Arthur
FULL MEMBER
- Joined
- Dec 16, 2014
- Messages
- 1,980
- Reaction score
- 0
- Country
- Location
ডিসেম্বরে পায়রা বন্দরে পণ্য খালাস শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2015-10-29 Updated: 2015-10-29
এজন্য বন্দরের ন্যূনতম অবকাঠামো উন্নয়নে বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় ওয়্যার হাউস, ক্রেইন, পন্টুন, পাইলট বোট, টাগ বোট, বয়া লেইয়িং ভেসেল, সার্ভে বোট ও প্রশাসনিক ভবনসহ বন্দর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ন্যূনতম অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
একনেক সভার পর পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, এ বছরের ডিসেম্বর থেকে পায়রা বন্দরের পণ্য খালাস শুরু হবে। বন্দর ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গভাবে গড়ে না ওঠা পর্যন্ত বহির্নোঙ্গরে বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পণ্য উঠা-নামা করবে।
প্রকল্প বিষয়ে তিনি বলেন, “১৬ একর জায়গার উপর সীমিত ভৌত অবকাঠামো যেমন- পন্টুন, ক্রেইন, নিরাপত্তা ভবন ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে। বড় আকারের জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে লাইটারিং করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আরো কিছু নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে ক্ষুদ্র আকারে বন্দর কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।
“প্রাথমিকভাবে এ বন্দর দিয়ে খাদ্য-শস্য, সার ও সিমেন্টসহ অন্যান্য পণ্য ওঠা-নামা করা হবে। এজন্য ১ লাখ বর্গফুট ধারণক্ষমতার একটি ওয়্যারহাউস তৈরি করা হবে। পণ্য পরিবহণের জন্য প্রায় ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘের ৪ লেনের সড়ক তৈরি করা হবে। একইসঙ্গে নাব্যতা বজায় রাখতে প্রায় ৯৪ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং করা হবে।”
মুস্তফা কামাল বলেন, ২০২৩ সালে পায়রা বন্দরের কার্যক্রম শুরু হলে সাত হাজার ৫০০ কন্টেনারের স্থান সংকুলান হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে এক হাজার ৫০০ কন্টেনারের স্থান সংকুলান হয়। এর ফলে কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের খরচ বর্তমানের চেয়ে ৩০০ শতাংশ কমে আসবে।
“২০২৮ সাল নাগাদ এ বন্দর দিয়ে চার কোটি টন কয়লা খালাস করা হবে। ভবিষ্যতে এখানে এলএনজি টার্মিনালও হবে।”
চট্টগ্রামের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর হবে কি না- তা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “চট্টগ্রামের মাতারবাড়িতে জাপানের অর্থায়নে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে, সোনাদিয়ায় আর হবে না। পরবর্তীতে বড় ধরনের প্রকল্প নিয়ে পায়রা বন্দরকে গভীর সমুদ্র বন্দরে উন্নীত করা হবে।”
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় রামনাবাদ চ্যানেলের পশ্চিম তীরে দেশের তৃতীয় সমুদ্র হিসেবে পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বন্দর উদ্বোধন করেন।
এক হাজার ১২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের জুন নাগাদ ‘পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো-সুবিধাদির উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রকল্পটিসহ সভায় ৬ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ের মোট ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহিবলে থেকে ৪ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৫ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে ২ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার যোগান দেওয়া হবে।
যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের তীর রক্ষায় গৃহীত একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য বৈঠকে উপস্থাপন করা হলেও প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “প্রকল্পটিতে ড্রেজিংয়ের জন্য বরাদ্দ কম ধরা হয়েছিল। বৈঠকে নদী দুটি খনন করে সেই মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সংশোধন করে শিগগির প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপনের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।”
মন্ত্রী বলেন সভায় অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হল- ১৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম এবং খুলনায় বিএসটিআইয়ের আঞ্চলিক অফিস স্থাপন ও আধুনিকীকরণ, ৪৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ের বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, ১৬৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ডাল ও তেল বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে টেকসই পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ, ১০৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ, ৪৫৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকাস্থ মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬০৮ টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ ও ৪৮ কোটি ৮৪ লাখ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিপ মডেল টেস্টিং সেন্টার স্থাপন প্রকল্প।
ডিসেম্বরে পায়রা বন্দরে পণ্য খালাস শুরু -
bdnews24.com
নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2015-10-29 Updated: 2015-10-29
এজন্য বন্দরের ন্যূনতম অবকাঠামো উন্নয়নে বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় ওয়্যার হাউস, ক্রেইন, পন্টুন, পাইলট বোট, টাগ বোট, বয়া লেইয়িং ভেসেল, সার্ভে বোট ও প্রশাসনিক ভবনসহ বন্দর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ন্যূনতম অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
একনেক সভার পর পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, এ বছরের ডিসেম্বর থেকে পায়রা বন্দরের পণ্য খালাস শুরু হবে। বন্দর ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গভাবে গড়ে না ওঠা পর্যন্ত বহির্নোঙ্গরে বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পণ্য উঠা-নামা করবে।
প্রকল্প বিষয়ে তিনি বলেন, “১৬ একর জায়গার উপর সীমিত ভৌত অবকাঠামো যেমন- পন্টুন, ক্রেইন, নিরাপত্তা ভবন ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে। বড় আকারের জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে লাইটারিং করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আরো কিছু নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে ক্ষুদ্র আকারে বন্দর কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।
“প্রাথমিকভাবে এ বন্দর দিয়ে খাদ্য-শস্য, সার ও সিমেন্টসহ অন্যান্য পণ্য ওঠা-নামা করা হবে। এজন্য ১ লাখ বর্গফুট ধারণক্ষমতার একটি ওয়্যারহাউস তৈরি করা হবে। পণ্য পরিবহণের জন্য প্রায় ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘের ৪ লেনের সড়ক তৈরি করা হবে। একইসঙ্গে নাব্যতা বজায় রাখতে প্রায় ৯৪ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং করা হবে।”
মুস্তফা কামাল বলেন, ২০২৩ সালে পায়রা বন্দরের কার্যক্রম শুরু হলে সাত হাজার ৫০০ কন্টেনারের স্থান সংকুলান হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে এক হাজার ৫০০ কন্টেনারের স্থান সংকুলান হয়। এর ফলে কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের খরচ বর্তমানের চেয়ে ৩০০ শতাংশ কমে আসবে।
“২০২৮ সাল নাগাদ এ বন্দর দিয়ে চার কোটি টন কয়লা খালাস করা হবে। ভবিষ্যতে এখানে এলএনজি টার্মিনালও হবে।”
চট্টগ্রামের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর হবে কি না- তা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “চট্টগ্রামের মাতারবাড়িতে জাপানের অর্থায়নে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে, সোনাদিয়ায় আর হবে না। পরবর্তীতে বড় ধরনের প্রকল্প নিয়ে পায়রা বন্দরকে গভীর সমুদ্র বন্দরে উন্নীত করা হবে।”
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় রামনাবাদ চ্যানেলের পশ্চিম তীরে দেশের তৃতীয় সমুদ্র হিসেবে পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বন্দর উদ্বোধন করেন।
এক হাজার ১২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের জুন নাগাদ ‘পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো-সুবিধাদির উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রকল্পটিসহ সভায় ৬ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ের মোট ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহিবলে থেকে ৪ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৫ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে ২ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার যোগান দেওয়া হবে।
যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের তীর রক্ষায় গৃহীত একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য বৈঠকে উপস্থাপন করা হলেও প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “প্রকল্পটিতে ড্রেজিংয়ের জন্য বরাদ্দ কম ধরা হয়েছিল। বৈঠকে নদী দুটি খনন করে সেই মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সংশোধন করে শিগগির প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপনের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।”
মন্ত্রী বলেন সভায় অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হল- ১৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম এবং খুলনায় বিএসটিআইয়ের আঞ্চলিক অফিস স্থাপন ও আধুনিকীকরণ, ৪৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ের বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, ১৬৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ডাল ও তেল বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে টেকসই পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ, ১০৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ, ৪৫৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকাস্থ মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬০৮ টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ ও ৪৮ কোটি ৮৪ লাখ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিপ মডেল টেস্টিং সেন্টার স্থাপন প্রকল্প।
ডিসেম্বরে পায়রা বন্দরে পণ্য খালাস শুরু -
bdnews24.com