সংখ্যালঘু ইস্যু বুমেরাং
বিতর্কিত নির্বাচন থেকে দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে সেটা হয়ে গেছে হিতে বিপরীত। ভোটারবিহীন নির্বাচন নিয়ে দেশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিতর্ক চাপা দিতেই মূলত এ ইস্যু সামনে নিয়ে আসা হয়। আন্দোলনরত দলগুলো সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলকে বিভ্রান্ত করতে সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যু ফোকাস করা হয়। সরকারের এ চালাকি বাস্তবায়নে সক্রিয় হয়ে উঠে ‘সংবাদ’কে বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত করা আজ্ঞাবহ মিডিয়াগুলো। কিন্তু বিধি বাম। মানবাধিকার কমিশন, কিছু প্রিন্ট মিডিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং ভুক্তভোগীরা প্রকৃত অপরাধীদের নাম প্রকাশ করায় বুমেরাং হয়ে যায় সরকারের সংখ্যালঘু ইস্যু। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর রহস্যজনক আচরণে বিষয়টি জনগণের কাছে আরো পরিষ্কার হয়ে উঠে।
যশোর, পাবনা, বগুড়াসহ কয়েকটি জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে আগুন দেয়া এবং তাদের ওপর নির্যাতনের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশের বিশিষ্টজন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছে। তারা অপরাধীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি করছে। অথচ সরকার সেটাকে গুরুত্ব না দিয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যু ফলাও করে প্রচারের মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাচ্ছে। সরকারকে এ কাজে সহায়তা করছে কিছু ইলেক্ট্রোনিক্স মিডিয়া।
স্যাটেলাইট ওই চ্যানেলগুলো সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যু নিয়ে কার্যত ‘সংবাদ’ বাণিজ্যে নেমেছে। সাংবাদিকতার নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে খবরকে ‘খবর’ হিসেবে প্রচার না করে সরকারকে খুশি করতে খবর নিয়ে বাণিজ্য করছে। ক্যামেরার কারসাজি ও রিপোর্টে শব্দের মারপ্যাঁচে এ বাণিজ্য করতে গিয়ে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছাকে প্রধান্য দিচ্ছে। কোনো অঘটনে (সংখ্যালঘুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও আক্রমণ) শাসক দলের লোকজন জড়িত থাকলে অপরাধীদের রাজনৈতিক পরিচয় আড়াল করে প্রচার করা হয় দুর্বৃত্তরা ঘটনা ঘটিয়েছে। আর বিরোধী দলের লোকজন এবং অন্যরা জড়িত থাকলে সরাসরি তাদের নাম ও রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরা হয়। কয়েকটি চ্যানেলের এই ক্যারিশমাটিক সংবাদ বাণিজ্যকে পুঁজি করে ক্ষমতাসীনরা বিতর্কিত নির্বাচন ইস্যুকে আড়াল করতে সুকৌশলে সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যু সামনে এনে বিরোধী দলকে ‘সাইজ’ করতে চায়। বিশ্ব সম্প্রদায়কে বোঝাতে চায় বিএনপি তথা ১৮ দলীয় জোট আন্দোলনের নামে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করছে। কেবল আওয়ামী লীগ পারে এসব অঘটন বন্ধ করতে। সরকার সমর্থিত মিডিয়াগুলো এ ম্যাসেজ দিতেই সংবাদ বাণিজ্যের প্রতিযোগিতায় নামে। কিন্তু ভুক্তভোগী, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, মানবাধিকার কমিশন, আওয়ামী লীগের কিছু বিবেকবান নেতা এবং বাম ধারার দলগুলো প্রকৃত অপরাধীদের পরিচয় জনসম্মুখে তুলে ধরায় বুমেরাং হয়ে যায় সরকারের সৃষ্ট সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যু। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট রানা দাস গুপ্ত সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা জামায়াত-শিবিরের চেয়ে আওয়ামী লীগই বেশি করছে। একই সংগঠনের নেতা এবং গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বিবিসিকে জানিয়েছেন, হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা জামায়াত-শিবির করছে এটা শ্লোগান হয়ে গেছে। বাস্তবতা হলো অনেক জায়গায় হিন্দুদের ওপর হামলায় আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান পাবনা, দিনাজপুর, যশোর, বগুড়াসহ বেশ কয়েকটি জেলা সফর করে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানান হিন্দুদের ওপর আক্রমণের অধিকাংশ ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় প্রভাবশালীরা জড়িত। পাবনার সাঁথিয়ায় হিন্দু বাড়িতে হামলাকারীরা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর সঙ্গে চলাফেরা করেন বলেও তিনি তথ্য দেন। যশোরের ঘটনার সঙ্গে সরকার দলের প্রভাবশালী নেতা ও হুইপ আবদুল ওয়াহাবের লোকজন করেছে বলে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। পাবনার সাঁথিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ক্যাডাররা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। তিনি সাক্ষী প্রমাণও তুলে ধরেন। একই অভিযোগ করেছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা আইন ও সালিশ কেন্দ্রসহ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন ও বাম ধারার দলগুলোর নেতারা। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট গতকাল মানববন্ধন করে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে ‘রাজনীতি’ না করে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করে সরকারের প্রতি বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন। সংগঠনের সভাপতি দ্বিনবন্ধু রায়, অ্যাডভোকেট গোবিন্দ্র চন্দ্র প্রামাণিক, অধ্যাপক আনন্দ বিশ্বাস হিন্দুদের দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার না করে তাদের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, এখন যেমন বলা হচ্ছে জামায়াত-শিবির সংখ্যালঘু নির্যাতন করেছে। এটা একটা শ্লোগান হয়ে গেছে। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সব জায়গায় জামায়াত-শিবির করেছে বিষয়টি এ রকম না। অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের লোকজনও জড়িত হয়েছে- সেটা আমরা দেখতে পেয়েছি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি জামায়াত-শিবিরই হামলা করে থাকে তবে সরকার কেন তাদের বিচার করছে না? হামলার ঘটনা বন্ধ করতে প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা ব্যর্থ হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। মানবাধিকার কর্মী আইনজীবী জেডআই খান পান্না বিবিসিকে জানান, বিভিন্ন সময় হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ঘটনাগুলো রাজনীতির আবর্তে হারিয়ে গেছে। তিনি বলেন, হিন্দুদের ওপর যে হামলা হয় তার প্রতিটির পেছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি কাজ করে। ১৯৯২ সালে ভারতের বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর এবং ২০০১ সালের নির্বাচনের পর হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ২০১৩ সাল এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ঘটনা। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে এসব হামলা হয় বলে এর কোনো বিচার নেই। নিন্দা জানানো এক বিষয় আর বিচার করা ভিন্ন বিষয়। বিবিসিকে ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় সরকার জিরো টলারেন্স বা কোনো ছাড় না দেয়ার নীতি অনুসরণ করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামালউদ্দিন আহমেদ জানান, হিন্দুদের ওপর হামলাগুলোর বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বিভিন্ন জেলার পুলিশকে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
যশোরের অভয়নগরে আক্রান্ত সংখ্যালঘুদের ধ্বংসস্তূপ বাড়িঘর পরিদর্শন করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনায় শুধু জামায়াত-শিবিরের ওপর দোষ চাপানো সরকারি গল্প। সংখ্যালঘুদের হামলার দায় শুধু জামায়াত-শিবিরের উপর চাপিয়ে পার পাওয়া যাবে না। স্থানীয় পূজা উদযাপন পরিষদের দেয়া তা-বকারীদের তালিকা আমার কাছে আছে। ওরা আওয়ামী লীগের লোকজন। পাবনা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, যশোরের ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতকার্মীরা জড়িত এ প্রমাণ পেয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। সম্প্রতি ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে বিক্ষুব্ধ জনতা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির বলেছেন, সংখ্যালঘুদের উপর হামলায় আওয়ামী লীগের সুবিধা বেশি। বগুড়ায় মন্দিরে আগুন দেয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হলেও পরে রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে ছেড়ে দেয়া হয়। ২০১১ সালে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বৌদ্ধবিহার এবং বৌদ্ধপল্লীতে হামলার ঘটনা ঘটেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে। সেখানে অন্যান্য দলগুলোর স্থানীয় নেতারাও জড়িত ছিল। সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেছেন, সংখ্যালঘুদের উপর হামলাসহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় রাজনৈতিক দলগুলো বেশি সুবিধা ভোগ করে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ এ সকল ঘটনার সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করে থাকে। এরপর জামায়াত, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি তো ক্রমান্বয়ে সুবিধা ভোগ করেই। রামুর ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা নেতৃত্ব দিয়ে রামুর সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার সুবিধা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ভোগ করেছে। সূত্রের দাবি যশোর, পাবনা, বগুড়াসহ কয়েকটি জেলায় হিন্দুদের বাড়িঘরে আক্রমণের সঙ্গে সরকারি দলের স্থানীয় নেতারা জড়িত থাকায় পুলিশ বিপাকে পড়েছে। তারা প্রকৃত তথ্য দিতে গরিমসি করছে। প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও গোপনীয়তা রক্ষা করে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এসব তথ্য জানালেও উল্টো জামায়াত-শিবিরকে জড়িয়ে প্রচার প্রচারণা চালানোর ইংগিত দেয়া হয়েছে।
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করার আহ্বান জানান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত উল্লেখ করে তিনি এসব ঘটনা ঘটিয়ে সরকার রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায় বলে মন্তব্য করেন। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবিও জানান। সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত টিম গঠনসহ ৫ দফা সুপারিশ করেছেন। জামায়াত থেকে জাতিসংঘের মাধ্যমে তদন্ত টিম গঠন করে সংখ্যালঘু নির্যাতনের তদন্তের পর বিচারের দাবি জানিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, বিশিষ্টজন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সমাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণকারীদের শনাক্ত করে বিচারের কাঠগড়ায় তোলার দাবি জানাচ্ছেন। এমনকি এসব ঘটনার জন্য গণজাগরণমঞ্চের মুখপত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, সরকারের ব্যর্থতার কারণে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। কিন্তু এসব দাবির প্রতি সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া সরকারের সংবিধানিক দায়িত্ব। অথচ সরকার এসবে নির্বিকার। বরং তারা সংখ্যালঘু নির্যাতনকে রাজনৈতিক পুঁজি করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসায় সরকার লোক দেখানো তদন্তের নির্দেশনা দিয়ে ইস্যুটির মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। যদিও সরকারের সে চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে ভুক্তভোগী ব্যক্তিরাই।