i received a warning from webby for posting bengali posts. but some of these posts are too large, it is time consuming and impossible to translate.
this was read today by ahmed shafi's son :-
শনিবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে লংমার্চ
সামবেশে হেফাজতে ইসলামের আমীর
আল্লামা শাহ আহমদ শফির লিখিত বক্তব্য
পড়ে শোনান তার ছেলে মাওলানা আনাস
মাদানী। নিচে এই বক্তব্যের হুবুহু
তুলে ধরা হলো-
ﻧﺤﻤﺪﻩ ﻭﻧﺼﻠﻰ ﻋﻠﻰ ﺭﺳﻮﻟﻪ ﺍﻟﻜﺮﻳﻢ ﺍﻣﺎ ﺑﻌﺪ ! ﻓﺎﻋﻮﺫ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻣﻦ
ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺍﻟﺮﺟﻴﻢ، ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ : ﻭﻗﻞ ﺟﺎﺀ ﺍﻟﺤﻖ
ﻭﺯﻫﻖ ﺍﻟﺒﺎﻃﻞ ﺍﻥ ﺍﻟﺒﺎﻃﻞ ﻛﺎﻥ ﺯﻫﻮﻗﺎ .
সত্য সমাগত মিথ্যা অপসৃত, নিশ্চয়
মিথ্যা অপসৃয়মান। (আল-কুরআন
হাজারো বাধা প্রতিবন্ধকতা জাল ছিন্ন ভিন্ন
করে সকল অপশক্তির রক্তচক্ষু এবং তাদের
তাবৎ ষড়যন্ত্র ও বাধার পাহাড়
ডিঙ্গিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ১৩
দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজকের এই
মহা জনসমুদ্রে উপস্থিত দেশের উলামা-
মাশায়েখ, ছাত্র-শিক্ষক ও আমার
সংগ্রামী তাওহীদী জনতা।
সত্যের কথা বললে, ন্যায় ও ইনসাফের
কথা বললে বাতিল অপশক্তির গাত্রদাহ শুরু হয়,
সত্যের টুটি চেপে ধরে হত্যা করার
অপচেষ্টা করা হয়, কিন্তু বাতিল
অপশক্তি কোনকালেই টিকে থাকতে পারেনি,
অত্যন্ত গ্লানিকর অবস্থায় তাদের পরাজয়
হয়েছে, ইতিহাস তার জ্বলন্ত সাক্ষী।
এখনো কোন বাতিল
শক্তি টিকে থাকতে পারবে না। তারাই
ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। বিজয়
হবে সত্যবাদীদের এই বিশ্বাস আমাদের আছে।
কেননা আল্লাহর ইরশাদ : সত্য সমাগত
মিথ্যা অপসৃত নিশ্চয় মিথ্যা অপসৃয়মান। এই
বাণী অচিরেই বাংলার মাটিতে বাস্তবায়িত
হবে ইনশাআল্লাহ! আপনারা হিম্মত
করে বাতিলকে রুখে দাঁড়ান, বাতিল
অপশক্তি আপনাদের পায়ের নীচে মাথানত
করতে বাধ্য হবেই হবে।
শয়তান হযরত আদম (আ.)কে মিথ্যার
পথে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল, হযরত আদম
(আ.) শয়তানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন
বলেই শয়তান হয়েছে অভিশপ্ত, লানতপ্রাপ্ত ও
বিতাড়িত। হযরত নূহ (আ.) সত্যের
পক্ষে অবস্থান নিয়ে ছিলেন বলেই তার
বিপথগামী জাতি ধ্বংস হয়েছিল। হযরত লুত
(আ.) হযরত ইউনুস (আ.) সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত
ছিলেন বলেই তাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে।
হযরত মুসা (আ.) সত্যের পতাকা বহন
করেছিলেন বলেই ফেরাউন ও তার
বাহিনী সাগরে নিমজ্জিত হয়ে ধ্বংস হয়েছে।
হযরত ইবরাহীম (আ.) সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত
ছিলেন বলেই আগুন তাকে জালাতে পারেনি;
বরং একটি সামান্য মশার আক্রমনে নমরুদের
অপমানজনক মৃত্যু হয়েছে।
ইতিহাস সাক্ষী আবরাহা আল্লাহর ঘর ধ্বংস
করতে বিশাল
হস্তিবাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসলে তাকে এবং তার
বাহিনীকে ছোট পাখির দ্বারা আল্লাহ
তাআলা ধ্বংস করে দিয়েছেন। আমাদের
প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের সত্যের
আহ্বানকে স্থিমিত করার হীন
মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে এসেছিল আবু জাহল,
আবু লাহাবসহ আরবের কাফের মুশরিকচক্র,
কিন্তু তারাই পৃথিবীর আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত
হয়েছে। আর ইসলামের
আলো ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র বিশ্ব-জাহানে।
এরপর বহুবার চেষ্টা করা হয়েছে ইসলামের
আলোকে নিভিয়ে দেয়ার, কিন্তু ইসলামের
আলো নেভাতে সক্ষম হয়নি ইসলামের দুশমনরা।
সত্যের পতাকাবাহীরা বাতিল শক্তিকে চুরমার
করে দিয়ে তাদের ষড়যন্ত্রের
জালকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন সব
যুগেই। সেই ইতিহাস সবারই জানা।
বাতিলের এই আক্রমন কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত
থাকবে, কিন্তু সাময়িক সফলতার আস্ফালন
দেখালেও চূড়ান্ত সফলতা মুসলমানদেরই হবে।
বাংলাদেশের মুসলমানরা বাতিলের ভয়ঙ্কর
থাবায় আক্রান্ত, সংবিধান থেকে আল্লাহর
উপর পূর্ণ আস্থা বিশ্বাস
মুছে দিয়ে ফিরাউনী ও
নমরূদী শাসনব্যবস্থা কায়েমের
অপচেষ্টা দেশকে খোদায়ী গজব অনিবার্য
করে তুলছে। আল্লাহকে কটাক্ষ করার মত
দুঃসাহস দেখানো হচ্ছে। আমার
পেয়ারা নবী (সা.) এবং আমাদের প্রাণপ্রিয়
ধর্ম ইসলামের অবমাননা করা হচ্ছে,
প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করার কারণে তার
শাস্তির ত্বরিৎ ব্যবস্থা নেয়া হলেও আল্লাহ
ও তার রাসূলের বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের
শাস্তির আওতায় আনার কোন উদ্যোগ
পরিলক্ষিত হচ্ছে না; বরং হাইকোর্টের একজন
বিচারপতি এ বিষয়টি সহযোগিদের
দৃষ্টি আকর্ষন করতে গেলে তার
বিরুদ্ধে সরকারি নির্দেশে সুপ্রিম জুডিশিয়াল
কাউন্সিল গঠন করে হয়রানিমূলক
ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ব্লগার
রাজিবকে শহীদ আখ্যা দেয়া হয়েছে,
সংসদে তার প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় শাহবাগের নাস্তিক
ব্লাগারদের ইসলামের
বিরুদ্ধে উস্কে দেয়া হয়েছে।
তারা ইসলামী রাজনীতি বন্ধের
দাবি জানিয়ে স্পীকারকে স্মারকলিপি দেয়ার
দুঃসাহস দেখিয়েছে। ইসলামের
নিদর্শনাবলীকে চরমভাবে অবমাননা করা হয়েছে।
কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী নারীনীতি, ইসলাম
বিরোধী শিক্ষানীতি, পাশ করা হয়েছে। জাতীয়
মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন
মসজিদে নামাজের সময়
বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং আলেম,
ইমাম, খতীবদের হক কথা বলার কারণে তাদের
উপর অত্যাচার নির্যাতন চালানো হচ্ছে, হত্যা,
হুমকী-ধমকী, হামলা-মামলার
মাধ্যমে তাদেরকে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা ও
চাকুরীচ্যুত করা হচ্ছে। কাদিয়ানী এনজিওসহ
ইসলামবিরোধী অপশক্তিকে বিভিন্নভাবে আাশ্রয়-
প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে। মুসলিম
সভ্যতা সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে বিজাতীয়
সভ্যতা সংস্কৃতি ও
বেহায়াপনা বেলেল্লাপনা আমদানী করা হচ্ছে।
মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ভাস্কর্যের
নামে মূর্তি স্থাপনসহ শেরেকী কর্মকাণ্ডের
মাধ্যমে মুসলিম এ দেশটিকে অগ্নিপুজারী ও
মূর্তিপূজারীদের দেশ বানানোর চক্রান্ত হচ্ছে।
ইসলামের কথা বললেই তাকে মৌলবাদ,
জঙ্গিবাদের অপবাদ দিয়ে এদেশ
থেকে চিরতরে ইসলাম উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র
চালানো হচ্ছে। জঙ্গিবাদ দমনের নামে ইসলাম
নির্মুলের উদ্দেশ্যে বিদেশী সৈনিকদের
এদেশে ডেকে আনার পায়তারা চলছে।
এদেশের
কোটি কোটি তাওহিদী জনতাকে সঙ্গে নিয়ে হেফাজতে ইসলাম
শান্তিপূর্ণ উপায়ে দেশ ও ইসলামবিরোধী এসব
অপতৎপরতা বন্ধে বদ্ধপরিকর। কোন অপশক্তিই
হেফাজতে ইসলামকে তার অভিষ্ঠ লক্ষ্য
অর্জনে দমাতে পারবে না। এলক্ষ্যেই
হেফাজতে ইসলাম ও দেশ ও ঈমান রক্ষার
তাগিদে সুস্পষ্ট ১৩ দফা দাবি পেশ
করে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এসব দাবি কোন
