীজ ট্রেনিং কমান্ড’এর মাধ্যমে এরকম মিশনে বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা এবং প্রফেশনালিজম যেমন আরও উন্নত হবে, তেমনি বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের বন্ধুর সংখ্যা বাড়বে। একইসাথে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির উন্নয়ন হবে এবং বিশ্বব্যাপী প্রভাবও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। শক্তিশালী বাংলাদেশ শুধু কাগজে-কলমে থাকলেই হবে না, বাস্তব জীবনে দেখাতে হবে। আর সেক্ষেত্রে সামরিক সক্ষমতা একটি অপরিহার্য প্রয়োজন।

২৭শে এপ্রিল ২০১৭


Always mention a bit of conclusive translation for the interest of International Readers that everyone does not understands regional language(s).
 
.
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ওভারসীজ ট্রেনিং কমান্ড গড়ার সময় এসেছে

- Ahmed Sharif
Chief Analyst, Geopolitical Thought

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সক্ষমতার বৃদ্ধির সাথে সাথে বিশ্বের কাছে বাড়ছে বাংলাদেশের সন্মান, প্রতিপত্তি, প্রভাব। এর মাঝে যে ব্যাপারটি বড় একটি ভূমিকা রাখে তা হলো সামরিক সক্ষমতা। এই সক্ষমতা বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রের বর্তমান প্রচেষ্টা দৃশ্যমান। বাংলাদেশের সাবমেরিন ক্রয়ের সাথে সাথে সক্ষমতা তৈরির নীতির জানান দেয়া হয়েছে মাত্র। তবে সাবমেরিনের এই উপাখ্যান দরকার ছিল পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশের নামকে জাহির করার। যদিও এই জাহির করার মাঝে একটি কালো দাগ পড়েছে ভারতের সাথে সামরিক সমঝোতা করার মাঝ দিয়ে। তথাপি সক্ষমতা বৃদ্ধির এই প্রচেষ্টা রাষ্ট্রের চিন্তাশীল মহল অব্যাহতই রাখতে চান, এবং একইসাথে ভারতের প্রভাবকে নিষ্ক্রিয় দেখার ইচ্ছাই এক্ষেত্রে প্রবল। ভারতের প্রভাবকে নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে একটি প্রধান চিন্তা হবে বাংলাদেশের প্রভাবকে বৃদ্ধি করা। এই প্রভাব বৃদ্ধি ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে জাকার্তায় আইওআরএ শীর্ষ বৈঠকে, ঢাকায় আইপিইউ সন্মেলনে, কসোভোকে স্বীকৃতির মাঝ দিয়ে, এবং এশিয়া-আফ্রিকা-দক্ষিণ আমেরিকায় কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক কর্মকান্ডকে ভিন্ন উচ্চতায় নেবার মাধ্যমে। এখান এই প্রভাবের মাঝে সামরিক সক্ষমতাকে ‘ফিট’ করার পালা।

বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের সৈন্যদের শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণের মাঝে দিয়ে বেশকিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে বটে, তবে সেই অপারেশনগুলি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সীমিত অবদানই রাখবে। কারণ শান্তিরক্ষী মিশনের লক্ষ্য বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর প্রভাব বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে নয়। অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রভাব বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণ বড় ভূমিকা রাখবে না। সত্যিকার অর্থে, এধরনের প্রভাব বৃদ্ধি যাতে না হয়, জাতিসংঘ সেটা লক্ষ্য রাখে। কাজেই বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে শান্তিরক্ষী মিশনের বাইরেও অপশন খুঁজতে হবে।

বন্ধুর সাথে প্রশিক্ষণ – নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতার উত্তম ক্ষেত্র

