Banglar Bir
SENIOR MEMBER
- Joined
- Mar 19, 2006
- Messages
- 7,805
- Reaction score
- -3
- Country
- Location
হিন্দু রোহিঙ্গারা কেন নিজ ঘরে আগুন দিচ্ছে ??
অমি রহমান পিয়াল এর মত এক ছ্যাছরা অ্যাসাইলামবাদী প্রচার করছিলো রোহিঙ্গাদের অ্যাসাইলাম নেয়ার কারণ নাকি ভুয়া। এ জন্য কিছু ছবিও প্রচার করছে সে।
(http://bit.ly/2xjkRYl, http://archive.is/AltUU)।
তার ছবির উৎসে খুজে পেলাম Shariful Hassan নামক এক ব্যক্তিকে।
Shariful Hassan এর ভাষায়-
“নিজ বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে বাংলাদেশে আসা এই রোহিঙ্গা মুমিন্সদের জন্য কয়টা লাইক হবে ফ্রান্স?”
(http://bit.ly/2f9Clvj, http://archive.is/7Aatt)
যে লোকটাকে টার্গেট করে তারা মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এতকিছু ছড়াচ্ছে তার উৎস সন্ধানে নেমে গেলাম। ছবিতে ছোট্ট করে লেখা পেলাম Mizzima। সার্চ দিয়ে পেলাম মিয়ানমারের একটি ফেসবুক পেইজ, নাম Mizzima - News in Burmese ।
ফেসবুকে পেইজ গিয়ে ঠিকই খুজে পেলাম এই লিঙ্কেhttp://bit.ly/2jcjggJ আর্কাইভ- http://archive.is/G20oU। সূত্র অনুসারে গিয়ে কেঁচো খুড়তে বের হয়ে আসলো সাপ, এরা মুসলিম নয় হিন্দু ।
কিছুদিন আগে খবরে পেয়েছিলাম হিন্দু রোহিঙ্গারা নাকি নির্যাতিত হচ্ছে, এরা তাদেরই সদস্য। বাংলাদেশ ও ভারতের হিন্দুরা এদের ভিডিও বানিয়ে প্রচার করেছিলো- মুসলিম রোহিঙ্গারাই নাকি হিন্দু রোহিঙ্গাদের মারছে।
(http://bit.ly/2xbRMx9)
কিন্তু আমার কথা হলো, হিন্দু রোহিঙ্গারা কেন টুপি-হিজাব পরে ঘরে আগুন দিচ্ছে ?
আবার সেই ছবি স্পষ্ট ক্যামেরায় তুলে প্রচার করছে ?
বলছে- “মুসলিম রোহিঙ্গারা আসলে নির্যাতিত হয়নি, তাদের কথা মিথ্যা । এরা মিথ্যা বলে বাংলাদেশে আশ্রয় চাচ্ছে।”
রোহিঙ্গা মুসলমানরা মায়ানমারে কতটুকু নির্যাতিত হয়েছে তা আমরা মিডিয়াতে শুনেছি।
তারা কত কষ্ট করে নদীতে ভেসে জীবন হাতে নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তার কষ্টকর ছবিও আমরা দেখেছি।
তাদের মধ্যে কিছু অংশ বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়েছে শুধু বাংলাদেশীদের সহানুভূতিকে আশ্রয় করে।
কিন্তু একটা গোষ্ঠী সেই সহানুভূতিকে মিথ্যা প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
আপনাদের মনে থাকার কথা,
সিরিয়াতে যখন যুদ্ধ শুরু হলো, তখন জীবনটা হাতে নিয়ে কত কষ্ট করে সিরিয়ানরা সমুদ্র পার হয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশ করলো। সিরিয় শিশু আইলানের সমুদ্রে ভেসে আসা লাশের ছবি দেখে ইউরোপীয়ানদের মনে সহানুভূতির জেগে উঠলো, লক্ষ লক্ষ সিরিয় যায়গা পেলো ইউরোপে। কিন্তু এরপরই একটি মহল শরনার্থী সিরিয়দের নামে মিথ্যা কুৎসা রটনা শুরু করলো। প্রচার করলো- তারা নাকি ধর্ষণ করে, জুয়া খেলে, নারী নির্যাতন করে, চুরি করে, খুন করে। নানান মিথ্যা অপবাদ। ধিরে ধিরে ইউরোপীরা শরানার্থী মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠলো। তাদের ক্ষোভ এতটাই বৃদ্ধি পেলো যে, রাস্তায় রাস্তায় তারা শরনার্থী পেটানো শুরু করলো। এমনকি প্যারিস হামলার পর ক্ষোভের চোটে নিরীহ শরনার্থী শিবিরে আগুন দিয়েছিলো ফরাসীরা (http://bit.ly/2weCjZ2)।
যারা মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এ খবরগুলো ছড়াচ্ছে, আমি সেই ইউরোপের দৃশ্যই যেন আবার দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষ যে সহানুভূতি নিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়েছিলো, ঐ গোষ্ঠীটি এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, যেন ইউরোপিয়ানদের মত বাংলাদেশীরাও রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর ক্ষেপে যায় এবং রোহিঙ্গা মুসলমানদের কচুকাটা করে।
সোজা ভাষায় হিন্দুরা চাচ্ছে মুসলমান-মুসলমানের মধ্যে ফাটল ধরাতে। মুসলমান দিয়েই মুসলমান মারতে। হিন্দু কর্তৃক নিজ ঘরে আগুন লাগানোর ছবি তার প্রকৃত উদাহরণ।
অমি রহমান পিয়াল এর মত এক ছ্যাছরা অ্যাসাইলামবাদী প্রচার করছিলো রোহিঙ্গাদের অ্যাসাইলাম নেয়ার কারণ নাকি ভুয়া। এ জন্য কিছু ছবিও প্রচার করছে সে।
(http://bit.ly/2xjkRYl, http://archive.is/AltUU)।
তার ছবির উৎসে খুজে পেলাম Shariful Hassan নামক এক ব্যক্তিকে।
Shariful Hassan এর ভাষায়-
“নিজ বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে বাংলাদেশে আসা এই রোহিঙ্গা মুমিন্সদের জন্য কয়টা লাইক হবে ফ্রান্স?”
