Black_cats
ELITE MEMBER
- Joined
- Dec 31, 2010
- Messages
- 10,031
- Reaction score
- -5
Large amount of money has been spent on buying furniture and utensils lifting it to the apartment. The cost of lifting at least 50 products, including washing machine, has been shown to be about half of the purchase price, 75 percent in some at the constructed building for accommodating the governments employees in this important government project.
In a report of the country's transformation, the accounts of the unusual expenditure of the Ruppur Nuclear Power Plant project were published.
It was shown in the report that about three thousand taka was spent on taking an electric kettle weighing like a kilo to the flat from bottom. Almost equal amount of money spent on every electric iron that is used for ironing clothes.
To deliver the electric stove to the flat which cost 8000 taka to buy they have shown
expenses more than 6500 taka. The cost for lifting each pillow is shown around 1000 taka. The cost is shown around 30000 taka for lifting a washing machine.
Not only in lifting to the building, but also in the case of furniture purchase, unusual expenditure is shown. Each bed sheet has been bought at 5,986 taka. As a result, the cost of buying 330 sheets is 19 lakh 75 thousand 380 taka. In the case of 330 pillows, near expenditure has been shown. For the cleaning of clothes, each of the 110 washing machines has been bought at Tk 1 lakh 36 thousand. Each of the 110 TVs has been purchased at Tk 86,660 and the cabinet to keep the TVs has been purchased at TK 52,378 each.
This has been done by Public Works Department.
Can someone please translate the rest?
আপডেট
১৬-০৫-২০১৯, ২০:০০
৫ হাজার টাকার এক বালিশ ফ্ল্যাটে তুলতে খরচ ৭৬০ টাকা!
আসবাবপত্র ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র কেনা ও ফ্ল্যাটে তুলতে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য নির্মিত ভবনে ওয়াশিং মেশিনসহ অন্তত ৫০টি পণ্য ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ক্রয়মূল্যের প্রায় অর্ধেক, কোনো কোনোটিতে ৭৫ শতাংশ।
দেশ রূপান্তরের একটি প্রতিবেদনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের নথিপত্র ঘেঁটে অস্বাভাবিক অর্থ ব্যয়ের এ হিসাব তুলে ধরা হয়।
ওই প্রতিবেদনে দেখানো হয়, এক কেজির মতো ওজনের একটি বৈদ্যুতিক কেটলি নিচ থেকে ফ্ল্যাটে তুলতে খরচ হয়েছে প্রায় তিন হাজার টাকা। জামা-কাপড় ইস্ত্রি করার কাজে ব্যবহৃত প্রতিটি ইলেক্ট্রিক আয়রন ওপরে তুলতেও খরচ হয়েছে প্রায় সমপরিমাণ টাকা।
প্রায় আট হাজার টাকা করে কেনা প্রতিটি বৈদ্যুতিক চুলা ফ্ল্যাটে পৌঁছে দিতে খরচ দেখানো হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার টাকার বেশি। প্রতিটি শোবার বালিশ ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে প্রায় এক হাজার টাকা করে। আর একেকটি ওয়াশিং মেশিন ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৩০ হাজার টাকারও বেশি।
কেবল ভবনে ওঠানোর ক্ষেত্রেই নয়, আসবাবপত্র কেনার ক্ষেত্রেও অস্বাভাবিক অর্থ ব্যয় দেখানো হয়েছে। প্রতিটি বিছানার চাদর কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৯৮৬ টাকা করে। এ হিসাবে ৩৩০টি চাদর কিনতে খরচ হয়েছে ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৩৮০ টাকা। ৩৩০টি বালিশের ক্ষেত্রেও দেখানো হয়েছে কাছাকাছি ব্যয়। কাপড় পরিষ্কারের জন্য ১১০টি ওয়াশিং মেশিনের প্রত্যেকটি কেনা হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ১১২ টাকা করে। ১১০টি টেলিভিশনের প্রত্যেকটি কেনা হয়েছে ৮৬ হাজার ৯৬০ টাকায় এবং সেগুলো রাখার জন্য টেলিভিশন কেবিনেট কেনা হয়েছে ৫২ হাজার ৩৭৮ টাকা করে।
সরকারি টাকায় এমন আকাশছোঁয়া দামে এসব আসবাবপত্র কেনার পর তা ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে তুলতে অস্বাভাবিক হারে অর্থ ব্যয় হয়েছে। এ ঘটনা ঘটিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের পাবনা পূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় মূল প্রকল্প এলাকার বাইরে তৈরি হয়েছে গ্রিনসিটি আবাসন পল্লী। সেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য এগারোটি ২০তলা এবং আটটি ১৬ তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
এরইমধ্যে আটটি ২০ তলা ও একটি ১৬ তলা ভবনের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ২০ তলা ভবনে ১১০টি ও ১৬ তলা ভবনে ৮৬টি ফ্ল্যাট থাকবে। নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া নয়টি ভবনের ৯৬৬টি ফ্ল্যাটের জন্য আসবাবপত্র কেনা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে একটি ২০ তলা ভবনের ১১০টি ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র কেনা ও তা ভবনে ওঠাতে সব মিলে ব্যয় হয়েছে ২৫ কোটি ৬৯ লাখ ৯২ হাজার ২৯২ টাকা।
২০ তলা ওই ভবনটির প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য প্রতিটি বালিশ কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা করে, ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। ৯৪ হাজার ২৫০ টাকা করে কেনা প্রতিটি রেফ্রিজারেটর ওপরে ওঠাতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ১২ হাজার ৫২১ টাকা। একেকটি ওয়াশিং মেশিন কেনা হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা দরে, ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৩০ হাজার ৪১৯ টাকা করে। একেকটি ড্রেসিং টেবিল কেনা হয়েছে ২১ হাজার ২১৫ টাকায়, আর ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৮ হাজার ৯১০ টাকা করে। ৫ হাজার ৩১৩ টাকা দরে একেকটি ইলেক্ট্রিক কেটলি কেনার পর তা ভবনে ওঠানো হয়েছে ২ হাজার ৯৪৫ টাকায়। এছাড়া রুম পরিষ্কার করার মেশিন কিনতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ১২ হাজার ১৮ টাকা, ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ছয় হাজার ৬৫০ টাকা।
প্রকল্পের আসবাবপত্র কেনার নথিপত্র পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, ২০ তলা ওই ভবনের ১১০টি ফ্ল্যাটের জন্য ৮৬ হাজার ৯৭০ টাকা দরে ১১০টি টেলিভিশন কেনা হয়েছে ৯৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকায়। টেলিভিশনগুলো ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য ৯৪ হাজার ২৫০ টাকা দরে মোট ১১০টি ফ্রিজ কিনতে খরচ হয়েছে এক কোটি ৩৬ লাখ সাড়ে সাত হাজার টাকা। সেগুলোর প্রত্যেকটি ভবনে তুলতে খরচ হয়েছে ১২ হাজার ৫২১ টাকা।
একইভাবে ১ লাখ ৩৬ হাজার ১১২ টাকা দরে মোট এক কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে কেনা ১১০টি ওয়াশিং মেশিন ফ্ল্যাটে তুলতে খরচ দেখানো হয়েছে ৩৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। ৩৮ হাজার ২৭৪ টাকা দরে কেনা মাইক্রোওয়েভ ওভেন ফ্ল্যাটে পৌঁছাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৮৪০ টাকা করে। প্রতিটি কেটলি ৫ হাজার ৩১৩ টাকা দরে কিনে ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৯৪৫ টাকা।
প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য ৪৩ হাজার ৩৫৭ টাকা দরে ১১০টি খাট কিনতে খরচ হয়েছে ৪৭ লাখ ৫৯ হাজার ২৭০ টাকা। খাটগুলোর প্রত্যেকটি ফ্ল্যাটে নিতে খরচ দেখানো হয়েছে ১০ হাজার ৭৭৩ টাকা করে। একেকটি সোফা কেনা হয়েছে ৭৪ হাজার ৫০৯ টাকায়, ভবনে ওঠাতে খরচ হয়েছে ২৪ হাজার ২৪৪ টাকা করে। ১৪ হাজার ৫৬১ টাকা দরে কেনা সেন্টার টেবিলের প্রত্যেকটি ভবনে তুলতে লেগেছে ২ হাজার ৪৮৯ টাকা।
ছয়টি চেয়ারসহ ডাইনিং টেবিলের একেকটি সেট কেনা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭৪ টাকায়, ভবনে তুলতে লেগেছে ২১ হাজার ৩৭৫ টাকা করে। ৫৯ হাজার ৮৫৮ টাকা দরে ওয়ারড্রব কিনে ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১৭ হাজার ৪৯৯ টাকা করে। ৩৬ হাজার ৫৭ টাকা দরে ৩৩০টি মেট্রেস ও তোশক কেনা হয়েছে মোট এক কোটি ১৯ লাখ টাকায়, যার প্রতিটি ভবনে ওঠাতে খরচ করা হয়েছে সাত হাজার ৭৫২ টাকা করে।
৫ হাজার ৯৫৭ টাকা দরে এক হাজার ৩২০টি বালিশ কেনার পর তার প্রত্যেকটি ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। ৩৩০টি বিছানার চাদরের প্রত্যেকটি ৫ হাজার ৯৮৬ টাকা দরে কিনে ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৯৩১ টাকা। এক লাখ ৯৪ হাজার ৬৬৯ টাকা ব্যয়ে কেনা একটি কনফারেন্স টেবিল ভবনে ওঠাতে ব্যয় করা হয়েছে ১৬ হাজার ৯১০ টাকা। এর একেকটি চেয়ার ভবনে ওঠাতে খরচ হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৮ টাকা। ৪৫ হাজার ৭৯১ টাকা দরে কেনা মিনি কেবিনেটের প্রত্যেকটি ভবনে ওঠাতে খরচ হয়েছে ৭ হাজার ৭৫২ টাকা। ৩৩০টি বেডসাইট টেবিলের প্রত্যেকটি কিনতে খরচ করা হয়েছে ১১ হাজার ৭৫৬ টাকা। আর প্রতিটি ভবনে ওঠাতে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৫০১ টাকা।
এছাড়া, ৩৫ হাজার ৭৫৭ টাকা করে ৩৩০টি ড্রেসিং টেবিল কিনে প্রতিটি ভবনে ওঠাতে আট হাজার ৯১১ টাকা করে ব্যয় করা হয়েছে। আয়রন টেবিল ২০ হাজার ৪৫৮ টাকা দরে কিনে প্রতিটি ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৬৭৯ টাকা। ৮ হাজার ৩১৩ টাকা দরে মিনি সেন্টার টেবিল কিনে ভবনে ওঠাতে খরচ হয়েছে ২ হাজার ১৪ টাকা করে। এছাড়া ৪০ হাজার ৮৯৩ টাকা দরে ডিভাইন কিনে প্রতিটি ফ্ল্যাটে তুলতে পাঁচ হাজার ৩৯৬ টাকা করে ব্যয় দেখানো হয়েছে। সব মিলে ২০ তলা ওই ভবনটির আসবাবপত্র কেনা ও ফ্ল্যাটে উঠাতে ব্যয় হয়েছে ২৫ কোটি ৬৯ লাখ ৯২ হাজার ২৯২ টাকা।
তবে দেশরূপান্তরের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন, নিয়ম মেনেই এসব কেনাকাটা করা হয়েছে।
প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিধিবিধান মেনেই কাজ করে থাকি। এখানে উন্মুক্ত দরপত্র দিয়ে মালামাল কেনাসহ অন্যান্য কাজ করা হয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়মের সুযোগ নেই। সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই করা হয়েছে।’
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই এসব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাই খোঁজখবর না নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। যদি কোনো সমস্যা থাকে, তা তদন্ত করে দেখা হবে।’
গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, ‘এ ধরনের একটি বিষয় আমাদের দৃষ্টিতে আসার পর দরদাম ও অন্যান্য বিষয়াদি দেখার জন্য কমিটি গঠন করে দিয়েছিলাম। এরপর তারা কী করেছে, তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’
http://www.somoynews.tv/pages/detai...9heUlYhs-0gT8vPmh4wkPxYoHK6b6ZILVZoFYG9BJbw6I
In a report of the country's transformation, the accounts of the unusual expenditure of the Ruppur Nuclear Power Plant project were published.
It was shown in the report that about three thousand taka was spent on taking an electric kettle weighing like a kilo to the flat from bottom. Almost equal amount of money spent on every electric iron that is used for ironing clothes.
To deliver the electric stove to the flat which cost 8000 taka to buy they have shown
expenses more than 6500 taka. The cost for lifting each pillow is shown around 1000 taka. The cost is shown around 30000 taka for lifting a washing machine.
Not only in lifting to the building, but also in the case of furniture purchase, unusual expenditure is shown. Each bed sheet has been bought at 5,986 taka. As a result, the cost of buying 330 sheets is 19 lakh 75 thousand 380 taka. In the case of 330 pillows, near expenditure has been shown. For the cleaning of clothes, each of the 110 washing machines has been bought at Tk 1 lakh 36 thousand. Each of the 110 TVs has been purchased at Tk 86,660 and the cabinet to keep the TVs has been purchased at TK 52,378 each.
This has been done by Public Works Department.
Can someone please translate the rest?
আপডেট
১৬-০৫-২০১৯, ২০:০০
৫ হাজার টাকার এক বালিশ ফ্ল্যাটে তুলতে খরচ ৭৬০ টাকা!
আসবাবপত্র ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র কেনা ও ফ্ল্যাটে তুলতে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য নির্মিত ভবনে ওয়াশিং মেশিনসহ অন্তত ৫০টি পণ্য ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ক্রয়মূল্যের প্রায় অর্ধেক, কোনো কোনোটিতে ৭৫ শতাংশ।
দেশ রূপান্তরের একটি প্রতিবেদনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের নথিপত্র ঘেঁটে অস্বাভাবিক অর্থ ব্যয়ের এ হিসাব তুলে ধরা হয়।
ওই প্রতিবেদনে দেখানো হয়, এক কেজির মতো ওজনের একটি বৈদ্যুতিক কেটলি নিচ থেকে ফ্ল্যাটে তুলতে খরচ হয়েছে প্রায় তিন হাজার টাকা। জামা-কাপড় ইস্ত্রি করার কাজে ব্যবহৃত প্রতিটি ইলেক্ট্রিক আয়রন ওপরে তুলতেও খরচ হয়েছে প্রায় সমপরিমাণ টাকা।
প্রায় আট হাজার টাকা করে কেনা প্রতিটি বৈদ্যুতিক চুলা ফ্ল্যাটে পৌঁছে দিতে খরচ দেখানো হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার টাকার বেশি। প্রতিটি শোবার বালিশ ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে প্রায় এক হাজার টাকা করে। আর একেকটি ওয়াশিং মেশিন ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৩০ হাজার টাকারও বেশি।
কেবল ভবনে ওঠানোর ক্ষেত্রেই নয়, আসবাবপত্র কেনার ক্ষেত্রেও অস্বাভাবিক অর্থ ব্যয় দেখানো হয়েছে। প্রতিটি বিছানার চাদর কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৯৮৬ টাকা করে। এ হিসাবে ৩৩০টি চাদর কিনতে খরচ হয়েছে ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৩৮০ টাকা। ৩৩০টি বালিশের ক্ষেত্রেও দেখানো হয়েছে কাছাকাছি ব্যয়। কাপড় পরিষ্কারের জন্য ১১০টি ওয়াশিং মেশিনের প্রত্যেকটি কেনা হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ১১২ টাকা করে। ১১০টি টেলিভিশনের প্রত্যেকটি কেনা হয়েছে ৮৬ হাজার ৯৬০ টাকায় এবং সেগুলো রাখার জন্য টেলিভিশন কেবিনেট কেনা হয়েছে ৫২ হাজার ৩৭৮ টাকা করে।
সরকারি টাকায় এমন আকাশছোঁয়া দামে এসব আসবাবপত্র কেনার পর তা ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে তুলতে অস্বাভাবিক হারে অর্থ ব্যয় হয়েছে। এ ঘটনা ঘটিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের পাবনা পূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় মূল প্রকল্প এলাকার বাইরে তৈরি হয়েছে গ্রিনসিটি আবাসন পল্লী। সেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য এগারোটি ২০তলা এবং আটটি ১৬ তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
এরইমধ্যে আটটি ২০ তলা ও একটি ১৬ তলা ভবনের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ২০ তলা ভবনে ১১০টি ও ১৬ তলা ভবনে ৮৬টি ফ্ল্যাট থাকবে। নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া নয়টি ভবনের ৯৬৬টি ফ্ল্যাটের জন্য আসবাবপত্র কেনা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে একটি ২০ তলা ভবনের ১১০টি ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র কেনা ও তা ভবনে ওঠাতে সব মিলে ব্যয় হয়েছে ২৫ কোটি ৬৯ লাখ ৯২ হাজার ২৯২ টাকা।
২০ তলা ওই ভবনটির প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য প্রতিটি বালিশ কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা করে, ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। ৯৪ হাজার ২৫০ টাকা করে কেনা প্রতিটি রেফ্রিজারেটর ওপরে ওঠাতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ১২ হাজার ৫২১ টাকা। একেকটি ওয়াশিং মেশিন কেনা হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা দরে, ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৩০ হাজার ৪১৯ টাকা করে। একেকটি ড্রেসিং টেবিল কেনা হয়েছে ২১ হাজার ২১৫ টাকায়, আর ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৮ হাজার ৯১০ টাকা করে। ৫ হাজার ৩১৩ টাকা দরে একেকটি ইলেক্ট্রিক কেটলি কেনার পর তা ভবনে ওঠানো হয়েছে ২ হাজার ৯৪৫ টাকায়। এছাড়া রুম পরিষ্কার করার মেশিন কিনতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ১২ হাজার ১৮ টাকা, ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ছয় হাজার ৬৫০ টাকা।
প্রকল্পের আসবাবপত্র কেনার নথিপত্র পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, ২০ তলা ওই ভবনের ১১০টি ফ্ল্যাটের জন্য ৮৬ হাজার ৯৭০ টাকা দরে ১১০টি টেলিভিশন কেনা হয়েছে ৯৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকায়। টেলিভিশনগুলো ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য ৯৪ হাজার ২৫০ টাকা দরে মোট ১১০টি ফ্রিজ কিনতে খরচ হয়েছে এক কোটি ৩৬ লাখ সাড়ে সাত হাজার টাকা। সেগুলোর প্রত্যেকটি ভবনে তুলতে খরচ হয়েছে ১২ হাজার ৫২১ টাকা।
একইভাবে ১ লাখ ৩৬ হাজার ১১২ টাকা দরে মোট এক কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে কেনা ১১০টি ওয়াশিং মেশিন ফ্ল্যাটে তুলতে খরচ দেখানো হয়েছে ৩৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। ৩৮ হাজার ২৭৪ টাকা দরে কেনা মাইক্রোওয়েভ ওভেন ফ্ল্যাটে পৌঁছাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৮৪০ টাকা করে। প্রতিটি কেটলি ৫ হাজার ৩১৩ টাকা দরে কিনে ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৯৪৫ টাকা।
প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য ৪৩ হাজার ৩৫৭ টাকা দরে ১১০টি খাট কিনতে খরচ হয়েছে ৪৭ লাখ ৫৯ হাজার ২৭০ টাকা। খাটগুলোর প্রত্যেকটি ফ্ল্যাটে নিতে খরচ দেখানো হয়েছে ১০ হাজার ৭৭৩ টাকা করে। একেকটি সোফা কেনা হয়েছে ৭৪ হাজার ৫০৯ টাকায়, ভবনে ওঠাতে খরচ হয়েছে ২৪ হাজার ২৪৪ টাকা করে। ১৪ হাজার ৫৬১ টাকা দরে কেনা সেন্টার টেবিলের প্রত্যেকটি ভবনে তুলতে লেগেছে ২ হাজার ৪৮৯ টাকা।
ছয়টি চেয়ারসহ ডাইনিং টেবিলের একেকটি সেট কেনা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭৪ টাকায়, ভবনে তুলতে লেগেছে ২১ হাজার ৩৭৫ টাকা করে। ৫৯ হাজার ৮৫৮ টাকা দরে ওয়ারড্রব কিনে ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১৭ হাজার ৪৯৯ টাকা করে। ৩৬ হাজার ৫৭ টাকা দরে ৩৩০টি মেট্রেস ও তোশক কেনা হয়েছে মোট এক কোটি ১৯ লাখ টাকায়, যার প্রতিটি ভবনে ওঠাতে খরচ করা হয়েছে সাত হাজার ৭৫২ টাকা করে।
৫ হাজার ৯৫৭ টাকা দরে এক হাজার ৩২০টি বালিশ কেনার পর তার প্রত্যেকটি ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। ৩৩০টি বিছানার চাদরের প্রত্যেকটি ৫ হাজার ৯৮৬ টাকা দরে কিনে ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৯৩১ টাকা। এক লাখ ৯৪ হাজার ৬৬৯ টাকা ব্যয়ে কেনা একটি কনফারেন্স টেবিল ভবনে ওঠাতে ব্যয় করা হয়েছে ১৬ হাজার ৯১০ টাকা। এর একেকটি চেয়ার ভবনে ওঠাতে খরচ হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৮ টাকা। ৪৫ হাজার ৭৯১ টাকা দরে কেনা মিনি কেবিনেটের প্রত্যেকটি ভবনে ওঠাতে খরচ হয়েছে ৭ হাজার ৭৫২ টাকা। ৩৩০টি বেডসাইট টেবিলের প্রত্যেকটি কিনতে খরচ করা হয়েছে ১১ হাজার ৭৫৬ টাকা। আর প্রতিটি ভবনে ওঠাতে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৫০১ টাকা।
এছাড়া, ৩৫ হাজার ৭৫৭ টাকা করে ৩৩০টি ড্রেসিং টেবিল কিনে প্রতিটি ভবনে ওঠাতে আট হাজার ৯১১ টাকা করে ব্যয় করা হয়েছে। আয়রন টেবিল ২০ হাজার ৪৫৮ টাকা দরে কিনে প্রতিটি ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৬৭৯ টাকা। ৮ হাজার ৩১৩ টাকা দরে মিনি সেন্টার টেবিল কিনে ভবনে ওঠাতে খরচ হয়েছে ২ হাজার ১৪ টাকা করে। এছাড়া ৪০ হাজার ৮৯৩ টাকা দরে ডিভাইন কিনে প্রতিটি ফ্ল্যাটে তুলতে পাঁচ হাজার ৩৯৬ টাকা করে ব্যয় দেখানো হয়েছে। সব মিলে ২০ তলা ওই ভবনটির আসবাবপত্র কেনা ও ফ্ল্যাটে উঠাতে ব্যয় হয়েছে ২৫ কোটি ৬৯ লাখ ৯২ হাজার ২৯২ টাকা।
তবে দেশরূপান্তরের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন, নিয়ম মেনেই এসব কেনাকাটা করা হয়েছে।
প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিধিবিধান মেনেই কাজ করে থাকি। এখানে উন্মুক্ত দরপত্র দিয়ে মালামাল কেনাসহ অন্যান্য কাজ করা হয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়মের সুযোগ নেই। সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই করা হয়েছে।’
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই এসব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাই খোঁজখবর না নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। যদি কোনো সমস্যা থাকে, তা তদন্ত করে দেখা হবে।’
গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, ‘এ ধরনের একটি বিষয় আমাদের দৃষ্টিতে আসার পর দরদাম ও অন্যান্য বিষয়াদি দেখার জন্য কমিটি গঠন করে দিয়েছিলাম। এরপর তারা কী করেছে, তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’
http://www.somoynews.tv/pages/detai...9heUlYhs-0gT8vPmh4wkPxYoHK6b6ZILVZoFYG9BJbw6I