বাংলাদেশ পৃথিবীতে বন্ধু খোঁজে। আর সেকারণেই আফ্রিকার বহু দেশে বাংলাদেশের বন্ধু তৈরি হয়েছে, যেখানে অনান্য অনেক দেশ নির্যাতকের তকমা নিয়ে আফ্রিকা ছাড়ছে। বন্ধু বন্ধুর বাড়িতে ঢোকে দরজা দিয়ে; কারণ বন্ধু বন্ধুর জন্যেই দরজা খুলে দেয়। চোর বা ডাকাত বাড়িতে ঢোকে সিঁদ কেটে। চোরের তাই দরকার হয় সিঁদ কাটা যন্ত্রপাতির। বাংলাদেশের সেধরণের যন্ত্রপাতির দরকার নেই। বরং বন্ধুত্ব প্রগাঢ় হয়, এমন জিনিসই বাংলাদেশ সাথে নেবে। বন্ধুর কাছ থেকে বন্ধু কিছু পায়; চোরের কাছ থেকে নয়। বরং চোর মানুষের কাছ থেকে জিনিস কেড়ে নেয়। বাংলাদেশের বন্ধুরাও বাংলাদেশের কাছ থেকে কিছু পাবে; তাই তারাও বাংলাদেশের বন্ধু হতে চাইবে। বাংলাদেশ সামরিক দিক থেকে প্রশিক্ষণকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছে, যা সারা বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর প্রফেশনালিজম বাকি দুনিয়ার মানুষ দেখেছে বিভিন্ন সময়ে। আর সেকারণেই পৃথিবীর বহু দেশের সামরিক অফিসাররা এখানে আসে প্রশিক্ষণের জন্যে। এই একই ইমেজটা বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ধরে রেখেছে বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী মিশনে। তবে এখন এই শান্তিরক্ষী মিশনের মাঝে আটকে না থেকে অভিজ্ঞতা এবং প্রফেশনালিজমকে পুঁজি করে বাকি বিশ্বের কাছে বন্ধুত্বের বাণী পৌঁছে দিতে হবে। আর এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ হবে উত্তম একটি সহযোগিতার ক্ষেত্র। বিশ্ব পরিসরে বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতার প্রভাবকে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে গেলে যে বিষয়গুলি বেশি গুরুত্ব পাবে, তার মাঝে থাকবে প্রশিক্ষণ।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী নিজ দেশে অন্য দেশের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় দেশের মাটিতে নিজেকে আটকে রাখাটা দূরদর্শিতার পরিচায়ক নয়। বাংলাদেশের নিরাপত্তা এখন শুধু ১৯৪৭-এ ব্রিটিশদের নির্ধারণ করে দেয়া ১ লক্ষ ৪৪ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মাঝে নয়। যখন প্রায় কোটিখানেক বাংলাদেশী দুনিয়ার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে, তখন এদেশের সশস্ত্র বাহিনীর দেশে বসে বসে ভাববার সময় নেই। বাংলাদেশের হাজারো সৈন্য এখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে; বিশেষ করে আফ্রিকায়। সুতরাং নিরাপত্তার সংজ্ঞা নিয়ে ভাববার সময় এখন এসেছে; নিরাপত্তা-সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা নিয়েও ভাববার সময় এসেছে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের নিরাপত্তা দেবার মতো সক্ষমতা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর থাকতে হবে। নাহলে রাজনৈতিক-কূটনৈতিক বুলি ফাঁপা ঠেকবে। ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরুর পর সেই দেশ থেকে বাংলাদেশীদের সরিয়ে আনার জন্যে ভারতের (যাকে কিনা শত্রু রাষ্ট্র জ্ঞান করে দেশের বেশিরভাগ জনগণ) দ্বারে ধর্ণা দিতে হয়েছে, যা কিনা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উন্নত করেনি, বরং আরেকটি রাষ্ট্রের কাছে ঋণগ্রস্ত করে কূটনৈতিকভাবে দেশকে দুর্বল করেছে। কাজেই বাংলাদেশের বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক এবং সামরিক সক্ষমতা গড়াটা রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা গড়ার সাথে সম্পর্কিত। আর এখানেই আবারও আসছে প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতার কথা। বাংলাদেশের বন্ধুত্বের নীতির সাথে এর সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। বন্ধুর সাথে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অভিজ্ঞতার বিনিময় – এটাই হতে পারে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মূলমন্ত্র।

বন্ধু রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের বাইরে প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পদ্ধতি নিয়ে সক্ষমতা-বিষয়ক কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরি। যেমন বাংলাদেশের বাইরে এই প্রশিক্ষণ কর্মকান্ড পরিচালনা করার মতো সক্ষমতা কি বাংলাদেশের আছে? উত্তরে বলতে হবে যে অবশ্যই আছে। তবে একইসাথে এটাও বলতে হবে যে এই সক্ষমতা যথেষ্ট নয়। এই সক্ষমতাকে পরবর্তী উচ্চতায় নিতে কিছু সাংগঠনিক পরিবর্তন দরকার। যেমন, বাংলাদেশের বাইরে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে কিছু ইউনিট গঠন করে সেগুলিতে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পোস্টিং দেয়া যেতে পারে। এধরণের একটি ইউনিট সব বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হতে পারে। একটি ‘ওভারসীজ ট্রেনিং কমান্ড’এর অধীনে নিম্নোক্ত কিছু ইউনিট গঠন করা যেতে পারে –

