EyelessInGaza
FULL MEMBER
- Joined
- Apr 15, 2009
- Messages
- 1,378
- Reaction score
- 0
Oh did I hurt your feeling......
Not really, confused-jamaati-living -frustrated -in-the-US-babu
BangaBahadur, the elephant dies, all efforts failed
- Thread starter bluesky
- Start date
Not really, confused-jamaati-living -frustrated -in-the-US-babu
monitor
ELITE MEMBER
- Joined
- Apr 24, 2007
- Messages
- 8,570
- Reaction score
- 7
- Country
- Location
Published : 16 Aug 2016, 10:52:05 | Updated : 16 Aug 2016, 10:52:15
All efforts go in vain as Banga Bahadur dies
Proving all efforts by the rescue team to keep it alive abortive, the Indian stray elephant ‘Banga Bahadur’ that entered the Bangladesh territory floating with currents of floodwater about one and a half months ago, died at Koyra village in Sarishabari upazila on Tuesday.
Wildlife inspector Asim Mallik said the elephant died failing to withstand excessive temperature around 6:30 am.
However, locals alleged that the elephant might have died due to overdose of the tranquiliser which was administered to it by special guns four times on Sunday.
The rescuers had been trying to move the elephant from the area for the last several days.
Earlier, on Thursday, a veterinary surgeon at Banghabandhu Safari Park in Gazipur injected the elephant with tranquiliser by using a special gun and in reaction to that the elephant started jumping off and fell into a nearby pond.
Later, locals pulled the tranquilised elephant out of the water and later it was tied to a tree with a nylon rope.
Since then efforts were being made to bring the animal under control to take it to Banghabandhu Safari Park.
On August 3, a three-member Indian team came to Bangladesh to give support to a 17-member Bangladeshi team for the rescue of the elephant.
The elephant was swept away with the floodwater of the trans-boundary Brahmaputra River from Assam of India into Kurigram district on Roumari border on June 28, according to a news agency
Innalinahe wa innailaihe rajiun
I think our veterinary doctors and Jamat inside his death .they intentionally push more anesthetic.
Homo Sapiens
ELITE MEMBER
- Joined
- Feb 3, 2015
- Messages
- 9,641
- Reaction score
- -1
- Country
- Location
হস্তীর বঙ্গদর্শন
ফারুক ওয়াসিফ | আপডেট: ০০:০৯, আগস্ট ১৭, ২০১৬ | প্রিন্ট সংস্করণ
৪
জীবিত অবস্থায় হাতিটির আশা ছিল। মৃত হাতির আর আশা নেই। হাতিটি অবশ্য আত্মবিশ্বাসী ছিল। আসাম থেকে প্লাবনে ভেসে ভেসে কুড়িগ্রামের চরে এসে ঠেকেছিল। সেখান থেকে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা হয়ে,কয়েকটি জেলা পেরিয়েশেষমেশ উঠেছিল জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে। পুরো দেড় মাস সে বিপদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। কারও সাহায্য তার দরকার হয়নি। নদীর উত্তাল স্রোত, মানুষের বিবিধ উপদ্রব সহ্য করেও সে টিকে ছিল। কিন্তু উদ্ধারকারীরা তার সেই আশা ও আত্মবিশ্বাস শেষ করে দিলেন। বাঁচাতে গিয়ে তাকে মেরে ফেলা হলো। উদ্ধারের অপর নাম হলো মরণ।
