Very good article by a filmmaker from earlier this year, with translation.
In terms of ideology, the two major political parties of the country, Awami League and BNP, are quite different, but there are more similarities in the governance system.
Jasim Ahmed
Monday, August 15, 2022 05:39 PM
During the rule of the BNP-Jamaat coalition government, renowned filmmaker Tarek Masood's Fipresque award-winning 'Matir Maina' was shelved at the Cannes Film Festival. In the same way, Mustafa Saryar Faruqi's globally acclaimed film 'Saturday Afternoon' has been stuck for more than 3 years during the current Awami League government's regime.
It is believed that such a decision was taken by the executive department in the case of these two movies to appease religious political parties or groups. Tariq Masood approached the judiciary to get rid of the 'Matir Maina'.
Barrister Tanjib ul Alam has already told the media that if the government does not give the clearance of 'Saturday Afternoon' soon, considering the public opinion, the makers-producers of the film will go to court. Producer Mustafa Sarayer Farooqui confirmed the matter.
Apart from cinema, the two major political parties of the country have narrowed the freedom of expression, a fundamental human right given by the constitution, by making various laws and regulations while in power. In this case, the opportunity of Article 39 of the Constitution not being completely free of conditions has been utilized.
Freedom of thought and conscience has been made unconditional in the constitution of Bangladesh, but freedom of expression and press has not been made unconditional. On that occasion, dictatorial or political-democratic governments have created one law after another to suppress dissent.
As a result, anything that does not give comfort to the rulers, especially movies, songs, literature, news, poetry, is prohibited if it is trivial. Builders, writers, artists, poets or journalists can become a permanent address in Kashimpur or Keraniganj! Remembering on Tarek Masood's birthday, he was accused of treason by the then government for the crime of building 'Matir Maina'.
What strange similarities with Iran! Cannes, Venice, Berlin-winning filmmaker Zafar Panahi was jailed by the Iranian government on similar charges. Making this is not a film on a mobile phone while in captivity, the filmmaker told the world that no matter the circumstances, he is a true warrior. No one has the power to stop a warrior. The film arrived at the Cannes Film Festival on a flash drive inside a birthday cake. In Bangladesh, many people have served jail time for making films, writing poems, and doing journalism. These have happened in all periods including autocratic governments and democratic governments.
As many swords have come down in the field of industry, the issue of tarnishing the image and reputation of the country has been brought forward as a shield in most cases. It is true that Bangladesh has a brand value and reputation in the world by exporting garments, but at the same time there is negative publicity about Bangladesh in the world. Such as human rights violations, suppression of dissent, extrajudicial killings, disappearances, lack of rule of law, corruption, money laundering etc. So far, there is no evidence of any poet, artist or creator's creation being associated with these negative campaigns.
It is not visible that any government has taken effective measures to stop the real cause of image destruction. But all the anger and fury of the executive department always rises in the case of innocent artists and their works of art, there the bullying and rule goes down like a liquid.
The regime sometimes appears to be misrule and abuse of power, when a movie is needlessly cut with the scissors of Pakistan-era censorship laws. If you don't get a chance to cut, you are completely blocked with regular breaks. Although the Act is said to be amended, in fact no fundamental changes have been made except for the addition, subtraction and substitution of two words each. However, the modern world has long ago abandoned the system of film censors and moved to the grading system.
Every government wants to boast about its contribution to the development of cinema. If wasting people's money to make propaganda films by party people in the name of government grants is considered as film development, then there is nothing to say. But so far no government has taken the initiative to create a full-fledged film school. The filmmakers here are trying to make movies by watching the work of Swadeshi Agraja and different filmmakers of the world. As a result of that effort, every year we see some films compete in the international arena. Few of these films have become advertisements for our own visual language.
The films of the country that are going to the international arena are not based on any formula. In these, the creator tries to tell his own story. The artist captures his time. An artist may have a grudge against time. That anger will be reflected in his movies, it is natural. Such movies or any art work may not give comfort to the powerful or the people who are close to the power, nor should they. Such films are therefore more prone to the outrage of the state apparatus. From that outcry new policies are being made along with censorship to hinder the freedom of thought and expression of the creator, which is in conflict with the fundamental rights. It is the demand of the time to abolish these policies and censor laws and to introduce grading system in movies and give priority to the choice of the audience.
Jasim Ahmed : Filmmaker
যেখানে আওয়ামী লীগ-বিএনপি এক ও অভিন্ন
জসিম আহমেদ
সোমবার, আগস্ট ১৫, ২০২২ ০৫:৩৯ অপরাহ্ন
আদর্শের দিক থেকে দেশের দুটি বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে যোজন যোজন পার্থক্য থাকলেও শাসন পদ্ধতির মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায় বেশি।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ফিপরেস্কি পুরস্কার পাওয়া প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের 'মাটির ময়না'কে আটকে দেওয়া হয়েছিল। তেমনি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ৩ বছরের বেশি সময় ধরে আটকে আছে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত চলচ্চিত্র মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর 'শনিবার বিকেল'।
ধারণা করা হয়, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীকে তোষণ করতে নির্বাহী বিভাগ থেকে এই দুটি সিনেমার বেলায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 'মাটির ময়না'কে ছাড়িয়ে আনতে তারেক মাসুদ বিচার বিভাগের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
জনমত বিবেচনায় সরকার 'শনিবার বিকেল'র ছাড়পত্র অতিসত্বর না দিলে ছবিটির নির্মাতা-প্রযোজক আদালতে যাবেন বলে তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম ইতোমধ্যে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিনেমা ছাড়াও অন্যান্য মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করতে দেশের দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকাকালে বিভিন্ন ধরনের আইন-কানুন বানিয়ে সংবিধান প্রদত্ত মানুষের মৌলিক অধিকার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করেছে। এ ক্ষেত্রে সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ পুরোপুরি শর্তমুক্ত না হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগানো হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতাকে শর্তহীন করা হলেও মত প্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে শর্তহীন করা হয়নি। সেই সুযোগে স্বৈরাচারী কিংবা রাজনৈতিক-গণতান্ত্রিক সরকার বছরের পর বছর ভিন্নমত দমনের উদ্দেশে একটার পর একটা আইন ও নীতিমালা তৈরি করেছে।
ফলে ক্ষমতাসীনদের স্বাচ্ছন্দ্য দেয় না এমন কিছুর, বিশেষ করে সিনেমা, গান, সাহিত্য, সংবাদ, কবিতার চর্চা করলে নিষিদ্ধ তো মামুলি বিষয়। নির্মাতা, লেখক, শিল্পী, কবি বা সাংবাদিকদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে যেতে পারে কাশিমপুর অথবা কেরানীগঞ্জে! তারেক মাসুদের জন্মদিনে মনে পড়ছে, 'মাটির ময়না' নির্মাণের অপরাধে তার বিরুদ্ধে তৎকালীন সরকার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ তুলেছিল।
ইরানের সঙ্গে বাংলাদেশের কী অদ্ভুত মিল! একইরকম অভিযোগে ইরান সরকার জেলে ভরেছিল কান, ভেনিস, বার্লিন জয়ী চলচ্চিত্রকার জাফর পানাহিকে। বন্দি অবস্থায় মোবাইল ফোনে 'দিস ইজ নট অ্যা ফিল্ম' বানিয়ে বিশ্ববাসীকে এই নির্মাতা জানিয়ে দিয়েছিলেন, পারিপার্শ্বিকতা যাই হোক না কেন, তিনি সত্যিকারের যোদ্ধা। একজন যোদ্ধাকে থামিয়ে রাখার শক্তি কারো নেই। ফ্ল্যাশ ড্রাইভে করে জন্মদিনের কেকের ভেতর দিয়ে সিনেমাটি পৌঁছে যায় কান চলচ্চিত্র উৎসবে। বাংলাদেশেও চলচ্চিত্র বানিয়ে, কবিতা লিখে, সাংবাদিকতা করে জেল খেটেছেন অনেকে। এসব হয়েছে স্বৈরাচারী সরকার এবং গণতান্ত্রিক সরকারসহ সব আমলেই।
