চাতলাপুর স্থলবন্দর
বাংলাদেশে ঢুকে তিন শ্রমিককে মারধর করল বিএসএফ
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার
প্রতিনিধি | তারিখ: ১৪-০৩-২০১১
* ০ মন্তব্য
* প্রিন্ট
*
ShareThis
« আগের সংবাদ পরের সংবাদ»
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর স্থলবন্দরে বাংলাদেশ অংশে ঢুকে তিনজন পরিবহন শ্রমিককে পিটিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ
। এর প্রতিবাদে ও নিরাপত্তার দাবিতে ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রেখেছেন।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বন্দরের ভারতীয় অংশে দুই ব্যবসায়ীর বিরোধের জের ধরে সৃষ্ট উত্তেজনার ফাঁকে ১৫-১৬ জন বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশ অংশে ঢুকে এ ঘটনাটি ঘটায়।
দুপুর সাড়ে ১২টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্দরের ভারতীয় অংশ কৈলা শহরের বৌলাপাশা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই ব্যবসায়ীর লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছিল।
বাংলাদেশি ইটবাহী ট্রাকের শ্রমিকেরা জানান, আজ বেলা সাড়ে ১১টার সময় বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার আর কে চাকমার নেতৃত্বে ১৫ থেকে ১৬ জন বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে বাংলাদেশি ইটবাহী ট্রাক চালক ফারুক মিয়া, আসিক মিয়া ও হেলপার মো. সেলিমকে বেধড়ক পেটায়।
বাংলাদেশি শ্রমিকেরা আরও অভিযোগ করেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি
দুজন সদস্যের উপস্থিতিতে বিএসএফ সদস্যরা মারধর করে।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজিবি নায়েক জালাল উদ্দীন ও সদস্য বাবুল আহমেদ এ প্রতিনিধিকে জানান, ১৮৬৩ নম্বর সীমান্ত খুঁটির ওপারে ভারতীয় দুই ব্যবসায়ীর লোকজনের মাঝে পাল্টাপাল্টি চলছিল। বিষয়টি বুঝে ওঠার আগেই বিএসএফ সদস্যরা অতর্কিতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশি তিন পরিবহন শ্রমিককে মারধর করে। এ সময় বাংলাদেশি শ্রমিক ও বিএসএফ সদস্যদের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হলে অসহায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
খবর পেয়ে বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. জসিম উদ্দীন ও শরীফপুর ক্যাম্প কমান্ডার আবদুল আজিজ ঘটনাস্থলে এসে বিএসএফের আচরণের প্রতিবাদ জানান। এ অবস্থায় বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার মনোজ কুমার ঘটনাস্থলে এসে তাত্ক্ষণিকভাবে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
বিএসএফের নির্যাতনে আহত বাংলাদেশি ট্রাকচালক ফারুক মিয়া ও আসিক মিয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন, তাঁরা ভারতীয় এক ব্যবসায়ীর ইট নিয়ে জিরো পয়েন্টে আনলোড করছিল। এ সময় অতর্কিতে বিএসএফ সদস্যরা এসে তাঁদেরকে মারধর করে। এমনকি ট্রাক শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের জন্য তাঁদের কাছে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা ও হেলপার মো. সেলিমের কাছে থাকা আরও ১০ হাজার টাকা বিএসএফ সদস্যরা ছিনিয়ে নিয়েছে।
আমদানি-রপ্তানিকারক খন্দকার এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি খন্দকার আতিক সেলিম বলেন, ঘটনার প্রতিবাদে ও ভবিষ্যত্ নিরাপত্তার দাবিতে চাতলাপুর স্থলবন্দরে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাতলাপুর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা এএসআই কবির হোসেন লোদী এ প্রতিনিধিকে বলেন, প্রাথমিকভাবে কয়েক ঘণ্টার জন্য ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বেলা দুইটার পর থেকে আবারও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে বিজিবি ১৪ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল নূরুল হুদা বলেন, বিএসএফ তাত্ক্ষণিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করলেও ঘটনার জন্য বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিজিবি আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেবে।
http://www.prothom-alo.com/detail/news/138403
-------------
BSF almost back on barbaric track again.