after some claimed that Faraaz was Nibras' friend.
জন্ম থেকে আয়োডিনের অভাবে চিন্তাশক্তি লোপ তো পেয়েছেই আর ছোট মাছ, মলা-ঢেলা, মিস্টি কুমড়া না খেয়ে vitamin A এর অভাবে চোখ নষ্ট করে ফেললে যা হয়। অনেকের আবার এগুলা খেয়েও ভুয়া online news পড়তে পড়তে চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
অন্ধরা বলে Faraaz আর Nibras নাকি বন্ধু ছিল!
বাহ! গল্প লিখতে ওস্তাদ একেকজন!
আবারও আসতে হলো।
মজার ব্যাপার কি, আমাদের দেশে গুনের কদর বেশিরভাগ মানুষ করতে পারে না। নাহলে যে ছেলে তার বন্ধুরদের বাঁচাতে গিয়ে জীবন দিলো আমরা তাকে নিয়ে লাফালাফি না করে, যে ছেলে মানুষ ধরে ধরে জবাই করলো তার জন্য 'আহা-উহু' লাগিয়ে দিয়েছি। আফসোস আমাদের উপর। আমাদের মতন মানবতা ও বিচক্ষণতায় 'আশিক্ষিত' একটা জাতির হাতে হাতে স্মার্টফোন, ফেসবুক আর ইন্টারনেট দিলে যা হয়। আমরা জানি না তা কিভাবে চালাতে হয়। নিজেরাই যদি ২৪ ঘণ্টা আগে একজনকে ভালো ভালো বলে, কোন ছাতার online news portal আর কোন ছাতার ফেসবুক profile থেকে share করা জিনিস দেখে বিচার বিবেচনা না করেই কিভাবে তাকে জঙ্গি বলা শুরু করে দিলাম? এইভাবে আমরা বেক্কলের মতন যদি share দিতে থাকি তাহলে আমাদের চেয়ে গাধা আর কেউ কি আছে?
আপনারা লাশ দেখতে চান? Faraaz এর লাশ? লাশ দেখলেই তো শান্তি হবে? তাহলেই বিশ্বাস করবেন যে সে আসলেই তার বন্ধুদের জন্য সুযোগ দেয়া সত্ত্বেও থেকে গিয়েছে? বিশ্বাস করবেন যে মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও সে কাপুরুষের কাতারে দাঁড়াতে রাজি হয় নাই? আমরা এইধরনের ছবি দিতে চাই নাই কিন্তু আপনাদের বেক্কলগিরির নমুনা দেখে দিতেই হচ্ছে। নিচের ছবিতে grey রঙের যে ছেলেটিকে জবাই করা অবস্থায় দেখছেন সেটিই Faraaz এর লাশ। আর পাশেই তার বান্ধবীদের লাশ। Red circle দিয়ে identifying attributes চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে যাতে আপনাদের মধ্যে যারা চোখ থাকতেও 'অন্ধ' তারা যাতে বুঝতে পারে। কিছুদিন আগেই তার মা এই tshirt টা কিনে দিয়েছিল। কতো লাশ এর ছবি দেখালে আপনারা বিশ্বাস করবেন? দেখতেই পাচ্ছেন তাকে মারার আগে তার কব্জি আলাদা করা হয়েছিলো। কেন তা আমরা জানি না। এর কারণ হতে পারে- সে বাথরুমে তার বন্ধুদের নিয়ে লুকিয়ে থেকে তার পরিবারকে SMS করার খবর আমাদের দেশের 'নামেমাত্র' সাংবাদিকরা TV তে বারবার বলার জন্য। অথবা হতে পারে এই হাত দিয়েই সে তার বন্ধুদের বাঁচাতে খুনিদের পথ আটকিয়েছিল দেখে। যে কারনেই হোক, আপনি, আপনারা অথবা আমি - আমাদের দেশের সুসন্তান Faraaz এর নখের সমপরিমাণ যোগ্যতা রাখিনা তার এই আত্মত্যাগ কে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। জীবনে তার কি না ছিল? তাও কিছুর মায়া করে নাই, আর আমরা? কেউ কেউ তার এই আত্মত্যাগ কে প্রশ্ন করে খুনিদের ছবি নিয়ে মায়া ঝরায় যাচ্ছে। থুঃ তাঁদের মুখে। লজ্জা হওয়া উচিত।
দয়া করে এভাবে নিজেদের ক্ষতি নিজেরা করবেন না, দেশের ক্ষতি করবেননা। কোন খবর/rumour ছড়ানোর অথবা share করার আগে source যাচাই বাছাই করে নিন। নাহলে আপনারা জাতির brainwash এর ভাগীদার হবেন। আপনারা সবাই এখন একটা ভয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন আর এই ভয়কে কাজে লাগিয়েই একটি স্বার্থান্বেষী মহল ফায়দা এবং খ্যাতি লুটে নিবে। আপনাদের কাজ তাদের থামানো।
আর হ্যাঁ, আমরাও Faraaz এর নখের সমতুল্য যোগ্যতা রাখি না।
Faraaz, আমরা লজ্জিত। আমরা তোমার সঠিক মর্যাদা দিতে পারছি না। তুমি জীবন হারিয়েও জীবনকে জিতে নিয়েছ। আমাদের এতদিনের দেখিয়ে আসা সাহসিকতা, সবকিছু - তোমার দেখানো সাহসের কাছে কিছুই না।
পারলে মাফ করে দিও আমাদেরকে।
আগের ছবি প্রমাণসহ present করার পরেও কিছু 'মানুষ' সন্দেহ করেই যাচ্ছে কারণ তাঁদের কাছে online news portal আর কাল্পনিক name ওয়ালা Facebook Profile থেকে শেয়ার করা পোষ্ট বেশি সত্যি লাগে।
তাই এই নিন, প্রমাণ পর্ব ২ - একই জুতা পায়ে যেটা সে কিছুদিন আগেই নিজের Facebook profile এ দিয়েছিলো।
যারা এখনও সন্দেহ করে বসে আছেন তারা দয়া করে নিজেরাই নিজেদের গায়ে থুথু মেরে নিন অন্য কেউ এসে মারার আগে।
কয়েকটা তথ্যঃ
- Faraaz ও তার বন্ধুদের গভীর রাতেই মেরে ফেলা হয় যা ছবিতে প্রকাশ করেছে জঙ্গিরা। সকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকার কথাটি গুজব, মানুষের স্রেফ 'আশা' ছিল যে সে বাঙ্গালি দেখে বেঁচে যাবে। কিন্তু তার বন্ধুদের বাঁচাতে গিয়ে রাতেই বাকি বিদেশীদের সাথে তার প্রাণ দিতে হয়। গুজব কে সত্যি বানিয়েছে online news portal গুলো।
- Faraaz ও তার বন্ধুদের বাথরুমে লুকিয়ে থাকার কথা লাইভ কভারেজে মূর্খের মতন বলে দেয়া হয়। এর আগ পর্যন্ত ফারায তার পরিবারের সাথে এসএমএস এর মাধ্যমে যোগাযোগ করছিলেন।
Moral of the story: Bangali never appreciates its heroes
source