What's new

What we need to know about Myanmar.

Homo Sapiens

ELITE MEMBER
Joined
Feb 3, 2015
Messages
9,641
Reaction score
-1
Country
Bangladesh
Location
Bangladesh
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1342541/মিয়ানমার-সম্পর্কে-যেসব-কথা-জানা-দরকার
মতামত সংবাদ
রো হি ঙ্গা স ম স্যা
মিয়ানমার সম্পর্কে যেসব কথা জানা দরকার
আ ন ম মুনীরুজজামান
১২ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৪১
প্রিন্ট সংস্করণ
১১
8068d95a37b1fa5837ebf22ad8160622-59df7ed844418.jpg

মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে অং সান সু চির করমর্দন

মিয়ানমারের তরফ থেকে একজন মন্ত্রী সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। পদক্ষেপটি ইতিবাচক হলেও আমাদের মনে রাখতে হবে যে সমস্যাটি সমাধানের জন্য বহুপক্ষীয় উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখন পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়। এই কারণে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের সম্যক উপলব্ধি থাকা জরুরি। বিশেষ করে এটা এই কারণে দরকার যে সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা সংকটে বৈশ্বিক রাজনীতিতে বাংলাদেশ অনেকটাই একাকী হয়ে পড়েছে। মিয়ানমারের শাসনব্যবস্থা অন্যান্য দেশ থেকে একদম আলাদা। ইংরেজ সাংবাদিক রুডইয়ার্ড কিপলিং বলেছেন, ‘এই হচ্ছে মিয়ানমার, যা আপনার চেনাজানা যেকোনো দেশ থেকে স্বতন্ত্র।’ দেশটির অদ্ভুত শাসনব্যবস্থা এ ক্ষেত্রে বিশ্লেষণের দাবি রাখে। সম্প্রতি দেশটি গণতন্ত্রের পথে যাত্রা করলেও এর ভিত এখনো শক্ত হয়নি। সেনাবাহিনী এখনো অনেক ক্ষেত্রে প্রভাব বজায় রেখেছে। এ ছাড়া দেশটির জনসাধারণের ওপর বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং জ্যোতিষীদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। দেশটির রাজনীতির গতিশীলতা এবং রোহিঙ্গা সংকট বুঝতে হলে সরকার, সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য প্রভাবকের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া বিশ্লেষণ করতে হবে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৮ সালে প্রথম উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীর এ দেশে আগমন ঘটেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর রোহিঙ্গাবিষয়ক জাতীয় কৌশল প্রণয়ন করা হয়নি। মিয়ানমার হচ্ছে ভারত ছাড়া বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিবেশী রাষ্ট্র। কিন্তু সে অর্থে মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা গভীর যোগাযোগ স্থাপন করতে পারিনি। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক যোগাযোগ খুবই সীমিত। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ভ্রমণ কালেভদ্রে হয়ে থাকে। ‘স্টেট কাউন্সেলর’ হওয়ার পর অং সান সু চি ইতিমধ্যে প্রতিবেশী সব দেশে রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন; কেবল বাংলাদেশ বাদে। রোহিঙ্গা সংকট দুই কারণে জটিল—দেশটির কৌশলগত ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থান এবং এর অভ্যন্তরীণ অদ্ভুত শাসনব্যবস্থা।

মিয়ানমারের ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থান খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। দুই আঞ্চলিক শক্তি চীন এবং ভারতের সঙ্গে দেশটির সীমান্ত রয়েছে। দেশটি দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত। দেশটির দক্ষিণে রয়েছে সামুদ্রিক কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগর। চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর দুটি করিডরের সঙ্গে মিয়ানমার সংযুক্ত। জ্বালানি তেল আমদানি এবং বৈশ্বিক বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চীনা জাহাজগুলোকে ‘মালাক্কা প্রণালি’ দিয়ে ঘুরে যেতে হয়, যা একই সঙ্গে সময় এবং অর্থসাপেক্ষ। কিন্তু রাখাইনে অবস্থিত সামুদ্রিক বন্দর ব্যবহার করলে সময় এবং অর্থ দুটোই সাশ্রয় হয়। মিয়ানমারে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিপরীতে ভারতও দেশটিতে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর
মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘কালাদান বহুমুখী যোগাযোগ প্রকল্প’। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে যোগাযোগের জন্য ‘চিকেন’স নেক’-এর বিকল্প পথ তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া মিয়ানমারে জাপান এবং রাশিয়ার বেশ কিছু বৃহৎ প্রকল্প রয়েছে। এ প্রকল্পগুলো চলমান রাখার জন্য রাখাইন রাজ্যের স্থিতিশীলতা অত্যাবশ্যকীয়। রোহিঙ্গা সংকটের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ মিয়ানমারের অনুকূলে রয়েছে।

মিয়ানমারের বর্তমান জটিল অবস্থা বুঝতে হলে এর ইতিহাস সম্পর্কে জানা দরকার। সম্প্রতি গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে দীর্ঘ কয়েক দশক দেশটিতে সামরিক শাসন জারি ছিল। তারও আগে দেশটি দীর্ঘকাল ব্রিটিশ ভারতের অধীনে ছিল। সে সময় ভারতবর্ষ থেকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ সৈন্য, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী এবং নির্মাণশ্রমিক হিসেবে মিয়ানমারে আগমন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে মিয়ানমারের তৎকালীন রাজধানী রেঙ্গুনের জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ ছিল ভারতীয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ বার্মিজ জনগোষ্ঠী এটাকে তাদের সমাজ এবং ধর্মের ওপর হুমকি হিসেবে দেখা শুরু করে এবং ফলে ভারতীয়-বিরোধী মনোভাব বাড়তে থাকে। ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেন এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতির অবসান ঘটিয়ে সামরিক শাসন জারি করেন। সব শিল্প, ব্যবসা এবং সংবাদমাধ্যম জাতীয়করণ করা হয়। ব্যাপকভাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের বহিষ্কারাভিযান শুরু হয়। কেবল ১৯৬৪ সালে ৩ লাখের বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি মিয়ানমার ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

দীর্ঘ সামরিক শাসনের ফলে দেশটির জনসাধারণের মধ্যে বেশ কিছু মূল্যবোধ গড়ে উঠেছে, যা একান্তভাবে তাদের নিজেদের এবং সর্বসত্তা দিয়ে তারা সেটা বিশ্বাস করে। মিয়ানমারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী উ নু ঘোষণা করেন, দেশটির সাধারণ পরিচয় হবে একই ধর্ম—বৌদ্ধধর্মের ভিত্তিতে। পরবর্তী সময়ে জেনারেল নে উইন ঘোষণা করেন, একই ভাষা—বার্মিজ হবে মিয়ানমারের নাগরিকদের সাধারণ যোগসূত্র। সবশেষে জেনারেল থান স ঘোষণা করেন, দেশের সব নাগরিকের পরিচিতি একটি সাধারণ নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর ভিত্তিতে হবে। মিয়ানমারের জনসাধারণের মধ্যে সেনাবাহিনীর প্রতি প্রবল আস্থা পরিলক্ষিত হয়, যেখানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের অবস্থান বেশ ভঙ্গুর। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সেনাবাহিনীর মধ্যে একটি অমূলক ভয় কাজ করে যে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের জনবিন্যাসের পরিবর্তন করতে পারে। এই বিশ্বাস সংখ্যাগরিষ্ঠ বার্মিজ ও রাখাইনদের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়েছে।

বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক চাপের ফলে মিয়ানমার সামরিক সরকার ২০০৮ সালে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে, যার ভিত্তিতে ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার ইতি টেনে দেশটি গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু সেনাবাহিনী, যা তাতমাদো নামে পরিচিত, গণতন্ত্রের আড়ালে সংবিধানের মধ্যে এমন একটা শাসনব্যবস্থার রূপরেখা তৈরি করেছে, যাতে দেশটির শাসনব্যবস্থায় তাদের প্রভাব অক্ষুণ্ন থাকে। এই নতুন সংবিধানের ভিত্তিতেই বর্তমান মিয়ানমার রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। সংবিধানের ধারা অনুসারে, সংসদের ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয়—পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র এবং সীমান্ত সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের নিয়ন্ত্রণও সেনাবাহিনীর হাতে ন্যস্ত হয়।

সংবিধান মোতাবেক সেনাপ্রধান নিজেই নিজের প্রতি দায়বদ্ধ। কার্যত তাঁকে স্টেট কাউন্সেলর কিংবা প্রেসিডেন্টের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। সংবিধানমতে, সেনাপ্রধান কিছু ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের ওপরও হস্তক্ষেপ করতে পারেন। সংসদের উভয় কক্ষে সেনাবাহিনী থেকে আসা প্রার্থীদের মনোনয়ন করার ক্ষমতা সেনাপ্রধানকে দেওয়া হয়েছে। বস্তুত, মিয়ানমার রাষ্ট্রের মধ্যে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে, যার ফলে অভ্যন্তরীণ সব বিষয় সেনাবাহিনী নিজেই নিয়ন্ত্রণ করে এবং বাইরের হস্তক্ষেপ সহ্য করে না। রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ/সীমান্ত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যেটা সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে এখানে একক ভূমিকা রাখা কঠিন। এ সংকট নিরসনে কার্যকর সমাধানে পৌঁছাতে হলে সংকটের গুরুত্ব মিয়ানমার সেনাবাহিনীকেও বুঝতে হবে।

মিয়ানমারের জনসাধারণের মধ্যে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের প্রভাব অপরিসীম। জ্যোতিষীদের প্রভাবও উল্লেখ করার দাবি রাখে। দেশটিতে প্রায় ৫ লাখ বৌদ্ধ ভিক্ষু রয়েছে। ২০০৭ সালের ‘স্যাফ্রন রেভল্যুশন’-এ বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিল। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী আসিন উইরাথু প্রচার করেন যে মিয়ানমারে বৌদ্ধধর্ম এখন হুমকির মুখে। এ ক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ ইত্যাদি দেশের উদাহরণ টেনে উইরাথু বলেন, এসব দেশ একসময় বৌদ্ধধর্ম প্রধান ছিল; কিন্তু এখন ইসলামের অধীনে চলে গেছে। তিনি মা বা থা নামক একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন, যা দেশটির ওপর ভিন্ন ধর্মের বিস্তার প্রতিরোধে আন্দোলন করে যাচ্ছে।

সরকারের মধ্যেও উইরাথুর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তাঁর প্রতিষ্ঠান মা বা থা-এর প্রভাবে পূর্ববর্তী সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত সংসদ কিছু আইন পাস করেছে। একটা আইন করা হয়েছে, যাতে বৌদ্ধ মেয়েদের ভিন্ন ধর্মের কেউ বিয়ে করতে না পারে। অন্য আরেকটা আইন করা হয়েছে, যাতে কেউ সহজে ধর্ম পরিবর্তন করতে না পারে। এ আইনগুলো মূলত বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের অনুকূলে করা হয়েছে। দেশটির জ্যোতিষীরাও সরকারের কাছে ইসলামের বিস্তারের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। এমনকি সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণেও এই জ্যোতিষীরা ভূমিকা পালন করেন। জানা যায়, মিয়ানমারের রাজধানী রেঙ্গুন থেকে নেপিডোতে স্থানান্তরের পেছনেও জ্যোতিষীদের ভূমিকা ছিল। মিয়ানমারের জনসাধারণের মধ্যে মুসলিমবিরোধী মনোভাব গড়ে ওঠার পেছনে বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং জ্যোতিষীদের ভূমিকা ভালোভাবে বিশ্লেষণ করার দাবি রাখে।

রোহিঙ্গা সংকটের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের সঙ্গে ফলপ্রসূ সমাধানে পৌঁছাতে হলে দেশটির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলো, এর ইতিহাস এবং শাসনব্যবস্থার বিবর্তন সম্পর্কে আমাদের বুঝতে হবে। দেশটির রাজনৈতিক পটভূমিতে গণতান্ত্রিক সরকার
ছাড়াও যেসব প্রতিষ্ঠানের প্রভাব এবং ভূমিকা রয়েছে তাদের সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে।

l আ ন ম মুনীরুজজামান: ঢাকায় অবস্থিত নিরাপত্তা চিন্তাশালা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) সভাপতি।

Google translation
Opinion News

What we need to know about Myanmar

A N M Muniruzzaman
12 October, 20:41
Print version
11
8068d95a37b1fa5837ebf22ad8160622-59df7ed844418.jpg

Aung San Suu Kyi handshake with Myanmar Army Chief,


A minister recently visited Bangladesh from Myanmar. While the move is positive, we must remember that the need for multilateral initiatives to solve the problem is important but the tendency of bilateral enterprises to dominate is still noticeable. For this reason, it is important that we have sufficient understanding of Myanmar internal governance and decision-making process. In particular, it is necessary that in the recent Rohingya crisis, Bangladesh has become very lonely in global politics. Myanmar's rule is very different from other countries. English journalist Rudyard Kipling said, "This is Myanmar, which is different from any country you know." The country's strange regime demands analysis in this case. Although the country has recently moved on the path of democracy, its foundation is still not strong. The army still has influence in many areas. Besides, Buddhist monks and astrologers have enough influence on the people of the country. To understand the dynamism of the country's politics and the Rohingya crisis, the interaction between government, army and other influencers will be analyzed.

After the independence of Bangladesh, the first significant number of Rohingya refugees arrived in the country in 1978. But till now no strategic national strategy has been formulated. Myanmar is the only neighboring state of Bangladesh except India. But in that sense we could not establish a deep connection with Myanmar. Bangladesh's diplomatic relations with Myanmar are very limited. Traveling at state level is a rare practice. After being a 'State Counselor', Aung San Suu Kyi has already made a state visit to all neighboring countries; Except Bangladesh. The Rohingya crisis is complex for two reasons - the strategic geopolitical and geo-economic position of the country and its internal peculiar governance system.

