মনমোহনের সফর : বিএসএফের লাশ উপহার
সাদেক খান 
আবার পাথর ছুড়ে বাংলাদেশিকে হত্যা করল বিএসএফ। এ ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে। খবরে প্রকাশ, গ্রামবাসী ২৪ আগস্ট বিকালে বাবুল হোসেন নামে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীর লাশ সীমান্তের নাগর নদী থেকে উদ্ধার করেছে। পরে বিজিবি'র জওয়ানরা সেই লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ওইদিনই ভোরে গরু ব্যবসায়ী বাবুল ভারত থেকে গরু নিয়ে ফেরার সময় ডাবরী সীমান্তের ৩৭০-এর ৩-এস পিলারের কাছে পেঁৗছলে ভারতের ফুলবাড়ির বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে নির্যাতন চালায়। এতে তার মৃত্যু হলে লাশ নাগর নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। তারপরই গ্রামবাসী নদী থেকে তার লাশ তুলে আনে। বাবুল নামের এই গরু ব্যবসায়ী বিএসএফের নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফরে আসার দিন কয়েক আগে। এরও আগে আমরা দেখেছি গত ২৪ জুলাই ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সফর উপলক্ষে বিএসএফ একই কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে অপর এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছিল। এ হত্যাকাণ্ডের খবর পরদিন ২৫ জুলাই বাংলাদেশের সব জাতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল এভাবে, 'হত্যার অভিনব কৌশল : সীমান্তে আবারও পাথর ছুড়ে বাংলাদেশিকে হত্যা করল বিএসএফ।' বিশদ বিবরণ ছিল এরকম, 'লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী সীমান্তে এক বাংলাদেশি যুবককে পাথর ছুড়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ
। নিহত ওই বাংলাদেশি যুবকের নাম রফিকুল ইসলাম। জানা গেছে, বুড়িমারী ইউনিয়নের বামনদল সীমান্তের ৮৩৫ নম্বর মেইন পিলার সংলগ্ন এলাকায় ভারতের কুচবিহার ১০৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বিএসবাড়ি সীমান্ত ফাঁড়ির টহলদল ২৪ জুলাই সকালে বাংলাদেশি যুবক রফিকুলকে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু নিয়ে আসার সময় আটক করে। তাকে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে মুখ ও মাথায় আঘাত করে থেঁতলে দিয়ে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে লাশ সীমান্ত সংলগ্ন সানিয়াজন নদীতে ফেলে দেয়। গত ২১ জুলাই বিজিবি-বিএসএফ ফ্রন্টিয়ার আইজি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের শেষদিনে ভারতের পক্ষ থেকে সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়ার ২ দিনের মাথায় আবারও এক বাংলাদেশিকে পাথর ছুড়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করল বিএসএফ।' বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় আধিপত্যের ধারাবাহিক এই বর্বরোচিত মহড়া ইতোমধ্যে বৈদেশিক সংবাদ মাধ্যমেও ধিক্কৃত হয়েছে। খোদ ভারতসহ ইউরোপীয় কয়েকটি সংবাদপত্র সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার ওপর ফেলানির ঝুলন্ত লাশের সচিত্র সংবাদ ছাপানো হয়। এরই সর্বশেষ প্রকাশ ঘটেছে আমেরিকার প্রভাবশালী ত্রৈমাসিক ফরেন পলিসিতে। ওই সাময়িকীতে ফেলানি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে একটি সংবেদনশীল বিবরণ প্রকাশের পর মন্তব্যে বলা হয়- 'বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে ভারতের নির্মাণ করা বেড়া বিশ্বের জঘন্যতম বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। অন্য কোনো সীমান্তে এত হত্যাকাণ্ড ঘটে না। হত্যাকাণ্ড পুরোপরি একতরফা। ভারতীয়রা মারছে, আর একই সীমান্তে পাহারার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশি সৈন্যরা লাশগুলো কুড়িয়ে আনছে। ভারত অনেকবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছে যে, তারা হত্যাকাণ্ড বন্ধ করবে। কিন্তু কোনোবারই তারা ওই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। সাম্প্র্রতিক প্রতিশ্রুতিও তারা ইতোমধ্যে ভঙ্গ করেছে। ভারত কেন বাংলাদেশি প্রতিবেশীদের দূরে রাখতে বার্লিন প্রাচীর নির্মাণ করছে? বিশ্বের আরও অনেক সীমান্ত নিয়ে খবর প্রচারিত হয়। কিন্তু গত দশকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার এক হাজার ৭৯০ মাইল দীর্ঘ বেড়াটি বিশ্বের সবচেয়ে রক্তাক্ত সীমান্তরেখায় পরিণত হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে ভারতীয় সৈন্যরা প্রায় এক হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে, ফেলানির মতো করে। ১.২ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ২৫ বছরের সীমান্ত বেড়াটির নির্মাণকাজ আগামী বছর শেষ হবে। ভারতীয়রা মনে করছে এর মাধ্যমে ইসলামী সন্ত্রাসবাদ, অবৈধ অভিবাসন, উদ্বাস্তু সংকটসহ তাদের নানা সমস্যার সমাধান করা যাবে। তবে বাংলাদেশিদের কাছে এটা হলো ভারতের অযৌক্তিক ভীতির প্রতীক, তারা তাদের নবলব্ধ সম্পদ পাহারা দিতে এটা তৈরি করেছে, যদিও তাদের নিজের দেশই দারিদ্র্যে জর্জরিত। এ বেড়া স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে একই ইতিহাস ও সংস্কৃতির এতিহ্যে লালিত এক সময়ের বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে ব্যবধান কতটা বেড়েছে এবং একপক্ষ অন্য পক্ষকে দূরে সরিয়ে রাখতে কতটুকু রক্ত ঝরাতে ইচ্ছুক। যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের চেয়েও ছোট এলাকা বাংলাদেশে এখন ষোল কোটি লোকের বাস; জনসংখ্যার অর্ধেক বাস করে দিনে ১.২৫ ডলারের কম আয়ে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এঁকেবেঁকে বয়ে চলা ৬৪টি নদীর প্রায় প্রতিটি ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত বৈজ্ঞানিক মডেল অনুযায়ী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা মাত্র এক মিটার বাড়লেও দেশটির প্রায় ২০ ভাগ ডুবে যাবে। বৈশ্বিক উষ্ণতায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের নদীগুলোতে ধীর ধীরে লোনাপানি ঢোকায়, ভারত উজানে বাঁধ দেওয়ায় এবং হিমালয়ের হিমবাহ হ্রাস পাওয়ায় দেশটির কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির প্রাণ উর্বরা ভূমিরাজি ইতোমধ্যেই মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং আরও কয়েকটি নিরাপত্তা সংস্থা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানিয়েছে, ক্যাটরিনা পর্যায়ের কোনো হ্যারিকেন আঘাত হানলে দেশটিতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে। আর তা বহুমুখী হুমকির সৃষ্টি করবে। বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্কের নতুন সুযোগ, খাদ্য ও পানির মতো মৌলিক প্রয়োজনগুলোর জন্য সংঘাতে অবশ্যই লাখ লাখ উদ্বাস্তু সৃষ্টির আশংকা দেখা দেবে। আর উদ্বাস্তু বাংলাদেশিরা প্রথম কোথায় যেতে চাইবে তা কোনো গোপন ব্যাপার নয়। মাত্র দুটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। একটি ভারত, অপরটি মিয়ানমার। নয়াদিলি্ল ১৯৮৬ সালে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত প্রহরীসহ বেড়া নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ১৯৯৮ সালে হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি ক্ষমতাসীন হলে এই কাজ দ্রুত এগুতে থাকে। বেড়া লম্বা হতে থাকে এবং বেশি বেশি রক্ত ঝরতে থাকে। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের আপত্তির মুখে ভারত অনেকবারই প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু ওইসব প্রতিশ্রুতি খুবই কম পূরণ হয়েছে। আগামী বছর নাগাদ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার প্রতিটি ক্রসিং পয়েন্ট বেড়ায় ঢেকে যাবে। আর নিরাপত্তা যত জোরদার হবে, সীমান্তে বিপদ তত বাড়বে। বেড়া আসলে নিরাপত্তা বাড়াতে পারে না। শতাধিক সীমান্ত গ্রাম প্রতিদিন হাজার হাজার অভিবাসীর জন্য ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এসব গ্রামের প্রতিটিতেই একজন করে লাইন্সম্যান রয়েছে। তারা উভয় দেশের দুর্নীতিবাজ সীমান্তরক্ষীদের ঘুষ দিয়ে চোরাচালান, মানুষ পাচারের কাজ করে থাকে। ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা 'মাসুম'-এর প্রধান কিরিটি রায় বলেন, 'টাকা দিয়ে পুরো গ্রাম সীমান্ত পাড়ি দিতে পারে। তবে লাইন্সম্যানের সাহায্য ছাড়া তথা বিএসএফকে ঘুষ না দিয়ে কেউ সীমান্ত পাড়ি দিতে পারে না। কেউ যদি লাইন্সম্যানকে পয়সা না দিয়ে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে তখন তাকে গুলি করার জন্য সীমান্তরক্ষীদের বলে দেওয়া হয়।' গত দশকে সীমান্তরক্ষীরা কিভাবে হাজারখানেক লোককে হত্যা করল, এর একটা ব্যাখ্যা এর মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে। বিশ্বব্যাপী জঙ্গি উত্থান নিয়েও আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় রাজনীতিবিদরা বিষয়টিকে পুঁজি করে নানা কটূক্তি করেছেন। ২০০৯ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম ঘোষণা করেছিলেন, 'বাংলাদেশিদের ভারতে আসার কোনো দরকার নেই।' বাংলাদেশ সীমান্তের পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী বিজেপি নেতা তথাগত রায় বাংলাদেশিদের আটকাতে সীমান্তে মাইন বসানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এমন একটি প্রেক্ষাপটে সীমান্ত ভয়ংকর বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বলে থাকেন যে, তারা 'আত্মরক্ষার জন্যই গুলি' করে থাকেন। কিন্তু মাসুম এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টে বলা হয়েছে, হত্যার শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে বড়জোর কাস্তে থাকে। সংগঠন দুটি 'নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতনের জন্য' ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের দায়ী করেছে। নিহতদের বেশিরভাগই কৃষক। তারা ভুল স্থানে ও ভুল সময়ে নিহত হন। জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সৈন্যরা জানান, ছয় ভারতীয় সেনা শাহজাহান আলী নামের এক বাংলাদেশি কৃষককে ঘাসের প্রলোভন দেখিয়ে সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে নিয়ে যায়। তারপর উলঙ্গ অবস্থায় প্রহার করে তার পা দুটি ভেঙে ফেলে এবং যৌনাঙ্গ কেটে দেয়। এরপর তারা তাকে বাংলাদেশি এলাকায় ফেলে দেয়। ওই অত্যাচারে শাহজাহান আলীর মৃত্যু হয়। বাংলাদেশি সৈন্যরা লাশগুলো সংগ্রহ করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। অবশ্য ফেলানির মৃত্যুতে বাংলাদেশ বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় তার মৃতদেহের ছবি প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়। রাজধানী ঢাকার প্রায় প্রতিটি দেয়ালে লাগানো পোস্টারে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, 'বেড়াটি নতুন বার্লিন প্রাচীর। মনে হচ্ছে ভারত এখন গুলিবর্ষণে কিছুটা বিরতি দিচ্ছে। গত মার্চে নয়াদিলি্ল আবারও সীমান্তরক্ষীদের তাজা গুলি সরবরাহ বন্ধে রাজি হয়। কিন্তু পরের মাসে তথা এপ্রিলেই ভারতীয় সৈন্যরা আবার বন্দুকে তাজা গুলি ভর্তি করে। পৃথক ঘটনায় তারা এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী ও অপর তিনজনকে গুলি করে। এটা প্রকারান্তরে মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, বেড়া অসারভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেও যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এটাকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে তা অনেক বেশি জোরদার হয়েছে।' এদিকে সীমান্তে যখন বিএসএফ পাথর ছুড়ে বাংলাদেশের বাবুল হোসেনকে হত্যা করল তখন 'বাংলাদেশ এবং ভারতের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য গতিশীল করার লক্ষ্যে' সীমান্তে বন্ধুত্বের প্রস্তুতি চালানো হচ্ছিল। তারই চূড়ান্ত মঞ্চায়ন হয় ২৭ আগস্ট ভারতের পেট্রাপোলে আন্তর্জাতিক মানের সমন্বিত চেকপোস্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কাজ উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে। এটির উদ্বোধন করেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম আর উপস্থিত থাকেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। পেট্রাপোলের এই অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে সাহারা খাতুন বলেন, 'সীমান্ত এলাকায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফা
আর কোনো গুলি চালাবে না।' আমাদের মনে আছে যে, একই কথা বলেছিলেন পি. চিদাম্বরম গত ৩০ জুলাই ঢাকায় ২৪ ঘণ্টার এক ঝটিকা সফরে এসে। সেদিন তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, 'বাংলাদেশ কিংবা ভারত থেকে সীমান্ত পেরোনোর সময় কোনো অবস্থায়ই যাতে লোকজনের ওপর গুলি ছোড়া না হয়, সে ব্যাপারে বিএসএফকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর এই বার্তা বিএসএফের জওয়ানদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।'
এখানে সম্ভবত মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি ব্যাপারে একমত বা কোরাস গাইছেন যে, বিএসএফ গুলি চালিয়ে কোনো বাংলাদেশিকে হত্যা করবে না। তবে অন্যাভাবে যেমন পাথর মেরে হত্যা করতে পারবে।
লেখক : বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট
[সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৯/০৮/১১]