পশ্চিমবঙ্গের ‘বাংলা’ নামের বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশ!
২১ অক্টোবর ২০১৮, ভারতের কলকাতার শ্যামবাজারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ছবি: স্টার
কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘বাংলা’ নাম নিয়ে তাদের দলের আপত্তি আছে। এছাড়াও, প্রতিবেশী বাংলাদেশ এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তাদের বিরোধিতার কথা জানিয়েছে বলেও দাবি করেন এই বিজেপি নেতা।
তার মতে, এসব কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার ‘বাংলা’ নামকরণের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ‘আজাদ হিন্দ ভারত সরকার’-কে বর্তমান বিজেপি সরকার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নে কথা বলতে গিয়ে আজ (২১ অক্টোবর) দুপুরে কলকাতার শ্যামবাজারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলা’ নাম নিয়ে এমন মন্তব্য করেন।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নাম পরিবর্তনের বিষয়ে বিজেপির স্ট্যান্ড কি? এর জবাবে বিজেপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, “সব মিলিয়ে চার বার নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব গিয়েছে কেন্দ্রে। আমরা নতুন নামের বিরোধীতা করছি। সব সময়েই আমরা ‘বাংলা’ নামের বিরোধীতা করে আসছি।”
পশ্চিমবঙ্গ নামটিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করে দিলীপ বলেন, “এর সঙ্গে অনেক ত্যাগ-বলিদানের ইতিহাস আছে। দেশ বিভাজনে কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নভঙ্গের ইতিহাসও যুক্ত হয়ে আছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে ইতিহাস ভুলে না যায়- তার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ নামের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।”
এ সময় তিনি আরও বলেন, “বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আমি বলেছিলাম একটি নাম সব ভাষাতে হোক। অন্য রাজ্য বা দেশের ক্ষেত্রেও তাই হয়। একটি নামই সব ভাষায় এক থাকে। কেন্দ্রীয় সরকারও তাই বলেছে রাজ্যকে যে একটা নামই সব ভাষাতে হবে এমন একটি নাম ঠিক করে পাঠান।”
“আর আমরা ‘বাংলা’ নাম সমর্থন না করার পেছনে আরও যুক্তি হচ্ছে বাংলা বললে ভাষাকেই বোঝায়,” যোগ করেন এই বিজেপি নেতা।
তার মন্তব্য, “পাশের একটা দেশ আছে বাংলাদেশ। তারাও ইতিমধ্যে এর বিরোধীতা করেছে। তারা (বাংলাদেশ) বলছে, ‘বাংলা’ নামকে আমাদের নাম নিয়ে বিস্মৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই তাদের মনে আমাদের কষ্ট দেওয়ার দরকার নেই।”
“যে নাম আমাদের আছে, সেটাই ঠিক আছে। শুধুমাত্র ভাষণ দেওয়ার ডাক আগে পাওয়ার জন্য নাম পরিবর্তন সমর্থনযোগ্য নয়।”
এদিকে কলকাতা থেকে প্রকাশিত বর্তমান পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে নাম মিলে যাওয়ায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পশ্চিমবঙ্গের নতুন ‘বাংলা’ নামের ছাড়পত্র দিতে রাজি নয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এমন নাম চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয় যেটা সব ভাষাতেই এক থাকবে।
যদিও এই বিষয়ে আজ ছুটির দিন থাকায় সংশ্লিষ্ট আমলা কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। তবে কেউ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, এই বিষয়ে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলতে পারবেন।
পশ্চিমবঙ্গ নাম পরিবর্তন করে তিন ভাষায় তিন নামকরণ করা হয় গত বছর ২৯ আগস্ট। বাংলায় ‘বাংলা’, হিন্দিতে ‘বাঙাল’ এবং ইংরেজিতে ‘বেঙ্গল’ করার প্রস্তাব পাশ হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। ফলে চলতি বছর ২৬ জুলাই তিন ভাষাতেই পশ্চিমবঙ্গের নতুন নাম ‘বাংলা’ নামের প্রস্তাব সংশোধন করে ফের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়।
কিন্তু, সব শেষে নতুন ‘বাংলা’ নাম নিয়েও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তি উঠলো।
২১ অক্টোবর ২০১৮, ভারতের কলকাতার শ্যামবাজারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ছবি: স্টার
কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘বাংলা’ নাম নিয়ে তাদের দলের আপত্তি আছে। এছাড়াও, প্রতিবেশী বাংলাদেশ এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তাদের বিরোধিতার কথা জানিয়েছে বলেও দাবি করেন এই বিজেপি নেতা।
তার মতে, এসব কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার ‘বাংলা’ নামকরণের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ‘আজাদ হিন্দ ভারত সরকার’-কে বর্তমান বিজেপি সরকার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নে কথা বলতে গিয়ে আজ (২১ অক্টোবর) দুপুরে কলকাতার শ্যামবাজারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলা’ নাম নিয়ে এমন মন্তব্য করেন।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নাম পরিবর্তনের বিষয়ে বিজেপির স্ট্যান্ড কি? এর জবাবে বিজেপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, “সব মিলিয়ে চার বার নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব গিয়েছে কেন্দ্রে। আমরা নতুন নামের বিরোধীতা করছি। সব সময়েই আমরা ‘বাংলা’ নামের বিরোধীতা করে আসছি।”
পশ্চিমবঙ্গ নামটিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করে দিলীপ বলেন, “এর সঙ্গে অনেক ত্যাগ-বলিদানের ইতিহাস আছে। দেশ বিভাজনে কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নভঙ্গের ইতিহাসও যুক্ত হয়ে আছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে ইতিহাস ভুলে না যায়- তার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ নামের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।”
এ সময় তিনি আরও বলেন, “বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আমি বলেছিলাম একটি নাম সব ভাষাতে হোক। অন্য রাজ্য বা দেশের ক্ষেত্রেও তাই হয়। একটি নামই সব ভাষায় এক থাকে। কেন্দ্রীয় সরকারও তাই বলেছে রাজ্যকে যে একটা নামই সব ভাষাতে হবে এমন একটি নাম ঠিক করে পাঠান।”
“আর আমরা ‘বাংলা’ নাম সমর্থন না করার পেছনে আরও যুক্তি হচ্ছে বাংলা বললে ভাষাকেই বোঝায়,” যোগ করেন এই বিজেপি নেতা।
তার মন্তব্য, “পাশের একটা দেশ আছে বাংলাদেশ। তারাও ইতিমধ্যে এর বিরোধীতা করেছে। তারা (বাংলাদেশ) বলছে, ‘বাংলা’ নামকে আমাদের নাম নিয়ে বিস্মৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই তাদের মনে আমাদের কষ্ট দেওয়ার দরকার নেই।”
“যে নাম আমাদের আছে, সেটাই ঠিক আছে। শুধুমাত্র ভাষণ দেওয়ার ডাক আগে পাওয়ার জন্য নাম পরিবর্তন সমর্থনযোগ্য নয়।”
এদিকে কলকাতা থেকে প্রকাশিত বর্তমান পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে নাম মিলে যাওয়ায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পশ্চিমবঙ্গের নতুন ‘বাংলা’ নামের ছাড়পত্র দিতে রাজি নয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এমন নাম চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয় যেটা সব ভাষাতেই এক থাকবে।
যদিও এই বিষয়ে আজ ছুটির দিন থাকায় সংশ্লিষ্ট আমলা কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। তবে কেউ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, এই বিষয়ে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলতে পারবেন।
পশ্চিমবঙ্গ নাম পরিবর্তন করে তিন ভাষায় তিন নামকরণ করা হয় গত বছর ২৯ আগস্ট। বাংলায় ‘বাংলা’, হিন্দিতে ‘বাঙাল’ এবং ইংরেজিতে ‘বেঙ্গল’ করার প্রস্তাব পাশ হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। ফলে চলতি বছর ২৬ জুলাই তিন ভাষাতেই পশ্চিমবঙ্গের নতুন নাম ‘বাংলা’ নামের প্রস্তাব সংশোধন করে ফের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়।
কিন্তু, সব শেষে নতুন ‘বাংলা’ নাম নিয়েও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তি উঠলো।