সমকাল :: সামরিক বাজেটের আকার বড় হচ্ছে ::
সামরিক বাজেটের আকার বড় হচ্ছে
আবু কাওসার
সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরে সামরিক বাজেটের আকার বড় হচ্ছে। নৌবাহিনীর বহরে নতুন ফ্রিগেট সংযোজন, বিমান বাহিনীর জন্য মিগ কেনা, সেনাবাহিনীর সরঞ্জাম সরবরাহ বৃদ্ধি করে সামরিক বাহিনীর সমরশক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ জন্য নতুন অর্থবছরে বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হচ্ছে। জানা গেছে, আসন্ন
অর্থবছরে সামরিক বাজেটের আকার হতে পারে ১৩ হাজার কোটি টাকা, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এটি চলতি অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরে সামরিক খাতে (সেনা, নৌ, বিমান বরাদ্দ ছিল ১১ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা।
সমর বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, সামরিক বাজেট আরও স্বচ্ছ হওয়া উচিত। তাদের মতে, সংবিধানে সরকারের সব ধরনের ব্যয়ের খতিয়ান জনগণের জানার অধিকার দেওয়া হলেও সামরিক বাজেটে কোন খাতে কত ব্যয় হয় তা আজ পর্যন্ত কখনও জানানো হয় না। প্রথাগতভাবে এই ব্যয় গোপন রাখার ফলে সামরিক বা প্রতিরক্ষা বাজেটের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে_ তথ্য অধিকার আইনেও সামরিক ব্যয়ে গোপনীয়তা রক্ষায় বিধিনিষেধ নেই।
সরকারের নীতিনির্ধারক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করতে ৩টি বড় ফ্রিগেট কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ফ্রিগেট কিনতে ১শ' কোটি টাকার বেশি ব্যয় হতে পারে। আগামী তিন বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে তা ক্রয় করা হবে। কোরিয়া থেকে কেনার চিন্তাভাবনা চলছে। বিমানবাহিনীকে সজ্জিত করতে এ বহরে ৮টি নতুন মিগ যুক্ত করা হবে। এতে এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে মিগগুলো ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য পাঠাতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ক্রয়ে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে পৃথক পরিকল্পনা পেশ করা হয়।
বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের খাতভিত্তিক ব্যয়ের আলাদা বিভাজন থাকলেও ব্যতিক্রম প্রতিরক্ষা বাজেটে। কোন খাতে কত ব্যয় হবে তার বিস্তারিত বিবরণ থাকে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, প্রথাগতভাবে সামরিক বাজেট প্রণয়নে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয় বলে বিস্তারিত ব্যয়ের হিসাব দেওয়া হয় না। এখন পর্যন্ত সামরিক বাজেটে একক খাত হিসেবে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে। এর পরিমাণ মোট বাজেটের প্রায় ৮ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেটের আকার এক লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। এটি গত অর্থবছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। কৌশলগত কারণে ভারত সরকার এ বছর বিশাল সামরিক বাজেট ঘোষণা করেছে। ভারতের সামরিক বাজেটের আকার দেশটির মোট জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ। বাংলাদেশে জিডিপির ১ শতাংশ। বিশ্বে সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি খরচ করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জিডিপির প্রায় ৫ শতাংশ ব্যয় করে প্রতিরক্ষা খাতে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাজেটে ছিল ৭১ হাজার ১০০ কোটি ডলার।
কেমন সামরিক বাজেট হওয়া উচিত : বাংলাদেশের বাস্তবতার আলোকে প্রতিরক্ষা বাজেট কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে দেশের সমর বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলেছে সমকাল।
তারা সবাই বলেছেন, দেশের স্বার্থে সামরিক বাজেটের ব্যাপারে স্বচ্ছতা আনতে হবে। সরকারি হিসাব সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, কোথায় কীভাবে এ টাকা খরচ হয় এর বিস্তারিত বিবরণ থাকা উচিত। সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব কামরুল হাসান বলেন, সামরিক খাতের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পদ্ধতিও বেশ দুর্বল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বাদ দিয়ে সামরিক খাতে কেনাকাটা হয় বলে ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব জানার সুযোগ কম। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে.(অব.) মাহবুবুর রহমান মনে করেন, সামরিক বাজেট অস্বচ্ছ। এ নিয়ে সংসদের ভেতরে-বাইরে আলোচনা হওয়া উচিত। এই টাকা কীভাবে খরচ করা হয় তা জনগণকে জানাতে হবে। সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আরও বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করেন তিনি। প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ বলেন, সামরিক বাজেট নিয়ে আজ পর্যন্ত কোনো ফোরামে আলোচনা হয়নি। আগে রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কী চাই। তারপর সামরিক বাজেট নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
ক্রয়বিধি আওতামুক্ত : বেতন-ভাতা ছাড়া সামরিক বাজেটের বড় একটি অংশ খরচ করা হয় ক্রয় খাতে। অস্ত্র, গোলাবারুদ, সরঞ্জামের পাশাপাশি মেরামত, সংস্কার, ওষুধ, খাদ্যসামগ্রী, কনস্ট্রাকশন, পোশাকসহ অন্যান্য খাতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়ে থাকে। এসব ব্যয়ের খতিয়ান কখনও জানা যায়নি। সামরিক বাহিনীর যাবতীয় কেনাকাটা হয় প্রতিরক্ষা ক্রয় অধিদফতরের মাধ্যমে, যা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে। নিজস্ব ক্রয় নীতিমালার আওতায় প্রতিরক্ষা খাতের যাবতীয় ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। প্রতিরক্ষা খাতে আমদানিকৃত সব সরঞ্জাম প্রাক-জাহাজিকরণ পরিদর্শন বা পিএসআই পদ্বতির বহির্ভূত। ফলে কেনাকাটার স্বচ্ছতা নিয়ে অনেক সময় প্রশ্ন ওঠে।
এনবিআর সূত্র জানায়, সামরিক বাহিনীর সব সরঞ্জাম আমদানি শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায়। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, একমাত্র প্রতিরক্ষা খাত ব্যতীত অন্য সব মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় ক্রয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস বা পিপিআর অনুসরণ করা হয়। বর্তমানে সরকারি খাতে বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকার কেনাকাটা হয়ে থাকে। প্রতিরক্ষা খাতের ক্রয় এ হিসাবের বাইরে। সামরিক বাহিনীর জন্য প্রণীত ক্রয় নীতিমালার খসড়া এখনও অনুমোদিত হয়নি।
সামরিক বাজেটের আকার বড় হচ্ছে
আবু কাওসার
সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরে সামরিক বাজেটের আকার বড় হচ্ছে। নৌবাহিনীর বহরে নতুন ফ্রিগেট সংযোজন, বিমান বাহিনীর জন্য মিগ কেনা, সেনাবাহিনীর সরঞ্জাম সরবরাহ বৃদ্ধি করে সামরিক বাহিনীর সমরশক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ জন্য নতুন অর্থবছরে বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হচ্ছে। জানা গেছে, আসন্ন
অর্থবছরে সামরিক বাজেটের আকার হতে পারে ১৩ হাজার কোটি টাকা, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এটি চলতি অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরে সামরিক খাতে (সেনা, নৌ, বিমান বরাদ্দ ছিল ১১ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা।
সমর বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, সামরিক বাজেট আরও স্বচ্ছ হওয়া উচিত। তাদের মতে, সংবিধানে সরকারের সব ধরনের ব্যয়ের খতিয়ান জনগণের জানার অধিকার দেওয়া হলেও সামরিক বাজেটে কোন খাতে কত ব্যয় হয় তা আজ পর্যন্ত কখনও জানানো হয় না। প্রথাগতভাবে এই ব্যয় গোপন রাখার ফলে সামরিক বা প্রতিরক্ষা বাজেটের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে_ তথ্য অধিকার আইনেও সামরিক ব্যয়ে গোপনীয়তা রক্ষায় বিধিনিষেধ নেই।
সরকারের নীতিনির্ধারক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করতে ৩টি বড় ফ্রিগেট কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ফ্রিগেট কিনতে ১শ' কোটি টাকার বেশি ব্যয় হতে পারে। আগামী তিন বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে তা ক্রয় করা হবে। কোরিয়া থেকে কেনার চিন্তাভাবনা চলছে। বিমানবাহিনীকে সজ্জিত করতে এ বহরে ৮টি নতুন মিগ যুক্ত করা হবে। এতে এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে মিগগুলো ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য পাঠাতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ক্রয়ে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে পৃথক পরিকল্পনা পেশ করা হয়।
বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের খাতভিত্তিক ব্যয়ের আলাদা বিভাজন থাকলেও ব্যতিক্রম প্রতিরক্ষা বাজেটে। কোন খাতে কত ব্যয় হবে তার বিস্তারিত বিবরণ থাকে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, প্রথাগতভাবে সামরিক বাজেট প্রণয়নে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয় বলে বিস্তারিত ব্যয়ের হিসাব দেওয়া হয় না। এখন পর্যন্ত সামরিক বাজেটে একক খাত হিসেবে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে। এর পরিমাণ মোট বাজেটের প্রায় ৮ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেটের আকার এক লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। এটি গত অর্থবছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। কৌশলগত কারণে ভারত সরকার এ বছর বিশাল সামরিক বাজেট ঘোষণা করেছে। ভারতের সামরিক বাজেটের আকার দেশটির মোট জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ। বাংলাদেশে জিডিপির ১ শতাংশ। বিশ্বে সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি খরচ করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জিডিপির প্রায় ৫ শতাংশ ব্যয় করে প্রতিরক্ষা খাতে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাজেটে ছিল ৭১ হাজার ১০০ কোটি ডলার।
কেমন সামরিক বাজেট হওয়া উচিত : বাংলাদেশের বাস্তবতার আলোকে প্রতিরক্ষা বাজেট কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে দেশের সমর বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলেছে সমকাল।
তারা সবাই বলেছেন, দেশের স্বার্থে সামরিক বাজেটের ব্যাপারে স্বচ্ছতা আনতে হবে। সরকারি হিসাব সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, কোথায় কীভাবে এ টাকা খরচ হয় এর বিস্তারিত বিবরণ থাকা উচিত। সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব কামরুল হাসান বলেন, সামরিক খাতের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পদ্ধতিও বেশ দুর্বল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বাদ দিয়ে সামরিক খাতে কেনাকাটা হয় বলে ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব জানার সুযোগ কম। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে.(অব.) মাহবুবুর রহমান মনে করেন, সামরিক বাজেট অস্বচ্ছ। এ নিয়ে সংসদের ভেতরে-বাইরে আলোচনা হওয়া উচিত। এই টাকা কীভাবে খরচ করা হয় তা জনগণকে জানাতে হবে। সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আরও বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করেন তিনি। প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ বলেন, সামরিক বাজেট নিয়ে আজ পর্যন্ত কোনো ফোরামে আলোচনা হয়নি। আগে রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কী চাই। তারপর সামরিক বাজেট নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
ক্রয়বিধি আওতামুক্ত : বেতন-ভাতা ছাড়া সামরিক বাজেটের বড় একটি অংশ খরচ করা হয় ক্রয় খাতে। অস্ত্র, গোলাবারুদ, সরঞ্জামের পাশাপাশি মেরামত, সংস্কার, ওষুধ, খাদ্যসামগ্রী, কনস্ট্রাকশন, পোশাকসহ অন্যান্য খাতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়ে থাকে। এসব ব্যয়ের খতিয়ান কখনও জানা যায়নি। সামরিক বাহিনীর যাবতীয় কেনাকাটা হয় প্রতিরক্ষা ক্রয় অধিদফতরের মাধ্যমে, যা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে। নিজস্ব ক্রয় নীতিমালার আওতায় প্রতিরক্ষা খাতের যাবতীয় ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। প্রতিরক্ষা খাতে আমদানিকৃত সব সরঞ্জাম প্রাক-জাহাজিকরণ পরিদর্শন বা পিএসআই পদ্বতির বহির্ভূত। ফলে কেনাকাটার স্বচ্ছতা নিয়ে অনেক সময় প্রশ্ন ওঠে।
এনবিআর সূত্র জানায়, সামরিক বাহিনীর সব সরঞ্জাম আমদানি শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায়। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, একমাত্র প্রতিরক্ষা খাত ব্যতীত অন্য সব মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় ক্রয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস বা পিপিআর অনুসরণ করা হয়। বর্তমানে সরকারি খাতে বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকার কেনাকাটা হয়ে থাকে। প্রতিরক্ষা খাতের ক্রয় এ হিসাবের বাইরে। সামরিক বাহিনীর জন্য প্রণীত ক্রয় নীতিমালার খসড়া এখনও অনুমোদিত হয়নি।