Homo Sapiens
ELITE MEMBER
- Joined
- Feb 3, 2015
- Messages
- 9,641
- Reaction score
- -1
- Country
- Location
Chittagong's blood in Mahathir's artery
Published: 018-05-10 23:51:09 || Updated: 2018-05-11 05:31:48
CTG Times reporter
Dr. Mahathir bin Mohammed Nawabuddin Leader is going to be the Malaysian Prime Minister again at the age of 92. The eyes of the whole world are in him now. He will become the world's oldest elected Prime Minister after taking oath Earlier, he served as the Malaysian Prime Minister for 22 years. He is called the modern Malaysian architect.
But you know what? The leader of this year's senior leader of Chittagong. His grandfather was a resident of Chittagong. Mahathir's grandfather was a resident of Mariam Nagar village of Raozan upazila in Rangunia of Chittagong. He was a ship sailor. During British rule, young people migrated to Malaysia
Mahathir said at a convocation of the University of Information Technology and Sciences (UITS) in 2014, "Kaptai of Chittagong was my grandfather's house in a village in Rangunia and Dada later settled in Malaysia." It is said to be traced through the sources of this story, Chandraghona under Rangunia upazila And the little east of the road on the road of Kaptaiigam Uli is a famous village located on the banks of the river Mariyamanagara.
Mahathir's grandfather was once settled in Malaysia. In the region of the name of the light of the country, he was tied to a Malay woman. This couple's son was born to a son. The name of the child was named Mohammad Iskander. And this Eskander is the father of Mahathir. Therefore, the blood of the living protester of Chattagram in Mahathir's vein.
It is known that Mahathir Mohammad was born on December 20, 1925. Mahathir was the youngest among the nine siblings. Mahathir's hope is followed by the teaching of discipline from his father.
Mahathir was educated at the first English school in Malaya and later in the city. Japan took Malaysia in 1941 during World War II. Mahathir was 16 years old. At first he did not want to go to Japanese school. At that time Mahathir started selling bananas in a local small market. But under pressure from his father, he was admitted to that Japanese school.
At the end of World War II he was admitted to King Edward Seven Medical College in Singapore in 1947 with the decision to become a doctor. In the meantime Mahathir started regularly writing articles in various magazines and magazines highlighting the problems of Malaysian people.
In Singapore, Siti Hashma meets with her. Sithi Hashma was studying medicine in the same college with a scholarship in Singapore as the second Malay woman. Later, Mahathir and Sithi Hasma got married. They have a total of children, three of whom they adopted. In 1953, he returned to Singapore from Malaysia. After working for a few days in government hospital, after leaving it, he set up a private clinic. This was the first clinic in any of the localities of this area.
Mahathir, who became dear to the common people, once embraced himself completely in politics. He was elected to the post of MP in 1964 parliamentary election. After being MP he tried hard to speak about the problems of Malay, but he was repeatedly interrupted.
Misrepresentation and inefficiency of the party makes Mahathir disturbed. At one stage, he wrote a letter to the President of the party, Tekku Abdur Rahman, in a strict language. As a result, he was expelled from the party in 1969. After three years of bans, he returned to politics.
After winning the election in 1974, he was given the responsibility of the Education Minister. Only two years later Mahathir took over as Deputy Prime Minister in 1976.
At the age of 55 on July 16, 1981, Mahathir Mohammed took over as the 4th Prime Minister of Malaysia. The socio-economic situation of the country was very delicate during this period.
Mahathir Mohammad was the Prime Minister of Malaysia for 22 years. Mahathir Mohammad served as the longest elected Prime Minister of Asia. But in 2012, the leader has again taken a new challenge through ascendancy.
মাহাথিরের ধমনীতে চট্টগ্রামের রক্ত
প্রকাশ: ২০১৮-০৫-১০ ২৩:৫১:০৯ || আপডেট: ২০১৮-০৫-১১ ০৫:৩১:৪৮
ড. মাহাথির বিন মোহাম্মদ। ৯২ বছর বয়সে আবারো মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন অবিসংবাদিত নেতা। পুরো বিশ্বে চোখ এখন তাঁর দিকে। তিনি শপথ নেয়ার পর হয়ে যাবেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি ২২ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছে। তাঁকে আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার বলা হয়।
কিন্তু আপনি কি জানেন? বর্ষীয়ান এই নেতার আদিপুরুষ চট্টগ্রামের। তাঁর দাদা ছিলেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা। মাহাথিরের দাদা ছিলেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া মতান্তরে রাউজান উপজেলার মরিয়ম নগর গ্রামের অধিবাসী। জাহাজের নাবিক ছিলেন তিনি। ব্রিটিশ আমলে যুবক বয়সে পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়।
২০১৪ সালে ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের (ইউআইটিএস) এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মাহাথির বলেন, “চট্টগ্রামের কাপ্তাই রাঙ্গুনিয়ার কোন একটি গ্রামে আমার দাদার বাড়ি ছিলো এবং দাদা পরবর্তীতে মালয়েশিয়াতে বসতি স্থাপন করেন” তার এই কথার সূত্রধরেই খোঁজ নিয়ে যানা যায় চট্টগ্রাম জেলার উত্তরাংশে রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা ও কাপ্তাইগামী সড়কের সামান্য পূর্বে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ গ্রাম মরিয়মনগর।
মাহাথির মোহাম্মদের দাদা কর্মসূত্রে একসময় মালয়েশিয়ায় থিতু হন। দেশটির আলোর সেতার নামের অঞ্চলে এক মালয় রমনীর সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি। এই দম্পতির ঘর আলো করে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। শিশুটির নাম রাখা হয় মোহাম্মদ ইস্কান্দার। আর এই ইস্কান্দারই মাহাথিরের পিতা। তাই মাহাথিরের ধমনি-শিরায় নিত্য প্রবহমান চট্টগ্রাামের বাসিন্দার রক্ত।
জানা গেছে, ১৯২৫ সালের ২০ ডিসেম্বর মাহাথির মোহাম্মদের জন্ম। নয় ভাইবোনের মধ্যে মাহাথির ছিলেন সবার ছোট। তাঁর পিতার কাছ থেকে পাওয়া শৃঙ্খলাপরায়ণতার শিক্ষা মাহাথির আশৈশব অনুসরণ করে আসছেন।
মাহাথির শৈশবে প্রথমে মালয় ও পরে শহরের একমাত্র ইংরেজি স্কুলে শিক্ষা লাভ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ সালে জাপান মালয়েশিয়া দখল করে। মাহাথিরের বয়স তখন ষোল। প্রথমে তিনি জাপানি স্কুলে যেতে চান নি। ঐ সময় মাহাথির একটি স্থানীয় ছোট বাজারে কলা বিক্রি শুরু করেন। কিন্তু পিতার চাপে তিনি পরবর্তীতে ঐ জাপানি স্কুলে ভর্তি হন।
২য় বিশ্বযুদ্ধ শেষে তিনি ডাক্তার হবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৯৪৭ সালে সিঙ্গাপুরের কিং এডওয়ার্ড সেভেন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। এসময় মাহাথির মালয় জাতির বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
সিঙ্গাপুরে সিথি হাসমার সাথে সাক্ষাত হয়। সিথি হাসমা তখন দ্বিতীয় মালয় মহিলা হিসেবে সিঙ্গাপুরে বৃত্তি নিয়ে একই কলেজে চিকিৎসাশাস্ত্র পড়ছিলেন। পরবর্তীতে মাহাথির ও সিথি হাসমা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের মোট সা জন সন্তান আছে, যার মধ্যে তিন জনকে তারা দত্তক নিয়েছিলেন। ১৯৫৩ সালে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়ায় ফিরে আসেন। কিছুদিন সরকারী হাসপাতালে চাকরী করে পরে তা ছেড়ে দিয়ে একটি প্রাইভেট ক্লিনিক স্থাপন করেন। এটি ছিলো এ এলাকায় কোনো মালয়ী পরিচালিত প্রথম ক্লিনিক।
সাধারণ মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠা মাহাথির একসময় রাজনীতিতে নিজেকে পুরোপুরি জড়িয়ে ফেলেন। ১৯৬৪ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে এমপি পদে নির্বাচিত হন তিনি। এমপি হওয়ার পরে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেন মালয়ীদের সমস্যার কথা বলতে, কিন্তু বারবার বাধাগ্রস্ত হন।
দলের ভুল পরিকল্পনা ও অদক্ষতা মাহাথিরকে বিচলিত করে তোলে। এক পর্যায়ে দলের প্রেসিডেন্ট টেংকু আব্দুর রহমানের কাছে তিনি কড়া ভাষায় একটি চিঠি লিখেন। ফলশ্রুতিতে ১৯৬৯ সালে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিন বছর নিষিদ্ধ থাকার পর তিনি রাজনীতিতে পুনরায় ফিরে আসেন।
১৯৭৪ সালে দল নির্বাচনে জয়ী হবার পর তাকে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। মাত্র দুই বছর পর মাহাথির ১৯৭৬ এ উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৮১ সালের ১৬ জুলাই ৫৫ বছর বয়সে মালয়েশিয়ার ৪র্থ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন মাহাথির মোহাম্মদ। এসময় দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক ছিলো।
সেই থেকে টানা ২২ বছর মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মাহাথির মোহাম্মদ এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় যাবৎ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আরোহণের মধ্য দিয়ে আবারও নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন এ নেতা।
https://www.ctgtimes.com/2018/05/archives/15408
Published: 018-05-10 23:51:09 || Updated: 2018-05-11 05:31:48
CTG Times reporter
Dr. Mahathir bin Mohammed Nawabuddin Leader is going to be the Malaysian Prime Minister again at the age of 92. The eyes of the whole world are in him now. He will become the world's oldest elected Prime Minister after taking oath Earlier, he served as the Malaysian Prime Minister for 22 years. He is called the modern Malaysian architect.