The geopolitical and geo-economic position of Myanmar is very significant. There are two territorial powers in the border with China and India. The country is located at the junction of South Asia and Southeast Asia. The country has its strategic direction from the strategic importance of the Bay of Bengal and the Indian Ocean to the south. Myanmar affiliated with two corridors of China's 'Belt and Road Initiative' In order to import fuel oil and export products to the global market, Chinese ships have to travel through 'Malacca system', which together with time and money. But using the maritime port in Rakhine can save both time and money. India has taken several projects in the country against China's growing influence in Myanmar. Of it Among them, 'Kaladan Multipurpose Contact Project' is significant. Through this project, India has taken an initiative to create alternative ways of 'Chicken's Neck' for communication in the seven northeastern states. In addition, there are several large projects in Japan and Russia in Myanmar. The stability of the Rakhine state is essential to keep these projects going. In the Rohingya crisis, the interest of neighboring large states is favorable to Myanmar.

To understand the current complex situation of Myanmar, it is necessary to know about its history. Prior to the democratization recently, martial law was issued in the country for decades. Even before that the country was under British India for a long time. At that time a significant number of people from India came to Myanmar as soldiers, government officials, businessmen and construction workers. On the eve of World War II, about 50 percent of the population of Rangoon, Myanmar's capital, was Indian. The majority Burmese people started seeing this as a threat to their society and religion, and as a result anti-Indian sentiments continued to increase. In 1962 General N Win captured Myanmar power and issued a military rule by ending the democratic process. All industries, businesses and media are nationalized. Extensively extrication of Indian descent In 1964, more than 300,000 Indian origin people were forced to leave Myanmar.

As a result of long military rule, there have been some values among the people of the country, which they believe in with their own and individuality. Myanmar's first Prime Minister, Wu Nou announced that the common identity of the country will be based on the same religion-Buddhism. Later, General Ne Win announced that the same language would be Burmese, the general link between Myanmar citizens. Finally, General Than Shwe announced that the identity of all the citizens of the country will be based on a general ethnic group. Myanmar's public has strong confidence in the army, where the position of the democratically elected government is quite fragile. Considering the historical context, there is a fear in the army that Rohingya can change Myanmar's demography. This belief has also spread among the majority Burmese and Rakhains.

Due to internal and international pressures, Myanmar military government formulated a new constitution in 2008, on which the general election of 2010 was held and by ending long-term diplomatic isolation, the country started its journey towards democracy. But the army, which is known as Tetmado, behind democracy, created a framework for a constitution in the constitution that prevents their influence in the regime of the country remain intact.
The current Myanmar state is being run on the basis of this new constitution. According to the constitution, 25 percent of the seats are reserved for the army. Apart from this, three important ministries - the foreign, home and border forces are kept under control. Police control of the law enforcing agencies was also entrusted to the army.

According to the constitution, the army chief himself is responsible for himself. Actually, he does not have to be accountable to the State Counselor or the President. In the constitution, the army chief may interfere in the President's decision in some cases. The army has been given the power to nominate candidates from both sides of the parliament. In fact, the army enjoys full autonomy in the state of Myanmar, which makes the internal affairs of the army self-controlled and does not tolerate external interference. The Rohingya crisis has been identified as the internal / border problem of Myanmar, which control the army. As a result, it is difficult for the democratic government of Myanmar play a single role here.The Myanmar armY also need to understand the importance of the crisis.

The influence of Buddhist monks in Myanmar's public is immense. Due to the impact of the astrologers, there is a need to mention. There are about half a million Buddhist monks in the country. Buddhist monks successfully led the 2007 Saffron Revolution. Among the Buddhist monks, the most influential Asin Wirathu preached that, Buddhism in Myanmar is now under threat. Taking the example of Indonesia, Bangladesh etc. in this case, Wirathu said that these countries were once the bastion of Buddhism; But now it has gone under Islam. He started an organization named Maa Tha, which has been protesting against the spread of different religions on the country.There is also considerable influence in the government. Under the influence of his organization Maa Tha, the previous army-controlled parliament passed some laws. A law has been enacted so that no one of the different religions can marry Buddhist girls. Another law has been made so that nobody can easily change religion. These laws were basically on favor of Buddhists. The astrologers also expressed the danger of spreading Islam to the government. These astrologers also played the role of various government policies. It is known that the astrologers played the role of transit from Rangoon, the capital of Myanmar to Naypyidaw. Demands for better analysis of the role of Buddhist monks and astrologers in the development of anti-Muslim sentiments of the people of Myanmar.

In order to reach fruitful solution to Myanmar in the Rohingya crisis, we must understand the country's distinct characteristics, its history and the evolution of governance. The democratic government in the political background of the country
In addition to the organizations that have the impact and role to know about. Then it will be possible to formulate a proper plan to resolve the Rohingya crisis.

l A M M Muniruzzaman: President of Bangladesh Institute of Peace and Security Studies (BIPSS), a security think tank located in Dhaka.
 
Last edited:
.
The influence of Buddhist monks in Myanmar's public is immense. Due to the impact of the astrologers, there is a need to mention. There are about half a million Buddhist monks in the country. Buddhist monks successfully led the 2007 Saffron Revolution. Among the Buddhist monks, the most influential Asin Wirathu preached that, Buddhism in Myanmar is now under threat. Taking the example of Indonesia, Bangladesh etc. in this case, Wirathu said that these countries were once the bastion of Buddhism; But now it has gone under Islam. He started an organization named Maa Tha, which has been protesting against the spread of different religions on the country.There is also considerable influence in the government. Under the influence of his organization Maa Tha, the previous army-controlled parliament passed some laws. A law has been enacted so that no one of the different religions can marry Buddhist girls. Another law has been made so that nobody can easily change religion. These laws were basically on favor of Buddhists. The astrologers also expressed the danger of spreading Islam to the government. These astrologers also played the role of various government policies. It is known that the astrologers played the role of transit from Rangoon, the capital of Myanmar to Naypyidaw. Demands for better analysis of the role of Buddhist monks and astrologers in the development of anti-Muslim sentiments of the people of Myanmar.
Buddhist monks and astrologers are the real rulers of burmese faggot.
 
. . . .
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/1342541/মিয়ানমার-সম্পর্কে-যেসব-কথা-জানা-দরকার
মতামত সংবাদ
রো হি ঙ্গা স ম স্যা
মিয়ানমার সম্পর্কে যেসব কথা জানা দরকার
আ ন ম মুনীরুজজামান
১২ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৪১
প্রিন্ট সংস্করণ
১১
8068d95a37b1fa5837ebf22ad8160622-59df7ed844418.jpg

মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে অং সান সু চির করমর্দন

মিয়ানমারের তরফ থেকে একজন মন্ত্রী সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। পদক্ষেপটি ইতিবাচক হলেও আমাদের মনে রাখতে হবে যে সমস্যাটি সমাধানের জন্য বহুপক্ষীয় উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখন পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়। এই কারণে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের সম্যক উপলব্ধি থাকা জরুরি। বিশেষ করে এটা এই কারণে দরকার যে সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা সংকটে বৈশ্বিক রাজনীতিতে বাংলাদেশ অনেকটাই একাকী হয়ে পড়েছে। মিয়ানমারের শাসনব্যবস্থা অন্যান্য দেশ থেকে একদম আলাদা। ইংরেজ সাংবাদিক রুডইয়ার্ড কিপলিং বলেছেন, ‘এই হচ্ছে মিয়ানমার, যা আপনার চেনাজানা যেকোনো দেশ থেকে স্বতন্ত্র।’ দেশটির অদ্ভুত শাসনব্যবস্থা এ ক্ষেত্রে বিশ্লেষণের দাবি রাখে। সম্প্রতি দেশটি গণতন্ত্রের পথে যাত্রা করলেও এর ভিত এখনো শক্ত হয়নি। সেনাবাহিনী এখনো অনেক ক্ষেত্রে প্রভাব বজায় রেখেছে। এ ছাড়া দেশটির জনসাধারণের ওপর বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং জ্যোতিষীদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। দেশটির রাজনীতির গতিশীলতা এবং রোহিঙ্গা সংকট বুঝতে হলে সরকার, সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য প্রভাবকের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া বিশ্লেষণ করতে হবে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৮ সালে প্রথম উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীর এ দেশে আগমন ঘটেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর রোহিঙ্গাবিষয়ক জাতীয় কৌশল প্রণয়ন করা হয়নি। মিয়ানমার হচ্ছে ভারত ছাড়া বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিবেশী রাষ্ট্র। কিন্তু সে অর্থে মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা গভীর যোগাযোগ স্থাপন করতে পারিনি। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক যোগাযোগ খুবই সীমিত। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ভ্রমণ কালেভদ্রে হয়ে থাকে। ‘স্টেট কাউন্সেলর’ হওয়ার পর অং সান সু চি ইতিমধ্যে প্রতিবেশী সব দেশে রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন; কেবল বাংলাদেশ বাদে। রোহিঙ্গা সংকট দুই কারণে জটিল—দেশটির কৌশলগত ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থান এবং এর অভ্যন্তরীণ অদ্ভুত শাসনব্যবস্থা।

মিয়ানমারের ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থান খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। দুই আঞ্চলিক শক্তি চীন এবং ভারতের সঙ্গে দেশটির সীমান্ত রয়েছে। দেশটি দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত। দেশটির দক্ষিণে রয়েছে সামুদ্রিক কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগর। চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর দুটি করিডরের সঙ্গে মিয়ানমার সংযুক্ত। জ্বালানি তেল আমদানি এবং বৈশ্বিক বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চীনা জাহাজগুলোকে ‘মালাক্কা প্রণালি’ দিয়ে ঘুরে যেতে হয়, যা একই সঙ্গে সময় এবং অর্থসাপেক্ষ। কিন্তু রাখাইনে অবস্থিত সামুদ্রিক বন্দর ব্যবহার করলে সময় এবং অর্থ দুটোই সাশ্রয় হয়। মিয়ানমারে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিপরীতে ভারতও দেশটিতে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর
মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘কালাদান বহুমুখী যোগাযোগ প্রকল্প’। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে যোগাযোগের জন্য ‘চিকেন’স নেক’-এর বিকল্প পথ তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া মিয়ানমারে জাপান এবং রাশিয়ার বেশ কিছু বৃহৎ প্রকল্প রয়েছে। এ প্রকল্পগুলো চলমান রাখার জন্য রাখাইন রাজ্যের স্থিতিশীলতা অত্যাবশ্যকীয়। রোহিঙ্গা সংকটের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ মিয়ানমারের অনুকূলে রয়েছে।

মিয়ানমারের বর্তমান জটিল অবস্থা বুঝতে হলে এর ইতিহাস সম্পর্কে জানা দরকার। সম্প্রতি গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে দীর্ঘ কয়েক দশক দেশটিতে সামরিক শাসন জারি ছিল। তারও আগে দেশটি দীর্ঘকাল ব্রিটিশ ভারতের অধীনে ছিল। সে সময় ভারতবর্ষ থেকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ সৈন্য, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী এবং নির্মাণশ্রমিক হিসেবে মিয়ানমারে আগমন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে মিয়ানমারের তৎকালীন রাজধানী রেঙ্গুনের জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ ছিল ভারতীয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ বার্মিজ জনগোষ্ঠী এটাকে তাদের সমাজ এবং ধর্মের ওপর হুমকি হিসেবে দেখা শুরু করে এবং ফলে ভারতীয়-বিরোধী মনোভাব বাড়তে থাকে। ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেন এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতির অবসান ঘটিয়ে সামরিক শাসন জারি করেন। সব শিল্প, ব্যবসা এবং সংবাদমাধ্যম জাতীয়করণ করা হয়। ব্যাপকভাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের বহিষ্কারাভিযান শুরু হয়। কেবল ১৯৬৪ সালে ৩ লাখের বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি মিয়ানমার ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

দীর্ঘ সামরিক শাসনের ফলে দেশটির জনসাধারণের মধ্যে বেশ কিছু মূল্যবোধ গড়ে উঠেছে, যা একান্তভাবে তাদের নিজেদের এবং সর্বসত্তা দিয়ে তারা সেটা বিশ্বাস করে। মিয়ানমারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী উ নু ঘোষণা করেন, দেশটির সাধারণ পরিচয় হবে একই ধর্ম—বৌদ্ধধর্মের ভিত্তিতে। পরবর্তী সময়ে জেনারেল নে উইন ঘোষণা করেন, একই ভাষা—বার্মিজ হবে মিয়ানমারের নাগরিকদের সাধারণ যোগসূত্র। সবশেষে জেনারেল থান স ঘোষণা করেন, দেশের সব নাগরিকের পরিচিতি একটি সাধারণ নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর ভিত্তিতে হবে। মিয়ানমারের জনসাধারণের মধ্যে সেনাবাহিনীর প্রতি প্রবল আস্থা পরিলক্ষিত হয়, যেখানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের অবস্থান বেশ ভঙ্গুর। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সেনাবাহিনীর মধ্যে একটি অমূলক ভয় কাজ করে যে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের জনবিন্যাসের পরিবর্তন করতে পারে। এই বিশ্বাস সংখ্যাগরিষ্ঠ বার্মিজ ও রাখাইনদের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়েছে।

বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক চাপের ফলে মিয়ানমার সামরিক সরকার ২০০৮ সালে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে, যার ভিত্তিতে ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার ইতি টেনে দেশটি গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু সেনাবাহিনী, যা তাতমাদো নামে পরিচিত, গণতন্ত্রের আড়ালে সংবিধানের মধ্যে এমন একটা শাসনব্যবস্থার রূপরেখা তৈরি করেছে, যাতে দেশটির শাসনব্যবস্থায় তাদের প্রভাব অক্ষুণ্ন থাকে। এই নতুন সংবিধানের ভিত্তিতেই বর্তমান মিয়ানমার রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। সংবিধানের ধারা অনুসারে, সংসদের ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয়—পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র এবং সীমান্ত সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের নিয়ন্ত্রণও সেনাবাহিনীর হাতে ন্যস্ত হয়।

সংবিধান মোতাবেক সেনাপ্রধান নিজেই নিজের প্রতি দায়বদ্ধ। কার্যত তাঁকে স্টেট কাউন্সেলর কিংবা প্রেসিডেন্টের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। সংবিধানমতে, সেনাপ্রধান কিছু ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের ওপরও হস্তক্ষেপ করতে পারেন। সংসদের উভয় কক্ষে সেনাবাহিনী থেকে আসা প্রার্থীদের মনোনয়ন করার ক্ষমতা সেনাপ্রধানকে দেওয়া হয়েছে। বস্তুত, মিয়ানমার রাষ্ট্রের মধ্যে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে, যার ফলে অভ্যন্তরীণ সব বিষয় সেনাবাহিনী নিজেই নিয়ন্ত্রণ করে এবং বাইরের হস্তক্ষেপ সহ্য করে না। রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ/সীমান্ত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যেটা সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে এখানে একক ভূমিকা রাখা কঠিন। এ সংকট নিরসনে কার্যকর সমাধানে পৌঁছাতে হলে সংকটের গুরুত্ব মিয়ানমার সেনাবাহিনীকেও বুঝতে হবে।

মিয়ানমারের জনসাধারণের মধ্যে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের প্রভাব অপরিসীম। জ্যোতিষীদের প্রভাবও উল্লেখ করার দাবি রাখে। দেশটিতে প্রায় ৫ লাখ বৌদ্ধ ভিক্ষু রয়েছে। ২০০৭ সালের ‘স্যাফ্রন রেভল্যুশন’-এ বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিল। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী আসিন উইরাথু প্রচার করেন যে মিয়ানমারে বৌদ্ধধর্ম এখন হুমকির মুখে। এ ক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ ইত্যাদি দেশের উদাহরণ টেনে উইরাথু বলেন, এসব দেশ একসময় বৌদ্ধধর্ম প্রধান ছিল; কিন্তু এখন ইসলামের অধীনে চলে গেছে। তিনি মা বা থা নামক একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন, যা দেশটির ওপর ভিন্ন ধর্মের বিস্তার প্রতিরোধে আন্দোলন করে যাচ্ছে।

সরকারের মধ্যেও উইরাথুর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তাঁর প্রতিষ্ঠান মা বা থা-এর প্রভাবে পূর্ববর্তী সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত সংসদ কিছু আইন পাস করেছে। একটা আইন করা হয়েছে, যাতে বৌদ্ধ মেয়েদের ভিন্ন ধর্মের কেউ বিয়ে করতে না পারে। অন্য আরেকটা আইন করা হয়েছে, যাতে কেউ সহজে ধর্ম পরিবর্তন করতে না পারে। এ আইনগুলো মূলত বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের অনুকূলে করা হয়েছে। দেশটির জ্যোতিষীরাও সরকারের কাছে ইসলামের বিস্তারের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। এমনকি সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণেও এই জ্যোতিষীরা ভূমিকা পালন করেন। জানা যায়, মিয়ানমারের রাজধানী রেঙ্গুন থেকে নেপিডোতে স্থানান্তরের পেছনেও জ্যোতিষীদের ভূমিকা ছিল। মিয়ানমারের জনসাধারণের মধ্যে মুসলিমবিরোধী মনোভাব গড়ে ওঠার পেছনে বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং জ্যোতিষীদের ভূমিকা ভালোভাবে বিশ্লেষণ করার দাবি রাখে।

রোহিঙ্গা সংকটের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের সঙ্গে ফলপ্রসূ সমাধানে পৌঁছাতে হলে দেশটির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলো, এর ইতিহাস এবং শাসনব্যবস্থার বিবর্তন সম্পর্কে আমাদের বুঝতে হবে। দেশটির রাজনৈতিক পটভূমিতে গণতান্ত্রিক সরকার
ছাড়াও যেসব প্রতিষ্ঠানের প্রভাব এবং ভূমিকা রয়েছে তাদের সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে।

l আ ন ম মুনীরুজজামান: ঢাকায় অবস্থিত নিরাপত্তা চিন্তাশালা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) সভাপতি।

Google translation
Opinion News

What we need to know about Myanmar

A N M Muniruzzaman
12 October, 20:41
Print version
11
8068d95a37b1fa5837ebf22ad8160622-59df7ed844418.jpg

Aung San Suu Kyi handshake with Myanmar Army Chief,


A minister recently visited Bangladesh from Myanmar. While the move is positive, we must remember that the need for multilateral initiatives to solve the problem is important but the tendency of bilateral enterprises to dominate is still noticeable. For this reason, it is important that we have sufficient understanding of Myanmar internal governance and decision-making process. In particular, it is necessary that in the recent Rohingya crisis, Bangladesh has become very lonely in global politics. Myanmar's rule is very different from other countries. English journalist Rudyard Kipling said, "This is Myanmar, which is different from any country you know." The country's strange regime demands analysis in this case. Although the country has recently moved on the path of democracy, its foundation is still not strong. The army still has influence in many areas. Besides, Buddhist monks and astrologers have enough influence on the people of the country. To understand the dynamism of the country's politics and the Rohingya crisis, the interaction between government, army and other influencers will be analyzed.

After the independence of Bangladesh, the first significant number of Rohingya refugees arrived in the country in 1978. But till now no strategic national strategy has been formulated. Myanmar is the only neighboring state of Bangladesh except India. But in that sense we could not establish a deep connection with Myanmar. Bangladesh's diplomatic relations with Myanmar are very limited. Traveling at state level is a rare practice. After being a 'State Counselor', Aung San Suu Kyi has already made a state visit to all neighboring countries; Except Bangladesh. The Rohingya crisis is complex for two reasons - the strategic geopolitical and geo-economic position of the country and its internal peculiar governance system.

The geopolitical and geo-economic position of Myanmar is very significant. There are two territorial powers in the border with China and India. The country is located at the junction of South Asia and Southeast Asia. The country has its strategic direction from the strategic importance of the Bay of Bengal and the Indian Ocean to the south. Myanmar affiliated with two corridors of China's 'Belt and Road Initiative' In order to import fuel oil and export products to the global market, Chinese ships have to travel through 'Malacca system', which together with time and money. But using the maritime port in Rakhine can save both time and money. India has taken several projects in the country against China's growing influence in Myanmar. Of it Among them, 'Kaladan Multipurpose Contact Project' is significant. Through this project, India has taken an initiative to create alternative ways of 'Chicken's Neck' for communication in the seven northeastern states. In addition, there are several large projects in Japan and Russia in Myanmar. The stability of the Rakhine state is essential to keep these projects going. In the Rohingya crisis, the interest of neighboring large states is favorable to Myanmar.

To understand the current complex situation of Myanmar, it is necessary to know about its history. Prior to the democratization recently, martial law was issued in the country for decades. Even before that the country was under British India for a long time. At that time a significant number of people from India came to Myanmar as soldiers, government officials, businessmen and construction workers. On the eve of World War II, about 50 percent of the population of Rangoon, Myanmar's capital, was Indian. The majority Burmese people started seeing this as a threat to their society and religion, and as a result anti-Indian sentiments continued to increase. In 1962 General N Win captured Myanmar power and issued a military rule by ending the democratic process. All industries, businesses and media are nationalized. Extensively extrication of Indian descent In 1964, more than 300,000 Indian origin people were forced to leave Myanmar.

As a result of long military rule, there have been some values among the people of the country, which they believe in with their own and individuality. Myanmar's first Prime Minister, Wu Nou announced that the common identity of the country will be based on the same religion-Buddhism. Later, General Ne Win announced that the same language would be Burmese, the general link between Myanmar citizens. Finally, General Than Shwe announced that the identity of all the citizens of the country will be based on a general ethnic group. Myanmar's public has strong confidence in the army, where the position of the democratically elected government is quite fragile. Considering the historical context, there is a fear in the army that Rohingya can change Myanmar's demography. This belief has also spread among the majority Burmese and Rakhains.

Due to internal and international pressures, Myanmar military government formulated a new constitution in 2008, on which the general election of 2010 was held and by ending long-term diplomatic isolation, the country started its journey towards democracy. But the army, which is known as Tetmado, behind democracy, created a framework for a constitution in the constitution that prevents their influence in the regime of the country remain intact.
The current Myanmar state is being run on the basis of this new constitution. According to the constitution, 25 percent of the seats are reserved for the army. Apart from this, three important ministries - the foreign, home and border forces are kept under control. Police control of the law enforcing agencies was also entrusted to the army.

According to the constitution, the army chief himself is responsible for himself. Actually, he does not have to be accountable to the State Counselor or the President. In the constitution, the army chief may interfere in the President's decision in some cases. The army has been given the power to nominate candidates from both sides of the parliament. In fact, the army enjoys full autonomy in the state of Myanmar, which makes the internal affairs of the army self-controlled and does not tolerate external interference. The Rohingya crisis has been identified as the internal / border problem of Myanmar, which control the army. As a result, it is difficult for the democratic government of Myanmar play a single role here.The Myanmar armY also need to understand the importance of the crisis.

The influence of Buddhist monks in Myanmar's public is immense. Due to the impact of the astrologers, there is a need to mention. There are about half a million Buddhist monks in the country. Buddhist monks successfully led the 2007 Saffron Revolution. Among the Buddhist monks, the most influential Asin Wirathu preached that, Buddhism in Myanmar is now under threat. Taking the example of Indonesia, Bangladesh etc. in this case, Wirathu said that these countries were once the bastion of Buddhism; But now it has gone under Islam. He started an organization named Maa Tha, which has been protesting against the spread of different religions on the country.There is also considerable influence in the government. Under the influence of his organization Maa Tha, the previous army-controlled parliament passed some laws. A law has been enacted so that no one of the different religions can marry Buddhist girls. Another law has been made so that nobody can easily change religion. These laws were basically on favor of Buddhists. The astrologers also expressed the danger of spreading Islam to the government. These astrologers also played the role of various government policies. It is known that the astrologers played the role of transit from Rangoon, the capital of Myanmar to Naypyidaw. Demands for better analysis of the role of Buddhist monks and astrologers in the development of anti-Muslim sentiments of the people of Myanmar.

In order to reach fruitful solution to Myanmar in the Rohingya crisis, we must understand the country's distinct characteristics, its history and the evolution of governance. The democratic government in the political background of the country
In addition to the organizations that have the impact and role to know about. Then it will be possible to formulate a proper plan to resolve the Rohingya crisis.

l A M M Muniruzzaman: President of Bangladesh Institute of Peace and Security Studies (BIPSS), a security think tank located in Dhaka.
lol the author who wrote 'we need to know about Myanmar' himself dont know 'nothing' about Myanmar. all of his knowledge is just like first page of the book. knowing the content does not mean he know the essence. Good. publish more like this from BD think tanks. it will make weakness of BD's strategic and military plan against Myanmar. :P
The influence of Buddhist monks in Myanmar's public is immense. Due to the impact of the astrologers, there is a need to mention.
lol it's obvious that his knowledge about Myanmar is same like knowing Chinese movies without subtitles. :rofl:
Among the Buddhist monks, the most influential Asin Wirathu preached that, Buddhism in Myanmar is now under threat. Taking the example of Indonesia, Bangladesh etc. in this case, Wirathu said that these countries were once the bastion of Buddhism; But now it has gone under Islam. He started an organization named Maa Tha, which has been protesting against the spread of different religions on the country.There is also considerable influence in the government.
Totally wrong.
1) Ashin Wirathu is not most influential monk. not even one of them. due to too much highlight of western , he is seem to be most influential in Myanmar.but actually it's not.
2) the name of organization is Ma Ba Tha. not Maa tha.
3) Ashin Wirathu is not founder of Ma Ba Tha. he is just a small leader of that. he is just being highlighted by western media due to his anti-islam preach despite other monks in organization stay quite.
A law has been enacted so that no one of the different religions can marry Buddhist girls. Another law has been made so that nobody can easily change religion. These laws were basically on favor of Buddhists.
totally wrong. the law just said in brief

Provides that before all marriages between Buddhist women and non-Buddhist men, the couple must submit an application. The registrar is to publicly display the application for 14 days, following which time, if there are no objections, the marriage may be solemnized. The husband must respect his wife’s practice of Buddhism, make no attempts to convert her, allow their children to freely practice their religion and refrain from insulting Buddhism. If he violates any of these mandates, the Buddhist woman may divorce her husband, and the husband will be forced to relinquish his share of jointly owned property and lose guardianship of their children.
http://www.ilo.org/dyn/natlex/natlex4.detail?p_lang=&p_isn=103620&p_classification=01

there is no protection from marriage with non-Buddhist men.but it's prohibited multiple marriage of her husband. after marriage with Buddhist woman , he can not marry with any other girl until divorce or death of her. how can gov intervence its people personal affair ? we're not fool. but fool believed this. LOL and there is already The 1872 Christianity Law, the 1955 Hinduism Law, and the 1953 Islamic Law for marriage in country. so all law protect its women rights. so some Buddhists believed they will need their own one and become this.
The astrologers also expressed the danger of spreading Islam to the government. These astrologers also played the role of various government policies. It is known that the astrologers played the role of transit from Rangoon, the capital of Myanmar to Naypyidaw. Demands for better analysis of the role of Buddhist monks and astrologers in the development of anti-Muslim sentiments of the people of Myanmar.

most amusing part of the article. lol
The astrologers also expressed the danger of spreading Islam to the government.
who said this..?? lol tell me the name of them or news about this.

These astrologers also played the role of various government policies. It is known that the astrologers played the role of transit from Rangoon, the capital of Myanmar to Naypyidaw.
:cheesy::cheesy: then why we need a consultant teams for various sectors. and the writer dont even know the difference between tradition and influence. some people may think the article can cover history and traditional of Myanmar but for a Myanmar , it's totally rubbish.
 
Last edited:
.
lol the author who wrote 'we need to know about Myanmar' himself dont know 'nothing' about Myanmar. all of his knowledge is just like first page of the book.
Names of person's and Parties are insignificant,at least you all claim to legally have a legal instrment known as social bondage between primates.That's encouraging indeed.

12:00 AM, October 13, 2017 / LAST MODIFIED: 01:34 AM, October 13, 2017
When religion is used by the military to justify their aims
7.png

Photo: AFP
Saskia Sassen
Religious persecution is the overwhelming fact in the violence that the Rohingya have experienced on and off in Myanmar across the centuries.

But this does not preclude that the military, long in charge of what they call “economic development”, can today push those persecutions to a whole new level. And this is what they did in the current phase of a long history of Rohingya persecution.

By burning Rohingya villages to the ground and eliminating all traces of those villages, the military contributed to transform persecution into radical expulsions of whole villages. And, as one Myanmar minister put it: "According to the law, burnt land becomes government-managed land" (Minister for Social Development, Relief and Resettlement Win Myat Aye, at a meeting in the Rakhine state capital of Sittwe as reported by the Global New Light of Myanmar).

In my reading, this also contributes to explain the extraordinary (literally) effort the military deployed to eliminate traces of Rohingya villages and reduce it all to “burnt land.” No returning Rohingya can easily make a claim that it was their land: now it is just burnt land.

And indeed, the national government announced a few days ago that it was taking over the “development of the Rakhine state”, and specifically the burnt land in Rohingya land. That seals the deal.
But there is more to the current situation.
China's projects in rakhine state
There is a parallel history developing in the Rakhine state that has not been mentioned—except most recently. It is the fact that China has entered contractual agreements with the government of Myanmar to develop a massive port in the Rakhine state and a large industrial zone. These are not in the area where the current burning of villages happened. But clearly such massive developments will have an enormous shadow effect over a very large part of Rakhine, going well beyond the area of the port and the industrial zone.

China's Beijing based CITIC investment group will be building a deep-sea port and economic zone in Kyaukpyu worth USD 7.3 billion. A three billion dollar economic development zone is also in the works.

"The escalating displacement of millions of smallholders (mostly Buddhists) from the land was a major change as to who was to manage the land. Smallholders became refugees of a new economic ordering. Myanmar is not unique in this.

China has already invested significantly in the Rakhine state with a USD 2.45 billion pipeline from Rakhine to China's Yunnan province. The planned port will give China access to the Indian Ocean and to the Middle East—and to Middle Eastern crude oil. Most of China's investments in Myanmar have been outside the Rakhine state—thus the current investments are new. China had invested USD 15 billion mostly in mining, dams, and timber in other parts of Myanmar—in fact, one third of the vast forest in Myanmar is now barren land due to the timber extraction.

A question I have been pursuing is how this might impact the Rakhine state area where the Rohingya villages were burnt down. I have a hard time not thinking that religion was used by the military to make burnt land and thereby take possession.
What does religion have to do with it?
It is worth noting that the international media has almost exclusively focused on the religion aspect. Human Rights Watch described the anti-Rohingya violence as amounting to [crimes against humanity] carried out as part of a campaign of ethnic cleansing. Malaysia's foreign minister described the Myanmar government's actions as ethnic cleansing and called on them to stop the practice, leading in turn to a strong response from Myanmar's government. John McKissick, head of the UN refugee agency, said the Myanmar government was carrying out ethnic cleansing of the Rohingya people.

All of this is true, and a horrible part of the story.

But my research leads me to argue that religion and ethnicity might be only part of what explains this forced displacement, larger than many earlier expulsions of the Rohingya. The past two decades have seen a massive worldwide rise of corporate acquisitions of land for mining, timber, agriculture, and water.

In the case of Myanmar, the military have been grabbing vast stretches of land from small holders since the 1990s—without compensation, but with threats if they should fight back. This land grabbing has continued across the decades. At the time of the 2012 attacks, the land allocated to large projects had increased by 170 percent between 2010 and 2013. By 2012 the law governing land was changed to favour large corporate acquisitions.

The escalating displacement of millions of smallholders (mostly Buddhists) from the land was a major change as to who was to manage the land. Smallholders became refugees of a new economic ordering. Myanmar is not unique in this. Similar brutal expulsions of smallholders have been happening across the world as large corporations take over because they “establish” that the smallholders have no contracts showing the land is theirs, no matter how long they and their ancestors worked that land. What is different in Myanmar is the almost absolute control the military have long had over much of the country's land, and hence their key role in the expulsion of smallholders (pdf).
religion2.jpg

Burmese small holders protesting land grabbing. Photo: AFP
Today there are whole new economies—mining, timber, geothermal projects—where before there were smallholders. Economic development may require this: but it should also work for the millions of displaced and never compensated smallholders. Foreign direct investment is now concentrated in extractive sectors and power generation. Not much of the new investment has gone to sectors such as manufacturing that can generate a strong working class and a modest middle class. For example, Myanmar's Yadana pipeline project, “required investment of over $1bn (£0.8bn), yet employs only 800 workers”.

Furthermore, the 2012 law empowered foreign investors. It offered government loans—but no help for the smallholders who lost their land. Land properties can range from 2,000 hectares up to 20,000 hectares (5,000 acres to 50,000 acres) for an initial period of 30 years. The extent of land grabs is such that Myanmar is losing more than a million acres of forest a year (pdf).

These facts are never invoked in the discussion about the persecution of the Rohingyas. And Aung San Suu Kyi has been similarly silent on the matter.

(Generally. see my earlier piece in the Guardian on these developments: “Is Rohingya persecution caused by business interests rather than religion?” published on January 4, 2017).

In short, expelling Rohingyas from their land might well be good for future business. Indeed, quite recently the government allocated millions of hectares in Rakhine for corporate development. To some extent the international focus on the religion of the Rohingya has overshadowed the vast land grabs that have affected millions, including the Rohingya.
Saskia Sassen is the Robert S. Lynd Professor of Sociology at Columbia University.
Her latest book is
Expulsions: Complexity and Brutality in the Global Economy(Harvard University Press).
www.saskiasassen.com

http://www.thedailystar.net/star-we...-used-the-military-justify-their-aims-1475209
 
.
as one Myanmar minister put it: "According to the law, burnt land becomes government-managed land" (Minister for Social Development, Relief and Resettlement Win Myat Aye, at a meeting in the Rakhine state capital of Sittwe as reported by the Global New Light of Myanmar)
that's all about i wanna say u all and experts around the world. Myanmar is newly opened country and all rule and regulation will be fresh for them. they need to understand till the root. if not , it will be rubbish.
according to our law , to become Gov-manage land it need to burnt at least 3 times of same place due to owner false.it wont count if someone else burnt it directly or indirectly.
In my reading, this also contributes to explain the extraordinary (literally) effort the military deployed to eliminate traces of Rohingya villages and reduce it all to “burnt land.” No returning Rohingya can easily make a claim that it was their land: now it is just burnt land.
it's silly. the location of most villages know all the shakeholders of this crisis. even HRW. we can not eliminate or create. actually if we need their lands , no need to burn down their house. we can move them just by order. they cant officially own land according to our law as they are not our citizens.if they want to own ,need to accept national verification process which was denied by Rohingya Bangali itself.
Names of person's and Parties are insignificant,at least you all claim to legally have a legal instrment known as social bondage between primates.That's encouraging indeed.


12:00 AM, October 13, 2017 / LAST MODIFIED: 01:34 AM, October 13, 2017
When religion is used by the military to justify their aims
7.png

Photo: AFP
Saskia Sassen
Religious persecution is the overwhelming fact in the violence that the Rohingya have experienced on and off in Myanmar across the centuries.

But this does not preclude that the military, long in charge of what they call “economic development”, can today push those persecutions to a whole new level. And this is what they did in the current phase of a long history of Rohingya persecution.

By burning Rohingya villages to the ground and eliminating all traces of those villages, the military contributed to transform persecution into radical expulsions of whole villages. And, as one Myanmar minister put it: "According to the law, burnt land becomes government-managed land" (Minister for Social Development, Relief and Resettlement Win Myat Aye, at a meeting in the Rakhine state capital of Sittwe as reported by the Global New Light of Myanmar).

In my reading, this also contributes to explain the extraordinary (literally) effort the military deployed to eliminate traces of Rohingya villages and reduce it all to “burnt land.” No returning Rohingya can easily make a claim that it was their land: now it is just burnt land.

And indeed, the national government announced a few days ago that it was taking over the “development of the Rakhine state”, and specifically the burnt land in Rohingya land. That seals the deal.
But there is more to the current situation.
China's projects in rakhine state
There is a parallel history developing in the Rakhine state that has not been mentioned—except most recently. It is the fact that China has entered contractual agreements with the government of Myanmar to develop a massive port in the Rakhine state and a large industrial zone. These are not in the area where the current burning of villages happened. But clearly such massive developments will have an enormous shadow effect over a very large part of Rakhine, going well beyond the area of the port and the industrial zone.

China's Beijing based CITIC investment group will be building a deep-sea port and economic zone in Kyaukpyu worth USD 7.3 billion. A three billion dollar economic development zone is also in the works.

"The escalating displacement of millions of smallholders (mostly Buddhists) from the land was a major change as to who was to manage the land. Smallholders became refugees of a new economic ordering. Myanmar is not unique in this.

China has already invested significantly in the Rakhine state with a USD 2.45 billion pipeline from Rakhine to China's Yunnan province. The planned port will give China access to the Indian Ocean and to the Middle East—and to Middle Eastern crude oil. Most of China's investments in Myanmar have been outside the Rakhine state—thus the current investments are new. China had invested USD 15 billion mostly in mining, dams, and timber in other parts of Myanmar—in fact, one third of the vast forest in Myanmar is now barren land due to the timber extraction.

A question I have been pursuing is how this might impact the Rakhine state area where the Rohingya villages were burnt down. I have a hard time not thinking that religion was used by the military to make burnt land and thereby take possession.
What does religion have to do with it?
It is worth noting that the international media has almost exclusively focused on the religion aspect. Human Rights Watch described the anti-Rohingya violence as amounting to [crimes against humanity] carried out as part of a campaign of ethnic cleansing. Malaysia's foreign minister described the Myanmar government's actions as ethnic cleansing and called on them to stop the practice, leading in turn to a strong response from Myanmar's government. John McKissick, head of the UN refugee agency, said the Myanmar government was carrying out ethnic cleansing of the Rohingya people.

All of this is true, and a horrible part of the story.

But my research leads me to argue that religion and ethnicity might be only part of what explains this forced displacement, larger than many earlier expulsions of the Rohingya. The past two decades have seen a massive worldwide rise of corporate acquisitions of land for mining, timber, agriculture, and water.

In the case of Myanmar, the military have been grabbing vast stretches of land from small holders since the 1990s—without compensation, but with threats if they should fight back. This land grabbing has continued across the decades. At the time of the 2012 attacks, the land allocated to large projects had increased by 170 percent between 2010 and 2013. By 2012 the law governing land was changed to favour large corporate acquisitions.

The escalating displacement of millions of smallholders (mostly Buddhists) from the land was a major change as to who was to manage the land. Smallholders became refugees of a new economic ordering. Myanmar is not unique in this. Similar brutal expulsions of smallholders have been happening across the world as large corporations take over because they “establish” that the smallholders have no contracts showing the land is theirs, no matter how long they and their ancestors worked that land. What is different in Myanmar is the almost absolute control the military have long had over much of the country's land, and hence their key role in the expulsion of smallholders (pdf).
religion2.jpg

Burmese small holders protesting land grabbing. Photo: AFP
Today there are whole new economies—mining, timber, geothermal projects—where before there were smallholders. Economic development may require this: but it should also work for the millions of displaced and never compensated smallholders. Foreign direct investment is now concentrated in extractive sectors and power generation. Not much of the new investment has gone to sectors such as manufacturing that can generate a strong working class and a modest middle class. For example, Myanmar's Yadana pipeline project, “required investment of over $1bn (£0.8bn), yet employs only 800 workers”.

Furthermore, the 2012 law empowered foreign investors. It offered government loans—but no help for the smallholders who lost their land. Land properties can range from 2,000 hectares up to 20,000 hectares (5,000 acres to 50,000 acres) for an initial period of 30 years. The extent of land grabs is such that Myanmar is losing more than a million acres of forest a year (pdf).

These facts are never invoked in the discussion about the persecution of the Rohingyas. And Aung San Suu Kyi has been similarly silent on the matter.

(Generally. see my earlier piece in the Guardian on these developments: “Is Rohingya persecution caused by business interests rather than religion?” published on January 4, 2017).

In short, expelling Rohingyas from their land might well be good for future business. Indeed, quite recently the government allocated millions of hectares in Rakhine for corporate development. To some extent the international focus on the religion of the Rohingya has overshadowed the vast land grabs that have affected millions, including the Rohingya.
Saskia Sassen is the Robert S. Lynd Professor of Sociology at Columbia University.
Her latest book is
Expulsions: Complexity and Brutality in the Global Economy(Harvard University Press).
www.saskiasassen.com

http://www.thedailystar.net/star-we...-used-the-military-justify-their-aims-1475209
in this article , the author compared two completely different situations. actually so called experts need to study about freshly opened Myanmar and understand our tradition and culture. if not, their comments wont help the crisis to solve but just led to worsen situation.
 
. .
Back
Top Bottom