ইতিমধ্যে হাতিটি আর বনের হাতি ছিল না। হয়ে উঠেছিল মনের হাতি। টিকে থাকার সংগ্রাম হাতিটিকে অনেকের কাছে আপন করে তুলেছিল। তার নামও দেওয়া হলো বঙ্গ বাহাদুর। ভারতীয় হাতির নাম বঙ্গ বাহাদুর কেন, সেই প্রশ্নও কেউ কেউ করেছেন। আর বাহাদুরই যদি তাকে বলা হলো, তার এমন করুণ পরিণতি কী করে হলো? অনেক কসরত করা হলো বাহাদুরকে নিয়ে। বাংলাদেশের বন বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে যোগ দিলেন ভারতের বন বিভাগের কর্মীরা। শিকল পরানো, চেতনানাশক দেওয়ানো ইত্যাদি হলো। একবার সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকল জলাশয়ে। সে যাত্রায় এলাকাবাসী হাত লাগানোয় হাতিটিকে ডাঙায় তোলা গিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় আর সেই সুযোগ রইল না। উদ্ধারকারী হিসেবে আসা দুই দেশের কর্তাদের অবুঝ ভালোবাসাই তার কাল হলো।
জন স্টেইনবেকের ছোট্ট একটা উপন্যাস অফ মাইস অ্যান্ড মেন। এক বিশালদেহী শ্রমিকের গল্প, নাম তার লেনি। হাতির মতো তার দেহ কিন্তু বুদ্ধিতে সে খুবই খাটো। পালোয়ানের মতো শ্রমিকটি ভালোবাসে নরম জিনিসের স্পর্শ। ভালোবাসা মানে সে বুঝেছিল জোরে চেপে ধরা। ফলে যাকেই সে ভালোবাসে, তারই মৃত্যু হয় তার হাতে। তুলতুলে খরগোশ কিংবা কুকুরছানা তার বিশাল থাবার ‘আদরে’ দম বন্ধ হয়ে মরে। সে যে খামারে কাজ করে, তার মালিকের ছেলের বউ তার নরম চুলে হাত বোলাতে দিয়েছিল তাকে। কিন্তু লেনির আদরে তার ঘাড় মটকে যায়।
বাংলাদেশ-ভারতের উদ্ধারকারী দলের যৌথ আদরে হাতিটিও মরে গেল। এখন তাঁদের বঙ্গ বাহাদুর নামকরণের সার্থকতা প্রমাণ করতে বলা হোক। প্রমাণ করতে বলা হোক, যাঁরা একটা হাতিকে সামাল দিতে পারেন না, তাঁরা সুন্দরবনের গা ঘেঁষে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বানিয়ে তার বিপর্যয় কীভাবে সামাল দেবেন?
এরশাদ তাঁর নয় বছরের স্বৈর আমলে দিনরাত দেশপ্রেমের কথা বলতেন। কিন্তু তাঁর কবিতা, গান আর বক্তৃতায় যে দেশের কথা থাকত, তার সঙ্গে বাংলাদেশের মিল পাওয়া যেত না। বাংলাদেশ সুখী ছিল না। তাঁর ভালোবাসার ধামার চাপ এতই বেশি, সত্যিকার দেশটা মাথা তুলতে পারত না। নয় বছর লেগেছিল সেই দেশপ্রেমের ধামা সরাতে।
হাতিটি মরে গিয়ে প্রমাণ করল, অবুঝ দরদের চেয়ে দায়িত্বশীলতা ও সতর্কতা বেশি প্রয়োজন।
দুই.
দেড়টি মাস যখন গণমাধ্যমে বানভাসি হাতির খবর, তখন উত্তরবঙ্গের বন্যাদুর্গত এলাকায় চলছিল ত্রাণের জন্য আহাজারি। কিন্তু বানভাসি মানুষ নয়, আমাদের মনে জায়গা পেল বানে ভাসা হাতি। হস্তীদর্শনে অন্ধ হওয়ায় তাই বন্যার্তদের দিকে তাকানোর ফুরসত হলো না গণমাধ্যমের একটি অংশের। মানুষ ঈর্ষাপরায়ণ প্রাণী। তাই হাতির প্রতি অনেকের ঈর্ষা হলো। বনের হাতির জন্য যদি এত দরদ, তাহলে সুন্দরবনের ক্ষতি করে কেন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হচ্ছে? বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডেও অনেক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সেসব মানুষের স্বজনের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্ন তোলা যায়, হাতি বাঁচানো উত্তম, কিন্তু মানুষ বাঁচাতে কী করা হচ্ছে? কী করা হচ্ছে হবিগঞ্জের বৈকুণ্ঠপুরের চা-বাগানের অনাহারী ৪১৬ জন শ্রমিকের জন্য? বান্দরবানের খাদ্যাভাবের কথা মিডিয়ায় নেই। নেই গোবিন্দগঞ্জের হাজার হাজার আদিবাসীর পূর্বপুরুষের ভিটা বাঁচানোর সংগ্রাম।
উত্তরটা সম্ভবত এই: যখন মানুষের জীবন নিয়ে কথা বলা যায় না, তখন হাতির জীবন নিয়ে কথা বলতে হয়। যখন সত্য দেখানো যায় না, তখন হাতি দেখিয়ে মত্ত করে রাখতে হয়। তখনই চলে আসে হাতির সঙ্গে মানুষের তুলনা। সৈয়দ মুজতবা আলীর পাদটীকা গল্পের পণ্ডিত মশাইও সে রকমটাই করেছিলেন। তাঁর আট সদস্যের পরিবার চলত তাঁর মাসিক মাত্র ২৫ টাকা বেতনে। আর তাঁর স্কুল পরিদর্শনে আসা লাট সাহেবের যে পোষা কুকুর ছিল, তার পেছনে খরচ মাসে ৭৫ টাকা। অপমানের জ্বালা থেকে তিনি ছাত্রদের অঙ্ক কষতে দিয়েছিলেন: বড়লাটের তিন পেয়ে কুকুরের পেছনে যদি মাসে ৭৫ টাকা খরচা হয়, তাহলে পণ্ডিত মশাইয়ের পরিবারের আটজন মানুষ বড়লাটের কুকুরের কয় ঠ্যাংয়ের সমান?