সেনা ইউনিটঃ

সেনাবাহিনীর একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইউনিট থাকা উচিত, যা কিনা একত্রে বাংলাদেশের বাইরে মোতায়েন করা যাবে। আর বেশ কিছুদিনের জন্যে মোতায়েনও থাকতে পারবে। এর মূল ইউনিটটি একটি ব্যাটালিয়ন হলেও এর সাথে বেশকিছু অনান্য ইউনিট থাকা উচিত, যা কিনা একে কমপক্ষে ব্রিগেড পর্যায়ের মর্যাদা দেবে। আর ইউনিটটির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হবে এর মোবিলিটি। এর সকল কিছুই হবে হাইলি মোবাইল। তবে মোতায়েনের এলাকার উপর ভিত্তি করে এর কম্পোজিশন পরিবর্তিত করা যেতে পারে। এখানে ইউনিটের সংখ্যা সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

এই ইউনিটে থাকতে পারে -

১। একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন

২। মেকানাইজড ইউনিট (বিটিআর-৮০ এপিসি – ২০টি এবং অতোকার কোবরা এপিসি – ১২টি)

৩। আর্টিলারি ইউনিট (ডব্লিউএস-২২ রকেট লঞ্চার – ৪টি, নোরা বি-৫২ হাউইটজার – ৬টি এবং এসএলসি-২ রাডার – ১টি)

৪। এয়ার ডিফেন্স ইউনিট (একটি এফএম-৯০ ইউনিট)

৫। ট্রান্সপোর্ট ইউনিট (২০টি ট্রাক, ২০টি টেকনিক্যাল। সাথে এটিজিম থাকা উচিত।)

৬। ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট (সাথে মাইন ক্লিয়ারেন্স এবং রিভার ক্রসিং ইকুইপমেন্ট থাকতে পারে)

৭। সিগনালস ইউনিট (স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সহ)

৮। মেডিক্যাল ইউনিট

৯। মেইনটেন্যান্স ইউনিট

১০। প্যারাকমান্ডোদের একটি ডিটাচমেন্ট

নৌ ইউনিটঃ

এর প্রধান কাজ হবে সেনা এবং বিমান ইউনিটসমূহকে পরিবহণ করা এবং পরিবহণ করার ও বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানের সময় সমুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। একইসাথে বন্ধুদেশের নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সাথে প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া। এখানে সাতটি জাহাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই ইউনিট এর চাইতে ছোট বা বড় হতে পারে। যে জাহাজগুলি এখনও বাংলাদেশের নেই, সেগুলি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেয়া হয়েছে কিছু উদাহরণের মাধ্যমে। এখানে এই নৌ ইউনিটটি বন্ধু দেশের বন্দরের উপরে নির্ভর করবে; অর্থাৎ বন্ধুর বাড়িতে ঢোকার পথ হলো বন্ধুই দরজা খুলবে। এখানে এমন কোন ইউনিট থাকবে না, যা কিনা বন্ধুর বাড়ির জানালার সিঁদ কেটে ঢোকার মতো মনে হয়।

এই ইউনিটে থাকতে পারে -

১। একটি ফ্রিগেট (সাথে একটি হেলিকপ্টার থাকলে সবচাইতে ভালো; না থাকলে অন্য কোন ইউনিটে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করতে হবে)

২। একটি এলপিসি (দুর্জয়-ক্লাস)

৩। একটি ওপিভি (কোস্ট গার্ডের সাদা রঙের একটি জাহাজ এখানে বেশি মূল্যবান হবে)

৪। একটি ট্রুপ শিপ (১,০০০ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি জাহাজ, যা বাণিজ্যিকভাবে কিনে নিজেদের প্রয়োজনে পরিবর্তন করে নেয়া যেতে পারে। এতে অবশ্যই ১,০০০ মানুষের কমপক্ষে তিন সপ্তাহ থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। হেলিপ্যাড এবং স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন অতি দরকারী ব্যাপার হবে। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রাক্তন জাহাজ বিএনএস শহীদ সালাহউদ্দিন-এর নাম বলা যেতে পারে, যদিও এখন এর চাইতে আরও আপডেটেড জাহাজ দরকার হবে।)

