Homo Sapiens
ELITE MEMBER
- Joined
- Feb 3, 2015
- Messages
- 9,641
- Reaction score
- -1
- Country
- Location
মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন বাংলাদেশে অধ্যয়নরত কাশ্মীরী শিক্ষার্থীরা
প্রিন্ট সংস্করণ॥এনায়েত উল্লাহ | ০৯:২৭, আগস্ট ২৫, ২০১৯
‘‘চোখের সামনেই নিজের মা-বাবা, ভাই-বোনের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করা হচ্ছে তাও কিছু বলতে পারিনি। বেশ কিছুদিন বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করার পরও নিজের বাড়িতে পৌঁছতে পারিনি।
আত্মীয় স্বজনরা বারবার বলছিল বাড়ি গেলেই আটক হবি। তুই বাংলাদেশে চলে যা। তোর মা-বাবাকে দেখতে পারবি না। দেখতে গেলেই বিপদে পড়বি। তুই পড়া-লেখা করতে যা। এভাবেই আত্মীয়দের চাপে আবারো চলে আসতে বাধ্য হয়েছি।
এদের কথা শুনে সেটা আমার দেশ বলে মনে হচ্ছিল না। মজলুম মা-বোনদের আর্তচিৎকারে কাশ্মীরের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। প্রতি মিনিটে মিনিটে কোথাও না কোথাও থেকে মৃত্যু বা কাশ্মীরী মা-বোনদের ওপর নির্যাতনের খবর পেয়েছি। পুলিশের ছররা গুলিতে অনেকেই অন্ধ হয়ে যাচ্ছেন। অথচ তাদের জন্য কিছুই করতে পারিনি। আমায় ক্ষমা করে দিও প্রিয় কাশ্মীরী মা-বোন, বাবারা’’।
একথা বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন বাংলাদেশের একটি কলেজে অধ্যয়নরত সদ্য কাশ্মীর ফেরত এক শিক্ষার্থী। অ্যাম্বেসি থেকে নিষেধাজ্ঞা ও আত্মীয় স্বজনের চাপ এবং চতুর্মুখী সমস্যায় মিডিয়ায় কথা বলতে পারছেনা কাশ্মীরী শিক্ষার্থীরা।
তিনি আরও বলেন, নিজের মা-বোনদের জন্য কিছু করার যেমন সুযোগ নেই তেমনি তাদের জন্য একটু আন্দোলন করে বা কথা বলে নিজেকে বুঝাব সে সুযোগও নেই। তাদের ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পরপরই অ্যাম্বেসি থেকে পরিষ্কারভাবে নিষেধ করা হয়েছে যে, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে মিডিয়া বা কারো সাথে কথা বললে সমস্যা হবে।
যে কারণে এর পর থেকে তারা নিজের বাসস্থান আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোথাও চলাফেরা করেন না। তারা প্রচণ্ড চাপ এবং মানসিকভাবে বিধ্বস্ত আছেন জানিয়ে বলেন, আমাদের জন্য আপনারা কিছু করতে পারবেন না জানি। তবে আপনাদের কাছে আমার মা-বাবা, ভাই-বোনদের জন্য দোয়া চাই।
এইটুকু করেন। আমরা এইটুকুই আপনাদের কাছে চাই। তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর গত দুসপ্তাহে শত শত যুবককে আটক করা হয়েছে। সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা রাতে বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে তরুণ যুবকদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করছে, খাবার ফেলে দিচ্ছে বা চালের বস্তায় তেল ঢেলে দিচ্ছে এবং শেষে বাড়ির যুবকদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। যুবকদের তুলে নিয়ে গিয়েই শান্ত হচ্ছে না।
একের পর এক মা-বোনদের ইজ্জতের ওপর হামলা করছে। সোপিয়ানের একটি আর্মি ক্যাম্পের বর্ণনা দিয়ে বলেন, সেখানে কয়েকজন যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে জেরা ও নির্যাতন করার সময় তাদের সামনে মাইক্রোফোন ধরে রাখা হয়েছিল।
যাতে তাদের চিৎকারের আওয়াজ শুনে গোটা এলাকা ভয় পায়। এমনকি এই রেকর্ড এলাকায় এলাকায় শোনানো হচ্ছিল যাতে অন্য কেউ কথা না বলে বা আন্দোলন না করে। এমনি করুণ কাহিনীর বর্ণনা দিচ্ছিলেন কাশ্মীর ফেরত এই শিক্ষার্থী।
ঘটনাটি বিবিসিতে প্রকাশ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। অন্যদিকে ঢাকার বেসরকারি একটি মেডিকেলে অধ্যয়নরত এক শিক্ষার্থী জানান, গত ২০ দিন যাবত তার পরিবারের কারও সাথে কথা হয়নি।
তারা বেঁচে আছেন না মরে গেছেন কিছুই জানেন না। সর্বশেষ চলতি মাসের ৩ তারিখ সকালে কথা হয়েছিল। তার মার শেষ কথা— ‘বেটা হামারে হালত বহুত খারাপ হায়, হামারে লিয়ে দোয়া করো আওয়ার নরমি এখতিয়ার কারো’। এর পর আর কথা হয়নি। সেদিনের পর থেকেই তিনি জানেন না, তার বাবা-মা বেঁচে আছেন না মারা গেছেন।
