Rashed Khan Menon suggested not to purchase weapons with India's LoC.
বাংলাদেশ
ঋণের টাকায় ভারত থেকে অস্ত্র কিনতে মেননের না
ভারতের ঋণের টাকায় ওই দেশ থেকেই সামরিক অস্ত্র কিনতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে যে অনুরোধ করেছেন তাতে সাড়া দেওয়া উচিত হবে না বলে মত দিয়েছেন এই সরকারের শরিক দলের নেতা ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন৷
https://www.dw.com/bn/ঋণের-টাকায়-ভারত-থেকে-অস্ত্র-কিনতে-মেননের-না/a-50113691
আরেক বামপন্থী নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স এ বিষয়ে ঐকমত্য জানিয়েছেন৷ অবশ্য আরেক সাবেক মন্ত্রী ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মনে করেন, ভারত থেকে অস্ত্র কেনাই যেতে পারে৷
সামরিক সরঞ্জাম কিনতে ২০১৭ সালে ভারতের সঙ্গে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে বাংলাদেশ৷ কিন্তু ওই অর্থ দিয়ে এখনো কোনো সামরিক সরঞ্জাম কেনা হয়নি৷ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত মঙ্গলবার ঢাকায় এক বৈঠকে ঋণের ওই টাকায় ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনকে অনুরোধ করেন৷
ডয়চে ভেলেকে এক সাক্ষাৎকারে মোমেন বলছেন, ঋণের টাকায় ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ৷ তবে ভারত থেকে কি ধরনের অস্ত্র কেনা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ৷
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ সরকার সাড়া দেবে না বলেই মনে করছেন সরকারের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি এ ধরনের কোনো শর্ত দেওয়া উচিত নয়৷ কারণ ওই চুক্তির আওতায় সামরিক সরঞ্জাম কেনার কোনো কথা ছিল না৷ সরকার এ ধরনের কোনো বিষয়ে সাড়া দেবে বলে আমি মনে করি না৷''
বাংলাদেশের কোন ধরনের অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে তা মূল্যায়ন করে ভারত থেকে তা কেনা হলে তাতে কোনো অসুবিধা দেখছেন না জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘অনুরোধ করতেই পারে৷ ...আমরা তো অস্ত্র কিনছিই৷ যখন কিনব তখন মূল্যায়ন করে যদি ভারত থেকে কেনা যায় তো আপত্তি থাকার কারণ আছে বলে মনে করি না৷
আর্মড ফোর্সেস আছে... আর্মির জন্য সময় সময় আমরা অস্ত্র কিনি৷ মিয়ানমার ১১ লাখ মানুষ তাড়িয়ে দেয় আমরা আশ্রয় দিয়েছি৷ ভবিষ্যতে যদি ওরকম কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে৷''
সিপিবির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘‘বাংলাদেশের উপর কোনো প্রভাব বিস্তার করবে এবং যা আমাদের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হবে সেটি আমরা কখনোই চাই না৷
‘‘ঋণ দেওয়ার সময় ভারতের কতগুলো শর্ত দেখেছি, তখনও আমরা বিরোধীতা করেছিলাম৷ আমি মনে করি ওই অর্থ দিয়ে অস্ত্র কেনার কোনো প্রয়োজন নাই৷ বরং ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় যেসব সংকট রয়েছে- তিস্তার পানি চুক্তি, সীমান্ত হত্যাকান্ড, অসম বাণিজ্য সেগুলোর সমাধানেই গুরুত্ব দেয়া দরকার৷''