Banglar Bir
SENIOR MEMBER
- Joined
- Mar 19, 2006
- Messages
- 7,805
- Reaction score
- -3
- Country
- Location
Rohingyas problems, a Death Trap for Bangladesh:These Urgent Steps to be Implemented
রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য মরণ ফাঁদ: জরুরী ভিত্তিতে যা করতে হবে
Mon, September 4
মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান (অব.):
ණ☛ বাংলাদেশের মিয়ানমারের সাথে এই মুহুর্তে যুদ্ধে জড়ানো কোনোক্রমই উচিৎ হবেনা। মিয়ানমার চাইছে বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়াক। মিয়ানমার বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধ চায় যাতেঃ
ক। বিশ্বের দৃষ্টি রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে দুরে সরিয়ে দিয়ে যুদ্ধের ডামাডোলে বাকি রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের ভিতরে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হয়।
খ। যুদ্ধের দারা বাংলাদেশকে দুর্বল করতে পারলে ভবিষ্যৎে বাংলাদেশের পক্ষে রোহিঙ্গাদের জন্য কোনোকিছু করা সম্ভব হবেনা।
এই জটিল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের করণীয়ঃ
১। ইতিমধ্যেই চীন রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ে মিয়ানমারের পক্ষে জাতিসংঘ রেজ্যুলেশনে ভিটো দিয়েছে। এটাকে আমি ইতিবাচক হিসাবে দেখি। চীনের এই ভিটোর মাধ্যমে যা প্রতিয়মান হয় তাহলো চীন আমেরিকা এবং ভারতকে মিয়ানমারে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত রাখতে চায়। এর উদ্দেশ্য সম্ভবতঃ চীন ভারতের বিরুদ্ধে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করে তার রোড বেল্ট পলিসি বাস্তবায়িত করতে চায়। এটা ভুললে চলবেনা বাংলাদেশে চীনের ২৪ বিলিয়নের বিনিয়োগ আছে। বাংলাদেশ চীনের ষ্ট্রাটেজিক পার্টনার।
এই ডিপ্লোমেটি এ্যাভান্টেজকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের উচিৎঃ
ক। অনতিবিলম্বে চীনের সাথে কুটনৈতিক তৎপরতা আরম্ভ করা।
খ। চীনকে মিয়ানমারের বিপক্ষে চাপ হিসাবে ব্যবহার করে রোহিঙ্গা সমস্যার একটি ইতিবাচক সমাধান বের করা।
২। রোহিঙ্গারা মুসলমানদের বাংলাদেশে আসতে দেওয়া। এই উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের সামরিক প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং সামরিক সহায়তা দিয়ে রাখাইন প্রদেশ স্বাধীন করতে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহন করা। রোহিঙ্গা সমস্যার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। এই সমস্যা এখন বাংলাদেশের জন্য মরণ ফাঁদ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। যদি ধরে নেই যে বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে গেলো এক্ষেত্রে বিদেশী কোনো দেশ সামরিক শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়াবে এমন মনে হয়না।
ණ☛অতএব চীনমুখী কুটনৈতিক পদক্ষেপকেই আমি এই মুহুর্তে বাংলাদেশের জন্য অবশ্য করণীয় বলে মনেকরি। তবে একই সাথে মিয়ানমারের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় সমর প্রস্তুতি সম্পন্ন করা। মিয়ানমারের বিপক্ষে সীমান্তে আগ্রাসী তৎপরতা বজায় রাখা যাতে মিয়ানমার সংযত হতে বাধ্য হয়।
লেখক: কলামিস্ট ও প্রাক্তন মহাপরিচালক বিডিআর।
http://newsorgan24.com/detail/27713
রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য মরণ ফাঁদ: জরুরী ভিত্তিতে যা করতে হবে
Mon, September 4
মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান (অব.):
ණ☛ বাংলাদেশের মিয়ানমারের সাথে এই মুহুর্তে যুদ্ধে জড়ানো কোনোক্রমই উচিৎ হবেনা। মিয়ানমার চাইছে বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়াক। মিয়ানমার বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধ চায় যাতেঃ
ক। বিশ্বের দৃষ্টি রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে দুরে সরিয়ে দিয়ে যুদ্ধের ডামাডোলে বাকি রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের ভিতরে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হয়।
খ। যুদ্ধের দারা বাংলাদেশকে দুর্বল করতে পারলে ভবিষ্যৎে বাংলাদেশের পক্ষে রোহিঙ্গাদের জন্য কোনোকিছু করা সম্ভব হবেনা।
এই জটিল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের করণীয়ঃ
১। ইতিমধ্যেই চীন রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ে মিয়ানমারের পক্ষে জাতিসংঘ রেজ্যুলেশনে ভিটো দিয়েছে। এটাকে আমি ইতিবাচক হিসাবে দেখি। চীনের এই ভিটোর মাধ্যমে যা প্রতিয়মান হয় তাহলো চীন আমেরিকা এবং ভারতকে মিয়ানমারে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত রাখতে চায়। এর উদ্দেশ্য সম্ভবতঃ চীন ভারতের বিরুদ্ধে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করে তার রোড বেল্ট পলিসি বাস্তবায়িত করতে চায়। এটা ভুললে চলবেনা বাংলাদেশে চীনের ২৪ বিলিয়নের বিনিয়োগ আছে। বাংলাদেশ চীনের ষ্ট্রাটেজিক পার্টনার।
এই ডিপ্লোমেটি এ্যাভান্টেজকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের উচিৎঃ
ক। অনতিবিলম্বে চীনের সাথে কুটনৈতিক তৎপরতা আরম্ভ করা।
খ। চীনকে মিয়ানমারের বিপক্ষে চাপ হিসাবে ব্যবহার করে রোহিঙ্গা সমস্যার একটি ইতিবাচক সমাধান বের করা।
২। রোহিঙ্গারা মুসলমানদের বাংলাদেশে আসতে দেওয়া। এই উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের সামরিক প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং সামরিক সহায়তা দিয়ে রাখাইন প্রদেশ স্বাধীন করতে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহন করা। রোহিঙ্গা সমস্যার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। এই সমস্যা এখন বাংলাদেশের জন্য মরণ ফাঁদ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। যদি ধরে নেই যে বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে গেলো এক্ষেত্রে বিদেশী কোনো দেশ সামরিক শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়াবে এমন মনে হয়না।
ණ☛অতএব চীনমুখী কুটনৈতিক পদক্ষেপকেই আমি এই মুহুর্তে বাংলাদেশের জন্য অবশ্য করণীয় বলে মনেকরি। তবে একই সাথে মিয়ানমারের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় সমর প্রস্তুতি সম্পন্ন করা। মিয়ানমারের বিপক্ষে সীমান্তে আগ্রাসী তৎপরতা বজায় রাখা যাতে মিয়ানমার সংযত হতে বাধ্য হয়।
লেখক: কলামিস্ট ও প্রাক্তন মহাপরিচালক বিডিআর।
http://newsorgan24.com/detail/27713