What's new

Bangladesh Media Watch

Dedicated to the Shabhag Mob! LOL


অরণ্যে রোদন
কী সুন্দর! কী শান্তিপূর্ণ!

আনিসুল হক | তারিখ: ১৯-০২-২০১৩

তরুণদের আন্দোলনের সৌন্দর্য দেখে আমরা মুগ্ধ। আগাগোড়া তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ আর অহিংস। তারা শাহবাগ চত্বরে সমবেত হয়েছিল প্রতিবাদ জানাতে। অল্প কয়েকজনই সমবেত হয়েছিল প্রথম বিকেলে, ধীরে ধীরে সেখানে সমবেত হতে থাকে লাখ লাখ মানুষ। সেই আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ে সারা দেশে, এমনকি সারা বিশ্বে। যেটা লক্ষ করার মতো, তারা একটা ঢিলও মারেনি, একটা গাড়িরও কাচ ভাঙেনি, কোথাও কাউকে আঘাত করেনি, কোথাও আগুন জ্বালেনি। যা কিছু কষ্ট তারা নিজেরা করছে। যা কিছু আঘাত তারা নিজের বুক পেতে গ্রহণ করছে। কিন্তু পাল্টা আঘাত তারা করতে যায়নি। অথচ উসকানি আসছে বিপরীত পক্ষ থেকে।

কী যে সৃজনশীল একেকটা কর্মসূচি তারা গ্রহণ করছে। তারা বলল, তিন মিনিটের জন্য নীরব থাকুন, যে যেখানে পারেন। অফিস-আদালত-হাটবাজার থেকে লোকজন বেরিয়ে নেমে পড়ল রাস্তায়, সারা বাংলাদেশ নীরব হয়ে রইল তিন মিনিট। আমার ঘোরতর সন্দেহ ছিল এই কর্মসূচির সাফল্য নিয়ে। অতীতে আরও দু-একবার এ ধরনের প্রতীকী কর্মসূচি কেউ কেউ ঘোষণা করেছিলেন, সেসবে তেমন সাড়া মেলেনি। সন্দিগ্ধমনের সমস্ত সন্দেহ উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে ঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। এরপর বলা হলো, মোমবাতি জ্বালানো হবে।

আমার মনে আবারও সন্দেহ। এই কর্মসূচি কে পালন করতে যাবে? আমার মনের সমস্ত দ্বিধা পুড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশে জ্বলে উঠল লাখ লাখ মোমবাতি। যিনি রাস্তায় নামলেন না, তিনি জ্বালালেন তাঁর নিজের ঘরের কোণটিতে। কেউ বা বারান্দার রেলিংয়ের ওপর। কেউ বা জ্বালালেন রাস্তার ফুটপাতে। আর হাতে হাতে মোমবাতি নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল লাখো মানুষ, সমাবেশে সমাবেশে। সেই মোমবাতির শিখা জ্বলছে, অন্ধকারে মনে হচ্ছিল আকাশ ভরা অনন্ত নক্ষত্রবীথি জ্বলছে, যেন জ্বলছে আমাদের ৩০ লাখ শহীদের অমর পবিত্র আত্মা। অভয়ের বার্তা রটে গেল সারা দেশে। মানুষের হূদয়ে হূদয়ে। এরপর আর কী সৃজনশীলতা দেখানো যাবে? আর কোনো অভূতপূর্ব কর্মসূচি ওরা নিতে পারবে? আমি লেখক, আমি নাট্যকার, আমাকে লেখার মধ্যে নতুন চরিত্র, নতুন ঘটনা, নতুন সংলাপ, নতুন উপমা, নতুন বিষয় প্রতিনিয়ত খুঁজে ফিরতে হয়। আমার মাথায় আর কোনো আইডিয়া তো আসছে না! তখন দেখলাম, ছেলেমেয়েরা আরেকটা কর্মসূচি ঘোষণা করল, সকাল ১০টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় একযোগে পতাকা উত্তোলন আর জাতীয় সংগীত গাওয়া। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি—তরুণ গলায় এই অপরূপ গানের মূর্ছনায় ভরে উঠল বাংলার আকাশ-বাতাস।

রবীন্দ্রনাথের এই গানটির নিশ্চয়ই অন্য কোনো মানে আছে—
এত দিন যে বসে ছিলেম পথ চেয়ে আর কাল গুনে
দেখা পেলেম ফাল্গুনে/

বালকবীরের বেশে তুমি করলে বিশ্বজয়—
এ কী গো বিস্ময়।
অবাক আমি তরুণ গলার গান শুনে/

সত্যি তরুণকণ্ঠের আহ্বান যেন আজ বিশ্ব জয় করল।

এই যে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, এই যে অহিংস কর্মসূচি, এই যে সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি পরিহার করা, এটাই আন্দোলনের শক্তি। শাসকেরা, অত্যাচারীরা, সন্ত্রাসীরা সবচেয়ে বেশি ভয় পায় মানুষের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে। আপনি যদি লাখো মানুষের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ঘটাতে পারেন, আপনাকে হরতাল ডাকতে হয় না। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে আট ফেব্রুয়ারি আর ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ দুই দিন সমাবেশ ডাকা হয়েছিল। লাখ লাখ মানুষ হাজির হয়েছে।

আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যদি কোনো সমাবেশে এক লাখ মানুষ সমবেত করতে চায়, তাদের তিন মাস আগে থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করতে হয়। এক লাখ লোক সমবেত করার জন্য অন্তত দুই হাজার বাস বা ট্রাক তাদের লাগে। দুই হাজার বাসের প্রতিটির জন্য পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হলে এক কোটি টাকা শুধু বাসভাড়া দিতে হয়। বস্তি থেকে মানুষ ধরে আনার জন্যও মাথাপিছু টাকা গুনতে হয়। সেই সব ঢাকাদর্শী মানুষ জনসভায় নেমেই এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। এ কারণে সমাবেশ না ডেকে হরতাল ডাকা হয়। কারণ, তাতে টাকাও খরচ হয় না, আর গায়েও খাটতে হয় না। একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দিলেই হলো।

আর দেখুন শাহবাগের শুক্রবারের সমাবেশগুলো। কাউকে ভাড়া করে আনতে হয়নি। কাউকে বাসে তুলতে হয়নি। তিন মাসের শিশুকে কোলে করে চলে এসেছে পুরো পরিবার, তেমনি ৮০ বছরের বৃদ্ধ এসেছেন বগলে ক্র্যাচ নিয়ে। ভিখারি তাঁর ভিক্ষে করে উপার্জিত ৩০০ টাকা দান করে দিয়েছেন। পাউরুটিওয়ালা যখন শুনেছেন এই রুটি যাবে শাহবাগে, তিনি দাম নিয়েছেন অর্ধেক। এ তো মুক্তিযুদ্ধের সেই দিনগুলোকেই যেন ফিরিয়ে আনল। আগুনের পরশমণি ছোঁয়ানো দিন।
শাহবাগের তরুণেরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে সৃজনশীলতা আর সৌন্দর্যেরও অপূর্ব উদাহরণ সৃষ্টি করে চলেছে।

অহিংস কর্মসূচি দিয়ে মহাত্মা গান্ধী ভারত স্বাধীন করতে পেরেছিলেন। মার্টিন লুথার কিং একই কর্মসূচি দিয়ে আমেরিকায় কালো মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।
নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসনের অবসান ঘটাতে পেরেছেন। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের কাছে ইসলাম মানে শান্তি। ধর্মের নামে উগ্রতা, মানুষ হত্যা, হানাহানি এ দেশের মানুষ কোনো দিনও সমর্থন করেনি। এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের কোনো না কোনো শাস্তি চায়।

কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে গৃহযুদ্ধের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলছেন, দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের উসকানির মুখে বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে ধৈর্যের চরম পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। আর তারা তাতে ফুল মার্কস পাচ্ছে। তাদের যখন বলা হলো, স্লোগানে সহিংস শব্দগুলো ভালো শোনায় না, তারা সঙ্গে সঙ্গে তাদের স্লোগানের ভাষা পরিমার্জনা করল। তাদের একজন সহযোদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে, এতে তারা ক্ষুব্ধ, শোকার্ত, কিন্তু তাই বলে দাঁতের বদলে দাঁত নীতি নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েনি। এখানেই তাদের জয়ের সূত্রখানি নিহিত। তারা জানে, এই গৃহটা আমাদের। এই গৃহে যুদ্ধ তারা বাধাতে চায়, যারা এই গৃহটাকে নিজের গৃহ মনে করেনি।

যাদের ঠিকানা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা নয়। যারা এই দেশটার জন্মটাকেই মেনে নিতে পারেনি। এ দেশের জন্মের বিরোধিতা করেছে যারা। যারা এ দেশের সংবিধান-আইন-কানুন মানে না। যারা এ দেশের পুলিশকে নিজের পুলিশ মনে করে না, তাদের গৃহযুদ্ধের উসকানিতে কেন আমরা পা দেব? আমাদের রাষ্ট্র আছে, যা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি। সেই রাষ্ট্রের নিয়মকানুন আছে, সংবিধান আছে। যারা আইন ভঙ্গ করছে, তাদের আমরা আইনের হাতে তুলে দেব। দেশে অশান্তি, হানাহানি হোক, এটা কেন দেশপ্রেমিক তরুণেরা চাইবে? আর যারা সহিংস সশস্ত্র আক্রমণের পথ নিয়েছে, দেশের মানুষ তাদের আরও বর্জন করবে। তারা বিলুপ্ত হয়ে যেতে বাধ্য।