জানা যায়, ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার এক সপ্তাহ পূর্ব থেকেই অতিরিক্ত আর্মি এবং পুলিশ সেখানে মোতায়ন করতে থাকে। চলতি মাসের ৪ তারিখ রাত ১১টায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়। পরদিন সকালে অর্থাৎ ৫ আগস্ট সমস্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে সমস্ত লেন ফোনও বন্ধ করে দেয়া হয়। কাশ্মীরের সাথে যোগাযোগ করা যায় এমন কোনো মাধ্যম খোলা নেই। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত তিন সপ্তাহে প্রায় ১০ লাখ ভারতীয় আর্মি ও পুলিশ সেখানে পাঠানো হয়েছে। পৃথিবীকে দেখানোর জন্য স্কুলগুলো খোলা হলেও সেখানে মৃত্যু ভয়ে কেউ যায় না। আবার যাওয়ার মতো কোনো পরিবেশও নাই।
আরেক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, তার বাবা ডাক্তার হওয়ার সুবাদে কয়েকদিন পর পর বিমানবন্দরে গিয়ে বা হসপিটাল থেকে গোপনে কথা বলেন। তার মাও হাসপাতালে চাকরি করার সুবাদে হাসপাতাল থেকে কথা বলেন। এভাবেই প্রতিটি মুহূর্ত তাদের আতঙ্কের মধ্য দিয়ে কাটছে বলে জানিয়েছেন।
তবে, তাদের নাম প্রকাশ না করার জন্য তারা সার্বক্ষণিক অনুরোধ করছিলেন। তারা বলেন, আমাদের নাম প্রকাশ করা হলে অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে। তখন না আমরা বাংলাদেশে থাকতে পারবো, না নিজের বাবা-মার কাছে যেতে পারবো।
তবে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার জন্য এখন পাগলপারা বলেও তারা জানান। প্রতিনিয়তই যে যেভাবে পারে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পরও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের সৌরা এলাকায় একটি বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভটি হঠাৎই হিংসাত্মক হয়ে ওঠে।
বিক্ষোভকারীদের তরফ থেকে পাথর ছোড়া শুরু হলে নিরাপত্তা বাহিনী জবাবে ছররা গুলি আর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েছে বলেও জানা গেছে। নামাজের পর স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগান তোলে মুসল্লিরা। তারপর বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ হাজির ছিলেন বলে জানা গেছে।
http://www.dailyamarsangbad.com/special/articles/114285
Google translation
Kashmiri students studying in Bangladesh tells harrowing stories.
- Enayet Ullah | 1:20, August 25, 2019
"I could not do anything watching of my parents, brothers and sisters are being tortured. After traveling around the area for several days, I could not reach my house.
Relatives said repeatedly that you would be detained if dare to go home. You must return to Bangladesh. You can't see your parents. Otherwise you will be in danger. You go back to continue your study. In this way, I was forced to return again under pressure from relatives.
Listening to them, it did not seem to be my country. Kashmir's sky is becoming heavier with the screaming of the mothers and sisters. Every minute of every minute I get news of death or torture of Kashmiri mothers and sisters. Many are being blinded by police pellets. But there was nothing I could do for them. Forgive me, dear Kashmiri mother and sister, father. "
That is why a fresh student of Kashmir returned to a college studying in a college in Bangladesh. Kashmiri students unable to speak in the media due to forbiddance from Embassy and relatives and pressure from relatives.
She also said that there is no opportunity for her to do anything for parents like that for them. Immediately after their repeal of Article 5 of the Indian Constitution, it was clearly barred from embassy that there would be a problem with the media or anyone talking about the Kashmir issue.