But you know what? The leader of this year's senior leader of Chittagong. His grandfather was a resident of Chittagong. Mahathir's grandfather was a resident of Mariam Nagar village of Raozan upazila in Rangunia of Chittagong. He was a ship sailor. During British rule, young people migrated to Malaysia
Mahathir said at a convocation of the University of Information Technology and Sciences (UITS) in 2014, "Kaptai of Chittagong was my grandfather's house in a village in Rangunia and Dada later settled in Malaysia." It is said to be traced through the sources of this story, Chandraghona under Rangunia upazila And the little east of the road on the road of Kaptaiigam Uli is a famous village located on the banks of the river Mariyamanagara.
Mahathir's grandfather was once settled in Malaysia. In the region of the name of the light of the country, he was tied to a Malay woman. This couple's son was born to a son. The name of the child was named Mohammad Iskander. And this Eskander is the father of Mahathir. Therefore, the blood of the living protester of Chattagram in Mahathir's vein.
It is known that Mahathir Mohammad was born on December 20, 1925. Mahathir was the youngest among the nine siblings. Mahathir's hope is followed by the teaching of discipline from his father.
Mahathir was educated at the first English school in Malaya and later in the city. Japan took Malaysia in 1941 during World War II. Mahathir was 16 years old. At first he did not want to go to Japanese school. At that time Mahathir started selling bananas in a local small market. But under pressure from his father, he was admitted to that Japanese school.
At the end of World War II he was admitted to King Edward Seven Medical College in Singapore in 1947 with the decision to become a doctor. In the meantime Mahathir started regularly writing articles in various magazines and magazines highlighting the problems of Malaysian people.
In Singapore, Siti Hashma meets with her. Sithi Hashma was studying medicine in the same college with a scholarship in Singapore as the second Malay woman. Later, Mahathir and Sithi Hasma got married. They have a total of children, three of whom they adopted. In 1953, he returned to Singapore from Malaysia. After working for a few days in government hospital, after leaving it, he set up a private clinic. This was the first clinic in any of the localities of this area.
Mahathir, who became dear to the common people, once embraced himself completely in politics. He was elected to the post of MP in 1964 parliamentary election. After being MP he tried hard to speak about the problems of Malay, but he was repeatedly interrupted.
Misrepresentation and inefficiency of the party makes Mahathir disturbed. At one stage, he wrote a letter to the President of the party, Tekku Abdur Rahman, in a strict language. As a result, he was expelled from the party in 1969. After three years of bans, he returned to politics.
After winning the election in 1974, he was given the responsibility of the Education Minister. Only two years later Mahathir took over as Deputy Prime Minister in 1976.
At the age of 55 on July 16, 1981, Mahathir Mohammed took over as the 4th Prime Minister of Malaysia. The socio-economic situation of the country was very delicate during this period.
Mahathir Mohammad was the Prime Minister of Malaysia for 22 years. Mahathir Mohammad served as the longest elected Prime Minister of Asia. But in 2012, the leader has again taken a new challenge through ascendancy.
মাহাথিরের ধমনীতে চট্টগ্রামের রক্ত
প্রকাশ: ২০১৮-০৫-১০ ২৩:৫১:০৯ || আপডেট: ২০১৮-০৫-১১ ০৫:৩১:৪৮
ড. মাহাথির বিন মোহাম্মদ। ৯২ বছর বয়সে আবারো মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন অবিসংবাদিত নেতা। পুরো বিশ্বে চোখ এখন তাঁর দিকে। তিনি শপথ নেয়ার পর হয়ে যাবেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি ২২ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছে। তাঁকে আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার বলা হয়।
কিন্তু আপনি কি জানেন? বর্ষীয়ান এই নেতার আদিপুরুষ চট্টগ্রামের। তাঁর দাদা ছিলেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা। মাহাথিরের দাদা ছিলেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া মতান্তরে রাউজান উপজেলার মরিয়ম নগর গ্রামের অধিবাসী। জাহাজের নাবিক ছিলেন তিনি। ব্রিটিশ আমলে যুবক বয়সে পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়।
২০১৪ সালে ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের (ইউআইটিএস) এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মাহাথির বলেন, “চট্টগ্রামের কাপ্তাই রাঙ্গুনিয়ার কোন একটি গ্রামে আমার দাদার বাড়ি ছিলো এবং দাদা পরবর্তীতে মালয়েশিয়াতে বসতি স্থাপন করেন” তার এই কথার সূত্রধরেই খোঁজ নিয়ে যানা যায় চট্টগ্রাম জেলার উত্তরাংশে রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা ও কাপ্তাইগামী সড়কের সামান্য পূর্বে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ গ্রাম মরিয়মনগর।
মাহাথির মোহাম্মদের দাদা কর্মসূত্রে একসময় মালয়েশিয়ায় থিতু হন। দেশটির আলোর সেতার নামের অঞ্চলে এক মালয় রমনীর সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি। এই দম্পতির ঘর আলো করে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। শিশুটির নাম রাখা হয় মোহাম্মদ ইস্কান্দার। আর এই ইস্কান্দারই মাহাথিরের পিতা। তাই মাহাথিরের ধমনি-শিরায় নিত্য প্রবহমান চট্টগ্রাামের বাসিন্দার রক্ত।
জানা গেছে, ১৯২৫ সালের ২০ ডিসেম্বর মাহাথির মোহাম্মদের জন্ম। নয় ভাইবোনের মধ্যে মাহাথির ছিলেন সবার ছোট। তাঁর পিতার কাছ থেকে পাওয়া শৃঙ্খলাপরায়ণতার শিক্ষা মাহাথির আশৈশব অনুসরণ করে আসছেন।
মাহাথির শৈশবে প্রথমে মালয় ও পরে শহরের একমাত্র ইংরেজি স্কুলে শিক্ষা লাভ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ সালে জাপান মালয়েশিয়া দখল করে। মাহাথিরের বয়স তখন ষোল। প্রথমে তিনি জাপানি স্কুলে যেতে চান নি। ঐ সময় মাহাথির একটি স্থানীয় ছোট বাজারে কলা বিক্রি শুরু করেন। কিন্তু পিতার চাপে তিনি পরবর্তীতে ঐ জাপানি স্কুলে ভর্তি হন।
২য় বিশ্বযুদ্ধ শেষে তিনি ডাক্তার হবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৯৪৭ সালে সিঙ্গাপুরের কিং এডওয়ার্ড সেভেন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। এসময় মাহাথির মালয় জাতির বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
সিঙ্গাপুরে সিথি হাসমার সাথে সাক্ষাত হয়। সিথি হাসমা তখন দ্বিতীয় মালয় মহিলা হিসেবে সিঙ্গাপুরে বৃত্তি নিয়ে একই কলেজে চিকিৎসাশাস্ত্র পড়ছিলেন। পরবর্তীতে মাহাথির ও সিথি হাসমা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের মোট সা জন সন্তান আছে, যার মধ্যে তিন জনকে তারা দত্তক নিয়েছিলেন। ১৯৫৩ সালে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়ায় ফিরে আসেন। কিছুদিন সরকারী হাসপাতালে চাকরী করে পরে তা ছেড়ে দিয়ে একটি প্রাইভেট ক্লিনিক স্থাপন করেন। এটি ছিলো এ এলাকায় কোনো মালয়ী পরিচালিত প্রথম ক্লিনিক।
সাধারণ মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠা মাহাথির একসময় রাজনীতিতে নিজেকে পুরোপুরি জড়িয়ে ফেলেন। ১৯৬৪ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে এমপি পদে নির্বাচিত হন তিনি। এমপি হওয়ার পরে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেন মালয়ীদের সমস্যার কথা বলতে, কিন্তু বারবার বাধাগ্রস্ত হন।
দলের ভুল পরিকল্পনা ও অদক্ষতা মাহাথিরকে বিচলিত করে তোলে। এক পর্যায়ে দলের প্রেসিডেন্ট টেংকু আব্দুর রহমানের কাছে তিনি কড়া ভাষায় একটি চিঠি লিখেন। ফলশ্রুতিতে ১৯৬৯ সালে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিন বছর নিষিদ্ধ থাকার পর তিনি রাজনীতিতে পুনরায় ফিরে আসেন।
১৯৭৪ সালে দল নির্বাচনে জয়ী হবার পর তাকে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। মাত্র দুই বছর পর মাহাথির ১৯৭৬ এ উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৮১ সালের ১৬ জুলাই ৫৫ বছর বয়সে মালয়েশিয়ার ৪র্থ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন মাহাথির মোহাম্মদ। এসময় দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক ছিলো।
সেই থেকে টানা ২২ বছর মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মাহাথির মোহাম্মদ এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় যাবৎ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আরোহণের মধ্য দিয়ে আবারও নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন এ নেতা।
https://www.ctgtimes.com/2018/05/archives/15408
Last edited: