Do not expect any help from the Rohingya Refugees Trump: Hasina
Rashid Riaz: Prime Minister Sheikh Hasina said in an interview with Reuters, the US President Donald Trump knows about the refugees and does not expect any help from him. Asked by Reuters journalist Michel Nicolaus about his conversation with President Trump at the UN session, the Prime Minister said, for a few minutes the President trump stood and asked me how is Bangladesh? I told him, Bangladesh is good, the only problem is the refugees coming from Myanmar. However, President Trump did not comment on the refugees.
The Prime Minister said the situation of the trump is clear on the refugees, so it does not make any sense to seek help from the Rohingya Muslim refugees. The United States has already announced that they will not take any refugees. What do I expect from them and especially to President Trump? He already said his attitude, why should I ask him?
The Prime Minister said Bangladesh is not a rich country, but if we can feed 16 million people, we can feed more 500 or 7 lakh people.
But a senior White House official told Reuters he is not aware of the conversation between them, but there is a deep interest in the Rohingya issue. If presented to him, he must be involved in the matter.
After President Trump has come to power, in January, the US refugee program tried to suspend for 120 days. Then he banned the migrants from six Muslim countries to 90 days in their own country.
On Friday, President Trumpp said on Twitter that the United States should make such immigrant ban more elaborate, rigorous and specific. Although it would not be right to do it politically.
Prime Minister Sheikh Hasina is staying in New York to attend the United Nations 72th General Assembly He will give a speech on Thursday next.
According to Reuters, there were about 10 million Rohingyas living in the Rakhine state till recent violence. Most of them have restrictions on movement. Myanmar did not even have their citizenship. Many of the local Buddhist communities consider them as illegal migrants from Bangladesh.
Prime Minister Sheikh Hasina told Reuters, she wants to see more international pressure on Myanmar to take back Rohingyas.
Nobel laureate Suu Kyi is being criticized internationally for not taking initiative to stop violence in Myanmar. Myanmar National Security Advisor Thong Tun told Reuters yesterday, those who left the house, they have to make sure to return to Myanmar. But this is done through a process. For this we have to discuss.
Meanwhile, US ambassador to the United Nations Nikki Heli urges the Myanmar government to stop military operations. He also urged the Rohingyas to return to Myanmar.
After participating in a meeting in New York organized by the United Kingdom on the Rohingya crisis, Heli said people (Rohingya) are still at risk of being attacked or killed. Normal people crossing the border crossing into Bangladesh.
রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে ট্রাম্পের কাছে কোনো সাহায্য প্রত্যাশা করি না : হাসিনা
রাশিদ রিয়াজ : রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শরণার্থীদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প’এর অবস্থান জানা আছে এবং এ ব্যাপারে তার কাছ থেকে কোনো সাহায্য প্রত্যাশা করি না। জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার কথোপকথন সম্পর্কে রয়টার্সের সাংবাদিক মিশেল নিকোলস জানতে চাইলে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েক মিনিটের জন্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাঁড়ান এবং আমাকে জিজ্ঞেস করেন, কেমন আছে বাংলাদেশ? আমি তাকে বলেছি, বাংলাদেশ ভাল আছে, একমাত্র সমস্যা হচ্ছে মিয়ানমার থেকে শরণার্থী আসছে। তবে শরণার্থী নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনো মন্তব্য করেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শরণার্থীর ব্যাপারে ট্রাম্পের অবস্থান পরিস্কার, সুতরাং রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদেও নিয়ে তার কাছে সাহায্য চাওয়ার কোনো মানে হয় না। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে তারা আর কোনো শরণার্থী নেবে না। তাদের কাছে আমি কি আশা করব এবং বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে। তিনি তার মনোভাব ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, তো কেনো তাকে আমি জিজ্ঞেস করব?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ধনী দেশ নয়, কিন্তু যদি ১৬ কোটি মানুষকে আমরা খাওয়াতে পারি, আরো ৫০০ বা ৭ লাখ মানুষকে আমরা খাওয়াতে পারব।
তবে হোয়াইট হাউসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা রয়টারকে বলেন, তাদের মধ্যে কথোপকথন সম্পর্কে তিনি অবহিত নন, তবে রোহিঙ্গা ইস্যুটি নিয়ে ট্রাম্পের গভীর আগ্রহ আছে। তার কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে তিনি অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে জড়িত হবেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর গত জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী কর্মসূচি ১২০ দিনের জন্যে স্থগিত করার চেষ্টা করেন। এরপর ৬টি মুসলিম দেশের অভিবাসীকে তার নিজের দেশে ৯০ দিন পর্যন্ত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেন।
গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইটারে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত এধরনের অভিবাসী নিষেধাজ্ঞা আরো সম্প্রসারিত, কঠোর এবং সুনির্দিষ্ট করা। যদিও রাজনৈতিকভাবে এটি করা সঠিক হবে না।
জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বৃহস্পতিবার তিনি সেখানে ভাষণ দেবেন।
রয়টার্স বলছে, সাম্প্রতিক সহিংসতার আগ পর্যন্ত রাখাইন রাজ্যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস ছিল। তাদের বেশির ভাগেরই চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মিয়ানমারে তাদের নাগরিকত্বও দেওয়া হয়নি। স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনেকে তাদের বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করে।
রয়টার্সকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর তিনি আরও আন্তর্জাতিক চাপ দেখতে চান।
নোবেল পুরস্কারজয়ী সু চি মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধে উদ্যোগ না নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হচ্ছেন। মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা থং তুন গতকাল রয়টার্সকে বলেন, যারা বাড়িঘর ছেড়ে গেছে, তাদের ফিরে আসা মিয়ানমারকে নিশ্চিত করতে হবে। তবে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এটি করতে হবে। এ জন্য আমাদের আলোচনা করতে হবে।
এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হেলি সেনা অভিযান বন্ধের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে যুক্তরাজ্যের আয়োজনে নিউইয়র্কে এক সভায় অংশগ্রহণের পর হেলি বলেন, মানুষেরা (রোহিঙ্গা) এখনো হামলা অথবা হত্যার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সাধারণ মানুষ সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে।