BanglaBhoot
RETIRED TTA
- Joined
- Apr 8, 2007
- Messages
- 8,839
- Reaction score
- 5
- Country
- Location
টার্গেট কিলিংয়ে আ’লীগ জড়িত : খালেদা জিয়া
Naya Diganta - ১৫ জুন ২০১৬
অস্ত্র ও সংঘাত নয় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়ে অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ তৈরি করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দেশের টার্গেট কিলিংয়ে আওয়ামী লীগের লোক জড়িত মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণকে জিম্মি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ চালাচ্ছেন। তবে বর্তমান অবৈধ সরকার সত্যিকার ক্ষমতায় থেকে দেশ শাসন করছে নাকি অন্য কোনো শক্তি পেছন থেকে কাজ করছে এমন প্রশ্ন তোলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
আজ বুধবার রমজানের নবম দিনে ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাব মিলনায়তনের এই ইফতার মাহফিলে টার্গেট কিলিংকে পরিকল্পিত আখ্যা দিয়ে এরজন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে খালেদা জিয়া বলেন, দেশে এরআগে কখনো এমন টার্গেট কিলিং ঘটেনি। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ সব ধর্মের মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এটা পরিকল্পিত। আওয়ামী লীগের লোক এতে জড়িত। এই জন্যই শেখ হাসিনা বলেছেন তার কাছে সব তথ্য আছে। আমি সব জানি। সেজন্য সে জেনেও এদেরকে ধরে না। এদের অনেককে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়ে এখন সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করছে।
বিএনপিকে হত্যাকাণ্ডের দোষারোপ প্রসঙ্গে বেগম জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ হত্যাকাণ্ড করে বিএনপিকে দুষছে। এসব সব মিথ্যা।
খালেদা জিয়া বলেন, অচিরেই দেখা যাবে জনগণ কিভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে। আল্লাহ আওয়ামী লীগের পরিণতি কী করেন? সেই অপেক্ষায় এখন জনগণ।
দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব আছে কিনা বলা মুশকিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অবৈধ সরকার সত্যিকার ক্ষমতায় থেকে দেশ শাসন করছে নাকি অন্য কোনো শক্তি পেছন থেকে কাজ করছে জনগণের মধ্যে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এটা নিয়েও জনগণকে চিন্তা করতে হবে।
ঘরে বাইরে কোথাও মানুষ নিরাপদ নয় এমন অভিযোগ করে বিএনপি প্রধান বলেন, এই নিরাপত্তাহীন, গণতন্ত্রহীণ অবস্থা থেকে মুক্ত হতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণ ও গণতন্ত্র এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
বিএনপি হত্যায় বিশ্বাস করে না দাবি করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণগ্রেফতারে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১২ হাজারের মতো গ্রেফতার হয়েছে। ক্রসফায়ারে মারা গেছে ৫০ জন। এই কি দেশ চালানোর নমুনা?
খালেদা জিয়া বলেন, সরকার প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা করছে কিন্তু দায় দিচ্ছে বিএনপির ওপর। অভিযানের নামে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কারাগারগুলোতে মানুষের ঠাঁই হচ্ছে না। বাথরুমেও মানুষ জায়গা পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, কোনো ধর্মের মানুষ আওয়ামী লীগের আমলে নিরাপদ নয়। হিন্দুদের ওপর এই সরকার সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করছে। বাড়িঘর ভাঙচুর করছে। লুটপাট করছে। এরা ক্ষমতায় আসলেই হিন্দুদেরকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করায়।
জাতীয় পার্টির ইফতারে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা যোগ দেন। মূল মঞ্চে খালেদা জিয়ার সাথে ইফতার মাহফিলে অংশ নেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান টিআই এম ফজলে রাব্বি চৌধুরী, মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি, মুসলিম লীগের সভাপতি এএইচএম কামরুজ্জামান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আমমেদ, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ।
এ ছাড়া ইফতার মাহফিলে অংশ নেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ প্রমুখ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে অংশ নেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমদ আযম খান, সাবেক ছাত্রনেতা আতাউর রহমান ঢালী, হাবিবুর রহমান হাবিব, মহিলা দলের সভাপতি নুরে আরা সাফা, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য সামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান, স্বাধীনতা ফোরামের আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
২০ দলীয় জোটে নেতাদের মধ্যে আরো অংশ নেন- জামায়াতে ইসলামীর অ্যাডভোকেট মশিউল আলম ভূইয়া, শামীম বিন সাঈদী, জাগপার মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, লেবার পার্টির হামদুল্লাহ আল মেহেদী, বাংলাদেশ ন্যাপের গোলাম মোস্তাফা ভুইয়া, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ইসলামিক পার্টির মো. আবুল কাশেম, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ।
ইফতারের আগে দেশ ও জাতীর কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার লেডিস ক্লাবে বিশ দলীয় জোট শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিডি) ইফতার মাহফিলেও বিএনপি চেয়ারপারসন প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
----------------------------------------------------------------------
Noyon Chatterjee 2
মাত্র ২ সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের মাদারিপুর জেলায় বিজেপি’র ৩ শীর্ষ নেতা সফর করে গেলো এবং হিন্দুদের উস্কানি দিয়ে গেলো (http://goo.gl/k641Hc)।
আর আজকেই খবর হলো সেখানে একজন হিন্দু শিক্ষককে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে (http://goo.gl/mQbhBY)। যারা ভারতের বিজেপি’র সাম্প্রদায়িক কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা রাখেন, তারা জানেন- বিজেপি সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর মাধ্যমেই তারা রাজনীতি করে থাকে। মূলত ভারতে বিজেপি’র নেতারা এভাবেই বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় মিটিং করে সাম্প্রদায়িক পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং এর কয়েকদিন পর একটি সাজানো রিভার্স ঘটনা ঘটিয়ে আগুনে ঘি ঢালে।
মাদারিপুর জেলায় ৩ বিজেপি নেতার সফরের মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে এক হিন্দু শিক্ষককে কুপানোর ঘটনা সত্যিই রহস্যজনক। আজকের ঘটনার পেছনে ঐ বিজেপি নেতাদের আগমনের সংযোগ থাকলেও থাকতে পারে।
----------------------------------------------------------------
এবার 'তিনজনের' একজন হাতেনাতে আটক
Jugantor – June 15, 2016
দেশের সাম্প্রতিক 'টার্গেট কিলিংগুলোর' মিশন বাস্তবায়ন করছিল দুর্বৃত্তদের তিনজনের একটি টিম। হত্যার পরই তারা চলে যেত ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবশেষে এসব তিনজনের টিমের একজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলল জনতা।
বুধবার বিকাল ৫টার দিকে মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীকে (৪০) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় পালনোর সময় প্রিন্স ফাইজুল্লাহ (২৫) নামের একজনকে আটক করে জনতা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য।
গুরুতর আহত অবস্থায় শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ও পরে আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, রিপন চক্রবর্তী (৪০) বুধবার কলেজের পরীক্ষার কাজ শেষে কলেজের পেছনে সোবাহান মুন্সীর ভাড়া করা বাসায় চলে যান। ওই বাসায় তিনি একাই থাকেন এবং বাসায় ফিরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
বিকাল ৫টার দিকে তার বাসার দরজায় নক করে তিন যুবক। দরজায় নক করার শব্দ শুনে শিক্ষক রিপন চক্রবর্তী দরজা খোলামাত্রই তিনজন দুর্বৃত্ত কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
রিপনের আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। তারা প্রায় এক কিলোমিটার দৌড়ে গিয়ে ডিসি ব্রিজ নামক স্থানে একটি ইজি বাইকে উঠে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সহায়তায় কলেজের স্টাফ মিরাজ একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক ওই দুর্বৃত্ত নিজেকে প্রিন্স ফাইজুল্লাহ পরিচয় দিয়েছে। সে ঢাকার উত্তরার একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। তার বাবা গোলাম ফাইজুল্লাহ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। পরিবারসহ সে ঢাকার উত্তরাতে থাকে। গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আটক যুবকের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদকালে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাল, এএসপি মনিরুজ্জামান ফকির, সদর থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক কিছু বলতে রাজি হয়নি।