৫। একটি কনটেইনার শিপ (১৬০ থেকে ১৮০ মিটারের মাঝে, যা কিনা চট্টগ্রাম বন্দরে ঢুকতে পারে এবং আফ্রিকার বেশিরভাগ বন্দরে ঢুকতে পারবে। এটিকে বিমান এবং অনান্য সরঞ্জামাদি পরিবহণে ব্যবহার করা হবে। বাণিজ্যিকভাবে কিনে এটাকে এমনভাবে পরিবর্তন করতে হবে যাতে ডেকের উপরে বিমান বহণ করা যায়। মোটামুটি ১৪-১৫টা বিমান বহণ করার মতো সক্ষমতা থাকলে এটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। কিছু অংশ হেলিপ্যাডের জন্যে খোলা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে উদাহরণ হবে ফকল্যান্ড যুদ্ধের সময়ে ব্রিটিশ রয়াল নেভির ব্যবহৃত ২০১২ মিটার লম্বা এবং ১৫,০০০ টনের ‘আটলান্টিক কনভেয়র’ এবং ‘আটলান্টিক কজওয়ে’, যেগুলির ডেকের উপরে করে ২৪ থেকে ২৮টি বিমান নেয়া হয়েছিল ফকল্যান্ডে।)

৬। একটি রো-রো ফেরি (বাণিজ্যিকভাবে কিনে এটাকে নিজেদের প্রয়োজনে পরিবর্তন করে নেয়া যাবে। সামরিক গাড়ি এবং সরঞ্জাম এই ফেরি বহণ করবে। এটার আকারও ১৬০ থেকে ১৮০ মিটারের মতো হওয়া উচিত বন্দর সুবিধা নেবার জন্যে। উদাহরণস্বরূপ রয়াল নেভির ‘পয়েন্ট-ক্লাস’এর কথা বলা যেতে পারে। ১৯৩ মিটার এবং ২৩,০০০ টনের এই জাহাজগুলি ১৩০টি সাঁজোয়া যান এবং ৬০টি ট্রাক বহণ করতে পারে।)

৭। একটি সাপ্লাই জাহাজ (পথে জ্বালানি বা অন্য কোনকিছুর সরবরাহের ঘাটতি পূরণ করতে পারার মতো। তবে পুরো পথের সরবরাহ নিশ্চিতের দরকার নেই। বাংলাদেশের জাহাজ পৃথিবীর বেশিরভাগ বন্দরেই “ওয়েলকাম”)

৮। স্পেশাল ফোর্স সোয়াডস-এর একটি ডিটাচমেন্ট (সাথে হাই-স্পিড বোট থাকা উচিত।)

বিমান ইউনিটঃ

বিমান ইউনিটের মাঝে সব ধরনের বিমানই রাখা হয়েছে। প্রশিক্ষণ সকল ক্ষেত্রেই দরকার; তাই বিমানের ধরনের ক্ষেত্রেও তা-ই হওয়া উচিৎ। সংখ্যার দিক থেকে একটা ধারণা এখানে দেয়া হয়েছে। মনে রাখতে হবে যে এখানে যে সংখ্যা বলা হবে, তা কিন্তু পরিবহণও করতে হবে।

এই ইউনিটে থাকতে পারে -

১। একটি ফাইটার ইউনিট (এফ-৭বিজি – ৪টি এবং এফ-৭বিজিআই ৪টি)

২। একটি ট্রান্সপোর্ট ইউনিট (এলইটি-৪১০ – একটি। এটি নিজ শক্তিতে উড়ে গন্তব্যে যাবে, যদিও বাকিরা যাবে জাহাজে।)

৩। হেলিকপ্টার ইউনিট (এমআই-১৭১ – ৪টি এবং আগুস্টা এ-১০৯ – ২টি)

৪। ড্রোন ইউনিট (অবজারভেশন মিশনের জন্যে একটি ড্রোন ইউনিট অবশ্যই থাকা উচিত)

৫। রাডার ইউনিট (একটি এয়ার সার্চ রাডার গ্রাউন্ডে বসানোর জন্যে এই কমান্ডে থাকা উচিত)

৬। মেইনটেন্যান্স ইউনিট

৭। এয়ারবেইস ইউনিট (এরকম ইউনিট বাংলাদেশ আফ্রিকার একাধিক দেশে মোতায়েন করেছে। এরকমই আরেকটি ইউনিট এই কমান্ডে থাকতে পারে।)

উদাহরণ হিসেবে কয়েকটি রাষ্ট্রের কথা বলা যেতে পারে, যাদের সাথে বন্ধুপ্রতীম প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা আদান-প্রদান হতে পারে; যেমন – শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, তাঞ্জানিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, ইত্যাদি। দূরত্ব হিসেবে এধরনের প্রশিক্ষণ মিশনের দৈর্ঘ্য নির্ধারিত হতে পারে। ‘ওভারসীজ ট্রেনিং কমান্ড’এর মাধ্যমে এরকম মিশনে বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা এবং প্রফেশনালিজম যেমন আরও উন্নত হবে, তেমনি বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের বন্ধুর সংখ্যা বাড়বে। একইসাথে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির উন্নয়ন হবে এবং বিশ্বব্যাপী প্রভাবও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। শক্তিশালী বাংলাদেশ শুধু কাগজে-কলমে থাকলেই হবে না, বাস্তব জীবনে দেখাতে হবে। আর সেক্ষেত্রে সামরিক সক্ষমতা একটি অপরিহার্য প্রয়োজন।

২৭শে এপ্রিল ২০১৭
The growth of Bangladesh's economic and diplomatic capabilities to the world with increasing Bangladesh's honor, prestige, influence. The biggest surprise in a role is military capabilities. Current state efforts to increase this capacity. With the purchase of the Bangladesh submarine capabilities of policy have been given the report. However, in this episode of the submarine was Earth named Zahir of Bangladesh. Although Zahir has a black spot in the middle of dealing with the military of India. Yet these efforts capacity continue to want to state that Palace is, and at the same time the influence of India will see disabled in this case. India is a major concern for the disabled of the impact will be to increase the impact of Bangladesh. This influence is already visible in Dhaka iporiu sonormelne aioara Summit Jakarta, recognize Kosovo, and through the Asia-Africa-South America through diplomatic and commercial activity to a different height. In the midst of military capabilities of this effect here "FT".

Bangladesh soldiers to participate in peacekeeping missions has been some experience with in the middle of the store, the operation is limited to the capacity of Bangladesh's national contribution. Because the goal of the military of Bangladesh peacekeepers mission to increase the impact of the Centre. In other words, the effect of the increase in global peace keeping mission to Bangladesh to participate in the great repression. Honestly, such effects should not be increased, the UN's mission. So Bangladesh military capacity in peacekeeping missions outside the option to look for.

With better cooperation in the field of training – security

Looking for friends in Bangladesh. And for this reason, many countries in Africa, friends of Bangladesh is prepared, where the other many countries with Africa medal narirujatar his money. Enter friend's House Gate; Because it opens the door for friend. The thief or thieves enter sarid cut at home. Thieves need cutting equipment that sarid. Sedharan equipment of Bangladesh. In fact, a profound friendship that turns with Bangladesh. Some friends from friends. Not from a thief. But the thief takes things from people. Friends of Bangladesh and Bangladesh will have from; So they want to be friends of Bangladesh. Bangladesh military training from a level, which is an example to the world. Porfethonel the rest of the world of the military of Bangladesh people saw at different times. And for this reason, many countries in the world come here for training military officers. This is the same image of the Bangladesh armed forces possess a global peace mission. However, this is not stuck in the middle of the peacekeepers mission experience and parfeshnal to the rest of the world by capital to deliver the message of friendship. And in this case will best support training field. The effect of the military of Bangladesh in the global space capabilities as an important driving force to use things more seriously, he will be in training.

Bangladesh armed forces in military training in other countries. But the current reality on the ground, the country's detained himself is not identification of prudence. Bangladesh's security now only sets the British in 1947, received 1 million 44 thousand square kilometers in the middle of. When is spread almost everywhere, a Bangladeshi koterkhanek present in the armed forces should sit in no time. Thousands of Bangladesh troops now in different parts of the world. Especially in Africa. So now the time has come to think about the definition of security. Security-related training and experience and time to think. Bangladesh commitments and issues like the security capabilities of the armed forces of Bangladesh. Or political-diplomatic gesture hollow thekbe. After the start of the war in Yemen, the country moved from India to the Bangladeshi (which most of the country by public knowledge on whether enemy country) back to the door, which did not improve the image of Bangladesh, but another State by diplomatic debt to weakening the country. So building political and military capabilities worldwide of Bangladesh's national capacity building related to the. And here again and coming training and experience. Bangladesh's policy of coordinating with friends. Exchange of experience through training with friends – it can be the military capacity of the p.

