Lighting_Fighter
FULL MEMBER
- Joined
- Nov 25, 2011
- Messages
- 566
- Reaction score
- 0
সংবাদ সম্মেলনে ডাচ রাষ্ট্রদূত : আওয়ামী লীগ নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করতে পারেনি : মানবাধিকার গণতন্ত্র ও উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি
কূটনৈতিক রিপোর্টার
নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আলফনস হেনিকেনস বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করতে পারেনি। নির্বাচনী ইশতেহারে দলটি মানবাধিকার, সুশাসন, গণতন্ত্র ও উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চাভিলাষী অঙ্গীকার করেছিল। সেই অঙ্গীকারগুলো এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪০ বছরপূর্তি উপলক্ষে গতকাল ডাচ দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ভারত ও চীনসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের পানি ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের উন্নয়ন সহায়তাসহ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন ডাচ রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করছেনসাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডাচ রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ গত নির্বাচনের আগে যে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছিল, তা খুবই ইতিবাচক ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ তার সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। মানবাধিকার, সুশাসন, গণতন্ত্র, উন্নয়নসহ বিভিন্ন ব্যাপারে উচ্চাভিলাষী সব অঙ্গীকার করা হয়েছিল নির্বাচনী ইশতেহারে। ৩ বছর পার হয়ে গেছে, সেসব অঙ্গীকার আজও বাস্তবায়ন হয়নি। সামনে আর মাত্র দুটি বছর রয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলো পূরণ করতে হলে সরকারের প্রচেষ্টা কয়েক গুণ বাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের অতীতের সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা জানি। সরকার এবং বিরোধী দলের উচিত একত্রে কাজ করা। বাংলাদেশের স্বার্থের কথা ভেবে হলেও দুই দলের উচিত আলোচনায় বসা এবং সব সমস্যার সমাধান করা।
বাংলাদেশকে পানি ব্যবস্থাপনায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ ধারণা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে চাই। খুব শিগগির বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। তিনি বলেন, ভারত, নেপাল, চীনসহ যেসব দেশে অভিন্ন নদীগুলোর উত্স রয়েছে সেসব দেশকে সঙ্গে নিয়েও বাংলাদেশ সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারে।
অভিন্ন অনেক নদীতে ভারত বাঁধ নির্মাণ করার পাশাপাশি পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। বিষয়টি ডাচ সরকার কীভাবে দেখছেএই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে ডাচ রাষ্ট্রদূত বলেন, এসব ইস্যুতে কেউ কেউ হয়তো সরাসরি কথা বলেন। আমাদের দেশটি হয়তো অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী। কিন্তু সামরিক দিক থেকে আমাদের তেমন কোনো শক্তি নেই। ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প বন্ধ করা উচিতএ কথা আমি বলতে পারছি না। তবে আমি বলব, সব দেশেরই উচিত আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা এবং প্রতিবেশীর যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা। কারও উচিত নয় তার ক্ষমতার অপব্যবহার করা। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে আলোচনা হওয়া উচিত।
বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহায়তা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, গত ৬ মাসে বাংলাদেশে একশ মিলিয়ন ইউরোর ডাচ বিনিয়োগ হয়েছে। গত বছর বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডসে ১ বিলিয়ন ইউরোর পণ্য রফতানি করেছে। আগামীতে এর পরিমাণ আরও বাড়বে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, মাতৃস্বাস্থ্য, স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশকে সরাসরি বছরে দুইশ মিলিয়ন ইউরো এবং বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে আরও একশ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে নেদারল্যান্ডসের আগ্রহ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি হেড অব মিশন ক্যারেল রিকটার বক্তব্য রাখেন।
কূটনৈতিক রিপোর্টার
নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আলফনস হেনিকেনস বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করতে পারেনি। নির্বাচনী ইশতেহারে দলটি মানবাধিকার, সুশাসন, গণতন্ত্র ও উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চাভিলাষী অঙ্গীকার করেছিল। সেই অঙ্গীকারগুলো এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪০ বছরপূর্তি উপলক্ষে গতকাল ডাচ দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ভারত ও চীনসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের পানি ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের উন্নয়ন সহায়তাসহ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন ডাচ রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করছেনসাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডাচ রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ গত নির্বাচনের আগে যে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছিল, তা খুবই ইতিবাচক ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ তার সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। মানবাধিকার, সুশাসন, গণতন্ত্র, উন্নয়নসহ বিভিন্ন ব্যাপারে উচ্চাভিলাষী সব অঙ্গীকার করা হয়েছিল নির্বাচনী ইশতেহারে। ৩ বছর পার হয়ে গেছে, সেসব অঙ্গীকার আজও বাস্তবায়ন হয়নি। সামনে আর মাত্র দুটি বছর রয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলো পূরণ করতে হলে সরকারের প্রচেষ্টা কয়েক গুণ বাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের অতীতের সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা জানি। সরকার এবং বিরোধী দলের উচিত একত্রে কাজ করা। বাংলাদেশের স্বার্থের কথা ভেবে হলেও দুই দলের উচিত আলোচনায় বসা এবং সব সমস্যার সমাধান করা।
বাংলাদেশকে পানি ব্যবস্থাপনায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ ধারণা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে চাই। খুব শিগগির বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। তিনি বলেন, ভারত, নেপাল, চীনসহ যেসব দেশে অভিন্ন নদীগুলোর উত্স রয়েছে সেসব দেশকে সঙ্গে নিয়েও বাংলাদেশ সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারে।
অভিন্ন অনেক নদীতে ভারত বাঁধ নির্মাণ করার পাশাপাশি পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। বিষয়টি ডাচ সরকার কীভাবে দেখছেএই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে ডাচ রাষ্ট্রদূত বলেন, এসব ইস্যুতে কেউ কেউ হয়তো সরাসরি কথা বলেন। আমাদের দেশটি হয়তো অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী। কিন্তু সামরিক দিক থেকে আমাদের তেমন কোনো শক্তি নেই। ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প বন্ধ করা উচিতএ কথা আমি বলতে পারছি না। তবে আমি বলব, সব দেশেরই উচিত আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা এবং প্রতিবেশীর যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা। কারও উচিত নয় তার ক্ষমতার অপব্যবহার করা। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে আলোচনা হওয়া উচিত।
বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহায়তা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, গত ৬ মাসে বাংলাদেশে একশ মিলিয়ন ইউরোর ডাচ বিনিয়োগ হয়েছে। গত বছর বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডসে ১ বিলিয়ন ইউরোর পণ্য রফতানি করেছে। আগামীতে এর পরিমাণ আরও বাড়বে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, মাতৃস্বাস্থ্য, স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশকে সরাসরি বছরে দুইশ মিলিয়ন ইউরো এবং বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে আরও একশ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে নেদারল্যান্ডসের আগ্রহ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি হেড অব মিশন ক্যারেল রিকটার বক্তব্য রাখেন।