রাজনৈতিক দাবি নয়।
ক্ষমতা থেকে কাউকে সারানো বা কাউকে ক্ষমতায়
বসানোর দাবি নয়। কিন্তু ক্ষমতায়
থাকতে হলে এসব দাবি মেনেই থাকতে হবে,
আবার ক্ষমতায় যেতে হলেও এসব দাবি মেনেই
যেতে হবে।
আমরা বার বার বলেছি আমাদের আন্দোলন
ঈমান ও দেশ রক্ষার অহিংস আন্দোলন। এ
আন্দোলনকে দমানোর অপচেষ্টা করা হলে এর
পরিণতি হবে ভয়াবহ। সরকার নির্বাচনের
আগে ইসলাম বিরোধী কুরআন ও সুন্নাহ
বিরোধী কোন কাজ না করার অঙ্গীকার
নিয়ে ক্ষমতাসীন হলেও এখন তারা সুষ্পষ্ট
ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সরকার
আমাদের দাবি দাওয়ার প্রতি কর্ণপাত
না করে দেশের কোটি কোটি মুসলমানদের
বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের আজকের
এই লংমার্চ কর্মসূচীকে একটি শান্তিপূর্ণ
কর্মসূচী ঘোষণা করা হলেও সরকার লক্ষ
কোটি জনতার এই কর্মসূচী বানচালের সব
প্রচেষ্টাই চালিয়েছে। সরকারের
সহযোগী নাস্তিক মুরতাদদের ঘাদানি কমিটি,
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট,
পরিকল্পনা মন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সেক্টর
কমান্ডারস ফোরাম এবং শাহবাগি নাস্তিক
মুরতাদদের তথাকথিত গনজাগরণ মঞ্চের
মাধ্যমে হরতাল অবরোধ আহ্বান
করিয়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ এই
কর্মসূচীকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। তারপরও
আজকের এই মহাসমুদ্র প্রমাণ
করে এদেশে নাস্তিক মুরতাদদের ইসলাম
বিরোধীদের ঠাঁই নেই। ঈমানদার জনতাই এদেশ
নিয়ন্ত্রণের অধিকার রাখে।
আজ সারা বাংলাদেশে সহাগণজোয়ার
সৃষ্টি হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের ১৩
দফা দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন
আরো তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ ধারণ করবে।
যে আন্দোলনের তোড়ে এই
ইসলামবিরোধী সরকারের
পরিণতি হবে ফেরাউন, নমরুদ, সাদ্দাদ, হামান,
আবু জাহল, আবু লাহাবের চেয়েও আরো ভয়াবহ।
তাই এখনো সময় আছে আল্লাহর গজব আসার
আগেই আমাদের
দাবিগুলো মেনে নিয়ে নিজেরাও বাচুন,
দেশকে ও দেশের জনগণকে বাঁচান।
আজকের এই জনসমুদ্র প্রমাণ করেছে- এদেশ
চলবে আলেম-উলামা ও তাওহীদি জনতার
কথায়। নাস্তিক মুরতাদ ব্লগারদের কথায় নয়।
জীবনবাজি রেখে লংমার্চে অংশ গ্রহণ
করে আজকের এই মহা জনসমুদ্রকে নিজের অর্থ
শ্রম খরচ করে স্বশরীরে হাজির
হয়ে ঈমানী দায়িত্ব পালন করার
জন্যে হেফাজতের ইসলামের সকল নেতাকর্মী,
অন্যান্য সংগঠন, দল, দেশের শীর্ষস্থানীয়
উলামা মাশায়েখ, ইসলামী চিন্তাশীল
ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক সংগঠন,
পেশাজীবি সংগঠন, মাদরাসা, স্কুল, ভার্সিটির
ছাত্র শিক্ষকদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও
মোবারকবাদ জানাচ্ছি। যুবক তরুণ
তোমরা ইসলামের মূল শক্তি, তাবৎ বাতিল
জাগরণ স্তিমিত করার জন্য আজকের মত
ভবিষ্যতেও
জীবনবাজি রেখে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে শহীদ
হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি ঢাকা ও
তার আশপাশের অঞ্চলের মানুষের লংমার্চ
কাফেলাকে সার্বিক সহযোগিতার জন্যও
আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
পরিশেষে ঈমান রক্ষার দেশ রক্ষার
যে আন্দোলনের সূচনা হয়েগেছে,
মানযিলে মাকসুদে পৌছার আগ পর্যন্ত
আমাদের আর ঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
ﻧﺼﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻓﺘﺢ ﻗﺮﻳﺐ .
বান্দাহ
শাহ আহমদ শফী
আমীর
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