Friend outside Bangladesh with training and experience exchange with the process of finding answers to important questions about capabilities. For example, to manage the training activities outside of Bangladesh as Bangladesh's capacity? I must say that in the North. But at the same time it will say that this ability is not enough. The ability to change some organizing the next height. For example, some units for the purpose of training activities outside of Bangladesh formed the military members on posting can be given. Type a unit composed of all forces. A "training command, under some ' oversiz unit can be the following-

Army unota

There should be a complete unit of the army, which will be deployed outside the country together. And can be deployed for a while. Its main unit and a battalion along with several other units should be at least one brigade, the level of dignity. One of the main features of the unit and its mobility. It all will be highly mobile. However, depending on the area of deployed its composition can be changed. Here's an idea about the number of units has been trying.

This unit may be in-

1. An infantry battalion

2. Mecanized unit (bartair-80 APC joins @isoc_yemen-20 and atokar Cobra APC joins @isoc_yemen-12)

3. Artillery unit (dobrewis-22 rocket launchers-4, Nora b-52 howitzer-6 and eselsa-2 radar-1)

4. Air defence unit (an FM-90 units)

5. Transport unit (20 trucks, 20 technical. Should be ethezem with. )

6. Engineering unit (with minor clearance and river crossing equipment can be)

7. Sorgnals units (satellite communication)

8. Medical unit

9. Meinten unit

10. Parijarakman a dotacmanret

Naval unota

Its main purpose is to transport army and air units and transport, and at the time of the location outside the Bangladesh marine security. At the same time taking part in the training with the Navy and vonedhudesh kosortaridgud. There has been mention of the seven ships. However, the unit may be small or large than this. That the ship is not in Bangladesh now, these are some examples of some of the ideas have been given. Here naval units will depend on the country's port of friends; That friend's home is open door friends pathways. There will not be any such unit, which cut off at a friend's House window seems like entering sarid.

This unit may be in-

1. A foureghet (if you have a helicopter with the best; if you do not have any other unit helicopter)

2. A elparso (invincible-class)

3. A oppevo (coast guard ship will be a more valuable here, white)

4. A troop ship (a ship capacity 1,000, which requires changes in themselves to buy commercially. There must be at least three weeks of 1,000-food system. Helapiread and satellite communication would be very useful. For example, former Bangladesh Navy ship bornes Shahid Salahuddin's name can be said to be, although you'll need more updated than this ship. )

5. A container ship (180 meters from the 160, which may enter the Chittagong Port and most of the African port of entry. It will be used to transport aircraft and damaging others. Commercially bought it must change in such a way that the plane carried on deck. Approximately 14-15 plane carried it enough capacity to keep an important role. Open for heloprijad a share. In this case, for example, the British Royal Navy during the Falklands war will be used by the 2012 metres long and 15,000 tons of Atlantic, Atlantic Causeway that conves ' and ' call of 28 airlines from 24 on the Falkland Islands was taken. )

6. A row-row need to buy their own (commercial ferry changes. Military vehicle and equipment carried in the shuttle. This size should be like 160 and 180 metres from port advantages for. For example, the Royal Navy's ' point class "can talk. 193 meters and 23,000 tons this ship are rorrter armored and 60 trucks carried. )

7. A supply ship (or any other fuel supplies can meet the deficit. However, there is no need to ensure supply of the whole way. Bangladesh's ship on Earth, most of the port is "you're welcome")

8. Special forces soirydes a dotacmanret (with hi-speed boat. )

Air unota

It is all kinds of aircraft in the middle of the air unit. Training is necessary in all cases; So in the case of the plane and it should be. Here are a number of ways. Remember that the number will be called, but transport.

This unit may be in-

1. A fighter unit (f-rborzo-4, and f-rabraj 4)

2. A transport unit (Let-410-a. Will it fly in destination, although others will ship. )

3. Helicopter unit (emai-171-4 and 109-agus-2)

4. Drone units (observation mission should be a drone for the course unit)

5. Radar unit (an air search radar ground sits in for should be in command)

6. Meinten unit

7. Ajerbeis unit (this unit has deployed multiple countries in Africa, Bangladesh. This may be another unit of this command. )

For example, several countries can speak, with whom bonridhupim training and experience exchange; Such as Sri Lanka, Maldives, Tanzania, Kenya, Somalia, Mozambique, Nigeria, Sierra Leone, etc. The length of such training mission as a distance can be determined. "This mission via the command" oversiz training Bangladesh's military capabilities will improve, and porfethonel such as worldwide number of friends of Bangladesh. At the same time the development of the image of Bangladesh and will multiply the effect around the world. Strong Bangladesh just will not stay in a pen and paper, in real life. And then an essential military capabilities.

27 April 2017


A rough translation by iTranslate, which google translate did a worse job at translating.
 
.
OK Let me do my bit...............refined it some more.


------------------------------------------------------------------
The growth of Bangladesh's economic and diplomatic capabilities brings to the world increasing honor, prestige, influence. The biggest surprise in this role is military capability. Current state efforts is visible in increasing this capability.

The policy behind this capability has been shown with the purchase of the two-strong Bangladesh submarine fleet. Submarine purchase was necessary to present the name of Bangladesh as an up and coming military entity.

Although this presentation and nomination did have a black spot which included the military MOU with Indian administration.

Although the local military intelligentsia, planners and strategists want to keep this increase in military capability mobilized, at the same time they want the influence of India in local military affairs increasingly lessened.

A major strategy to slowly disable Indian influence in regional affairs will be to increase influence of Bangladesh in local diplomatic events and fora, which we have neglected thus far.

This influence is already visible in the IORA Summit in Jakarta, the IPU summit in Dhaka, the act of recognizing Kosovo by Bangladesh and the recent raising of diplomatic and trade/commercial activity in Asia-Africa-South America to a different level.

The time has now come to 'Fit' military diplomacy within the framework of trade and other types of diplomacy in these nations by Bangladesh.

Bangladesh has gained quite a bit of experience by its soldiers participating in overseas peacekeeping missions, however these operation will contribute little to the capacity of Bangladesh's military influence and diplomacy overseas.

The goal of Bangladesh military peacekeepers missions does not revolve around increasing the nation's military diplomacy. The UN keeps an eye on such efforts and will resist them. So Bangladesh needs other options outside UN missions to increase military diplomacy.

Cooperation in the field of training foreign armies, and especially in security – is a key to increasing friendly relationships with friendly nations.

When Bangladesh is looking for friends in the world it can use already developed friendly relations with many nations in Africa to extend a friendly hand of cooperation. At the same time there are many countries are leaving Africa with 'oppressor' stamped on their records.

When one enters a friend's House they come in through the gate; because friends opens doors for friends. Thieves enter someone's home through the back door or tunnel under. Thieves need tunneling/covert equipment and techniques. Bangladesh has no need for such equipment.

Bangladesh only needs the intent of establishing profound friendships in foreign nations.

Friends get help and goods from friends. But thieves only take things without permission from people. Friends of Bangladesh will get cooperation and assistance from Bangladesh - that's why they will want to be friends of Bangladesh.

Bangladesh has taken military training to such a level, which is an example to the world. The world has observed the professionalism of the military of Bangladesh at various times all around the world. And for this reason, many countries in the world come to Bangladesh for training their military officers.

This is the same image the Bangladesh armed forces preserved on its global peace missions. However, the next act will be not to stay stuck in the middle of the peacekeepers mission experience and to deliver the message of friendship to the rest of the world by capitalizing on the professionalism and experience gained from them.

And in this case the best support will be to impart training in the field of peacekeeping to friendly nations. Which will in turn increase our military diplomacy around the world.

Bangladesh armed forces currently imparts military training to military personnel from friendly countries within Bangladesh. But it will not be prudent and farsighted in the future to limit such training on the ground within Bangladesh.

Bangladesh's security is simply not set within the 1 million 44 thousand square kilometers the British set in 1947. When ten million Bangladeshis are spread almost everywhere in the world, the armed forces should not sit at home and limit their activity there.

Thousands of Bangladesh troops now spread around in different parts of the world- especially in Africa. So now the time has come to think about the definition of security. Bangladesh needs to think about Bangladeshi commercial, military and diplomatic interests worldwide and how to protect these interests, and most importantly - have the contextual capability to do so. Otherwise empty words of diplomacy will have no value to anyone.

After the start of the war in Yemen, Bangladesh had to seek help from India (which most Bangladeshis consider an enemy state) to repatriate its citizens, which did not improve the image of Bangladesh, and which indebted Bangladesh diplomatically and thus weakened the image of the country. So building political and military capabilities worldwide of Bangladesh's national capacity building related to this is necessary. And talking about training and experience - Bangladesh's policy of coordinating and exchange of experience through training with friends in different climates and scenarios – can be the key to increasing military capability itself.

We need to find answers to important questions about Bangladesh's external military capabilities. For example, can Bangladesh manage the training activities outside Bangladesh? I must say that this is affirmative. But at the same time I will have to say that this ability is not sufficient. Organizing these activities need to be elevated to another level upward. For example, some units for training activities can be posted outside of Bangladesh. This unit composed of all forces can be termed "Overseas training command" .

Army Units

There should be a complete unit of the army, which will be deployed outside the country altogether. And can be deployed for a while. Its main unit and a battalion along with several other units should be at least the level of one brigade. One of the main features of this unit will be its mobility. All features will need to be highly mobile. However, depending on the area of deployment its composition can be changed. Here's an idea about the number of units has been trying.

This unit may be in-

1. An infantry battalion

2. Mechanized unit (BTR-80 APC -20 nos and Otokar Cobra APC -12 nos)

3. Artillery unit (WS-22 rocket launchers-4, Nora b-52 howitzer-6 and SLC-2 radar-1)

4. Air defence unit (one FM-90 unit)

5. Transport unit (20 trucks, 20 technical. Should include ATGM)

6. Engineering unit (can have minor clearance and river crossing equipment)

7. Signals unit (w/satellite communication)

8. Medical unit

9. Maintenance unit

10. Paracommando detachment

Naval Units

Its main purpose is to transport army and air units, and ensure security at locations outside Bangladesh. At the same time taking part in the training with the Navy and Coastguards of friendly countries. There has been mention of the seven ships. However, the unit may be small or large than this. Some ships which are not in Bangladesh fleet, some examples have been given.

This unit may have-

1. A Frigate (if you have a helicopter that is best; otherwise other units helicopters can be used)

2. An LPC (invincible-class or Durjoy class)

3. An OPV (coast guard ship will be a more valuable here, white)

4. A troop ship (a ship capacity of 1,000 troops), which can be purchased and changed. There must be at least three weeks of rooming and boarding 1,000-troops. Helipad and satellite communication will be required. For example, former Bangladesh Navy ship BNS Shahid Salahuddin's name can be mentioned, although we'll need something more updated than that ship).

5. A container ship (160 to 180 meters size, which is capable of entering Chittagong Port and most of the African port of entry. It will be used to transport aircraft and other large items. Can be bought commercially and modified it must change in such a way that the planes can be carried on deck. Approximately needs to carry 14-15 planes and also space for a helipad. In this case, for example, the British Royal Navy can be quoted which used Atlantic Conveyor and Atlantic Causeway during the Falklands war which were 2012 meters long and 15,000 tons carrying 24 to 28 airplanes to Falkland Islands)

6. A need to buy RO-RO commercial ferry and changed to carry Military vehicle and equipment. This size should be like 160 to 180 metres. For example, the Royal Navy's ' point class "can be mentioned. Sized at 193 meters and 23,000 tons this ships carry 130 armored vehicles and 60 trucks.

7. A supply ship (to meet fuel supplies which can meet the deficit). However, there is no need to ensure supply of the whole way. Bangladeshi ships are welcome at most any port.

8. Special forces SWADS detachment (with hi-speed boat. )

Air UNITS

There are all kinds of aircraft in the air unit. Training is necessary in all cases; So in the case of the plane and it should be. Here are a number of ways. Remember that the number will be called, but transport is necessary.

This unit may be in-

1. A fighter unit (F-7BG -4, and f-rabraj 4)

2. A transport unit (Let-410-a. Will it fly in destination, although others will ship. )

3. Helicopter unit (emai-171-4 and 109-agus-2)

4. Drone units (observation mission should be a drone for the course unit)

5. Radar unit (an air search radar ground sits in for should be in command)

6. Meinten unit

7. Ajerbeis unit (this unit has deployed multiple countries in Africa, Bangladesh. This may be another unit of this command. )

For example, several countries can speak, with whom bonridhupim training and experience exchange; Such as Sri Lanka, Maldives, Tanzania, Kenya, Somalia, Mozambique, Nigeria, Sierra Leone, etc. The length of such training mission as a distance can be determined. "This mission via the command" oversiz training Bangladesh's military capabilities will improve, and porfethonel such as worldwide number of friends of Bangladesh. At the same time the development of the image of Bangladesh and will multiply the effect around the world. Strong Bangladesh just will not stay in a pen and paper, in real life. And then an essential military capabilities.

27 April 2017


A rough translation by iTranslate, which google translate did a worse job at translating.[/QUOTE]
 
Last edited:
.

Pakistan Affairs Latest Posts

Back
Top Bottom