শিল্পের ক্ষেত্রে যত খড়গ নেমেছে, এসবের অজুহাত হিসেবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেশের ভাবমূর্তি এবং সুনাম ক্ষুণ্নের বিষয়টিকে ঢাল বানিয়ে সামনে আনা হয়েছে। পোশাক রপ্তানি দিয়ে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের একটা ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং সুনাম আছে ঠিক, কিন্তু একইসঙ্গে বিশ্বে বাংলাদেশকে নিয়ে নেতিবাচক প্রচারও আছে। যেমন মানবাধিকার লঙ্ঘন, ভিন্নমত দমন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, আইনের শাসনের অভাব, দুর্নীতি, ঢালাও মুদ্রাপাচার প্রভৃতি। এসব নেতিবাচক প্রচারের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো কবি, শিল্পী বা নির্মাতার সৃষ্টির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ নেই।
ভাবমূর্তি বিনষ্টের আসল কারণ বন্ধে কোনো সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটিও দৃশ্যমান নয়। অথচ নির্বাহী বিভাগের সব রাগ ও ক্ষোভ সবসময় উগরে উঠে নিরীহ শিল্পী ও তার শিল্পকর্মের বেলায়, সেখানে ধমক আর শাসন যেন তরল পদার্থের মতো নিম্নগামী।
শাসন মাঝে মধ্যে দুঃশাসন ও ক্ষমতার অপব্যবহার মনে হয়, যখন অকারণেই পাকিস্তান যুগের সেন্সর আইনের কাঁচি দিয়ে একটি সিনেমা কেটে দেওয়া হয়। কাটাকাটির সুযোগ না পেলে নিয়মিত বিরতি দিয়ে পুরোপুরি আটকেই দেওয়া হচ্ছে। যদিও আইনটাকে সংশোধিত বলা হয়, আদতে এর কোনো মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়নি দুই-একটা শব্দ যোগ, বিয়োগ ও প্রতিস্থাপন ছাড়া। অথচ আধুনিক পৃথিবী অনেক আগেই সিনেমার সেন্সর প্রথা বাতিল করে গ্রেডিং পদ্ধতিতে চলে গেছে।
প্রতিটি সরকার কথায় কথায় সিনেমার উন্নয়নে নিজেদের অবদানের কথা শুনিয়ে বাহবা নিতে চায়। সরকারি অনুদানের নামে দলীয় লোকজনকে দিয়ে প্রপাগান্ডা নির্ভর সিনেমা তৈরির জন্য যদি জনগণের টাকার অপচয়কে চলচ্চিত্রের উন্নয়ন মনে করা হয়, তাহলে বলার কিছু নেই। অথচ এখন পর্যন্ত কোনো সরকার একটি পূর্ণাঙ্গ ফিল্ম স্কুল তৈরির উদ্যোগ নেয়নি। এখানকার ফিল্মমেকাররা স্বদেশি অগ্রজ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন চলচ্চিত্রকারের কাজ দেখে সিনেমা বানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেই চেষ্টার ফল হিসেবে প্রতি বছর আমরা কিছু চলচ্চিত্রকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতা করতে দেখি। হাতেগোনা এই কয়েকটি চলচ্চিত্রই আমাদের নিজস্ব চিত্রভাষার বিজ্ঞাপন হয়ে উঠেছে।
দেশের যেসব ছবি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাচ্ছে এগুলো কোনো ফর্মুলাকেন্দ্রিক নয়। এগুলোতে নির্মাতার নিজের মতো গল্প বলার চেষ্টা থাকে। শিল্পী তার সময়কে ধারণ করেন। সময়ের প্রতি শিল্পীর ক্ষোভ থাকতে পারে। সেই ক্ষোভের প্রতিফলন তার সিনেমায় থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এ ধরনের সিনেমা বা যেকোনো শিল্পকর্ম হয়তো ক্ষমতাবান বা ক্ষমতার কাছে থাকা মানুষদের আরাম দেয় না, দেওয়ার কথাও না। এমন চলচ্চিত্র তাই রাষ্ট্রযন্ত্রের আক্রোশের শিকার হচ্ছে বেশি। সেই আক্রোশ থেকে নির্মাতার চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতেই সেন্সরের পাশাপাশি নতুন নতুন নীতিমালা করা হচ্ছে, যা পুরোটাই মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এসব নীতিমালা ও সেন্সর আইন বাতিল করে সিনেমায় গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করে দর্শকের পছন্দকে অগ্রাধিকার দেওয়া এখন সময়ের দাবি।
জসিম আহমেদ: চলচ্চিত্র নির্মাতা
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)