Bilal9
ELITE MEMBER
- Joined
- Feb 4, 2014
- Messages
- 26,569
- Reaction score
- 9
- Country
- Location
খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত হলো ৪ যুদ্ধ জাহাজ
সমুদ্র সীমানায় নিরাপত্তা, সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চারটি যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ শেষ হয়েছে। নিষাণ, দুর্গম, হালদা ও পশুর নামে জাহাজগুলো নির্মাণে ৯শ’ ৪২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। খুলনা শিপইয়ার্ড আন্তর্জাতিকমানের এ যুদ্ধ জাহাজগুলো নির্মাণ করে। নির্মিত যুদ্ধ জাহাজগুলো পরীক্ষামূলকভাবে ভৈরব ও রূপসা নদে চলাচল করেছে।
মঙ্গলবার যুদ্ধ জাহাজ বিএন দুর্গম বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। এটি পরীক্ষামূলক চলাচলের অংশ। খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (উৎপাদন) ক্যাপ্টেন এম নুরুল ইসলাম শরীফ জানান, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বঙ্গোপসাগরের বিশাল সমুদ্র এলাকা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা, সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে নৌবাহিনীর দায়িত্ব পালনের জন্য যুদ্ধ জাহাজের বিকল্প নেই। সে কারণে ৬৪ দশমিক ২ মিটার দৈর্ঘ্য, ৯ মিটার প্রস্থ করে বিএন নিশান ও দুর্গম নামে দু’টি যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ করা হয়েছে। জাহাজ দু’টি নির্মাণে আটশ’ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এ মানের জাহাজ বিদেশে তৈরি করতে এক হাজার কোটি টাকা খরচ হতো। জাহাজ দু’টি নির্মাণে ২৪ মাস সময় লাগে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ গেল ৩১ ডিসেম্বর বিএম দুর্গমের লাঞ্চিং (পানিতে ভাসানো) প্রোগ্রামের সূচনা করেন। যুদ্ধ জাহাজ দু’টি নির্মাণে চীন কারিগরি সহায়তা দেয়। যুদ্ধ জাহাজ দু’টির প্রত্যেকটির ঘণ্টায় গতি বেগ ২৫ নটিক্যাল মাইল। বিএন নিশান নামক যুদ্ধ জাহাজটি পরীক্ষামূলক চলাচলের জন্য শুক্রবার বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একই সঙ্গে ১৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন দু’টি টাগ বোট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই জাহাজগুলো সাবমেরিন চলাচলে সহায়তা করবে। হালদা ও পশুর নামের প্রতিটি জাহাজের দৈর্ঘ্য ৩২ মিটার। মালয়েশিয়া এতে কারিগরি সহায়তা দেয়। যুদ্ধ জাহাজ দু’টিতে আধুনিক সামরিক সক্ষমতা এবং সাবমেরিনের বিরুদ্ধে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের সুবিধাও রয়েছে।
প্রকৌশলী বিভাগের সূত্র জানায়, এর আগে খুলনা শিপইয়ার্ড পদ্মা, সুরমা, অতন্দ্র, অদম্য ও অপরাজেয় নামে পাঁচটি যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ করে। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে শিপইয়ার্ড ৬৪ কোটি ৬২ লাখ এবং গেল অর্থ বছরের ৭৯ কোটি টাকা লাভ করে। শিপইয়ার্ড এ পর্যন্ত— ৭২৫টি জাহাজ নির্মাণ ও দুই হাজার ২২৪টি জাহাজের মেরামত কাজ সম্পন্ন করেছে। মৃতপ্রায় শিপইয়ার্ড ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। রূপসা নদীর তীরে লবণচরা মৌজায় স্থাপিত শিপইয়ার্ডের বয়স ৬০ বছর। পাকিস্তান জামানায় ১৯৫৭ সালে ৬৮ দশমিক ৫৭ একর জমির উপর এ জাহাজ নির্মাণ কারখানা স্থাপিত হয়।
Not your fault, but the photos aren't showing the four ships built there, wrong picture.
BNS NISHAN & BS DURGOM are ASW Equipped 650 tonne LPCs that look like this,
And BN TUG HALDA & BN TUG POSHUR are large 32m 860 TON fleet tugs for submarine tender duties (largest so far built locally), look at the size of the bollard screw unit underneath!