That is why since then they have not traveled anywhere other than their home and educational institutions. "We know that you cannot do anything for us. However, I would like you to pray for my parents, brothers and sisters.
Do this. That's all we want for you. He added that hundreds of youths have been arrested in the last two weeks after the abolition of Article 5 of the constitution. Members of the Armed Forces are picking up young men from their homes at night.
Entering the home is vandalizing, throwing away food or pouring oil in a rice sack, and eventually picking up the youths at home. They are not stopping to just to pick up young people.
One after another is attacking mothers and sisters' dignity. Describes an army camp in Shopian, where several youths were captured and held microphones in front of them while they were being interrogated and tortured.
So that the whole area become scared by hearing their scream. Even these records were being heard in the area so that no one else could speak or move. The student returned from Kashmir describing these tragic stories.
The incident was reported on the BBC. On the other hand, a student studying in a private medical college in Dhaka said that no one in his family had spoken to him in the last 20 days.
He does not know whether they are alive or dead. The last date of contact was the current month was 3rd in the morning. The last words of his mother was - 'Beta, Hamare halat is very bad, hamare liye duaa koro. There was no further talk. Since that day, he does not know whether his parents are alive or not.
It is learned that one week before the cancellation of the clause, additional army and police started deploying there. The Internet was shut down at 5 pm on the 5th of this month. The next morning, on August 4, all mobile networks were shut down.
Later, all lane phones were also closed. There is no open source for communication with Kashmir. Talking to them, about 1 lakh Indian Army and police have been sent there in the last three weeks. While schools are open to show the world, no one is afraid of death. There is no environment to go again.
Talking to another student, it was reported that his father had gone to the airport or secretly talked from hospital the hospital after a few days of being a doctor. His mother also spoke to the hospital about her job in the hospital. This is how every moment of their lives is spent in terror.
However, they were constantly requesting anonymity. They said, "If our names exposed, will be danger a lot. Then we will not be able to stay in Bangladesh or go to our parents.
However, the common people of Kashmir are now desperate for freedom. Trying to build resistance as often as possible. Last Friday, after the Friday prayers, a protest was held in Saura area of Srinagar, the capital of Kashmir. The protests suddenly became violent.
Security forces also responded to the shelling and bursting of gas shells in tears as protesters started throwing stones at them. After the prayers, Muslims slogan for independence. Then the protests began. About several thousands people were reported to have appeared there.
প্রিন্ট সংস্করণ॥এনায়েত উল্লাহ | ০৯:২৭, আগস্ট ২৫, ২০১৯
‘‘চোখের সামনেই নিজের মা-বাবা, ভাই-বোনের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করা হচ্ছে তাও কিছু বলতে পারিনি। বেশ কিছুদিন বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করার পরও নিজের বাড়িতে পৌঁছতে পারিনি।
আত্মীয় স্বজনরা বারবার বলছিল বাড়ি গেলেই আটক হবি। তুই বাংলাদেশে চলে যা। তোর মা-বাবাকে দেখতে পারবি না। দেখতে গেলেই বিপদে পড়বি। তুই পড়া-লেখা করতে যা। এভাবেই আত্মীয়দের চাপে আবারো চলে আসতে বাধ্য হয়েছি।
এদের কথা শুনে সেটা আমার দেশ বলে মনে হচ্ছিল না। মজলুম মা-বোনদের আর্তচিৎকারে কাশ্মীরের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। প্রতি মিনিটে মিনিটে কোথাও না কোথাও থেকে মৃত্যু বা কাশ্মীরী মা-বোনদের ওপর নির্যাতনের খবর পেয়েছি। পুলিশের ছররা গুলিতে অনেকেই অন্ধ হয়ে যাচ্ছেন। অথচ তাদের জন্য কিছুই করতে পারিনি। আমায় ক্ষমা করে দিও প্রিয় কাশ্মীরী মা-বোন, বাবারা’’।
একথা বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন বাংলাদেশের একটি কলেজে অধ্যয়নরত সদ্য কাশ্মীর ফেরত এক শিক্ষার্থী। অ্যাম্বেসি থেকে নিষেধাজ্ঞা ও আত্মীয় স্বজনের চাপ এবং চতুর্মুখী সমস্যায় মিডিয়ায় কথা বলতে পারছেনা কাশ্মীরী শিক্ষার্থীরা।
তিনি আরও বলেন, নিজের মা-বোনদের জন্য কিছু করার যেমন সুযোগ নেই তেমনি তাদের জন্য একটু আন্দোলন করে বা কথা বলে নিজেকে বুঝাব সে সুযোগও নেই। তাদের ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পরপরই অ্যাম্বেসি থেকে পরিষ্কারভাবে নিষেধ করা হয়েছে যে, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে মিডিয়া বা কারো সাথে কথা বললে সমস্যা হবে।
যে কারণে এর পর থেকে তারা নিজের বাসস্থান আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোথাও চলাফেরা করেন না। তারা প্রচণ্ড চাপ এবং মানসিকভাবে বিধ্বস্ত আছেন জানিয়ে বলেন, আমাদের জন্য আপনারা কিছু করতে পারবেন না জানি। তবে আপনাদের কাছে আমার মা-বাবা, ভাই-বোনদের জন্য দোয়া চাই।
এইটুকু করেন। আমরা এইটুকুই আপনাদের কাছে চাই। তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর গত দুসপ্তাহে শত শত যুবককে আটক করা হয়েছে। সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা রাতে বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে তরুণ যুবকদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করছে, খাবার ফেলে দিচ্ছে বা চালের বস্তায় তেল ঢেলে দিচ্ছে এবং শেষে বাড়ির যুবকদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। যুবকদের তুলে নিয়ে গিয়েই শান্ত হচ্ছে না।
একের পর এক মা-বোনদের ইজ্জতের ওপর হামলা করছে। সোপিয়ানের একটি আর্মি ক্যাম্পের বর্ণনা দিয়ে বলেন, সেখানে কয়েকজন যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে জেরা ও নির্যাতন করার সময় তাদের সামনে মাইক্রোফোন ধরে রাখা হয়েছিল।
যাতে তাদের চিৎকারের আওয়াজ শুনে গোটা এলাকা ভয় পায়। এমনকি এই রেকর্ড এলাকায় এলাকায় শোনানো হচ্ছিল যাতে অন্য কেউ কথা না বলে বা আন্দোলন না করে। এমনি করুণ কাহিনীর বর্ণনা দিচ্ছিলেন কাশ্মীর ফেরত এই শিক্ষার্থী।
ঘটনাটি বিবিসিতে প্রকাশ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। অন্যদিকে ঢাকার বেসরকারি একটি মেডিকেলে অধ্যয়নরত এক শিক্ষার্থী জানান, গত ২০ দিন যাবত তার পরিবারের কারও সাথে কথা হয়নি।
তারা বেঁচে আছেন না মরে গেছেন কিছুই জানেন না। সর্বশেষ চলতি মাসের ৩ তারিখ সকালে কথা হয়েছিল। তার মার শেষ কথা— ‘বেটা হামারে হালত বহুত খারাপ হায়, হামারে লিয়ে দোয়া করো আওয়ার নরমি এখতিয়ার কারো’। এর পর আর কথা হয়নি। সেদিনের পর থেকেই তিনি জানেন না, তার বাবা-মা বেঁচে আছেন না মারা গেছেন।
জানা যায়, ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার এক সপ্তাহ পূর্ব থেকেই অতিরিক্ত আর্মি এবং পুলিশ সেখানে মোতায়ন করতে থাকে। চলতি মাসের ৪ তারিখ রাত ১১টায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়। পরদিন সকালে অর্থাৎ ৫ আগস্ট সমস্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে সমস্ত লেন ফোনও বন্ধ করে দেয়া হয়। কাশ্মীরের সাথে যোগাযোগ করা যায় এমন কোনো মাধ্যম খোলা নেই। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত তিন সপ্তাহে প্রায় ১০ লাখ ভারতীয় আর্মি ও পুলিশ সেখানে পাঠানো হয়েছে। পৃথিবীকে দেখানোর জন্য স্কুলগুলো খোলা হলেও সেখানে মৃত্যু ভয়ে কেউ যায় না। আবার যাওয়ার মতো কোনো পরিবেশও নাই।
আরেক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, তার বাবা ডাক্তার হওয়ার সুবাদে কয়েকদিন পর পর বিমানবন্দরে গিয়ে বা হসপিটাল থেকে গোপনে কথা বলেন। তার মাও হাসপাতালে চাকরি করার সুবাদে হাসপাতাল থেকে কথা বলেন। এভাবেই প্রতিটি মুহূর্ত তাদের আতঙ্কের মধ্য দিয়ে কাটছে বলে জানিয়েছেন।
তবে, তাদের নাম প্রকাশ না করার জন্য তারা সার্বক্ষণিক অনুরোধ করছিলেন। তারা বলেন, আমাদের নাম প্রকাশ করা হলে অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে। তখন না আমরা বাংলাদেশে থাকতে পারবো, না নিজের বাবা-মার কাছে যেতে পারবো।
তবে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার জন্য এখন পাগলপারা বলেও তারা জানান। প্রতিনিয়তই যে যেভাবে পারে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পরও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের সৌরা এলাকায় একটি বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভটি হঠাৎই হিংসাত্মক হয়ে ওঠে।
বিক্ষোভকারীদের তরফ থেকে পাথর ছোড়া শুরু হলে নিরাপত্তা বাহিনী জবাবে ছররা গুলি আর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েছে বলেও জানা গেছে। নামাজের পর স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগান তোলে মুসল্লিরা। তারপর বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ হাজির ছিলেন বলে জানা গেছে।
http://www.dailyamarsangbad.com/special/articles/114285
Google translation
Kashmiri students studying in Bangladesh tells harrowing stories.
- Enayet Ullah | 1:20, August 25, 2019
"I could not do anything watching of my parents, brothers and sisters are being tortured. After traveling around the area for several days, I could not reach my house.
Relatives said repeatedly that you would be detained if dare to go home. You must return to Bangladesh. You can't see your parents. Otherwise you will be in danger. You go back to continue your study. In this way, I was forced to return again under pressure from relatives.
Listening to them, it did not seem to be my country. Kashmir's sky is becoming heavier with the screaming of the mothers and sisters. Every minute of every minute I get news of death or torture of Kashmiri mothers and sisters. Many are being blinded by police pellets. But there was nothing I could do for them. Forgive me, dear Kashmiri mother and sister, father. "
That is why a fresh student of Kashmir returned to a college studying in a college in Bangladesh. Kashmiri students unable to speak in the media due to forbiddance from Embassy and relatives and pressure from relatives.
She also said that there is no opportunity for her to do anything for parents like that for them. Immediately after their repeal of Article 5 of the Indian Constitution, it was clearly barred from embassy that there would be a problem with the media or anyone talking about the Kashmir issue.
That is why since then they have not traveled anywhere other than their home and educational institutions. "We know that you cannot do anything for us. However, I would like you to pray for my parents, brothers and sisters.
Do this. That's all we want for you. He added that hundreds of youths have been arrested in the last two weeks after the abolition of Article 5 of the constitution. Members of the Armed Forces are picking up young men from their homes at night.
Entering the home is vandalizing, throwing away food or pouring oil in a rice sack, and eventually picking up the youths at home. They are not stopping to just to pick up young people.
One after another is attacking mothers and sisters' dignity. Describes an army camp in Shopian, where several youths were captured and held microphones in front of them while they were being interrogated and tortured.
So that the whole area become scared by hearing their scream. Even these records were being heard in the area so that no one else could speak or move. The student returned from Kashmir describing these tragic stories.
The incident was reported on the BBC. On the other hand, a student studying in a private medical college in Dhaka said that no one in his family had spoken to him in the last 20 days.
He does not know whether they are alive or dead. The last date of contact was the current month was 3rd in the morning. The last words of his mother was - 'Beta, Hamare halat is very bad, hamare liye duaa koro. There was no further talk. Since that day, he does not know whether his parents are alive or not.
It is learned that one week before the cancellation of the clause, additional army and police started deploying there. The Internet was shut down at 5 pm on the 5th of this month. The next morning, on August 4, all mobile networks were shut down.
Later, all lane phones were also closed. There is no open source for communication with Kashmir. Talking to them, about 1 lakh Indian Army and police have been sent there in the last three weeks. While schools are open to show the world, no one is afraid of death. There is no environment to go again.
Talking to another student, it was reported that his father had gone to the airport or secretly talked from hospital the hospital after a few days of being a doctor. His mother also spoke to the hospital about her job in the hospital. This is how every moment of their lives is spent in terror.
However, they were constantly requesting anonymity. They said, "If our names exposed, will be danger a lot. Then we will not be able to stay in Bangladesh or go to our parents.
However, the common people of Kashmir are now desperate for freedom. Trying to build resistance as often as possible. Last Friday, after the Friday prayers, a protest was held in Saura area of Srinagar, the capital of Kashmir. The protests suddenly became violent.
Security forces also responded to the shelling and bursting of gas shells in tears as protesters started throwing stones at them. After the prayers, Muslims slogan for independence. Then the protests began. About several thousands people were reported to have appeared there.
Last edited: