EastBengalPro
FULL MEMBER
- Joined
- Jun 3, 2014
- Messages
- 690
- Reaction score
- 0
- Country
- Location
আইএসবিরোধী জোট
বাংলাদেশের জনবল চায় সৌদি আরব
দেড় বছর আগে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে আইএসবিরোধী সৌদি জোটে যোগ দিলেও লড়াইয়ের মাঠে যাবে না বাংলাদেশ। এই অবস্থান স্পষ্টই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরও ওই জোটের গবেষণা, তদন্তকাজসহ মাঝারি স্তরে বাংলাদেশ থেকে জনবল নিয়োগ করতে চাইছে সৌদি সরকার। পাশাপাশি তাদের ভূখণ্ড থেকে মাইন অপসারণ, সীমান্ত সুরক্ষা ও নিরাপত্তা অবকাঠামোর বিভিন্ন কাজে বাংলাদেশের সহযোগিতা চাইছে সৌদি আরব।
ঢাকা ও রিয়াদের কূটনৈতিক সূত্রগুলো গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে জানিয়েছে, দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে গত বছরের শুরু থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরব বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করছে। বিশেষ করে মাইন অপসারণ, সীমান্ত রক্ষাসহ অবকাঠামোর উন্নয়নে সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়েও সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে সৌদি কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়েছে। তেল সমৃদ্ধ দেশটি এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতা পেতে আগ্রহী।
আইএসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে একসঙ্গে অবস্থান নিতে মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোকে নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে দ্য ইসলামিক মিলিটারি অ্যালায়েন্সের (আইএমএ) ঘোষণা দেন সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সউদ। আনুষ্ঠানিকভাবে দ্য ইসলামিক মিলিটারি অ্যালায়েন্স টু ফাইট টেররিজম (আইএমএএফটি) নামে পরিচিত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ৩৪টি দেশকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে। পরে জোটের সদস্যসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১। এ বছরের জানুয়ারিতে আইএমএএফটির প্রথম কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে নিয়োগ পান পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) রাহিল শরিফ। ওই জোটে পাকিস্তানের পাঁচ হাজার সৈন্যের যোগ দেওয়ার কথা।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিলের প্রথমার্ধে রিয়াদ সফরের সময় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে সৌদি সেনা কর্মকর্তাদের আলোচনায় দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিভিন্ন প্রসঙ্গ এসেছে। এ সময় সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণে রিয়াদের আগ্রহের প্রসঙ্গটিও এসেছে।
সৌদি সরকার সন্ত্রাসবিরোধী জোটের তদন্ত প্রক্রিয়া ও গবেষণার মতো কাজে বাংলাদেশের মাঝারি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করার কথা ভাবছে। সৌদি আরব তার এই পরিকল্পনার কথা বাংলাদেশকে জানিয়েছে।
জানতে চাইলে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ গত সপ্তাহে রিয়াদ থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। আশা করা যায়, এ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাস্তবায়নের পথে যাবে।
তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। বিশেষ করে ইয়েমেনে সৌদির নেতৃত্বাধীন অভিযানে বিপুলসংখ্যক শিশুসহ সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর কারণে দেশটির বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনেছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া শিয়া-সুন্নি বিরোধের বড় দায়টাও সৌদি আরবের। এমন এক পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনো প্রতিরক্ষা উদ্যোগে যোগ দেওয়ার আগে যথেষ্ট সময় নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রিয়াদের একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ কীভাবে সৌদি আরবকে সহযোগিতা করতে পারে, তা নিয়ে গত সপ্তাহে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন রিয়াদে সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক সৌদি আরবে যান। ওই সময় সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা স্থাপনা নির্মাণ, সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, মাইন অপসারণ, বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজের পরিচর্যা নিয়ে দেশটির সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়। দুই দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় নিয়েও আলোচনা হয়। জুলাই মাসে সৌদি আরবের সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল আয়েশ ঢাকায় এসে সহযোগিতার বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলেন।
জানা গেছে, দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনীর উপপ্রধান এয়ার মার্শাল ফায়াদ বিন হামিদ আল রুহাইলি গত বছরের আগস্টে ঢাকা সফর করেন। পরের মাসে ঢাকায় আসেন সৌদি আরবের জাতীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের প্রধান।
রিয়াদে কূটনৈতিক সূত্রে যোগাযোগ করে জানা গেছে, উপসাগরীয় যুদ্ধের অভিজ্ঞতায় মাইন অপসারণের ব্যাপারে বাংলাদেশের দক্ষতা আছে। তবে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সৌদি আরবের সংঘাত চলতে থাকায় সীমান্ত সুরক্ষায় সহযোগিতা কিংবা মাইন অপসারণে অংশ নেওয়ার আগে কোথায় ও কখন কাজ করবে, তা আরও ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপার আছে।
জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইয়েমেনে অভিযান শুরুর পর থেকেই সৌদি আরবের ভূমিকার সমালোচনা করে জাতিসংঘে দুবার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে সৌদি আরবের ভূমিকা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের উত্থান, ইরানের সঙ্গে বিরোধ—এই সবকিছুর মূলে শিয়া আর সুন্নি বিভাজনকে বড় কারণ বিবেচনা করা হয়। আর এই বিভাজনের জন্য দায়ী করা হয় সৌদি আরবকে। এমন এক প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষার কোনো উদ্যোগে যুক্ত হওয়ার আগে নিজেদের ঝুঁকির মুখে ফেলছি কি না, সেটা প্রথমেই দেখতে হবে। এর পাশাপাশি এমন কোনো প্রয়াসে যুক্ততার চূড়ান্ত সুফল কী, এটাও খুব সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের বার্ষিক প্রতিবেদন ‘চিলড্রেন অ্যান্ড আর্মড কনফ্লিক্ট’-এ ইয়েমেনের ৬০ শতাংশ শিশুর মৃত্যুর জন্য সৌদির নেতৃত্বাধীন জোটের অভিযানকে দায়ী করা হয়। গৃহযুদ্ধকবলিত ইয়েমেনে ২০১৫ সালে প্রাণ হারায় ৫১০টি শিশু আর আহত হয় ৬৬৭টি শিশু। এ জন্য সৌদি আরবকে জাতিসংঘ কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। বাংলাদেশ, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এর প্রতিবাদ জানালে কালো তালিকা থেকে সৌদি আরবের নাম বাদ দেয় জাতিসংঘ। সৌদির নেতৃত্বাধীন ৪১ দেশের সামরিক জোটের অন্যতম সদস্য বাংলাদেশ, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
সৌদির জোটে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে রিয়াদের অন্য একটি সূত্র এই প্রতিবেদককে জানায়, পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ এপ্রিলে সামরিক জোটের প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন। দেড় বছর আগে গড়া জোটের ভবিষ্যৎ কোন পথে, অর্থাৎ এটি আদৌ আইএসের বিরুদ্ধে বড় পরিসরে লড়াইয়ের মাঠে নামবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য শরিক দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের নিয়ে রোজার পর আলোচনায় বসতে যাচ্ছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে রিয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ প্রথম আলোকে বলেন, সৌদি জোটের পরবর্তী কাজের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য মে মাসের মধ্যে সদস্যদেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকের কথা আছে। এখন পর্যন্ত আলোচনার সময়সূচি ঠিক হয়নি। সন্ত্রাসবিরোধী জোটে বাংলাদেশের লোকজনকে নেওয়ার ব্যাপারে সৌদি আরব যথেষ্ট আগ্রহী।
Bangladesh will not go to the field of fighting even after a year and a half before joining the anti-ISIS Saudi coalition. This standing has been clearly notified before. Yet, the Saudi government wants to recruit the people from Bangladesh with the research, investigation and middle level level of the alliance. Besides, Saudi Arabia wants Bangladesh's cooperation in various areas of mine removal, border security and security infrastructure.
Diplomatic sources in Dhaka and Riyadh have said in the first light on Saturday that Saudi Arabia has been discussing with different countries from the beginning of last year with the cooperation of the two countries. The Saudi authorities have been discussing with the government high on issues related to cooperation in the development of infrastructure, including mine removal, border protection and infrastructure development. Oil-rich countries are interested in Bangladesh's cooperation in these areas.
Saudi Arabia's Defense Minister Mohammad bin Salman al-Saud has announced the Islamic Military Alliance (IMA) in December 2015 with the countries of the Muslim world to take a stand against ISIS and other terrorist activities against IS. The Saudi-led alliance, officially known as The Islamic Military Alliance to Fight Terrorism (IMAF), started its journey with 34 countries. After all, the total membership of the alliance increased to 41. Former Pak army chief General (retd) Rahil Sharif was appointed as the first Commander-In-Chief of the IMAF in January this year. Five thousand soldiers in Pakistan are to join the coalition.
According to diplomatic sources, during the first half of April, the Principal Staff Officer (PSO) of the Armed Forces Division Lieutenant General Md. In discussions with Mahfuzur Rahman, a series of discussions on defense cooperation between the two countries came in the context of the Saudi army officers. At this time, the Saudi-led alliance has also discussed the interest of Riyadh in participating Bangladesh.
The Saudi government is contemplating involvement of middle-level officials of Bangladesh in the process of investigation and research of anti-terrorism alliance. Saudi Arabia has told Bangladesh about this plan.
Asked about the ambassador of Saudi Arabia, Golam Masih, in the first week of Riyadh, the first light said that there are discussions on various issues related to various issues of defense cooperation between the two countries. It is expected that this year, Saudi Arabia will go with the help of Bangladesh to implement the defense cooperation.
However, according to security analysts, there is a lot of questions about Saudi Arabia's role in recent years in the Middle East. In particular, Yemen has led a proposal by the United Nations to the country against the death of a large number of children, including civilians, in a Saudi-led operation. In addition, the big responsibility of the Shia-Sunni dispute is also Saudi Arabia. Experts say that it should take enough time before joining a bilateral defense initiative with Saudi Arabia.
A diplomatic source in Riyadh said that last week the Director General of Border Guard of Bangladesh Major General Abul Hossain spoke to Saudi officials in Riyadh about how Bangladesh can cooperate with Saudi Arabia on border security.
Talking to high officials of the government, in February 2016, Prime Minister's Security Adviser Major General (retired) Tariq Ahmed Siddique went to Saudi Arabia. At that time, he discussed with the military officers of the country about the construction, maintenance, mine removal, air-bases of Saudi Arabia's defense establishment. There are also discussions about exchange of intelligence between the two countries. In July, Saudi Arabia's Assistant Defense Minister Mohammad bin Abdullah Al Aysh came to Dhaka and talked about the implementation of cooperation issues at different stages.
It is learned that Deputy Marshal Fayed bin Hamid al-Rouhaili, deputy head of the Armed Forces of Saudi Arabia, visited Dhaka in August last year to discuss the issues of cooperation between the two armed forces. The head of the National Security Authority of Saudi Arabia arrived in Dhaka the following month.
In diplomatic sources in Riyadh, it is known that Bangladesh has expertise in removing mine in the experience of Gulf War. But there is a more decisive decision about where and when the conflict between the Hudi rebels of Yemen is going on in Saudi Arabia, where to help in cross-border cooperation or mine removal.
Bangladesh Institute of Peace and Strategic Studies (BIPSS) President Major General (retd) A N M Muniruzzaman said in the first light on Saturday, "The United Nations has twice offered its criticism of Saudi Arabia's role since the operation in Yemen," the security analyst and research organization, Bangladesh Institute of Peace and Strategic Studies (BIPSS), told bdnews24.com. . Outside of this, Saudi Arabia's role in various issues on the Middle East is now questioned. In particular, the rise of international militant organizations IS, conflict with Iran - this is considered to be a major reason for Shia and Sunni divisions. And Saudi Arabia is responsible for this division. In such a scenario, it is necessary to see whether they are risking themselves before joining Saudi Arabia's defense initiative. Besides, it is also very careful to take into consideration what is the ultimate benefit of the connection in such an attempt. '
In fact, in December 2016, the United Nations annual report 'Children and Armed Conflict' was responsible for the Saudi-led coalition's campaign for the death of 60 percent of Yemen's children. In the civil war in Yemen, 510 children lost their lives in 2015 and 667 children were injured. For this, the United Nations has blacklisted Saudi Arabia. The United Nations excludes the name of Saudi Arabia from the blacklist when Bangladesh, Jordan and United Arab Emirates protested. Bangladesh, Jordan and United Arab Emirates, one of Saudi's 41-member military alliance.
Asked about the involvement of Bangladesh in the Saudi alliance, another source from Riyadh told the reporter that former Pakistani army chief General Rachel Sharif joined as the head of the military alliance in April. It is not clear whether the future of the alliance formed half a year ago, that is, whether it will take a bigger fight against IS at all. The Saudi authorities are going to sit in talks with the security forces of the neighboring countries to discuss the future of the coalition.
In this regard, Bangladesh Ambassador to Riyadh Golam Masih told in the first light that in order to discuss the next action plan for the Saudi alliance, there is a meeting of the Defense Ministers of the members in May. So far, the schedule for negotiations is not correct. Saudi Arabia is very interested in taking the people of Bangladesh in the anti-terrorism alliance.
Prothom Alo
বাংলাদেশের জনবল চায় সৌদি আরব
দেড় বছর আগে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে আইএসবিরোধী সৌদি জোটে যোগ দিলেও লড়াইয়ের মাঠে যাবে না বাংলাদেশ। এই অবস্থান স্পষ্টই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরও ওই জোটের গবেষণা, তদন্তকাজসহ মাঝারি স্তরে বাংলাদেশ থেকে জনবল নিয়োগ করতে চাইছে সৌদি সরকার। পাশাপাশি তাদের ভূখণ্ড থেকে মাইন অপসারণ, সীমান্ত সুরক্ষা ও নিরাপত্তা অবকাঠামোর বিভিন্ন কাজে বাংলাদেশের সহযোগিতা চাইছে সৌদি আরব।
ঢাকা ও রিয়াদের কূটনৈতিক সূত্রগুলো গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে জানিয়েছে, দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে গত বছরের শুরু থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরব বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করছে। বিশেষ করে মাইন অপসারণ, সীমান্ত রক্ষাসহ অবকাঠামোর উন্নয়নে সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়েও সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে সৌদি কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়েছে। তেল সমৃদ্ধ দেশটি এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতা পেতে আগ্রহী।
আইএসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে একসঙ্গে অবস্থান নিতে মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোকে নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে দ্য ইসলামিক মিলিটারি অ্যালায়েন্সের (আইএমএ) ঘোষণা দেন সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সউদ। আনুষ্ঠানিকভাবে দ্য ইসলামিক মিলিটারি অ্যালায়েন্স টু ফাইট টেররিজম (আইএমএএফটি) নামে পরিচিত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ৩৪টি দেশকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে। পরে জোটের সদস্যসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১। এ বছরের জানুয়ারিতে আইএমএএফটির প্রথম কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে নিয়োগ পান পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) রাহিল শরিফ। ওই জোটে পাকিস্তানের পাঁচ হাজার সৈন্যের যোগ দেওয়ার কথা।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিলের প্রথমার্ধে রিয়াদ সফরের সময় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে সৌদি সেনা কর্মকর্তাদের আলোচনায় দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিভিন্ন প্রসঙ্গ এসেছে। এ সময় সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণে রিয়াদের আগ্রহের প্রসঙ্গটিও এসেছে।
সৌদি সরকার সন্ত্রাসবিরোধী জোটের তদন্ত প্রক্রিয়া ও গবেষণার মতো কাজে বাংলাদেশের মাঝারি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করার কথা ভাবছে। সৌদি আরব তার এই পরিকল্পনার কথা বাংলাদেশকে জানিয়েছে।
জানতে চাইলে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ গত সপ্তাহে রিয়াদ থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। আশা করা যায়, এ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাস্তবায়নের পথে যাবে।
তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। বিশেষ করে ইয়েমেনে সৌদির নেতৃত্বাধীন অভিযানে বিপুলসংখ্যক শিশুসহ সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর কারণে দেশটির বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনেছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া শিয়া-সুন্নি বিরোধের বড় দায়টাও সৌদি আরবের। এমন এক পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনো প্রতিরক্ষা উদ্যোগে যোগ দেওয়ার আগে যথেষ্ট সময় নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রিয়াদের একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ কীভাবে সৌদি আরবকে সহযোগিতা করতে পারে, তা নিয়ে গত সপ্তাহে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন রিয়াদে সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক সৌদি আরবে যান। ওই সময় সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা স্থাপনা নির্মাণ, সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, মাইন অপসারণ, বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজের পরিচর্যা নিয়ে দেশটির সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়। দুই দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় নিয়েও আলোচনা হয়। জুলাই মাসে সৌদি আরবের সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল আয়েশ ঢাকায় এসে সহযোগিতার বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলেন।
জানা গেছে, দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনীর উপপ্রধান এয়ার মার্শাল ফায়াদ বিন হামিদ আল রুহাইলি গত বছরের আগস্টে ঢাকা সফর করেন। পরের মাসে ঢাকায় আসেন সৌদি আরবের জাতীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের প্রধান।
রিয়াদে কূটনৈতিক সূত্রে যোগাযোগ করে জানা গেছে, উপসাগরীয় যুদ্ধের অভিজ্ঞতায় মাইন অপসারণের ব্যাপারে বাংলাদেশের দক্ষতা আছে। তবে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সৌদি আরবের সংঘাত চলতে থাকায় সীমান্ত সুরক্ষায় সহযোগিতা কিংবা মাইন অপসারণে অংশ নেওয়ার আগে কোথায় ও কখন কাজ করবে, তা আরও ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপার আছে।
জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইয়েমেনে অভিযান শুরুর পর থেকেই সৌদি আরবের ভূমিকার সমালোচনা করে জাতিসংঘে দুবার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে সৌদি আরবের ভূমিকা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের উত্থান, ইরানের সঙ্গে বিরোধ—এই সবকিছুর মূলে শিয়া আর সুন্নি বিভাজনকে বড় কারণ বিবেচনা করা হয়। আর এই বিভাজনের জন্য দায়ী করা হয় সৌদি আরবকে। এমন এক প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষার কোনো উদ্যোগে যুক্ত হওয়ার আগে নিজেদের ঝুঁকির মুখে ফেলছি কি না, সেটা প্রথমেই দেখতে হবে। এর পাশাপাশি এমন কোনো প্রয়াসে যুক্ততার চূড়ান্ত সুফল কী, এটাও খুব সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের বার্ষিক প্রতিবেদন ‘চিলড্রেন অ্যান্ড আর্মড কনফ্লিক্ট’-এ ইয়েমেনের ৬০ শতাংশ শিশুর মৃত্যুর জন্য সৌদির নেতৃত্বাধীন জোটের অভিযানকে দায়ী করা হয়। গৃহযুদ্ধকবলিত ইয়েমেনে ২০১৫ সালে প্রাণ হারায় ৫১০টি শিশু আর আহত হয় ৬৬৭টি শিশু। এ জন্য সৌদি আরবকে জাতিসংঘ কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। বাংলাদেশ, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এর প্রতিবাদ জানালে কালো তালিকা থেকে সৌদি আরবের নাম বাদ দেয় জাতিসংঘ। সৌদির নেতৃত্বাধীন ৪১ দেশের সামরিক জোটের অন্যতম সদস্য বাংলাদেশ, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
সৌদির জোটে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে রিয়াদের অন্য একটি সূত্র এই প্রতিবেদককে জানায়, পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ এপ্রিলে সামরিক জোটের প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন। দেড় বছর আগে গড়া জোটের ভবিষ্যৎ কোন পথে, অর্থাৎ এটি আদৌ আইএসের বিরুদ্ধে বড় পরিসরে লড়াইয়ের মাঠে নামবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য শরিক দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের নিয়ে রোজার পর আলোচনায় বসতে যাচ্ছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে রিয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ প্রথম আলোকে বলেন, সৌদি জোটের পরবর্তী কাজের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য মে মাসের মধ্যে সদস্যদেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকের কথা আছে। এখন পর্যন্ত আলোচনার সময়সূচি ঠিক হয়নি। সন্ত্রাসবিরোধী জোটে বাংলাদেশের লোকজনকে নেওয়ার ব্যাপারে সৌদি আরব যথেষ্ট আগ্রহী।
Bangladesh will not go to the field of fighting even after a year and a half before joining the anti-ISIS Saudi coalition. This standing has been clearly notified before. Yet, the Saudi government wants to recruit the people from Bangladesh with the research, investigation and middle level level of the alliance. Besides, Saudi Arabia wants Bangladesh's cooperation in various areas of mine removal, border security and security infrastructure.
Diplomatic sources in Dhaka and Riyadh have said in the first light on Saturday that Saudi Arabia has been discussing with different countries from the beginning of last year with the cooperation of the two countries. The Saudi authorities have been discussing with the government high on issues related to cooperation in the development of infrastructure, including mine removal, border protection and infrastructure development. Oil-rich countries are interested in Bangladesh's cooperation in these areas.
Saudi Arabia's Defense Minister Mohammad bin Salman al-Saud has announced the Islamic Military Alliance (IMA) in December 2015 with the countries of the Muslim world to take a stand against ISIS and other terrorist activities against IS. The Saudi-led alliance, officially known as The Islamic Military Alliance to Fight Terrorism (IMAF), started its journey with 34 countries. After all, the total membership of the alliance increased to 41. Former Pak army chief General (retd) Rahil Sharif was appointed as the first Commander-In-Chief of the IMAF in January this year. Five thousand soldiers in Pakistan are to join the coalition.
According to diplomatic sources, during the first half of April, the Principal Staff Officer (PSO) of the Armed Forces Division Lieutenant General Md. In discussions with Mahfuzur Rahman, a series of discussions on defense cooperation between the two countries came in the context of the Saudi army officers. At this time, the Saudi-led alliance has also discussed the interest of Riyadh in participating Bangladesh.
The Saudi government is contemplating involvement of middle-level officials of Bangladesh in the process of investigation and research of anti-terrorism alliance. Saudi Arabia has told Bangladesh about this plan.
Asked about the ambassador of Saudi Arabia, Golam Masih, in the first week of Riyadh, the first light said that there are discussions on various issues related to various issues of defense cooperation between the two countries. It is expected that this year, Saudi Arabia will go with the help of Bangladesh to implement the defense cooperation.
However, according to security analysts, there is a lot of questions about Saudi Arabia's role in recent years in the Middle East. In particular, Yemen has led a proposal by the United Nations to the country against the death of a large number of children, including civilians, in a Saudi-led operation. In addition, the big responsibility of the Shia-Sunni dispute is also Saudi Arabia. Experts say that it should take enough time before joining a bilateral defense initiative with Saudi Arabia.
A diplomatic source in Riyadh said that last week the Director General of Border Guard of Bangladesh Major General Abul Hossain spoke to Saudi officials in Riyadh about how Bangladesh can cooperate with Saudi Arabia on border security.
Talking to high officials of the government, in February 2016, Prime Minister's Security Adviser Major General (retired) Tariq Ahmed Siddique went to Saudi Arabia. At that time, he discussed with the military officers of the country about the construction, maintenance, mine removal, air-bases of Saudi Arabia's defense establishment. There are also discussions about exchange of intelligence between the two countries. In July, Saudi Arabia's Assistant Defense Minister Mohammad bin Abdullah Al Aysh came to Dhaka and talked about the implementation of cooperation issues at different stages.
It is learned that Deputy Marshal Fayed bin Hamid al-Rouhaili, deputy head of the Armed Forces of Saudi Arabia, visited Dhaka in August last year to discuss the issues of cooperation between the two armed forces. The head of the National Security Authority of Saudi Arabia arrived in Dhaka the following month.
In diplomatic sources in Riyadh, it is known that Bangladesh has expertise in removing mine in the experience of Gulf War. But there is a more decisive decision about where and when the conflict between the Hudi rebels of Yemen is going on in Saudi Arabia, where to help in cross-border cooperation or mine removal.
Bangladesh Institute of Peace and Strategic Studies (BIPSS) President Major General (retd) A N M Muniruzzaman said in the first light on Saturday, "The United Nations has twice offered its criticism of Saudi Arabia's role since the operation in Yemen," the security analyst and research organization, Bangladesh Institute of Peace and Strategic Studies (BIPSS), told bdnews24.com. . Outside of this, Saudi Arabia's role in various issues on the Middle East is now questioned. In particular, the rise of international militant organizations IS, conflict with Iran - this is considered to be a major reason for Shia and Sunni divisions. And Saudi Arabia is responsible for this division. In such a scenario, it is necessary to see whether they are risking themselves before joining Saudi Arabia's defense initiative. Besides, it is also very careful to take into consideration what is the ultimate benefit of the connection in such an attempt. '
In fact, in December 2016, the United Nations annual report 'Children and Armed Conflict' was responsible for the Saudi-led coalition's campaign for the death of 60 percent of Yemen's children. In the civil war in Yemen, 510 children lost their lives in 2015 and 667 children were injured. For this, the United Nations has blacklisted Saudi Arabia. The United Nations excludes the name of Saudi Arabia from the blacklist when Bangladesh, Jordan and United Arab Emirates protested. Bangladesh, Jordan and United Arab Emirates, one of Saudi's 41-member military alliance.
Asked about the involvement of Bangladesh in the Saudi alliance, another source from Riyadh told the reporter that former Pakistani army chief General Rachel Sharif joined as the head of the military alliance in April. It is not clear whether the future of the alliance formed half a year ago, that is, whether it will take a bigger fight against IS at all. The Saudi authorities are going to sit in talks with the security forces of the neighboring countries to discuss the future of the coalition.
In this regard, Bangladesh Ambassador to Riyadh Golam Masih told in the first light that in order to discuss the next action plan for the Saudi alliance, there is a meeting of the Defense Ministers of the members in May. So far, the schedule for negotiations is not correct. Saudi Arabia is very interested in taking the people of Bangladesh in the anti-terrorism alliance.
Prothom Alo
Last edited: