List of Programs by different cultural grops in Bangladesh is here.
Amardesh Online Edition
স্বস্তি আনুক নতুন বছর
সৈয়দ আবদাল আহমদ
মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। আজ পহেলা বৈশাখ। আজ নববর্ষ। স্বাগত ১৪১৮। বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও গর্বিত ঐতিহ্যের রূপময় ছটায় উদ্ভাসিত সর্বজনীন উত্সবের দিন আজ। আনন্দ-হিল্লোল, উচ্ছ্বাস-উষ্ণতায় দেশবাসী আবাহন করবে নতুন বছরকে। অর্থ-সঙ্গতি থাকুক আর না-ই থাকুক, সবার হৃদয়ে আজ রবীন্দ্র-নজরুলের সুর জেগে উঠবেএসো হে বৈশাখ, এসো এসো..., কিংবা ...ঐ নতুনের কেতন ওড়ে কালবোশেখী ঝড়, তোরা সব জয়ধ্বনি কর।
বাংলা নববর্ষের শুভ এই দিনটি এবার উদযাপন করা হচ্ছে এমন এক পরিবেশে, যখন দেশের মানুষ দারুণ অর্থনৈতিক কষ্টে রয়েছে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির কারণে লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে হায়হুতাশ করছে। মানবাধিকার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। একইসঙ্গে নাগরিক দুর্ভোগে মানুষের জীবন দুর্বিষহ। গ্যাস নেই, পানি নেই, বিদ্যুত্ নেই। পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। লাগাতার সন্ত্রাস, দ্রব্যমূল্যের ছোবল, চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই অস্বস্তি, নানা ঝড়ঝঞ্ঝা এবং প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নতুন স্বপ্নের আবির ছড়ানো নববর্ষকে স্বাগত। বাংলা নববর্ষের শুভ এই দিনটি জনজোয়ারে প্রাণময় উত্সবে উদ্ভাসিত, হিল্লোলিত। যার যার সাধ্যমত আনন্দ আয়োজনে উজ্জ্বল, অন্যরকম একটা দিন। নতুন এই দিনটি পুরনো সব ব্যর্থতা গ্লানি বঞ্চনা দুঃখকষ্ট ও আবর্জনার জঞ্জাল সরিয়ে নতুন আশা, কর্মোদ্দীপনা, স্বপ্ন, প্রত্যয় ও প্রাণশক্তিতে উজ্জীবিত হওয়ার ডাক দিচ্ছে। নতুনের কেতন ওড়ানো বৈশাখ এসেছে নতুন সম্ভাবনা, প্রত্যাশা ও সমৃদ্ধি অর্জনের লড়াইয়ে জয়লাভের প্রতিশ্রুতি এবং প্রেরণা নিয়ে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন বছরের কাছে মানুষের প্রত্যাশা তাইশোনাও নতুন গান। ১৪১৮ হোক মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার বছর। ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে, হতাশা-অবসাদ-ক্লেদ ঝেড়ে-মুছে ফেলে নতুন উদ্দীপনায় জাগরণের আহ্বান জানাচ্ছে বৈশাখ। হিংসা-দ্বেষ, ক্ষুদ্রতা, কলুষ, কুসংস্কার এবং পশ্চাত্পদতার নিগড় ভেঙে ফেলে, অসুন্দরকে হটিয়ে সমাজ মুক্ত হোক, সত্যিকার গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসুক, প্রগতির আলোয় স্নিগ্ধ প্রশান্ত হোক সমাজএ আহ্বান জানাচ্ছে বৈশাখ। যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি/অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাকএসো হে বৈশাখ।
আজ ভোরে দিগন্তের তিমিরে সূর্যোদয়ের প্রথম রশ্মি বিচ্ছুরিত হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই সূচিত হবে বাংলা নববর্ষের জন্মক্ষণ। তখন থেকেই বৈশাখের সর্বজনীন উত্সব-আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠতে দেখা যাবে সারাদেশ, সব বয়সের মানুষকে। শহরের রাস্তা ও উদ্যানে নামবে মানুষের ঢল। শুধু তা-ই নয়, শহর-নগর, গ্রাম-গ্রামান্তর সর্বত্রই বইবে বর্ষবরণের প্রাণোচ্ছল উত্সব-তরঙ্গ। পীড়াদায়ক তাপদাহ তুচ্ছ করে, অস্বস্তি উপেক্ষা করে ভোর থেকে দুপুর-বিকাল-সন্ধ্যা-গভীর রাত পর্যন্ত আজ চলবে বৈশাখবরণ।
দেখা যাবে কোথাও গান বাজছে, কোথাও মেলা বসেছে। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ঢাকের শব্দ, ঢোল, বাঁশি, নাগরদোলার শব্দ, পায়ে পায়ে উত্থিত ধূলিপুঞ্জের মধ্যে মানুষের গুঞ্জরণ-ধ্বনি, নাগরদোলায় ঘূর্ণনের সঙ্গে সঙ্গে ভয়জাগানো কিছু শব্দ, শিশুর কলরব উচ্ছ্বাস। বৈশাখী মেলায় রকমারি সম্ভার হাতের চুড়ি, কানের দুল, সুগন্ধি সাবান, হাওয়াই মিঠাই, চুলের ফিতা, নেইলপলিশ, রঙিন বেলুন, কাঠের পুতুল, মাটির পুতুল, আম কাটার চাকু, জিলাপি, খৈ-বাতাসা, ঘরগেরস্থির দরকারি বস্তু... আরও কত কি!
আজ পহেলা বৈশাখ সরকারি ছুটির দিন। সংবাদপত্র অফিসও আজ বন্ধ থাকছে। ভোরেই সূচিত হয়েছে বর্ণাঢ্য বৈশাখী অনুষ্ঠানমালা। সংবাদপত্রগুলো বের করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। রেডিও-টিভিতে গত রাত থেকেই প্রচারিত হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।
মোগল সম্রাট আকবরের নির্দেশে তার সভাসদ আমীর ফতেহউল্লাহ খান সিরাজী প্রায় চারশ বছর আগে হিজরি সনের সঙ্গে মিল রেখে ফসলি সন হিসেবে বাংলা সন বা বঙ্গাব্দের প্রচলন ঘটিয়েছিলেন। তখনই বঙ্গাব্দের সূচনা হয় বৈশাখের প্রথমদিন থেকে।
সেই থেকে আজ পর্যন্ত তা এই জনপদের মানুষের গর্বিত ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। বৈশাখী উত্সব সংস্কৃতির অন্যতম সমৃদ্ধ এক উপাদানে পরিণত হয়েছে। বাংলা নববর্ষে হালখাতাই মুখ্য ছিল এককালে। তার সঙ্গে কিছু উত্সব ছিল, ছিল কিছু আনন্দসম্ভার। এখনও হালখাতা আছে। ক্রমেই মুখ্য হয়ে উঠছে আনন্দ-উত্সব। নাচ, গান, মেলা, নতুন হালখাতা, মিষ্টিমুখ, মঙ্গল শোভাযাত্রা, নতুন পাঞ্জাবি, শাড়ি, ফতুয়া কেনার ধুম, খাওয়া-দাওয়া, বেড়ানো, শুভ নববর্ষ জানানোর রেওয়াজউত্সবের নানা অনুষঙ্গে নববর্ষ উদযাপন নিত্যনতুন মাত্রিকতায় উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে চলেছে। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে ধনী-নির্ধন, শিক্ষিত-শিক্ষাবঞ্চিতসব বয়সী মানুষের সর্বজনীন উত্সব হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে এই পার্বণ। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক নেতারা বাণী দিয়েছেন।
বিভিন্ন সংগঠনের অনুষ্ঠানমালা
ছায়ানট : বাংলা নতুন বছর উদযাপনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার সর্বপ্রথমেই থাকে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। রমনা বটমূলে সকাল সোয়া ছয়টায় শুরু হবে বর্ষবরণের উত্সব। শুরুতেই বেহালায় রাগ রামকেলীর আলাপ পরিবেশন করবেন শিল্পী শিউলী ভট্টাচার্যী। টানা পনের মিনিট বেহালার রাগ পরিবেশন শেষে শুরু হবে ছায়ানটের শিল্পীদের সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন এবং দেশের জনপ্রিয় শিল্পীদের একক পরিবেশন। খায়রুল আনাম শাকিল, মিতা হক, ইফফাত আরা দেওয়ান, চন্দনা মজুমদার, লাইসা আহমেদ লিসা, আজিজুর রহমান তুহিনসহ ২০ জন জনপ্রিয় শিল্পী বর্ষবরণের এই উত্সবে অংশ নেবেন। ছায়ানটের ১১৫ জনের দল পরিবেশন করবে সমবেত সঙ্গীত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রভাতে বিনা তব বাজে, নোঙ্গর ছাড়িয়া দে রে, আপন হতে বাহির এবং ও মোর দাদিমাও দাদিমাও। এবারের বর্ষবরণে ছায়ানটের ছেলেশিল্পীরা পরিধান করবেন সাদা পাঞ্জাবি ও মেয়েরা পরবেন লালপাড়ের সাদা শাড়ি। ছায়ানটের অনুষ্ঠান এ বছর বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করবে। এছাড়া ছায়ানট ওয়েবসাইট (এর মাধ্যমে সারাবিশ্বে এ অনুষ্ঠান দেখা যাবে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা : ছায়ানটের অনুষ্ঠানের মতোই নাগরিক বর্ষবরণের আরেকটি আয়োজন হলো চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবারের বর্ষবরণ উত্সবে চারুকলার আয়োজনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে মূল থিম হিসেবে তুলে ধরা হবে বলে জানান চারুকলার শিক্ষক শিশির ভট্টাচার্য। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল আকর্ষণ ৩৫ ফুট দীর্ঘ কুমিরের ভাস্কর্য। কুমিরের সঙ্গে রয়েছে ২২ ফুট উঁচু একটি কাকতাড়ুয়া, ২০ ফুট উঁচু ময়ূরপঙ্খী ও ১০ ফুট উঁচু সুন্দরবনের দুটি বাঘের মুখ। মঙ্গল শোভাযাত্রার অগ্রভাগে এ ভাস্কর্যগুলো থাকবে।
এছাড়া মানিকগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মৃিশল্পের নকশার আদলে ফুল ও পাখির একটি সমন্বিত ভাস্কর্য থাকছে। এটি উচ্চতায় ২২ ফুট এবং লম্বায় ১২ ফুট হবে বলে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। শোভাযাত্রায় পেঁচা, কোকিল, সাপসহ আবহমান বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্যকে নগরজীবনে তুলে ধরা হবে।
বাংলা একাডেমী : নববর্ষ বরণ করে নিতে বাংলা একাডেমী বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক
-এর যৌথ উদ্যোগে একাডেমী প্রাঙ্গণে পহেলা বৈশাখ থেকে ১০ বৈশাখ ১৪১৮ পর্যন্ত বৈশাখী মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এছাড়া আজ সকালে একাডেমীর নজরুল মঞ্চে বর্ষবরণ সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হবে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান। আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে একাডেমী।
প্রেস ক্লাব : বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলা সনের আবাহনে, নতুন প্রাণের স্পন্দনে, কবিতার ছন্দে বাংলা নববর্ষ ১৪১৮ সনকে স্বাগত জানানো হবে। শুরুতেই প্রেস ক্লাব সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য খৈ, মুড়ি-মুড়কি, বাতাসা ও পান্তা-ইলিশে প্রাতঃরাশের আয়োজন করা হয়েছে। এরপর শুরু হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রেস ক্লাব সদস্যদের ছেলেমেয়েদের গাওয়া এসো হে বৈশাখ এসো গান দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। দেশের বরেণ্য শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করবেন। দুপুরে বিশেষ মধ্যাহ্নভোজ হবে দেশীয় খাবারে। বর্ষবরণ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবকে দেশীয় সংস্কৃতিতে সাজানো হচ্ছে। এছাড়া ছেলেমেয়েদের জন্য হাওয়াই মিঠাইয়ের ব্যবস্থা থাকবে। প্রেস ক্লাব বর্ষবরণ উত্সবে সহযোগিতা দিচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ : বর্ষ বরণ করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো আজ সকাল ৭টায় রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে শোভাযাত্রা বের করবে। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে দলটি। দলটির সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
বিএনপি : জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস আজ বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। গত রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।চ্যানেল আই : চ্যানেল আই তেজগাঁওয়ে তাদের নিজস্ব প্রাঙ্গণে আয়োজন করেছে দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার। এ মেলা সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট : বিকাল ৫টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজন করেছে একক ও দলীয় লোকসঙ্গীত নৃত্যানুষ্ঠান।
শিল্পকলা একাডেমী : বিকাল ৫টায় একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে থাকবে সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি, কাব্যনাট্য, পটগান, বাউলগান ও বৈশাখী মেলা।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর : সকাল ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে থাকছে নাচ ও বাউলগান।
উদীচী : সকাল থেকেই নতুন-পুরনো সদস্যদের পদচারণায় মুখর হবে উদীচীর কার্যালয়। চলবে দিনব্যাপী আড্ডা।
ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী : নব আনন্দে জাগো স্লোগানে রমনার শিশুপার্কের নারকেলবীথি চত্বরে ঋষিজের অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল ৭টায়। উদ্বোধন করবেন সংস্কৃৃতি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন। ফকির আলমগীর জানান, অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পাশাপাশি ত্রিপুরা ও কলকাতার শিল্পীরা অংশ নেবেন।
সারগাম ললিতকলা একাডেমী : ধানমন্ডি লেকের পশ্চিমপাড়ে সকাল ৮টায় রয়েছে একাডেমীর উদ্যোগে এসো হে বৈশাখ এবং বাঙালি সাংস্কৃৃতিক ঐতিহ্যে সাজো শীর্ষক শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতা।
শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন : শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন নতুন বর্ষকে স্বাগত জানাতে আয়োজন করেছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দেশের ঐহিত্যবাহী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও শোভাযাত্রার।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ : বর্ষবরণ উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ আয়োজন করেছে প্রথম প্রহরের গান, লাঠিখেলা, পদ্মার নাচন, অষ্টক গান ও নাট্য প্রদর্শনী।
নূহাশপল্লী : পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের শুটিংবাড়ি নূহাশপল্লীতে বসছে বর্ষবরণ উত্সব। নূহাশপল্লীতে বৈশাখী উত্সব আয়োজনে সারাদিন থাকবে নানা অনুষ্ঠান। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত থাকবে নাগরদোলা, সাপের খেলা, চরকি, বানরের খেলা, টিয়াপাখি দিয়ে ভাগ্যগণনা, বাউলগান, জাদু প্রদর্শনীসহ আরও অনেক কিছু। থাকবে ২০ পদের খাবার। পাশাপাশি হুমায়ূন আহমেদের দুই জনপ্রিয় চলচ্চিত্র শ্রাবণ মেঘের দিন এবং আমার আছে জল প্রদর্শিত হবে।
তারকা হোটেলের প্রস্তুতি : শেরাটন হোটেল, প্যান-প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁও, ওয়াটার গার্ডেন, র্যাডিসন, ওয়েস্টিন, ঢাকা রিজেন্সি, সারিনা, পূর্বাণী, গ্রান্ড আজাদ, সুন্দরবন, খাজানা রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন অভিজাত হোটেল ও রেস্তোরাঁয় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হবে।
অন্যান্য আয়োজন : সকাল সাড়ে ছয়টায় ধানমন্ডির রাইফেল স্কয়ারের বিপরীতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে রবিরাগ ও নৃত্যাঞ্চল। একই সময়ে ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর মুক্তমঞ্চে হবে গান ও নাচের অনুষ্ঠান। রমনা পার্কে সকাল ৯টায় হবে এয়ারটেল ভালোবাসার বৈশাখ। বাংলালিংকের আয়োজনে বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে হবে বৈশাখী উত্সব। নন্দন পার্কে বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবে প্রাণ ফ্রুটো বৈশাখী উত্সব। এখানে অংশ নেবেন জেমস, মমতাজ, বিপ্লব, বাউল শফি মণ্ডল ও তিশমা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে বেলা ২টায় অনুষ্ঠিত হবে কনসার্ট। এতে এলআরবি, সোলস, মাইলস, ওয়ারফেজ, আর্টসেল, দলছুটের সঙ্গীত পরিবেশন করার কথা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হল মাঠেও কনসার্ট হবে। আশুলিয়ায় ওয়াটার কিংডমে দিনব্যাপী থাকছে ডিজে রাহাতের পরিবেশনা। এছাড়া গুলশানের ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক, শান্তিনগরের টুইন টাওয়ারে কনকর্ড পার্কে বৈশাখী কনসার্ট হবে। এগুলোতে আর্ক, প্রমিথিউস, বল্যাকসহ বিভিন্ন ব্যান্ড ও কণ্ঠশিল্পীরা অংশ নেবেন।
মগবাজারে নজরুল একাডেমীতে নববর্ষ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে বিকাল ৫টায়। খেলাঘর ঢাকা মহানগরের শিশুদের বৈশাখী উত্সব ১৪১৮ হবে বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবনের আমতলায় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে তমদ্দুন মসজিলের সাহিত্য সভা হবে ১৪১ নিউ সার্কুলার রোডে বাদ আসর।