ছাত্ররা বুঝতে পেরে চুপ করে ছিল।
মানুষও অনেক কিছু বুঝেও চুপ করে থাকে। চুপ থাকে বলে তাদের হস্তীমূর্খ বলা যাবে না।
তিন.
মহাভারতের গল্পে একই নামে দুজন ছিল। একজন অপ্রতিরোধ্য বীর দ্রোণাচার্যের পুত্র অন্যজন নিছকই একটি হাতি। কিন্তু দুজনেরই নাম ছিল অশ্বত্থামা। কুরুপক্ষের দ্রোণাচার্যের সঙ্গে পাণ্ডবেরা কিছুতেই পেরে উঠছিল না। সে রকম সময়ে হাতি অশ্বত্থামা মারা গেল। সে সময় শত্রুপক্ষের সবচেয়ে সত্যবাদী ব্যক্তি যুধিষ্ঠির দ্রোণাচার্যকে গিয়ে বললেন, ‘অশ্বত্থামা হতঃ- কুঞ্জর ইতি’ (অশ্বত্থামা নামক হাতি নিহত হয়েছে)। কুঞ্জর ইতি অর্থাৎ হাতি নিহত শব্দটা তিনি বলেন নিচু স্বরে। সেটুকু না শুনতে পেয়ে দ্রোণাচার্য বিশ্বাস করলেন, সত্যিই তাঁর পুত্র অশ্বত্থামাই নিহত। শোকে তিনি অস্ত্র ত্যাগ করেন এবং শত্রুর আঘাতে নিহত হন।
বঙ্গ বাহাদুর নিহত হয়েছে সত্য কিন্তু বঙ্গের কোন বাহাদুর: মনুষ্য বাহাদুর নাকি হস্তী বাহাদুর? এ না জানলে সত্যিই হস্তীমূর্খ হয়ে থাকতে হবে।
ফারুক ওয়াসিফ: সাংবাদিক ও লেখক।
bagharu@gmail.com
ফারুক ওয়াসিফ | আপডেট: ০০:০৯, আগস্ট ১৭, ২০১৬ | প্রিন্ট সংস্করণ
৪
জীবিত অবস্থায় হাতিটির আশা ছিল। মৃত হাতির আর আশা নেই। হাতিটি অবশ্য আত্মবিশ্বাসী ছিল। আসাম থেকে প্লাবনে ভেসে ভেসে কুড়িগ্রামের চরে এসে ঠেকেছিল। সেখান থেকে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা হয়ে,কয়েকটি জেলা পেরিয়েশেষমেশ উঠেছিল জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে। পুরো দেড় মাস সে বিপদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। কারও সাহায্য তার দরকার হয়নি। নদীর উত্তাল স্রোত, মানুষের বিবিধ উপদ্রব সহ্য করেও সে টিকে ছিল। কিন্তু উদ্ধারকারীরা তার সেই আশা ও আত্মবিশ্বাস শেষ করে দিলেন। বাঁচাতে গিয়ে তাকে মেরে ফেলা হলো। উদ্ধারের অপর নাম হলো মরণ।
ইতিমধ্যে হাতিটি আর বনের হাতি ছিল না। হয়ে উঠেছিল মনের হাতি। টিকে থাকার সংগ্রাম হাতিটিকে অনেকের কাছে আপন করে তুলেছিল। তার নামও দেওয়া হলো বঙ্গ বাহাদুর। ভারতীয় হাতির নাম বঙ্গ বাহাদুর কেন, সেই প্রশ্নও কেউ কেউ করেছেন। আর বাহাদুরই যদি তাকে বলা হলো, তার এমন করুণ পরিণতি কী করে হলো? অনেক কসরত করা হলো বাহাদুরকে নিয়ে। বাংলাদেশের বন বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে যোগ দিলেন ভারতের বন বিভাগের কর্মীরা। শিকল পরানো, চেতনানাশক দেওয়ানো ইত্যাদি হলো। একবার সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকল জলাশয়ে। সে যাত্রায় এলাকাবাসী হাত লাগানোয় হাতিটিকে ডাঙায় তোলা গিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় আর সেই সুযোগ রইল না। উদ্ধারকারী হিসেবে আসা দুই দেশের কর্তাদের অবুঝ ভালোবাসাই তার কাল হলো।
