BanglaBhoot
RETIRED TTA
- Joined
- Apr 8, 2007
- Messages
- 8,839
- Reaction score
- 5
- Country
- Location
Had the Awami League been an Islamic Party India would never have supported them. Simple logic. But for more information on India's ultra-secularist policy in Bangladesh -
The India Doctrine (1947-2007) | Mohammad Munshi - Academia.edu
দেশ চলে মদিনার সনদে আর ঘরে ফসল আসে মা দুর্গার আশীর্বাদে!
মিনার রশিদ
Tazakhobor - 23 March 2014
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার জন্যে আওয়ামী লীগ প্রতিপক্ষকে দোষারূপ করে। কিন্তু তারা নিজেরা শুধু একটি নয়- কমপক্ষে দু-দুটি ধর্মকে নিয়ে এই নির্লজ্জ ট্রিক্স (চতুরতা) বা পলিটিক্স করছে। এক সঙ্গে দুটি ধর্মের লোককে এরা বোকা বানাতে চাচ্ছে।
অতি চালাকের গলায় দড়ি। সেই দড়িটি বোধহয় এখন আওয়ামী লীগের ঘাড়ে পড়তে যাচ্ছে। কঠিন হাশরের দিন নাকি নিজের হাত পা নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্মী দিবে। জানি না আওয়ামী লীগের জন্যে এই হাশরের নমুনা শুরু হয়ে গেলো কি না। কারন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ মিজানের মত লোকের মুখ থেকেও বের হচ্ছে যে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় বর্তমান সরকারী দল জড়িত।’ আওয়ামী লীগের সংখ্যালঘু প্রেমকে টিপ্পনি কেটে তিনি বলেছেন, ‘সংখ্যালঘুরা দেশে থাকলে ভোট পাই, দেশ ছাড়লে জমি পাই।’ এই সত্য কথাগুলি কী মনে করে উচ্চারন করলেন তা আল্লাহ মালুম। এখন তার আগের সকল আমলনামা বরবাদ করে দিয়ে তাকেও এখন জামায়াত শিবিরের লোক বলে তোফায়েল-নাসিমরা ঘোষণা করেছেন।
মুসলমানদের অনুষ্ঠানে গেলে বলেন যে মদিনার সনদ অনুযায়ী রাষ্ট্র চালাচ্ছেন। আবার হিন্দুদের পূজামন্ডপে গেলে বলেন যে মা দুর্গা বাম্পার ফলন দিয়েছেন। পরস্পর মুখোমুখি দুটি বিশ্বাসকে একজন মানুষ কখনই একসঙ্গে ধারন করতে পারেন না। যারা সবকিছু পারেন বলে দাবি করেন তাদের কোন কিছুই বিশ্বাস করা যায় না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো বলেছেন যে মদিনার সনদ অনুযায়ী তিনি দেশ চালাচ্ছেন। একজন সরকার প্রধানের কথা ফেলনা হতে পারে না।
কাজেই আজ মানতে হবে যে এই মদিনার সনদ প্রতিষ্ঠার জন্যেই সংবিধান থেকে তিনি আল্লাহর উপর পূর্ণ অাস্থা ও বিশ্বাস স্থাপনের বাক্যটি তুলে দিয়েছেন। মদিনার সনদ প্রতিষ্ঠার জন্যে রাসুল(সঃ) এর বেশ ও লেবাসধারী প্রায় সকলকে তিনি জঙ্গী হিসাবে ডিক্লেয়ার করেছেন। মদিনার সনদের এই রাষ্ট্রে রাসুলের বেশধারী কোন মানুষ ইউনিভার্সিটির পাশ দিয়ে যেতে ভয় পান। এমনকি দাঁড়িওয়ালা ও পাঞ্জাবি পরা নির্মলেন্দু গুণ নির্ভয়ে কোন ভার্সিটি হলের পাশ দিয়ে সন্ধায় যেতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে। মদিনা ও রাসুল প্রেমিকদের জন্যে এই সুবন্দোবস্ত সবই হয়েছে তার এই ‘মদিনা সনদ’ এর কল্যাণে।
মদিনার সনদ প্রতিষ্ঠার জন্যে তিনি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গণজাগরন মঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই মঞ্চের ব্লগাররা মদিনার সনদ প্রতিষ্ঠার জন্যে আল্লাহর রাসুলকে নোংরাতম ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।
মদিনা সনদের ‘আমিরুল মুমেনিন’ হিসাবে তিনি নিজে শহীদ রাজীবের বাসায় চলে গিয়েছিলেন। সেদিন রাজীবের বাবা মা স্বাভাবিক থাকলেও এই ‘মদিনা সনদ’ এর অন্যতম খুটি বেগম মতিয়া চৌধুরী সেদিন কারবালার মা সকিনা বেগমের মত বুক চাপড়িয়ে মাতম করেছিলেন, ‘রাজীব আমার রাজীব……. ‘। সেই মা সকিনারা এখন আর একবারের তরেও রাজীবের নামটি উচ্চারন করেন না।
প্রধানমন্ত্রীকে কেউ ফেইস বুকে হুমকি দিলে সঙ্গে সঙ্গে সেই হুমকি প্রদানকারীর জেল জরিমানা হয়ে যায়। কিন্তু নবী রাসুলকে চরমভাবে গালি দিলেও কারো কিছু হয় না। প্রশাসনে এই সহিষ্ণুতাটুকু এসেছে তার এই ‘মদিনা সনদ’ বাস্তবায়নের কারনেই।
মদিনার সনদ প্রতিষ্ঠার জন্যেই বর্তমান ‘আমিরুল মুমেনিন’ (লিঙ্গগত একটু সমস্যা থাকলেও এই পদবীটিই বেশি গ্রহনযোগ্য ) ইন্ডিয়ার একশ ভাগ ‘হালাল’ এক শিল্পীকে এনেছিলেন। নিজে স্টেজে থেকে টি-২০ বিশ্বকাপ মহাসমারোহে উদ্বোধন করেছেন। সেদিনের সেই অনুষ্ঠান দেখে মনে হয়েছে যে বেহেশতের হুরের জন্যে পরকাল পর্যন্ত অপেক্ষার দরকার নেই। আর কিছুদিন টিকে থাকতে পারলে তিনি এই কালেই দেশের তাবদ পুরুষকূলের জন্যে তার সুবন্দোবস্ত করতে পারবেন । ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ইমামদের জন্যে আমেরিকান ব্র্যাক ড্যান্সের ব্যবস্থা করেছিলেন তাতো এই ‘মদিনা সনদ’কে পুরাপুির বাস্তবায়নের জন্যেই। এই ব্র্যাক ড্যান্সের আবেশে নাকি এক বড় ইমাম সাব ঈদের নামাযে তাকবির দিতে ভুলে গিয়েছিলেন । কারন ইমাম সাবদের সব তাকবির স্মরণে থাকলে এই ‘মদিনার সনদ’ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না।
এই মদিনার সনদের কারনেই সকল ধর্মের লোক আজ একাকার হয়ে গেছে। নিরীহ বিশ্বজিৎ শিবির হিসাবে দায়ের কোপ খেয়েছে। সংখ্যালঘুরা ভোট না দিলে আঙুল কেটে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
প্রখ্যাত সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেছিলেন, ‘এরা মুসলমান নয়, এরা হিন্দু নয়, এরা আওয়ামী লীগার। ‘ চলনে বলনে শতভাগ সেকুলার এই সাংবাদিকের সাথে দ্বিমত পোষন করা আসলেই কঠিন হয়ে পড়ছে।
দেশ চলে মদিনার সনদে আর ঘরে ফসল আসে মা দুর্গার আশীর্বাদে!-Tazakhobor.Com Bangla Version
The India Doctrine (1947-2007) | Mohammad Munshi - Academia.edu
দেশ চলে মদিনার সনদে আর ঘরে ফসল আসে মা দুর্গার আশীর্বাদে!
মিনার রশিদ
Tazakhobor - 23 March 2014
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার জন্যে আওয়ামী লীগ প্রতিপক্ষকে দোষারূপ করে। কিন্তু তারা নিজেরা শুধু একটি নয়- কমপক্ষে দু-দুটি ধর্মকে নিয়ে এই নির্লজ্জ ট্রিক্স (চতুরতা) বা পলিটিক্স করছে। এক সঙ্গে দুটি ধর্মের লোককে এরা বোকা বানাতে চাচ্ছে।
অতি চালাকের গলায় দড়ি। সেই দড়িটি বোধহয় এখন আওয়ামী লীগের ঘাড়ে পড়তে যাচ্ছে। কঠিন হাশরের দিন নাকি নিজের হাত পা নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্মী দিবে। জানি না আওয়ামী লীগের জন্যে এই হাশরের নমুনা শুরু হয়ে গেলো কি না। কারন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ মিজানের মত লোকের মুখ থেকেও বের হচ্ছে যে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় বর্তমান সরকারী দল জড়িত।’ আওয়ামী লীগের সংখ্যালঘু প্রেমকে টিপ্পনি কেটে তিনি বলেছেন, ‘সংখ্যালঘুরা দেশে থাকলে ভোট পাই, দেশ ছাড়লে জমি পাই।’ এই সত্য কথাগুলি কী মনে করে উচ্চারন করলেন তা আল্লাহ মালুম। এখন তার আগের সকল আমলনামা বরবাদ করে দিয়ে তাকেও এখন জামায়াত শিবিরের লোক বলে তোফায়েল-নাসিমরা ঘোষণা করেছেন।
মুসলমানদের অনুষ্ঠানে গেলে বলেন যে মদিনার সনদ অনুযায়ী রাষ্ট্র চালাচ্ছেন। আবার হিন্দুদের পূজামন্ডপে গেলে বলেন যে মা দুর্গা বাম্পার ফলন দিয়েছেন। পরস্পর মুখোমুখি দুটি বিশ্বাসকে একজন মানুষ কখনই একসঙ্গে ধারন করতে পারেন না। যারা সবকিছু পারেন বলে দাবি করেন তাদের কোন কিছুই বিশ্বাস করা যায় না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো বলেছেন যে মদিনার সনদ অনুযায়ী তিনি দেশ চালাচ্ছেন। একজন সরকার প্রধানের কথা ফেলনা হতে পারে না।
কাজেই আজ মানতে হবে যে এই মদিনার সনদ প্রতিষ্ঠার জন্যেই সংবিধান থেকে তিনি আল্লাহর উপর পূর্ণ অাস্থা ও বিশ্বাস স্থাপনের বাক্যটি তুলে দিয়েছেন। মদিনার সনদ প্রতিষ্ঠার জন্যে রাসুল(সঃ) এর বেশ ও লেবাসধারী প্রায় সকলকে তিনি জঙ্গী হিসাবে ডিক্লেয়ার করেছেন। মদিনার সনদের এই রাষ্ট্রে রাসুলের বেশধারী কোন মানুষ ইউনিভার্সিটির পাশ দিয়ে যেতে ভয় পান। এমনকি দাঁড়িওয়ালা ও পাঞ্জাবি পরা নির্মলেন্দু গুণ নির্ভয়ে কোন ভার্সিটি হলের পাশ দিয়ে সন্ধায় যেতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে। মদিনা ও রাসুল প্রেমিকদের জন্যে এই সুবন্দোবস্ত সবই হয়েছে তার এই ‘মদিনা সনদ’ এর কল্যাণে।
মদিনার সনদ প্রতিষ্ঠার জন্যে তিনি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গণজাগরন মঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই মঞ্চের ব্লগাররা মদিনার সনদ প্রতিষ্ঠার জন্যে আল্লাহর রাসুলকে নোংরাতম ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।
মদিনা সনদের ‘আমিরুল মুমেনিন’ হিসাবে তিনি নিজে শহীদ রাজীবের বাসায় চলে গিয়েছিলেন। সেদিন রাজীবের বাবা মা স্বাভাবিক থাকলেও এই ‘মদিনা সনদ’ এর অন্যতম খুটি বেগম মতিয়া চৌধুরী সেদিন কারবালার মা সকিনা বেগমের মত বুক চাপড়িয়ে মাতম করেছিলেন, ‘রাজীব আমার রাজীব……. ‘। সেই মা সকিনারা এখন আর একবারের তরেও রাজীবের নামটি উচ্চারন করেন না।
প্রধানমন্ত্রীকে কেউ ফেইস বুকে হুমকি দিলে সঙ্গে সঙ্গে সেই হুমকি প্রদানকারীর জেল জরিমানা হয়ে যায়। কিন্তু নবী রাসুলকে চরমভাবে গালি দিলেও কারো কিছু হয় না। প্রশাসনে এই সহিষ্ণুতাটুকু এসেছে তার এই ‘মদিনা সনদ’ বাস্তবায়নের কারনেই।
মদিনার সনদ প্রতিষ্ঠার জন্যেই বর্তমান ‘আমিরুল মুমেনিন’ (লিঙ্গগত একটু সমস্যা থাকলেও এই পদবীটিই বেশি গ্রহনযোগ্য ) ইন্ডিয়ার একশ ভাগ ‘হালাল’ এক শিল্পীকে এনেছিলেন। নিজে স্টেজে থেকে টি-২০ বিশ্বকাপ মহাসমারোহে উদ্বোধন করেছেন। সেদিনের সেই অনুষ্ঠান দেখে মনে হয়েছে যে বেহেশতের হুরের জন্যে পরকাল পর্যন্ত অপেক্ষার দরকার নেই। আর কিছুদিন টিকে থাকতে পারলে তিনি এই কালেই দেশের তাবদ পুরুষকূলের জন্যে তার সুবন্দোবস্ত করতে পারবেন । ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ইমামদের জন্যে আমেরিকান ব্র্যাক ড্যান্সের ব্যবস্থা করেছিলেন তাতো এই ‘মদিনা সনদ’কে পুরাপুির বাস্তবায়নের জন্যেই। এই ব্র্যাক ড্যান্সের আবেশে নাকি এক বড় ইমাম সাব ঈদের নামাযে তাকবির দিতে ভুলে গিয়েছিলেন । কারন ইমাম সাবদের সব তাকবির স্মরণে থাকলে এই ‘মদিনার সনদ’ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না।
এই মদিনার সনদের কারনেই সকল ধর্মের লোক আজ একাকার হয়ে গেছে। নিরীহ বিশ্বজিৎ শিবির হিসাবে দায়ের কোপ খেয়েছে। সংখ্যালঘুরা ভোট না দিলে আঙুল কেটে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
প্রখ্যাত সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেছিলেন, ‘এরা মুসলমান নয়, এরা হিন্দু নয়, এরা আওয়ামী লীগার। ‘ চলনে বলনে শতভাগ সেকুলার এই সাংবাদিকের সাথে দ্বিমত পোষন করা আসলেই কঠিন হয়ে পড়ছে।
দেশ চলে মদিনার সনদে আর ঘরে ফসল আসে মা দুর্গার আশীর্বাদে!-Tazakhobor.Com Bangla Version