বাংলাদেশটাকে উন্নতির মহাসড়কে তুলে দিয়েছে এ দেশের তরুণেরা। এরা এভারেস্টে উঠছে। এরা পৃথিবীর এক নম্বর অলরাউন্ডার ক্রিকেটারের গৌরব অর্জন করছে। এরা মাছের চাষ, পোলট্রি, সবজির চাষ করে দেশে বিপ্লবের জোয়ার এনেছে। এরা নতুন নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এরা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে আর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশে পাঠাচ্ছে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা। এরা তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিপ্লব সংঘটিত করছে। সিআইএর কাগজ যেটা দেওয়া হয়েছে পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ওবামাকে, সেখানে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে ইউরোপকে ছাড়িয়ে যাবে। এ ধরনের অনেক খবর বিদেশি অর্থনৈতিক কাগজগুলোতে ছাপা হচ্ছে, রব উঠে গেছে, বাংলাদেশ আসছে। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গর্জন শুনতে পাচ্ছে পুরো বিশ্ব।

হিসাবটা তো খুব সহজ। এটা একটা গাণিতিক বাস্তবতা। বাংলাদেশের জনসংখ্যার বেশির ভাগ তরুণ। ৯৮ শতাংশ ছেলেমেয়ে স্কুলে যায়। লাখ লাখ তরুণ প্রতিবছর স্কুল থেকে বের হয়ে আসছে। মধ্যবিত্ত বড় হয়ে গেছে। ২০ বছর পরে যে কৃষিক্ষেত্রে কাজ করবে, সে-ও শিক্ষিত। যে গাড়ি চালাবে, সে-ও শিক্ষিত। এ দেশের উন্নতি না হয়েই পারে না। প্রতিদিন তিন হাজার শ্রমিক কাজের সন্ধানে বিদেশে যায়। এরা ভবিষ্যতে যাবে দক্ষ পেশাজীবী হিসেবে। এখন প্রায় ৯০ লাখ মানুষ বিদেশে, ২০ বছর পর এই সংখ্যা এখনকার হিসাবেই তিন কোটি হয়, কিন্তু আসলে আরও বেশি মানুষের বিদেশে যাওয়ার কথা। তারা দেশে টাকা পাঠাবে। তার মানে, ২০ বছর পরের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে একটা উন্নত দেশ হবেই। এতে কোনো ভুল নেই। এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর অর্থনৈতিক উন্নতি হলে, অর্থনীতিবিদ মুশতাক খানের তত্ত্বমতে, সুশাসন, দুর্নীতিমুক্তি, আইনের শাসনও আমরা পাব।

এ রকম একটা সম্ভাবনাময় দেশের সম্ভাবনার পথে অন্তরায় হওয়ার জন্য গৃহযুদ্ধের হুমকি তারাই দেখাবে, এই দেশটাকে যারা নিজেদের গৃহ মনে করে না। তাদের পাতা ফাঁদে এ দেশের সচেতন তরুণ সমাজ পা দিচ্ছে না। তারা শান্তির নীতি গ্রহণ করেছে। তারা অহিংসার পথে সুন্দর সুন্দর কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে। এই তরুণদের অভিবাদন।

রাস্তার স্লোগান শাব্দিক অর্থে নেওয়ারও দরকার নেই। আমরা যখন বলতাম, ভুট্টোর পেটে লাথি মারো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো—তার মানে এই নয়, সত্যি সত্যি ভুট্টোর পেটে লাথিই মারা হয়েছিল। তবু স্লোগানগুলো, স্ট্যাটাসগুলো যদি সুন্দর হয়, বাচ্চারা তা থেকে মানবতাবোধ, সৌন্দর্যবোধের শিক্ষা অর্জন করতে পারবে।

আমাদের তরুণেরা, শাহবাগের নতুন প্রজন্ম, সারা দেশের তরুণেরা আমাদের শান্তির সৌন্দর্য ও শক্তির শিক্ষা দিয়ে চলেছে। আমরা পুরোনোরা এ থেকে শিক্ষা নিতে পারি।


আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

কী সুন্দর! কী শান্তিপূর্ণ! - প্রথম আলো
starting point of this war :P
 
.
starting point of this war :P


Anisul Haque joint editor of Prothom Alo, is just Pathological liar because:

he suggested shahbagh represented 90% Bangladeshis and we know Shahbagh represented only atheist part of Awami League and Indian wish. Shahbagh was orchestrated by india and feed by indian connected business and media.

he suggested no one came to Shahbagh for money and we all seen proof of money was given to poor to come Shahbagh and school children were forced to come Shahbagh. Even indian embassy refused visa because applicant did not go to shahbagh.

Anisul Haque is a prominent atheist because he made parody of Surah Fatiha by stating all praises for "raza kar" in place of Allah.

He made parody of many other verse from the holy Quran.




Prothom Alo atheist editor Anisul Haque in Shahbagh

Here is full report of how Prothom Alo atheist editor, Anisul Haque made parody of the Holy Quran.
?????? ??????? ???? ????? ??? ????? ???? ????? ??????? ?????? ???? ???????????
 
. . .
Seriously? :lol:

Yup. Its quite old news:

শাহবাগে না গেলে দিল্লির ভিসা হচ্ছে না

??????? ?? ???? ??????? ???? ????? ??

The Indian HC is yet to refute it and when amardesh tried to contact Indian HC, they didn't respond.

নিরুত্তর ভারতীয় হাইকমিশন : একাধিক ভিসা প্রার্থীর এই অভিযোগ সম্পর্কে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের বক্তব্য জানার জন্য গতকাল প্রেস অফিসার অভিজিত চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। এরপর অভিযোগ জানিয়ে তাকে একটি মেইল পাঠানো হয়। কিন্তু রাত ৯টা পর্যন্ত ওই মেইলেরও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
 
.
More Awami yellow farts. This time by Kaler konto.

The awami fart outlet falsely reported that Mufti Abdur rahman along with major ulemas withdrew support of Hefazot e Islam without citing official statements from the ulemas. Now Mufti Abdur Rahman revoked Kaler Konto's yellow propaganda farce , reinstating his support to Hefazote Islam. The Mufti's statement in Amardesh:

1_r4_c3.jpg

15_r6_c4.jpg


These awami outlets outlets getting exposed every other day. :lol:
 
.
66706_10200275235057034_471762070_n.jpg


Standard of BDnews24

Both are fake stories --using same photo - but the stories contradict each other.......

1. people are against hartal so they are beating Hartal supporters...

2. Violent Hartal supporters are beating common people

notice the standard...... Both are demonizing Hefajat in different way....
 
. . .

Great creative work. We need more work like this to counter similar work from the other side. Picture is worth a thousand words. Simple carton pictures and posters like these are essential to make our clueless voting public more politically aware and informed.
 
. . . .
মিডিয়ার পোষ্টমর্টেম

Thursday, May 23, 2013 at 4:22am




-Dr. Rezaul Karim

22 May 2013


সংবাদপত্রকে একটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সংবাদপত্রের নেপথ্য কারিগর সাংবাদিকরা। তারা অনেক পরিশ্রম করে প্রতিদিন আমাদের সামনে অজানা খবরগুলো নিয়ে আসেন। দেশের উন্নতি, অগ্রগতি এবং আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে প্রন্টমিডিয়া ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমাদের সমাজে কিছু ভালো গণমাধ্যম ও সৎ পেশাদার সাংবাদিক না থাকলে আমারা এত দূর আসতে পারতাম না। সংবাদপত্র আমাদের জাতীয় দর্পণ। যে গণমাধ্যম আমাদের এগিয়েও দিতে পারে আবার ধ্বংসের অতল গহবরেও নিমজ্জিত ও করতে পাওে সংবাদপত্র। তাই দেখা যায় ‘নিউইর্য়ক জার্নালের প্রকাশক র*্যাডলফ হাস্ট বিকৃত সংবাদ পরিবেশন করে আমেরিকা ও স্পেনের মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়েছিলেন।



এক শ্রেণীর প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়া অতিমাত্রায় রাজনীতিকরণ তোষামোদ,চাটুকারিতা, মিথ্যাচার ও সিন্ডিকেট নিউজে জড়িয়ে পড়েছে। এটি ঐ সাংবাদিক ও মিডিয়ার জন্য যতটুকু না ক্ষতিকর,তার থেকে ভয়াবহ ক্ষতিকর আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য, যারা অসত্য ও বিকৃত খবর ধারণ করে বেড়ে উঠছে। যেখানে গনমাধ্যম আমাদের নাগরিকদের নতুন নতুন পথ দেখাবে। আবিষ্কার করবে জাতীয় ঐক্যও মূল্যবোধের পথ। তারাই যদি আমাদের অসত্য বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে খবর পরিবেশন করে বিপথগামী করে, আমাদের হিংসা-বিদ্বেষ বিভক্তি কে উস্কিয়ে দেয়! তাহলে তো আমাদের দাঁড়ানোর শেষ জায়গাটুকুও অবশিষ্ট থাকে কি?

প্রখ্যাত সাংবাদিক জুলিয়াস হ্যারিস ও স্ট্যানলি জনসন বলেছেন, ”সংবাদ হচ্ছে সব চলতি ঘটনার সংমিশ্রণ, যে বিষয়টিতে সাধারণ মানুষের কৌতূহল আছে এবং পাঠককে আগ্রহী করে তোলে তাই সংবাদ”। কিন্তু আজ কতিপয় সংবাদপত্র পাঠককে কৌতূহলী ও আগ্রহী করতে অতিরঞ্জিত ও অসত্য এবং আজগুবি খবরের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। পত্রিকার সার্কুলেশন আর হট নিউজ যেন মূল উদ্দেশ্য।আমাদের অনেক মিডিয়ার মালিকই শিল্পপতি ও দুনীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। মিডিয়ার মালিকদেও রয়েছে রাজনৈতিক আনুগত্য। এই সমস্ত ব্যাক্তিরাই সাংবাদিকদের পেশাদারিত্বের উপর আঘাত হেনে কর্মচারীর মত নির্দেশ দিয়ে সংবাদ তৈরীতে বাধ্য করে। কিন্তু সাংবাদিকতা পেশা যদি ব্যবসায়ী চিন্তার ঊর্ধ্বে না উঠতে পারে তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের কপালে অধঃপতন ছাড়া কিছু আশা করা যায় কি?। আজকাল কতিপয় গনমাধ্যম রাজনীতিবিদদের থেকে কয়েক কদম এগিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে । এখনতো আমাদের দেশের ছোট একটি শিশুও জানে কোন পত্রিকা ও চ্যানেল কোন মতাদর্শে বিশ্বাসী। আমাদের শাহবাগীরা! সেই কাজটি করে দিয়েছে। আমাদেও জাতি বিভক্তির এই সর্বনাশা কাজের খেসারত দিতে হবে অনেকদিন ধরে।

প্রচারমাধ্যমের ‘সত্যানুসন্ধানী’ ভাবমূর্তির অবসান ঘটিয়েছে এডওয়ার্ড এস. হারম্যান ও নোম চমস্কি রচিত ম্যানুফ্যাকচারিং কনসেন্ট: পলিটিক্যাল ইকনমি অভ দি মাস মিডিয়া গ্রন্থটিতে সংবাদ মাধ্যমে যে ছাঁকন-প্রণালীর মধ্য দিয়ে পরিশোধিত হয়ে পাঠক-দর্শক-শ্রোতা সংবাদ প্রাপ্ত হন, তার প্রকৃতি উন্মোচন করেছেন লেখকদ্বয়। এই গ্রন্থে তারা সংবাদ প্রবাহের তাত্ত্বিক রূপরেখা হাজির করেছেন। মূলধারার প্রভাবশালী গণমাধ্যম কর্তৃক প্রচারিত সংবাদ কিভাবে জনমতকে শাসকগোষ্ঠীর রাজনৈতিক স্বার্থের গন্ডিতেই বেঁধে রাখার তৎপরতায় নিয়োজিত তা উদঘাটন করেছেন এভাবে: প্রচারণা ব্যবস্থার -মূল্যবান ও মূল্যহীন বলিদের বেলায় ট্রিটমেন্টের গুণগত মানের ক্ষেত্রেও সাংবাদ পত্রের সুস্পষ্ট ৩ টি পার্থক্য- প্রথম রির্পোটে মিডিয়া একজনের জীবনকে কিভাবে মূল্যবান, মানবিক ও আবেগময়ী করে তুলে আর দ্বিতীয় রির্পোটে মিডিয়া ৭২জনের জীবনকে কিভাবে মূল্যহীন, বলি ও তুচ্ছজ্ঞান করে তুলেছে। ঠিক তৃতীয় রিপোটে কিভাবে সত্যকে আড়ালের প্রচেষ্ঠা চালানো হয়েছে। এবার দেখুন সেই চিত্র-



(এক) হিজোর্জি পপিলাজকো একজন সক্রিয় যাজক ছিলেন এবং পোল্যান্ডে সলিডারিটি মুভমেন্টের কড়া সমর্থক ছিলেন। হত্যা করার জন্য পোল্যান্ডের গুপ্ত পুলিশ ১৯৮৪ সালের ১৯শে অক্টোবর তাকে অপহরণ করে। তাকে বেঁধে প্রহার করা হয়, মুখের মধ্যে গোঁজ ভরে দেওয়া হয় এবং অবশেষে তাকে একটা জলাধারে ফেলে দেওয়া হয়। কয়েকদিন পর তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। চারিদিকে হৈচৈ পড়ে যায়, যেসব পুলিশ সরাসরি এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত করে বিচারকার্য সম্পন্ন হয় এবং দোষীদেকে কঠোর কারাবাসের শাস্তি দেওয়া হয়।

