Now Awami league stooge regime pushing ministry officials to agree on transit matter even when Bangladesh suffering losses and paying for cost.
--------------------------------------------------------------------
ট্রানজিটের পক্ষে মত দিতে সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর চাপ
এম এ নোমান ও কাজী জেবেল
ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের ইতিবাচক মনোভাব দেখানোর পরামর্শ দিয়েছে সরকার। এতে যুক্তি হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে বৃহত্তর জনস্বার্থ জড়িত। এতে সরকারের সদিচ্ছা এবং জনস্বার্থ নিশ্চিত হবে। এ কথাগুলো উল্লেখ করে এরই মধ্যে ট্রানজিট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের আগাম বার্তা দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এসব কর্মকর্তা আগামী ৩০ ডিসেম্বর এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে মিলিত হবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত। ইতিবাচক মনোভাব দেখানোর ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট এ কর্মকর্তাদের অনেকেই। তারা মনে করেন, কোনো ধরনের লাভ-ক্ষতি মূল্যায়ন না করে আগে থেকেই ‘জাতীয় স্বার্থ নিশ্চিত’ হবে—এমন ধারণা জাতীয় স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত ট্রানজিটসংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে এ ওয়ার্কিং গ্রুপের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অনুমোদন দিয়েছেন। এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিকে সভাপতি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা এবং উন্নয়নসংক্রান্ত কাঠামোগত চুক্তির (ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট
আওতায় উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা ও ট্রানজিট বিষয়ে আগামী ৩০ ডিসেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে একই বিষয়ে সরকারের গঠিত অন্য কমিটিগুলোও বৈঠক করে। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের বৈঠককে সামনে রেখে এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের একটি ধারণাপত্র দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা এবং উন্নয়ন জোরদার করার লক্ষ্যে ২০১১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফর করেন। ওই সময় উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও উন্নয়নসংক্রান্ত কাঠামোগত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মাধ্যমে দালিলিক কার্যক্রম সম্পাদিত হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত করার জন্য ট্রানজিট এবং যোগাযোগ অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতির আলোকে ট্রানজিট এবং যোগাযোগ বিষয়ে অগ্রগতি হলে এ ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছা, প্রক্রিয়াগত স্বচ্ছতা এবং বৃহত্তর জনস্বার্থ নিশ্চিত হবে।
ট্রানজিট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আমার দেশকে বলেন, ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রধান সমন্বয়ক ও অগ্রবর্তী ভূমিকা পালন করবে। এতে প্রধানমন্ত্রীও লিখিত সম্মতি দিয়েছেন। যৌথ পরামর্শক কমিশনের আওতায় বিদ্যুত্, জলবিদ্যুত্, পানি ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য, পরিবেশ ইত্যাদির সঙ্গে ট্রানজিট ও যেগাযোগ বিষয়েও জেসিসির কাঠামোতে দ্বিপক্ষীয় এবং উপ-আঞ্চলিক পর্যায়ে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমন্বয় করবেন বলেও উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ট্রানজিটসংক্রান্ত বিষয়াবলি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত। সাম্প্রতিককালে কিছু বিশেষ বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ-ভারত ট্রানজিটসংক্রান্ত বিষয়ে সমন্বয়কের ভূমিকা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে প্রদান করা হয়েছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত আরও উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ভারতে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট সুবিধা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এরই অংশ হিসেবে ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় সহযোগিতা ও উন্নয়নের সার্বিক কাঠামো তৈরি করা হয়। পরে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময় ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের আগে তা নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আন্তর্জাতিক চুক্তির রীতি-নীতি ও বাংলাদেশের স্বার্থ চুক্তির খসড়ায় উল্লেখ না থাকায় তা অনুমোদন না করে ফেরত পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের টেলিফোনিক নির্দেশে আইন মন্ত্রণালয় ভেটিং সম্পন্ন করে ট্রানজিটের জন্য কোনো ধরনের ফি নির্ধারণ ছাড়াই তা অনুমোদন করে। ওই সময় ট্রানজিটের বিনিময়ে ভারতের কাছ থেকে কোনো শুল্ক আদায় না করার পক্ষে জোরালো যুক্তি দিয়ে ড. মসিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ট্রানজিটের বিনিময়ে ফি নেয়া হবে চরম অসভ্যতামি। কোনো সভ্য দেশ ট্রানজিটের বিনিময়ে ফি দাবি করতে পারে না। একই ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের আওতায় এখন ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার। ট্রানজিট প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের ইতিবাচক মনোভাব পোষণেরও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার সঙ্গে আমাদের দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয় জড়িত। এগুলোর বিষয়ে আগাম হিসাব-নিকাশ না করেই ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার মধ্যে আমাদের কী ধরনের বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থ জড়িত, তা আমার বুঝে আসছে না।
?????????? ????? ?? ???? ?????? ???????????? ??? ???