What's new

Legal action if anyone tries to visit Israel from Bangladesh: foreign minister

I still think that this BD government are a bunch of turds at times as they should have just kept it as it is.

Even if the Arabs pressured BD, then it should have stuck to its guns as there are red lines that it should not cross like what it writes on its own passport.
Is it not America only that has created pressure on BD to do away with the restrictions in the Passport? It influences also the ME including the govt of SA.
 
.
I really find it hard to believe that they(Gulfies) would be so petty as to do this.

Anyway, why would they just pick on BD and not other Muslim countries like Pakistan who also have millions of workers in the Gulf?

Maybe there was some Arab pressure but the thought they would expel millions of BD workers in the Gulf is too far-fetched. They would also suffer negatively from this as it makes their position weaker since they would have a lesser pool of workers to pick from.

It basically looks like these bunch of AL turds just did this in order to make their lives a bit easier one way or another.

This is exactly my point. Also I'd like to add, Ireland a non Muslim country has the balls to recognize the Palestinian plight and it's existence as a state, deviating from the typical European stance.

Would gulf countries really kick out Bangladeshis?
 
.


12:01 PM, May 26, 2021 / LAST MODIFIED: 12:03 PM, May 26, 2021
Legal action if anyone tries to visit Israel from Bangladesh: foreign minister


Foreign Minister AK Abdul Momen. Photo: File/Collected
" style="box-sizing: border-box; float: right; cursor: pointer; position: relative; display: table; z-index: 1; margin-left: 44.4062px;">
foreign_minister_4.jpg

Foreign Minister AK Abdul Momen. Photo: File/Collected

UNB, Dhaka

Foreign Minister Dr AK Abdul Momen today warned of action as per the immigration law if anyone tries to go to Israel from Bangladesh as it still does not recognise Israel.
"We remain very strong (on legal ground). Everybody knows it. Our immigration will stop them immediately. Immigration will control those things and they do. They've been doing it for years," he told reporters, adding that it is the home ministry that ensures the enforcement of the law.
For all latest news, follow The Daily Star's Google News channel.
The foreign minister made the remarks while responding to questions from reporters after the handover of pharmaceutical products for the people of Palestine to its Ambassador to Bangladesh Yousef SY Ramadan at state guesthouse Padma. Foreign Secretary Masud Bin Momen was also present.
Dr Momen said Bangladesh has not changed its position towards Israel, and no one from Bangladesh can visit Israel.
"If anyone goes there, the person will be liable to be prosecuted. There has been evidence before," said the minister, adding that the government never gave permission to anyone to visit Israel.

He said there is confusion as they have created a new e-passport six to seven months ago deleting "except Israel" to "maintain international standard". "Passport is an identity and it doesn't relate to foreign policy."
The minister said the foreign policy of Bangladesh remains the same as it was during Bangabandhu's time. "We don't recognise Israel."
Who says I’m going to Israel? I’m going to Palestine 🥴
Honor killings are a result of illiteracy. They are not endorsed by the government unlike what's happening here.
Illiterate- unable to read and write
Last I checked people who are familiar with technology was doing it in pakistan. Bigotry will be more appropriate to use
 
. .
Afaik Bangladeshi lawmakers and businessmen visited Jerusalem and Tel Aviv in the past...more will do now...all these talk of prosecution didn't apply to them...only guy to ever been prosecuted was the weekly blitz editor that too because he was allegedly smuggling documents there... and no common people would have any need to visit Israel any time in the near future...Bangladesh is on track to establish some form of relationship with Israel..but obviously won't make a sudden recognition and risk protests.
Bangladesh sporadically sells some unknown goods to Israel. Amd they are bold enough to have them recorded...Imagine what we are selling to them/buying from them that are not recorded or recorded as import/export through other countries.
https://en.prothomalo.com/business/Bangladesh-exports-unknown-goods-to-Israel

Whatever agenda WION might have the report might not be completely unsubstantiated.

@Anubis, another input for you, this one is stronger. I really like this man ,he is a gem of Bangladesh. For the same reason perhaps few people will dislike him too.

However please read this article thoroughly. This article is exactly my feelings too!

ইসরাইল রাষ্ট্রের বিরোধিতা কেন করতে হবেই

গৌতম দাস

৩১ মে ২০২১, ০০:০৫ সোমবার



কেন আমরা ইসরাইলের বিরোধিতা করি এবং করে যাবো? বাংলাদেশে আমাদের প্রায় নব্বই ভাগ জনগোষ্ঠি মুসলমান আর ফিলিস্তিনিরাও মুসলমান। তাই আমাদের মুসলমান নাগরিকেরা ধর্মীয় দায়িত্ব অনুভব করে যে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর। আর তাই ফিলিস্তিনিদেরই ঘাড়ের ওপর বসে তাদেরকে বঞ্চিত করে কেবল ইহুদিদের জন্য বানানো জুলুমবাজ ইসরাইল রাষ্ট্রের বিরোধিতা করা – এই হল আমাদের সাধারণ মানুষের ধর্মতাত্ত্বিক বোধ ও কর্তব্য। ফিলিস্তিনিদের লড়াই সংগ্রাম সমর্থন করে যাওয়া আমাদের কাজ। এটা ধর্মতাত্বিক দিক থেকে খুবই শক্ত এক পদক্ষেপ ও শক্ত আর্গুমেন্টও এবং সবার উপরে এটা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এক ব্যাপক জনসমর্থন জোগানোর দিক থেকে খুবই কার্যকর উপায়!



কিন্তু তবু অন্যান্য দিকেরও তৎপরতা এবং পালটা শক্ত বয়ান ও পয়েন্ট আমাদের দরকার আছে। কারণ এটা কলোনি যুগ পেরিয়ে অধিকারভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রের যুগ এবং গ্লোবাল রাজনৈতিক ব্যবস্থা বলতে যা আমরা সামনে দেখি তা এক অধিকারভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাই – এমন এক গ্লোবাল সময়ে আমরা বসবাস করছি। এর কেন্দ্রে আছে কলোনিমুক্ত রাষ্ট্রগুলোর এক প্রভাবশালী অ্যাসোসিয়েশন, নাম তার ‘জাতিসঙ্ঘ’। জাতিসঙ্ঘের অনেক দুর্বলতা, অক্ষমতা ও অকর্মণ্যতা এবং সর্বোপরি, ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকে পড়ার সমস্যা সবই আছে, কথা সত্য। কিন্তু এসব সত্ত্বেও জাতিসঙ্ঘই কমান্ড করে বলে দিতে পারে, কাউকে কলোনি দখল করে শাসন করা অবৈধ। সাদ্দাম-পরবর্তী ইরাককে বুশের দখল করে নেয়া তাই জাতিসঙ্ঘের চোখে ‘অবৈধ দখল’ ছিল এবং কফি আনান তা পাবলিকলি ঘোষণা করে বলে দিয়েছিলেন।
আবার, ১৯৪৭ সালে কাশ্মিরের রাজাও কাশ্মির ভারতের সঙ্গে যুক্ত ও বিলীন হতে চায় বলে কাগজে সই করেছিলেন। কিন্তু জাতিসঙ্ঘ তা মানে নাই, অবৈধ মনে করেছিল। কারণ জাতিসংঘের জন্ম ম্যান্ডেট মনে করে, কাশ্মিরের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার একমাত্র বৈধ অধিকারী কাশ্মির-ভূখণ্ডের বাসিন্দা জনগণ, ফলে গণভোট করে তাদের রায় জেনে নিয়ে তা অনুসরণ করতে হবে। অতএব, আধুনিক রাষ্ট্র ও এর কাঠামোগুলোর গুরুত্বও বুঝতে হবে।
আবার ধরা যাক হয়ত, আপনার মাথায় রাষ্ট্র বিষয়ে অনেক ভারী তত্ত্বকথা আছে বলে আপনি মনে করেন। কিন্তু দয়া করা উপস্থিত আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাটার কোনো অর্জন নেই, কিছু হয় নাই, কিচ্ছু না, বলে এর বিরুদ্ধে কামান দাগার কাজ হাতে নেবেন না। এটা অপ্রয়োজনীয়। আপনি নতুন যা করতে চান, যে নতুন ক্ষমতা কায়েম করতে চান তা করুন- সেজন্য এখন তা নিয়ে প্রচার, বুঝানো, হেদায়েত সব করতে থাকুন আর সে কাজে জাতিসঙ্ঘসহ এই আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাটা আপনার পক্ষে যতটা সম্ভব ব্যবহার করেই তা করতে থাকুন। পরে নিজে ক্ষমতাবান হয়ে গেলে পুরান সবকিছু বদলে ফেলতে এরা কেউ বাধা হবে না। সোজা কথা বর্তমানের অর্জনকে ফেলে দিয়ে পায়ে মাড়িয়ে এগিয়ে যেতে চাইবেন না। বরং বলতে পারেন, এটা যথেষ্ট অর্জন হয়নি। আরোঅনেক কিছু করতে হবে। কিন্তু দয়া করে এটা বলবেন না যে, এটা কোনই অর্জন নয়।

এখন আসুন আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা মোতাবেকই ইসরাইল রাষ্ট্র কেন ভেঙে দেয়া উচিত – সেসব বুঝে নেয়ার চেষ্টা করি। মনে রাখতে হবে, ইসরাইল টিকে আছে (যেভাবেই হোক) মূলত নিজের পক্ষে এক গ্লোবাল সমর্থন জোগাড় করতে সক্ষম হয়ে আছে বলে। কাজেই আমাদেরও ঐ গ্লোবাল সমর্থন ভাঙতে হবে, আর পালটা সমর্থন যোগাড় করতে হবে। কখন ও কিভাবে? আমেরিকার নেতৃত্বের এই গ্লোবাল সমর্থকদের দুর্বলতার জায়গায় আঘাত করতে হবে যখন এরা নিজেই দুর্বল থাকবে। আর সেক্ষেত্রে ঠিক তার দুর্বলতার জায়গাটা হল – আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার চোখেই ইসরাইল অন্যায্য রাষ্ট্র – এই কথা সর্বত্র তুলে ধরতে হবে এবং এমন এক সময়ে যখন আমেরিকা নিজেই তার গ্লোবাল নেতৃত্ব ধরে রাখার ক্ষেত্রে হিমশিম বেকায়দায়। ফলে গ্লোবাল নতুন মেরুকরণ দুনিয়াজুড়ে আসন্ন হয়ে উঠছে যখন তখনই সে কাজের সবচেয়ে ভালো সময়।

আধুনিক রাষ্ট্রের কী কী বৈশিষ্ট্য ইসরাইল লঙ্ঘন করেঃ
আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় রাষ্ট্রকে বলতে এক রিপাবলিকই বুঝায় আর তাকে রিপাবলিকই হতে হয়। রিপাবলিক মানে যেখানে ক্ষমতার উৎস জনগণ। অর্থাৎ এর পাল্টা হল রাজা-সম্রাটের দেশ মানে কোনো রাজতান্ত্রিক শাসন তা নয়। তাহলে জাতিসঙ্ঘ রাজতান্ত্রিক দেশকে কি সদস্যপদ দেয় না? দেয়, অবশ্যই দেয়। কিন্তু যখনই কোনো রাজার দেশের রাজক্ষমতা কখনো ওর নিজ জনগণের চোখে টালমাটাল বা চ্যালেঞ্জ হয়ে যায় তখনই কেবল জাতিসঙ্ঘ ওকে টেকনিক্যাল সহায়তা করে যাতে সে নতুন রিপাবলিক রাষ্ট্র হয়ে উঠে এমন সাহায্য করে। তবে সাবধান, যত দিন তা বাদশাহর দেশ থাকে তত দিন আবার তাকে বদলাবার কাজ জাতিসঙ্ঘের নয়। সেকাজ ওর আভ্যন্তরীণ জনগণের। তাই রিপাবলিক রাষ্ট্র না হয়েও কোনো রাজশাসন জাতিসঙ্ঘের সদস্যপদ পেতে পারে। তবে রাজশাসনকেও রিপাবলিক সদস্য রাষ্ট্রের জন্য জাতিসঙ্ঘের সব আইন, নিয়ম ও কনভেনশন এবং মানবাধিকারসহ যা কিছু আছে সেগুলো মেনে চলতে প্রতিশ্রুতি দিতে হয়। এই কারণেই দুবাইয়ের প্রিন্সেস লতিফাকে নিয়ে জাতিসঙ্ঘ তাঁর “অধিকার লঙ্ঘনের” জন্য বাদশা-আমীরদের সমালোচনা করছে ও উদ্বেগ জানাতে পারছে।

অন্য দিকে আবার ঠিক বাদশাহদের মতই কমিউনিস্টরাও মনে করেন, অভ্যন্তরীণভাবে নিজ দেশে ‘হিউম্যান রাইট’ বজায় রাখা তাদের রাজনীতি নয়, এজেন্ডা বা পালনীয় নয়। তবে এমন রাষ্ট্রগুলোর কৌশল হয় (এটা অবশ্য স্বৈরাচারীদেরও কৌশল) সে কথা পাবলিকলি স্বীকার করে না-বলা। আর তবুও অমন পরিস্থিতিগুলোতে সরাসরি জাতিসঙ্ঘের ‘হিউম্যান রাইট’ মানি না তা অবশ্যই তারা কোথাও বলে না। বরং কৌশলগতভাবে এড়িয়ে পাশ কাটিয়ে চলে, যতদূর পারে।

সেকালে ইউরোপের ইহুদিরা কেন জায়নিস্ট রাষ্ট্রই চেয়েছিল?
বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের বিদ্বেষ ও নৃশংসতার পর এর বিরুদ্ধে কেন মূলত জার্মান ইহুদিরা একটা “জায়নিস্ট” রাষ্ট্র গড়াকে তাদের জন্য রক্ষাকবজ বলে সাব্যস্ত করেছিল? মানুষের মনস্তাত্ত্বিক আচরণ ও ব্যবহার বড় অদ্ভুত। যেমন, বর্ণবাদিতার চরম অত্যাচার যে সয়েছে তাকে-ই আবার আমরা পাল্টা প্রতিহিংসায় সেই একই বর্ণবাদী হয়ে উঠতে দেখি! এখানে তাদের কাম্য ‘জায়নিস্ট রাষ্ট্র’ মানে কী তা গুরুত্ব দিয়ে আমাদের বুঝতে হবে। এর মানে হল, এটা ‘কেবল ইহুদিদের’ রক্ষার জন্যই একটা রাষ্ট্র হতে হবে। এই ছিল সেকালে তাদের প্রবল বিশ্বাস ও অনুমান। তাদের সেই অনুমানের ভিত্তি থাকুক আর না।

ফলে স্বভাবতই কেবল ইহুদিদেরই সব ধরনের বাড়তি বা বিশেষ সুবিধা দেয়ার রাষ্ট্র এটাকে হতেই হবে। এই ছিল তাদের দাবি। এর পক্ষে সাফাই হল, যেহেতু ইহুদিরা এতবড় এক ভিক্টিম তাই তাদেরকেই বিশেষ সুবিধা দিতেই হবে। আর এখান থেকেই এক মিথ্যা দাবি তারা করে যে, এই জায়নিস্ট রাষ্ট্র এসব সুবিধাদির না পেয়ে থাকলে ইহুদিরা দুনিয়াতে আর কোথাও সুরক্ষিত হবে না, শান্তি পাবে না। অথচ এই দাবি শুধু ভিত্তিহীনই না এটা সম্পুর্ণ অর্থহীন।

প্রথমত, এটা আসলে একটা মানসিক ট্রমা [trauma] বা আঘাতপ্রাপ্ত মানুষের বক্তব্য। যখন অসুস্থ মানুষটা এমন স্তরে থাকে তখনকার বক্তব্য। এটা এক ধরনের ট্রমা যা মানুষকে সবসময় নিরাপত্তার অভাববোধে পাগল করে তোলে। আর প্রথমে যা ছিল তাদের নিরাপত্তার অভাববোধে জন্ম নেয়া ট্রমা, পরে সময়ে এর কিছু থিতু হলে সম্ভবত এটাই রূপান্তরিত হয়ে যায় প্রতিহিংসা-স্পৃহায়। সেসময়ের এমন হিটলারি নৃশংসতার পরে সব মানুষের মনেই কমবেশি প্রতিহিংসা-স্পৃহা জেগে ওঠা হয়ত অস্বাভাবিক নয় যদিনা কেউ পরে কোন সাইকোলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট বা এক্সসারসাইজের ভেতর দিয়ে না গিয়ে থাকে; বা আগাম ব্যবস্থা না নেয় এই বলে ও মেনে যে, সে-ই আবার ফিরে কোনো প্রতিহিংসা করতে পারে না, কারণ এটা তাকেও আরো অসুস্থ বানিয়ে ছাড়বে।

জায়নিস্ট এক রাষ্ট্রের কল্পনা ও দাবি তাই আসলে অনিরাপত্তা-বোধজনিত ট্রমা থেকে। কারণ কোনো আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার কল্পনা ও করণীয় মানেই এর প্রধান কাজ হল, ওদেশের সব নাগরিককে নিরাপত্তা দেয়া। কাজেই ঐ রাষ্ট্রে আলাদা করে জায়নিস্টদের বিশেষ সুবিধা দেয়া ধরণের রাষ্ট্রের স্বপ্ন-কামনা, এটা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। কিন্তু জায়নিজম বলতে চাচ্ছে সে এতে সন্তুষ্ট নয়; কারণ সে ট্রমাগ্রস্ত; তাই কেবল এই ট্রমাগ্রস্ত ইহুদিদের জন্য আলাদা করে নিরাপত্তাবোধ দেয়ার রাষ্ট্র, এক জায়নিস্ট রাষ্ট্রই, একমাত্র এতেই তাদের আস্থা। তাই এটাই গড়তে হবে।

তাহলে তাদেরকে বিশেষ সুবিধার একটা রাষ্ট্র গড়তে দিলে অসুবিধা কী?
অসুবিধা এক.
তাদের ট্রমাগ্রস্ততা কাটানোর জন্য সর্বোত্তম উপায় কি একটা সাইকোলজিক্যাল ট্রিটমেন্টের দুনিয়া সেরা কোন হাসপাতালে তাদেরকে নেয়া? নাকি, একটা ইহুদিবাদী কথিত বিশেষ সুবিধার রাষ্ট্র গড়তে দেয়া? আশা করি পাঠকেরা বুঝেছেন, এখানে ট্রমাগ্রস্ততার চিকিৎসা একটা ভাল হাসপাতালই দরকার। কোনো জায়নিস্ট রাষ্ট্র নয়। কারণ সমস্যাটা মানসিক অসুস্থতা, তাই প্রয়োজন ওর জন্য ট্রিটমেন্ট।

অসুবিধা দুই. জায়নিস্টদেরকে দেয়া বিশেষ সুবিধার রাষ্ট্রনির্মাণের কল্পনা আসলে নিজেই আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধ চিন্তা! এটা মৌলিকভাবে বিরোধী। কারণ আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার মৌলিক অবস্থান বা শর্ত হল, তাকে নাগরিকদের মধ্যে “রাজনৈতিক সাম্য” নিশ্চিত করতেই হয়। রাজনৈতিক অধিকারে সাম্য, যা কোনরকম বৈষম্যহীন এক সাম্য। এখানে কাউকে বিশেষসুবিধা দেয়ার কথাটা আনা মাত্রই তা আর আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার থাকে না; মৌলিকভাবে বিরোধী হয়ে যায়। বরং আপনি নিজের গড়া যেকোন রাষ্ট্রে নিশ্চিত নিরাপত্তা অবশ্যই পেতে পারেন, যদি আপনার রাষ্ট্র ব্যতিক্রমহীনভাবে সবারই নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। আর এতাই রাষ্ট্রের অন্যতম কাজ। কিন্তু আপনি চাচ্ছেন যে – না, আমাকে বিশেষ নিরাপত্তা দিতে হবে কারণ আমি ভিক্টিম। এই হল জায়নবাদিতা – এই অসুস্থ চিন্তার সমস্যার শুরু। আর এর ভিক্টিমহুড তৎপরতা মানে আমি এখন ভিক্টিম বলে ভিক্টিমের প্রতি সমাজের যে সহানুভূতি তৈরি হয় সেইটা বেচে ভিক্টিম এখন খেতে চায়! এটাকেই বলে ‘ভিক্টিমহুড’। অর্থাৎ, বাড়তি সুবিধা নিতে চায়। অন্যকে মারবে-ধরবে এমন যা খুশি করবে এটা চায়…।

অতএব এখান থেকেই আসছে ইহুদিদের জন্য বিশেষ বাড়তি সুবিধা পাবার ইহুদিবাদী রাষ্ট্র, অথবা হিন্দুত্বের জন্য বিশেষ সুবিধার হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র অথবা এ রকম যেকোনো ধর্মের তা হতে পারে। আবার ধর্ম ছাড়াও তা হতে পারে। যেমন- বাঙালি জাতিবাদীদের জন্য বিশেষ সুবিধার বাঙালিবাদী রাষ্ট্র। এরা হয়ত দাবি করবে যে সে নিজের জন্য নিরঙ্কুশ এক ক্ষমতা চায়, কম করে দুই যুগ বা বিয়াল্লিশ সাল পর্যন্ত ধরে ক্ষমতায় থাকতে চায়।

অসুবিধা তিন. জায়নবাদী চিন্তার আরেক বৈশিষ্ট্য হল, সে সর্বজনীনতাকে ভয় পায়, কারণ ভিক্টিমহুডের অজুহাতে ‘বিশেষ’ সুবিধা চায়। আর বিশেষ বাড়তি সুবিধার উল্টাটা হল সার্বজনীনতা। কাজেই আপাতত যে ইসরাইলের রাষ্ট্রসীমা আর ওর ভেতরেই যে অরিজিনাল আরব মুসলমানেরা বাস করছে যাদের বের করে দেয়া যায় নাই, তবে তাঁদের জমিসম্পত্তি দখল করে সরকারি পয়সায় সেখানে হাইরাইজ বানিয়ে এরপর তা নিজেরা ভাগ করে খেতে চাওয়ার “ভিক্টিমহুড” বা বাড়তি সুবিধা এটা। কাজেই সর্বজনীন আইন থাকলে তো ঐ আরব মুসলমানেরা ইসরায়েলের ভিতরে বসবাস করলেও জমি হারাবে না। কাজেই ভিক্টিমহুডের আওয়াজে ‘বাড়তি সুবিধা’ নেয়া মানেই হল, অন্যেরটা কেড়েও নেয়া এবং তাদেরকে এক বিচারহীনতায় দিন যাপনে ঠেলে দেওয়া। এ ছাড়া আরো আছে, একইভাবে ইসরাইলের রাষ্ট্রসীমার বাইরেও যেসব ফিলিস্তিনি ভূমি আছে সেগুলোও একইভাবে দখল করা এবং তা একেবারে গায়ের জোরে। এরও সাফাই সেই একই ভিক্টিমহুড, জায়নিস্ট রাষ্ট্রের বাড়তি সুযোগ…।

আর এটাকেই বলে ‘কলোনি দখল’। সোজা ভাষায় ইসরাইলই একালে মানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর দুনিয়াতে যে যাত্রা শুধু করেছিল কলোনি দখল অবৈধ এই আন্তর্জাতিক আইন রীতির ভিত্তিতে – সেই দুনিয়াটাতেই আবার কলোনি দখলের ব্যবসা, করে খাওয়ার বুদ্ধি আবার শুরু করে দিয়েছে এই জায়নিজম। কেন এভাবে বললাম?

কারণ আজও বেশির ভাগ মানুষ এমনকি একাদেমিক মানুষও – জাতিসঙ্ঘের জন্মভিত্তি ও এর ইতিহাস একেবারেই জানে না। ন্যূনতমটাও জানে না। এর জন্য প্রধানত দায়ী তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল যিনি আমাদের ‘কলোনি মালিক’ ছিলেন। তিনি চান নাই যে আমেরিকার কাছে তাঁর নাকেখত দেবার ইতিহাস ও এই দুর্বলতার কথা জনে জনে জানুক। আর দ্বিতীয়ত দায়ী নেহরুর মত রাজনীতিবিদেরা যারা নিজেরাই এসব ইতিহাস জানেন না, যার অজস্র প্রমাণ দেয়া যায়। যেমন সবচেয়ে ভাল উদাহরণ হল, কাশ্মীর ইস্যুটাকে জাতিসংঘের নজরে নিয়ে গেছিলেন তিনিই। ভেবেছিলেন রাজা হরি সিং এর ভারতের সাথে যুক্ত ও বিলীন হবার চিঠি (একসেশন ইন্সট্রুমেন্ট বা মনবাসনা) তার কাছে আছে অতএব জাতিসংঘ নিশ্চয় তার পক্ষে রায় দিবে! এর মানেই হল জাতিসংঘের জন্মভিত্তি-মূলক বক্তব্য ও অবস্থান নেহেরুও জানেন না, কখনও খবর নেন নাই।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে (১৯৩৯-৪৫) আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রুজভেলট ১৯৪১ সালের আগস্ট পর্যন্ত কোনো পক্ষকেই সমর্থন না করে যুদ্ধের বাইরে নিজ যুক্তরাষ্ট্রকে রেখেছিলেন। কারণ তিনি চেয়েছিলেন সারা দুনিয়াকে কলোনি করে রাখা ইউরোপের রাষ্ট্রগুলোকে এই যুদ্ধ শেষে কলোনি দখল যুগের অবসান ঘটাতেই হবে। তারা ঘটাবেন – এই প্রতিশ্রুতি দিলেই কেবল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি তাদের পক্ষে হিটলারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবেন।

এই শর্তে প্রথম যিনি এগিয়ে আসেন তিনি হলেন তখনকার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল; কারণ নইলে হিটলারের কাছে হেরে ও পাল্টা দখল হয়ে যেত তার দেশ-ভূমি। তাই ১৪ আগস্ট ১৯৪১ সালে চার্চিল ও রুজভেল্ট আট দফার এক চুক্তি [Atlantic charter] স্বাক্ষর করেছিলেন ; যার প্রথম দফাটাই হল – তারা দুই রাষ্ট্র প্রতিজ্ঞা করছে যে তারা নিজ নিজ মূল ভূখণ্ডের বাইরে কোনো ভূমি দখলে আর যাবে না। এটাই পরে হয়ে যায় কলোনিয়াল-দখল অবৈধ একথার ভিত্তি। কারণ এই চুক্তিটাই পরে আরো দুই রাষ্ট্র স্টালিনের সোভিয়েত ইউনিয়ন আর চিয়াং কাইশেকের চীন (মাওয়ের চীনের আগের রূপ) – এভাবে চার রাষ্ট্র মিলে আবার একসাথে স্বাক্ষরিত হয় ১ জানুয়ারি ১৯৪২ সালে। আর এটাকেই বলা হয় জাতিসঙ্ঘের ‘জন্ম ঘোষণা’ বা ভিত্তি। একই দিনে আরো প্রায় ২৬টা দেশও এতে স্বাক্ষর করেছিল। আর ওই দিনই আমেরিকা হিটলারের জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল এবং হিটলারের জোটসঙ্গী জাপানে আক্রমণ চালিয়েছিল। সেই থেকে এজন্য কলোনি দখল নিষিদ্ধ আর এটাই জাতিসঙ্ঘের প্রতীক। কাজেই জাতিসঙ্ঘের সদস্য থাকতে চাইলে ইসরাইল জায়নিস্ট হতে পারবে না। কারণ জায়নিজম মানেই হল বাড়তি সুবিধা, গায়ের জোরে অন্যের ঘরবাড়ি দখল আর এসবই এক ভিক্টিমহুডের সহানুভুতি উসিলা ও আড়ালে। এককথায় ইসরাইল নতুন করে কলোনি দখল শুরু করেছে। অবশ্য এসব ছাড়াও অন্যের ভূমি দখলের কারণে ইতোমধ্যেই ইসরাইলের বিরুদ্ধেই নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া রেজুলেশন আছে।

অসুবিধা চার. লক্ষ করলে দেখা যাবে যারাই জায়নিস্ট বা হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র কায়েম করেছে বা করতে চায় তারা নেশন-স্টেট বা জাতিরাষ্ট্র ধারণার অনুসারী। জাতিরাষ্ট্র হল প্রথম যুগের আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা বা এ বিষয়ের মুখ্যচিন্তা। যেমন – আগের রাজতন্ত্র ভেঙে রিপাবলিক গড়তে চাওয়া ইউরোপীয় চিন্তা বাস্তবায়নের শুরু বলা যায় ১৬৪৯ সালের ইংলিশ (ক্রমওয়েলের) রেভিলিউশনকে। এই নতুন রিপাবলিক ধারাই নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে থিতু হয়েছিল আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার ইউরোপ হিসাবে আর পরে তা চলেছিল ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত। সে সময়ের (১৬০৭-১৯৪৫) ইউরোপীয় বিপ্লবে স্থাপিত নতুন রাষ্ট্রগুলোই রিপাবলিক বা আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার শুরু বলা যায়। অর্থাৎ রাজা নয়, জনপ্রতিনিধিরাই ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন এমন রিপাবলিক সেগুলো।

তবু এরা সবগুলোই ছিল ‘জাতিরাষ্ট্র’ (নেশন-স্টেট বা Nation State) ধরনের রিপাবলিক। মানে আমরা প্রত্যেকে নাগরিক কি না, রাষ্ট্রে আমাদের রাজনৈতিক সাম্য থাকবে কি না, বৈষম্যহীন অধিকার থাকবে কি না- এসব সেখানে উহ্য থাকে এমন রাষ্ট্র। এর বদলে আমরা একটা ‘জাতি’ এই উদগ্র ধারণার প্রাবল্য যেখানে প্রচণ্ড। এই ধারণারই সবচেয়ে বিকশিত ফসল হলো হিটলারের নাৎসিবাদ। এককথায় বললে এই রূপটা ছিল কলোনিদখলের অর্থনীতির সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ রাষ্ট্র-রূপ। মূল কারণ, কম্পাস আর বারুদ আবিস্কারের পরের ইউরোপের প্রধান ব্যবসা ছিল বড় জাহাজ কিনে যুদ্ধ সাজিয়ে কলোনিদখলে বেরিয়ে পড়া। তেমনই (১৬০০ সালের) এক বড় কোম্পানির নাম হল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যা ভারতে এসেছিল। ইংল্যান্ডে এরই রাজনৈতিক রূপ হল নেশন স্টেট।

আর আধুনিক রাষ্ট্রের জাতিরাষ্ট্ররূপে এই আদি ধারায় তিনশ’ বছর পরে তা থেকে হিটলারের উত্থান দেখে এর সব দায়দায়িত্ব ত্যাগ করে বাকিরা নিজ নিজ রাষ্ট্র আমূলে বদলে নেয়। সারা ইউরোপ ১৯৫৩ সালে ৪৭ রাষ্ট্রের এক সম্মেলনের (Council of Europe) মাধ্যমে সবার নিজ রাষ্ট্রভিত্তি বদল করে অধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র করে নেয়া হয়। সেই থেকে ইউরোপে ‘জাতিরাষ্ট্র’ ধারণাটা পরিত্যাজ্য ও ম্লান হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের এদিকে নেহরুর ভারতসহ বাংলাদেশ এখনো জাতিরাষ্ট্র। এই ধারাতেই জায়নবাদী ইসরাইলও এক জাতিরাষ্ট্র। মূল কারণ উগ্র জাতিবাদী চিন্তা ভালো খোলে ‘জাতিরাষ্ট্র’ এর মধ্যে। আমরা এক ওমুক গর্বের ধর্মীয় বা ভাষার বা জাত-এথিনিসিটির “জাতি” বলে গালগল্প, মিথ্যা শ্রেষ্ঠত্ববোধের সুপ্রীমিস্ট আবেগী সুড়সুড়ি তুলতে পারা যায় সহজেই। অথচ আমাদের সবার জন্যই এটা ত্যাগ করার সময় পেরিয়ে গেছে সেই পঞ্চাশের দশকেই।

ইদানিংকালের কিছু মারাত্মক লক্ষণঃ
ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্মের সময়ে যারা কিশোর বা টিনএজে ছিল তাদেরই সন্তান পেরিয়ে টিনএজ নাতিদের কাল এটা। ফলে এমনিতেই কেন ইসরায়েল রাষ্ট্র অগ্রহণযোগ্য তা যথেষ্ট স্পষ্ট ছিলনা। ফলে এটা কমিউনিস্টদের সমর্থনের আরব জাতিয়তাবাদ ও হাল্কা ইসলামের কারণে আমরা বুঝতাম যে আমাদের ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকতে হবে। রাষ্ট্র হিসাবে ইস্রায়েলের মারাত্মক ত্রুটি কী তা চর্চা হতে দেখা যায় নাই কোথাও। অতেব একালে টিনএজ নাতিদের কালে স্রেটা আরও কত দুরবস্তায় যাবে তা অনুমেয়। আমাদের পাসপোর্টে ইসরায়েলে যাওয়া যাবে কিনা সেটা ঢাকায় এখন বড় আলোচনার বিষয়। আর ততই ইসরায়েল যাওয়াটাই ঠিক হবে কিনা, ন্যায়-অন্যায়বোধে উচিত হবে কিনা – সেদিকটা ততই ম্লান হয়ে আছে দেখা যাচ্ছে। গত সপ্তাহে এক টকশোতে অংশগ্রহণকারি ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের এক তরুণ অধ্যাপকের বক্তব্য ছিল খুবই বিপদজনক। তবে উপরে যা বলেছিল এর ভাল উদাহরণ। তিনি বলছিলেন ইসরায়েল দেশ ঘুরে ফিরে আমাদের দেখার জন্য আমাদের পাসপোর্ট উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত। বলা বাহুল্য তা কেউ বিরোরোধিতা করেন নাই, তবে সামাজিক অস্বস্তির কথা খেয়াল রেখে কেউ প্রশংসায় করেন নাই। আমরা বুঝলাম অধ্যাপক পদ বাগিয়ে ফেললেও জ্জানবুদ্ধি পাকে নাই। কৌতুহলি টিনএজ পেরিয়ে আমাদেরকে ন্যায়-অন্যায়বোধের শিক্ষা নিতে হয় সেদিকে তিনি বড় হন নাই।

কুখ্যাত আব্রাহাম একর্ড-এর চাতুরিঃ
আমার গতবারের লেখায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প- প্রধানমন্ত্রী নেতানেয়াহুর কুখ্যাত আব্রাহাম একর্ড [Abraham Accords ] বা চুক্তির কথা বলেছিলাম। যেটা আসলে ফিলিস্তনিদের স্বার্থ উপেক্ষা করে আরব বাদশা দেশগুলোর সাথে ইসরায়েলের স্বীকৃতি ও সম্পর্ককে কথিত স্বাভাবিকীকরণ উদ্যোগ। তবে আরেকটু বেশি দিকটায় তাকালে দেখা যাবে এটা আসলে চীনের উত্থানে মধ্যপ্রাচ্যের ভারসাম্য বদলে যেমন ইরানের উত্থান ঘটার সম্ভাবনা সেই কারণে ট্রাম্প-নেতানেয়াহু এবং বাদশা এরা সকলেই ভীত। তাই এরই একজোটবদ্ধতার প্রতিক্রিয়া এটা।
কিন্তু আমাদের এখনকার প্রসঙ্গ এটা নিয়ে ঠিক আপত্তি তোলা নয়, অন্যকিছু। এমনকি এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে কী হবে তাও না। বরং খুবই সহজ। এখানে যে চুক্তিটা স্বাক্ষরিত হয়েছে কোন পয়েন্টে সেই চুক্তিটা কেন গ্রহণযোগ্য নয়, করা যাবে না – সেটা আপনাদেরকে দেখানো। সেখান থেকেই জানা যাবে ইসরায়েল রাষ্ট্র ও ইহুদীবাদ চিন্তার বিরুদ্ধে আমাদের মুল আপত্তিটা কী!

The Abraham Accords Declaration:
We, the undersigned, recognize the importance of maintaining and strengthening peace in the Middle East and around the world based on mutual understanding and coexistence, as well as respect for human dignity and freedom, including religious freedom.
We encourage efforts to promote interfaith and intercultural dialogue to advance a culture of peace among the three Abrahamic religions and all humanity.
We believe that the best way to address challenges is through cooperation and dialogue and that developing friendly relations among States advances the interests of lasting peace in the Middle East and around the world.
We seek tolerance and respect for every person in order to make this world a place where all can enjoy a life of dignity and hope, no matter their race, faith or ethnicity.
We support science, art, medicine, and commerce to inspire humankind, maximize human potential and bring nations closer together.
We seek to end radicalization and conflict to provide all children a better future.
We pursue a vision of peace, security, and prosperity in the Middle East and around the world.
In this spirit, we warmly welcome and are encouraged by the progress already made in establishing diplomatic relations between Israel and its neighbors in the region under the principles of the Abraham Accords. We are encouraged by the ongoing efforts to consolidate and expand such friendly relations based on shared interests and a shared commitment to a better future.
উপরের এই চুক্তিতে কেন আরব-ইসরায়েলি বন্ধুত্ব দরকার এর জন্য আবেগী প্রচুর শব্দ ও বাক্য এখানে আছে। এমন কী আব্রাহামিক সুত্রে আরব-ইসরায়ল কেন ভাই বা বন্ধু সেকথা তুলে আবেগ তৈরি করতে সেটাকেই এই চুক্তির শিরোনাম বানায় ফেলা হয়েছে। একেবারে আবেগে কেন্দে ফেলার অবস্থা! এই চুক্তি মাত্র ২৪০ শব্দে তৈরি। আর চুক্তিতে এমন যেসব ভারী শব্দ আছে সেগুলোর নমুনা হল যেমন ………for human dignity and freedom …… including religious freedom. all humanity cooperation and dialogue……… friendly relations ………no matter their race, faith or ethnicity. support science, art, medicine, and commerce to inspire humankind ……… a vision of peace, security, and prosperity ………এমনকি শেষে সশস্ত্রতার ও সংঘাত বিরোধিতার কথা আছে। অর্থাত …… to end radicalization and conflict – এমন সবকিছুর রেফারেন্স আছে। বলা যায় দুনিয়ার সব ভাল কথার কিছু বাদ নাই।

কিন্তু যা নাই তা হল রাজনৈতিক সাম্য, অধিকারের সাম্যতার কোন কথা নাই। কেন নাই?