আমরা দেখেছি, পপিলাজকোর বেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ গুরুত্ব দেওয়া হয় তা ছিল এককথায় ব্যাপক। সুপরিকল্পিতভাবে এই কাভারেজ দেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে, এবং মূল্যহীন বলিদের কাভারেজের তুলনায় পপিলাজকোর কাভারেজ ছিল ব্যাপক বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। মোটকথা, এই সহিংসতার ঘটনা এবং পপিলাজকোর ওপর এর প্রভাব এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যাতে পাঠকের মনে সর্বোচ্চমাত্রায় বিক্ষোভ জেগে ওঠে। কিন্তু কথা হলো, মূল্যহীন বলিদের বেলাও সহিংসতা ছিল নির্মম। সেগুলো উপস্থাপন করা হয়েছিল খুবই অন্যরকমভাবে।

পপিলাজকো হত্যাকান্ডের ওপর প্রকাশিত আর্টিকেলের একটা বড় অংশের মধ্যে বিক্ষোভকারী,শোকপ্রকাশকারী, ক্রন্দনরত জনগণ, কর্ম-বিরতি, পপিলাজকোর সম্মানে আয়োজিত সমাবেশ এবং বিশেষত, বেসরকারি ব্যক্তিদের স্বক্ষোভ উক্তির প্রতি নিয়মিত সহানুভূতিশীল কাভারেজ দেওয়া হয়। জনগণের ‘শোকাচ্ছ্বাস অব্যাহত,’ ‘গণবিক্ষোভ চুড়ান্ত রুপ নিয়েছে,’ পোপ গভীর শোকাচ্ছন্ন, এমনকি ‘জেরুজালেস্কি এই সহিংসতার প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেছেন’- প্রতিনিয়ত এমন লেখা হতে থাকে। নিউ ইয়র্ক টাইমস পপিলাজকোর ওপর তিনটি সম্পাদকীয় নিবন্ধ ছাপে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দায়ী করার ওপর জোর দেওয়া হয় এবং প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হয় যে, ‘পুলিশের এই অপকর্মের জন্য মূলত পুলিশি রাষ্ট্রব্যবস্থাই দায়ী’।

(২) টেবিলে আমরা দেখেছি, পেনি লার্নাক্্র যে -৭২ জন মানুষের মারা যাওয়ার খবর নাম উল্লেখ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর ৮টি আর্টিকেল ও নিউজউইক-এর একটা আর্টিকেলে এবং টাইম-এর কোনো আর্টিকেলে তাদেরকে বিষয়বস্তু করা হয়নি। সিবিএস-নিউজ-এ কোনো রিপোর্টেও তাদের নামোল্লেখ করা হয়নি। অর্থাৎ, ৬৩টি হত্যাকান্ডের খবর বেমালুম চেপে যাওয়া হয়েছে এসব গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়ায়। নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর ৮টি আর্টিকেলের একটাতেও এমন কোনো খুঁটিনাটি বর্ণনা নেই যাতে পাঠকের মনে সহানুভূতিশীল উদ্বেগ জেগে উঠতে পারে। তারা এই হত্যাকান্ডগুলোকে বর্ণনা করে সুদূর অঞ্ঝলের বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে।এই সংবাদ না বিস্তারিত না আবেগময়ী, না মানবিকবোধ কে জাগ্রত করে। না বিচারের ব্যাপাওে ক্ষিপ্রতা জোগায়।



(৩) বাংলাদেশের কতিপয় মিডিয়ায় ২ শতাধিক মানুষের মৃত্যু কোন আবেগ,আবেদন তৈরী করতে পারেনি। অথচ বাংলাদেশের প্রায় সব পত্রিকা শহবাগ নিয়ে টানা দুই সপ্তাহ ব্যানার হেডিং করেছে। এরমধ্যে একটি পত্রিকা মোমবাতি প্রজ্জ্বলনকে পোস্টার করে প্রথম পাতায় ছেপেছে। ঐ প্রথম আলো পত্রিকাটিতে ২৮ ফেব্রুয়ারিতে দেশের বিভিন্ন যায়গায় যে হত্যাকান্ড ঘটেছে তার ফলোআপ দিনের সংবাদটি একবারে নিচে দিয়েছে । অথচ এদিন প্রথম আলো প্রথম পাতার মাঝামাঝিতে তিন কলামে শিরোণাম করেছে, ‘২০ হাজার গাছ নিধন করেছে জামায়াত-শিবির’। ‘প্রকৃতির প্রতি সহিংসতার এক নিকৃষ্ট নজির’। দুই কলামে এ সংবাদের শিরোনাম, ‘বিশ্বনাথে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত শিবিরের সংঘর্ষ, নিহত ১’। দুটো সংবাদে লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে বড় ধরনের একটি ম্যাসাকারে মানুষের ক্ষয়ক্ষতির খবর না দিয়ে পত্রিকাটি গাছ কেটে ফেলার সংবাদ দিয়েছে। পত্রিকাটি দেড়শ মানুষ হত্যা নিয়ে ফলোআপ করেনি। এছাড়া হাজার হাজার গুলিবিদ্ধ মানুষ নিয়েও কোন স্টোরি করেনি। সহিংসতার সময় রাস্তায় উপড়ানো, গাছ উপড়ানো আর সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ের হামলা নিয়ে টানা সংবাদ করে গেছে। এদের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে গাছের মূল্য বেশী, যদি তা আমার আদর্শিক শত্রƒর হয়। এরাই আমাদের কে বদলে যাওয়ার কথা বলে নসিহত দেয় অনবরত। কিন্তু এরা নিজেকে বদলাতে পারেনি!! ঐ পত্রিকাটি ২৬ মার্চ শিবিরের বিজয় দিবসের র*্যালির নিউজ করেছে এভাবে ”প্রত্যক্ষদশীদেও মতে ২৬ তারিখ নয়টার দিকে শিবির ৩০/৪০ জনের একটি র*্যালি বের করলে..... ইত্যাদি। অথচ সকল মিডিয়া প্রচার করেছে ২/৩ হাজার লোকের র*্যালি। মজার ব্যাপার হচ্ছে শিবির ঐ পত্রিকার নিউজটি আর তাদের র*্যালির হাজার হাজার লোকের র*্যালির ছবি একসাথ কওে পেজবুক সহ সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়ে, নিচে লিখেছে এটাই হলো প্রথম আলোর ৩০/৪০ জনের র*্যালি। দেশে যতগুলো খুনের ঘটানা ঘটেছে। এসব খুনের পরপরই প্রায় প্রত্যেকটি সংবাদমাধ্যম জামায়াত-শিবিরকে তাৎক্ষণিক দায়ী করেছে। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পরই এ বিষয়টি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এতে জামায়াতিদের যত না ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে পত্রিকাগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতায় ধস নামছে। আবার যারা নিরপেক্ষর সত্য খবর যারা দিতে চাইছেন তারা হয়ে যাচ্ছেন কট্টর ধর্মবাদি বা মৌলবাদি গোষ্ঠী।

বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব শওকত মাহমুদ:- এ কেমন মিডিয়া? শিরোনমে লিখেছেন-” ‘নয়া দিগন্ত’ পত্রিকার অফিস ও প্রেসে আগুন দেয়া হলো। কোনো সাড়া-শব্দ নেই। আজ এসব কুলীন মিডিয়া সাংবাদিকদের মধ্যে অভিজাত ও নিম্নবর্গ এই শ্রেণী সৃষ্টি করতে চায়। অভিজাত সাংবাদিকদের এক ফোঁটা রক্ত সাধারণ সাংবাদিকের মৃত্যুর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। শাহবাগীরা কী জিঘাংসাই না ছড়িয়ে দিয়েছে!

প্রতিদিন কোনো না কোনো আলেম গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছেন। তাদের দোষ কোথায়? ইসলামকে রক্ষার জন্য তারা রাস্তায় নামছেন, যে দেশের সংবিধানে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম। পুরো বাংলাদেশ এখন আলেমদের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে। তাদেরকে শেখ হাসিনার পুলিশ বিনা উসকানিতে গুলি করছে। বাংলাদেশে তো এমন দেখিনি। শাহবাগীদের ইসলামবিদ্বেষকে প্রটেকশন দিতে গিয়ে জামায়াতে ইসলামী, সমমনা ইসলামী দল এমনকি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ওলামা লীগকে সরকার এক অবস্থানে নিয়ে গেছে। জামায়াত হরতাল না ডাকলেও জামায়াত-শিবিরের তান্ডব বলে প্রচার করা হচ্ছে, হরতাল হলেও তারা নিজ দায়িত্বে বলছে জনগণ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে। এক শ্রেণীর মিডিয়ার এমন হিংসাত্মক ও মিথ্যাশ্রয়ী অবস্থান বাংলাদেশের মানুষ কখনও দেখেনি।” আমাদের কতিপয় গণমাধ্যম যেন গোয়েবলসীয় সূত্রে বাতিকে দারুণ আক্্রান্ত।

স্যার এরিখ হাজনস বলেছেন, সাংবাদিকতা হচ্ছে সঠিক, করিতজ্ঞাত ও ত্বরিতগতিতে তথ্যদির এদিক ওদিক এমনভাবে প্রেরণ যাতে করে সত্য পরিবেশিত হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে না হলেও সব তথ্যের যথার্থই ধীরে ধীরে সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।

আমেরিকান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি (অইঈ)-এর এক প্রতিনিধি জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ড. বুট্রোস ঘালিকে সোমালিয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। জবাবে ড. ঘালি বলেন, সোমালিয়ায় মার্কিন সৈন্য প্রেরণ এ কারণেই সম্ভব হয়েছিল যে, এ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য একাধারে দীর্ঘ ১০ মাস মিডিয়া ও গণমাধ্যমকে উৎসর্গ করে দিয়েছিলাম। ড. ঘালি বলেন, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সামনে কেবল এ সংবাদ ও চিত্রই পেশ করতে লাগলাম যে, সোমালিয়ার জনগণ ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও রোগ-শোকে মৃত্যুবরণ করছে। সেখানকার জনগণ সকল মৌলিক প্রয়োজন থেকে বঞ্চিত। এভাবে অব্যাহত প্রোপাগান্ডাার মাধ্যমে আগ্রাসনের পরিবেশ তৈরি হয়ে গেলে বিশ্ববাসীর বদ্ধমূল ধারণা হয়ে গেল যে, সেখানে বিদেশী হস্তক্ষেপ ছাড়া জনগণকে রক্ষার আর কোন পথ নেই। আজ বাংলাদেশে কিছু ভাড়া করা মিডিয়া জংগীবাদ, আলকায়দা ইত্যাদি জিগির তুলে অন্যকারো আসার স্বপ্ন দেখছেন কি?। এটি আসলে নিজের নাককেটে অন্যের যাত্রা ছাড়া আর কিছু নয়।



আমাদেও শাহবাগী তথাকথিত নতুন প্রজন্মে সেই মন্ত্রকেই ধারণ করেছে। ‘ঁজবাই কর’, ‘ফাঁসি চাই’, ‘হামলা কর’,বাতিল কর” ‘উৎখাত কর’ শ্লোগান ছিল মুলত অসাম্প্রদায়িকতা, অর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কালো কাপড়ে মোড়ানো পৃথিবীর সবৃচেয়ে নিকৃষ্ট ও মানবতা বিরোধী,জাতিবিনাসী উচ্চারণ। এই নীতিবাচক শ্লোগান প্রায় একমাস ধরে মিডিয়ার অব্যাহত চালিয়ে সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। মিডিয়া শাহবাগী আয়োজকদের ওই সব অপকর্ম প্রকাশ না করে জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বোকা ও বোবা বানিয়ে রেখেছে কোটি মানুষকে। পরিস্থিতি এতই নাজুক হয়ে পড়লো যে শাহবাগ নামক প্রজন্মেও বিরুদ্ধে কথা বললেই রাজাকার, অসভ্য,বর্বও, আর সেকেলে। ‘ঁজবাই কর’, ‘ফাঁসি চাই’, ‘হামলা কর’, ‘উৎখাত কর’ শ্লোগান অল্পকয়েক দিনের মধ্যে আমাদেও কে উপহার দিল দুশতাধিক লাশ। এই লাশের দায় কার? উম্মাদনা সৃষ্টিকারী সেই মিডিয়া গুলো কি এর দায় এড়াতে পারবে? ফাসিঁর আসামী বানিয়ে দিল একজন আন্তজার্তিক খ্যাতিসম্পন্ন কুরআনের খাদেমকে। বিভত্ত হয়ে পড়লো গোটা জাতি। কি নির্মম আর নিষ্ঠুর কাজের সহযোগীতা আমরা করলাম!! ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনৈতিক বিক্ষোভে এক দিনে পুলিশের গুলিতে এত মানুষ হত্যার নজির নেই। কতিপয় মিডিয়া এটিকে চিহ্নিত করল সহিংসতা হিসেবে। ভয়ংকর ও বেমানান দিক হলো মিডিয়া খুন হওয়া মানুষদের পরিচয় নিয়ে খেলেছে অব্যাহত লুকোচুরি। উল্টো যেন লাশটিকে আসামী বানিয়ে দিচ্ছে এ বলে, এরা জাতীয় পতাকা, শহীদ মিনার, সংখ্যালঘু আর সাধারণ জনতার উপর হামলা কারী। মিডিয়া বিক্ষোভ কে বানালো তান্ডব। ধর্মীয় বইপুস্তক কুরআন হাদিস হলো ‘জিহাদি’ বই। দলীয় মিটিং হলো নাশকতার পরিকল্পন্রা। বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যম এই তত্ব গুলার সাথে সুর মিলিয়ে আসছে অব্যাহত ভাবে। ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগ কেয়ারটেকার সরকার বাতিল এবং তথাকথিত যুদ্বপরাধীদের বিচারের নামে সংকট সৃষ্টির যে খেলায় মেতে উঠেছে। আর এ অশুভ খেলা খেলতে খেলতে যদি আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়। তাহলে হয়ত পরে আফসোস করেও এ জাতির কোন লাভ হবে না। জাতি বিনাশী এমন খেলার আসলে শেষ কোথায়??


https://www.facebook.com/notes/&#24...;্টেম/471368419617794
 
. .
Back
Top Bottom