(http://bit.ly/2f9Clvj, http://archive.is/7Aatt)
যে লোকটাকে টার্গেট করে তারা মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এতকিছু ছড়াচ্ছে তার উৎস সন্ধানে নেমে গেলাম। ছবিতে ছোট্ট করে লেখা পেলাম Mizzima। সার্চ দিয়ে পেলাম মিয়ানমারের একটি ফেসবুক পেইজ, নাম Mizzima - News in Burmese ।
ফেসবুকে পেইজ গিয়ে ঠিকই খুজে পেলাম এই লিঙ্কেhttp://bit.ly/2jcjggJ আর্কাইভ- http://archive.is/G20oU। সূত্র অনুসারে গিয়ে কেঁচো খুড়তে বের হয়ে আসলো সাপ, এরা মুসলিম নয় হিন্দু ।
কিছুদিন আগে খবরে পেয়েছিলাম হিন্দু রোহিঙ্গারা নাকি নির্যাতিত হচ্ছে, এরা তাদেরই সদস্য। বাংলাদেশ ও ভারতের হিন্দুরা এদের ভিডিও বানিয়ে প্রচার করেছিলো- মুসলিম রোহিঙ্গারাই নাকি হিন্দু রোহিঙ্গাদের মারছে।
(http://bit.ly/2xbRMx9)
কিন্তু আমার কথা হলো, হিন্দু রোহিঙ্গারা কেন টুপি-হিজাব পরে ঘরে আগুন দিচ্ছে ?
আবার সেই ছবি স্পষ্ট ক্যামেরায় তুলে প্রচার করছে ?
বলছে- “মুসলিম রোহিঙ্গারা আসলে নির্যাতিত হয়নি, তাদের কথা মিথ্যা । এরা মিথ্যা বলে বাংলাদেশে আশ্রয় চাচ্ছে।”
রোহিঙ্গা মুসলমানরা মায়ানমারে কতটুকু নির্যাতিত হয়েছে তা আমরা মিডিয়াতে শুনেছি।
তারা কত কষ্ট করে নদীতে ভেসে জীবন হাতে নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তার কষ্টকর ছবিও আমরা দেখেছি।
তাদের মধ্যে কিছু অংশ বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়েছে শুধু বাংলাদেশীদের সহানুভূতিকে আশ্রয় করে।
কিন্তু একটা গোষ্ঠী সেই সহানুভূতিকে মিথ্যা প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
আপনাদের মনে থাকার কথা,
সিরিয়াতে যখন যুদ্ধ শুরু হলো, তখন জীবনটা হাতে নিয়ে কত কষ্ট করে সিরিয়ানরা সমুদ্র পার হয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশ করলো। সিরিয় শিশু আইলানের সমুদ্রে ভেসে আসা লাশের ছবি দেখে ইউরোপীয়ানদের মনে সহানুভূতির জেগে উঠলো, লক্ষ লক্ষ সিরিয় যায়গা পেলো ইউরোপে। কিন্তু এরপরই একটি মহল শরনার্থী সিরিয়দের নামে মিথ্যা কুৎসা রটনা শুরু করলো। প্রচার করলো- তারা নাকি ধর্ষণ করে, জুয়া খেলে, নারী নির্যাতন করে, চুরি করে, খুন করে। নানান মিথ্যা অপবাদ। ধিরে ধিরে ইউরোপীরা শরানার্থী মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠলো। তাদের ক্ষোভ এতটাই বৃদ্ধি পেলো যে, রাস্তায় রাস্তায় তারা শরনার্থী পেটানো শুরু করলো। এমনকি প্যারিস হামলার পর ক্ষোভের চোটে নিরীহ শরনার্থী শিবিরে আগুন দিয়েছিলো ফরাসীরা (http://bit.ly/2weCjZ2)।
যারা মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এ খবরগুলো ছড়াচ্ছে, আমি সেই ইউরোপের দৃশ্যই যেন আবার দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষ যে সহানুভূতি নিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়েছিলো, ঐ গোষ্ঠীটি এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, যেন ইউরোপিয়ানদের মত বাংলাদেশীরাও রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর ক্ষেপে যায় এবং রোহিঙ্গা মুসলমানদের কচুকাটা করে।
সোজা ভাষায় হিন্দুরা চাচ্ছে মুসলমান-মুসলমানের মধ্যে ফাটল ধরাতে। মুসলমান দিয়েই মুসলমান মারতে। হিন্দু কর্তৃক নিজ ঘরে আগুন লাগানোর ছবি তার প্রকৃত উদাহরণ।