Ramna Park (Dhaka's Central Park equivalent) has seen some renovations. Sorry Bengali only.
--------------------------------------------------------------------------
নতুন সাজে রাজধানীর ‘ফুসফুস’ রমনা পার্ক
দেলোয়ার হোসেন বাদল, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২২
ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল
রাজধানীর ঢাকার ফুসফুস হিসেবে পরিচিত রমনা পার্ক। সতেজ বাতাস ও মনোরম পরিবেশের স্বাদ নিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্রাম নিতে ও ঘুরাঘুরি করতে আসেন দর্শনার্থীরা।
এই রমনা পার্ককে সৌন্দর্যবর্ধনের অংশ হিসেবে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে বিভিন্ন আঙ্গিকে।
রমনা পার্কের মৎস্য ভবনের সামনে ৪ নম্বর গেইট দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই চোখে নজর কাড়বে সিরামিক ইটে তৈরি ওয়াকওয়ে। আর বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়েছে বাহারি রঙের ফুলগাছ।
আরেকটু ভেতরে গেলেই সুবিস্তীর্ণ লেক। লেকের দুই পাশে হাঁটার জন্য তৈরি করা হয়েছে নতুন রাস্তা। যা রমনাতে এই প্রথম নতুনভাবে সংস্কার করা হলো।
লেক খনন করায় পানিতেও ফিরেছে স্বচ্ছতা। বেশি নজর কাড়ে লেকের দুই পারে তৈরি ডেক, যেখানে কাঠের পাটাতনে করা হয়েছে হাঁটার ব্যবস্থা।
সিরামিক ইট দিয়ে পার্কের সব ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য পার্কজুড়ে ২২০টি ডাস্টবিন বসানো হয়েছে।
এছাড়া বসানো হয়েছে আধুনিক ৯০০টি ল্যাম্পপোস্ট, রমনা পার্কের আধুনিকায়ন কাজে সিমেন্টের বেঞ্চ, চারটি আধুনিক শৌচাগার নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে।
এছাড়া নানা ধরনের আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। লেকের পানিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখতে বসানো হচ্ছে মেশিন। লেকের ময়লা পরিষ্কারের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
জানা যায় পার্কের উন্নয়নকাজ প্রায় শেষের দিকে। মে মাসের মধ্যেই পুরো কাজ শেষ হবে। আগামী জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষে ওয়াকওয়ে উদ্বোধন করা হবে।
সরেজমিন দেখা যায়, স্বাস্থ্য সচেতন অনেকে সকাল থেকেই রমনা পার্কে চলে এসেছেন। নির্মল হাওয়ায় ব্যায়াম করছেন, কেউ হাঁটছেন, কেউ দৌড়াচ্ছেন। কেউ একা, কেউ স্বজনদের নিয়ে, কেউ আবার বিভিন্ন সংঘের হয়ে দলবদ্ধভাবে ব্যায়ামে ব্যস্ত।
কাজের মধ্যে শিশু কর্নার সংস্কারের কাজটি শুধু বাকি রয়েছ। কিছুদিনের মধ্যেই চীন থেকে শিশু কর্নারে খেলাধুলা ও বিনোদনের নানা সামগ্রী আনা হবে। পার্কের ভেতরে নার্সারিগুলোকেও সংস্কার করা হয়েছে।
পার্কে আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগের মতো পার্কের ভেতর বখাটেদের উৎপাত নেই, ভিক্ষুকদেরও প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। তবে ফাঁকি দিয়ে দেয়াল টপকে কিছু কিছু ভবঘুরে ভেতরে চলে আসে। যা দর্শনার্থীদের ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা বলেন, আমরা সবসময় নিরাপত্তার জন্য সজাগ আছি। কোনো রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সচেষ্ট থাকবো।