জন স্টেইনবেকের ছোট্ট একটা উপন্যাস অফ মাইস অ্যান্ড মেন। এক বিশালদেহী শ্রমিকের গল্প, নাম তার লেনি। হাতির মতো তার দেহ কিন্তু বুদ্ধিতে সে খুবই খাটো। পালোয়ানের মতো শ্রমিকটি ভালোবাসে নরম জিনিসের স্পর্শ। ভালোবাসা মানে সে বুঝেছিল জোরে চেপে ধরা। ফলে যাকেই সে ভালোবাসে, তারই মৃত্যু হয় তার হাতে। তুলতুলে খরগোশ কিংবা কুকুরছানা তার বিশাল থাবার ‘আদরে’ দম বন্ধ হয়ে মরে। সে যে খামারে কাজ করে, তার মালিকের ছেলের বউ তার নরম চুলে হাত বোলাতে দিয়েছিল তাকে। কিন্তু লেনির আদরে তার ঘাড় মটকে যায়।
বাংলাদেশ-ভারতের উদ্ধারকারী দলের যৌথ আদরে হাতিটিও মরে গেল। এখন তাঁদের বঙ্গ বাহাদুর নামকরণের সার্থকতা প্রমাণ করতে বলা হোক। প্রমাণ করতে বলা হোক, যাঁরা একটা হাতিকে সামাল দিতে পারেন না, তাঁরা সুন্দরবনের গা ঘেঁষে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বানিয়ে তার বিপর্যয় কীভাবে সামাল দেবেন?
এরশাদ তাঁর নয় বছরের স্বৈর আমলে দিনরাত দেশপ্রেমের কথা বলতেন। কিন্তু তাঁর কবিতা, গান আর বক্তৃতায় যে দেশের কথা থাকত, তার সঙ্গে বাংলাদেশের মিল পাওয়া যেত না। বাংলাদেশ সুখী ছিল না। তাঁর ভালোবাসার ধামার চাপ এতই বেশি, সত্যিকার দেশটা মাথা তুলতে পারত না। নয় বছর লেগেছিল সেই দেশপ্রেমের ধামা সরাতে।
হাতিটি মরে গিয়ে প্রমাণ করল, অবুঝ দরদের চেয়ে দায়িত্বশীলতা ও সতর্কতা বেশি প্রয়োজন।
দুই.
দেড়টি মাস যখন গণমাধ্যমে বানভাসি হাতির খবর, তখন উত্তরবঙ্গের বন্যাদুর্গত এলাকায় চলছিল ত্রাণের জন্য আহাজারি। কিন্তু বানভাসি মানুষ নয়, আমাদের মনে জায়গা পেল বানে ভাসা হাতি। হস্তীদর্শনে অন্ধ হওয়ায় তাই বন্যার্তদের দিকে তাকানোর ফুরসত হলো না গণমাধ্যমের একটি অংশের। মানুষ ঈর্ষাপরায়ণ প্রাণী। তাই হাতির প্রতি অনেকের ঈর্ষা হলো। বনের হাতির জন্য যদি এত দরদ, তাহলে সুন্দরবনের ক্ষতি করে কেন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হচ্ছে? বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডেও অনেক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সেসব মানুষের স্বজনের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্ন তোলা যায়, হাতি বাঁচানো উত্তম, কিন্তু মানুষ বাঁচাতে কী করা হচ্ছে? কী করা হচ্ছে হবিগঞ্জের বৈকুণ্ঠপুরের চা-বাগানের অনাহারী ৪১৬ জন শ্রমিকের জন্য? বান্দরবানের খাদ্যাভাবের কথা মিডিয়ায় নেই। নেই গোবিন্দগঞ্জের হাজার হাজার আদিবাসীর পূর্বপুরুষের ভিটা বাঁচানোর সংগ্রাম।
উত্তরটা সম্ভবত এই: যখন মানুষের জীবন নিয়ে কথা বলা যায় না, তখন হাতির জীবন নিয়ে কথা বলতে হয়। যখন সত্য দেখানো যায় না, তখন হাতি দেখিয়ে মত্ত করে রাখতে হয়। তখনই চলে আসে হাতির সঙ্গে মানুষের তুলনা। সৈয়দ মুজতবা আলীর পাদটীকা গল্পের পণ্ডিত মশাইও সে রকমটাই করেছিলেন। তাঁর আট সদস্যের পরিবার চলত তাঁর মাসিক মাত্র ২৫ টাকা বেতনে। আর তাঁর স্কুল পরিদর্শনে আসা লাট সাহেবের যে পোষা কুকুর ছিল, তার পেছনে খরচ মাসে ৭৫ টাকা। অপমানের জ্বালা থেকে তিনি ছাত্রদের অঙ্ক কষতে দিয়েছিলেন: বড়লাটের তিন পেয়ে কুকুরের পেছনে যদি মাসে ৭৫ টাকা খরচা হয়, তাহলে পণ্ডিত মশাইয়ের পরিবারের আটজন মানুষ বড়লাটের কুকুরের কয় ঠ্যাংয়ের সমান?
ছাত্ররা বুঝতে পেরে চুপ করে ছিল।
মানুষও অনেক কিছু বুঝেও চুপ করে থাকে। চুপ থাকে বলে তাদের হস্তীমূর্খ বলা যাবে না।
তিন.
মহাভারতের গল্পে একই নামে দুজন ছিল। একজন অপ্রতিরোধ্য বীর দ্রোণাচার্যের পুত্র অন্যজন নিছকই একটি হাতি। কিন্তু দুজনেরই নাম ছিল অশ্বত্থামা। কুরুপক্ষের দ্রোণাচার্যের সঙ্গে পাণ্ডবেরা কিছুতেই পেরে উঠছিল না। সে রকম সময়ে হাতি অশ্বত্থামা মারা গেল। সে সময় শত্রুপক্ষের সবচেয়ে সত্যবাদী ব্যক্তি যুধিষ্ঠির দ্রোণাচার্যকে গিয়ে বললেন, ‘অশ্বত্থামা হতঃ- কুঞ্জর ইতি’ (অশ্বত্থামা নামক হাতি নিহত হয়েছে)। কুঞ্জর ইতি অর্থাৎ হাতি নিহত শব্দটা তিনি বলেন নিচু স্বরে। সেটুকু না শুনতে পেয়ে দ্রোণাচার্য বিশ্বাস করলেন, সত্যিই তাঁর পুত্র অশ্বত্থামাই নিহত। শোকে তিনি অস্ত্র ত্যাগ করেন এবং শত্রুর আঘাতে নিহত হন।
বঙ্গ বাহাদুর নিহত হয়েছে সত্য কিন্তু বঙ্গের কোন বাহাদুর: মনুষ্য বাহাদুর নাকি হস্তী বাহাদুর? এ না জানলে সত্যিই হস্তীমূর্খ হয়ে থাকতে হবে।
ফারুক ওয়াসিফ: সাংবাদিক ও লেখক।
bagharu@gmail.com
livingdead
ELITE MEMBER
- Joined
- Oct 25, 2011
- Messages
- 22,952
- Reaction score
- 0
- Country
- Location
you would be crazy to go anywhere near a wild elephant... even if it is chained... they are a completely different animal to domesticated ones...
Brickwall
FULL MEMBER
- Joined
- Jun 28, 2014
- Messages
- 1,019
- Reaction score
- -3
- Country
- Location
Do you even comprehend what you write, so now animals, plants and nature is Indian and Bangladeshis. Sorry to say, but this is the most idiotic statement i have heard in long time.
An animal died and you are mocking it.Remember Human Being is one kind of animal more in some cases as observed
Al-zakir
ELITE MEMBER
- Joined
- Nov 3, 2008
- Messages
- 8,612
- Reaction score
- -8
- Country
- Location
Indian forum is that way---------->
I have been in this forum since 2007. I do not even recall visiting your stinky section. Now find your way out bharti. Calling me confused you shameless looser.
Nilgiri
BANNED
- Joined
- Aug 4, 2015
- Messages
- 24,797
- Reaction score
- 81
- Country
- Location
Its not surprising concept of two nation theory started where it did.
BTW, @Anubis has said many times this jamati is actually a Kashmiri that does not know Bengali language even.
So do not take what he says too seriously.
EyelessInGaza
FULL MEMBER
- Joined
- Apr 15, 2009
- Messages
- 1,378
- Reaction score
- 0
At least get the spelling right when you try and insult someone. Loser.
Man, I know you don't understand irony but you define it with every breath of your fundoo existence.
Similar threads
