Defence Technology of Bangladesh-DTB
ছবিটি ২০১৩ সালের......
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তৎকালীন প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভুঁইয়া স্যার দক্ষিন কোরিয়া সফরের সময় দক্ষিন কোরিয়ান সেনাবাহিনীর K-1A1 Black Panther MBT চালিয়ে দেখেন।
সেই সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দক্ষিন কোরিয়া থেকে K-1 MBT, K-9 সেল্ফ প্রোপেল্ড কামান, K30 self-propelled ant-aircraft gun system এবং বিমানবাহিনী Iron Hawk মিডিয়াম রেঞ্জ মিসাইল কিনতে চেয়েছিলো। কিন্তু অত্যাধিক দাম এবং অন্যান্য সীমাবদ্ধতার জন্য কেনা হয় নি।
Defence Technology of Bangladesh-DTB
♦তুরস্ক বাংলাদেশ সামরিক সম্পর্ক
♦
বাংলাদেশ এবং তুরস্ক দুই মুসলিম দেশ।স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের তৎকালীন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালে তুরস্ক সফর করেন।তখন থেকেই এই দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক শুরু হয়।
১৯৮৬ সালে তৎকালীন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী তুরগুত উযাল বাংলাদেশ সফর করেন।
হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ সরকারের আমলেই তুরস্কের সাথে বাংলাদেশ সামরিক সম্পর্ক স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহন করে।১৯৮৯-৯০ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বৈমানিকদের তুরস্কে প্রশিক্ষনের জন্য প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পাইলটদের আধুনিক এবং যুগোপযোগী প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করার প্রয়োজন ছিলো।কিন্তু দেশে সেই সময় বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার জন্য কিছু পাইলটকে তুরস্কে পাঠানো হয়।প্রথমে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পাইলটেরা তুরস্কে Advance Jet Training এ অংশ নেয়ার জন্য যেত।সেখানে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত Cessna T-37 Tweet জেট প্রশিক্ষন বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা লাভ করেন।
১৯৯৪-৯৫ সালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১২ টি Cessna T-37 Tweet বিমান ক্রয় করে।
এর পর আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসে এবং ১৯৯৬-৯৭ সালে বিমানবাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক এবং যুগোপযোগী ১ স্কোয়াড্রন যুদ্ধবিমান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়।সেইসময় বিমানবাহিনীর প্রথম পছন্দ ছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত F-16 Block 15 মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কিছু পাইলট তুরস্ক থেকে F-16 বিমান চালানোর ট্রেনিং নেন বলে শোনা যায়।এছাড়া সেই সাথে কয়েকজন F-4 Fantom এবং F-5 Tiger II বিমানও চালিয়েছিলেন বলে শোনা যায়।কিন্তু এর সত্যতা জানা যায় নি।পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র F-16 বিক্রি করেনি যার ফলে পরে রাশিয়া থেকে MiG-29 কেনা হয়।
২০০৩ সালে বিএনপি সরকার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য সাবমেরিন কেনার পরিকল্পনা নেয়। সেই লক্ষ্যে নৌবাহিনীর অনেক সদস্য তুরস্ক থেকে সাবমেরিন ট্রেনিং পায়।
এরপর ২০১২-১৩ সালে সেনাবাহিনীর জন্য তুরস্ক থেকে অত্যাধুনিক Otokar Cobra APC এবং এপিসি সিমুলেটর ক্রয় করে।বর্তমানে সেনাবাহিনীর জন্য বিপুল সংখ্যক Otocar KAYA II MRAP তুরস্ক থেকে কেনা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সবচেয়ে গোপন কমান্ডো টিম ODD71 কেও তুরস্কয় ট্রেনিং দিয়েছে বলে জানা যায়।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-তুরস্ক সামরিক শক্তি আরো শক্তিশালী হবে বলে আমরা আশা করি।