কারণ, এটা স্বীকার করে নিলে জায়নিজম আর থাকে না, ইহুদি-ফিলিস্তিনির মধ্যে রাজনৈতিক সাম্যে অধিকারে সমান হয়ে যায়। আর এমন সমান হয়ে গেলে আর ইহুদির জন্য বাড়তি সুবিধা, শ্রেষ্ঠত্ববাদ কিংবা পক্ষপাতিত্বের বিচার ব্যবস্থা ইত্যাদি সবই অচল হয়ে যায়। ভিক্টিমহুড বিক্রি করা খাওয়ার সুযোগ থাকে না। অথচ এভাবেই রাজনৈতিক অসাম্য রেখেই জায়নিজম টিকে থাকতে চায়। আর ভাব ধরে ইহুদিবাদীরা সকলের সাথের সম্পর্ক চায়, মিলেজুলে থাকতে চায়। যেন মনে হয় ফিলিস্তিনিরাই সব গল্ডগোলে উতস, অশান্তি করা মানুষ তারা, যারা কেবল সশস্ত্রতা চায়। অতএব ফিলিস্তিনিরাই জঙ্গী ও টেরর………।
সবশেষে তামাশার দিকটা হল, যে ইউরোপীয় ইহুদিরা হিটলারি নাৎসিবাদের শিকার হয়েছিল তারাই এরপরে ফিলিস্তিনিদের ওপর সওয়ার হয়ে শুধু নয়, সেই হিটলারকেই কপি করে জায়নবাদিতা চর্চায় ইসরাইল রাষ্ট্র গড়ে তুলেছে।
আমরা আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার বিচারেও ইসরাইলের বিরোধিতা করে যাবো কারণ, এই জায়নবাদী রাষ্ট্র আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার ন্যূনতম শর্তও পূরণ করেনি। এই রাষ্ট্র নাগরিক বৈষম্যপূর্ণ, রাজনৈতিক অসাম্যের ওপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা, পক্ষপাতমূলক বিচারব্যবস্থার, সর্বোপরি কলোনি দখল করা ফিরিয়ে আনতে চাওয়া রাষ্ট্র। কাজেই এখানে এসে জায়নিজম=ইসরায়েল এর বিরোধিতা স্রেফ কোনো মুসলিম ইস্যু বলে সীমাবদ্ধ তা আর নয়। এটা যারা দুনিয়ায় রাজনৈতিক সাম্যের প্রতিষ্ঠা দেখতে চান তাদের সবার ইস্যু!
জায়নিজমের বৈষম্যের প্রতিকার হওয়ার আগে পর্যন্ত ইসরাইল রাষ্ট্রের বিরোধিতা তাই আমরা করি এবং করে যাবো!


 
Last edited:
.
Can any of the Bangladeshi posters explain what their reasoning is to removing two to three words and at such a time like this? Some of our leaders were good friends with Yasser Arafat and if I remember there was a whole Bangladeshi regiment which fought alongside PLO during their battle against the Jordanians?

Regardless of the recent happenings one must ask since when supporting the Palestinian cause is the benchmark of our 'muslimness'. I don't think the Arabs ever imposed a benchmark of supporting the Kashmir cause, the Rohingya cause or any other non-Arab Muslim cause upon themselves to prove their 'Muslimness'.

It's almost as though non-Arabs must lick the boots of Arabs to prove their 'Muslimness' and unwittingly continue to do that.
 
Last edited:
.
Not in the name of development... Should the Arab countries send all our expatriate workers back, Bangladeshi economy will collapse and Bangladesh as a state will be in a state of disarray.



GoB is making the best play with the cards it has been dealt. Reality is not simple as Palestine! Palestine!


Food in Belly is more important than some land faraway... We've got to be objective.


Bangladesh First. Bangladesh Second. Bangladesh Last.




I lived on and off in Kuwait (from an expatriate family)... We contribute more to Bangladesh's economic machinery and it's fight against poverty than people would, at first glance, believe.

It's pathetic if true that our economy will "collapse and Bangladesh as a state will be in a state of disarray." I have been for a while saying it can't be the destiny of a sovereign nation to sustain it's economy by sending slaves to other countries and repeatedly get threatened of sending them back on trivial issues. It specially hurts because the arm twisting is done by some of the most worthless and pathetic losers of the world, the Arabs. It's very important that BD government removes any dependency on the gulf countries and kick them in the teeth and put them in their place when they misbehave.
 
Last edited:
.
It's pathetic if true that our economy will "collapse and Bangladesh as a state will be in a state of disarray." I have been for a while saying it can't be the destiny of a sovereign nation to sustain it's economy by sending slaves to other countries and repeatedly get threatened of sending them back on trivial issues. It specially hurts because the arm twisting is done by some of the most worthless and pathetic losers of the world, the Arabs. It's very important that BD government removes any dependency on the gulf countries and kick them in the teeth and put them in their place when they misbehave.



In the long term yes but for now....
 
.
In the long term yes but for now....

This "long term" should have started long ago and I don't see any vision among the trash who rule us. They still continue to gloat over how many more this year they managed to send to the lands of those turds.
 
.

Pakistan Defence Latest Posts

Back
Top Bottom